Tuesday, February 24, 2009

সরকারের অবস্থা দেইখা আমার এক বন্ধুর কথা মনে পইড়া গেল

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২২

পিএসসি বা সরকারি কর্মকমিশনে ঘুষ দেওয়ার নিয়ম-কানুন যারা জানেন তারা এই গল্পটা ভাল কইরা বুঝতে পারবেন। আমার দুঃসম্পর্কের বন্ধু বিসিএস-এ রিটেনে টিকছে। ভাইভা মেডিকেল বাকী। এর মধ্যে তাার টেনশন শুরু হয়া গেল। যদি না টিকে। আশপাশের লোক ধইরা সে পিএসসিতে খোঁজ লাগাইলো। ছাত্রদলের এক নেতা তারে হেল্প করলো। ঠিক করা হইলো, দুই লাখ টাকার বিনিময়ে তার চান্স হবে। নিশ্চিত। নানা দোনামোনা করে সে দুইলাখ টাকা জোগাড় করলো। ঢাকায় গিয়া পিএসসির সেই লোকরে দিয়া আসলো।
যথারীতি তার ভাইভা হইলো। ছাত্র ভালো ছিল। রিটেনেও ভাল হইছিল। মাশাল্লা ভাইভাতে সে ভালোভাবেই টিকলো। মেডিকেলেও কোনো সমস্যা হইলো না। তো ফাইনাল রেজাল্ট বের হওয়ার পর বন্ধুর মনে খচখচানি শুরু হইলো। তার মনে হইতে লাগলো যে, টেকাটা না দিলেও সে পারতো। এমনেই হইতো। আসলে সে বুঝতে পারছিল, তার এমনেই হইছে। খচখচানিটা বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থা হইলো যে সে পিএসসির ওই লোকের বাসায় গিয়া হাজির হইলো। কইলো, আমার তো এমনেই হইছে আপনের তো কিছু করা লাগে নাই।
উনি কন, কিছু করা লাগে নাই মানে কী? তোমার টেকা হালাল না কইরা আমি খাইছি নিকি।
এইসব আবোল তাবোল।
বন্ধু তার কথায় দুর্বলতা টের পাইলো। সিদ্ধান্ত নিলো ওই ছাত্রদল নেতারে দিয়াই টেকা উদ্ধার করবে। দরকার হইলে তারেও কিছু দিবে।
তারপর কী হইছে আমি জানি না। খোঁজ নিলে জানা যাবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থা হইছে আমার সেই বন্ধুর মতো।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতসহ দেশি বিদেশী শক্তিগুলা আওয়ামী লীগরে সাপোর্ট দিছিলো নির্বাচনের আগ দিয়া। তাদের নানা কথা দিছিলো আওয়ামী লীগ। নানা চুক্তিমুক্তি করতে চাইছিল। আর পাবলিকও তাদের ছাপ্পড় ফাইড়া ভোট দিছিলো।
এখন আওয়ামী লীগের মনে হইতেছে, তারা তো এমনেই জিতছে। পাবলিকই জিতাইছে। আর ইয়েদের তাই তারা বলতেছে, আপনেদের তো কিছু করা লাগে নাই। ইয়েরা বলতেছে, কী বলেন, আমরা ইয়ে না করলে কি পাবলিক আপনেদের ভোট দিতো?
......
আগে যখন আওয়ামী লীগের প্রেস ব্রিফিং হইতো তখন দেখতাম একজন নারী ব্রিফিংরত নেতার পাশে দাঁড়াইয়া হাসতেছেন। সবসময়ই একই রকম তার হাসি। দেইখা ভাল লাগতো। নাম জানতাম না। নির্বাচনের পর জানলাম ইনি ডা. দিপু মণি। কাইলকা যখন আনন্দবাজারের দিল্লি সাংবাদিক অ্যাগ্রেসিভ প্রশ্ন কইরা বসলো তখনও তিনি ওইরকম একটা হাসি দিছিলেন। জয়ন্ত ঘোষাল নামক ওই সাংবাদিক সহজ কথায় সাংবাদিকতার রীতিনীতি জানেন না। কেউ যদি বাংলাদেশকে বাফার স্টেট কইতো তাইলে সেইটার রেফারেন্স দিয়া তিনি মন্তব্য চাইতে পারতেন। কিন্তু সাংবাদিকটি নিজে বানায়ে একটা ভাষ্য দিয়া মতামত চাইছেন। একটা খবর বানাইতে চাইছেন। এইটা কোনো রীতিতে করা যায় না। সোজা কথায়, এই প্রশ্ন না। এইটা আনন্দবাজারের স্টেটমেন্ট।
এইটার কঠোর উত্তর দেয়া উচিত আছিল।
কিন্তু নতজানু অবস্থা যদি আমার মজ্জায় থাকে তাইলে মগজ তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকটিভ হবে না, এইটাই তো স্বাভাবিক।
.......
সরকার যে এমনেই পাশ করলো। জনগণ যে তাদের পাশ করাইলো। তারপর তদবীর পার্টিগুলার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কই যায়া ঠেকে এইটাই এখন দেখার বিষয়।
ছবি: প্রথম আলোর সংবাদের কাটিং



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।




এডিট করুন | ড্রাফট করুন | মুছে ফেলুন

* ২৪ টি মন্তব্য
* ৩৭৭ বার পঠিত,

Send to your friend Add to Your Showcase Print
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ১৩ জনের ভাল লেগেছে, ১২ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28909287 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
comment by: নূহান বলেছেন: খুব বালো :)
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
মুছে ফেলুন


২. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
comment by: এবিএম গিয়াসউদ্দিন (শামীম) বলেছেন: ভালো লিখেছেন!!
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
মুছে ফেলুন


৩. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
comment by: আসিফ রহমান বলেছেন:

এই মন্তব্যটি মুছে ফেলা হয়েছে, মন্তব্য করার সময় ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলীর দিকে খেয়াল রাখুন । শর্তাবলী

জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

লেখক বলেছেন: এনারে ব্লক করলাম।
মুছে ফেলুন


৪. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: আপনার বন্ধুর অবস্থা পইড়া আমার সরকারের কথা মনে পইড়া গ্যালো।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

লেখক বলেছেন: হ।
মুছে ফেলুন


৫. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩
comment by: শুভ৭৭ বলেছেন: ভাল লেখা।

"নতজানু অবস্থা যদি মজ্জায় থাকে তাইলে মগজ তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকটিভ হবে না, এইটাই তো স্বাভাবিক"
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
মুছে ফেলুন


৬. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯
comment by: কিরণময়ী বলেছেন: বাফার স্টেট টা কি অপমানজনক শব্দ ? সব জায়গাই আজকে এটা নিয়ে পড়ছি কিন্তু কিছুই বুঝছি না!আমার ইংলিশ জ্ঞান কি কম নাকি কে জানে।বাফার মানে ব্যারিয়ার বা শিল্ড,এটাতো ঠিকি ,তাইনা ?
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

লেখক বলেছেন: বাফার স্টেট মানে দুই শক্তিশালী রাষ্ট্রের মধ্যবর্তী ছোট ও দুর্বল রাষ্ট্র। যাকে একটি রাষ্ট্র নিজের আয়ত্তে করদ কইরা রাখে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে।
সহজ একটা প্রশ্ন করি,
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোন জায়গায় বাংলাদেশ অবস্থিত?
মুছে ফেলুন


৭. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
comment by: সমুদ্রের তীরে বলেছেন: মাছের পচঁন শুরু হয় নাকি মাথা থেকে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০০

লেখক বলেছেন: হ।
মুছে ফেলুন


৮. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
comment by: জানজাবিদ বলেছেন: ভাল লিখেছেন, সব পয়েন্টে যদিও একমত না। এই যেমন -"যুক্তরাষ্ট্র ভারতসহ দেশি বিদেশী শক্তিগুলা আওয়ামী লীগরে সাপোর্ট দিছিলো নির্বাচনের আগ দিয়া। তাদের নানা কথা দিছিলো আওয়ামী লীগ। নানা চুক্তিমুক্তি করতে চাইছিল"- এই জিনিস গুলা তো মনে হয় আপনার ধারণা থেকেই বললেন। আপনারে পাশে রাইখা নিশ্চয়ই কথা দেয় নাই বা চুক্তি করে নাই।

তবে লিখুন আরো বেশী করে। ব্লগে সব মত ও পথের লোক থাকলে ভাল লাগে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০২

লেখক বলেছেন: আমারে পাশে রাইখা কথা দেয় নাই, এইটা আপনি ঠিকই ধরছেন। তবে খোলা চোখে যা দেখতেছি তাতে আমার বক্তব্যের সমর্থনে কিছু আলামত দেখা যাইতেছে।
এখন প্রশ্ন, আপনেরে সামনে রেখে যে কথা দিছিল চুক্তি মুক্তি করবে না, সেইটা এখন এরা মানতেছে না কেন?
আপনিও বেশি করে লিখুন।
মুছে ফেলুন


৯. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
comment by: ভালো-মানুষ বলেছেন: ভারটের দালালডের মুকস কুলে ডেয়ার জন্য আফনাকে অবিননদন জনাব মাহবুবমুরশেদ
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০৩

লেখক বলেছেন: মুখোশ তো দেখি না। খুলে দেওয়ার প্রশ্নও তাই নাই।
সব তো ওপেনই চলতেছে।
মুছে ফেলুন


১০. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:১২
comment by: ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: ব্যাপারটা নিতান্তই রাজনৈতিক ভাবে নেয়া ঠিক না...দেশের বিরাট অপমান...বিএনপি আওয়ামীলীগ পন্থী সব প্রাইভেট টিভিতেই এই প্রতিবাদ না করাটা বেশ ফলাও করে আসছে। আর আমরা কম জ্ঞানী মানুষেরা বাফার স্টেট মানে না বুঝলেও মন কিছুটা হলেও বিক্ষুব্ধ হইছে
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭

লেখক বলেছেন: অনেক সময় টার্ম না বুঝলে অনুভূতি আসে না। হয়তো আমাদের মন্ত্রীও টার্ম বুঝতে একটু দেরি করে ফেলেছিলেন।
মুছে ফেলুন


১১. ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪২
comment by: কিরণময়ী বলেছেন: সেভাবে তো বাংলাদেশ বাফার স্টেট না। ভারতের মাঝখানে বাংলাদেশ। সেভেন সিস্টার আর মুল ভারতের মাঝখানে ............ ??!!
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮

লেখক বলেছেন: তাইলে?
মুছে ফেলুন


১২. ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০৫
comment by: কিরণময়ী বলেছেন: আমি পরে অনেক ভাবলাম।এতোদিন ধরে আমরাতো বাফার স্টেট হিসেবেই ইউস হয়ে আসছি। আমাদের স্বাধীনতার মহান চেতনাটাও ইউস করছে ইন্ডিয়া!এই একটা জিনিস দিয়ে ইণ্ডিয়া আমাদের মন দুর্বল করে রাখে। একটা দেশ তার স্বাধীনতার পর তা নিয়ে মাতামাতি করে একবছর ,না হয় দশ বছর ই। কিন্তু স্টিল আমরা মাতামাতি করি। চেতনাকে দেশ গড়া কাজে লাগাতে পারলাম ই না আমরা!
শহীদদের আত্মা আমাদের এই অবস্থা দেখে নিশ্চই অনেক আফসোস করে!
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৩. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৫৩
comment by: ব্রাইট বলেছেন: ..আগে যখন আওয়ামী লীগের প্রেস ব্রিফিং হইতো তখন দেখতাম একজন নারী ব্রিফিংরত নেতার পাশে দাঁড়াইয়া হাসতেছেন। সবসময়ই একই রকম তার হাসি। দেইখা ভাল লাগতো। নাম জানতাম না। নির্বাচনের পর জানলাম ইনি ডা. দিপু মণি।..


স্রেম!
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

No comments:

Post a Comment