Thursday, February 26, 2009

ইনভার্টেড কমার গুরুতর ব্যবহার : 'বন্দুকযুদ্ধ', 'ক্রসফায়ার' 'এনকাউন্টার' 'বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড'

২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৮
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

বহুদিন পর ব্লগে সিরিয়াস বিষয় নিয়া আলোচনা হইতেছে। শুধু সিরিয়াস না, বিষয়টা স্পর্শকাতরও বটে। ব্লগাররা কীভাবে আলোচনা করতেছেন এইটা বিশেষভাবে খেয়াল করলাম। দেখে, পড়ে বেশ একটা ম্যাচিউরড ব্লগের আভাস পাওয়া গেল। আমিও কিছু কইতে চাইতেছিলাম। তাই এই পোস্টের অবতারণা।
আধুনিক রাষ্ট্রের উত্থান বিষয়ে মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট থিওরির সঙ্গে পরিচিত লোকমাত্রই জানেন, রাষ্ট্রের অস্ত্রধারী বাহিনীগুলোর কাজ রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য অস্ত্র ধারণ করা। রাষ্ট্রের স্বার্থ বলতে জনগণের জানমাল, রাষ্ট্রে ঐক্য ও সংহতি, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ, গণতন্ত্র ইত্যাদি মোরাল বা নীতির কথা বলা হইলেও মূল লক্ষ্য শাসকশ্রেণীর অর্থনৈতিক এস্টাবলিশমেন্টের নিরাপত্তা বিধান করা। ভ. ই. লেনিন রাষ্ট্র ও বিপ্লব গ্রন্থে দেখাইছেন কেমনে আদিম কৌমী ব্যবস্থা থেকে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় উত্থানের নানা প্রক্রিয়ায় সংগঠিত সশস্ত্রবাহিনীর ভূমিকা দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হইছে। এবং এই বাহিনীগুলো রাষ্ট্রের প্রধান খুঁটিতে পরিণত হইছে। নামে, উদ্দেশে এবং নীতিতে যাই বলা হউক সংগঠিত সশস্ত্রবাহিনীর মূল কাজ শাসক শ্রেণীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মিশেল ফুকো বলতেছেন, আধুনিক কালে রাষ্ট্রগুলা সশস্ত্র বাহিনীকে সামনাসামনি দেখাইতে চায় নাই অনেক সময়। তাই সশস্ত্র বাহিনী ও নাগরিকদের মধ্যে কিছু পর্দার ব্যবস্থা করছে। প্রয়োজন হইলে পর্দা সরাইছে। কিন্তু, প্রয়োজন না হইলে পর্দা রাখছে। আইন-শৃংখলা রক্ষা, সীমান্ত রক্ষা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার নানা বিভাগগুলা তৈরি হইছে। সশস্ত্র বাহিনী নাগরিক সেবামূলক কাজে অংশ নিছে। শুধু সংগঠিত সশস্ত্র বাহিনী নয়, রাষ্ট্রের বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, সংসদ, নির্বাচনী কাঠামো, আইন-বিচার বিভাগ ক্ষমতাসীন শ্রেণীর পক্ষেই কাজ করে। নাগরিকদের অধিকার সর্বত্র ততোটুকুই রক্ষিত হয় যতটুকু রক্ষিত হইলে শাসকশ্রেণীর স্বার্থে আঘাত না লাগে।
উন্নত বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিষয়গুলা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। নাগরিক, শাসকশ্রেণী, সেনাবাহিনী সেইখানে নির্বিবাদে নিজের নিজের জায়গা থিকা অ্যাকশন-রিঅ্যাকশন চালায়। অস্ত্রধারী বাহিনী পর্দার আড়াল থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু তারা পর্দার আড়াল কেন কোনো পর্দার বালাই রাখে না যখন তাদের জাতির শাসকশ্রেণীর স্বার্থে আউটসোর্সিং করে। অর্থাৎ ইরাক-আফগানিস্তানে যুদ্ধ করে। অর্থাৎ পুঁজিবাদী ব্যবস্থা উন্নত বুর্জোয়া রাষ্ট্রগুলাতে এমন এক স্থিতাবস্থা তৈয়ার করছে যে নিজের দেশে কোনো চ্যালেঞ্জ তাদের মোকাবিলা করতে হয় না। তারা অন্য দেশে নিজের দেশ ও অন্য দেশের শাসক শ্রেণীর পক্ষ থিকা অস্ত্র ধারনের জন্য প্রস্তুত থাকে।
এইখানেও সত্য পুরাটা বলা হইলো না। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নির্বাহী কাজেকর্মে যারা সামরিক বাহিনীর তদারকি ও হস্তক্ষেপে বিরক্ত বোধ করেন ও প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তাদেরকে রাষ্ট্রপরিচালনায় ও রাষ্ট্রীয় নানা ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে কেমনে হয় তা একটু খতিয়ে দেখতে হবে। পার্থক্য খুব বেশি না। গণতন্ত্রে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যা মেনে নেওয়া হইছে। আমাদের এখানে সেইটা অপ্রাতিষ্ঠানিকই রয়া গেছে। কিন্তু ঘটনা লেনিন ও ফুকোর ধারণা থেকে খুব বেশি আগাইছে বইলা আমার মনে হয় না। একথা ঠিক, রাষ্ট্র পরিচালনা, রাজনীতি ও সংগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বোঝাপড়া স্পষ্ট না বইলা অনুন্নত গণতন্ত্রে মাঝে মাঝে যত্রযত্র হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটে। রাজনীতি/সংসদের সঙ্গে সামরিক স্বার্থের সংঘাত লাগে। সেইটা যাতে না ঘটে, সেইজন্য বুর্জোয়া রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনীতিকদের সচেতন হইতে হবে। যিশুরটা যিশুকে সিজারেরটা সিজারকে দিয়ে স্থিতাবস্থা সৃষ্টি করতে হবে। সংসদ ও রাজনীতির সীমিত পরিসরে সিভিলিয়ানদের কাজ করতে দিতে হবে।
যাই হউক, প্রয়োজনের সময় অস্ত্র ধারণ করতে সংগঠিত সশস্ত্র বাহিনী সদা প্রস্তুত থাকবে বইলাই আশা করা হয়। যে কোনো পরিস্থিতিতে শাসক শ্রেণী, তার রাষ্ট্রকাঠামো ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বিশেষ করে কেউ যদি ঘোষণা দিয়া বা না দিয়া এইসব স্বার্থের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে এই ব্যবস্থার উৎখাত চায় তাইলে তাদের ধ্বংস করা সংগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর কাজ। সরাসরি বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা বা বিচারের মাধ্যমে আদালতের মাধ্যমে হত্যার আদেশ দেওয়া। মূল লক্ষ্য তাদের নির্মূল করা। সভ্যতা ও আধুনিকতা কিছু পর্দা চায়। বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড ও বিচারের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের মধ্যে এই সামান্য পার্থক্য ছাড়া আর কিছু নাই। হ্যাঁ আত্মপক্ষ সমর্থন, পক্ষত্যাগ, শোধরানোর সুযোগ আছে। কিন্তু প্র্রকৃত অর্থেই যে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ কইরা অস্ত্র ধারণ কইরা ব্যবস্থা উৎখাত চায়। সে আর নিজের পক্ষে এই রাষ্ট্রের আদালতে দাঁড়ায়া কী বলবে?
বাংলা ভাই, আবদুর রহমান, মোফাখখার, তপনের তো বুর্জোয়া গণাতন্ত্রিক রাষ্ট্রের আইন-কানুন মানার কথা না। ফলে, বিচারের মাধ্যমে, বা বিচার বাহির্ভুত হত্যা দুইই তাদের জন্য সমান। রাষ্ট্রও সেইভাবে দেখে বইলা মনে হয়।
পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো আমাদের রাষ্ট্রও পর্দা প্রথায় বিশ্বাসী হওনের বাসনা রাখে। আইন-আদালত, বিচার, মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন হইতে চায়। ফলে, এইখানকার সভ্য বুর্জোয়া রাষ্ট্রের পক্ষপাতি লোকেরা বিচারের অধিকারের প্রশ্ন তোলেন। রাষ্ট্রও কিছুটা আড়াল করতে চায়। মিডিয়া ইনভার্টেড কমা দিয়া খবর ছাপে। বিদেশী মানবাধিকার কর্মী ও কর্মকর্তারা মাঝে মাঝে তদারক করে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কিন্তু সময়টা সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের। এইসময় এইসব ক্ষেত্রে উদ্বেগের চাইতে সন্তোষ বেশী দেখা যায়। রাষ্ট্র বলে, তারা মারতেছে না। আসলে বন্দুকযুদ্ধ হইতেছে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে সন্ত্রাসী মারা যাইতেছে। অনেক ক্ষেত্রে অবিশ্বাসযোগ্য হইলেও এইটুকু পর্দাপ্রথা সভ্যরাষ্ট্র হওয়ার বাসনাকেই সামনে আনে। বিদ্রোহীর হত্যাকে জায়েজ করার জন্য তারা মাঝে মাঝে সন্ত্রাসীকেও মারে। রাষ্ট্রের মধ্যে, রাষ্ট্রের বিদেশী বন্ধুদের মধ্যে, তাদের দেশীয় পর্যবেক্ষকদের মধ্যে যেটুকু লাজলজ্জা দেখা যায় সেটুকু কিন্তু অনেক নাগরিকের মধ্যে দেখা যায় না। কথা আছে, নাগরিকরা যেমন, তারা তেমনই শাসক পায় বা ব্যবস্থা তেমনই হয়।
বিদ্রোহী আর সন্ত্রাসী এক নয়। সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে না। রাষ্ট্র উৎখাত করতে চায় না। ক্ষেত্র বিশেষে ক্ষমতাধরদের সমর্থন নিয়া তারা জনগণের বিরুদ্ধেই অস্ত্রধারণ করে। ক্ষমতাসীনদের অপ্রাতিষ্ঠানিক রক্ষক হিসাবেও কাজ করে। আইন-রাষ্ট্র-নাগরিকের মধ্যে ফাঁকফোকরের মধ্যে বইসা কাজ করে। ফলে, এদের দ্বারা রাষ্ট্র সরাসরি চ্যালেঞ্জ বোধ করে না। তারপরও যখন এরাও বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় তখনও সরকারের সভ্য রাষ্ট্রগঠনে পর্দাপ্রথা চালুর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
কিন্তু সাধারণ নাগরিকরা এইগুলা বুঝেন না। কালা ফারুক মরলে তারা উৎসব পালন করে, অভিযানের পক্ষে মিছিল করে। কেহই বলে না, কালা ফারুকের বিচার পাওয়ার অধিকার আছিল। জনগণের এই সমর্থন এতদিন ধইরা বিচারবাহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডে শক্তি যোগাইছে আগামীতেও যোগাইবে। জনগণ আসলে, কালা ফারুক, বাংলা ভাই আর দাদা তপনের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। রাষ্ট্র পারে। আর বুদ্ধিজীবীরা পারে।
রাষ্ট্র পাইরা কী করতেছে সেইটা আমরা দেখতেছি। আর বুদ্ধিজীবীরা কী করতেছে সেইটা দেখার বিষয়। কালা ফারুক মরলে বুদ্ধিজীবীরা চুপ থাকে। কিন্তু বইপড়া মোফাখখার চৌধুরী মরলে তাদের বুকে চিনচিন ব্যথা করে। ডা. মিজান মরলে নীতিজ্ঞান উসকে ওঠে। প্রথম দিন কালা ফারুক মরার সময় যদি তাদের মনে ব্যথা উঠতো তাইলে আর এই ব্যথা পর্যন্ত হয়তো তাদের আসতে হইতো না। একটা পর্দা-পুসিদার মধ্যেই সবকিছু হইতে পারতো।
বুর্জোয়া রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে যে নৃশংতাটুকু আছে নাগরিকরা কোনো না কোনো ভাবে সেই নৃশংসতাকে ন্যায্য মনে করেন বইলাই তা টিকে আছে। যদি ন্যায্য মনে না করতো তাইলে শাসকশ্রেণীর লগে তারা আলোচনা করতো, দাবি জানাইতো আন্দোলন করতো।
আমেরিকা থেকে, ভারত বাংলাদেশ পর্যন্ত বিচার বাহির্ভুত হত্যা, গ্রেফতারের কোনো ব্যত্যয় তো ঘটতে দেখি না।
সমস্যা অন্য জায়গায়, বুর্জোয়া রাষ্ট্রব্যবস্থা যখন পর্দার আড়াল না রাইখা এই ধরনের কাজ চালায় তখন কাউন্টার-অ্যাকশন হিসাবে কোনো নিয়ম-নীতির আড়াল ছাড়াই বিদ্রোহীদের হত্যাকাণ্ড ঘটানোর বৈধতা দেয়। ফলে, এক ধরনের সীমিত যুদ্ধাবস্থা জারি থাকে। যুদ্ধাবস্থা জারি থাকা কোনো কাজের কথা নয়। ফলে, স্থিতিশীল হইতে চাওয়া যেকোনো রাষ্ট্রের উচিত প্রয়োজনীয় পর্দাপুসিদার ব্যবস্থা করা।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৬৮ টি মন্তব্য
* ৫৭৮ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১৩ জনের ভাল লেগেছে, ১১ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28825039 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: হুমমমম........
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

লেখক বলেছেন: কী?
২. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
comment by: কাপালিক বলেছেন: সচলায়তন ছাড়া আর কোন "ম্যাচিউরড ব্লগ" আছে নাকি দুনিয়ায়??
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

লেখক বলেছেন: না।
৩. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩
comment by: বিগব্যাং বলেছেন: উদ্দেশ্যমূলক লেখা...
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

লেখক বলেছেন: মানুষজনরে একটু বুঝায়া বলেন।
৪. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫
comment by: শরিফ রনি বলেছেন: লেখাটা সিরিয়াস, জটিল আর কঠিন হইছে। বাপরে দাঁত নড়তাছে..
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

লেখক বলেছেন: এত সহজ কইরা লেখলাম!
৫. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
comment by: কাপালিক বলেছেন: বাকী সব কি হইলো জানি না, কিন্তু কালা ফারুক মরলে আফসোস নাই। যত বেশী মারন যায়, তত মঙ্গল..এর জন্য যদি আপনের "রাষ্ট্রতন্ত্র" গোল্লায় যায়, কোন অসুবিধা দেখি না।
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

লেখক বলেছেন: আমার লেখার মোরালটাই মাইরা দিলেন। লেখাটা পড়ার অনুরোধ করছি।
৬. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
comment by: কিউপিড৯৫ বলেছেন: চাদাবাজি আর রাজস্ব আদায়ের পার্থক্য কি এইটা একটু ব্যাখ্যা কইরা যুদি বুঝাইয়া দেন তাইলে খুব ভাল হয় ,তাই না

একটু থিওরি মিশান লাগবো আরকি
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

লেখক বলেছেন: ভাল পয়েন্টে ধরছেন।
৭. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
comment by: শিবলী নোমান বলেছেন: 'বিদ্রোহী আর সন্ত্রাসী এক নয়। সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে না। রাষ্ট্র উৎখাত করতে চায় না। ক্ষেত্র বিশেষে ক্ষমতাধরদের সমর্থন নিয়া তারা জনগণের বিরুদ্ধেই অস্ত্রধারণ করে। ক্ষমতাসীনদের অপ্রাতিষ্ঠানিক রক্ষক হিসাবেও কাজ করে। আইন-রাষ্ট্র-নাগরিকের মধ্যে ফাঁকফোকরের মধ্যে বইসা কাজ করে। ফলে, এদের দ্বারা রাষ্ট্র সরাসরি চ্যালেঞ্জ বোধ করে না। তারপরও যখন এরাও বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় তখনও সরকারের সভ্য রাষ্ট্রগঠনে পর্দাপ্রথা চালুর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
কিন্তু সাধারণ নাগরিকরা এইগুলা বুঝেন না। কালা ফারুক মরলে তারা উৎসব পালন করে, অভিযানের পক্ষে মিছিল করে। কেহই বলে না, কালা ফারুকের বিচার পাওয়ার অধিকার আছিল। জনগণের এই সমর্থন এতদিন ধইরা বিচারবাহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডে শক্তি যোগাইছে আগামীতেও যোগাইবে। জনগণ আসলে, কালা ফারুক, বাংলা ভাই আর দাদা তপনের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। রাষ্ট্র পারে। আর বুদ্ধিজীবীরা পারে।...কালা ফারুক মরলে বুদ্ধিজীবীরা চুপ থাকে। কিন্তু বইপড়া মোফাখখার চৌধুরী মরলে তাদের বুকে চিনচিন ব্যথা করে। ডা. মিজান মরলে নীতিজ্ঞান উসকে ওঠে। প্রথম দিন কালা ফারুক মরার সময় যদি তাদের মনে ব্যথা উঠতো তাইলে আর এই ব্যথা পর্যন্ত হয়তো তাদের আসতে হইতো না। একটা পর্দা-পুসিদার মধ্যেই সবকিছু হইতে পারতো।'

দারুন।
প্রশ্ন হইতে পারে, বুদ্ধিজীবীরা তো সেই পর্দাটাই চাইতেছেন। তাহলে কালা ফারুকের ইনভার্টেড কমার মৃত্যু তাগোর সেই পর্দা আরো শক্তিশালী করে কি না? বিশেষতঃ যখন 'সাধারণ নাগরিকরা এইগুলা বুঝেন না'। তাইলে নাগরিকরা যাতে কালা ফারুকের মতোন সন্ত্রাসীর মৃত্যুতে আহ্লাদিত হওনের সুযোগ পায়- সেই প্রয়াসটাই কি আমগো বুদ্ধজীবীরা তৈরি করে না?
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

লেখক বলেছেন: অবশ্যই।
এইখানেই তো আমাদের আর্গুমেন্ট।
৮. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: কিচ্ছু না।
পড়ছিলাম।
প্রথম 'যোগ টা দিলাম।

এইবার ঠিক করছি যে ঠিক কোন বিষয়গুলোতে মন্তব্য করা উচিত।
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস। মজার ব্যাপার হইলো প্রথম পাঁচটা মাইনাস না পড়াদের দল থিকা আসছে। ওরা ঠিক কইরা নিছিলো আমার পরের পোস্টে মাইনাস দিবেই দিবে। মাইনাসগুলা আগের পোস্টের প্রতিক্রিয়া হইতে পারে।

আপনার কথা শুনতে চাই।
৯. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
comment by: কাপালিক বলেছেন: লেখাটা ভালোমতই পড়ছি...কিন্তু যখন কালাফারুকগো ক্রসফায়ারে মারলে ন্যায়বিচারের লাইগা আপনেগো মায়াকান্না দেখি, তখন আপনেগোও কেনো ক্রসফায়ারে দেয় না, সেইটা চিন্তা করি।

ক্ষমতার উৎস হইলো টাকা আর বন্দুক। বন্দুক যদি থাকে, ক্ষমতাও থাকবো, এইটাই স্বাভাবিক। যুগ যুগ ধইরা সেনাবাহিনী এই কারনেই রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করছে। কিন্তু যত যাই করুক, ক্রসফায়ারগুলা কইরা তাগো অপকর্মের কিছুটা হইলেও প্রায়শ্চিত্ত করছে বইলা আমি মনে করি।
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

লেখক বলেছেন: ব্যাখ্যা না দিলে বুঝবো কেমনে?
ব্যাখ্যা দিলেন, বইলা এখন আপনার অবস্থান বুঝলাম।

কালা ফারুকের বিচার পাওয়ার অধিকার সমর্থন না করলে তপন, মিজানদের বিচার পাওয়ার অধিকার আপনের থাকে না। বিশেষত এই রাষ্ট্রে। অবশ্য সেটা আপনি চান কি না সেইটা পরিষ্কার না। কিন্তু অনুরোধ কথা বলার অপরাধে ক্রসফায়ারে দিয়েন না আমারে। আপনার কাছে প্রাণভিক্ষা চায়া রাখলাম।

১০. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
comment by: ইউনুস খান বলেছেন: - দিয়াতো দেখি ফাটাইয়া দিচ্ছে। প্রথম আলো ব্লগের শেষ খবর কি কিছু জানেন?

আমার ব্লগে ভূত দেখার নেমন্তন রইলো।

Click This Link
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:০২

লেখক বলেছেন: মাইনাস আর কতো দিবে?
দিক না।

আমি তো ভূত দেখতে আমারব্লগ ডটকমে চইলা গেছিলাম।
১১. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:০০
comment by: শিবলী নোমান বলেছেন: 'লেখাটা ভালোমতই পড়ছি...কিন্তু যখন কালাফারুকগো ক্রসফায়ারে মারলে ন্যায়বিচারের লাইগা আপনেগো মায়াকান্না দেখি, তখন আপনেগোও কেনো ক্রসফায়ারে দেয় না, সেইটা চিন্তা করি।'

'তাগো অপকর্মের প্রায়শ্চিত্ত' হইলো, কালা ফারুক না, এইরকম মানুষের জন্যও একই কামনা ও চিন্তা করা। @ কাপালিক
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:০৮

লেখক বলেছেন: কারো ক্রসফায়ারই আশা করা ঠিক নয়।
১২. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:০২
comment by: কানা বাবা বলেছেন:
অ্যান্টেনার ম্যালা উর্ফে দিয়া গ্যাচেগা, বুজবার পারি লয়...
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:০৮

লেখক বলেছেন: গুড পজিশন।
১৩. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:০৪
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: দীর্ঘ অথচ প্রয়োজনীয় ভূমিকার পর পোস্টে 'ক্রসফায়ার' প্রসঙ্গ এসেছে এভাবে- 'বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড ও বিচারের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের মধ্যে এই সামান্য পার্থক্য ছাড়া আর কিছু নাই'। 'এই সামান্য পার্থক্য'- এর ব্যাখ্যা তার আগের লাইনেই আছে, 'সভ্যতা ও আধুনিকতা কিছু পর্দা চায়।' সামান্য পার্থক্য=পর্দা= ' সরাসরি বন্দুকযুদ্ধে হত্যা' না করে 'বিচারের মাধ্যমে আদালতের মাধ্যমে হত্যার আদেশ দেওয়া'।
---- মনে হচ্ছে পুরো বিষয়টিকে নিজের মতো করে মেলানোর জন্য এতো সহজে সমাধান দেয়া হচ্ছে। সরকারই সবসময় বিচার বিভাগের মাধ্যমে নিজেদের আদেশকে 'রায়' এ পরিনত করে- এটা কি কোনো 'সিরিয়াস' ভাবনার কথা হলো?

-----------------------------------------

তাছাড়া 'ক্রসফায়ার' এর ব্যাপারে আপনি কথা বলছেন রাষ্ট্রের পরামর্শদাতার দৃষ্টিভংগী থেকে। রাষ্ট্রের কি প্রয়োজন সে কথা খুজছেন। শেষে বলছেন 'স্থিতিশীল হইতে চাওয়া যেকোনো রাষ্ট্রের উচিত প্রয়োজনীয় পর্দাপুসিদার ব্যবস্থা করা।'
অর্থাৎ বিচারব্যাবস্থার পর্দার আড়াল থেকে 'নির্বাহী হত্যাকান্ড জায়েজ করিয়ে নেয়া।

ধন্যবাদ।
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:১২

লেখক বলেছেন: আপনে বিতর্কটারে আমাদের পপুলার বিতর্কের জায়গায় আনতে চাচ্ছেন কেন?

সরকার নিজের আদেশকে রায়ে পরিণত করে, এইটা তো স্বাভাবিক ঘটনা।
তারচেয়েও বড় ঘটনা আছে।
সেইগুলা হইলো, কিছু লোক মিলে আইন তৈরি করে, কিছু লোক মিলে বিচারক নিয়োগ দেয়, বিচারকরা সেই আইন অনুসারে রায় দেন। যারা আইন তৈরি করে তারা সবসময়ই শাসকশ্রেণীর পক্ষের লোক।
আইনকে মানবোত্তর জায়গা থিকা বিচার করলে তো চলবে না ব্রাদার।

পরামর্শ? আসলেই?
১৪. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:০৪
comment by: আরিফ থেকে আনা বলেছেন: আপনেতো ভাই অত্যাধিক জ্ঞানী লুক ।
২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:১৩

লেখক বলেছেন: আপনিও।
১৫. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:১০
comment by: কাপালিক বলেছেন: "'তাগো অপকর্মের প্রায়শ্চিত্ত' হইলো, কালা ফারুক না, এইরকম মানুষের জন্যও একই কামনা ও চিন্তা করা। @ কাপালিক"

- বুঝলাম না....@শিবলী



রাষ্ট্রে যদি সত্যিকারের অপরাধের বিচার পাওয়া যেত, তাহলে অবশ্যই কালাফারুকদের বিচার চাইতাম। কিন্তু সেটা হয়না বলেই "ক্রসফায়ার সমর্থন করি"। বিকল্প উপায়ে হলেও তাদের বিচার তো হয়েছে! শুকরিয়া।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:০৭

লেখক বলেছেন: বিকল্প বিচার কথাটা বেশ ইন্টারেস্টিং। হাজার হলেও বিচার কথাটা আছে। আপনারে জিগাই বিচার কথাটার স্পিরিট টা কী?
এইটা দিয়া আসলে কী বুঝানো হয়?
১৬. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:১৩
comment by: শিবলী নোমান বলেছেন: 'কারো ক্রসফায়ারই আশা করা ঠিক নয়।'

নীতির কথা। কিন্তু কালা ফারুকদের রাষ্ট্রযন্ত্র কাজে লাগিয়ে যখন প্রাণপণে নিজে ভোলা ও অন্যদের ভোলানোর জন্য ক্রসফায়ারের আগমন ঘটে, তখন সেইটারই অনেক বাইপ্রোডাক্টের একটা যারা কালা ফারুক না তাদেরও ক্রসফায়ারের চিন্তা করা। আমি এইটাই বুঝাইতে চাইছি। @ লেখক।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮

লেখক বলেছেন: বুঝতে পারলাম। আপনাকে ধন্যবাদ শিবলী।
১৭. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:২৯
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন: মিসলিডিঙ ।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:১০

লেখক বলেছেন: একটু বুঝায়া বলেন।
১৮. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৩১
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: হুদা কামে প্যাচাইয়া লিখছেন।তারপরেও বক্তব্য ঠিক মনে হইছে।প্লাস দিলাম।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:১২

লেখক বলেছেন: আপনাদের মতো লিখতে পারি না।

ধন্যবাদ।
১৯. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৩৬
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: নাহ! 'পপুলার বিতর্কে' আমি অংশ নেই না। তাছাড়া পপুলার বিতর্কে অংশ নিতে চাইলে আপনার পাতায় আসতাম না। ওজন্য আরও অনেকের পাতা আছে।
------------------------

'সরকার নিজের আদশকে রায়ে পরিনত করে', এরকম ঘটনা ব্যাতিক্রম হতে পারে কিন্তু উদাহরণ না।

তারচেয়েও বড়ো ঘটনা যেটা (আপনার মতে) সেটা অনিবার্য। যে রাষ্ট্র বুর্জোয়া নয় সেখানে কি 'কিছু লোক মিলে আইন তৈরি করে, কিছু লোক মিলে বিচারক নিয়োগ দেয়, বিচারকরা সেই আইন অনুসারে রায় দেন।' - এই প্রক্রিয়ার বিকল্প আছে? না থাকা সম্ভব? সম্ভব না।

----------------------------

যদি মনে হয় যে আপনার লেখা সরকারের প্রতি পরামর্শের মতো হয় নি তাহলে সম্ভবত এর ব্যাখ্যাটা অনেকট এরকম হতে পারে।---

আপনি ঘটনাপ্রবাহের অনেক বাইরে নিরিবিলি জায়গায় নিজের মনমগজ দাড় করিয়ে রেখে কথা বলছেন। লেখার সময় 'বুর্জোয়া রাষ্ট্রের' উপস্থিতি মেনে নিয়ে উদ্ধিগ্ন হচ্ছেন যে, যদি এই রাষ্ট্র 'পর্দাপুসিদার' আড়াল না নিয়াই হত্যাকান্ড চালায় তবে তা 'বিদ্রোহী'দের হত্যাকান্ড ঘটাবার 'নৈতিক বৈধতা' দেয়। এই নৈতিক বৈধতার সুযোগ তাদের দেয়া ঠিক বলে আপনি মনে করেন না।

------------------------------
আসলে এভাবে বলার মানে হলো প্রথমত 'ক্রসফায়ার' নিয়ে আপনার এই লেখাটা যে দৃষ্টিকোনে দাড়িয়ে আছে সেই জায়গাটা আমার ভালো লাগেনি। দ্বিতীয়ত, লেখাটায় 'ক্রসফায়ার' কেবল 'বিদ্রোহী'দের বিষয়ে মনোযোগী। তৃতীয়ত, লেখাটা 'ক্রসফায়ার' বিষয়ের কার্যকারন নিয়ে গভীরতর হতে চাইছে বলে আমার মনে হয়েছে। চতুর্থত, 'সন্ত্রাসী' ও 'বিদ্রোহী' দের 'ক্রসফায়ার' এর মাঝে লেখাটিতে গুনগত ফারাক স্বীকার করা হয়নি- যা আমার ভালো লেগেছে।
--------------------------------
আজ যাই, কাজ আছে। তবে 'ক্রসফায়ার' নিয়ে লেখার সাথে আমার দৃষ্টিভংগীর তফাত অনেক। কাল কথা হবে। যদিও আমি জানি 'আইন মানবোত্তর নয়'।
ধন্যবাদ।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:২১

লেখক বলেছেন: আরজু,
একটা পয়েন্ট হয়তো মানতে চাইছেন না। সেইটা আপনাকে আবার জানাই। আইন মানুষ তৈরি করে বটে এবং কারো না কারো স্বার্থ দেখাশুনার জন্যই সেটা করে। মানুষ বদল হইলে স্বার্থ বদল ঘটতে পারে। এইখানেই আসে শ্রেণী, বর্গ ও গোত্রের প্রসঙ্গ। আইন প্রণেতাদের শ্রেণী চরিত্র বদলাইলে আইনের লক্ষ্যও বদলাইতে পারে।
নিরিবিলি কথাটা ভাল। কিন্তু নিরিবিলি অবস্থানে দাঁড়িয়ে ক্রসফায়ার, সন্ত্রাসী, বিদ্রোহীদের নিয়ে আমি যে ইঙ্গিতগুলো করেছি, আপনি সেগুলো সরলার্থে পাঠ করেছেন। ফলে, আপনার ও আমার মধ্যে একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হইছে বইলা মনে হয়।
এই নিয়ে আপনি লিখতে হয়তো আপনার অবস্থানটা জানা যাবে। সে অপেক্ষায় থাকলাম।
২০. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৪৫
comment by: কিরিটি রায় বলেছেন: কিন্তু প্র্রকৃত অর্থেই যে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ কইরা অস্ত্র ধারণ কইরা ব্যবস্থা উৎখাত চায়। সে আর নিজের পক্ষে এই রাষ্ট্রের আদালতে দাঁড়ায়া কী বলবে?
বাংলা ভাই, আবদুর রহমান, মোফাখখার, তপনের তো বুর্জোয়া গণাতন্ত্রিক রাষ্ট্রের আইন-কানুন মানার কথা না। ফলে, বিচারের মাধ্যমে, বা বিচার বাহির্ভুত হত্যা দুইই তাদের জন্য সমান


এবং তাদের একটাই পথ। হও বিজয়ী হও, অথবা মৃত্যুকে বরণ করে নাও। বিজয়ী হলেই পূজ্য.... নেপালে মাওবাদীরা যেখানে...
পরাজিতরা .. সন্ত্রাসী, বিদ্রোহী.... অসমীয় স্বাধীনতাকামীরা..

বিশ্লেষন চমৎকার। তবে ভাইডি দুঃখ একখানই.... সাম্রাজ্যবাদের কোলে বইসে, চর্ব চোষ্য লেহ্য পিয়ে.... এমন লেখনি কেমন যেন ভরপেট খাওয়ার পর ধইন্যা ভাজা চাবানোর মতো লাগে.... এই আর কি।
যদি সত্য ভাবে এমন করে কেউ বলতো...
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:২৪

লেখক বলেছেন: হ।
আফসোস!
২১. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:০০
comment by: আমি বাঙ্গালি বলেছেন: আপনার পোস্টে একাধিক বিষয় আছে, ডালপালা আছে। আমি শুধু "জনগণ আসলে, কালা ফারুক, বাংলা ভাই আর দাদা তপনের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। রাষ্ট্র পারে। আর বুদ্ধিজীবীরা পারে"- এই বক্তব্যটি নিয়ে একটা ছোট মন্তব্য করতে চাইছি।

পার্থক্যটা গড়ে দিতে দাদা তপনরা কেন পারে না? তারা যদি জনগণের রাজনীতিই করে তাহলে জনগণ কেন তাদের ভুল বুঝে? দাদা তপনদের নিজেদের যে কাজটা করার কথা সেটা বুদ্ধিজীবীরা কেন করে দেবে? সমস্যাটা আসলে বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে না খুঁজে তারা নিজেদের মধ্যে খুঁজলে ভালো করবে। আমরা সবসময় নিজেদের দায় অন্যের উপর চাপিয়ে নিজের দোষ আড়াল করতে ভালোবাসি!

আরেকটা উটকো মন্তব্য : দাদা তপনরা তো মারি বা মরির রাজনীতি করে। হয় নিজে কাউকে মারবে নয়তো নিজেই শেষ হবে। এতোদিন তারা শ্রেণীশত্রু আখ্যা দিয়ে অন্যদের মেরে এসেছে। এবার নিজেরাই নিজেদের তৈরি করা ফাঁদে পড়েছে। খুব খারাপ শোনাবে কি বিষয়টি এভাবে ভাবলে??
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৩০

লেখক বলেছেন: দাদা তপনরা কেন বুঝাইতে পারে না, সেইটা তাদের আর তাদের রাজনীতির সমস্যা। নেপালের উদাহরণ আমাদের সামনেই আছে।

আপনার কথা খুব খারাপ শোনাইলো না।
২২. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৩৬
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অনেকদিন পর এই ধরনের আলোচনা পাইলাম। বল প্রয়োগের ক্ষমতা, বৈধতা এবং সংজ্ঞা নিয়ে ডায়লগ খুবই দরকারী বলে মনে করি। কয়েকদিন আগে আমার ক্লাস নাইন পড়ুয়া ভাগ্নেকে বিষয়টা বুঝাচ্ছিলাম, সে যখন রাষ্ট্রিয় সন্ত্রাস এবং বিচার ব্যবস্থারে একটা মানুষোত্তর মানে দিয়ে কথা বলছিল, বিপরীতে ঠিক অন্যটারে ''সন্ত্রাস''। পাক্ষিক চিন্তার সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক বিশেষ সংখ্যাটি কি আপনি পেয়েছেন? লেখা ভাল লাগল। তবে কথা হবে, আল্লাহ যদি তওফিক দেন।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৩২

লেখক বলেছেন: রিফাত ভাই, সন্ত্রাসবাদ সংখ্যা পেয়েছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আল্লায় দিলে কথা নিশ্চয়ই হবে।
২৩. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৪০
comment by: |জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন:
রাষ্ট্রকাঠামো যদি তার বাহিনীরে তার ক্ষমতাকাঠামো রক্ষার লাইগা ব্যাবহার করে
তাইলে পর্দাপুশিদা দিয়াই হইবো কি, না দিয়াই হইবো কি?

বিদ্রোহীগো কতা থাক, কালা ফারুকগো এই রাষ্ট্রই তৈয়ার করে, কইরা ফোঁড়া চাপা দেওনের লাইগা তারাই কাটে, এই আর কি। নাইলে তো তার কাঠামো ভুল এইটাই বোঝা যায়|

লেইখা যান। দ্বিমত থাকলেও ভালাই লাগতাছে|
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৭

লেখক বলেছেন: ঠিক্ কইছেন।
রাষ্ট্র যে অসুখগুলাতে ভোগে তার অধিকাংশ তারই তৈয়ার করা। এই অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কইরা যে নিজেকে শক্তিশালী করে, নিজের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করে। আবার অসুখ বৃহৎ হইলে নতুন ছাঁচে নিজেকে পুনর্গঠন করে।
ধন্যবাদ।
২৪. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:০০
comment by: মেহরাব বলেছেন: বুর্জোয়া বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন? বাংলাদেশে বুর্জোয়া আসলো কোত্থেকে? বুর্জোয়ারা কখনো সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়? আপনার মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট থিওরি কি বলে? কাহিনী আসলে অন্যখানে।
দাদা তপন বা যারা বিপ্লব বা বিদ্রোহের কথা বলছে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের হুমকি আবার রাষ্ট্রযন্ত্রও তাদের জন্য হুমকি সরূপ। এরা একে অপরের উৎখাত চায়। আর তথাকথিত বুদ্ধিজীবি বলতে যা বলেন তারাতো রাষ্ট্রযন্ত্রেরই মদদপুষ্ট; তারাতো রাষ্ট্র ক্যামনে টিকে থাকবে সেইটাই চায়। আমরা বুদ্ধিজীবি বলতে যাদের চিনি ও জানি এরা সবাই এই রাষ্ট্রযন্ত্রেরই প‌্যারাসাইট। এরা সব সময় ঘরে বসে রাষ্ট্রযন্ত্র রক্ষাকারী কোন ব্যক্তির কি করা উচিৎ এসব বিষয়ে প্রেসক্রিপশন দিয়ে থাকে। আর কমিউনিটিতে লেনিন হাও মাও খাও আর ফুকো তত্ত্ব হাজির করে। ( কিরিটি রায়ের কথা টা আবার বলি: ভাইডি দুঃখ একখানই.... সাম্রাজ্যবাদের কোলে বইসে, চর্ব চোষ্য লেহ্য পিয়ে.... এমন লেখনি কেমন যেন ভরপেট খাওয়ার পর ধইন্যা ভাজা চাবানোর মতো লাগে.... এই আর কি।) তপনরা বা তপনের আত্মা যদি কখনও এই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দিতে পারে তাহলে সেই প‌্যারাসাইটরাও তপনদের বানানো ভু-খন্ডের বুদ্ধিজীবি হিসাবে বেঁচে থাকার প্রয়াস চালাতে পারে। সেক্ষেত্রে তপনরা এসুযোগ দেবে কিনা সেটা তপনের আত্মার কাছে প্রশ্ন করে দেখা যেতে পারে।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৯

লেখক বলেছেন: আত্মা বলতে আপনি কী বুঝাইতেছেন?
২৫. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:০০
comment by: অ্যামাটার বলেছেন: অতশত জ্ঞিয়ানীর কতা বুজি না,
সোজা কতা হইলো, করসফায়ার জিন্দাবাদ!
যুগ যুগ জিয়ো...!!!


কুইক ময়লা সাফা কর্তে এর জুরি নাই...আর আইনের জিলপির প্যাঁচে ঢুক্লে কুন না কুন ফুডা দিয়া আবর্জনা বাইর হইয়া যায়...
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৪১

লেখক বলেছেন: তাইলে আইন-আদালত উঠায়া দেওয়ার প্রস্তাব দেন না কেন?
২৬. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:০৯
comment by: মেহরাব বলেছেন: বুর্জোয়া বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন? বাংলাদেশে বুর্জোয়া আসলো কোত্থেকে? বুর্জোয়ারা কখনো সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়? আপনার মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট থিওরি কি বলে? কাহিনী আসলে অন্যখানে।
দাদা তপন বা যারা বিপ্লব বা বিদ্রোহের কথা বলছে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের হুমকি আবার রাষ্ট্রযন্ত্রও তাদের জন্য হুমকি সরূপ। এরা একে অপরের উৎখাত চায়। আর তথাকথিত বুদ্ধিজীবি বলতে যা বলেন তারাতো রাষ্ট্রযন্ত্রেরই মদদপুষ্ট; তারাতো রাষ্ট্র ক্যামনে টিকে থাকবে সেইটাই চায়। আমরা বুদ্ধিজীবি বলতে যাদের চিনি ও জানি এরা সবাই এই রাষ্ট্রযন্ত্রেরই প‌্যারাসাইট। এরা সব সময় ঘরে বসে রাষ্ট্রযন্ত্র রক্ষাকারী কোন ব্যক্তির কি করা উচিৎ এসব বিষয়ে প্রেসক্রিপশন দিয়ে থাকে। আর কমিউনিটিতে লেনিন হাও মাও খাও আর ফুকো তত্ত্ব হাজির করে। ( কিরিটি রায়ের কথা টা আবার বলি: ভাইডি দুঃখ একখানই.... সাম্রাজ্যবাদের কোলে বইসে, চর্ব চোষ্য লেহ্য পিয়ে.... এমন লেখনি কেমন যেন ভরপেট খাওয়ার পর ধইন্যা ভাজা চাবানোর মতো লাগে.... এই আর কি।) তপনরা বা তপনের আত্মা যদি কখনও এই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দিতে পারে তাহলে সেই প‌্যারাসাইটরাও তপনদের বানানো ভু-খন্ডের বুদ্ধিজীবি হিসাবে বেঁচে থাকার প্রয়াস চালাতে পারে। সেক্ষেত্রে তপনরা এসুযোগ দেবে কিনা সেটা তপনের আত্মার কাছে প্রশ্ন করে দেখা যেতে পারে।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৪২

লেখক বলেছেন: আত্মা বলতে কী বুঝাইতে চাইতেছেন?
২৭. ২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:১৪
comment by: সোনার বাংলা বলেছেন:

রাষ্ট্র পাইরা কী করতেছে সেইটা আমরা দেখতেছি। আর বুদ্ধিজীবীরা কী করতেছে সেইটা দেখার বিষয়। কালা ফারুক মরলে বুদ্ধিজীবীরা চুপ থাকে। কিন্তু বইপড়া মোফাখখার চৌধুরী মরলে তাদের বুকে চিনচিন ব্যথা করে। ডা. মিজান মরলে নীতিজ্ঞান উসকে ওঠে। প্রথম দিন কালা ফারুক মরার সময় যদি তাদের মনে ব্যথা উঠতো তাইলে আর এই ব্যথা পর্যন্ত হয়তো তাদের আসতে হইতো না। একটা পর্দা-পুসিদার মধ্যেই সবকিছু হইতে পারতো।

+
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩

লেখক বলেছেন: হ।
২৮. ২৯ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৪০
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: কথা হইল,সন্ত্রাসীরা জনতারে মারে,তাদের উপর ডাকাতি করে,সম্পদ নষ্ট করে,আর তপন বা মিজান রাও একই কাজ করে তবে তারা কিসু বইপত্র পড়সে আর একটা আদর্শের কথা কয়,তা সেইটা জর্জ বুশও কয়। কথা হইল,তপন বা মিজানরে ক্যান সন্ত্রাসী না কয়া আপনে বিদ্রোহী কইবেন?
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৯

লেখক বলেছেন: রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কইরা রাষ্ট্রকাঠামে চেঞ্জ করতে চায় বইলা তাদের বিদ্রোহী কইতেছি। জর্জ বুশ থেকে ছমিরুদ্দি পর্যন্ত যদি যাকে তাকে সন্ত্র্রাসী ঘোষণা দিয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপায়া পড়ে তাইলে তো দুনিয়া একাকার হয়া যাবে।
কোনটা বিদ্রোহ, কোনটা সন্ত্রাস, কোনটা বিপ্লব আর কোনটা মুক্তিযুদ্ধ এইটা দিয়া জর্জ বুশের দরকার না থাকতে পারে। কিন্তু আমরা যারা স্পষ্টভাবে ব্যাপার বুঝতে চাই তাদের জন্য এইগুলা আলাদা করার দরকার আছে।
রাষ্ট্রের কাছে সন্ত্রাসের তুলনায় বিদ্রোহ কিন্তু গুরুতর অপরাধ।
২৯. ২৯ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:০৭
comment by: মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আপনি বলেছেন, 'প্রকৃত অর্থেই যে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ কইরা অস্ত্র ধারণ কইরা ব্যবস্থা উৎখাত চায়, সে আর নিজের পক্ষে এই রাষ্ট্রের আদালতে দাঁড়ায়া কী বলবে? বাংলা ভাই, আবদুর রহমান, মোফাখখার, তপনের তো বুর্জোয়া গণতন্ত্রিক রাষ্ট্রের আইন-কানুন মানার কথা না। ফলে, বিচারের মাধ্যমে, বা বিচার বাহির্ভুত হত্যা দুইই তাদের জন্য সমান। রাষ্ট্রও সেইভাবে দেখে বইলা মনে হয়।'

বিচারের মাধ্যমে হত্যা, বা বিচার বাহির্ভূত হত্যা- বিষয় দু'টো একটি রাষ্ট্রের জন্য কখনোই এক নয়। রাষ্ট্রযন্ত্র সন্ত্রাসী আচরনে অভ্যস্ত হলে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা তৈরী হয়। (ব্লগে যখন যুক্তি ফুরিয়ে যায়, তখন মন্তব্যের ঘরে খিস্তি জমে; রাষ্ট্র খিস্তি করেনা, খুন করে)। আর খুন করে সবাইকে ভিলেন বানানো যায়না; বা চিরতরে নাম মুছে দেয়া যায়না। ফলে রাষ্ট্র আরো বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। (উদাহরন- চলেশ রিছিল (নামটি ঠিক আছে?), সিরাজ সিকদার, বঙ্গবন্ধু, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ)। রাষ্ট্রকে রাষ্ট্র-স্বার্থেই বুদ্ধিমান আচরন করতে হায়। (আরেকটি বিষয়ে বলা হয়ত অপ্রাসঙ্গিক হবেনা যে, সাজানো বিচার আর বিনা বিচার কথা দু'টোর মধ্যে আসলে কোন পার্থক্য নেই।)

'বুর্জোয়া রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে যে নৃশংতাটুকু আছে নাগরিকরা কোনো না কোনো ভাবে সেই নৃশংসতাকে ন্যায্য মনে করেন বইলাই তা টিকে আছে'-- কথাটি খাঁটি। শুধু 'বুর্জোয়া রাষ্ট্র' নয়, যেকোন রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্যই কথাটি সত্য।

জনগণ না বুঝুক, রাষ্ট্র আর বুদ্ধিজীবিরা বুঝুক, কথা হচ্ছে- রাষ্ট্র কোন বিচার বর্হিভূত হত্যার অধিকার রাখেনা; কোন অজুহাতেই নয়।

আপনার পোষ্টটি ভাল লেগেছে।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৫

লেখক বলেছেন: সভ্যতা বলে তো একটা ব্যাপার আছে। সেই সূত্রে অন্তত বিচার-আচার হউক। তালগাছ রাষ্ট্রেরই থাকুক। তবু বিচার হউক।
অনেক ধন্যবাদ রিপন ভাই।
৩০. ২৯ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:০৫
comment by: আতিক একটেল বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় রাষ্ট্র এইসব সর্বহারাদের সমস্যা জিইয়ে রাখতে চায়। বিচারের কাঠগড়াতে দাঁড়াতে দিতে সাহস পায় না । কারণ রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপুর্ণ কাঠামোর প্রতি রাষ্ট্রের নিজেরই আস্হা নেই। বিচার ব্যবস্হা শক্তিশালী করার চেয়ে এলিট ফোর্স গঠন অনেক দিক দিয়ে লাভজনক তাদের কাছে।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৬

লেখক বলেছেন: ভাল পর্যবেক্ষণ। শত্রুবিহীন রাষ্ট্র নিজের ন্যায্যতাকে সহজে প্রতিপাদন করতে পারে না।
৩১. ২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:২৩
comment by: আরিফ রেজা খান বলেছেন: শিরোনামটা ঠিক হয় নাই বইলা মনে হইতাছে। কারণ ইনভার্টেড কমার গুরুতর ব্যবহার অহন আর গুরুতর নাই।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮

লেখক বলেছেন: ঠিকই কইছেন।
৩২. ২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৫
comment by: সাইফ সামির বলেছেন: হা: হা: হা:

কিছু মনে করবেন না মাহবুব মোর্শেদ, আপনার ব্লগে আমার কেন জানি একটু হাসতে ইচ্ছা হলো, তাই হাসলাম! আরেকটু হাসি?

হো: হো: হো:
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭

লেখক বলেছেন: হাসেন।
বেশি হাইসেন না। পেট ফেটে যাবে।
৩৩. ২৯ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:২২
comment by: ত্রিভুজ বলেছেন:
প্রথমেই অপ্রাসঙ্গিক:
কিউপিড৯৫ বলেছেন: চাদাবাজি আর রাজস্ব আদায়ের পার্থক্য কি এইটা একটু ব্যাখ্যা কইরা যুদি বুঝাইয়া দেন তাইলে খুব ভাল হয় ,তাই না

একটু থিওরি মিশান লাগবো আরক

এই মন্তব্যে প্লাস.. এই বিষয়টা নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা হলে ভাল লাগতো। ঐদিন একজন আমারে কয়, "ট্যাক্স দেব কেন? রাষ্ট্র আমাকে কি দিয়েছে".. শুনে অবাক হলেও পরে ভেবে দেখলাম ভুল বলে নাই... হা হা... তবে আরো গভীরে গেলে বুঝা যায় ভুলই বটে!


এবার প্রাসঙ্গিক কথা:
অনেক মনযোগদিয়ে পড়লাম। পুরোপুরি একমত না মোর্শেদ ভাই। প্রথম বারের মত আপনার কোন লেখায় মাইনাস দিলাম... দু:খিত।

২৯ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২০

লেখক বলেছেন: মন্তব্য জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কিন্তু স্পষ্টভাবে বুঝতে পারলাম না কেন লেখাটার সঙ্গে আপনি একমত হতে পারেননি।
৩৪. ২৯ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
comment by: ক্যামেরাম্যান বলেছেন:
ব্যাপারটা আসলে খুবই জটিল।
কিছুলোক যখন 'শ্রেণী শত্রু খতম' এর মতো থিউরী প্রচার করে সাধারণ মানুষদের উপর অত্যাচার করে, সাধারণ মানুষ কিন্তু এদের বিচার পাওয়ার অধিকার কে সমর্থন করতে পারে না।

রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল তার জনগণকে সব অত্যাচার অনাচার থেকে রক্ষা করা। প্রথমত তারা ব্যর্থ হয়েছে সাধারণ লোকদের এইসব অত্যাচার থেকে রক্ষা করতে, দ্বিতীয়ত সেই ব্যর্থতা ঢাকতে নিজেরাই আরেকটা অনাচার করেছে 'ক্রসফায়ার' করে।
২৯ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

লেখক বলেছেন: ঠিকাছে। কিন্তু রাষ্ট্র অনাচার অত্যাচার করলে সেইটা থিকা রক্ষা পাওয়ার উপায় কী?

No comments:

Post a Comment