Thursday, February 26, 2009

বন্ধুত্বের রাজনীতি : ফেসবুক, ব্লগ ও আরও কিছু প্রসঙ্গ

০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৭
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

মেলা আগে আমার গুরু আমারে ডাইকা নিয়া কইছিলেন, আমি যেন জাঁক দেরিদার পলিটিক্স অব ফ্রেন্ডশিপ বইটা পড়ি। আমি পড়ি নাই। গুরুর অনেক কথার সাথে এই কথাটাও অমান্য করছি। আর বইটা এমনই যে না পইড়া এর মেসেজ অন্য কারো থেকে শুইনা বুঝার কোনো উপায় নাই। আজকে সকালে কী মনে কইরা জানি গুরুর কথা মনে পড়লো। মনে পড়লো সেই বইটার কথাও। সার্স দিলাম গুগল বুকসে। পায়া গেলাম পলিটিক্স অব ফ্রেন্ডশিপ। আজ হউক কাল হউক বইটা আমার পড়তেই হবে। বুঝতেছি। আপনারা কেউ পড়তে চাইলে লিঙ্ক নিতে পারেন। (Click This Link)। জাঁক দেরিদা বন্ধুত্ব নিয়া কী লেখছেন আর কী লেখেন নাই এইটা আমি জানি না। বন্ধুত্ব প্রসঙ্গেই গুরু আমারে বইটা পড়তে কইছিল নিকি বিষয় অন্য তাও জানি না। কিন্তু রাজনীতির সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক কী এইটা আমি জানি। আর বন্ধুত্বের মধ্যে রাজনীতি বিষয়টা কেমনে কাজ করে এইটা অনুমান করি।
এরিস্টোটল কইছেন, যখন নাগরিকরা বিবদমান বিষয়ের নিষ্পত্তি বন্ধুত্বপূর্ণভাবে করতে পারে না। যখন তাদের সম্পর্ক ব্যর্থ হয় সেই জায়গা থেকে বিচার ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটে। ব্যক্তি বনাম ব্যক্তিতে যে ভালের বোধ সেইটারে একটা কমন ভালোর জায়গায় নিয়া গিয়া বিচার ব্যবস্থা কাজ করে। যখন বন্ধুরা কোনো সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করতে পারে না, আপোষ রফায় আসতে পারে না। তখন তারা আইনের আশ্রয় নেয়। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের উর্ধ্বে উইঠা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ চরিতার্থ করে দেয় আইন। প্রাচীন কাল থেকে বন্ধুত্বের ব্যর্থতার ওপর দাঁড়ায়া ন্যায়বিচার এমন এক জায়গা কইরা নিছে যে গণতন্ত্রের মূল শক্তি হয়া পড়ছে এই ন্যায়বিচার। স্বাভাবিকভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বন্ধুত্ব বৎসল হবে এইটাই আমরা ভাবি। কিন্তু উৎসে কর্তন হয়া আছে। গণতন্ত্রে তাত্ত্বিকভাবে বন্ধুত্বের জায়গা আসলে নাই। বন্ধুত্ব ও গণতন্ত্র পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত। ফলে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্র বন্ধুত্বকে সন্দেহের চোখে দেখে। এবং চূড়ান্ত গণতন্ত্র অর্থাৎ ন্যায়বিচার সহ অন্য উপাদানগুলা তাদের শক্তিতে সক্রিয় হয়া উঠলে বন্ধুত্বের জন্য শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা তৈরি হয়। নাগরিকরা কোনো বিষয় আর আপোষে, দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের সূত্রে নিষ্পত্তি করতে চান না। তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ওরফে ন্যায়বিচার আইসা খাড়া হয়া যায়। আর সেইখানে কেউ যদি কাউকে বন্ধু হিসাবে সম্বোধন করে তারমানে সে সেইটারে তাত্ত্বিকভাবে মিন করে না। কারণ আইনের চোখে সবাই সমান। কেউ কারো বন্ধু হইলে অন্য আরেকজনের চাইতে তাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া গণতন্ত্রে কঠিন।
এই পর্যন্ত জাইনা এখন আমাদের গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে কি আমি এখন বন্ধুত্বের পক্ষে দাঁড়াইতে গিয়া গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিতে যাইতেছি? আসলে তা নয়। রাষ্ট্র তার মতো আগায় বা পিছায়। সমাজ তার মতো কইরা চলে। বন্ধুত্ব সামাজিক এক বিষয়। এই দুইয়ের সংঘর্ষ ও আপোষের মধ্য দিয়া ব্যাপারগুলার একটা চেহারা তৈরি হয়। ফলে, গণতন্ত্র চাই বইলা আমার বন্ধু থাকবে না সেইটা হয় না। আবার বন্ধুত্ব চাই বইলা গণতন্ত্র থাকবে না সেইটাও হয় না। আমি খালি কথাটা কয়া রাখলাম।
গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলা বন্ধুত্বকে সন্দেহের চোখে দেখে। কিন্তু গণতন্ত্র ও প্রযুক্তির বিকাশের একটা পর্যায়ে আমরা দেখতে পাইতেছি বন্ধুত্ব নতুন রূপে ফিরা আসতেছে। আধুনিক প্রযুক্তি মানুষরে যন্ত্র বানাইতেছিল। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি মানুষরে আবার মানুষ বানাইতেছে। কেমনে?
ব্যাপারটার অনেকটাই ভার্চুয়াল। তথাপি কিছু বিষয় খুব খিয়াল করতে হয়।
১৩ ডিসেম্বর ২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিন যে সংখ্যাটা করছিল সেইটা বিষয় আছিল ‌'ইউ'। আপনি/তুমি। আমি সংখ্যাটা পড়তে গিয়া এক ফেসবুক সেলিব্রেটির দেখা পাইলাম। তাকে দেখার জন্য ফেসবুকে গিয়া দেখি লগ ইন না করলে হবে না। লগ ইন করে তার প্রোফাইল দেখলাম। আর তৈরি হইলো আমার অ্যাকাউন্ড। ছবি, অন্যান্য ডিটেইল ছাড়া ওই অবস্থায় অ্যাকাউন্ট পইড়া ছিল। হঠাৎ একদিন একটা মেসেজ পাইলাম। সামোয়ান ইজ লুকিং ফর সাম মাহবুব মোর্শেদ। কথাবার্তার মধ্যে বন্ধুত্ব হয়া গেল। বহুদিন পর জানা গেল, তিনি আমার খুব কাছের লোক। নানা কারণে পরিচয় হয়া ওঠে নাই। এক জন দু জন করে অনেক বন্ধু জুটলো। অনেক, এনাফ। ফেসবুকের বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় ধাক্কা খায়া চইলা গেলেও মনে পড়বে না হয়তো অনেকেরই অনেককে। কিন্তু তারপরও আমরা বন্ধু। কারণ, আমরা একটা শব্দের মধ্য দিয়ে নিজেদের সম্পর্কটাকে চিনতে চেয়েছি। শব্দটা বন্ধুত্ব। সেইটার একটা সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অর্থ আছে। আমরা সেইটা নানাভাবে ফিল করি। হয়তো একজনকে ঠিক চিনে উঠতে পারছি না। হয়তো একজনের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে সহসা তার প্রোফাইলের চেহারারা সঙ্গে তাকে মেলাতে পারলাম না। হয়তো একজনের ওয়ালে কিছুই লিখি নি আমি। হয়তো একজন কোনোদিনই আমাকে কোনো মেসেজ দেননি। কিন্তু তিনি আমাকে আমি তাকে বন্ধু বলে স্বীকার করেছি। অর্থাৎ আমাদের মধ্যে একটা সামাজিক সম্পর্কের সম্ভাবনা তৈরি হইছে। এই সম্ভাবনাটাই এইখানে গুরুত্বপূর্ণ।
আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হইলো, যে জেনারেশনটি যান্ত্রিক হবে, অনুভূতি, আবেগ, ভালোবাসা বইলা যাদের কিছু থাকবে না বইলা ভাবা গিয়েছিল তারা দেখি রীতিমতো ফেসবুক অ্যাডিক্ট হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে। হ্যাঁ, ওখানে এমন অনেক কিছুই আছে যাকে সন্দেহের চোখে দেখলে দেখা যেতে পারে। কিন্তু বন্ধুত্বটাকে সন্দেহ করার উপায় কী? আমি কইতে চাইতেছি, রাষ্ট্র সমাজের জায়গা দখল কইরা নেওয়ার অনেক পর। অথবা দখল কইরা নিতে নিতে আরেকটা সমাজ এই রাষ্ট্রের ভিতরে, এমনকি এই রাষ্ট্রের সীমানার বাইরেও জায়গা কইরা নিতেছে। সেই সমাজটা আইজা ভার্চুয়াল কিন্তু কাইলকা যে বিয়েল হবে না এই গ্যারান্টি কই। সো রাষ্ট্র এইটারে সন্দেহ করে। করতে পারে। করবে।
এখন ব্লগের কথায় আসি। এরিস্টোটলের কথা আবার টাইনা আনি। ব্লগে লোকে লেখে এবং এইটা জাইনাই লেখে যে যাদের সঙ্গে সে লিখতেছে তাদের সঙ্গে মোটামুটি বন্ধুত্বের শর্তেই আবদ্ধ সে। মতের পার্থক্য হউক, কি চিন্তার তাকে কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিজেদের মধ্যে সেইটার নিষ্পত্তি করতে হবে। অথবা নিষ্পত্তি না কইরা সেইটারে টাইনা নিতে হবে। ব্লগারদের পারস্পারিক বিষয়ে রাষ্ট্র আইসা পক্ষ হইছে এই রেয়ার ঘটনা। বরং ব্লগ একটা পক্ষ রাষ্ট্র আরেকটা পক্ষ এইটাই দেখা গেছে। আরেকটা বিষয়, শুধু তো রাষ্ট্র না তথ্য, তথ্যসরবরাহের উপায়ের ফাঁকে কত বড় বড় প্রতিষ্ঠান। তাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও নামপরিচয়হীন কিছু মানুষ যে, নাম পরিচয়হীন কিছু মানুষের উপর নির্ভর কইরা তথ্য-বিনিময়ের এতবড় একটা উপায় তৈরি করতেছে সেইটা কিসের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত?

অতএব, সেই গানটার কথা কই।
সবাই বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে।
না গো না, চাঁদ নয়, আমার বন্ধু এসেছে।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৫১ টি মন্তব্য
* ৪৩৫ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১৩ জনের ভাল লেগেছে, ৩ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28826902 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:০৩
comment by: কাজী গোলাম রাব্বানী বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:০৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, রাব্বানী।
২. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:০৮
comment by: রাজামশাই বলেছেন: মারহাবা মারহাবা
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:০৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:১০
comment by: রাজামশাই বলেছেন:

অতসী ফুলের শুভেচ্ছা
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:০৮

লেখক বলেছেন: thanx again.
৪. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:২১
comment by: তারিক টুকু বলেছেন: পেচাইছেন কিন্তু তারপরেও ভাল লেখা।

+
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯

লেখক বলেছেন: পেঁচাইলাম কই। এত জটিল একটা বিষয়রে এত সহজ কইরা কইলাম তাও আপনের জটিল লাগে কেন?

থ্যাংকস।
৫. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:২২
comment by: স্বাক্ষর শতাব্দ বলেছেন: ভাইয়া আপনার গুরু কে? লেখাটা ভালো লাগলো
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১০

লেখক বলেছেন: গুরুর কথা গোপন রেখেছি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৬. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:২৩
comment by: নুরুন্নবী হাছিব বলেছেন: @সবাই বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে।
না গো না, চাঁদ নয়, আমার বন্ধু এসেছে।...দারুন লাগলো...:)
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১১

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৭. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৪৬
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগল খুবই। The phantom Friend Returning (in the Name of ''Democracy'') একটা চাপ্টার আছে দেরিদার এই বইতে, দেখলাম আপনার লিঙ্কে গিয়ে। হাঃ।

আর ফেসবুকের বন্ধুত্বে কেন এই জেনারেশনটির আগ্রহ, সেটির কারণ, একধরণের ইগো যাপন, এইটাই আমার মনে হয়। নার্সিসাস এবং আত্মকেন্দ্রিকতা। এই বন্ধুত্বের কোন দায় নেই, এমনকি শরীর নেই। তাই, কে বন্ধু হচ্ছে তা জানারই প্রয়োজন বোধ করি নি কখনো। কাউকে ইনভাইট করি না, কেউ কখনো ইনভাইট করলে সাড়া দিই অথবা দিই না। অনেকটা অইরকম, আউটসাইডার উপন্যাসটা পড়েছেন? ''ক্যামুর ছেলেটি মা'র মৃত্যুদিন মনে করতে পারছে না।''- সৈয়দ আহমদ শামীম নামে একজনের কবিতার লাইন এটি, অঅমার খুব প্রিয় কবিতাগুলির একটি।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রিফাত ভাই,
দেখা যাচ্ছে আমাদের মধ্যে একটা মতান্তর হইতেছে। এই বিষয়ে। দেরিদার বইটা শীঘ্রই পড়বো বইলা ঠিক করছি।
দেন, কিছু জানতে পারবো বইলা আশা রাখি।
৮. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৪৮
comment by: টিউলিপফুল বলেছেন: ভুয়া েলথা।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১৮

লেখক বলেছেন: হ।
৯. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩
comment by: মৈথুনানন্দ বলেছেন: মেলাবেন? তিনি মেলাবেন??
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:১৯

লেখক বলেছেন: মেলাবেন!
১০. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০৯
comment by: আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: ভাল্লাগছে।
তবে রিফাত হাসাভের কমেণ্ট আরো বেশি ভাল্লাগছে।তয় ক্যামুর "আগন্তুক বা আউটসাইডার" ভাল্লাগে নাই।পুরো বোরিং উপন্যাস।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:২০

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
১১. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:২০
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: পড়লাম এবং জানলাম বন্ধুতাও -গণতন্ত্র, দর্শন এরকম ব্যাপারস্যাপারের মধ্যে প্যাঁচাইয়া গেছে।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:২১

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রবিউল ভাই।
১২. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৩১
comment by: অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: বেশ বন্ধুতাপূর্ণ লেখা। কিন্তু এত বন্ধুত্বপূর্ণ হইবার মার্গে উঠতে পারি নাই। লেখা ভালৈছে।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৫

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
১৩. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৮
comment by: আজহার ফরহাদ বলেছেন: সে এলো, আর আমি একবার তার দিকে আরেকবার ঘরের দিকে দেখতে থাকি।

গালিবের কথায় কিংবা রবীন্দ্রনাথের ভাষায়-

আসবে কখন আমার দুঃখরাতের রাজা!

বন্ধুত্বের আছে কত বেদনাজাগর সুখ।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:১৭

লেখক বলেছেন: আহা!
১৪. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
comment by: গিফার বলেছেন: অনেক দিন পর মাহবুব ভাই কেমন আছেন?

পোস্ট টা সুন্দর.....+
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:১৮

লেখক বলেছেন: ভাল আছি। আপনি?

থ্যাংকস এ লট।
১৫. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
comment by: গিফার বলেছেন: অনেক দিন পর মাহবুব ভাই কেমন আছেন?

পোস্ট টা সুন্দর.....+
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:২৬

লেখক বলেছেন: অনেক দিন পর! ব্যস্ত ছিলেন?
১৬. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
comment by: মজনু শাহ বলেছেন: mahbuber kono guru nai.


kenona tar guru houar moto keu nai.

amar dharona, se nijei nijer guru....
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:২৮

লেখক বলেছেন: মজনু ভাই,
আপনি আমার অন্যতম গুরু হয়া এই কথাটা কইতে পারলেন?
১৭. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩
comment by: আজহার ফরহাদ বলেছেন: হ মজনু ভাই, ঠিকই কইসেন। আমারো তাই মনে হয়।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:২৯

লেখক বলেছেন: আজহার, কাজটা কি ঠিক হইলো?
আমি তো গুরুঅন্তপ্রাণ।
১৮. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১২
comment by: শামস শামীম বলেছেন: এক্করে হাছাকতা। ‌‌বন্ধুত্ব ও গণতন্ত্র পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত।''

রাষ্ট্র আরো আগাই যাউক ব্লগ ব্লক! কইরা।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:৩০

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস শামীম।
ব্লগও থাকুক, গণতন্ত্রও থাকুক।
১৯. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:৪২
comment by: ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন: কথাগুলান ঠিকই, মাহবুব বরাবরের মতো সাধারণের মধ্যে অসাধারণকেও দেখেছে।

আর আমার মনে পড়ছে একটা মায়ার কথা। গণতন্ত্রে সাম্যের ধারণা একটা মায়ার পর্দা। ওর আড়ালে অসাম্য ঢাকা থাকে। এই মায়ার জগতে মানুষ নাই, নাগরিক আছে। সেটা কি? সেটাও একটা সাপেক্ষ ধারণা। রাষ্ট্রের সাপেক্ষে। রাষ্ট্র না থাকলে নাগরিক নাই? সেকারণে বিহারিরা রাষ্ট্রহীন, তাই নাগরিক কি? এইভাবে মায়াবাদ আরো জয়ী হতে থাকে। আসল মানুষের জায়গায় সে আনে ক্রেতা মানুষ, কনজিউমার। কনজিউমারের পাশে সে এখন বসায় ভার্চুয়াল মানুষ। আসল বন্ধুত্বের জায়গায় আনে ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব। সত্যিকার বন্ধুত্বের জায়গায় এসেছে বন্ধুত্বের ধারণা। ফেসবুকে সেই ধারণার চাষাবাদ হয়। কিন্তু আসল মানুষ কই? আসল বন্ধু কই?

রিফাত হাসান এ বিষয়ে সুন্দর বলেছেন।

মানুষকে যতই তার শরীর-মন-মন্ত্রসহ জানি ততই একটা ইতির বিস্তার হয়, আমরা তখন বলি, হ্যাঁ ওকে আমি জানি। আর ভার্চুয়াল জগতে আমরা বলি, ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক (ভার্চুয়াল ?)। এ ভাবে আসল মানুষের বিমূর্তকরণ করতে করতে আসলে মানুষের ও সম্পর্কের নেতিকরণ ঘটে না কি? গণতন্ত্র যেমন ভার্চুয়াল সাম্য, সাম্যের অস্বীকারে যার শেষ। তেমনি ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব কি সমাজ-সংসারে বিরাজ করা সত্যিকার মানুষের বিলয়ের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় না?

এমন ভাবনা এল। এখন যাচাই করা যায়, এটাও আরেকটা মায়া কিনা। কে জানে?


০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ফারুক ভাই।
মায়া হইতেই পারে। জগৎ ব্যাপারটাকেই একটা মায়া ধইরা নিয়া কত মানুষই তো জগৎ-যাপন করতেছে। কেউ মায়া ভাইবা নিয়া বাস্তব যাপন করে। আর কেউ বাস্তব ধইরা নিয়া মায়া যাপন করে।
আমার বরং একটু অন্য কথা মনে হয়। ভাববাদ ও বস্তুবাদের মধ্যে আমরা যে পাথর্ক্য রেখা টাইনা আমরা চিন্তাচর্চাকে একটা পর্যায় পর্যন্ত রূপ দিছিলাম, সেই একই ভেদ কি রিয়েল ও ভার্চুয়ালের মধ্যে টানতে যাইতেছি কি না? একজন মানুষ যদি অস্তিত্বে না থাকে তাইলে তার আত্মা থাকার সম্ভবনাও যেমন নাই তেমনি তার ভার্চুয়ালও থাকার সম্ভাবনা নাই। ফলে, ছায়া থাকলে একটা মানুষ তো থাকবেই। তাই না?
আরেকটা বিষয়। আধুনিক প্রযুক্তি বিমানবিকরণের দিকে আগাইতে গিয়া একটা শূন্যতার সূচনা করছিল বইলা আমার অনুমান। সেই শূন্যতা, আপাত সম্পর্ক ও যোগাযোগহীনতার মধ্যে ভার্চুয়ালি কিন্তু মানুষ আবার যোগাযোগ করতেছে। এইটা আমার কাছে নতুন একটা সমাজের ধারণা। যা রাষ্ট্রকে কোনো কোনো সময় চ্যালেঞ্জ কইরা ফেলতে পারে।
আর যদি এত কিছুও মানতে না চান। তাইলে শুধু এইটুকু তো মানা যায়, ভার্চুয়ালি যার সাথে আমার যোগ আছে তার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রটা অন্তত বহাল আছে।
২০. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:১০
comment by: গিফার বলেছেন: আমি না তোহ আমি তোহ ব্যাস্ত ছিলাম নাহ.......
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০১

লেখক বলেছেন: আমিও তো ছিলাম।
২১. ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:১৫
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন: ফেইসবুক বন্ধুত্ব নিয়া ভালোই বলেছেন। :)
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০২

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
২২. ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৩৯
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: তো ফেসবুকের শত শত ফ্রেন্ড যাদের না জাইনাই অ্যাড করা হয় বা হইতে পারে,তারা ঠিক বন্ধুত্বের আওতায় পড়ে বইলা মনে হয় না,এইখানে কোন কমিটমেন্ট তো আসতেসে না।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০৪

লেখক বলেছেন: যাকে অ্যাড করছেন তিনি তো আপনার বন্ধুর বন্ধু বা তার বন্ধু তাই না? এমনও তো হয় যে, একদিন তার পেজে গিয়া তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলেন। আগ্রহ পাইলেন। একটা মেসেজ দিলেন। যোগাযোগ হইলো।
২৩. ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৪৭
comment by: রন্টি চৌধুরী বলেছেন: লেখাটা ভাল লেগেছে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০৪

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
২৪. ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:২৯
comment by: মাঠশালা বলেছেন: আমি কোথায় পাব তারে আমার মনের............
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৩১

লেখক বলেছেন: সে যে দৃষ্টি এড়ায় পালিয়ে বেড়ায় দেয়না ধরা।
২৫. ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৪৬
comment by: সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: ভাই আমি নিতান্তই নাদান শ্রেনীর লোক ফেসবুক টেস বুক বুঝি ই না ঠিকমত।আমার একাউন্ট আছে তবে ঢুকি সামান্যই।
তারপরও লেখাটা পইড়া ভালো লাগছে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫২

লেখক বলেছেন: আপনি বিনয় মজুমদারের ভক্ত?

থ্যাংকস এ লট।
২৬. ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫৬
comment by: রেজাউর রহমান বলেছেন: অনেক দিন আসেন না এখানে। ভুলে গেলেন?

No comments:

Post a Comment