Tuesday, February 24, 2009

সাবধানে কথা বলেন, Big brother is hearing u....

২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫১
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

জর্জ অরওয়েলের উপন্যাস নাইনটিন এইটি ফোর আমি পড়ি নাই। এইটা নিয়া সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের একটা লেখা পড়ছিলাম। এখন ওয়েবে খুঁজে-পেতে কিছু ফ্ল্যাপ জাতীয় লেখলাম পড়লাম। আমাদের এক প্রথিতযশা লেখক কইছেন, ব্লগে যারা লেখে হেরা নাকি খালি ফ্ল্যাপ পড়া জ্ঞান ঝাড়ে। উনি আমার এই উল্লেখে খুশী হইতে পারেন। জীবনে মেলা আস্ত বই পড়ছি, কিন্তু ব্লগ করার অপরাধে বুদ্ধিজীবীরা আমাদের ফ্ল্যাপ পড়া লেখক কইতে চান। তাদের জন্য একটা রেফারেন্সের ব্যবস্থা করলাম। হ, ১৯৮৪ উপন্যাসের খালি ফ্ল্যাপই পড়ছি আমি। আর এখন এইটা নিয়া জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বলবো? কোনো অসুবিধা আছে?
১৯৮৪ উপন্যাসের ফ্ল্যাপ খুঁজতে গিয়া আজকে একটা তথ্য পাইলাম, জর্জ অরওয়েলের আসল নাম এরিক আর্থার ব্লেয়ার। আর তার জন্ম হইছিল ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার বিহারে মতান্তরে বাংলায়। এনিমেল ফার্ম (Click This Link) পড়ার সময় মেলা কিছু খিয়াল করি নাই। তখন বেশ সমাজতান্ত্রিক আছিলাম। তাই রাগে গরগর কইরা পইড়া গেছি অরওয়েলের সমাজতান্ত্রিক সমালোচনা। মজা পাইছি, হাসছি আবার ব্যথাও পাইছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাইনা নিছি জিনিশটা ভাল। সমাজতন্ত্রের সমালোচনা ভালই হইছে তাতে। যাই হউক কথা হইতেছিল ১৯৮৪ (Click This Link) উপন্যাস নিয়া। এই উপন্যাসও সমালোচকদের মতে, যথারীতি স্টালিনীয় মডেলের সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে। যেইখানে বিগ ব্রাদার নামে এক ব্যক্তি এমন এক ব্যবস্থা কায়েম করছেন যে, তিনি যে কোনো নাগরিকের ব্যক্তিগত চলাফেরা, কথাবার্তা ইত্যাদি দেখতে/শুনতে/পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম। ফলে ওশেনিয়ার এয়ারস্ট্রিপ ওয়ান ঘটনাস্থল। এই রাষ্ট্র শাসিত হয় পার্টির দ্বারা। পার্টির নেতা রহস্যময় বিগব্রাদার। উনি সব কিছু দেখেন, শুনেন, জানেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ছাড়া ওনারে আর কেউ দেখতে পায় না। উপন্যাসের একটা লাইন বারবার রিপিট হয়েছে। বিগব্রাইজ ওয়াচিং ইউ। বড় ভাই আপনারে দেখতেছে। মানে সাবধান। বড়ভাইয়ের যন্ত্র আপনের সবকিছু রেকর্ড কইরা রাখতেছে। আপনের চলাফেরার সবকিছু তার নখদর্পনে। বলাবাহুল্য, বিগব্রাদারের অবাস্তব, ফালতু শাসন টিকায়ে রাখার অবলম্বন হইলো এই পর্যবেক্ষণ যন্ত্র। যা দিয়ে রাষ্ট্রের নাগরিকদের ভীতি-শঙ্কা ও অপরাধবোধের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। আর সেই ভীতির ফল হিসাবে বিগব্রাদাররা কোনো সমস্যা ছাড়াই শাসন অব্যাহত রাখতে পারেন। আপনাদের আরও মনে পড়বে, ক্রিস্টভ কিসলোস্কির রেড সিনেমার কথা। সেখানেও স্টালিনীয় শাসনের আভাস এসেছে। অরওয়েল-কিসলোস্কির আমলে সোভিয়েট বলতেই এমন বিগব্রাদারের শাসন বুঝাইতো। কিন্তু ওনারা যদি আরেকটু পরে জন্মগ্রহণ করতে তাইলে দেখতেন, পুঁজিবাদী মুক্তবিশ্ব কেমনে ওয়াচ করে। কেমনে বিগব্র্রাদারের ভূমিকা পালন করে। আর সর্বব্যাপ্ত নজরদারির জন্য তার সর্বশক্তি নিয়োগ করতে পারে।
টনি স্কটের দেজা ভু সিনেমাটা অনেকেই দেখছেন। সেইখানে অতীত কালে চইলা যাওয়ার একটা উপায় তৈরি হয়। নায়ক ঘটনার মধ্যে ঢুকে একটা খুন বন্ধ করার জন্য সেই উপায় ব্যবহার করে। সেইখানে দেখানো হয়, একজন নারীর খাসকামরার ব্যক্তিগত কাজকর্ম পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ভাণ্ডারে রেকর্ড হয়া আছে। আপনাদের কি ধারণা? এইটা ফিকশন?
দেজা ভু যারা মিস করছেন তারা হয়তো টুয়েনটিফোর (http://en.wikipedia.org/wiki/24_(TV_series)) দেখছেন। রাষ্ট্রীয় একটি বাহিনী আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কেমনে তার নাগরিকদের ওপর নিশ্ছিদ্র নজরদারি কায়েম করতে পারে তার সবচেয়ে ভাল উদাহরণ ২৪। এই সিরিয়ালটা বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়। কিনে দেখতে পারেন চাইলে। এটা ফিকশন বটে। কিন্তু এতে ঘটে যাওয়া অনেক কিছুই সম্ভব। স্যাটেলাইট ইমেজ, রাস্তার ট্রাফিক ক্যামেরা, লাইটে পোস্টের ক্যামেরা এটা সেটা দিয়ে যে কাউকে তো লিভিং রুম পর্যন্ত অনুসরণ করা সম্ভব। গুগল ম্যাপ দেইখা প্রথম দিন এই কারণেই টাসকি খায়া গেছিলাম।
যাই হউক, ঘটনা হইলো। স্টালিনের সোভিয়েত ইউনিয়ন নাই। তার পতনের আগে থেকেই আমেরিকা বা পাশ্চাত্যের দেশগুলাতে নাগরিকদের ওপর নজরদারি ছিল। নজরদারির ভিত্তিতে তারা কাজ চালাইতো। কিন্তু সেইখানে বিষয়টা সোভিয়েট ইউনিয়নের মতো নোংরামির পর্যায়ে যায় নাই। নাগরিকদের ব্যক্তিগত জীবনে তারা নজর দিয়েছে কিন্তু হাত দেয় নাই। তেমন নজির কম। প্রায় পাওয়াই যায় না।
কিন্তু টুইনটাওয়ার হারানোর পর আমেরিকার মাথা গরম হয়া গেছে। শুধু আমেরিকা-ইউরোপ না সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধের হুংকার দিয়া তারা প্রায় সবার মাথা নষ্ট কইরা দিছে। সন্ত্রাস দমনের জন্য তারা বহু আইন পাশ করছে, নাগরিক অধিকারে হাত দিয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ, যোগাযোগ ব্যবস্থায় তারা হস্তক্ষেপ করার অধিকার নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তি তথ্য ও যোগাযোগের তথ্য আদালতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে বইলাও বিধান তৈরি করছে। ইন দ্য নেম অফ টেরর, আমেরিকা সারা পৃথিবীতেই তথাকথিত স্টালিন রাজ তৈরি করতে উদ্যত। এখন আপনাদের জিগাই, সমাজতন্ত্রের নামে শুধু সোভিয়েটে এইরকম শাসন তৈরি করার দায়ে স্টালিনকে গালি দিলাম কেন এতদিন তাইলে আমরা?
আমেরিকায় যখন এই পরিস্থিতি তখন বাংলাদেশে কী হবে? সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের আমরাও বিশাল অংশীদার, সহমর্মী ও সহভাগী? আমরা না আমাদের শাসকরা? যাই হোক, পাকিস্তান যখন নাকি আফগানিস্তানের সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে জড়ায় তখন কোনো এক কামেল ব্যক্তি কইছিলেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানের যুদ্ধরে নিজের দিকে টানতেছে। এখন তো দেখা গেল তাই। আফগানিস্তানের যুদ্ধ পাকিস্তানে ছড়ায়ে পড়ছে।
সো, আমেরিকার সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ মানে অন্যের যুদ্ধ নিজে করা। নিজের যুদ্ধ নিজেকে নিজের পদ্ধতিতেই করতে হবে। অন্যের যুদ্ধ কইরা লাভ নাই।
আমেরিকার যখন এই অবস্থা তখন বাংলাদেশে নাগরিকদের ওপর নজরদারির কী হাল?
পাকিস্তান আমল থিকাই নাকি গোপনে টেলিফোন কল রেকর্ড হয়, সেই রেকর্ডের ভিত্তিতে অপারেশন হয়। কিন্তু মামলা হবে কেমনে? কারণ টেলিফোন কল রেকর্ড করাই তো অবৈধ। অসাংবিধানিক। ফলে, এক কারণে অন্য মামলা।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই কলরেকর্ড নজরদারি কমে নাই। বেড়েছে। শাসকরা নিজেদের দরকারে নজরদারির প্রয়োজনে ব্যাপারটা বাড়াইছে। সামরিক শাসন আমলে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যোগাযোগ ও প্র্রাইভেসি রক্ষার স্বাধীনতার কথা শোনা যাইতো। এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আইসা ঠেকছে কর্পোরেট মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়। যোগাযোগ ও প্রাইভেসি রক্ষার স্বাধীনতার কথা শুনা যায় না। বিদেশীরা এখন এইসবরে চাইতে কপিরাইটের অধিকার নিয়া বেশি চিন্তিত। কারণ, সমাজতন্ত্র-বিরোধীতার বিজনেস শেষ। এখন বিজনেস ঘুইরা গেছে গা।
ঘটনা এইখানে আইসা দাঁড়াইলো যে, ছয়মাসের জন্য নাকি মোবাইল ফোনের কথাবার্তা মেসেজ রেকর্ড কইরা রাখা হবে। মোবাইল ব্যবহারকারীদের তথ্য সংরক্ষণ করবেন, ভাল কথা। অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের শনাক্ত করবেন, সেটাও ভাল কথা। কিন্তু তাই বলে, সবাইরে সন্দেহের মধ্যে ফেইলা রেকর্ড করা? আজিব ব্যাপার? বাংলাদেশে কি এই আইন হইছে নিকি যে, এই তথ্য আদালতে উপস্থাপন করা যাবে? ফোনের কথাবার্তা, ইমেইল চ্যাট বৈধ আলামত হিসাবে ব্যবহার করা যাবে?
না এই সরকারকে দোষ দেয়ার কিছু নাই। এনারা এইসব ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমল থেকেই উদ্যোগগুলা আগাইতেছে। বিএনপি এইগুলারে আরো পাকাপোক্ত করছে। কিছু আইন করছে। এই সরকার কিছু করছে।
ধীরে ধীরে ব্যাপারগুলা রূপ পাইতেছে।
কিন্তু এর মধ্যে সমস্যা অন্যখানে। এই বিষয়গুলা নিয়া না দেখি কোনো কভারেজ। না দেখি কোনো কথাবার্তা। না দেখি কোনো বিচার-বিশ্লেষণ। তাইলে তো ঠিকই আছে, কী বলেন?
যে দেশে নাগরিকদের মধ্যে এইগুলা নিয়া মাথাব্যথা নেই। সে দেশে নজরদারিতে কোনো অসুবিধা তো থাকার কথা না।
কিন্তু এই কথাটা মনে রাইখেন,
সাবধানে, সমঝে কথা কইয়েন। বড়ভাই কিন্তু সব শুনতেছে।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৪৮ টি মন্তব্য
* ৩৪৮ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১০ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28835914 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৬
comment by: পথ হারা পথিক বলেছেন: বড়ভাই কিন্তু সবপড়তেছে।


২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৪৮

লেখক বলেছেন: আসলেই।
২. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:০৩
comment by: সুরভিছায়া বলেছেন: আপনার লেখায় শেখার থাকে জানা থাকে অনেক।ধন্যবাদ।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮

লেখক বলেছেন: আমিও শিখতে শিখতে লিখি। আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:১১
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন: এক্টা সিনেমা বায়রাইছিলো ২০০৬এ, V for Vendetta নামে । হালে বাইরাইছে wall-e । দেইখেন ।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। ভি ফরের কথা শুনছি। দেখি নাই।
ওয়াল-ইর কথার প্রথম শুনলাম।
৪. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:২৮
comment by: জুবেরী বলেছেন: আমি কঠোর সমাজতান্ত্রিক হবার পরও বলতে হচ্ছে

কনভেসিং
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
কথা কইবোটা কে ? আপনে মাহবুব মোর্শেদ কইছেন,
কাল থেইকা যে আপনের বিশেষ নজরদারীতে রাখা হইবো না,
সে নিশ্চয়তাটা কে দিবে ? আপনার ফোন কল , ম্যাসেজ যে,
ইতোমধ্যে বিগ ব্রাদ্রারের কাছে পৌঁছায়া যায় নাই, সেইটা নিশ্চিত
কইরা কে বলতে পারে ?

এই দুর্দিনে শুকনা ভেজালে কে জড়াইতে চায়, কন ?
সুতরাং, সাবধান ! বিগ ব্রাদার ইজ হিয়ারিং ইউ ।


ইয়া নফসি ! ইয়া নফসি !
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০১

লেখক বলেছেন: কিন্তু কথা না কইলে তো আরও বাড়বে এইগুলা।
ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
৬. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫০
comment by: কোলাহল বলেছেন: আমি যে পড়তেছি তা বড়ভাই দেখতাছে নাকি্ !! তাইলে তো বিপদ্। যান পড়ুম না।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০২

লেখক বলেছেন: বিগ ব্রাদার ইজ ওয়ার্চি ইউ। ডোন্ট গো এহেড।
৭. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: বলার কিছু নাই।রাষ্ট্রের কর্পোরেট চরিত্রের কাছে আমরা অসহায়।একটা ধরে টান দিলেই অন্যগুলোই তেড়ে আসবে।সুতরাং "রাষ্ট্রের কর্পোরেট চরিত্র"কে "অ্যাজ্‌ এ হোল ওয়ান রিপ্রেসিভ এনটিটি" হিসাবে দেখাই মনে হ্য় উচিত হবে।

V for Vendetta-তে অবস্থাটা ভালোই উঠে এসেছে।আবার একটু অতিরন্জিত মনে হলেও তার প্রতিবাদের পথ বাতলে দেয়া আছে।সেই প্রতিবাদ মূলত ব্যাক্তিকেন্দ্রকি হলেও জনগনের জাগরণ তাকে সফলতা দেয়।

"ক্রিস্টভ কিসলোস্কির" নামের স্পেলিং মনে লয় "ক্রিস্তভ কিলোয়স্কি" হবে।যদি ডেকালগ-এর ডিরেক্টরের নাম হয়।

২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০৬

লেখক বলেছেন: হ। ঠিকই বলছেন। এখন শুধু রাষ্ট্র না পৃথিবীটারেই এইভাবে দেখা সম্ভব।
কিসলোস্কির নামের বানান বিষয়ে ইতিপূর্বে ব্লগে ইন্টারেস্টিং আলোচনা হইছে। খেয়াল করুন।
হ। ঠিকই বলছেন। এখন শুধু রাষ্ট্র না পৃথিবীটারেই এইভাবে দেখা সম্ভব।
কিসলোস্কির নামের বানান বিষয়ে ইতিপূর্বে ব্লগে ইন্টারেস্টিং আলোচনা হইছে। খেয়াল করুন।
Click This Link
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০৭

লেখক বলেছেন: এক কথা দুইবার আইলো। আর মুছতে ইচ্ছা করতেছে না।
৮. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহবুব ভাই, এই বিষয়ে একটা লেখার কথা ভাবছিলাম বেশ কিছুদিন ধরে। আমার অনেক বন্ধু ছবিযুক্ত ভোটার তালিকায় ভোটার হওয়ার প্লানটারেও এই বিগব্রাদার কর্মসূচির অংশ মনে করে। আমার এই ব্যক্তিগত ডাটা কখনো কোন একদিন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে না, তার গ্যারাণ্টি নেই। এগার-এক তৈরীর কুশলীরা এবং তার পরবর্তী ঘটনার নায়কেরা আমাদেরকে আমেরিকা এবং তার দোস্তদের একটি চুড়ান্ত নিরাপদ যুদ্ধের মশলা হিশেবে প্রস্তুত করতে চায়।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:১৩

লেখক বলেছেন: ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার তথ্যের নিরাপত্তা নিয়া বিদেশে এক নাগরিক মামলা করছিল। ঘটনা সম্ভবত ব্রিটেনের।
৯. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:২৫
comment by: প্রতিদিন বলেছেন: সত্য কথা কইসেন। +
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৪

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: ইউরোপের অধিকাংশ ভাষায় (ইংরেজি বাদে T) -এর উচ্চারণ "তি"।
সুতরাং "ক্রিস্টভ" উচ্চারণ "ক্রিস্তভ হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত।আর পরের শব্দের উচ্চারণ এক পোলিশ ট্রেইনার-এর কাছ থেকে শোনা;প্রথম " s"-
এর উচ্চারণ হবেনা।

হিন্দী এক ছোটেসি লাভ স্টোরি হলে থাকতে দেখেছিলাম বিশেষ কিছু'র আশায়।আপনি ঠিক বলেছেন "এটি আ শর্ট স্টোরি অ্যাবাউট লাভের হুবহু নকল। ফ্রেম টু ফ্রেম"।

কপিরাইট কিনলেও মানুষ মনে হ্য় এতোটা করেনা।

"আমি জানিনা ফিল্মটিতে এই ব্যাপারটা স্বীকার করা হয়েছে কিনা"।
না, করা হ্য়নি;আমার জানামতে।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
স্বীকার করা হয়নি।
১১. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৭
comment by: মুক্তি মণ্ডল বলেছেন: ভাল হইছে। অনেক কিছু শিখতে পারলাম...ভাল থাকবেন
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭

লেখক বলেছেন: আমিও অনেক কিছু শিখলাম।
বিশ্বজোড়া পাঠশালা....
আপনিও ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
১২. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:০৪
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: আমেরিকা স্টালিনরে ছাড়ায়া গেসে,ঐ মোচুয়ার কাসে এত ভাল টেকনোলজি আসিল না,এখন হইসে,দেখেন আরো কি কি হয়।
যেমনে শুরু করসে,কয়দিন পরে ব্লগে নজরদারি মেশিন বসাইব,প্রেমের কাহিনী লেখলে সেইখানেও কোডেড মেসেজ খুঁজবো,বোধ করি।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:২২

লেখক বলেছেন: হ।
ঘটনা আসলেই সেই দিকে যাবে। যখন ব্যক্তিগত বইলা আর কিছু থাকবে না।
১৩. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:২৮
comment by: নুরুন্নবী হাছিব বলেছেন: হুমমম...জানা হলো...ধন্যবাদ...:)
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৮

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস। গ্রুপে যাইয়েন আপনেরে অফিসার বানাইছি।
১৪. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৭
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: হু , আমি মোবাইলে রাতদিন সরকারের গুণ গাওয়া শুরু করে দিয়েছি
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৯

লেখক বলেছেন: গ্রুপে জয়েন দিয়েন সুমায় করে।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৪০

লেখক বলেছেন: এফবি গ্রুপ, পিএব্লগ।
১৫. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৫২
comment by: দেবতা বলেছেন: +
২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
comment by: নজরুল কবীর বলেছেন: ধন্যবাদ, কার্যকর লেখা যথাযথ সময়ে লেখার জন্য। যত রকম তৎপরতাই ওরা চালাক না কেন, মানুষ সার্বভৌম । অতএব, আমাদেরকেও আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
১৭. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:০২
comment by: নুরুন্নবী হাছিব বলেছেন: হুমমম...দেখেছি...অনেক অনেক ধন্যবাদ...:)
২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮

লেখক বলেছেন: ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম।
১৮. ২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৪৩
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন: Big brother is hearing me...... :)
২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৯

লেখক বলেছেন: অতএব খিয়াল কইরা।
১৯. ২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৫৩
comment by: বিডি আইডল বলেছেন: প্রযুক্তির কু-ব্যবহারে সামনে দেখা যাবে বেড রুমের একান্ত দৃশ্য নেটে রগরগে পর্ণো হিসাবে...সেদিন খুব বেশী দুরে নয়
২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:০০

লেখক বলেছেন: হয়তো।
২০. ২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৮
comment by: দূরন্ত বলেছেন: শুনছি বৃটেনে নাকি প্রতি চার জনের জন্য একটা করে ক্যামেরা আছে।
৩০ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০৪

লেখক বলেছেন: খাইছে! ডেইলি ফুটেজ রাখে কই?
২১. ২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৫০
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: ''ধীরে ধীরে ব্যাপারগুলা রূপ পাইতেছে।
কিন্তু এর মধ্যে সমস্যা অন্যখানে। এই বিষয়গুলা নিয়া না দেখি কোনো কভারেজ। না দেখি কোনো কথাবার্তা। না দেখি কোনো বিচার-বিশ্লেষণ। তাইলে তো ঠিকই আছে, কী বলেন?
যে দেশে নাগরিকদের মধ্যে এইগুলা নিয়া মাথাব্যথা নেই।''


এইযে ''ব্যাপারগুলা রূপ পাইতেছে''_বড়ভাই সব দেখছে, রাষ্ট্র নিজে পুলিশি-রাষ্ট্র হচ্ছে এটা আপনার মতো আমিও মেনে নিতে পারছি না। সেই সাথে আপনার মতো আমিও দেখছি 'এর মধ্যে সমস্যা অন্যখানে'। এই সব বিষয় নিয়ে 'কভারেজ' দেখিনা। যদিও আপনি-আমি-আমরা 'কথাবার্তা' বলি। কিন্ত 'কভারেজ' দিতে হলে 'নেটওয়ার্ক' দরকার হয়।

বাংলাদেশে সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক যে দৈনিক পত্রিকা-সাপ্তাহিক পত্রিকা-টিভি ও রেডিও চ্যানেলগুলোর তারা তো কোনো কভারেজ দিচ্ছে না বিষয়গুলোর। উল্টো নানাভাবে এগুলোর পক্ষে ওকালিত করছে।
৩০ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:২৩

লেখক বলেছেন: ফলে অলটারনেটিভ জায়গাগুলোতে কথা চালাইতে হবে।
সময়ে এই নিয়া স্পেস তৈরি হৈতে পারে।
২২. ৩০ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৮:৪৬
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: মনের কথা বলছেন।
ক্যাপিটালিস্ট সোসাইটির নজরদারি চ্যাপলিন দেখিয়েছিলেন 'মডার্ন টাইমস' ছবিতে। শ্রমিক চ্যাপলিন কাজের ফাঁকে বাথরুমে গিয়ে ধূমপান করছিল, সেখানে সিইও বিগ স্ক্রিন থেকে ধমকায় কাজে ফাঁকি দেবার জন্য। রুমে বসে সিইও কাজের অগ্রগতি দেখে, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয় চেয়ারে বসেই।
৩০ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:২৭

লেখক বলেছেন: চ্যাপলিন কীভাবে এত আগে ব্যাপারগুলা খুব স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিছেন সেইটা ভাবলে অবাক লাগে। ধন্যবাদ ফাহমিদ ভাই।
২৩. ৩০ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৮:৫০
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: ১৯৮৪ নিয়ে সিনেমা হয়েছে Click This Link)
খুঁজে পেতে দেখতে হবে।
মজার ব্যাপার হলো ছবিটা ১৯৮৪ সালেই মুক্তি পায়।
৩০ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:২৮

লেখক বলেছেন: দেখতে হবে তো। পাবো কি না কে জানে।

No comments:

Post a Comment