Tuesday, February 24, 2009

জ্বালা ও যন্ত্রণা : ধর্মেও আছি জিরাফেও আছি

২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৬
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

বাংলা ব্লগ প্রায় দুইভাগ হইতে চললো। একভাগ মনে করে অমি রহমান পিয়াল ঠিক করছে, একভাগ মনে করে উনি ঠিক করে নাই। কেস খুব গরম। আমি কিন্তু একেবারে পিয়ালের ভক্ত হয়া গেলাম। ব্লগের মতো আউলা জায়গায় এরকম সুচারু পদ্ধতিতে আউলা লাগায়ে দিতে পারলেন অমি রহমান পিয়াল ভেবে একটু অবাক লাগতেছিল। কিন্তু পিয়াল আমার শত্রু বিধায় তার প্রশংসা করতে একটু শরম লাগতেছিল। যাই হউক, লাজ শরমের মাথা খেয়ে তার প্রশংসা করতে বসলাম। জানি না, কদ্দুর করতে পারবো। এরাম টাসকি আমারে এর আগে খাওয়াইছিলেন সুবিমল মিশ্র। গল্পের মধ্যে পর্নোগ্রাফির কাটপিস দিয়া। বা পুরা গল্পরেই পর্নোগ্রাফিক বানায়া। সোসাইটির ট্যাবু ভাঙানি আর প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার দোহাই মিশ্র মশাইয়ের হাতে ছিল। আশ্রম মশাইয়ের হাতে আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। মাইরি বলছি, এতে কিন্তু মুক্তিযদ্ধের চেতনার উপকার হইছে। আজ যদি রসময় গুপ্ত মহাশয় বেঁচে থাকতেন তাহলে খুব খুশী হইতেন। বাংলা সাহিত্যে রসময় গুপ্ত এতকাল রাজত্ব করেছেন। এবার তার উত্তরসুরি হিসাবে আশ্রম প্রকাশিত মহাশয় আইলেন। এতদিন পর বাংলা পর্নো সাহিত্যের একটা গতি হইলো। গতি হইলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনারও।
পর্নোগ্রাফি নিয়া একদা কিছু লেখা পড়ছিলাম। সেইগুলার কথা মনে হইতেছে ক্ষণে ক্ষণে। ফুকো মনীষীর কথাও মনে হইতেছে।
পর্নোগ্রাফি আসলে কী?
ফ্রয়েড মনীষী কী বলেন এই বিষয়ে?
পবঙ্গ থিকা একটা লিম্যা বাইর হইছিল। সেইখানে বলা হইছিল, সো ফার আই ক্যান রিকল। পর্নোগ্রাফি হইলো মনের গহীনে লুকায়িত মন। অত্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে যাকে মানুষ লালন করে, চর্চা করে। মানুষের ভেতরের পশুরে তো মানুষ আর হত্যা করতে পারে নাই। উনি মাঝে মাঝে সভ্যতার ভিতরে পর্নোগ্রাফি আকারে দেখা দেন। ভিক্টোরীয় নৈতিকতার মধ্যে ওনার সর্বশক্তি দিয়া নাড়া দেন।
মানুষরে ভেতরের স্খলন, অনৈতিকতা এইগুলা পর্নোগ্রাফি আকারে হাজির হয়। কোনোভাবে কেউ যদি সেই অনৈতিকতারে খোলাসা কইরা দেয় তো বিদ্যমান সমাজের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়। এই কারণেই মার্কুইস দ্য সাদকে মানসিক অসুস্থ ঘোষণা কইরা সমাজ তাকে বন্দী কইরা রাখে।
হিস্ট্রি অব সেক্সুয়ালিটি আমি ছাইড়া ছাইড়া পড়ছি। পর্নোগ্রাফি নিয়া তাই ফুকো মনীষী কী বলছেন এইটা দেইখা বলতে হবে।
তবে এইটুকু বলা যায়, মানুষের স্খলন, অনৈতিকতা, অপরাধকে উন্মুক্ত সমাজে বৈধতা দেওনের উদ্যোগ যথেষ্ট প্রগতিশীল ঘটনা। যুগের যাতনা যারে তাড়িত করে। যিনি নতুন যুগ আনয়নের জন্য সংগ্রামে লিপ্ত তিনিই পারেন এরাম কাজে যুক্ত হইতে।
মনীষী অমি রহমান পিয়াল সেই রকমই যুগান্তর আনতে যাইতেছেন।
পর্নোগ্রাফির আরেক দিক হইলো। সেইটা নারীর প্রতি আক্রমণাত্বক। নারীর অবমাননা করে। নারীর নির্যাতনে প্রভোক করে। পুরুষে লেখে বইলা এইটা হয়। পুরুষে পরিবারের সবাইরে নিয়া টিভি নাটক বানাইলেও যেইখানে নারীর প্রতি চূড়ান্ত যৌনআক্রমণ ঘটে সেইখানে পুরুষের গোপন কার্যক্রমে কী ঘটতে পারে?
ফলে, পিয়াল যখন মুক্ত প্লাটফর্মে এই আলোচনা করতে পারছেন তখন তাকে আমি বিপ্লবী ভাইবা নিলাম। বিদ্যমান মতাদর্শের নিরিখে। সমাজ তার দৃষ্টি থেকে তারে পাগল বা মাতাল ভাবতে পারে। সেটাও স্বাভাবিক।
কিন্তু সমাজ দুইভাগ হয়া গেছে।
সমাজ তারে একমত হয়া পাগল বা মাতাল ভাবতে পারতেছে না।
কারণ উনি সমাজে জনপ্রিয় ও ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য একটা ইস্যুরে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছেন।
সেইটা হইলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে নৈতিকতা, দেশপ্রেমের মতো বিষয়গুলা এমনভাবে জড়াইছে এবং এইটা নিয়া আবেগ অনুভূতি এতই প্রবল যে তার সঙ্গে অপবিত্র যৌবনজ্বালারে মিশানো কঠিন ব্যাপার আছিল।
আমার মতে, মিশানো যখন গেছে তখন মিশে থাকুক। সমাজের অর্ধেক মানুষ যখন মনে করতেছে যৌবন জ্বালার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংঘর্ষ নাই তখন আমি ফাঁকে বিরোধিতা করে বিপদে পড়বো ক্যান।
আমি অবশ্য যৌবন জ্বালায় যাই না। ভাইরাসের ভয়ে। ভাইরাস বিহীন পর্নসাইটে মাঝে মধ্যে ঢু মারি।
সবার কথা শুইনা বুঝতেছি যৌবনজ্বালায় ভাইরাস নাই। তাই একদিন যাবো ভাবতেছি।
আশ্রমের লেখা পড়তেই যাবো। তার জন্য সবার আগে আমারে একটা ফেক ইমেইল আইডি খুলতে হবে।
যাই হউক,
যারা আমার কথা মানতে পারলেন না তাদের জন্য অমিয়ভূষণ মজুমদারের একটা গল্পের মোরাল বলি। ক্যাসিয়া সাইমিয়া গল্পে মজুমদার মশাই বলছেন, একটা খারাপ লোকের মুখ দিয়া একটা খারাপ পদ্ধতিতে যদি ভাল কথা শোনায় তাইলে ভাল কথাটা আর ভাল কথা থাকে?
মজুমদার মশাই কইছেন, থাকে।
মজুমদার মশাই কইছেন যখন তখন থাকতে পারে। অনেকে মানবেন। অনেকে মানবেন না।
আমি মাঝামাঝি একটা কথা কই। ভাল কথাটা ভাল থাকে হয়তো। কিন্তু তাতে অনৈতিকতার কালিমা লাগে। অর্থ একটু বদল হয়া যায়।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।




এডিট করুন | ড্রাফট করুন | মুছে ফেলুন

* ১১ টি মন্তব্য
* ৩০৪ বার পঠিত,

Send to your friend Add to Your Showcase Print
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ১৭ জনের ভাল লেগেছে, ১৩ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28885849 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩৩
comment by: মৈথুনানন্দ বলেছেন: + দেবো না - তা নিয়ে দ্বিধায় আছি, তাই কিছুই দিলাম না! আপনার শার্টের রঙটা নীল মশাই।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫০
comment by: দস্যু বনহুর বলেছেন: দ্বিমত কিন্তুক লেখা ভালৈসে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৩. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫২
comment by: কিরিটি রায় বলেছেন: মাঝামাঝি একটা কথা কই। ভাল কথাটা ভাল থাকে হয়তো। কিন্তু তাতে অনৈতিকতার কালিমা লাগে। অর্থ একটু বদল হয়া যায়।

জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৪. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:১১
comment by: ব্রাইট বলেছেন: আশ্রম আরেকটা ক্যারফা লাগাইছে। সেইটা হইলো সে কি-

১) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যানারে পর্ণোসাইটের বিজ্ঞাপন করতেছে? নাকি

২) পর্ণৌসাইটকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রসার ঘটাচ্ছে! নাকি

৩) দুই ঘাটেরই পানি খাচ্ছে!



আর পর্ণোসাইট, পর্ণোগ্রাফি যদি আমাদের বিদ্যমান সমাজের চোখে অনৈতিক হয় তাহলে উপরের তটার কোনটা নৈতিক হতে পারে?
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৫. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৬
comment by: দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
ইদানিং আপনের পোষ্টগুলা যেন তামাটে রং এর শুকনা বাল।
পড়লে কোনো শব্দই হয় না।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৬. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫৫
comment by: আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: সবকথায় একমত না
তবুও পোস্ট টা ভালো লিখছেন
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৭. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:০৮
comment by: চাণক্য বলেছেন: ভালই লিখিয়াছ বালক।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৮. ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৩
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: হেহেহে,বুঝতে হবে,ব্যবসা,সবই ব্যবসা,মাঝ দিয়া জামাতীরাও মজা মারে আর মুক্তিযুদ্ধের নাম কইরা ব্যবসাও হয়। সব শালা ব্যবসা করলো আর মাঝখান দিয়া ৩০ লাখ লোক মইরা গেলো।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৯. ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২৫
comment by: ব্রাইট বলেছেন: ফারহান দাউদ বলেছেন: ...

সব শালা ব্যবসা করলো আর মাঝখান দিয়া ৩০ লাখ লোক মইরা গেলো।



আম্রা শালা আছি মাইনকা চিপায়। আম্রাও পরার পথে। একদলের দুর্নীতি আর আরেকদলের সন্ত্রাসে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০. ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮
comment by: জাতেমাতাল বলেছেন: `.....সমাজের অর্ধেক মানুষ যখন মনে করতেছে যৌবন জ্বালার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংঘর্ষ নাই তখন আমি ফাঁকে বিরোধিতা করে বিপদে পড়বো ক্যান।.....

আমারও তাই মত। মনীষী অমি রহমান পিয়ালকে আমিও বিপ্লবী মেনে নিলাম।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৪৫
comment by: রেডিও বাংলাদেশ বেতার বলেছেন: বিপ্লবী মানতে হইবো? ভাবতেছি
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

No comments:

Post a Comment