Tuesday, February 24, 2009

শহরে সবচেয়ে কঠিন কাজ

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৪
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

সকাল আটটা নয়টার দিকে রাস্তায় নামা হয় কালেভদ্রে। শেষ কবে নেমেছিলাম মনে করে বলতে হবে এমন অবস্থা। পরশু আবার দেখা হলো আটটা-নয়টার ঢাকা। ঘর থেকে গলিতে নামলেই দেখি পোশাকশ্রমিকদের ঢল নেমেছে। খুব ভাল লাগে দৃশ্যটা। হনহন করে তারা কাজে যাচ্ছে। দল বেঁধে। রাস্তায় রিকশা, বাস, কারের চেয়ে তখন মানুষই বেশি চোখে পড়ে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনো ব্যাপার না। কাজ চলবেই। ঠিক সময় মতো ওরা অফিসে যাবেই। গলি থেকে মূল রাস্তায় এসে আমার মাথা রাখাপ হয়ে গেল। পোশাক শ্রমিকদের একটা দলের সঙ্গে রাস্তা পার হলাম নিরাপদেই। কিন্তু তারপর? কয়েক হাজার মানুষ স্রেফ বাসের অপেক্ষাতেই দাঁড়িয়ে আছে। একেকটা বাস সিটিং সার্ভিস হয়ে চলে যাচ্ছে। যাদের টিকেট কাউন্টার আছে তাদের অবস্থা করুণ। তিল ধারণের জায়গা নেই। ওর মধ্যেই লোকজন ওঠার চেষ্টা করছে। পিক আওয়ারে এমন সময়গুলোতে লোকাল বাসের দেখা পাওয়াও ভার। বাসের চিন্তা ছেড়ে দিয়ে সিএনজির চেষ্টা করতে থাকলাম। দূর থেকে একটা সিএনজি ফাঁকা আসছে দেখলে দশজন এগিয়ে যান। তাদের দলে ভিড়ে আমিও জিজ্ঞেস করি, মহারাজ যাবেন কি না। মহারাজ কী যেন ভাবেন, তারপর কথার উত্তর না দিয়ে চলে যান। ভাবলাম ভেঙে ভেঙে রিকশায় যাই। এবার রিকশাঅলার পিছনে ছোটা। একটার পর একটা। নাহ, সে হালও ছেড়ে দিলাম। অবশেষে একটা টিকেট কেটে ভলভোর একমাইল লম্বা ঘোরানো পেঁচানো লাইনেই দাঁড়িয়ে গেলাম। একটার পর একটা ডবল ডেকার চলে যাচ্ছে। আমরা তার সম্ভাব্য যাত্রী। কোনোটাতেই কেউ উঠতে পারছে না। মেয়েরা বোকার মতো তাকিয়ে আছে। লাইনের সামনের যাত্রীকে বললাম, কতক্ষণ লাগতে পারে উঠতে? উনি করুণার একটা হাসি দিলেন। বললেন, প্রতিদিনই এই হয়। অফিসে যাবো কীভাবে। সময় অনুসারে পৌঁছানো তো দূরের কথা। দুপুরের আগে পৌঁছাবো কি না তারও নিশ্চয়তা নেই। এইভাবে এই লাইনে এক ঘণ্টা চলে গেল। দশটার দিকে একটা খালি ভলভো এলো। খালি মানে দুচারজন ওঠা যায়। উঠতে পারার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করলাম। অদ্ভূত এই শহর। মানুষের সবচেয়ে বেশি কর্মঘণ্টা রাস্তাতেই চলে যায়। কত বাহারী বাসের আয়োজন! কত কোম্পানি, কিন্তু মানুষের প্রয়োজন মেটাবার মতো বাস তো নেই। দশটা না। সেদিন এগারোটায় দাঁড়িয়ে ফ্যালফ্যাল করে শত মানুষের বাসে ওঠার যুদ্ধ দেখলাম। এগারোটাতেও যদি যুদ্ধ করে বাসে উঠতে হয়, তবে মানুষ কাজে যাবে কখন?
ভলভো বিজয় সরণীর সিগনালে দাঁড়ালে দেখলাম, আগে পিছে একটা কর্ণফুলী আর একটা একুশে ছাড়া কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেই। শুধু প্রাইভেট কার। এরকম প্রায়ই দেখি। প্রাইভেট কারের বিরুদ্ধে তো বলার কিছু নেই। কিন্তু পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এত কম থাকবে কেন? বাসা থেকে যতটুকু কাজের স্পৃহা নিয়ে মানুষ রাস্তায় নামে তার অর্ধেকটাই বাসের সংগ্রামে চলে যায়। দিনের পর দিন এই চলছে। কিন্তু কেউ ভাবছে বলে মনে হয় না। ভাবছে কি কেউ?
এতো গেল কাজে যাওয়ার খবর। ফেরার খবর কী?
ফেরার বেলাতেও আমি একটু দেরিতে ফিরি। সেদিন নয়টার দিকে ফিরছিলাম। ফার্মগেটে এক বৃদ্ধা উঠলেন হুড়মুড় করে। সবাই চেঁচামেচি শুরু করে দিল। সিটিং বাসে লোক ওঠে কেন? বৃদ্ধা উঠে বাসের মেঝেতে ধুপ করে বসে পড়লেন। কান্না জুড়ে দিলেন। আছরের আজানের সময় থেকে উনি ফার্মগেটে দাঁড়িয়ে। একটা লাইন বলার পর আর কেউ কোনো কথা বলতে পারলো না। কেননা সবাই তো জানে, রাস্তার খবর।
বাসে ফেরার সময়, দেখবেন সবচেয়ে নিষ্ঠুর মানুষের মুখ। সবচেয়ে খিটখিটে, সবচেয়ে রাগী মুখ। ঘর্মাক্ত মানুষ। একজন আরেকজনকে ফেলে, ঠেলে উঠছে, সিটে বসার সংগ্রাম করছে।
মাঝে মাঝে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ দেখে। তাদের ত্যাক্ত-বিরক্ত মুখ দেখে শহরের ওপর ভীষণ বিরক্ত লাগে। নিজের ওপর বিরক্ত লাগে। প্রতিদিন তো দেরিতে ফেরা যায় না। একদিন দুইদিন ফিরতে গেলেই মনে হয় লাইফ হেল হয়ে গেল। কিন্তু প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে এভাবেই অফিস যেতে হয়, এভাবেই ফিরতে হয়। আমি ভাবি বাংলাদেশের মানুষ কত ধৈর্যশীল।
এরকম অসহনীয় অবস্থায় প্রতিদিন একটা ভাঙচুর আর রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যাবার কথা। অথচ কিছুই তো হয় না। মানুষগুলো কষ্ট করে। তাদের চিন্তা যাদের করার কথা, তারা এক্সট্রা জ্যাম বাঁধিয়ে চলে যান। দ্রুত। শাই শাই করে। অত্যন্ত দ্রুত।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৪৬ টি মন্তব্য
* ৩৩২ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১২ জনের ভাল লেগেছে, ২ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28837859 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯
comment by: সৌম্য বলেছেন: বস... আপনারে রয়াল ফ্যামিলির লোক মনে হইতেছে...
রাত আটটা নয়টায় বাইরে বের হন না মানে কি? নতুন বিবাহ?
আমি সি এন জি ওয়ালাদের ভাবস দেখি না। কি দরকার? থাকিতে চরণ মরণে কি ভয়? মানুষের হাটার আইডিয়াল টাইমিং ১ ঘন্টায় তিন কিমি। আর ঢাকা তো বান্দারবান, বগা লেকের ট্র্যাক না যে একেকটা গ্রাম থেকে আরেকটা যেতে বেলা গড়িয়ে যাবে। মোড়ে মোড়ে দোকান আছে। টায়ার্ড হয়ে গেলে দাঁড়ায় যাবেন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪২

লেখক বলেছেন: আমার অফিস দেরিতে শুরু হয়।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৩

লেখক বলেছেন: আপনার পদ্ধতিটা ভাল।
২. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৩
comment by: আন্ধার রাত বলেছেন:
ফখুরে কন ১টা কিছু করতে...
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪

লেখক বলেছেন: হ। ভাল বুদ্ধি।
৩. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৬
comment by: বিবর্তনবাদী বলেছেন: সত্যিই আপনারে রয়াল ফ্যামিলিরি মনে হইতেছে। ;)
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৯

লেখক বলেছেন: তাই না?
সৌম্যর প্রশ্নের উত্তরটা খেয়াল কইরেন।
৪. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৫২
comment by: নিঃচুপ বলেছেন: সৌম্য বস জিন্দাবাদ..........থাকিতে চরণ মরণে কি ভয়?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:১৯

লেখক বলেছেন: হ।
৫. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৫
comment by: অরণ্যচারী বলেছেন: + এবং সহমত
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২০

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
৬. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪০
comment by: দূরন্ত বলেছেন: এইটা একখান ঠিক কথা বলছেন। ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থা আমার জন্যই একটা আতঙ্ক।
এমনকি মাঝে মাঝে রাত ১০টার পরও ফার্মগেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর একটাও গাড়ি পাওয়া যেতো না।
মানুষের ভিড় কখনো কখনো হাজার ছাড়াতো। পরে মানুষ পদব্রজে বাড়ির দিকে রওনা দিতে বাধ্য হতো। মাঝ রাতে এ সময় মহিলাদের দুর্দশা হতো সবচেয়ে বেশি....
এসব দেখে মাঝে মাঝে আমারও মনে হতো এদেশের মানুষ কতোটা সহনশীল...
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

লেখক বলেছেন: আসলেই।
৭. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
comment by: রাতমজুর বলেছেন: একদম ঠিক।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২২

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮. ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪২
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন: হুমমমমম
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২২

লেখক বলেছেন: হুমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমম।
৯. ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৩
comment by: মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ঢাকার নিয়মিত বাসিন্দা প্রায় দেড় কোটি মানুষ। প্রতিদিন আরো কয়েক লক্ষ মানুষ নানান কাজে আসে ঢাকায়। চিকিৎসা করাইতে, বাঁচতে, কাফনের কাপড় কিনতে, বাচ্চার খেলনা কিনতে, পড়তে, পড়াইতে...। মানুষ আর মানুষ। আর বছর বিশেক পরে পায়ে-হাটার জায়গাও থাকবে কি-না আল্লাই জানে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২৩

লেখক বলেছেন: বিশ বছর লাগবে না মনে হয়।
১০. ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৬
comment by: মনুমনু বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। আমরা বালুঘাট এলাকার লোক রাত ১০.৫৯ টার আগে কেনটনমেনট এর যে কোন একটা গেট দিয়া ঢুকা লাগে। ১১।০০ বাজলেই কেয়ামত। মরি বাচি বাসায় যাওয়া যাবে না। ভাই এক্সট্রা একটা বিপদে আছি। কই যাইতাম বুট ওলাগো লইয়া !!! আপনে মরছেন আপনার ডেডবডিও পার করতে পারবেন না।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
এই অবস্থা?
১১. ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৬
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: সকাল ৮টা থাইকা ১০ টার মাঝে যারা রেগুলার যাতায়াত করে,আর বিকাল ৫টা থাইকা রাত ৮টার মাঝে,তাদের কবরের আযাব মাফ হয়া যাওয়ার কথা,বাকি কিসু আর কইলাম না।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২৮

লেখক বলেছেন: আসেন আমরা তাদের কবর আজাব মাফ করার জন্য দোয়া করি।
১২. ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১২
comment by: মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: লুৎফর রহমান রিটনের একটা ছড়ার কথা মনে পড়লো-
ঢাকার শহর আটার শহর
মাসকো, টাটা, বাটার শহর
গুলিস্তানে হাঁটার শহর
গুডবাই আর টা-টা'র শহর
:)
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২২

লেখক বলেছেন: মজার।
১৩. ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৪
comment by: মুক্তি মণ্ডল বলেছেন: আপনার এই অনুভূতি আমারো। এইটার পক্ষে কথা বলার মতো কেউ নেই। এই শহরে প্রতিদিন কত সেমিনার/সভা হয়, আলোচনার গোল-টেবিল বসে, এই বিষয়গুলা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই।

এই সুশীল সরকারের কেউ কি এইটা ভাববেন?

আপনাকে ধন্যবাদ গণগুরুত্ব একটি বিষয়ের অবতারণার করার জন্য।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৯

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট, মুক্তি ভাই।
১৪. ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৫
comment by: যীশূ বলেছেন: শহরের না, এটা ঢাকা শহরের চিত্র। তাই তো এ শহরটা ছাড়তে চাই দ্রুত।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১৯

লেখক বলেছেন: কই যাবেন?
১৫. ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৪
comment by: দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন: মামো কি শেওরাপাড়া থাকেন নিকি?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:২১

লেখক বলেছেন: দিশাহারা ওমর সোলাইমান টাইপ লোকের কাছে বাড়ির ঠিকানা দিয়া প্রাণ হারানোর ইচ্ছা নাই আমার। ভাই, আমি যাত্রাবাড়ি থাকি।
১৬. ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৩৬
comment by: সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: হা হা হা হা ।
ভাই আপনেদের ভোগান্তির গল্প শুইনা হাসি আসতেসে।
আমার বাড়ি যাত্রাবাড়ি।আর অফিস গুলশান।
সিএনজি ওয়ালা নাম শুনলে এমনভাবে তাকায় যেন এর চেয়ে হাসির কিছু তারা আর শুনে নি।
হন্টন পদ্ধতিটা ভালো।কিন্তু দূরত্ব বিবেচনায় সেও চলে না।
বাকি শুধু বাস।
বাসায় ফিরতে আমার মাত্র পৌনে দুঘন্টা লাগে।
কষ্ট একটু কম লাগত যদি বসে যাওয়া যেত।বাসে দাড়িয়ে থাকতে হয় এক ঘন্টা।সেটাও কষ্টের হত না যদি না আমি লম্বা হইতাম।আমার মাথা আটকে যায় মাথার ছাদে।চির উন্নত মম শির বলা নজরুলকে গালি দিয়ে ঘাড় নিচু করে যাই।সেটাও কম কষ্টের হত যদি না পা টা সোজা রাখা যেত।ভিড়ের মধ্যে দুপা দুদিকে রেখে থাকতে হয়।
তাও মেনে নিতাম যদি সারাক্ষন লোকজনের লেপ্টালেপ্টি হৈচৈ না থাকত।
শরীরের নাম আসলেই মহাসয়।কারন এসব সহ্য করেই আমি দিব্যি অফিস যাচ্ছি প্রতিদিন।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪২

লেখক বলেছেন: সেই গল্পটা মনে পড়ে গেল।
১৭. ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এক পা খোঁড়া এক ব্যক্তি একবার মনে দুঃখে রাস্তা দিয়া যাইতেছে। সামনে আগায়া দেখে এক লোক, তার আবার দু পা খোঁড়া। দুইটা খোঁড়া পা নিয়াই উনি হাসতেছে। তখন এক পা খোঁড়া লোকটা তার দুঃখ ভুইলা গেল গা।
১৮. ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫২
comment by: সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: হা হা হা।ভালো বলছেন
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৪

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
১৯. ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২৩
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমি অনেক সৌভাগ্যবান । গুলশানের কাছাকাছি থাকি , বলতে গেলে অফিসে যেতে সবার চাইতে আমার কষ্টটাই কম ।

তো সে আরামের কাহিনীটা বলা যাক :
১ ঘন্টা আগে বাসা থেকে বের হই । প্রথমে যেতে হবে মেইন রোড , কাকুতি মিনতি করেও একটা রিক্সাওয়ালার মন গলে না , ১০ মিনিট হেঁটে ভিজে জবজবে হয়ে যাই(ঘামার দিক দিয়ে আমি আবার কিংবদন্তী) । এরপর মেইনরোডে গিয়ে ৩০০ গজ ডানের একুশে কাউন্টারে দাঁড়াই । বেশির ভাগ দিন দেখি ৫০ জন লাইনে দাঁড়িয়ে আছে । আর যেসব দিন খালি দেখি , কাউন্টার জানায় অনেক লেট হবে বাস আসতে ।

তারপর একটা একুশে আসে , দূর থেকে দেখি লোকে ঝুলছে । কোনমতে আর ৩/৪ জন ঝুলে পড়ে , আমি চেয়ে থাকি পরের টার জন্য । এভাবে কোন কোন দিন ৫ টা বাস চলে যায় , ৬ নাম্বারটায় ঝুলার সুযোগ পাই ।

মাঝে মাঝে আর সহ্য হয় না , লোকাল বাস ধরি । গরম ,তেল চিটচিটে । আর বড় কথা হল , বাড্ডা থেকে এগুলো গুলশানের দিকে টার্ন করে না । ওখানে নেমে আর কোন ব্যবস্থা নেই , খটখটে রোদে দেড় কিলোমিটার হাঁটি , অফিসে পৌছে আমার ২০ মিনিট লাগে এসির ডিরেক্ট বাতাসে ঘাম শুকাতে । আমি তখন সান্ত্বনা খুঁজি , সবার চাইতে আমিই আরামে এসেছি , পেটে চর্বি জমেছে , সেটা খানিক কমছে .................

ফেরার গল্পটা অনেক বেশি খারাপ ........ঐটা না বলি :)
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৩

লেখক বলেছেন: সবার দেখি একই রকম গল্প। এবং একটাই গল্প। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ মেহরাব।
২০. ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:০৯
comment by: ভুডুল বলেছেন: +
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৪

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
২১. ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২২
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: এইটার নাম ঢাকা। এইপার থেকে অইপারে যেতে বিকেল।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪

লেখক বলেছেন: হ। এই হইলো ঢাকা।
২২. ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৩
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: সবার একই কাহিনী!
সকালে শাহবাগে বাসে উঠতে হলে আধাঘন্টাখানেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। তাই আমার দুই পা-ই ভরসা, কাটাবন হয়ে সোজা একুশে টিভির পেছনে আসে রিকশা নেই, ভায়া হাতিরপুল। মিনিট বিশেক লাগে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৫

লেখক বলেছেন: ওইদিক থেকে আসতে গেলেও এইরকম হয়?
তাইলে তো কেউ শান্তিতে নাই।
২৩. ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৩
comment by: ব্রাইট বলেছেন: "আমি ভাবি বাংলাদেশের মানুষ কত ধৈর্যশীল।
এরকম অসহনীয় অবস্থায় প্রতিদিন একটা ভাঙচুর আর রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যাবার কথা। অথচ কিছুই তো হয় না। মানুষগুলো কষ্ট করে। তাদের চিন্তা যাদের করার কথা, তারা এক্সট্রা জ্যাম বাঁধিয়ে চলে যান। দ্রুত। শাই শাই করে। অত্যন্ত দ্রুত। "


+

আগুল লাগায়া দিতে ইচ্ছা লয়।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস। বাট,
ডোন্ট ডু দ্যাট। ব্লগিং লাটে উঠবে।

No comments:

Post a Comment