Thursday, February 26, 2009

আরও অনেক মোশাররফ আছে

১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪০
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

অবশেষে জেনারেল মোশাররফ চলে গেলেন। পাকিস্তানের মানুষ উৎসব করেতেছে। বিশেষ করে আইনজীবীরা উল্লসিত। প্রধান বিচারপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সহ হাইকোর্টের বিচারপতিদের অকার্যকর ও বরখাস্ত করার পর মোশাররফ-বিরোধী বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করে। পাকিস্তান বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের দেশ নয়। ফলে সেইখানে কোনো বিক্ষোভ ও গণঅভ্যৃত্থানে সরকার পতনের নজির নাই। এবারও তা হলো না। মোশাররফ যে প্রক্রিয়ায় সরে গেলেন তার পশ্চাৎপটে একটা নির্বাচন ছাড়া জনগণের প্রত্যক্ষ কোনো চাপ তার ওপর আছিল না। ক্ষমতার জটিল হিসাব-নিকাশের মধ্য দিয়ে তাকে সরে যেতে হলো।
এর মধ্যে কত ঘটনা ঘটলো।
ইফতেফার আহমেদ চৌধুরী বরখাস্তও গৃহবন্দী হলেন।
বেনজির ভুট্টো ফিরলেন। ফেরার পথেই তার গাড়ি বহরে হামলা হলো।
নওয়াজ শরিফ ফিরলেন।
বেনজির গুপ্ত ঘাতকের হাতে নিহত হলেন।
মোশাররফ সেনাবাহিনী প্রধানের পদ ত্যাগ করলেন।
আশফাক কায়ানী সেনাপ্রধান হলেন।
নির্বাচন হলো। বেনজিরের দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি জয় পেল।
ঐতিহাসিক কোয়ালিশন সরকারের ঘোষণা এলো মুসলিম লীগ ও পিপিপির সমন্বয়ে।
মুসলীম লীগ মোশাররফকে সরানো ও বিচারপতিদের পুনর্বহালের ইস্যুতে কোয়ালিশন থেকে সরে এলো।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এলেন। অভিশংসনের প্রস্তুতি নেয়া হলো।
এবং মোশাররফ পদত্যাগ করলেন।
ঘটনাপ্রবাহ তো বলে মোশাররফকে সরে যেতেই হতো। পৃথিবীর বহু দেশে দুই টার্মের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি থাকতে পারেন না সাংবিধানিকভাবে। জেনারেল মোশাররফ ক্ষমতা নেন ১৯৯৯ সালে। ২০০৮ সালে তো তার ক্ষমতার ৯ বছর পূর্ণ হয়েছে। এত দীর্ঘ সময়ে তার সরে যাওয়াকে কোনো ভাবে পরাজয় তো বলা যায় না। কিন্তু মোশাররফের জন্য এটা পরাজয়ই বটে। কারণ পাকিস্তানের মসনদে তার প্রয়োজন ফুরায়নি।
হয়তো আন্তর্জাতিক স্বার্থের কারণে তার আরও কিছুদিন থাকা পড়তো। কিন্তু নওয়াজ শরিফের উত্থান তা কষ্টকর করে তুলেছে। পিপিপি তো শেষ পর্যন্ত সমঝোতাই চেয়েছিল। কিন্তু নওয়াজ খুব কড়া ভূমিকা পালন করেছেন। মোশাররফ পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের লোক। যুক্তরাষ্ট্র-ভারত-ইসরাইলের স্বার্থের প্রতিভূ। তিনি গত নয় বছর ধরে এই স্বার্থ রক্ষা করেছেন। যত ভাবে পেরেছেন, অবদান রেখেছেন। কিন্তু তারপরও চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জিত হয় নাই।
মোশাররফ এসেছিলেন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের প্রস্তুতির চূড়ান্ত সময়ে। তার সক্রিয় সমর্থনে ও সহযোগিতায় আফগানিস্তানে ন্যাটোর অভিযান পরিচালিত হয়। আফগানিস্তান বেদখল হয় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। সেখানে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ন্যাটো বাহিনীর জয়ে এখন ক্ষয় ধরেছে। নতুন করে তালেবানরা সংঘটিত হচ্ছে। পাকিস্তানের সীমান্ত প্রদেশ তো বটেই, মেইন ল্যান্ডে পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের আগাগোনা বেড়েছে। আফগানিস্তানের যুদ্ধ এখন শুধু আফগানিস্তানের ব্যাপার না। পাকিস্তানেরও ব্যাপার। ফলে, পরিস্থিতি বেশ প্যাঁচ খাইছে।
মোশররফ আর বুশ এই যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করা ছাড়া কোনো সমাধান দিতে পারেন নাই।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের পাকিস্তান রাষ্ট্রের কমান্ডার ইন চীফ এখন পরাস্ত। নিশ্চয়ই নতুন কমান্ডার খুঁজবে তারা। কারণ সিভিল সরকারের ভেতর থেকে তেমন আস্থাভাজন কমান্ডার তারা কখনোই পাবে না। চিন্তা নাই। পাকিস্তানে গণতন্ত্র তাদের মাথাব্যথার বিষয় না। তাদের মাথাব্যথা আফগানিস্তান আর ইরাকের গণতন্ত্র নিয়ে। সো, পাকিস্তানে সাধারণ মানুষ, কোর্ট-কাচারির কী হইলো সেটা ইস্যু না। ইস্যু হইলো দে নিড এ নিউ কমান্ডার ইন পাকিস্তান সেক্টর। কে তিনি?
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রচুর রাষ্ট্রপ্রধান তৈয়ার করছে অতীতে। সেখান থেকে কাউকে না কাউকে তো পাওয়াই যাবে।
এক মোশাররফ গেছে তো কী হইছে। আরও অনেক মোশাররফ আছে।



পাকিস্তান নিয়া আমার লেখা ব্লগ :
Click This Link
Click This Link
Click This Link



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ২৬ টি মন্তব্য
* ২৪৩ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১০ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28832303 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪৬
comment by: কৌশিক বলেছেন: ফ্লাস ব্যাকে ৯০ সাল। খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা একই মঞ্চে।

২০০৭ এ পর্যন্ত দুই জনের শাসনে বিধ্বস্থ দেশ আবার আর্মীর কোলে।


২০০৮ - জারদারী, নওয়াজ একই মঞ্চে।


? পাকিস্থান আবার আর্মীর হাতে।
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪৮

লেখক বলেছেন: একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি?
২. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪৭
comment by: গিফার বলেছেন: এইখানে আবার প্রমান হলো জনশক্তির উপর আর কোন শক্তি নাই...........
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪৯

লেখক বলেছেন: এই জন্যই তো জনশক্তি রপ্তানি করা দরকার।
৩. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৩
comment by: নাঈম বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী লেখা.....
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫

লেখক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৫
comment by: গিফার বলেছেন: খিকজ.............

পোস্ট টা ভালা হইসে....
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬

লেখক বলেছেন: হা হা হা। থ্যাংকস।
৫. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:০৮
comment by: মখআলমগীর বলেছেন: হুমম
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭

লেখক বলেছেন: হ।
৬. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:১২
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: 'আর ও মোশাররফ' নিসন্দেহে আছে। তবে তার চেয়ে বড়ো সমস্যা হলো পাকিস্তানের বড় রাজনৈতিক দল দুটো এখন কিসের ভিত্তিতে একসাথে থাকবে, । ঐক্যমত্যের রাজনিতি করবে? ওদের নিজস্ব কোনো রাজনিতি নাই।

এতোদিন তো মোশাররফ কে কেন্দ্র করে রাজনিতি আবর্তিত হচ্ছিলো।
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৮

লেখক বলেছেন: নতুন মোশাররফের আগমন ঠেকানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারে।
৭. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:২২
comment by: বাংলার রূপ বলেছেন: +
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৯

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:২৭
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: দে নিড এ নিউ কমান্ডার ইন পাকিস্তান সেক্টর। সত্য বলেছেন।
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৯

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট। রিফাত ভাই।
৯. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:২৪
comment by: নার্ভাস নাইনটিজ বলেছেন: রাষ্ট্রপ্রধান তৈরির কারখানা হিসেবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পারফরম্যান্স ভালো!
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৩১

লেখক বলেছেন: আসলেই। অন্যদেশে রাষ্ট্রপ্রধান হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের উচিত কিছু দিনের জন্য হলেও পাকিস্তানে জেনারেল পদে কাজ করা।
১০. ২০ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৫২
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন:
আরও অনেক মোশাররফ আছে।

এইটা খুবই সত্যি পর্যবেক্ষণ। সময়ই হয়তো এর তাৎপর্য প্রমাণ করবে।
২০ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৪৪

লেখক বলেছেন: হ। থ্যাংকস ফর দ্য কমেন্ট।
১১. ২০ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ২:০০
comment by: বিডি আইডল বলেছেন: পাকিস্হান থেকেই তো আমরা শিখলাম..কি করে সেনাবাহিনী দেশের পুরোধা হয়ে যায়..

১৯৭১-৭৫, ১৯৭৬-১৯৭৭ এর পর ১৯৯০-২০০৬ এ বাদে তো বাকী সময়ে আমাদের তাই হয়েছে
২০ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৪৫

লেখক বলেছেন: আমাদের ইতিহাস পাকিস্তানকে অনুসরণ করে কেন?
১২. ২০ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৭
comment by: মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: পাকিস্তানের গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলগুলো সেনাবাহিনী ডিঙিয়ে মাঝে মাঝে ঘাস খায়।
২০ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০

লেখক বলেছেন: কিন্তু সেই ঘাস হজম হওয়ার আগেই সেনাবাহিনী ঘাস খাওয়ার খেসারত নিয়ে নেয়।
১৩. ২০ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৪
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: পাকিস্তানরে সেনাবাহিনীই চালাইব,এইটা নিয়া চিন্তার কোন কারণ নাই।
২০ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯

লেখক বলেছেন: হ।

No comments:

Post a Comment