Thursday, February 26, 2009

জাহাঙ্গীরনগরে কী হইতেছে?

৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:২১
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

কাল রাত নয়টা থেকে আজকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সিন্ডিকেট সদস্যদের ঘেরাও করে রেখেছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুই মাস ধরে এক বেদনাদায়ক আন্দোলন চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক আহমেদ সানি নিজের বিভাগের একাধিক ছাত্রীকে নিপীড়ন ও উত্যক্ত করেছেন। ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের পর ঘটনা তদন্তের জন্য সত্যাসত্য যাচাই কমিটি গঠন করা হইছে। সেই কমিটি আহমেদ সানির বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু একটি কমিটির প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে আবার একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হইছে। সে কমিটির রায়ও আহমেদ সানির বিরুদ্ধে গেছে। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে নাই। নানা টালবাহানা করে তারা দুই মাস সময় পার করে দিছে। আজকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কইছেন, তাদের আরও সময় দরকার।
শিক্ষার্থীদের দাবি স্পষ্ট ও পরিষ্কার।
১. অভিযুক্ত ও তদন্তে প্রমাণিত শিক্ষক আহমেদ সানির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি যৌননিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা বাস্তবায়ন।

ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বহিষ্কার এর আগেও ঘটেছে। বিবিএ ও বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর আন্দোলনের মুখে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হইছে। ১৯৯৮ সালের ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন থেকে ১৯৯৯, ২০০১ সালের বিভিন্ন আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী হিসাবে আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনগুলো সবসময় ধর্ষক-নিপীড়ক-নির্যাতক-খুনী-সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নেয়। এদের রক্ষার শেষ চেষ্টাটুকুও তারা বাদ দেয় না। কিন্তু স্বাভাবিক কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিপীড়কের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটাই প্রত্যাশিত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কাঠামোয় সরকারি দলের ক্যাডার, শিক্ষকরা উচ্চতর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। ফলে, তারা নিপীড়নের ঘটনা ঘটনা ঘটালে কর্তৃপক্ষ তাদের পক্ষেই অবস্থান নেয়। আহমেদ সানি নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান হিসাবে বাড়তি কিছু সুবিধা পাচ্ছেন। এবং পরপর দুই শিক্ষকের বহিষ্কারের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আরও একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কিছুতা আতঙ্কিত হয়েছে। তাদের কাছে মনে হয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে আরও অনেক নিপীড়ক শিক্ষককে বলি দিতে হবে। তাই তারা এবার নিপীড়নের বিরুদ্ধে ইতিবাচক কোনো ভূমিকা নিতে পারেনি। ফলে, জাহাঙ্গীরগনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে এবারের শিক্ষক সমিতি।
নাটক ও নাট্যততত্ত্ব বিভাগে এর আগেও শিক্ষক ও ছাত্রদের দ্বারা ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভাগটির নিজস্ব ধরন ও শিক্ষকদের কড়া নিয়ন্ত্রণের কারণে সে অভিযোগগুলো বাইরে আসতে পারেনি। এবার শিক্ষার্থীরা এতটাই আক্রান্ত বোধ করেছেন যে আন্দোলনের প্রথম স্ফূলিঙ্গ তাদের মধ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। নাটক ও নাট্যতত্ত্বের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যরা যোগ দিয়েছে। নারী শিক্ষার্থীরা এবার অন্য অনেক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় ও সোচ্চার হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগরের ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে আহমেদ সানির শাস্তি পাওয়াটা বিশেষভাবে জরুরি। তিনি কোনো ভাবে ছাড় পেয়ে গেলে সেটা একদশকের ধর্ষণ-নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের স্পিরিটকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আজকে কইছেন, যৌননিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা প্রণয়নের জন্য তাদের আরও সময় দরকার। তার কথা পুরোপুরি হাস্যকর। জাহাঙ্গীরনগরের ধর্ষন বিরোধী আন্দোলনের এক দশক পূর্ণ হইতে চললো। এই একদশকে আমরা বহুবার নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালার দাবি করছি। বহুবার নীতিমালার খসড়া দেওয়া হইছে। একাধিকবার কমিটি গঠিত হইছে। কিন্তু ধর্ষক-নিপীড়কদের সমর্থন দেয়ার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবারই টালবাহানা করে ব্যাপারটা ধামাচাপা দিছে। আজকের প্রথম আলোয় দেখলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষামন্ত্রণালয় বলছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌননিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা করতে চায়। তাইলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আরও সময় চান কেন বুঝা বড়ো ভার।
আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলাতে অহরহ যৌননিপীড়নের ঘটনা ঘটতেছে। জাহাঙ্গীরনগর এইখানে ব্যতিক্রম যে, সেইখানে নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে প্রতিবাদ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়। কিন্তু অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিপীড়িতের ভাষা কখনো আওয়াজ পায় না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের স্বার্থে নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা দরকার। যে নীতিমালার অধীনে একটি টাস্কফোর্স নিয়মিত শিক্ষার্থীসহ অন্য সবার অভিযোগ পর্যালোচনা তদন্ত করবে। নিয়মিত ব্যবস্থা নিবে। নিপীড়কের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য শিক্ষার্থীদের আর ক্লাশরুম ছেড়ে বের হয়া আসতে হবে না। সহপাঠীদের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার দায় মেটাতে শিক্ষার্থীদের মাসের পর মাস আন্দোলন করতে হবে না।
ফলে, শুধু জাহাঙ্গীরনগর নয়, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যৌননিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা দরকার। এখনই দরকার।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৭৮ টি মন্তব্য
* ৬১৪ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১৫ জনের ভাল লেগেছে, ৬ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28825661 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯
comment by: মোঃ রকিবুল করিম বলেছেন: মাহবুব সাহেব কার কাছে বিচার চাবেন বলুন? যার কাছে চাবেন সেও তাই। এ দেশ সোনার বাংলাদেশ পিরিতি আর যৌননিপীড়ন দেশ এ আমার বাংলাদেশ।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:১২

লেখক বলেছেন: সর্বত্র অসুখ হলে কোথাও না কোথা থেকে তো নিরাময়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৯
comment by: মাকসুদ খান বলেছেন:
নিপীড়ন হয়, প্রতিবাদ হয়, প্রতিকারও পাওয়া যায় । কিন্তু যে নিপীড়িত হয় তার যে ক্ষতি হয় সেটা কি কোনদিন পূরণ হয় । ধন্যবাদ লিখাটির জন্য ।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:১৪

লেখক বলেছেন: নিপীড়িতের ক্ষতিপূরণ তো হয় না।
৩. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৩
comment by: নাজমুল। বলেছেন: লেখক কে ধন্যবাদ। ভিসিও মনে হয় একই পাবলিক।আসলে আমাদের সমাজে যে ভাবে আশ্লিলতা ছরাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে খুব খারাপ পরজায়ের দিকে যাচ্ছে।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:১৮

লেখক বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে ভিসি হয়তো একই রকম মানুষ নন। কিন্তু ভিসি পোস্টে যারা বসেন তারা কখনো সোজাসাপটা নিপীড়কের বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছেন এমন দেখা যায় নি।
৪. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:০২
comment by: নাজমুল। বলেছেন: দেখা যাচ্ছে ছাত্রীরাই বেশী নিপীড়ন এর শিকার হচ্ছে।আনেকে ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায় না।কারন তাকে পরীক্ষায় মার্ক দিবে না।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:২৪

লেখক বলেছেন: ছাত্রীরাই তো নিপীড়নের শিকার হয়। জাহাঙ্গীরনগরে প্রতিবাদের একটা ধারা তৈরি হইছে। তারা অনেক বেশি সাহসী। নেতৃত্বও অনেক সময় তারাই দিয়ে থাকে।
৫. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:১৬
comment by: সাঈফ শেরিফ বলেছেন: যৌনতা বা যৌন নিপীড়ন যাই বলেন , এটা জাবির অকথিত সৌন্দর্য। সেঞ্চুরিয়ান মানিকের সময়কার ঘটনা গুলো বছরের পর বছর গোপন থাকার পর মিষ্টি মুখের মাধ্যমে যে ভাবে ফাস হল, সেটা জাবির সামগ্রিক একটা নিষিদ্ধ সংস্কৃতিকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।

আজকাল দু চার জন সৎ সাহসী বীরঙ্গনা এ নিপীড়নের কথা প্রকাশ করছেন। তাদের সালাম দিই আমি।


কিন্তু ছাত্ররা সেখানে মহামারী আকারে যেসব দৈহিক সম্পর্কের কাহিনী ঘটাচ্ছে তার কয়টা আমরা জানছি। কিছু শিক্ষক ভদ্র ভাবে করছেন লিভ টুগেদার। এসব জাবির খুবই সাধারণ সংস্কৃতি, এ নিয়ে অবাক হবার কিছু নেই।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৩০

লেখক বলেছেন: যৌনতা ও যৌননিপীড়নের পার্থক্য যদি আপনের মতো লোক না বুঝে তাইলে তো সমস্যা। আমি তো ভাবছিলাম এইটুকু বুঝার মতো যোগ্যতা ব্লগারদের আছে।
জাবি সম্পর্কে আপনি যা বলছেন তা প্রায় কল্পকাহিনীর শামিল। এ নিয়ে আপনি মুখরোচক গল্প লিখতে পারেন। কিন্তু ব্লগীয় আলোচনা এতে চলে না।
আপনি জাবির কথা কার কাছে শুনছেন জানি না। আমি ওইখানে পাঁচ-ছয় বছর ছিলাম।
৬. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:২০
comment by: হাসান বিপুল বলেছেন: এই লেখায় মাইনাস দিলো কেডা? এটাতো সোজাসাপ্টা পজিটিভ লেখা...
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৩

লেখক বলেছেন: আমার পোস্ট দেখলেই মাইনাস দিবে বলে এরা ঠিক করছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমি এদের বাড়া ভাতে ছাই দিছিলাম।
৭. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:২৭
comment by: ইমরান মামা বলেছেন: মাকসুদ খান বলেছেন:
নিপীড়ন হয়, প্রতিবাদ হয়, প্রতিকারও পাওয়া যায় । কিন্তু যে নিপীড়িত হয় তার যে ক্ষতি হয় সেটা কি কোনদিন পূরণ হয় । ধন্যবাদ লিখাটির জন্য ।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৩

লেখক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৮. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:২৮
comment by: প্রচেত্য বলেছেন:
উদ্বেগজনক, দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা কেন্দ্র যখন এমন যৌন অসুখে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তার মূল হোতা যখন সেখানকারই শিক্ষক হয়, এ বিষয়ে কি আর হবে লিখে, কার বিরুদ্ধে লিখবেন, আপনি যখন এ লেখা লিখছেন আমার কথা এ লেখা তো ওই শিক্ষকের -ই লেখা উচিত ছিল, যিনি কিনা অন্য আক্রান্ত বিষয়গুলি তুলে ধরবেন, অথচ আফসোস তিনিই ভিকটিম।

কি বলা যায় দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ আর সে দেশের মানুষের কাছ এর চেয়ে আর কি প্রত্যাশা করা যায়, কারা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে, এই খারাপ মানুষগুলোই

৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৬

লেখক বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বহু আগাছাকে গাছ ভেবে নিয়োগ দিছে। আহমেদ সানি শুধু একজন নিপীড়ক নন, উনি একজনি বিশিষ্ট আগাছাও।
৯. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:২৯
comment by: অ রণ্য বলেছেন: এমন লেখায় মাইনাস এর থেকেই কি বোঝা যায়না আমরা ঠিক কোন অবস্থানে বাস করছি...বা আমাদের নেতিবাচক মানসিকতা
আসলে আমরা নিজেরাই তৈরী করেছি বিকৃত প্রজন্ম (এবং করছি ক্রমশ)
যার ভেতরে গুটিকতক মানুষের সুরুচির চিৎকার চাপা পড়ে যায়
যাচ্ছে...


অবশ্যই সেই কুৎসিত মানুষটির কঠিন বিচার হওয়া উচিত এবং কিঞ্চিত দেরী না করেই

কিন্তু প্রশ্ন হল করবে টা কে.....যখন আমরা এইরুপ বা সেইরুপ
মৌলিক আদর্শগুলো বিলুপ্ত


৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯

লেখক বলেছেন: মাইনাস যারা দিছে তারা এই লেখার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়া নাও দিতে পারে। আমি ব্লগে খুব অজনপ্রিয়। এই কারণে প্রচুর মাইনাস পাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৫২
comment by: রোডায়া বলেছেন: হুম কথা সত্য৷
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪০

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
১১. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
comment by: আহমেদ চঞ্চল বলেছেন: জা:বি মানেই এইগুলো।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪১

লেখক বলেছেন: কোনগুলা?
১২. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:০২
comment by: মামু বলেছেন: এই ব্যাপারে সেন্চুরি মানিকের সাহাজ্য নেওয়া যাইতেপারে, ওর সব কৃত কর্ম মাপ কইরা দিয়া ওর কাচ তেকে ধর্ষনের সিশ্টেম গুলা জানন যায়।

এবং তারপর সেই সিষ্টেম গুলা বন্ধ করার উপায় নিয়া মাইনকার লগে আলুচকা কইরা একটা পদ্বতি বাহির করনের দরকার।

-------------------------------------------------
সেন্চুরি মাইনকার শিক্ষকগুলা তোর মাইকারমতই লুচ্চা হইব।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪২

লেখক বলেছেন: আপনে দেখি সব জায়গাতেই রস খুঁজেন।
১৩. ৩০ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:২০
comment by: ত্রিভুজ বলেছেন:

সাঈফ শেরিফ এর সাথে একমত।

"প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যৌননিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা দরকার। এখনই দরকার।"

ধন্যবাদ মোর্শেদ ভাই...
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪

লেখক বলেছেন: সাঈফ শেরিফের কথাগুলা কিন্তু সুবিধার ছিল না।
তথাপি আপনাকে আলাদা কইরা ধন্যবাদ।
১৪. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ২:৫১
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কাঠামোয় সরকারি দলের ক্যাডার, শিক্ষকরা উচ্চতর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। ফলে, তারা নিপীড়নের ঘটনা ঘটনা ঘটালে কর্তৃপক্ষ তাদের পক্ষেই অবস্থান নেয়।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৫

লেখক বলেছেন: হ।
১৫. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:১৪
comment by: রাজর্ষী বলেছেন: সাইফ শেরিফ আপনার ধারনা মারাত্নক রকমের ভুল। জাবির "অকথিত সৌন্দর্য" "মহামারী আকারে দৈহিক সম্পর্কে" নয় বরং জাবির ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্য্য হল যৌননীপিড়ন বিরোধী আন্দোলন/সংগ্রাম। এটাকে পড়তে ব্যার্থ হয়েছেন আপনি। আপনার বক্তব্য তাই নীপিড়নকারিদের পক্ষে গেছে।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৭

লেখক বলেছেন: হ।
১৬. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৭:৫৪
comment by: সাঈফ শেরিফ বলেছেন: জাবির ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্য্য হল যৌননীপিড়ন বিরোধী আন্দোলন/সংগ্রাম..............এমন অদ্ভুত ব্যানারে সংগ্রাম তো সারা বাংলাদেশে আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম ও ঘটা করে করতে দেখা যায়না। কারণটা বলবেন কি রাজর্ষী?

এটা কি একটা নিষিদ্ধ কাজের অস্বাভাবিক সংখ্যাধিক্যকে ইঙ্গিত করে না?, যেটা কে আমি "গোপন মহামারী" বলতে বাধ্য হয়েছি।

বাংলাদেশের মত রক্ষণশীল দেশে নিষিদ্ধ কাজ যত হয়, তার ৯০ ভাগ আড়ালে থেকে যাচ্ছে বলে মনে হয়। জন জ্ঞাতার্থে না আনলে নিষিদ্ধ কাজে "লজ্জা, সচেতনতা" জাগানোটা অসম্ভব।অনেক বাবা মা বাস্তবতা জানেন বিধায় নিজের মেয়েকে খুব ঠেকা না পড়লে ওখানে এখন আর পড়তে পাঠাতে চান না।

"অকথিত সৌন্দর্য!!!!" কথাটা ব্যাঙ্গার্থে ধরবেন পুরোপুরি।
আপনি যদি জাবির হয়ে থাকেন তো আমি ক্ষমাপ্রার্থী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার বিষয়, দেশ.........শব্দ গুলো বরাবরের মতই পবিত্র। এগুলো নোংরা করে মানুষ রূপী জানোয়ার এর দল।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৯

লেখক বলেছেন: আপনার কি ধারণা?
অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিপীড়নের ঘটনা ঘটে না?
১৭. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৫৬
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: জাবিতে এরকম অভিযোগ আমি প্রায়ই শুনি।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫১

লেখক বলেছেন: ঢাবিতে শোনেন না?
বিএম কলেজে শোনেন নাই?
জাবির সমস্যা শুনেন কারণ প্রতিবাদ কিছু হইলে এইখানেই হয়।
১৮. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:৫৭
comment by: রাজর্ষী বলেছেন: কারন জাবি অনেক বেশী প্রতিবাদী তাই জন জ্ঞাতার্থে নিয়ে আসে, প্রতিরোধ করে। বাকি বাংলাদেশের মত ৯০ ভাগ আড়াল করে না।
তাই, উম্মু আবদুল্লাহ, জাবিতে এরকম অভিযোগ আমি প্রায়ই শুনেন।
মানুষ রূপী জানোয়ার এর দল সারা দেশেই সমান। ধরা খায় জাবিতে এসে।
প্রকাশ, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ বেশী হয় বলে যদি জাবির বদনাম করেন তাহলে সচেতনতা জাগানোটা অসম্ভব। আমাদের সমাজে ধর্ষিতার প্রতি একি ধরনের আচরন করা হয়।
পরিশেষে বলবো যৌন নিপিড়নকে "নিষিদ্ধ কাজ" শব্দ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায় না।রাস্তায় মেয়েদের উত্যক্ত করাও যৌন নিপিড়ন।
তুলনামুলকভাবে জাবি সবচেয়ে নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেয়েদের জন্য।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৩

লেখক বলেছেন: রাজর্ষী আপনাকে ধন্যবাদ।
১৯. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:৫৩
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সেরকম হলে তো ভাল কথা। @রাজর্ষী।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৪

লেখক বলেছেন: ঘটনা তা-ই।
২০. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:০৭
comment by: মাঠশালা বলেছেন: পোষ্ট ষ্টিকি করার দাবি জানাচ্ছি।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬

লেখক বলেছেন: পোস্ট ও স্টিকি হবে।
২১. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:০৬
comment by: দূর্ভাষী বলেছেন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ এ ঘটে যাওয়া ঘটনার পূর্বাভাস বলে মনে হচ্ছে।

চরিত্রহীন ভিসি কাদের ভূইয়া (খুবির তৎকালিন ভিসি) আর বর্তমান সানি সাহেব একই ঘরানার। জানিনা জাবি ভিসি ও একই দলের কি না।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:২০

লেখক বলেছেন: আন্দোলন হইছিল?
২২. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:০৮
comment by: মেসবাহ য়াযাদ বলেছেন: কয়জন নিপীড়নের শিকার হইছে ?? একশ হইছে ??? হয় নাই !!
তয় এতো চিল্লাচিল্লি কেন ?? মানিকের কতা মনে নাই ?? হেয় শত পূর্ণ করছিলো না ?? ভুইল্লা গেছেন ??

এই জাতীয় শিক্ষকদের মুখে থুতু দেই আমি !!!!

(আপনার রোগীর খবর কী ? সকালে অফিসে যাইয়া খবর নিতে গিয়াতো আমি বেকুব ???)
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:২৩

লেখক বলেছেন: হ।

শেষে স্কয়ারে ঠাঁই মিলছে।
অনেক ধন্যবাদ বস।
২৩. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:২৩
comment by: দূর্ভাষী বলেছেন: @লেখকঃ শুধু আন্দোলন না, অনেক কিছুই হইছিলো, ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিঃস্কার হয়েছিল (আন্দোলনকারী ছাত্র), অবশ্য তারা হাইকোর্টে রীট করে শাস্তি অবৈধ মর্মে রায় ও পেয়েছিল। ওদের জীবন থেকে গিয়েছিল একটি বছর আর খুবি থেকে অবসান হয়েছিল আঃ কাদেরের আমলের।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:২৬

লেখক বলেছেন: ডিটেইল লেখেন বিষয়টা নিয়া। সবাইরে জানানো দরকার।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৩২
comment by: দূর্ভাষী বলেছেন: ভাই জানিয়ে লাভ নেই। এই ব্লগেই কিছু লোক আছে যারা কাদের ভূইয়ার দালাল, ১৫ জনের পবিত্র আত্নত্যাগ নিয়ে কেউ যদি খারাপ মন্তব্য করে তবে সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে, আর ওদের কে (দালাল) আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তাই বড় ধরনের ঝামেলা হওয়ার আশংকা আছে।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৪১

লেখক বলেছেন: বড় ধরনের ঝামেলা না হইলে তো মজাই নাই। লেইখা ফেলান। ঝামেলা বাঁধানো কখনো জরুরি হয়া উঠে।
২৫. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৪
comment by: দূর্ভাষী বলেছেন: ঠিক আছে লিখবো, তবে আগামী ৪ তারিখের পরে। ট্যূর থেকে ফিরে রিলাক্স করে লিখতে হবে। নইলে বন্ধু ও ছোটভাইসহ অনেকে কষ্ট পাবে, খুবই আবেগময় একটা বিষয় আমার জন্য।
৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৩

লেখক বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম।
২৬. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৬
comment by: মদন বলেছেন: +
০২ রা আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৫২

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
২৭. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "ঢাবিতে শোনেন না?
বিএম কলেজে শোনেন নাই?
জাবির সমস্যা শুনেন কারণ প্রতিবাদ কিছু হইলে এইখানেই হয়।"


কান কথার উপর বেশী গুরুত্ব দিতে নাই। তাও বলছি। ঢাকায় বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল, সলিমুল্লাহ মেডিকেল, ঢাবি, জাবি - এই পাচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জাবির কিছু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ বেশ প্রকট ছিল। এর কারন সম্ভবত শেকড় গেড়ে বসা শিক্ষক রাজনীতি আর লোকালয় থেকে জাবির অবস্থান কিছুটা দূরে।

ঢাবিতেও শোনা গিয়েছে। তবে ঢাবির অধিকাংশ ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে আমাদের পরিচিত মেয়েরা ভালই রিপোর্ট দিয়েছে। আর ঢাবি বিশাল বড় বিশ্ববিদ্যালয়। সে হিসেবে কিছু ঘটনা হয়ত বা ঘটেছে। তবে জাবির কিছু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যতটা অভিযোগ বিভিন্ন সময় শুনেছি তার সাথে ঢাবিকে তুলনা করা যায় কিনা সন্দেহ।

আগেই বলেছি এগুলো শোনা কথা। তা নিয়ে তর্ক করা যায় না। আমি জানি না এসব ঠিক না বেঠিক।
তবে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসেছে, প্রতিবাদ করেছে - সেটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।

কাউকে আহত করা উদ্দেশ্য নয়, যা লোকমুখে শুনেছিলাম তাই বললাম। এরকম শোনা কথা ভুল হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
০২ রা আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৫৯

লেখক বলেছেন: অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিপীড়নের ঘটনা কম ঘটলে নিশ্চয়ই তা আশার কথা।
কিন্তু আমার পর্যবেক্ষণ হলো জাবিতে যথাযথ প্রতিবাদ হয়।
২৮. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৭
comment by: দূর্ভাষী বলেছেন: আপনার অনুরোধে খুবি নিয়ে সামান্য লিখলাম।

Click This Link
০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:০৩

লেখক বলেছেন: সেদিনই পড়ে গেছি।
২৯. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
comment by: লেখাজোকা শামীম বলেছেন: নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালায় এসব শিক্ষকদের চাকুরি থেকে বাদ দেয়ার পাশাপাশি আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা থাকা দরকার। এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পবিত্র জায়গার শিক্ষক হয় কেন ? তাদের তো বেশ্যার দালাল হওয়া উচিত ছিল।
০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:০৯

লেখক বলেছেন: আদালতে পাঠালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বাদী হয়ে মামলা করতে হয়। সেক্ষেত্রে ইন দি লং রান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের সঙ্গে আপোষ করে ফেলতে পারে। এবং আদলতে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া পেয়ে আসতে পারে। মামলার দীর্ঘসূত্রীতায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সময় চাপ অব্যাহত রাখতে পারে না। ফলে, মামলার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বোচ্চ শাস্তিটা নিশ্চিত করতে চায় তারা।
৩০. ৩১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৪
comment by: রাহিদুল সামান্না রকি বলেছেন: কয়েক মাস যাবৎ ব্লগ পড়ছি। কিছু লেখা, কিছু লেখক তাদের গঠনমূলক, দায়িত্বশীল লেখনীর মাধ্যমে সমৃদ্ধ করছে আমাদের। তাদের লেখায় আমাকে প্রেরণা দেয়, আমরা মত হয়তো অনেকে ই-কলম তুলে ধরতে স্বপ্ন দেখায়। আমি তাদের বলিষ্ঠ লেখনী দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে কিছু লিখতে চেষ্টা করছি। আমি বলতে চাই আমার স্বপ্নের কথা, আজ আমার বলার প্রথমদিন, আজ আমি প্রথম পোষ্ট করলাম.....
আমি চাই আমার ই-কলম ধরার অন্যতম নায়ক ব্লগার মাহবুব মোশের্দ
আমার লেখাটা পড়বেন।

Click This Link
০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:১৩

লেখক বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৩১. ০১ লা আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৮:০৮
comment by: মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: কোন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব 'যৌননিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা' তৈরী না করে দোষীদের প্রচলিত আইনে বিচার করা যায়না?

যদি দুটি তদন্ত প্রতিবেদনে অপরাধ প্রমানিত হয়, তবে দোষীদের প্রচলিত আইনের আওতায় বিচারের মুখোমুখি করতে সমস্যা কোথায়? বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক বা সমিতি যদি অপরাধীদের পক্ষে কাজ করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা সম্ভব।
০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭

লেখক বলেছেন: রিপন ভাই,
প্রচলিত আইনে তা বিচার সম্ভবই। কিন্তু সমস্যাটা কোথায় তা শামীম ভাইয়ের উত্তরে কিছুটা বলেছি।
৩২. ০১ লা আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৮:৪৪
comment by: দূরন্ত বলেছেন: প্রশাসনের পক্ষপাতটা আমাকে খুবই কষ্ট দেয়। আমার মনে আছে, একবার যৌন নিপিড়নকারীদের শ্বাস্তির দাবিতে সিন্ডিকেট ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল।
সে সময় ভিসি সহ প্রশাসনের লোকজন বলছিল, আমরা সবই মানছি কিন্তু নীতিমালা ও সঠিক আইনের অভাবে আমরা তাদের শ্বাস্তি দিতে পারছি না... ইত্যাদি ইত্যাদি (নানা ধরনের টালবাহানা)।
এ সময় আবার প্রশাসনের একজন বলে উঠলো, তোমরা যারা আন্দোলন করছো তাদের কিন্তু আমরা ছবি তুলছি। অর্থাৎ ছবি তুলে সেই ছবি দেখে আন্দোলনকারীদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লক্ষ্য করেন, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিন্তু ধারার কোনো অভাব হবে না। কিন্তু নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাদের খুবই অসুবিধা.....
-------------------------------------------------------------
আর এটা সত্য যে দেশের স্বনামধন্য প্রচুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপিড়ন হলেও তা কারো নজরে আসে না। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায় হওয়ার কারনেই জাবির বিষয়টা সবার নজরে আসে।
০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:১৯

লেখক বলেছেন: কত যে ছবি তুলছে ওরা। সেই ছবিগুলা কই রাখছে কে জানে। কী কামে লাগছে তাই বা কে জানে!
৩৩. ০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:০৬
comment by: টিউলিপফুল বলেছেন: আসুন আমরা আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষদের কর্মকান্ডের জন্য উত্তেজিত না হই।কারণ এরা জাতির বিবেক।
০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:১৯

লেখক বলেছেন: হ।
৩৪. ০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৪২
comment by: অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: খুবই কার্যকর পোষ্ট এইটা। প্রিয়তে রইল।
০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০২

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৫. ০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৫
comment by: অ রণ্য বলেছেন: এই জাতীয় পোস্ট অবশ্যই কাল বিলম্ব না করে স্টিকি হওয়া জরুরী
কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে তাদের উদার মনোভাবের পরিচয় দেবে বলে আশা করছি

০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:১৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
৩৬. ০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৯
comment by: কালপুরুষ বলেছেন: ভাল পোস্ট।
০২ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:২৪

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৭. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:১৫
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: আমাদের মেরুদণ্ড বাঁকা হলে কী হবে, দেখছি যে বিশেষ অঙ্গটি বেশ খাড়াই। এটা একটা জাতির সমগ্রতার চিহ্ন। আসলে যখন সবকিছু ভেঙে পড়ে তখন কোনো নীতিরই বালাই থাকে না। কী বলবে মাহবুব। মাঝে মাঝে (বিচার, নীতিমালা) সভ্যতার এইসব মারপ্যাচ ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। গণধোলাই দেয়া দরকার।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:০০

লেখক বলেছেন: যেখানে গণধোলাইয়ের লোক নাই সেইখানে কী হবে?
৩৮. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:২৫
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: যেখানে গণধোলাইয়ের লোক নেই সেখানে যারা আছে তাদেরকে ধর্ষক কিংবা সহযোগী বললে কি ভুল বলা হবে?
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:২৯

লেখক বলেছেন: ধর্ষক বা সহযোগীরা তো ধোলাই দেওয়ার মতো দুর্বল নাও হইতে পারে। ধোলাই দেওয়ার রেডিমেড বাহিনী তো তাদেরও থাকতে পারে।
৩৯. ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: বিষয়টা তুমিও জানো, অযথা ফান করছ। পৃথিবীর কোথাও উৎপীড়নকারীর সংখ্যা বেশি নয়। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে সংঘটিত হওয়া। তোমরা যারা জাহাঙ্গীরনগরের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, তারা ইচ্ছে করলেই সংঘটিত হয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারো। অতীতে তো তাই হয়েছে নাকি? আমি তো দেখছি যে, এখন তোমাদের মাঝে নানা গ্রুপ-উপগ্রুপ। এভাবে হয় না মাহবুব, কোথাও হয়নি। তা তুমিও জানো। আমি বিরক্ত হয়ে বলছি যে, ধোলাই দেয়া দরকার। যারা এখন জা.বি'র ছাত্র-ছাত্রী তারা কি মেরুদণ্ডহীন নাকি? শান্তিপূর্ণভাবে কখনো অধিকার কেউ কাকে দিয়েছে?
০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:০৯

লেখক বলেছেন: তা তো বটেই। সত্যি কথা। যতই নীতিমালা থাকুক আন্দোলন ছাড়া কোনো নীতিরই প্রয়োগ হবে না।

No comments:

Post a Comment