Thursday, February 26, 2009

মেঘনাদের দেয়া লিঙ্ক থেকে কেউ কি ইউটিউবে গেছিলেন?

১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪৫
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

মেঘনাদ আজফার হোসেন ও আবুল হাসান রুবেলকে নিয়া একটা পোস্ট তিনবার দিছেন। (Click This Link)। এর আগে জুনায়েদ সাকীকে নিয়ে একটা পোস্ট দুইবার দিছিলেন। (Click This Link)। আমার ধারণা তিনি আরও বেশিবার দিছেন বা দিতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক দলের কর্মী/নেতা হিসাবে তিনি ব্লগের মধ্যে তার প্রিয় নেতাদের ভাবমূর্তি নির্মাণের চেষ্টা করতেছেন দেইখা ভাল লাগলো। তার সফলতা কামনা করি।
আমার ইউটিউব দেখার মতো এন্তেজাম নাই। নইলে আমিও তার পোস্ট থেকে ভিডিও দেখতাম। কিন্তু কেউ কি জানাইতে পারেন, এই আলোচনা কেমন হইছে?
মেঘনাদ একবার কইছেন আবুল হাসান রুবেলের জমজমাট আলোচনা, আরেকবার কইছেন বিধ্বংসী আলোচনা। এই শব্দ বদলের বিষয়টা আমি বিশেষভাবে খেয়াল করলাম।
আমার প্রশ্ন হইলো গণসংহতি নেতা আবুল হাসান রুবেল তাত্ত্বিক ও পণ্ডিত আজফার হোসেনের সামনে এনটিভির একটা অনুষ্ঠানে বিধ্বংসী আলোচনা কি করতে পারেন?
আলোচনা কেমনে বিধ্বংসী হয়? আলোচনা কোন কোন বিষয়কে ধ্বংস করার তাকদ রাখে?
আরেকটা প্রশ্ন, এনটিভিতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আলোচনা চলতেছে কেমনে? ফালু ভাইয়ের অবর্তমানে এনটিভি কি তাইলে বামপন্থীরা দখল কইরা নিলো?



প্রকাশ করা হয়েছে: চটজলদি বিভাগে ।



* ১৩৬ টি মন্তব্য
* ৯১৯ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৫ জনের ভাল লেগেছে, ৩ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28830426 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫২
comment by: কৌশিক বলেছেন: আমিও দেখি নাই। তবে রুবেল নাকি বলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হওয়া গরুছাগলদের...... যা কেউ কেউ বলতেছে বিধ্বংষী....
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৪

লেখক বলেছেন: ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হইতে না পারার বেদনা থিকা বামপন্থী নেতা যদি আমাদের মেধাবীদের (অন্তত একাডেমিক দৃষ্টিতে) গাইল পাড়েন তাইলে কি সেইটারে বিধ্বংসী হিসাবে দেখা যায়?
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৫

লেখক বলেছেন: এইটুকুই বিধ্বংসী ছিল?
আজফার হোসেন কি ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট হন নাই জীবনে?
উনি এই আলোচনা সহ্য করলেন কেমনে?
২. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৭
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন:


প্রশ্ন - কিন্তু কেউ কি জানাইতে পারেন, এই আলোচনা কেমন হইছে?
উত্তর - আলোচনা ভালো হৈছে । টিভির টক শোতে যেই মানের টক হয় তার থিকা অবশ্যই ভালো হৈছে ।

প্রশ্ন - আমার প্রশ্ন হইলো গণসংহতি নেতা আবুল হাসান রুবেল তাত্ত্বিক ও পণ্ডিত আজফার হোসেনের সামনে এনটিভির একটা অনুষ্ঠানে বিধ্বংসী আলোচনা কি করতে পারেন? আলোচনা কেমনে বিধ্বংসী হয়? আলোচনা কোন কোন বিষয়কে ধ্বংস করার তাকদ রাখে?
উত্তর - আলোচনা বিধ্বংসী হবার তাকদ রাখে যদি সেইটা একটা বিতর্ক হয় ও সেইটাতে একটা পক্ষ আরেক পক্ষের যুক্তিরে পুরা ধরাশায়ী কৈরা ফালায় । এখন প্রশ্ন তুলতে পারেন কোনটারে আমরা যুক্তি বলবো কোনটারে বলবো না । বা ধরেন কখন বোঝা যাবে একটা যুক্তি আরেকটা যুক্তিরে সুপারসিড করে । এইটার উত্তর জানি না । কারন আমি যুক্তি বা দর্শন বিদ্যার ছাত্র না ।
আর ধরেন আমরা অনেক সময় কোন চিন্তা ভাবনা না কৈরাই বিভিন্ন শব্দ বলি । যেমন, সেদিন আমার এক বন্ধু তার বৌয়ের সাথে ঝগড়া মিটাইতে পারতেছে না খবরটা জানাইতে কৈলো 'বৌরে সিস্টেম করাতারতেছি না' । এইখানে সে কি কৈতে চাইছে সেইটা আমি সিস্টেম করা মানে কি এইটা না জিগাইয়াই বুইজ্জা লৈছি । সেই একই পদ্ধতিতে মেঘনাদ কি কৈতে চাইছেন সেইটাও বুঝে নিছি ।

প্রশ্ন - এনটিভিতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আলোচনা চলতেছে কেমনে?
উত্তর - বাসায় টিভি নাই । কৈতে পারুম না ।

প্রশ্ন - ফালু ভাইয়ের অবর্তমানে এনটিভি কি তাইলে বামপন্থীরা দখল কইরা নিলো?
উত্তর - নিলে নেউক । অসুবিধা নাই । ডানপন্থীরাই শুধু টিভিতে খোমা দেখাবে এইটা কোন কামের কথা না ।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৩৮

লেখক বলেছেন: 'একটা পক্ষ আরেক পক্ষের যুক্তিরে পুরা ধরাশায়ী কৈরা ফালায়'
থেকে একটা প্রশ্ন :
পক্ষগুলা কারা?
আপনের আলোচনা থিকা বুঝতে পারলাম না ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট ছাড়া ওইখানে আর কোনো প্রতিপক্ষ ছিল কি না।
৩. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৯
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন: ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়া গরু ছাগলদের প্রসঙ্গটা যদ্দুর মনে পড়ে আজফার হোসেনই তুলছিলো । কথাটায় সত্যতা আছে । আজফার হোসেনের এ্যাকাডেমিক রেজাল্ট বেশ ভালো আমি যদ্দুর জানি ।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৪০

লেখক বলেছেন: আজফার হোসেন কি আলোচনা এইভাবে শুরু করছিলেন যে, যদি আমি একজন ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট তথাপি এই গরুছাগলদের....?
৪. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:০৫
comment by: কৌশিক বলেছেন: একাডেমিক দৃষ্টিতে এখন গ্রেডিং - ভবিষ্যতে গাইল পারনোর সুযোগ নাই।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৪১

লেখক বলেছেন: পুরানা সিস্টেমে গাইল কেমনে পাড়বেন?
৫. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৪২
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: কৌশিক ভাই,
একটা প্রশ্ন। যারা দেখছে তাদের জিগাইতে পারেন?
ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট ছাড়া আর কারো বিরুদ্ধে আলোচনা কি বিধ্বংসী হওনের সুযোগ পাইছিল?
৬. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৪৫
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন: উদ্ধৃতি
- আপনের আলোচনা থিকা বুঝতে পারলাম না ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট ছাড়া ওইখানে আর কোনো প্রতিপক্ষ ছিল কি না।

আলোচনায় কি ছিলো সেইটা নিয়া আমি কিছু কৈ নাই । আপনে সেইটা জিগানও নাই মনে হয় ।

আজফার হোসেন যদ্দুর মনে পড়ে বলতে চাইছিলেন ভালো ছাত্র হৈতে গেলে কিছু স্কিল রপ্ত করলেই হয় যেইটার সাথে কোন মানবিক শিক্ষার সম্পর্ক নাই । আপনে চাইলে পুরা স্কৃপ্ট দিতে পারি । তবে তার জন্য সময় লাগবে । শুইনা শুইনা টাইপ করতে হবে ।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫১

লেখক বলেছেন: পুরা স্ক্রিপ্ট দিতে হইলে তো মেলা সময় লাগবে।
বরং একটা লিস্ট দেন। কারা কারা প্রতিপক্ষ আছিল আলোচনায়।
আরেকটা প্রশ্ন, ভালো ছাত্র প্রসঙ্গে উঠলো কোন সূত্রে?
প্লিজ।
৭. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫২
comment by: মেঘনাদ বলেছেন: আমার মনে হয় মাহবুব ভাই, আপনি যদি পুরা আলোচনা শুনতেন তাহলে আমার কিছু শব্দের ব্যবহার বা কিছুটা কম গুরত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনি মনোযোগী হওয়ার সুযোগ পেতেন না।
আমি এখানে বিধ্বংসী কথাটা ঠিক শাব্দিক অর্থে ব্যবহার করি নাই। আমার মনে হয় বাংলাদেশের মিডিয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এরকম চাঁছাছোলা বিশ্লেষণ আসেনি। আলোচনাটা হয়েছে খুবই পিনপয়েন্টেড, একদম স্পষ্ট, বর্তমান শাসকশ্রেণীর প্রতি প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক(আমি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সামরিক সব আমলকেই বোঝাচ্ছি)।
যেহেতু আপনার বা আরো অনেকের ইউটিউব দেখার সুযোগ নাই, আমি পুরো আলোচনার বিষয়বস্তু পোস্ট করতে পারি, যদি আপনি রাজী থাকেন।
খুব সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে উঠে আসা আর পশ্চিমে অ্যাকাডেমিক সাফল্য অর্জন করার ক্ষেত্রে আজফার ভাইয়ের মতো খুব বেশি লোক আসেননি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে আজফার ভাই একজন প্রথম শ্রেণীর মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক হিসেবেই স্বীকৃত। আমাদের দেশে বামপন্থী বিতর্কের ক্ষেত্রে একটা প্রচণ্ড শূন্যতা বিরাজ করায় আজফার ভাই এখনও এখানে ঠিক সেভাবে পরিচিত হন। আমরা চেষ্টা করছি জ্ঞানতাত্ত্বিক ক্ষেত্রে সেই শূন্যতা থেকে বেরিয়ে আসার।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০৯

লেখক বলেছেন: মেঘনাদ ভাই,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টে এসে আলোচনার অবতারণা করার জন্য। ইউটিউবের লিঙ্কের চেয়ে আলোচনার স্ক্রিপ্ট বেশি কার্যকর হইতো বইলা আমার ধারণা। কষ্ট করে আলোচনা তুলে দিলে আমরা অবশ্যই ব্যাপারটা জানতে ও বুঝতে পারতাম।
বাংলাদেশের মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার একজন গ্রাহক হিসাবে আমি নিশ্চিত জানি, শাসকশ্রেণীর বিরুদ্ধে এইখানকার মিডিয়ার ক্যামেরা, এডিটিং টেবিল, কাগজ প্রেস ব্যবহার করে কোনো বিধ্বংসী বা ওই টাইপ আলোচনা করা সম্ভব না। ফলে, আমার প্রশ্নটা পদ্ধতিগত। বাংলাদেশের মিডিয়াবলয়ে এনটিভির যে অবস্থান তাতে সেখানে বসে যে আলোচনা করা হচ্ছে সেটা হয় প্রকৃতঅর্থে শাসকশ্রেণীকে আক্রমণ করছে না, অথবা যাকে আক্রমণ করা হচ্ছে সে প্রকৃত শাসক শ্রেণীর মর্যাদা লাভ করে নাই। আমার বিপ্লবী ইলিউশন থিকা আমরা আমাদের বিপ্লবী ব্যক্তিদের মুখনিঃসৃত বাণীর বিপ্লবী ছদ্মতাকে বিধ্বংসী বইলা ভুল করতে পারি। আমার প্রশ্নের উৎস এইখানেই।
আজফার হোসেন আমার কাছে পণ্ডিত ব্যক্তি। জনপ্রিয় টিভিব্যক্তিত্ব হিসাবে তাকে আমি চিনি। কিন্তু আমার সাধারণ ভাবনায় বলে, বাংলাদেশের বামপন্থী চিন্তাধারার ক্ষেত্রে যে প্রচণ্ড শূন্যতা বিরাজ করতেছে সেইখানে তার কোনো অবদান নাই। নয়তো এইখানে আদৌ কোনো শূন্যতা নাই। আমি আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক বিচার-বিশ্লেষণের জায়মান তর্ক-বিতর্কে তিনি কোনো তাত্ত্বিক কন্ট্রিবিউশন রাখছেন বইলা আমি জ্ঞানে নাই। আপনি জানাইতে পারেন।
পশ্চিমের পুঁজিবাদী জ্ঞানের সঙ্গে আমার কিছু পরিচয় আছে। মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিকরা ওইখানে কী করতেছেন সেইটা তেমন জানি না। আপনের কাছে কোনো রেফারেন্স আছে? কোনো লিঙ্ক? যেখানে আজফার হোসেনকে প্রথম শ্রেণীর মার্ক্সসিস্ট বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে?
আরেকটা প্রশ্ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম শ্রেণীর মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক নির্বাচন করা হয় কোন প্রক্রিয়ায়?
৮. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫৪
comment by: মেঘনাদ বলেছেন: আর আলোচনায় মোটেই একে অপরের বিরোধী হননি, একজন আরেকজনের সম্পূরক হিসেবে কাজ করেছেন মাত্র।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:১০

লেখক বলেছেন: বিরোধী পক্ষের কারো অনুপস্থিতিতে আলোচক ও আলোচনাকারী উভয়ে মিলেঝিলে ফাঁকা মাঠে গোল দিছিলেন?
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮

লেখক বলেছেন: আলোচনাকারীর জায়গায় প্রশ্নকর্তা পড়ুন।
সড়ি, ভুল হয়া গেছে।
৯. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫৪
comment by: কৌশিক বলেছেন: পুরানা সিস্টেমে তো একজন ফাস্টক্লাস ফাস্ট হয়, আরেকজন সেকেন্ড হয়। এদের ধরলেই হইলো। সালা ঔ যে একটা ফাস্টক্লাস যায়! এবং তাদের কাজও দেখা যায়। গাইল পাড়নের জায়গাগুলাও দেখা যায়। ভাগ্যিস ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হই নাই।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:১৭

লেখক বলেছেন: কৌশিক ভাই,
আমি বামপন্থী রাজনীতির সংস্পর্শে আছিলাম। জীবনেও ক্লাশ, টিউটোরিয়ালের ধার ধারি নাই। আমার অনেক বামপন্থী বন্ধুও সেটা করছেন। আমি ফার্স্টক্লাশ পাই নাই। কিন্তু আমার কাছে আমি নিজে তো মহা জিনিয়াস, তাই না? এখন আমার এই প্রতিভা নিয়া আমি কী করবো? আমার সহপাঠীদের মধ্যে যে আমার থিকা কম জিনিয়াস ছেলেটি নিয়মিত ক্লাশ-পরীক্ষা দিয়া ফার্স্ট ক্লাশ পাইছে তার দোষটা কোথায়? এমন যদি হইতো যে, আমি নিয়মিত ক্লাশ-পরীক্ষা দিছি। লাইব্রেরিতে গেছি। সময় কইরা পড়ছি, নোট করছি। কিন্তু আমি বাম বইলা আমারে ফার্স্টক্লাশ দেওয়া হয় নাই, তাইলে ব্যাপার অন্যরকম হইতো।
এখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কী দাবি করবো। ভাই, আমরা মহাপ্রতিভাবানরা মধুর ক্যান্টিন বা প্রান্তিকে বইসা রইছি আপনেরা এইখানে আইসা আমাদের কথা শুইনা আমাদের ফার্স্ট ক্লাশ বরাদ্দ দিয়া যান। ক্লাশ-পরীক্ষা দেওয়া 'গরুছাগলদের' থেকে বাঁচার
তাইলে এইটা একটা উপায় হইতে পারে। তাই না?
১০. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:২৭
comment by: কৌশিক বলেছেন: আসলে তর্কটা তো ঐ সিস্টেমের বিরুদ্ধে। এখন চেঞ্জ হয়েছে। ঢাবিতে হইছে কিনা জানি না। ঐ সিস্টেমে কম জিনিয়াসরা ফাস্টক্লাস ফাস্ট হইছে নিয়মিত পঠনে, এইটা মেধাবী শনাক্তকরণের পন্থা নয় বইলাই মেরিট লিস্ট অনুযায়ী চাকুরী মেলে না। এর বিরুদ্ধে সমালোচনার যৌক্তিকতা তো এখানেই রয়েছে। সেজন্য অধ্যবসয়ী ছেলেটিকে গরু-ছাগল বলে সিস্টেমের সমালোচনা হয় না, বিষেদগারই হয়। আমি জানি না রুবেল কি বলেছে কিন্তু তার শিক্ষা-ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তাভাবনা অনেক বেশী প্রগতিশীল ও বাস্তববাদী দেখেছি, সেজন্য না শুনেই বুঝতে পারি - এটা প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির ধরনের বিরুদ্ধে সমালোচনাই ছিল, যা হয়তো বেশ জোড়ালো যুক্তিতে বলীয়ানও ছিল।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৮

লেখক বলেছেন: গরুছাগল কথাটা উচ্চারিত হইলে আলোচনার একটা পরিণতি নির্দিষ্ট হয়া যায়। তারপরও আপনের আশাবাদের সঙ্গে আমিও আশাবাদী থাকতে চাই।
১১. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৪
comment by: মেঘনাদ বলেছেন: আপনার কথার আমি উত্তর দিতে চেষ্টা করি।
প্রথমে একটা জিনিষ বলা দরকার, এনটিভিতে আলোচনাগুলো যে খুব সহজে হচ্ছে বিষয়টা এরকম নয়। প্রচুর কথা সেন্সর করা হচ্ছে। এমনকি এমনও হয়েছে অনেক আলোচনা আলোর মুখ দেখেনি। জোনায়েদ সাকি তার আলোচনায় বর্তমান সরকার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেছিলেন।
একটা কথা নিশ্চয় আপনি স্বীকার করবেন মিডিয়ায় বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন তারা সবাই শাসকশ্রেণীর কথামত উঠে বসেন বিষয়টা এতো সহজ নয়। বা উল্টো করে বলতে পারেন এখানকার শাসকশ্রেণীর সেই চরিত্র বা ক্ষমতা নেই। ফলে প্রচুর অন্তর্দ্বন্দ্ব কাজ করে। বামপন্থীদের উচিত হলো তাকে নিজেদের কাজে লাগানো। পুরো জনগোষ্ঠীকে আপনি যদি শুধু শোষক আর শোষিত এই দুই মোটা ভাগে ভাগ করে ফেলেন তাহলে সেটা মনে হয় ঠিক হবে না।
এনটিভি সাময়িকীর প্রযোজক আলফ্রেড খোকন, অন্যতম একজন গুরুত্বপূর্ণ লোক ফিরোজ ভাই, আজফার ভাই আরো অনেকে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করায় এমনকি শাসকশ্রেণীর একটা অংশ থেকে জোর করে কিছু আদায় করে ফেলা সম্ভব হয়েছে।
আলোচনাগুলো যদি শাসকশ্রেণীর প্রতি ছদ্মআক্রমণ হতো, তবে এরকম আলোচনা অহরহই এনটিভিতে পাওয়া যেতো। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। আমার মনে হয় আমি নিজেকে কিছুটা প্রকাশ করতে পেরেছি।
আজফার ভাইয়ের এটা এখনো একটা বিরাট সীমাবদ্ধতা হলো, উনার কাজগুলো এখনো মূলত অ্যাকাডেমিক ঘরানার। পোস্টমর্ডান আর সাবঅলটার্নদের নিয়ে কিছু খুব ভাল কাজ উনার আছে, যদিও সেগুলো এখনো আমজনতার নাগালের বাইরে।
তবে এই গণ্ডী থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উনার নিজের ও আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আছে, যার ফলে খুব শীঘ্রই সংহতি প্রকাশন থেকে উনার বেশ কিছু বই বের হবে। আজিজ মার্কেটে পাবেন।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। আপনাকে আবারো বলবো আলোচনাটা একটু উদ্যোগ নিয়ে হলেও ইউটিউব থেকে দেখে নেয়া। কারণ আমার ধারণা পুরো ঘটনাটাই আপনার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। অথচ মনে হয় আলোচনাটা না শুনে এটাকে শাসকশ্রেণীর প্রতি ছদ্মআক্রমণ হিসেবে আখ্যায়িত করায় আপনার একটু ফাঁক থেকে যাচ্ছে।

১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৫২

লেখক বলেছেন: ইউটিউব থিকা দেখার কোনো উপায় আপাতত নাই।
আপনে যদি ট্রান্সক্রিপ্ট না করেন তাইলে আপনাদের শোনা কথায় আস্থা রাইখা আগাইতে হবে। আপনার পোস্ট ও পজিশন আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লাগছে বইলাই আলোচনায় প্রবৃত্ত হইছি।
বাকী বিষয়ে পরে সামান্য বলবো।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:২৮

লেখক বলেছেন: এই কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে বাকী কথা :
দুনিয়াটা শোষক ও শোষিত এই দুই ভাগে বিভক্ত বটে। আর কথাটা সত্যও বটে। কিন্তু পুরানা বইলা কথাটার দাম আর তেমন নাই। ফলে, কথাটা আমি কই নাই। ক্ষমতাকাঠামো, শাসকশ্রেণীর বৃহত্তর বলয় ও সেই বলয়ে চর্চিত বুদ্ধিজীবীতা ও কাউন্টার বুদ্ধিজীবীতার পারস্পারিক সম্পর্ক কেমনে রচিত হয় সেইটার খোঁজ জিগাইছি।
শাসকশ্রেণীর মিডিয়ায় গিয়া সবাই নিজেদের হিস্যা দাবি করতে পারে না। নিজের কথা কওনের জন্য স্পেস তৈরি করতে হইলে হয়তো বাংলাদেশের থিকা আমেরিকা গিয়া প্রথম শ্রেণীর মার্ক্সবাদীর তকমা নিয়া আসতে হয়। নয়তো, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ডাকসাইটে শিক্ষক হইতে হয়। সমাজে শাসক ও শাসিত, শোষক শোষিতের মোটাদাগের বিভাগের মধ্যে ছোট স্পেসগুলাতে মূলামূলি করার মতো শ্রেণী, বর্গ ও ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভূক্ত হইতে হয়। আর এই অবস্থানে একজন ব্যক্তি কেমনে তার রাডিকাল মার্ক্সসিস্ট অবস্থান ধইরা রাইখা শাসক মতাদর্শরে খারিজ করেন সেইটা আমার পর্যবেক্ষণের বিষয়।
ফালু ভাই, এনটিভি, কর্পোরেট বিজ্ঞাপনের বাহারের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আলোচনা কিংবা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়া অনাস্থা জ্ঞাপনের অর্থ ও উদ্দেশ্য উভয়টাই পর্যবেক্ষণের বিষয় বটে।
ধরেন, আপনে আমারে পিটাইতেছেন বইলা ধারণা করতেছেন, কিন্তু আমার লাগতেছে না। আমি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাইতেছি না। আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়াইতেছি না। অথচ আমার ক্ষমতা আছে, প্রভাব আছে। তাইলে আপনার কী কর্তব্য? নিজের পিটানোর শক্তি ও পদ্ধতি নিয়া আপনের মনে প্রশ্ন উঠবে না?

আজফার হোসেনের লেখাগুলা পড়তে পারলে খুবই উপকৃত হইতাম। উনি কি প্রথম শ্রেণীর মার্ক্সসিস্ট? নাকি সাবঅল্টার্ন স্কুলে ভর্তি হইছেন? নাকি পোস্টমর্ডানিস্ট বিশ্লেষণের পথ ধরেছেন?
বই বাইরাইলে অবশ্যই পড়বো বইলা আশা রাখি।
১২. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৭
comment by: মেঘনাদ বলেছেন: ফাস্ট ক্লাস ফার্সট ব্যাপারটা কেন এভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বুঝলাম না। আমার মনে হয় আজফার ভাই বিষয়টা এভাবে বোঝাতে চেয়েছেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাটা এমন যে একজন দেখা যাচ্ছে ফাস্ট ক্লাস ফার্সট হচ্ছেন, কিন্তু তার মধ্যে মৌলিক জ্ঞানের কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাত তার রেজাল্টটা পুরোপুরি তার কিছু স্কিলের কারণে ভাল হচ্ছে। তার মানে কি এই বামপন্থীরা এই স্কিল রপ্ত করতে পারে না। অবশ্যই পারে, করেও, এবং অনেকে খুব ভাল রেজাল্টও করে। কোন জ্ঞান অর্জন করা ছাড়াই।
আজফার হোসেন আকাঙ্ক্ষা করেছেন সেই শিক্ষাব্যবস্থার, যেখানে রেজাল্ট আর জ্ঞান সমান্তরালে আগাবে।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৫

লেখক বলেছেন: ফার্স্ট ক্লাশের কাছ থেকে অ্যাকাডেমি কখনোই মৌলিক জ্ঞান চায় না। ফার্স্ট ক্লাশের কাছ থিকা এইটাই আশা করা হয় যে, বিদ্যমান জ্ঞানের উপর ওনার একটা দখল থাকবে। এমনি ডক্টরাল বা পোস্টডক্টরালদের কাছ থিকাও তেমন কিছু আশা করা হয় বইলা আমার জানা নাই। তেমন কোনো অ্যাকাডেমির কথা আপনের জানা থাকলে আওয়াজ দিয়েন। মৌলিক জ্ঞান মানুষ আজফার হোসেনের মতো পণ্ডিতদের কাছ থিকা আশা করে। কিন্তু তিনি কোনো মৌলিক জ্ঞান আমাদের দিতে পারতেছেন না। উল্টা যাদের মৌলিক জ্ঞান দেওয়ার কথা না তাদের ওপর দোষ চাপায়ে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করতেছেন।

মৌলিক জ্ঞান মৌলিক প্রতিভার ব্যাপার। হইতে পারে যিনি মৌলিক জ্ঞান দিবেন তিনি ফার্স্ট ক্লাশ কেন জীবনে কোনো স্কুলেই যান নাই। পৃথিবীর ফার্স্ট ক্লাশরা মৌলিক জ্ঞান কেমন দিছে এইটার একটা পরিসংখ্যান নেওয়া যাইতে পারে এই প্রসঙ্গে।
১৩. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৯
comment by: মেঘনাদ বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে আপনি কালকের মধ্যেই ট্রান্সক্রিপ্ট পেয়ে যাবেন।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
১৪. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫
comment by: মেঘনাদ বলেছেন: ফিরোজ আহমেদ ভাই আছেন এনটিভি সাময়িকীর গ্রন্থনার দায়িত্বে।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৭

লেখক বলেছেন: উনি আমার খুব পছন্দের ব্যক্তি।
১৫. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৭
comment by: মেঘনাদ বলেছেন: আজফার ভাই মোটা দাগে বলা যায় পোস্টালদের বিরুদ্ধে। সাবঅল্টার্নদের তল থেকে দেখা বা এরকম অনেক দৃষ্টিভঙ্গীকে তিনি প্রশংসা করেন, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তার তিনি ঘোর সমালোচক।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬

লেখক বলেছেন: তথ্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৫২
comment by: মেঘনাদ বলেছেন: তবে আপনার এই কথা বুঝলাম না যে অ্যাকাডেমি ফাস্ট ক্লাস ফাস্টদের থেকে মৌলিক জ্ঞান চায় না। এর মানে কি?
বিশ্ববিদ্যালয় ধারণা সৃষ্টি হয়েছে শুধু উচ্চশিক্ষার বিষয় মাথায় রেখে নয়, মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির দিকেও গুরুত্ব দিয়ে। যে কারণে বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বরাদ্দের সিংহভাগই ব্যয় হয় গবেষণায়। অনার্স বা মাস্টার্সে যে থিসিসের কাজ করতে হয় অবশ্যই সেগুলো এই উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে মৌলিক কিছু সৃষ্টি করা জন্য। দুই চার জনের থিসিস থেকে মেরে দেয়ার জন্য না। কিন্তু এখন সেটাই হয়ে গেছে গবেষণা। যে বিশ্বগুলোতে মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টি হয় না সেখানে শিক্ষকের মান নামছে, ফলে শিক্ষার্থীরও মানের অবক্ষয় হচ্ছে। আমাদের দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন এই অবস্থা। কারণ এখানে গবেষণায় বরাদ্দ মোট বরাদ্দের ৫ ভাগেরও কম। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ব্যাপারটা ছিল একদম উল্টা। যেকারণে একসময় এখানে সত্যেন বোস, জিসিদেব-এর মতো শিক্ষক-গবেষক সৃষ্টি হয়েছিল।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:০২

লেখক বলেছেন: অ্যাকাডেমি ফার্স্ট ক্লাশদের কাছ থেকে মৌলিক জ্ঞান চায় না কেন তার কিছু পরিপ্রেক্ষিত আগের আলোচনায় উল্লেখ করছি আমি। এখন দেখা যাইতেছে মৌলিক জ্ঞান বিষয়ে আপনার লগে আলোচনা হওয়া দরকার। গবেষণা, থিসিস আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠে মৌলিক জ্ঞানের আবশ্যিক উপস্থিতি নিয়া আপনের পুলক দেইখা নতুনভাবে বুঝার চেষ্টা করতেছি মৌলিক জ্ঞান আসলে কী?
'উন্নত' বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি মৌলিক জ্ঞানের ইন্ডাস্ট্রি হিসাবে কাজ করে তাইলে তো আমরা এতদিনে মৌলিক জ্ঞানের স্রোতে ভাইসা যাওয়ার কথা।
এখন তাইলে আলোচনা হোক, মৌলিক জ্ঞান আসলে কী?
১৭. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৪
comment by: বিগব্যাং বলেছেন:
সর্বজনাব মামো, দয়া করে (রুবেল ও অন্যান্য প্রসঙ্গে) সীমা লঙ্ঘন করবেন না...
এন্টেনায় টিনের পাতিল বাইন্ধা বিদেশী চ্যানেল দ্যাখার চেষ্টা করা হতো প্রায় ২ দশক আগে...
এসব মেথড বাদ দ্যান...

১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:০৫

লেখক বলেছেন: বড় ব্যাঙ,
আপনে বড় মাস্তান হইয়েন না। আপনের থেকে আমি বড় মাস্তান।
রুবেল বিষয়ে সীমা আমি লঙ্ঘন করবো কি না সেইটা আপনের থেকে শিখতে হবে না আমার। হুমকি দিয়েন না। কথা থাকলে কথা কন।
আর কথা না থাকলে অফ যান।
১৮. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১১
comment by: রাঙা ঠোঁট বলেছেন: মৌলিক জ্ঞান নিলে মৌলবাদী বলবে বলে নেয়না।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১৪

লেখক বলেছেন: হা হা হা।
মৌলিক জ্ঞান নেয়া না, তৈরি করার কথা উঠছে এইখানে।
১৯. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১৩
comment by: বিগব্যাং বলেছেন:
“দয়া করে” শব্দ ব্যবহার করেছি...হুমকি দেইনি...

আপনি কি বুঝতে পারছেন এই পোষ্ট দিয়ে নিজেই নিজেকে হাস্যাস্পদ করছেন...
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১৮

লেখক বলেছেন: আপনি বুঝছেন আপনের মতো বড় কবি নিজের নামে এই কমেন্ট করলে কী হইতো?

সীমা লঙ্ঘন বলতে কবি কী বুঝাইতে চাইছিলেন?

আমি কীভাবে হাস্যাস্পদ হইলাম তা একটু যুক্তি সহকারে বুঝতে চাই। অন্যদেরকেও জানাইতে চাই। একটু সাহায্য করেন।
২০. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১৮
comment by: মেঘনাদ বলেছেন: শেষ একটা কথা, মৌলিক জ্ঞান যদি শুধু মৌলিক প্রতিভার ব্যাপার হয়, তবে জার্মানি-অ্যামেরিকায় শয়ে-শয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কারক পদার্থবিদ, রসায়নবিদের জন্ম হয়, আমাদের এখানে তাদের সংখ্যা হাতেগোনা। কারণটা কি? জনসংখ্যা তো এখানে মোটেই কম না। কোয়ান্টাম ফিজিক্স, মেকানিক্স নিয়ে যারা করেছিলেন, যেমন ধরেন বোর, হাইজেনবার্গ, তাদের বেশির ভাগেরই বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব ভাল রেজাল্টই ছিল। আইনস্টাইনকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্তিতে থেকে কাজ করতে হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানেই গবেষণা করতে হয়েছিল। শুধু পেটেন্ট অফিসে পড়ে থাকলে তার পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব হতো না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধান ছাড়া মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টি প্রায় অসম্ভব ব্যাপার, আর বিশ্ববিদ্যালয় একজনকে কেনই বা সাপোর্ট করবে তার যদি রেজাল্ট ভাল না হয়, তার যতই মৌলিক প্রতিভা থাক না কেন?
১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:২০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। এইটা বুঝলাম। কিন্তু মৌলিক জ্ঞান ব্যাপারটা কী?
২১. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:২৫
comment by: বিগব্যাং বলেছেন: সীমা লঙ্ঘন বলতে বুঝাতে চেয়েছিলাম যে, এই টাইপের পোষ্ট ত্রিভুজ টাইপের ব্লগারদের এরিয়া...ওদের যায়গা আপনি যদি দখল করেন তাহলে একটু কেমন দ্যাখায় না?.
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৩৬

লেখক বলেছেন: কবি বড় ব্যাঙ,
সীমা লঙ্ঘন বলতে তাইলে আপনে এই বুঝাতেই চাইছেন?
গুড।
আমি কীভাবে হাস্যকর হইলাম তার অন্তত একটা নমুনা কিন্তু আপনি দিতে পারতেন। এইসব ফালতু কথা বইলা কী লাভ বলেন?
২২. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
comment by: মেঘনাদ বলেছেন: ভাই, আলোচনা এভাবে ভাল হচ্ছে না। আমরা অনেকটা স্কুল বিতর্কের মতো একজন আরেকজন কে পরাস্ত করতে চেষ্টা করছি। তার চেয়ে আমরা একজন আরেকজনকে বোঝার চেষ্টা করি। তাছাড়া মৌলিক জ্ঞান, মৌলিক প্রতিভা-এসব বিষয়কে তাত্ত্বিকভাবে ব্যাখ্যা করার মতো ক্ষমতা আমার আসলেই নেই। আমি তার চেয়ে কিছু বিষয় সহজভাবে বলার চেষ্টা করি।
একটা মেয়ের কথা ধরুন। ক্লাস এইটে পড়ে। তার পরীক্ষায় একটা প্রশ্ন থাকবে: রচনা লেখ। আমাদের স্কুলগুলোতে যা হয় তা হলো কি কি বিষয় নিয়ে রচনা আসতে পারে তার একটা ধারণা আগেই দেয়া থাকে। ফলে ভাল নম্বর পেতে মেয়েটিকে যা করতে হবে তা হলো দেশের ও কোলকাতার কিছু বাংলা রচনা বই জোগাড় করে সবগুলো মিলিয়ে কিছু রচনা নোট করা।

ধরেন তার একটা নোট করা রচনা হলো 'বাংলাদেশের বন্যা'। সে যদি একটু বুদ্ধিমান হয় তাহলে রচনাটা একটু ভাল করার জন্য সে কিছু বিশ্লেষণ-উপাত্ত পত্রিকা থেকে জোগাড় করতে পারে। কিন্তু এগুলোতে তার নিজের কোন বিশ্লেষণ থাকবে না।
এটা ঠিক যে সব বিশ্লেষণ নিশ্চয় নিজের হওয়া সম্ভব নয়। অন্যের বিশ্লেষণের সিড়ির উপর দাঁড়িয়েই তার বিশ্লেষণ তৈরি হতে পারে। সমস্যা হয় তাতে তা থাকে না। বরং যেহেতু অনেক জায়গা থেকে জিনিসপত্র নিয়ে রচনা তৈরি হয়, তা জগাখিচুড়ির রূপ নেয়। স্বাভাবিকভাবে তাতে বিপুল পরিমাণ স্ববিরোধী চিন্তার সমাবেশ ঘটে। কিন্তু মেয়েটি জানে তাতে খুব বেশি সমস্যা নেই। সে যদি বেশি বেশি পয়েন্টস দিতে পারে, সে বেশি নম্বর পাবেই।
তার নিজের চিন্তার দরকার নেই।
ধরেন সে জানে তার বাসায় যে ছোট মেয়েটি কাজ করে, সে একজন বন্যাদুর্গত। কিন্তু রচনালেখক মেয়েটির সামনে এরকম একটা উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও তা তার রচনায় স্থান পাবে না।
এটা বলা কি খুব অযৌক্তিক হবে, সে যদি অন্য সব কিছ বাদ দিয়ে শুধু সেই বন্যাদুর্গত মেয়েটির কথা তার রচনায় স্থান দিতো তাহলে তা উন্নততর হতো। কারণ সে লেখায় তার পারিপার্শ্বিকতা, পর্যবেক্ষণের ছাপ পরিচয় থাকতো। কিন্তু মেয়েটি ভালই জানে তা করলে তার কপালে খবর আছে।
সমস্যা এখানেই। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আমাদের দেশে এমন শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে, যার ফলে বেশির ভাগ ছাত্রই পর্যবেক্ষণক্ষমতাহীন, পারিপার্শ্বিকতা-সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন, বিশ্লেষণী ক্ষমতাহীন, মুখস্থবিদ্যানির্ভর হতে বাধ্য হয়, আর তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান, টেকনিক্যাল-সেই ভাল ছাত্রের শিরোপা অর্জন করে।
কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের, একাডেমির কি উচিত এরকম ছাত্রকে প্রমোট করা, বা ছাত্রদের কাছ থেকে এইসব জগাখিচুড়িপূর্ণ কাজ আশা করা। আমি আপাতত বিষয়টা এখানেই শেষ করতে চাই।



১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৪৩

লেখক বলেছেন: জ্ঞান অর্জন প্রক্রিয়ায় টেক্সট বইয়ের বাইরের বিষয় থিকা তথা নিজের সমাজ-পরিবেশ থিকা জ্ঞান আহরণের প্রসঙ্গ এবং পরীক্ষার খাতায় সৃষ্টিশীলতা সহকারে সে জ্ঞান উপস্থাপন করা আর মৌলিক জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য যে বিস্তর সেইটা নিশ্চয়ই আপনার মতো বিজ্ঞ মার্কসিস্টের কাছে ব্যাখ্যা করে দিতে হবে না। জ্ঞান অর্জনের উন্মুক্ত ও সৃষ্টিশীল পন্থাকে মৌলিক জ্ঞানের সঙ্গে আপনি গুলিয়ে ফেলবেন এটা আমি ভাবিনি।
আমি স্কুলের ছাত্র, আমার সঙ্গে কি আপনি কলেজ বিতর্ক চালাইতে পারবেন? আপনারে স্কুল বিতর্কই চালাইতে হবে। যদি চালাইতে চান।
আলোচনা শেষ করতে চান করেন। সে ইচ্ছা ভাল, ইতিবাচক। কিন্তু আপনের কর্মকাণ্ড দেইখা তো মনে হইতেছে আলোচনা শেষ করতে চান না। আপনে এই কমেন্ট তুইলা নিয়া নিজের ব্লগে পোস্ট হিসাবে দিলেন। সেইখানে আলাদা আলোচনা শুরু করলেন। ভাবেসাবে তো মনে হইতেছে আলোচনা শেষ করা কোনো ইচ্ছা আপনের নাই। নিজের গণ্ডীর মধ্যে আপনি আলোচনা করতে প্রস্তুত আছেন। তাই না?
২৩. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:১৩
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: ভালই তো চলছিল। দারুন উপভোগ্য লড়াই- জ্ঞানের, বা অজ্ঞানের?
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৪৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রবিউল ভাই। কিন্তু কী করবো বলেন। মেঘনাদ তো ইস্তফা দিছেন। আর আলোচনা করতে চান না শুনলাম।
২৪. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:২০
comment by: নাজিম উদদীন বলেছেন: আলোচনা চলুক। অবসরপ্রাপ্ত বিপ্লবীদের ....

"ডক্টরাল বা পোস্টডক্টরালদের কাছ থিকাও তেমন কিছু আশা করা হয় বইলা আমার জানা নাই। "

মাহাবুব ভাই, আসলেই আপনার জানা নাই। কোন বিষয়ে ডক্টরাল ক্যান্ডিডেসী পেতে হলে অবশ্যই আপানকে ঐ বিষয়ে নতুন কিছু যোগ করতে হবে।
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৫১

লেখক বলেছেন: নাজিম ভাই,
সম্প্রতি দেশের বাইরে পিএইচডি করতে যাওয়া এক বন্ধুর লগে কথা হইতেছি। উনি বাইরের গবেষণা পদ্ধতি নিয়া কথা কইতেছিলেন। কইলেন, পেপারের লাইনে লাইনে, শব্দে শব্দে যেভাবে রেফারেন্স দিতে হয় তাতে ওনার মনে হইতেছে সুপারভাইজার উনি কী কইতে চান তার থেকে উনি কী অনুধাবন করছেন তার দিকেই বেশি আগ্রহী। গবেষণা যখন আপনে করেন তখন একটা তাত্ত্বিক কাঠামো, মাঠকাজের পদ্ধতি, লিটারেচার বিশ্লেষণের পদ্ধতি আপনে ঠিক কইরা নেন। ফলে, শেষ পর্যন্ত যা হয় তা হইলো, আগের জ্ঞান, তথ্য ও বিদ্যার নতুন কইরা উপস্থাপন। নতুন কিছু যোগ করা বলতে সামাজবিজ্ঞান বা আর্টের গবেষণায় এইরকমই দেখি। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রিতে কী হয় আমি কইতে পারুম না।
আরেকটা কথা, খুব খিয়াল কইরেন।
'নতুন কিছু যোগ করা' আর মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টি করার পার্থক্যটা একটু ধরার চেষ্টা কইরেন।
আমার না জানা বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য আপনেরে ধন্যবাদ।
২৫. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:৩০
comment by: বিব বলেছেন: সাক্ষাতকারটি খুব গভীর মনযোগ দিয়ে শুনলে আজফার হোসেন এবং রুবেলের চিন্তাগত অবস্থান পরিষ্কার হয়ে উঠে । দুজনের পক্ষপাত কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার পক্ষে। আবার শুনুন। আমি জানি মেঘনাদ শুনে ধরতে পারলে সাক্ষাতকারটি ইউ টিউব থেকে সরিয়ে ফেলবেন । রুবেল বলেছেন , গরীব মানুষের শিক্ষা দুই প্রকার ১. মাদ্রাসা শিক্ষা ২. এনজিও শিক্ষা । তারপর এনজিও শিক্ষার বাজে দিক তুলে ধরলেন কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কিছুই বললেননা । তার মানে কি ? মাদ্রাসা শিক্ষা ঠিক আছে বলে রুবেল মনে করেন? আজফার বলেছেন গত ৩৭ বছর ধরে কোন ভালো শিক্ষানীতি আসেন। তার মানে ৩৭ বছরের আগে (পাকিস্তানী সময়ে ) ভালো শিক্ষানীতি ছিলো । তাদের আলোচনার বিষয় ছিলো উপনিবেশিক শিক্ষা । এনজিও মানে হচ্ছে নন গর্ভনমেন্ট ওরগানইজেশন । আমাদের পাঠশালা কি ? রুবেল নিজেকে নির্বাহী পরিচালক দাবী করেন কেন ? এই শব্দটি কোন মস্তিষ্কজাত? একবার ভাবুন তো? আজফার বলেছেন নারী বৈষম্ নিয়ে
। আজফারকে যদি বলি আপনার অনুষ্ঠানে কয়জন নারী বিশেষজ্ঞ ডেকেছেন ? এই আলোচনার বিশেষজ্ঞ নারী নয় কেন? এটা কি পুরুষতান্ত্রিকতা নয় ? পুরো আলোচনা সহজ হাততালী পাবার,ধুলি উড়ানোর আলোচনা হয়েছে । আলোচনা হয়েছে পান্ডিত্য ফোটানোর অথবা বলা যেতে পারে পান্ডিত্য দেখানোর প্রতিযোগিতা । সবটাই মনে হয়েছে অসার । তবে আজকের আলোচনা শুনে আজফার হোসেনের রাজনৈতিক দর্শনের দূরভীসন্ধি কিছুটা হলেও পর্সষ্কার হয়েছে । প্রিয় ব্লগারবৃন্দ, আবার মন দিয়ে সাক্ষাতকারটি শুনুন ।
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৯

লেখক বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন আপনি। কিন্তু হায় কেহই উত্তর দিল না। মেঘনাদ এইখানকার একটা কমেন্ট তুইলা নিয়া গিয়া পোস্ট দিছে সেইখানে সবাই আমার পিণ্ডি চটকাইতেছে।
আমি মনে করি এইভাবে কমেন্ট দিয়ে তিনি অন্যায় করছেন। একে আলোচনারে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন।
পরন্তু একটা আলোচনার খণ্ডিত একটা অংশ নিয়া পোস্ট কইরা খণ্ডিত আলোচনার জন্ম দিছেন।
২৬. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:৫৪
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: একটা মন্তব্য করেছিলাম, সেটি গেল কই!!!
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৫৪

লেখক বলেছেন: রিফাত ভাই,
মন্তব্য হারানোর জন্য আমি দায়ী না। আমি কাইলকা সাড়ে পাঁচটার পর আর লগইন করি নাই।
এ বিষয়ে আপনার মত শুনার জন্য খুব আগ্রহ হচ্ছে। দয়া করে কথাগুলো আবার বলবেন? কপি রাইখেন, বড় মন্তব্য লিখলে। হেরিয়ে গেলে মন খুব খারাপ হয়া যায়। আমি তো একটু বড় মন্তব্য করলে কন্ট্রোল+কপি বাটন চাইপা তারপর পোস্ট দেই।
২৭. ১৩ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৩৬
comment by: বিব বলেছেন: সংশোধনী : পূর্বের পোস্টে ---- আজফার বলেছেন গত ৩৭ বছর ধরে কোন ভালো শিক্ষানীতি আসেন। পড়তে হবে : আসেনি ।
দুখিতঃ অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্যে ।
২৮. ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৫৩
comment by: কৌশিক বলেছেন: হাহাহা - অবসরপ্রাপ্ত বিপ্লবীদের লড়াই- ধইরা একেকটারে....
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৫৬

লেখক বলেছেন: আমারে মাইরেন না। আমি কোনো কালে বিপ্লবী আছিলাম না। তাই অবসর নেয়ারও প্রশ্ন ওঠে না।
২৯. ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:১৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: প্রথমত মূল অনুষ্ঠানটা না দেখে সেসম্পর্কে পোস্ট না দিলেই ভালো হতো। তবে উপরিকাঠামোর পর্যবেক্ষণ মন্দ লাগেনি (রিপোস্ট, বিধ্বংসী ইত্যাদি)।

আমি প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ দেখেছি, পুরোটা দেখারই ইচ্ছা ছিল, পিসির গ্রাফিক ড্রাইভারে ঝামেলা থাকায়, হঠাৎ করে পুরো বন্ধ হয়ে যায় এবং শতভাগ দেখা হয়ে উঠেনি।

আলোচনা আমার পছন্দ হয়েছে। আমি বিধ্বংসী শব্দটা দেখে ভেবেছিলাম প্রাজ্ঞ আজফারকে বিপ্লবী রুবেল ধ্বংসের কিনারায় ঠেলে দিয়েছেন, মানে কুপোকাত করেছেন।

পরে দেখলাম দু'জন ভাগাভাগি করে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভালোই আলোচনা করেছেন। তাদের মধ্যে কোনো দ্বিমত ছিলনা। আলোচনাগুলো আমাদের অনেকেরই জানা, তবে টিভিতে এরকম আলোচনা দেখা যায়না।

আলোচনায় বেশ কয়েকটি দিক এসেছে, রুবেল শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যের কথা বলেছেন (মাদ্রাসা, সাধারণ, ইংলিশ মিডিয়াম), একমুখী ও গণমুখী শিক্ষাব্যবস্থাকে সাজেস্ট করেছেন। প্রসঙ্গক্রমে ড. আজফার বলেছেন যে বিদ্যমান কলোনিয়াল শিক্ষাব্যবস্থায় একজন প্রথম শ্রেণীতে প্রথমও 'গরু-গাধা'র জ্ঞান নিয়ে পাশ করতে পারে।
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৩১

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ একমত যে, আলোচনাটা না দেইখা আলোচনা নিয়া পোস্ট দেওয়া উচিত ছিল না। আমার মাথায় সেইটা ছিল। ফলে, এ পোস্ট সাইডে সাইডে আগাইছে। আলোচনা যারা দেখছেন তাদের মাধ্যমে আমি আলোচনারে পাঠ করার চেষ্টা করছি। তাতে ভুল ভাল হইতে পারে। কিন্তু যতদূর বুঝছি তাতে সমস্যা তেমন কিছু হয় নাই। ফাঁকে কিছু বেসিক বিষয়ে কথা বলা গেছে।
আপনার বর্ণনা থেকেও কিছু জিনিশ বুঝতে পারলাম। আলোচনা তো খারাপ করার কথা না ওনাদের। টিভি ব্যক্তিত্ব হিসাবে আজফার হোসেনের আমি ভক্ত। মাঝে মাঝে চোখের সামনে পড়লে অনুষ্ঠানটা দেখি। ভাল অনুষ্ঠান।
কিন্তু এনটিভির এই অনুষ্ঠান কী মনে কইরা বিপ্লবী হয়া উঠতে চায় বা বিপ্লবী বইলা নিজেরে ক্ষেত্রেবিশেষে জাহির করতে চায় সেইটা নিয়া আমার প্রশ্ন। অর্থাৎ বিশেষ আলোচনাটি এখানে প্রসঙ্গ বটে। কিন্তু পরিপ্রেক্ষিতটা তারচেয়ে বড় পর্যবেক্ষণের বিষয়।
ফলে, আলোচনাটা দেখা আমার কর্তব্য হইলেও, দেখতে না পারার বেদনা আমারে প্রশ্ন করা থেকে রেহাই দিতে পারে নাই।
আজফার হোসেন প্রথম শ্রেণীতে পাশ করা কিছু ব্যক্তির জ্ঞানকে গরু-গাধার জ্ঞানের লগে তুলনা কইরা সমস্যা বাঁধাইছেন। একজন অবশ্য কইলেন, কথাটা আবুল হোসেন রুবেল কইছেন। যেই কউক, কথা হইলো গরু-গাধার সঙ্গে তুলনা করার অ্যাপ্রোচটা আমার ভাল ঠেকলো না।
আবারও আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাদের সঙ্গে বিষয়টা শেয়ার করার জন্য। আমি মেঘনাদের ট্রান্সক্রিপ্টের অপেক্ষায় আছি। উনি ট্রান্সক্রিপ্ট দিবেন বইলা কথা দিছেন।
৩০. ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:২৭
comment by: সুতরাং বলেছেন: এই অনুষ্ঠানের একটি সিডি আমার কাছে আছে। কিন্তু এটা থেকে কিভাবে লিঙ্ক দিতে হয়- তা জানি না। আদৌ কি সিডি থেকে লিঙ্ক দেয়া যায়? কেউ জানালে উপকৃত হব।
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৩২

লেখক বলেছেন: শাওন, সিডিটা আমারে একদিনের জন্য ধার দিবেন? সিডি থিকা লিঙ্ক দেয়া যায় না।
৩১. ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৩৯
comment by: সুতরাং বলেছেন: আপনি চাইলে যেকোনও দিন দিতে পারি। শনিবার সন্ধ্যায় আজিজে যাব। আপনার সময় থাকলে আজিজে আসলে দেখা হতে পারে। তখন সিডিটা দেয়া যাবে।
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪৪

লেখক বলেছেন: নিয়া আইসেন। দেখা হবে।
৩২. ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:০০
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: "আজফার হোসেন প্রথম শ্রেণীতে পাশ করা কিছু ব্যক্তির জ্ঞানকে গরু-গাধার জ্ঞানের লগে তুলনা কইরা সমস্যা বাঁধাইছেন। একজন অবশ্য কইলেন, কথাটা আবুল হোসেন রুবেল কইছেন। যেই কউক, কথা হইলো গরু-গাধার সঙ্গে তুলনা করার অ্যাপ্রোচটা আমার ভাল ঠেকলো না"।

মা,মো---এই বিষয়ে আপনার সাথে আমি সহমত।বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়,তারা সত্যিকারের মেধাবী কিনা জানিনা(নির্ণয়ের পন্থাটা কি,জানলে ভালো হতো,আমি জানিনা!) কিন্তু নিশ্চিতভাবেই মেধাবী।এইভাবে তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাটা কৌশিক ভাই যেমন বলেছেন,শুধু বিষেদাগারই করা মনে হয়।

কিন্তু আপনি মৌলিকজ্ঞান নিয়ে যে রকম প্যাঁচানো শুরু করছেন,তাতে মনে হইতেছে উপর থেকে আপেল নিচে পড়তে দেখে শুধু নিউটন-ই মৌলিকজ্ঞান সৃষ্টি করে গেছেন।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কখণো কোন মৌলিক জ্ঞ্যান সৃষ্টি হয়নি।

বাই দ্যা ওয়ে,আমি এখণো ভিডিও'টি দেখার সুযোগ পাইনি।

১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:২৬

লেখক বলেছেন: আপনার সঙ্গে সহমত ব্যক্ত করে আনন্দিত হলাম।

দুনিয়ায় মৌলিক জ্ঞান আসলেই কম লোকে সৃষ্টি করছেন। দেখার, বিশ্লেষণের, পর্যবেক্ষণের, সক্রিয়তার ধারাকে পরিবর্তন করার মতো জ্ঞান আমরা খুব কমই পেয়েছি। আর কম পাইছি বইলাই সেইগুলা গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রয়েড, কার্ল মার্কস, ডারউইন, আইনস্টাইন, গ্রামশি, ফুকোর পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট ক্লাশধারীদের দাঁড়া করাইতে চাইলে একটু অসুবিধা তো হবেই। তাই না?
৩৩. ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:০২
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: নিশ্চিতভাবেই "মেধাবী"।এখানে মেধাবী'র পরিবর্তে অধ্যবসায়ী হবে।
৩৪. ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:১২
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কখণো কোন মৌলিক জ্ঞ্যান সৃষ্টি হয়নি।
এখানে একটা যতি চিহ্নের বেশকম হয়ে গেছে।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কখণো কোন মৌলিক জ্ঞ্যান সৃষ্টি হয়নি?এইটা আসলে আপনার কাছে আমার জানতে চাওয়া ছিলো।

ফ্রয়েড, কার্ল মার্কস, ডারউইন, আইনস্টাইন, গ্রামশি, ফুকোর----যাদের নাম বললেন,শুধু তারাই মৌলিক জ্ঞান দিয়ে গেছেন,ব্যাপারটা এমন নয়।কিন্তু এঁদের প্রভাব অনেক বেশী।
আবার মৌলিক জ্ঞান বলতে আপনি কি বুঝাতে চান আমি সেটাও বুঝি নাই।কিন্তু যাঁদের নাম নিয়েছেন,তাদের প্রত্যেকেই পূর্ববর্তী বৈজ্ঞানিক থিওরী,ইতিহাস,দর্শন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছেন।
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

লেখক বলেছেন: যাতনার যতি, মায়ার মূরতি।

অপেক্ষা করতেছি, এই কমেন্টে কোনো যতি চিহ্ন বাদ পড়ছে কি না তা জানার জন্য। আমি একটা কয়া পরে দেখবো আপনে এক ঘণ্টা বারো মিনিট পর আইসা কইতেছেন ঘটনা অন্য। আপনি যতি চিহ্নের ভুল কতক্ষণ পরে অনুধাবন করতে পারেন?
মৌলিক জ্ঞান কথাটা আমি তুলি নাই। এনটিভির আলোচনায় উঠছে। চলেন আমরা ওনাদেরকেই জিজ্ঞেস করি। কোন সংজ্ঞার ভিত্তিতে মৌলিক জ্ঞান কথাটা ওনারা ব্যবহার করছেন। আমি কেমনে দেখি সেইটা নিয়া লেখতে চাই। তার আগে কিছু আবশ্যিক খোঁজ-খবর সেরে নিতে চাই।
৩৫. ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১১
comment by: অপূর্ব সোহাগ বলেছেন: মাহবুব ভাই কী অবস্থা?
১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২১

লেখক বলেছেন: ভাল। আপনের খবর কী?
৩৬. ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: এনটিভির বিষয়টা আমার মনে হয়, ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে পড়া ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান এটা। প্রযোজক আলফ্রেডকে চিনি, রএডিকাল (য-ফলাটা আনতে পারছি না) হবার বাসনা তার আছে। ফিরোজ আহমেদ, ড. আজফার, রুবেল সব মিলে একটা আনকনভেনশাল কিছু একটা বেরিয়ে গেছে, খানিকটা গেরিলা কায়দায়। ফালুর অনুপস্থিতি বা উপস্থিতি এখানে তেমন ম্যাটার করেনি মনে হয়, বা করতেও পারে।

আমি অবশ্য এনটিভি সাময়িকীর এই একটা পর্বই দেখেছি, সঙ্গত কারণে অন্যগুলো দেখিনি।

ড. আজফার ভালো ছাত্রদের বিষয়ে যে-টোনে বলেছেন তা আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়নি। তিনি গরু-গাধা উল্লেখ করে আবার এটাও ব্র্যাকেটে বলেছেন যে গরু-গাধাও কম প্রয়োজনীয় প্রাণী নয়। তবে যে-পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়, তাতে ক্লাসের সেরা/মেধাবি ছাত্রের প্রথম হওয়া নিশ্চিত করেনা। বরং পড়ুয়া, পরিশ্রমী ও 'ভালো যোগাযোগকারী'র প্রথম স্থানটি দখল করার সম্ভাবনা বেশি। তবে ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবি ছাত্রটির যদি এইসব গুণাবলীও থাকে তবে তাকে ঠেকাবে কে?

ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনোই প্রথম হইনি, আশপাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করেছি -- তথ্যটা এজন্য দিলাম যে বক্তার বক্তব্যকে তা অধিক স্পষ্ট করে তুলতে পারে।

১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:২০

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
বাংলাদেশের মিডিয়ার একজন একনিষ্ঠ পর্যবেক্ষক হিসাবে গেরিলা কায়দায় মিডিয়ায় বিধ্বংসী মার্ক্সবাদী আলোচনার সম্ভপরতা বিষয়ে যে ভাষ্য দিলেন তা নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এর সম্ভবপরতা নিয়া আমার কিছুটা সন্দেহ আছে। আলফ্রেড খোকনের আন্তরিকতা নিয়া প্রশ্ন নাই। এমনকি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিকতা নিয়াও প্রশ্ন নাই। তারা একটা ভাল অনুষ্ঠান করলে আমাদের খুশী হওয়ার কথা। কিন্তু সমস্যা হইলো এইটার বিপ্লবী ফ্লেভার দেয়ার চেষ্টায়। এইটারে একটা বিপ্লবী কাজ বানাইয়া এক্সটা ক্রেডিট নেয়ার প্রক্রিয়ায়।
মিডিয়া গেরিলা হইতে পারলে তো ভালই, গাছেরটাও খাইলাম তলারটাও কুড়াইলাম। ধর্মেও থাকলাম জিরাফেও।
গরু-গাধা আজফার হোসেনের মতো তাত্ত্বিক-পণ্ডিতের কী কাজে আসে তা আরেকটা প্রশ্ন বটে।
আপনার বক্তব্য খুব ভাল লাগলো। আসলেই ঠেকানোর কেউ নাই। আমি এমন কোনো মহাপ্রতিভা দেখলাম না যে খাটছে তারপরও একাডেমি যারে ঠেকাইছে। বরং ফার্স্ট ক্লাশ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়ার জন্য বহু বাম মেধাবী বিএনপি আওয়ামী লীগের ঘরে ঠেইকা যাইতে দেখলাম।
৩৭. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:২৭
comment by: বিব বলেছেন: ফাহমিদুল হক@ সাক্ষাতকারটি খুব গভীর মনযোগ দিয়ে শুনলে আজফার হোসেন এবং রুবেলের চিন্তাগত অবস্থান পরিষ্কার হয়ে উঠে । দুজনের পক্ষপাত কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার পক্ষে। আবার শুনুন। রুবেল বলেছেন , গরীব মানুষের শিক্ষা দুই প্রকার ১. মাদ্রাসা শিক্ষা ২. এনজিও শিক্ষা । তারপর এনজিও শিক্ষার বাজে দিক তুলে ধরলেন কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কিছুই বললেননা । তার মানে কি ? মাদ্রাসা শিক্ষা ঠিক আছে বলে রুবেল মনে করেন? আজফার বলেছেন গত ৩৭ বছর ধরে কোন ভালো শিক্ষানীতি আসেন। তার মানে ৩৭ বছরের আগে (পাকিস্তানী সময়ে ) ভালো শিক্ষানীতি ছিলো । তাদের আলোচনার বিষয় ছিলো উপনিবেশিক শিক্ষা । এনজিও মানে হচ্ছে নন গর্ভনমেন্ট ওরগানইজেশন । আমাদের পাঠশালা কি ? রুবেল নিজেকে নির্বাহী পরিচালক দাবী করেন কেন ? এই শব্দটি কোন মস্তিষ্কজাত? একবার ভাবুন তো? আজফার বলেছেন নারী বৈষম্ নিয়ে
। আজফারকে যদি বলি আপনার অনুষ্ঠানে কয়জন নারী বিশেষজ্ঞ ডেকেছেন ? এই আলোচনার বিশেষজ্ঞ নারী নয় কেন? এটা কি পুরুষতান্ত্রিকতা নয় ? পুরো আলোচনা সহজ হাততালী পাবার,ধুলি উড়ানোর আলোচনা হয়েছে । আলোচনা হয়েছে পান্ডিত্য ফোটানোর অথবা বলা যেতে পারে পান্ডিত্য দেখানোর প্রতিযোগিতা । সবটাই মনে হয়েছে পাতনো । তবে আলোচনা শুনে আজফার হোসেনের রাজনৈতিক দর্শনের দূরভীসন্ধি কিছুটা হলেও পরিষ্কার হয়েছে । মেঘনাদ জানাচ্ছেন, অালোচনা নাকি সেনসর করা হয়েছে । তাহলে কি বুঝবো?
৩৮. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৩৯
comment by: অপ বাক বলেছেন: বামপন্থীদের সংস্পর্শে থাকা মাহবূব মোর্শেদের লেখা এবং তার বক্তব্য উপস্থাপনের ভঙ্গি দেখে যদিও মাহবুব মোর্শেদের সাথে আলোচনা আদৌ সম্ভবপর মনে হচ্ছে না- এরপরও কিছু স্কুল ছাত্রের মতো প্রশ্ন দিয়ে মাহমুব মোর্শেদের সাথে আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী হয়ে উঠলাম।

মাহবুব মোর্শেদের বিবেচনায় জ্ঞান কি? যেভাবে মাহবুব মোর্শেদের ভাষায়- বিদ্যমান জ্ঞানের উপরে ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্টের দখল থাকবার নিশ্চয়তা পাওয়া গেলো সেখান থেকেই প্রশ্নের উৎপত্তি-


মাহবুব মোর্শেদ- আপনার বিবেচনায়- জ্ঞান কি? জ্ঞানের সংজ্ঞা এবং এর উৎপাদন, এর বিস্তার এবং এর বিকাশ কিভাবে হয়, এটা কিভাবে বর্ধিত হয়, এবং ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে বিদ্যমান জ্ঞানের গাছ বিবর্তিত হয়ে নতুন মৌলিক একটা জ্ঞানবৃক্ষ জন্ম নেয়?

ঠিক কোন পর্যায়ে কি বিবেচনায় মৌলিক জ্ঞান বিদ্যমান জ্ঞানবিচ্যুত হয়ে আলাদা সত্ত্বা পায়?
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:১৬

লেখক বলেছেন: অপ বাক,
সো ফার আই ক্যান রিকল, আপনের লগে স্কুল বিতর্ক, কলেজ বিতর্ক কিছুই আমার এ যাবত হয় নাই। তারপরও যে আপনের মনে হইলো আমার লগে আলোচনা সম্ভব হইতেছে না, সেই ভাষ্যের উৎপত্তি কোথায়? জনাব কি অন্য নামে তর্ক করতে আছিলেন?
আমার ব্লগে আপনের ঐতিহাসিক প্রথম কমেন্টেই এই অনাস্থা দেইখা আপনের লগে আলোচনা শুরু করার আগ্রহ পাইতেছি না।
তবে একটা তথ্য দেই, শিমুল ভাইয়ের কথার পিঠে কইছিলাম মৌলিক জ্ঞান বিষয়ে একটা লেখা দিবো। আপনের চোখে পড়লে পইড়েন।
৩৯. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:১০
comment by: ব্রাইট বলেছেন: ভালুই চলসে।
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭

লেখক বলেছেন: হ।
৪০. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৪০
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: ভুল যখন করেই ফেলেছি,সেই ভুলের দ্বায়ভারও মেনে নিচ্ছি।সওদাগরী কোম্পানীতে কাজের ফাঁক-ফোকরে ব্লগে লেখি,তাই মাঝে মধ্যে টাইপিং মিসটেক হয়ে যায়।তাও সৌভাগ্যই বলতে হবে,অফিসের কেউ বাংলা’র “ব”ও বোঝেনা,তাইলে চাকরিটাও যাইতো।

“কিন্তু আপনি মৌলিকজ্ঞান নিয়ে যে রকম প্যাঁচানো শুরু করছেন,তাতে মনে হইতেছে উপর থেকে আপেল নিচে পড়তে দেখে শুধু নিউটন-ই মৌলিকজ্ঞান সৃষ্টি করে গেছেন”।
আগের কমেণ্টে ,এইটা যখন লিখছি তখন পরের কমেণ্টেই আপনার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত মনোভাবের সাথে একমত হওয়ার কোন কারণ নাই।

“শুধু একাডেমিক গবেষনায় মৌলিক জ্ঞ্যান তৈরি হয় কিংবা একাডেমিক গবেষনা মৌলিক জ্ঞ্যান কখনোই সৃষ্টি করতে পারেনা” দুইটার কোনটার সাথেই একমত না।
তবে আজকের যুগে একাডেমিক গবেষনা কিংবা পঠন-পাঠনই মৌলিক গবেষনা’র ক্ষেত্রে এগিয়ে এইটা মনে করি।এখন তো আর আর্কিমিডিসের যুগ না যে বাথটাবে গোসল করতে গিয়ে প্লবতার মৌলিক সুত্র আবিষ্কার করেছিলো এবং সেখান থেকে দিগম্বর অবস্থায় দৌড়াতে দৌড়াতে সেই আবিষ্কারের কথা সবাইকে জানিয়েছিলো।

এখানকার দিনে’র অগ্রগামী( এডভান্সড্‌)বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সমূহ ওই পশ্চিমা দেশগুলোর উন্নত এবং অর্থশালী ল্যাবটরীতেই হয়।বিংশ শতাব্দীর সর্বশেষ প্রভাবশালী দার্শনিক হিসাবে যাকে মানা হয়,সেই মিশেল ফুকো ফ্রান্সের সবচেয়ে নামজাদা আর্ট ইন্সটিউট École Normale Supérieure- এর ছাত্র ছিলেন এবং কলা শিক্ষায় পশ্চিমা দেশের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করেছেন।

@ফাহমিদ ভাই,;“তিনি গরু-গাধা উল্লেখ করে আবার এটাও ব্র্যাকেটে বলেছেন যে গরু-গাধাও কম প্রয়োজনীয় প্রাণী নয়”।ডঃআজফার এইটা বলেও কিন্তু উনি একাডেমিক ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট-দের নিয়ে যে তাচ্ছিল্য করেছেন,তাকে কম্পেনসেট করতে পারেন না।“গরু-গাধা” এই শব্দের আমাদের সমাজে একটা নির্দিষ্ট কনটেকচুয়াল মিনিং আছে,উনি সেটা ভাংতে চাইলে,সেটা’কে আগে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে,না হলে আম-জনতা যেই অর্থে শব্দজোড়’টিকে ব্যবহার করে , সেই অর্থেই কিন্তু বুঝবে।অবশ্য হানিফ সংকেত ইত্যাদি’তে বেশ কয়েকবার “গরু,গাধা,বাঘ,ছাগল” এইগুলো শব্দের ব্যবহারিক উপযোগিতা এবং কন্টেক্সচুয়াল মিনিংয়ের বৈপরিত্য তুলে ধরে সেইটাকে ভাংগার চেষ্টা করছেন।ডঃআজফর হানিফ সংকেতের সেই মিশনে নামছেন কিনা,এইটা অবশ্য আমার জানা নাই।

আমি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্টের ধারে কাছেও কখণো ছিলাম না।যত উপরের ক্লাসে উঠেছি, একাডেমিক রেজাল্ট তত খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে।সুতরাং ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট’রে গরু-গাধা বললেও আমার তেমন আসে-যায় না।আগেভাগেই জানাইয়া রাখলাম যাতে কেউ বেমক্কা প্রশ্ন না করে বসে,”আপনার এতো লাগতেছে ক্যান”।

ও সর্বশেষে আরেকটা প্রশ্ন মেধাবী'র সংজ্ঞা কি? উনারা কি ঈশ্বর প্রদত্ত(আস্তিকদের জন্য) নাকি প্রকৃতিদত্ত(নাস্তিকদের জন্য) ভাবেই মেধাবী নাকি পারিবারিক- সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরিবেশই মেধাবীদের জন্ম দেয়?আর প্রকৃত মেধা নির্ণয়ের পন্থাই বা কি? আমেরিকা'র মিলিটারির আদলে আই,কিউ টেষ্ট নাকি ম্যাথ অলিম্পিয়াড নাকি আন্তর্জাতিক প্রোগামিং কন্টেষ্ট?

যে কেউ উত্তর দিলেই কৃতজ্ঞ থাকবে?
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:২৫

লেখক বলেছেন: একবার একমত হওয়ার সুযোগ পেয়ে পরে আবার তা মিস করায় নিজেকে বোকা বোকা লাগছিল। তাই ওরকম বলেছিলাম।
আপনার দেয়া তথ্যগুলো জেনে রাখলাম। বিশ্লেষণগুলো বোঝার চেষ্টা করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪১. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৪১
comment by: বিডি আইডল বলেছেন: দেখি নাই..
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:২৬

লেখক বলেছেন: মি টু।
৪২. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৪৮
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন:

মাহবুব মোর্শেদ ভাইসাহেবের কাছে অধমের একটা প্রশ্ন -

ধরেন আমি কিছু করার এ্যাটেমপ্ট নিলাম । স্বাভাবিক ভাবেই আমি চাই আমার কাজটা একটু ভালো ও ব্যতিক্রমি হোক । এখন এই কাজটা নামাইতে গেলে ঠিক কখন মনে হৈতে পারে যে আমি বিপ্লবী হয়া এক্সট্রা ক্রেডিট নিতে চাইতেছি ? আগে বিপ্লবী হয়া ক্রেডিট নিতে চাইছে এরকম দুএক্টা লোক ও তারা যেই কাজের জন্য দাগী হৈছিলেন সেইরকম দুইএকটা কাজের উদাহরন দিলে পুরা ব্যাপারটা ক্লিয়ার হৈতো ।
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৩

লেখক বলেছেন: হাসিব ভাই সাহেব,
ধরেন আপনি যখন মার্ক্সসিস্ট-লেনিনিস্ট একটা দলের নেতা, বা ওই দলের অফিশিয়াল বা আন-অফিশিয়াল তাত্ত্বিক। আপনে শাসক শ্রেণীর একটা টিভি মাধ্যমে, তাদের নিয়ম মাইনা যখন একটা অনুষ্ঠান করলেন, তাদের সেন্সর-ব্যবস্থাপনা মাইনা নিলেন। সেইখানে আপনে ভাল আলোচনা করতে পারেন, কিন্তু সেই আলোচনা বিপ্লবী না হওয়া সত্ত্বেও সেইটারে আপনে বিপ্লবী বইলা প্রচার করলেন। আর আপনার অনুসারিরা সেইটারে বিধ্বংসী, বিপ্লবী আলোচনা বইলা স্বীকৃতি দিল।
আরও উদাহরণ চান? দিতে পারি। ক্লিয়ার হইলে আওয়াজ দিয়েন।
৪৩. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৫৭
comment by: রাসেল ( ........) বলেছেন: মৌলিক জ্ঞান বাংলাদেশের ভবিষ্যত সুশীলদের জন্য ব্যপক সম্ভাবনাময় একটা ক্ষেত্র- বিদ্যমান জ্ঞান থেকে মৌলিক জ্ঞানের তফাত নির্ধারণ করে বাংলাদেশের সুশীলেরা ব্যপক অর্থনৈতিক সম্ভবনার দ্বার উম্মোচন করেছেন, আমার নীল শার্ট পড়া আউলা ঝাউলা চুলের মাহবুব ভাই বিদ্যমান জ্ঞানের অস্তিত্বরে প্রশ্ন করেন নাই, বামপন্থীর সংস্পর্শ্বে থাইকা হুদাই কথা কওনের স্বভাবটাই রপ্ত করছে নিলুয়া, আলোচনা করবার ক্ষমতা অর্জন করে নাই।

তবে মাহবুবের প্রয়াস সফল হোক, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে মৌলিক জ্ঞান রপ্তানি করে ব্যপক বৈদেশীক মুদ্রা অর্জন করবে।

কলু মুর্শেদ একটা কথা কই তোমারে জিগারে নিও না ভাইটু-

কিছু কিছু জিনিষ টিভিতে খাইতে দেখলে সেই দেখায় শরীরে পুষ্টি হয় না, বিজ্ঞাপনের টেবিলে খাওয়া দেইখা সেই খাওয়ার স্বাদ নিয়ে তোমার জ্ঞানগর্ভ চোথালোচনা থেইকা নিজেরে কিছুতেই বিরত রাখতে পারো না?

তোমার পেটের ধান্দায় লিখা জিনিষগুলো দেখলে আমার পেটের খাওয়া পেটে থাকে না, বমি হইয়া যায়, ভরপেটে তাই তোমার লেখা পড়ি না আমি।

শেষ বার ম্যান্ডেলার উপরে যেই লেখাটা লিখছিলা ঐটার চোথাটা উল্লেখ কইরা দিলে ভালো হইতো, কপি কইরা সেইটার ঋণ স্বীকার করবার পদ্ধতি কিন্তু বিদ্যমান জ্ঞানের ভেতরে আছে। এইটারে কয় শোভন ভাবে রেফারেন্স দেওয়া, আর সেই রেফারেন্স না দিয়ে কারো লেখা পুরাটা ছাপাইয়া দেওয়ারে কয় চুরি,

বিদ্যমান জ্ঞান বলে ঋণ স্বীকার তথ্যসূত্র উল্লেখ করা, কোনও জীবনি কিংবা সাক্ষাৎকার থেকে গণমাধ্যমে কিংবা একাডেমিক প্রাঙ্গনে প্রকাশিত যেকোনো লেখায় কোনো তথ্য অবিকৃত ব্যবহার করলে সেইটার কৃতজ্ঞতা স্বীকার কইরা যে পরিশ্রম কইরা কাজটা করছে তার অবদানটারে স্বীকৃতি দেওয়াটা শোভন সৌজন্যতা- তয় বামপন্থীদের সংস্পর্শ থাইকা এই শোভনতাও হারাইছো দেখি।
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৫

লেখক বলেছেন: ডটেড রাসেল,
আমার ব্লগে তোমার মতো ভাইস্তা টাইপ ব্লগারের শুভ পদার্পনে আমি যারপরনাই মোহিত। নিজেরে তুমি প্রতিভাবান ভাবো, এখন তোমার প্রতিভা ব্যবহার করে আমারে বুঝাও ঝাউলা চুল আর নীল শার্টের লগে এই আলোচনার সম্পর্ক কী?
এই আলোচনা তোমার গায়ে গিয়া ডটের ক্ষতি করলো কীভাবে?
তোমার মতো ফালতু লোকের সঙ্গে আলোচনা করার আগ্রহ আমার নাই। তুমি আসতে পারো।
তবে যাওয়ার আগে এখানে অপ্রাসঙ্গিক যে অভিযোগ তুমি উত্থাপন করছো তার উত্তর শুইনা যাও।
আমার লেখা নিয়মিত পইড়া বমি করার উদাহরণ যেহেতু তোমার আছে তুমি ভাল কইরাই জানো উৎস, ফুটনোট আমি খুব ভাল কইরাই উল্লেখ করি। ম্যান্ডেলাকে নিয়ে লেখাটায় আমি কোনো একক সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করি নাই। বিন্যাস ও ভাষা আমার নিজের। আর ভিতরে যাদের কথার উল্লেখ আছে তাদের নাম উল্লেখ করছি। বমি করছো বইলা লেখাটা পড়ার অবকাশ হয়তো পাও নাই। তোমার মতো বমিবাদী ব্লগারের কাছ থিকা আর কী বা আশা করা যায়?
তবে এইটা বেশ ভাল লাগলো যে, আমার এই লেখাটা তোমারে আকৃষ্ট করতে পারছে। মেঘনাদের পোস্টে নাদিতেছিলা। এখন আমার পোস্টে নেদেছো। কিন্তু আমাদের বিতর্ক বিষয়ে ভাইস্তা তোমার মত তো জানা গেল না।
চাচা কেমন আছে? তারে আমার সালাম দিও।
৪৪. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ২:০৫
comment by: আরিফ জেবতিক বলেছেন: ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট আলোচনা ! :)
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৩

লেখক বলেছেন: ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট কমেন্ট!
৪৫. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৩
comment by: কাঙাল বলেছেন: আপনিও কি ভাই জেডার লগে একমত?
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৪

লেখক বলেছেন: জেডা কেডা?
৪৬. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৬
comment by: কাঙাল বলেছেন: কত না অবলিলায় লাখ লাখ শব্দ অপচয় করিয়া চলিতেছেন, কিন্তু আপনারা নিজেরাই জানেননা আপনাদের আলোচ্য বিষয় কি, হায়রে বাঙালী, আলোচনার বিষয় পায় না।
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৫

লেখক বলেছেন: হ ঠিকই কইছেন।
বাঙালি বইলাই এরকম হইতেছে। তবে শব্দ সংখ্যা লাখ হবে না বইলা আমার মনে হয়।
৪৭. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০৪
comment by: রাসেল ( ........) বলেছেন: নীল শার্ট পড়া আউলা ঝাউলা চাচা, এই লেখাটাও সেই টিভি বিজ্ঞাপনের খাওয়ার টেবিল দেখে পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা লেখা, তুমি এই অনুষ্ঠান না দেইখা অনেক অনেক বক্তৃতা দিতাছো, ফালুর এনটিভি বামপন্থীরা দখল কইরা নিলো, ক্যানো ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট আর ক্যানো বিদ্যমান জ্ঞান,

তোমার তথ্য সূত্র উল্লেখ করবার ধরণটা তোমার হাঁটবার মতোই, বুঝা যায় না আসলে কি ঘটলো।

আলোচনার আগ্রহ কিংবা আলোচনা করবার ক্ষমতা মনে হয় না তোমার আছে,

যা করতেছো সেইটারে কোনো ভাবেই আলোচনা বলা যায় না- প্রতিটা কমেন্টের উত্তরে তোমার পাল্টা কমেন্ট দেখো, হোগার ব্যথায় সারাক্ষণ চিন্তিত থাকলে আলোচনা চলে না-

খামচা খামচি করতেছো আলোচনার নামে- আর আলোচনা যে একটা ধারবাহিকতা মেনে চলে এই খামচা খামচির তোড়ে সেই ধারাবাহিকতা নাই-

বামপন্থীদের সংস্পর্শ্বে থাইক্যা আমি একটা জিনিষ শিখছিলাম, কয়েকটা জিনিষ বর্জন করতেও শিখছিলাম, তয় তোমার লগে খেলুম না, তুমি পঁচা কইয়া আলোচনা না কইরা খামচা খামচি করতে শিখি নাই-

পরের মুখে ঝাল আর পরের কোর্মার তৃপ্তি নিয়া তোমার লিখালিখি চলুক,

আমি নিজেরে প্রতিভাবান ভাবি- এই রম ঘোষণা দিয়া আমি আমি কবে সাইনবোর্ড ঝুলাইছিলাম-

সকালেও এক পেগ খাইয়া সারা দিন মাতলামি শুরু করছো এখন?
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০৯

লেখক বলেছেন: তোরে না ভাগায়া দিলাম। আবার আসছস কেন?
তোর লগে আলোচনা করার কোনো আগ্রহ আমার নাই।
ভাইস্তা বাইত যা। চাচার লগে দেখা কইরা দুপুরে খায়া লগ। চাচায় নিকি তোরে নতুন মোবাইল দিছে?
আমার পোস্টে আর নাদতে আসিস নে।
৪৮. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৩৬
comment by: রাসেল ( ........) বলেছেন: মুর্শেদ

যা কইতাছো সেইটার ধরণটা খেয়াল কইরা দেখো।

নিজের মতের বাইরে কোনো কিছুরে উপস্থিত থাকতে না দেওয়ার সমস্যাটা থাকলে আলোচনা হয় না। স্তাবকতা আর চাটুকারিতার বাইরে গিয়া নিজের একটা পরিচয় তৈরি করো, সেইটা তোমার নিজের জন্য ভালো,


যখন কেউ একটা গর্তের ভিতরে বইয়া নিজের তাত্ত্বিক আলোচনা চালায়া যায় তখন সেইটা থেইক্যা তার কোনো উপকার হয় না, জ্ঞানের পদ্ধতি না জাইনা যখন কেউ জ্ঞান নিয়া বিতর্ক করে, উপমা নিয়া বিতর্ক করে তখন বুঝা যায়

কিছু কিছু গরু গাধা ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট হইলেও বাকি গরু গাধাগুলা চাটুকারিতা কইরাও কেনো কোনো পজিশন পায় না।

তোমার একটু বুঝসুঝ হোক, আগে প্যানিক এটাক থেকে বাইরে বাইরাইয়া সুস্থ চিন্তা ভাবনার গাছ গজাক, যখন বিপক্ষ মতকে হোগাগামী কল্পনা না কইরা বাক্য ভাবতে শিখবা তখন জ্ঞান গ্রহনের প্রথম সমতলে আইবা-
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪০

লেখক বলেছেন: তোরে না কইলাম তোর লগে কোনো আলোচনা নাই।
ফুটবি না ব্লক করুম?
৪৯. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৩
comment by: কাঙাল বলেছেন: এক পেগ খাইয়া মাতলামী? এ তো দেকছি অতি মাত্রায় সেনসিটিভ
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:০৮

লেখক বলেছেন: সেনসিটিভিটির কী দেখলেন বুঝলাম না।
৫০. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৭
comment by: রাসেল ( ........) বলেছেন: হো হো হো হো হো

মুর্শেদ এক কাজ করো রাইসু এর পরে কি করতো এইটা নিয়া একটা ভাবনা দাও,

মধ্য মানের মানুষেরা অহেতুক অহং সমস্যায় ভুগতে থাকে।

তুমি ব্লক কইরা এই মন্তব্যগুলাও মুইছা দিয়ো, তোমার সুশীল ইমেজের সাথে এই ধাঁচটা যায় না- বান্দর নাচ দেখছো কোনো দিন? বান্দর যে নাচায়, সে কিন্তু বান্দররে কিছু স্বাধীনতা দেয়, সুশীলের খোলসে ঢুকলেও তোমারে সেই রকম বান্দর নাচ নাচতে হইবো, তয় সব মুদ্রা দেখাইতে পারবা না- কিছু কিছু নাচের মুদ্রা ভুইলা যাইতে হইবো। মিডিওকার সব সময়ই একটু সমস্যায় থাকে,

তারা এক রকম হইবার বাসনা রাখে এবং সেইরকম আচরণও করতে চায়, তবে সেইটা দীর্ঘ সময় চালায়া যাইতে পারে না, তুমি বড় জোর অনুগত সুশীল হইতে পারবা- এই সীমাটার ভিতরে থাকবার জন্য তোমার যেই খোলসটা প্রয়োজন সেই খোলসটা তোমার আমাকে করা মন্তব্যগুলা ফুটা করে দিচ্ছে-

খিয়াল কইরা অপোগন্ড। খুব খিয়াল কইরা। [ অট্ট হাসি]
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:১৩

লেখক বলেছেন: ভাইস্তা ডটেড রাসেল,
ভালই সার্ভিস দিতেছো।
আমি তো মিডিওকার এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। তুমি আমার মিডিওকার ব্লগে তোমার প্রতিভার অপচয় করতেছো কেন সেইটাই তো বুঝতেছি না। তোমারে ভাগায়া দিলাম তারপরও আসলা। ব্যাপার কী?
চাচার আদেশ অমান্য করতে পারতেছো না?
ভাগ ভাইস্তা, এইবারের মতো আমারে রেহাই দে। তোর গালি, খিস্তি আর যুক্তিতে তো আমি কুপোকাত হয়া গেলাম। তুই জিতছিস। এবার আমারে মাফ কইরা দে।
৫১. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:০৮
comment by: কৌশিক বলেছেন: এ - আমি কোথায় এলাম? তোমাদের মাঝে কি কেউ আছে বন্ধু আমার?
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:১৫

লেখক বলেছেন: মনে রেখ শুধু একজন ছিল..................
৫২. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০০
comment by: অপ বাক বলেছেন: মৌলিক জ্ঞান নিয়া আপনার লিখা আমি পড়বো তবে জানতে চাইছিলাম বিদ্যমান জ্ঞান জিনিষটা কি? জ্ঞান বিষয়ে আপনার জ্ঞানী মন্তব্য আশা করছিলাম, সম্পূর্ন আলোচনায় জ্ঞান বিষয়টা অনুপস্থিত।

সেইখানে একজন প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হওয়া ব্যক্তিকে গরু গাধা বলা, বিপ্লব এবং অভিমত নিয়ে অহেতুক বক্তব্যের ভেতরেও জ্ঞান অন্বেষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হইলাম।

যদি আপনার বিবেচনায় জ্ঞান কাহাকে বলে ইহার একটা সংজ্ঞা পাইতাম তবে আনন্দিত হয়ে জ্ঞান অন্বেষণপূর্বক পরবর্তী মৌলিক জ্ঞানি পোষ্ট পড়বার অপেক্ষা করতে পারতাম।
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:১৮

লেখক বলেছেন: আমার সাথে এখন আলোচনা সম্ভব বইলা মনে হইতেছে।
জ্ঞানের সন্ধানে থাকলে আমার এইখানে আইসা আপনের লাভ হবে না। আমি ভীষণ মূর্খ। এককাজ করেন। অপ বাকের পোস্টগুলা পড়েন। ওইখানে জ্ঞানের সন্ধান পাইবেন।
৫৩. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
comment by: মাঠশালা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোষ্ট ও ততোধিক চমৎকার মন্তব্য, আফসোস হচ্ছে আগে পড়িনি বলে।
যাই হোক প্রসঙ্গে আসা যাক। অনেকেই অনেক কথা বললেন। সব পড়ে উঠতে পারলাম না। তাই আমি যে বিষয়ে বলতে চাইছি তা হয়ত অন্য কেউ পূর্বে বলে থাকবেন(যেহেতু মাহবুব ভাইয়ের কমেন্ট মুছে ফেলার বাতিক/রুচি নাই বলে মনে হয়)।
অনুষ্ঠানটি আমার দেখার সৌভাগ্য/দূর্ভাগ্য হয়েছিল। এর আগে একটি পর্বে পাভেল পার্থ'র আলোচনাও শোনতে বসেছিলাম। কিন্তু আফসোসের কথা দুইটি পর্বেই উপস্থাপকের অত্যাধিক সাম্রাজ্যবাদী আচরণের কারনে অংশগ্রহনকারী ঠিক যা বলতে চাইছিলেন তা পারেন নি। প্রতিটা প্রশ্ন উত্থাপনের পর বক্তা মিনিমাম যে পরিসরটা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে যাবার উপক্রম করেছেন তখনই উপস্থাপক কথা কেড়ে নিজেই সমাধানে পৌঁছে গেছেন। তাই দর্শক হিসেবে বারবারই বিরক্ত হতে হচ্ছিল। তারপর অনুষ্ঠানটিতে শিক্ষা, আদিবাসি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এমন কিছু আলোচকদের উপস্থিত করা হচ্ছে যারা বা যাদের কাছেই নতুন কিছু কথা বা সত্যিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারনা এবং করণিয় সেইসাথে উত্তরণের পথ খোজার একটা দিকনির্দেশনা বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে আমি এবং আমার মত হয়ত অনেকেই আশা করেন। অথচ তাদের(আলোচকরা) আমরা দেশের প্রচলিত মিডিয়ায় ততটা উপস্থিতি পাই না। এ পরিস্থিতিতে এনটিভি সাময়িকী "সুযোগ" নিয়েছে বলে মনে হয়। তাদের উদ্দেশ্যও এখানে খুব পরিস্কার, তারা অতিথিদের কাছে আসলে কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চায় না। কারণ তা করতে গেলে অনেক অপ্রিয় কথা বেড়িয়ে পরতে পারে। গুরুতবপূর্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ লোকদের ডেকে এনে একরকম "উঠ ছুড়ি তোর বিয়ে"র মতো করে একটা অনুষ্ঠান করলে একটা ক্রেডিটই শুধু নেয়া যেতে পারে। কিন্তু এতে দর্শক চাহিদাও মেটে তদুপরি বিষয়টিরও কোন কিনারা হয় না।
যাই হোক আমার ভুলও হতে পারে, দুইটি পর্ব দেখে আমার স্রেফ মনে হয়েছে এরকম। এরকম নাও হতে পারে।
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:২৬

লেখক বলেছেন: এই পোস্টের সব কমেন্টই অক্ষত আছে। শুধু রিফাত ভাইয়ের কমেন্টটা যান্ত্রিক গোলযোগে হারিয়েছে।
না জুবেরী, আপনার বলা পয়েন্টগুলা এইভাবে কেউ বলেনি। একেবারে নতুন কিছু পর্যবেক্ষণ আপনার কাছ থেকে পাওয়া গেল।
আপনার সঙ্গে সহমত ব্যক্ত করছি।
৫৪. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
comment by: শিবলী নোমান বলেছেন: লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
বাংলাদেশের মিডিয়ার একজন একনিষ্ঠ পর্যবেক্ষক হিসাবে গেরিলা কায়দায় মিডিয়ায় বিধ্বংসী মার্ক্সবাদী আলোচনার সম্ভপরতা বিষয়ে যে ভাষ্য দিলেন তা নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এর সম্ভবপরতা নিয়া আমার কিছুটা সন্দেহ আছে। আলফ্রেড খোকনের আন্তরিকতা নিয়া প্রশ্ন নাই। এমনকি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিকতা নিয়াও প্রশ্ন নাই। তারা একটা ভাল অনুষ্ঠান করলে আমাদের খুশী হওয়ার কথা। কিন্তু সমস্যা হইলো এইটার বিপ্লবী ফ্লেভার দেয়ার চেষ্টায়। এইটারে একটা বিপ্লবী কাজ বানাইয়া এক্সটা ক্রেডিট নেয়ার প্রক্রিয়ায়।
মিডিয়া গেরিলা হইতে পারলে তো ভালই, গাছেরটাও খাইলাম তলারটাও কুড়াইলাম। ধর্মেও থাকলাম জিরাফেও


এই পুরা আলোচনাটার মধ্যে এইখানে আমার দৃষ্টি আটকাইছে। আমার মনে হইছে, মেঘনাদের পোস্ট (সেটা যদিও ভীষণ বিরক্তিকর ছিলো। একই পোস্ট একাধিকবার দিয়ে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কাঙাল হয়ে গেছিলেন কি না তা নিয়ে অন্যত্র ভাবা যেতে পারে।) নিয়া মাহবুব মোর্শেদের যে অংশে আপত্তি, তার চাইতেও বড় প্রশ্ন তিনি ছুড়ছেন উপরের উদ্ধৃত অংশে। এখন পর্যন্ত আমাদের অভিজ্ঞতা বলে না মিডিয়া গেরিলা হইতে পারে। এমনকি মিডিয়া যে গেরিলা হওয়ার ব্যাপক খায়েশ পোষণ ও প্রকাশ করে এমনটাও মনে হয় না। কাজেই এই কথা নতুন করে তোলার দরকার দেখি না। তাহলে থাকলো বিপ্লবের এক্সট্রা ক্রেডিট নেয়ার প্রসঙ্গ। মিডিয়া গেরিলা হতে চায় না বটে, তবে বিপ্লবের লেবাস লাগাতে তাদের আগ্রহ আগাগোড়াই বেশ প্রবল। দেখার বিষয় এনটিভির এই আয়োজন শেষোক্ত সেই প্রাবল্যকেই তদারকি করছে কি না এবং আজফার হোসেন বা অন্যান্যরা তােত বাতাস দিচ্ছেন কি না।
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:৩১

লেখক বলেছেন: আমারও তা-ই মনে হয়।
ওনারা বাতাস নিচ্ছেন, বাতাস খাচ্ছেন, বাতাসে ভাসছেন।

৫৫. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ৯:১২
comment by: বিব বলেছেন: মেঘনাদ@ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । (১) আপনি বলেছেন ১৪ মিনিটে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। তাতে আমি একমত । আপনাকে জানাতে চাই তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিলো উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে । আলোচনায় কিন্তু শব্দটা অনেকবার এসেছে । আপনি আবার দেখুন । মিডিয়াতে যদি কেও কথা বলে আমি মনে করি দায়িত্ব নিয়েই কথা বলা উচিত যদি সে নিজেকে একজন সমাজের সচেতন , দায়ীত্বশীল বলে মনে করেন।সময়ের কারণে এটা হলোনা, ওটা বলতে পারিনি এসব কোন দায়িত্বশীল কথা-বার্তা নয় । আপনি নিজেও একবার চিন্তা করুন। (২) মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে আপনি বলেছেন----এটা ঠিক মাদ্রাসা শিক্ষায় দেশের সবচেয়ে বেশি ছাত্র অধ্যয়ন করে। তাই মাদ্রাসা শিক্ষা আলোচনার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের দাবি রাখে। আমি নিজে রুবেল ভাইয়ের সাথে যখন আলোচনা করেছি তখন দেখেছি মাদ্রাসা শিক্ষার দিকটাই তিনি সবচেয়ে গুরুত্ব দিতেন।
একটা বিষয় হতে পারে ব্যাপারটা তারা পুরোপুরি আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিলেন। খুব বড় ভুল সন্দেহ নেই, কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভুল বলে মনে হয় না। আরেকটি বিষয় হতে পারে, আলোচনাটা সেন্সরের কোপে কাটা পড়েছে। জোনায়েদ সাকি ভাইয়ের এনটিভি সাময়িকীর আলোচনায় আমি শুনেছিলাম তাতে ৫ মিনিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এনটিভি কর্তৃপক্ষ কেটে দিয়েছিলেন। আমি ব্যাপারটা কি হয়েছিল জেনে নিশ্চিত হয়ে ব্লগে প্রকাশ করছি। ---
এটা খুবই হাস্যকর যুক্তি দিলেন । তাহলে আমাদের বিপ্লবীদের ভাবা উচিত কোথায় গিয়ে কথা বললে তার কথা সেন্সর হবেনা কিংবা বিকৃত হবেনা । আসল সত্য সম্প্রচারিত হবে । সেন্সেরের কোপ দুই কারণে পড়তে পারে (ক) যার কথা সেনসর করা হলো তাকে বিকৃত করা। অথবা টেলিভিশন যে রাজনীতি ধারণ করে সেনসর করে সেই টেলিভিশন সেই দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ ঘটায় (খ) অথবা যারা সেনসর করেন তারা না বুঝে কাজটা করেন । বাংলাদেশে অবশ্য মেধাহীন লোকজনই প্রযোজনা এবং পরিচালনার সাথে জড়িত। আপনার মতে কোনটা ঠিক? যদি সেন্সর হয়েই থাকে তবে রুবেল সাহেব কি কোথাও এর প্রতিবাদ করেছেন ? নাকি সেন্সর হওয়ার পরও যে অর্থ বহন করে সেটাই নিজের বক্তব্য, রাজনৈতিক বিশ্বাস বলে মেনে নিয়েছেন ? জানাবেন প্লিজ ...
(৩) নির্বাহী পরিচালক নিয়ে আমি য়া বলেছি তাহলো >>>এই শব্দটি কোন মস্তিষ্কজাত? একবার ভাবুন তো? >>> অাপনাকে এখনও ভাবতে বিনীত অনুরোধ জানাই । (৪) পজিটিভ দিক একটি আছে তা হলো রুবেল সাহেব আলোচনা করেছেন বলেই কথাগুলি বলছি অন্য কারো বেলায় তা প্রশ্ন করা হয়নি বা হবেনা । ,
(৫) আজফার ,রুবেল এরা কোন গ্রুপ? মিডিয়ায় যাদের কথা সেন্সর হওয়ার পরও তৃপ্তির ঢেকুর তোলে বাগড়ম্বর করে বলে দেশ, জাতি উদ্ধার করে ফেলেছি । বিপ্লব আসন্ন । আমরা মিডিয়া গেরিলা (!)। তাদের প্রতি ভালো ধারণা কিভাবে সৃষ্টি হবে? (৬) বিরক্তির উদ্রেক করে আমি বলিনি ভাই বলেছেন , হাসিব মাহমুদ। দেখুন। মেঘনাদ, আবার মন দিয়ে সাক্ষাতকারটি শুনুন ।নিজেকে প্রশ্ন করে উত্তর বেছে নিন
১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:০১

লেখক বলেছেন: আমি শুধু একটা লাইনের সঙ্গে দ্বিমত বাংলাদেশে মেধাহীন লোকেরা প্রযোজনা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। বাকী প্রশ্ন ও বিশ্লেষণের সঙ্গে মোটামুটি সহমত প্রকাশ করতেছি।
৫৬. ১৫ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫০
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব, মার্কসবাদী আলোচনা ঐ অনুষ্ঠানে হয়নি। তবে প্রেরণা ঐ জায়গা থেকে আসছে হয়তো। শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্য এতটাই প্রকট যে এজন্য কোনো তাত্ত্বিক রেফারেন্সের দরকার পড়েনা। মার্কসবাদী আলোচনা যে টিভির বিদ্যমান স্ট্রাকচারে ফিট করেনা, সেটা ঠিকই। আমি বলিছি অভিনব আলোচনা হয়েছে, টিভির জন্য। টিভিতে নিজের (বা নেতার বা কমরেডের) ভাবনাকে আলোচিত হতে দেখে তাই মেঘনাদের নদীতে খুশির জোয়ার দেখা দেয় এবং উদ্বেলিত হয়ে তিনি বিধ্বংসী আলোচনা বলে পুনঃপুনঃ প্রচার করতে থাকেন।

শিবলী নোমান, গেরিলা কায়দা কথাটা বুঝতে ভুল হচ্ছে। মাহবুব বলছেন এনটিভির মতো মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় বিপ্লবী অনুষ্ঠান হবার কোনো সুযোগ নাই। আমি বলেছিলাম সেরকম বিপ্লবী না হলেও এই একটা অনুষ্ঠান কিছুটা আনকনভেনশনাল (টিভির জন্য) হয়েছে, নয়তো কথাগুলো আমার বা অনেকের জানাই ছিল। এনটিভি কেন টিভির মতো স্টুপিড মাধ্যম অর্থাৎ কোনো দেশের কোনো টিভিই তেমন সিরিয়াস কিছু উপহার দিতে পারেনা। মাধ্যমটার প্রকৃতিই এটা নির্ধারণ করে দেয়। আমি বলছিলাম প্রযোজক আলফ্রেড খোকন, এঙ্কর আজফার হোসেন ও আলোচক রুবেল মিলে সিস্টেমের মধ্যে থেকে ব্যতিক্রমী কিছু একটা বের করে এনেছেন, গেরিলা কায়দা এটা। আমি বলি নাই যে এনটিভি নিজে বিপ্লবী সাজতে চায়। আজকাল কোনো মিডিয়া সেই ভানটুকুও করেনা।

বিব, আপনার রুবেলের নির্বাহী পরিচালক পদটি বিষয়ে যা ইঙ্গিত করেছেন সেটা ইন্টারেস্টিং, তা ছাড়া আপনার প্রবর্তিত বাকি সমীকরণগুলো (যেমন এনজিও স্কুল নিয়ে সমালোচনা করেছেন এবং মাদ্রাসা বিষয়ে নিরব থেকেছেন=অতএব তারা মাদ্রাসাশিক্ষার সমর্থক) মনগড়া। রুবেল বলেছেন তিনটার জায়গায় একটা ব্যবস্থার কথা। আরা মাদ্রসা শিক্ষা নিয়ে যথেষ্ট কথা সবার জানা বলেই, আমার অনুমান তা নিয়ে তারা আলোচনা করেননি। ৩৭ বছরের শিক্ষানীতির উল্লেখ করা মানেই কি পাকিস্তান পর্বকে ভালো বলে রায় দেয়া? যেকোনো আলোচনার যদি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থাকে, তাকে সময়কাল ধরে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা করা একটা ত্রুটিমুক্ত পদ্ধতি। বাংলাদেশ দেশটাকে পাচ্ছি ৩৭ বছর ধরে, তাই কেবল এই সময়টার কথা উল্লেখ করা দোষের কিছু হতে পারেনা। আর আলোচকদের মাদ্রসা শিক্ষা বা পাকিস্তানপ্রীতিকে এস্টাবলিশ করতে আপনাকে তাদের অন্য কর্মকাণ্ডে/লেখায়/কথায় তা প্রতিফলিত হয় কিনা তা পাশাপাশি রেফার করতে হবে। নয়তো আপনার সমীকরণগুলো প্রমাণিত হবেনা।
১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৬

লেখক বলেছেন: বুঝতে পারলাম। আপনাকে ধন্যবাদ ফাহমিদ ভাই।
৫৭. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৩৪
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: মেঘনাদের লিঙ্ক থেকে দেখার চেষ্টা করলাম কিন্তু দিজ্‌ ভিডিও নো লংগার এভেলেবল দেখাচ্ছে।ঠিক বুঝতেছিনা;আমার কানেকশনের প্রোবলেম কিনা।

ফাহমিদ ভাই,আমি যেহেতু দেখিনি তাই মন্তব্য করাটা ঠিক মনে হচ্ছে জেনেও মন্তব্য করে ফেলেছি এবং আবারো করছি।
আপনি বেশ সুন্দর ব্যাখা দিয়েছেন।মিডিয়া'র শাসকশ্রেনী'র কিংবা কর্পোরেটের অধীন থাকলেও সবসময় মনে হয় সরলরৈখিক আচরণ করে না কিংবা বলা যায় চাইলে করতেও পারেনা।যে নিউয়র্ক টাইম্‌স ইরাক যুদ্ধের সমর্থক ছিলো,সেই নিউয়র্ক টাইম্‌স আবার ইরাকে বন্দী নির্যাতনের,মার্কিন সেনাদের কু-কীর্তির কথা বিশ্বকে জানিয়েছে। ‌

সুতরাং এন,টি,ভি তে এই রকম একটা অনুষ্ঠান হওয়াটা আলোড়ন(সীমিত পরিসরে) তৈরি করলেও সেইটা অসম্ভব কিছ এমনও বলবো না কিংবা এন,টি,ভি-কে আমি কোন ট্যাগিং দিবো না।কিংবা ডঃ আজফর কিংবা রুবেল ভাই ওইখানে গিয়ে মিটিং করলে গাছেরটা পারবেন আবার তলার'টা কুড়াবেন(মোর্শেদ ভাই যেমনটা বলেছেন),এমনটাও ভাবি না।

তবে কিছু জনপ্রিয় কমেন্ট যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ে "গরু-গাধা"রাই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়,তখন আলোচকরা নিজেদের অবস্থানের প্রতি অবিচার করেন।মেধা পরিমাপের যেহেতু সর্বজনগ্রাহ্য পদ্ধতি নাই,তাই এইটা নিছকই একটা অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।
১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫১

লেখক বলেছেন: লিঙ্ক দেখতে কি আর কারো অসুবিধা হইছে?
৫৮. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৪৩
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন:


আহসান হাবিব শিমুল,
আপনি বলছেন, "মেধা পরিমাপের যেহেতু সর্বজনগ্রাহ্য পদ্ধতি নাই,তাই এইটা নিছকই একটা অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।"

যেই বিষয়ে যদি কোন সর্বজনগ্রাহ্য সমাধান, মানে যেই সমাধানটাতে এসে সবাই একমত হবেন, না থাকলে সেইটার বিষয়ে সমালোচনা করা যাইবে না এইটা তো মারাত্মক কথা কৈলেনরে ভাই ! এইটা না করা গেলে বিবদমান সিস্টেম যেইটা আপাতদৃষ্টিতে বদলানো অসম্ভব মনে হয় সেইটা নিয়ে প্রশ্ন তুলাটা অপ্রয়োজনীয় হয়ে দাড়ায় !
৫৯. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:০১
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: @হাসিব মাহমুব,আমি মনে হয়,বক্তব্যটা ঠিকমত বুঝাইতে পারিনাই।
উনি যখন বলেন ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট "গরু-গাধা'রা হয়,তখন সিদ্ধান্তের মতো শোনায়, সেইটা বিতর্কের বিষয় থাকেনা।কোন জিনিসের সমলোচনা আর সিদ্বান্ত গ্রহন এক জিনিস নয়।

আপনি বলতে পারেন,আমাদের যে শিক্ষা ব্যবস্থা মেধা বিকাশে সাহায্য করেনা,মূলত যারা পরিশ্রমী(ফাহমিদ ভাই যেমন বলেছেন কিংবা আমি যেমনটা দেখেছি) তারাই ভালো করে কিন্তু "কোন লোক একই সাথে মেধাবী আবার পরিশ্রমি হতে পারবে না"-এমন কোন কংক্রিট ডিশিসানে আসা সম্ভব?

কোন সিস্টেম-এর ব্যাপারটা এইখানে কিভাবে রিলেটেড বুঝলাম না।তবে এইক্ষেত্রেও আপনি যদি কোন উপসংহারে আসেন,সেইটা কোন কাজের কথা না।

আর এইটা বলার আরেকটি কারন আপনি কে কত পরিশ্রমী এইটা বলতে পারেন, কিন্তু কে কত মেধাবী এইটা নির্ণয় করবেন কিভাবে?সুতরাং এই ধরনের মন্তব্য পরিশ্রমীদের প্রতি অসম্মানও বটে।


৬০. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:২৯
comment by: বিব বলেছেন: ফাহমিদুল হক@ রুবেল বলেছেন , গরীব মানুষের শিক্ষা দুই প্রকার ১. মাদ্রাসা শিক্ষা ২. এনজিও শিক্ষা । তারপর এনজিও শিক্ষার বাজে দিক তুলে ধরলেন কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কিছুই বললেননা । তার মানে কি ? মাদ্রাসা শিক্ষা ঠিক আছে বলে রুবেল মনে করেন?
আমি এই প্রশ্নটা রেখেছিলাম । আপনি বলেছেন এটা মনগড়া কথা । কিভাবে ? মিডিয়াতে একজন কথা বলবেন তিনি নিশ্চয় দায়ীত্ব নিয়ে কথা বলবেন । বলা উচিত কি না ? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে আপনি কি মনে করেন? মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে রুবেল এর বক্তব্য নিয়ে দেখুন মেঘনাদ এর কি হাস্যকর যুক্তি----
এটা ঠিক মাদ্রাসা শিক্ষায় দেশের সবচেয়ে বেশি ছাত্র অধ্যয়ন করে। তাই মাদ্রাসা শিক্ষা আলোচনার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের দাবি রাখে। আমি নিজে রুবেল ভাইয়ের সাথে যখন আলোচনা করেছি তখন দেখেছি মাদ্রাসা শিক্ষার দিকটাই তিনি সবচেয়ে গুরুত্ব দিতেন।
একটা বিষয় হতে পারে ব্যাপারটা তারা পুরোপুরি আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিলেন। খুব বড় ভুল সন্দেহ নেই, কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভুল বলে মনে হয় না। আরেকটি বিষয় হতে পারে, আলোচনাটা সেন্সরের কোপে কাটা পড়েছে। জোনায়েদ সাকি ভাইয়ের এনটিভি সাময়িকীর আলোচনায় আমি শুনেছিলাম তাতে ৫ মিনিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এনটিভি কর্তৃপক্ষ কেটে দিয়েছিলেন। আমি ব্যাপারটা কি হয়েছিল জেনে নিশ্চিত হয়ে ব্লগে প্রকাশ করছি। ---আর আপনি বলেছেন -----
আরা মাদ্রসা শিক্ষা নিয়ে যথেষ্ট কথা সবার জানা বলেই, আমার অনুমান তা নিয়ে তারা আলোচনা করেননি। ----- ফাহমিদ শিক্ষক হিসাবে আপনার এই দূর্বল যুক্তি মেনে নিতে পারছিনা । অবশ্যই উচিত ছিলো মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কথা বলা । মাদ্রাসা শিক্ষার ভালো দিক (যদি থাকে) , মন্দ দিক নিয়ে । কারণ তারা যখন আলোচনা করছিলেন তখন মনে হচ্ছিল দুজনই খুব দায়ীত্ব নিয়ে কথা বলছেন । তাহলে প্রাসঙ্গিক মাদ্রাসার কথা কেন এড়িয়ে যাবেন? ফাস্টক্লাস পাওয়াকে যদি তারা গরু গাধার সাথে মিলিয়ে দেন নিজ দায়ীত্বে তাহলে সব প্রসঙ্গের দায়ীত্ব তাদের থাকতে হবে। তাদের মাদ্রসা শিক্ষার পক্ষে এই অভিযোগ বহন করতেই হবে।
নয়তো সেনসরের দায়ভার নিতে হবে ।
আজফার বলেছেন গত ৩৭ বছর ধরে কোন ভালো শিক্ষানীতি আসেনি। তার মানে ৩৭ বছরের আগে (পাকিস্তানী সময়ে ) ভালো শিক্ষানীতি ছিলো । তাদের আলোচনার বিষয় ছিলো উপনিবেশিক শিক্ষা । উপনিবেশিক শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমার সাধারণ জ্ঞানে মনে হয় : ৭১ পূর্ববর্তী এবং ৭১ পরবর্তী দু সময়কে ধরেই আলোচনা করা উচিত ছিলো । কিন্তু তারা শুধু ৭১ পরবর্তী সময়কে ধরেই আলোচনা করেছেন্ । সে জন্যে পাকিস্তান প্রসঙ্গ এসেছে । অতএব দেখুন : (১) মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে তারা মৌন (২) ৭১ পূর্ববর্তী সময় নিয়ে মৌন । এত মৌনতা কেন ? তাহলে উনারা কেন বিপ্লবী ? সমাজ সচেতন ? দায়ীত্বশীল ? নিশ্চয় আজফার এবং রুবেল এর পাকিস্তান প্রীতি নেই। এটা আমি বিশ্বাস করিনা আমি এটা বলতে চাইনি । আমি মনে করি তারা বাংলাদেশকে ভালোবাসেন । তাহলে তাদের আলোচনা কেন বিতকির্ত হলো ? মেঘনাদ কি বলছে শুনুন : ----- প্রথমে একটা জিনিষ বলা দরকার, এনটিভিতে আলোচনাগুলো যে খুব সহজে হচ্ছে বিষয়টা এরকম নয়। প্রচুর কথা সেন্সর করা হচ্ছে। এমনকি এমনও হয়েছে অনেক আলোচনা আলোর মুখ দেখেনি। জোনায়েদ সাকি তার আলোচনায় বর্তমান সরকার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেছিলেন।
শিক্ষক ফাহমিদুল হক , সমস্যা বা বির্তক আমরা যারা দর্শক তাদের নয় । সমস্যাটা নিজেদের মধ্যে । যা আপনিই বলেছেন ----টিভিতে নিজের (বা নেতার বা কমরেডের) ভাবনাকে আলোচিত হতে দেখে তাই মেঘনাদের নদীতে খুশির জোয়ার দেখা দেয় এবং উদ্বেলিত হয়ে তিনি বিধ্বংসী আলোচনা বলে পুনঃপুনঃ প্রচার করতে থাকেন।


৬১. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন:
আহসান হাবিব শিমুল,

আজফার হোসেনের কথাটা ছিলো এরকম -

.... আমি আমার জীবনে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হওয়া অনেক গরু ও ছাগলকে দেখেছি । গরু ছাগল খুবই জরুরী বিষয় । তাকে মোটেই ইয়ে করছি না ..

এখানে এই কথাটা দিয়ে উনি গণহারে "ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট "গরু-গাধা'রা হয়," এরকম "সিদ্ধান্তের মতো" কিছু দেননি । বলেছেন অনেকে হয় । অনেকে যে হয় সেটা তো সত্যি কথাই, নাকি ? আমি ঢাবিতে ছিলাম । ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট গরু ছাগলের অনেক উদাহরনই জানি । তবে সেইটা সবাই না । কিছু কিছু আছে যারা আসলেই যেইটা নিয়া পড়ান সেইটার ওপর জ্ঞান রাখেন । বাকিদের জন্য গরু ছাগল শব্দদ্বয় একটু নির্মম মনে হৈলেও সেইটা বলার অধিকার নিশ্চয়ই যেকেউ রাখেন ।
১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৩

লেখক বলেছেন: ইয়ে বলতে তিনি কী বুঝাইতে চাইছিলেন?
৬২. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫১
comment by: ব্রাইট বলেছেন: সব গুলাইয়া গেলু...আবার পেরথম থেকা শুরু কর্লাম....লাভ হইলো না...আবার গুলাইয়া গেলু....

আইচ্ছা, মাইনসে এমুন ত্যানা প‌্যাঁচায় কেমতে!
১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৩

লেখক বলেছেন: হা হা হা।
৬৩. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: হাসিব মাহমুদ,
হমম.... মূল ভিডিওটা না দেখে মন্তব্য করা'র মজা টের পাইতেছি!:(

"বাকিদের জন্য গরু ছাগল শব্দদ্বয় একটু নির্মম মনে হৈলেও সেইটা বলার অধিকার নিশ্চয়ই যেকেউ রাখেন "। যে কেউ রাখেন কিনা জানিনা তবে কেউ কেউ রাখেন,এইটা মেনে নিচ্ছি।আমি অবশ্য রাখিনা।

আমি যেসব ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ক্লাস দেখেছি,তাদের সবাই অবশ্যই পরিশ্রমি,(মেধাবী কিনা জানিনা,ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট সবার সাথে জানাশোনা ছিলোনা,যাদের সাথে ছিলো তাদের মেধাবিই মনে হয়েছে যেহেতু মেধা নির্ণয়ের কোন মাপসূচক নাই,তাই নিশ্চিত না),নিজ নিজ বিষয়ের উপরে বিস্তর জ্ঞ্যান রাখে।তবে তাদের অনেকেই একাডেমিক জ্ঞ্যানের বাইরে কোন জ্ঞ্যান রাখেনা বললেই চলে কিংবা শিক্ষক হিসাবে তাদেরই অনেকেই পুরোপুরি ব্যার্থ।

এতদ্বিষয়ের উপর ভিত্তি কোন ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট'কে খারিজ করার হ্যাডোম আমার নাই।পড়াশোনায় আমি বড্ড গরীব! :-<

যাইহোক,এই পোষ্ট থেকে আপাতত বিদায়।আঁতলামী অনেক করছি,আর না।;)
৬৪. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:১৮
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি খানিকটা অবাক হই এই ভেবে যে যিনি অনেক পরিশ্রম করে ছাত্রজীবনে প্রথম হয়েছেন, শিক্ষকজীবনে পরিশ্রমটা কেন করেননা। নিজেই এরকম উত্তর খুঁজে নিই যে ছাত্রজীবনে প্রথম হওয়া আর শিক্ষকজীবনে সেরা হওয়ার পদ্ধতি হয়তো সম্পূর্ণ আলাদা।
৬৫. ১৬ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:২২
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: হাসিবকে ধন্যবাদ ড. আজফার ঠিক কী বলেছিলেন তা স্পষ্ট করার জন্য। আমি একবার বলতে গিয়ে এই কথা আর বলা হয়নি। আমি মনে করি তিনি ভুল বলেননি।

আমি অনেক ফাক্লাফাকে চিনি যিনি খুব ভালো শিক্ষক, আবার অনেককেই দেখি পুরোপুরি ব্যর্থ। অন্যদিকে আমার দেখা সেরা শিক্ষকদের বা সহকর্মীদের মধ্যে ফাক্লাফা-এর সংখ্যা কম।
১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৬

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
যারা ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট হয় না তাদের শিক্ষক হওয়ার নিয়ম কী?
কীভাবে তারা শিক্ষক হন?
৬৬. ১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৮
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন: মনে হয় "হেয়" । তবে নিশ্চিত হতে হেরে জিগায়েন । আমি আজফার হোসেনের ইন্টারপ্রেটার না ।
১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০৮

লেখক বলেছেন: তা তো বটেই।
ওনার সাথে দেখা হয় না মেলা দিন।
দেখা হলে জিগাবো।
৬৭. ১৮ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:০৪
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড থার্ড হলেও শিক্ষক হবার সুযোগ আছে। পদ তিনটি ফার্স্ট একজন এরকম হলে তো সুযোগ থাকবেই।
১৮ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭

লেখক বলেছেন: ঠিক। অনেক বিভাগে কেউ ফার্স্ট ক্লাশ হয়তো পায় না তখন সেকেন্ড ক্লাশ ফার্স্টই টিচার হওয়ার জন্য প্রায়োরিটি পান। উনার মর্যাদা তখন ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্টের। একজন ফার্স্ট ক্লাশ থার্ড বা ফার্স্ট ক্লাশ সেকেন্ড আসলে নেক্সট টু দি প্রায়র ওয়ান। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি রাজনীতি করে ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্টকে বাদ দিয়ে পরের জনকে নেয়া হচ্ছে। ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্টরা আজফার হোসেনের ভাষায় গরু-গাধা বটে। এখন জানা দরকার পরের অবস্থানে যারা থাকেন তাদের তিনি কী বলেন।
তার বক্তব্যটা সমর্থন করা খুব কঠিন। আমি বহু ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্টকে চিনি যারা তুলনাহীনভাবে মেধাবী। নিজের বিষয় তো বটেই অন্য বিষয়েও তাদের যথেষ্ট দখল আছে।
৬৮. ১৮ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৪
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: ফাস্র্ট ক্লাশ ফাস্র্ট অনেক গাধা-গরু লেখক দেখা যাচ্ছে এ দেশে... দেখা যাচ্ছে ফ্যালাসি এবং প‌্যাচালিকে এক কাতারে ফেলতে পারার মতো দুর্লভ প্রতিভাকেও... দারুণ!
১৮ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৮

লেখক বলেছেন: আপনের কথা বুঝি নাই। বুঝায়া কন।
৬৯. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:০৮
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি তো বলছিই অনেক ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্টরা মেধাবি হন। আর এদের মধ্যে তাদেরই বাদ দেয়া হয় যাদের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব, প্রখর জ্ঞান রয়েছে, এটা কনভেনশনাল বিষয়কে ক্রিটিকালি দেখার চোখ রয়েছে এবং আচরণে 'দুর্বিনীত' (অর্থাৎ যাকে বোঝা যায় যে সিনিয়র/নিয়োগদাতা শিক্ষকদের পিছে পিছে ঘুরবে না, দল করবে না)।
১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৩২

লেখক বলেছেন: দুর্বিনীতি মেধাবীদের শিক্ষক করার উপায় কী?
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এরা তো জরুরি।
৭০. ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: সম্ভবত মেধাবি দুর্বিনীতদের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ও শেষ পর্যন্ত একটি রক্ষণশীল স্থান।

একটা উপায় হতে পারে শিক্ষক হবার পরে দুর্বিনীত হওয়া, এবং পূর্বে নিয়োগকর্তাদের আস্থাবান থাকা। আমি খানিকটা এই কায়দায় চলেছি।
২০ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৩৯

লেখক বলেছেন: দ্যাটস এ নাইস পজিশন। আপনের ভাগ্যে তাইলে নিয়মিত পদোন্নতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা বরাদ্দ, কোনো হলের হাউস টিউটরশিপ, মঞ্জুরি কমিশনের বৃত্তি, প্রশাসনিক নানা পদ নাই। সুখী শিক্ষক জীবন। কনগ্রাটস।
৭১. ২১ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:২৪
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমার ভাগ্যে এসব কিছুই জোটেনি। তবে একটা বিষয় উল্লেখ না করলে নিমকহারামি হবে। আমি এখন যে উচ্চশিক্ষায় এসেছি, এটার ফান্ড ঢাবির। এটা এমন একটা ফান্ড যা যেকারও জন্য প্রযোজ্য, মানে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন দেখাতে পারলে কয়েক লাখ টাকা দেয়া হয়। বড়ো দেশে তাতে টিউশন ফি কোনোমতে হয়, লিভিং চলেনা। মালয়েশিয়ায় আসার এটা প্রধান কারণ যে নিশ্চিত এই ফান্ডটা কেবল এরকম দেশেই টিউশন ফির পাশাপাশি লিভিং-এর জন্য কিছু অবশিষ্ট থাকে। কারণ টিউশন ফি এখানে অপেক্ষাকৃত কম। তবে বৌ বাচ্চা নিয়ে বাকি অর্থে লিভিং-এ খুব কষ্টই হচ্ছে।

যদি এই ফান্ডটি সিলেক্টেড লোকজনদের দেয়া হতো, তবে আমি পেতাম না নিশ্চিত।

আপাতত ফান্ডটি বন্ধ রয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ শেষ হয়ে গেছে। নতুন কেউ পাচ্ছেনা।
২৩ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০৪

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনও উল্লেখ করার মতো ভাল অনেক কিছু আছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment