Tuesday, February 24, 2009

ভোটে আসলে কে জিতবে?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০০
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

এ পর্যন্ত সবাই আমার এ প্রশ্নে সহজ ও স্বাভাবিক উত্তর দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ জিতবে। কেউ কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগ একাই সরকার গঠনের মতো আসন পাবে। কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ১৬০ থেকে ২০০ আসনে জয়ী হবে। আওয়ামী লীগ/মহাজোট যে জিতবে এতে কোনো সন্দেহ নাই। হতে পারে ১৫১ হতে পারে ২০০ আসন। কিন্তু তারা যে জিতবে এ ব্যাপারে মোটাদাগে কোনো সন্দেহ নাই।
ব্যক্তিগত আড্ডায় যারা এই মত দিছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগার না। কিন্তু সবার মত প্রায় একই। ঢাকা শহরের মতো সারা দেশেও নাকি এই অবস্থা। আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হইছে। আমিও মেনে নিছি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতেছে। ভোটে আওয়ামী লীগই জিতবে।
............................................................
আওয়ামী লীগ জিতুক। জিতলে কেন জিতবে তার ভাল-মন্দ সব কারণ আমরা জানি। বিএনপি হারলে কেন হারবে তার কারণও আমরা জানি। কিন্তু বাই এনি চান্স বিএনপি যদি জিতে তাইলে কী হইতে পারে। কেন তারা জিততে পারে? জিতলে কী হইতে পারে?
...........................................................
বিএনপি যদি জিতে তাইলে বুঝতে হবে জিরো থেকে হিরো হইছে তারা।
জিতলে কারণ অনুসন্ধান শুরু হবে। নানা তোলপাড় হবে। নানা বিশ্লেষণ হবে। সেইগুলা পড়ে আমরা শিখবো। জানবো। কিন্তু তার আগে সেই কারণগুলা একটু অনুমান করে নিতে চাই। এই সরকার ক্ষমতা হাতে নেওয়ার সময় বিএনপি ছিল শতাংশে ০। খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে বিএনপি হয়ে গেছে ৫%। শেখ হাসিনার বিদেশ যাওয়ার মধ্য দিয়ে হইছে ১৫%। তারেক ও কোকোকে বিদেশ পাঠানোর মধ্য দিয়ে বিএনপি হইছে ২০%। খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্যদিয়া হইছে ২৫%। অন্যান্য নেতার মুক্তির মধ্যদিয়া হইছে ৩০%। দলত্যাগী সংস্কারপন্থীদের ফিরে আসায় হইছে ৪০%।
পরাজয় নিশ্চিত জেনেও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় হইছে ৪৫%। অন্যান্য কারণে আরও ৫% গ্রেস দিলে বিএনপি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনেও ছিল ৫০%। আর আওয়ামী লীগ ছিল ৯৫ পার্সেন্ট। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগের সংগঠন, নেত্রী ও শক্তির ৫% ক্ষতি করতে পেরেছিল।
কিন্তু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেটি সামাল দিয়ে আওয়ামী লীগ ৯৫% শক্তি দ্রুত গুছিয়ে ফেলছিল। অবশ্য মনোনয়ন সমস্যায় তারা আরও ৫% শক্তি ক্ষুইয়ে ৯০% হয়েছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন।
৫০% বিএনপি ও ৯০% আওয়ামী লীগে লড়াই শুরু হয়েছে।
জোটের হিসাবে স্বৈরাচার ও রাজাকার সমান সমান। এরশাদরে ফিক্সড আসন আছে। কিন্তু সারাদেশে ফিক্সড ভোট নাই। জামাতের ফিক্সড আসন নাই কিন্তু সারাদেশে ফিক্সড ভোট আছে।
দুই জোটের শরিকদের অংশগ্রহণ আসলে বড় ফ্যাক্টর না। লড়াই নৌকা আর ধানের শিষেই হবে।
এখন গণেষ ওল্টালে তার কারণগুলো ভাবা যাক :
১. খালেদা জিয়া প্রচুর পরিশ্রম করছেন। শেখ হাসিনার চাইতে বেশি করে মাঠে যাচ্ছেন।
২. বিদেশ না যাওয়ার কারণে তিনি ভুলভাবে হোক/ঠিকভাবে হোক আপোষহীন নেত্রীর তকমা নতুন করে জোগাড় করেছেন।
৩. তার আমলের ব্যাপক দুর্নীতির কথা মানুষ ভুলতে বসেছে মামলাগুলোর বেহাল দশা দেখে।
৪. দুর্নীতি দমনে এই সরকারের আপাত ব্যর্থতার পর মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে দুর্নীতি অদম্য। তাদের এ বিষয়ে করার কিছু নেই। বা সবাই এ রোগে আক্রান্ত।
৫. দ্রব্যমূল্য তেলের দাম এইসব কারণে লোকে এই সরকারের ওপর নাখোশ তাই খালেদা যখন এই সরকারের বিরুদ্ধে বলছেন তখন তারা কিছুটা আস্থা পাচ্ছে।
৬. লোকে বিশ্বাস করতে পারে যে, এই সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সমঝোতা হয়েছে। ভোটের বদলে সমঝোতার পথে যাওয়ার জন্য তারা এর বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারে।
৭. আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ক্ষমতাসীন অনুভূতি তৈরি হতে পারে। ফলে, তারা কাজ কমিয়ে দিতে পারেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ প্রসঙ্গেও এ কথা বলা যায়।
৮. মিডিয়ায় বিএনপি পন্থী উপাদান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। আওয়ামী পন্থী উপাদান প্রায় সমান সমান।
৯. তরুণ ভোটাররা মনে করতে পারে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে না। তাই তারা না ভোট দিতে পারে। অথবা ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে।
১০. ধর্ম ফ্যাক্টর। সজীব ওয়াজেদ জয়ের সেকুলার প্লানের নেতিবাচক প্রচারণা ও হুজুগের কারণে ধর্মভিত্তিক ভোট সরে যেতে পারে।
আরও কিছু কারণ এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এই কারণগুলোকে ৪০% থেকে ৫০% শক্তির যোগানদাতা হিসেবে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে বিএনপি জিততে পারে। প্রায় অসম্ভব একটা ঘটনা।
সে অসম্ভব সম্ভব হতে পারে কি না সেটা বোঝা যাবে ২৯ ডিসেম্বরের পর।
ভবিষ্যত বিশ্লেষকদের জন্য তোলা থাকলো

পুনশ্চ : এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মূল নিয়ামক। ষড়যন্ত্র অন্য আন্ডারস্ট্যাডিংকে নিয়ামক হিসাবে ধরা হয় নাই। নিয়ামক= ভেরিয়েবল।




প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।




এডিট করুন | ড্রাফট করুন | মুছে ফেলুন

* ২২ টি মন্তব্য
* ৩০২ বার পঠিত,

Send to your friend Add to Your Showcase Print
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ১০ জনের ভাল লেগেছে, ১২ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28886826 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০২
comment by: তানভীর রাতুল বলেছেন: তারপরও দুই বেটীই পুরান হইছে, ক্ষমতায় আসার অসীমতা বদলানি দরকার
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

লেখক বলেছেন: কঠিন কাজ।
মুছে ফেলুন


২. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: বিশ্লেষণ ভাল হয়েছে নিঃসন্দেহে ।
কিন্তু কথা সেটাই , বিএনপির ইমেজ সংকট এতই বেশি ছিল যে এবার তাদের ললাটে পরাজয়ই লেখা হয়ে গেছে । সংস্কারপন্থীদের মননোয়ন দিলে , আর চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের বর্জন করলে বিএনপি হয়তো আরও ১০% অ্যাডভান্টেজ গেইন করত , কিন্তু সেক্ষেত্রেও আমার বাজি আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে থাকত । আরেকটা ব্যাপার হল , নির্বাচনে কে জিততে যাচ্ছে , বাতাসে সেটার যে গুঞ্জন ভেসে বেড়ায় সেটা নতুন ভোটারদের প্রভাবিত করে । আমিও যেহেতু নতুন ভোটার , আমি সেটা উপলব্ধি করতে পারি । এটাও আওয়ামী লীগের বড় অ্যাডভান্টেজ ।

নির্বাচন হচ্ছে ৫ বছরের বদলে ৭ বছর পরে , ফলে নতুন ভোটারও বেড়েছে অনেক বেশি । এসব ভোটাররা তাদের বুঝতে শেখার পর বিএনপির দুর্নীতিই কেবল দেখেছে । এটাও আওয়ামী লীগের পালে হাওয়া দেয়
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

লেখক বলেছেন: ঠিক কথা।
মুছে ফেলুন


৩. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪
comment by: রেডিও বাংলাদেশ বেতার বলেছেন: তানভীর রাতুল বলেছেন: তারপরও দুই বেটীই পুরান হইছে, ক্ষমতায় আসার অসীমতা বদলানি দরকার
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৪. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪
comment by: হাসান শরিফ বলেছেন: আপনার নির্বাচনী বিশ্লেষন ভালো লাগলো। নির্বাচনে কে জিতবে বিষয়টি এতো সহজ নয়। অন্তত এবারের নির্বাচনে। এমন হতে পারে গনজোয়ারের কারনে ভোট পেলো আওয়ামী লীগ, কিন্তু প্রশাসন বা কোন গোপন ষড়যন্ক্রে ক্ষমতায় গেলো আওয়ামী লীগ, থকন কি হবে? তবে নির্বাচনে যাই হোক, একটি বিষয় আপনাকে বলি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশ অন্তত আবার সঠিক লাইনে উঠবে। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে কি হবে ভাবলেই ভয় লাগে। এবারের নির্বাচনটা বাংলাদেশের ভবিষ্যত ঠিক করে দেবে। আসুন সবাই দোয়া করি যাতে কোন যুদ্ধাপরাধী প্রতিক্রিয়াশীলরা ক্ষমতায় আসতে না পারে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
মুছে ফেলুন


৫. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৩
comment by: আল-আমিন বলেছেন: আপনার লেখাটা যে কাজে দিবেনা রেটিং ই তা দেখা যায়
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

লেখক বলেছেন: tobe tai hok.
মুছে ফেলুন


৬. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০২
comment by: রবিনহুড বলেছেন:
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৭. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৩
comment by: রবিনহুড বলেছেন: ব্লগে অনেক বাঘা বাঘা বিশ্লষক বিশ্লেষন করে রাত দিন চিৎকার করে দেখিয়েছিল তত্তাবধায়ক সরকার তখা মইন সরকার নির্বাচন করবে না। অথবা না করার দিকে যাচ্ছে।

আজকে ২৩ তারিখে বসে তারা কি সেই কথা গুলা বলতে পারবেন? তাহলে তাদের অনুমান কতদূর ছিল সেটা আজকে ভাল করেই বুঝা যাচ্ছে।
অবশ্য একথা ভূলে গেলে চলবে না, বাঘা বিশ্লেষকরা পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠলে নেতা নেত্রীর কথার সাতে সাতে পশ্চিমে ছাতা ধরেন। তারা আজ কেন ছাতা গুটিয়ে বসে আছেন বুঝা যাচ্ছে না।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

লেখক বলেছেন: হুম।
মুছে ফেলুন


৮. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২৪
comment by: জানজাবিদ বলেছেন: খালেদার দুই পোলারে দেখতে পারিনা.....
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

লেখক বলেছেন: হ।
মুছে ফেলুন


৯. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৬
comment by: অবকাশ বলেছেন: হুমমম
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০. ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৪
comment by: পাভেল করচাগিন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন মূলক লেখা।
আপনার লেখা পড়ে আমার কিছ ভাবনা তৈরী হয়েছে।

আপাত: দৃষ্টিতে মনে হয় এবার দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের ঘৃনা অনেক জোড়ালো। কিন্তু আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে আদৌ আপামর মানুষের কাছে এটা বড় কোন ফ্যাক্টর কিনা। শহুরে কিছু মানুষের কাছে এটা ফ্যাক্টর হলেও হতে পারে বাকিদের কাছে নয়। অনেকেই ভেবেছিলো বিএনপির জন্য বড় চ্যালেন্জ হবে তাদের দূর্নীতি। কিন্তু ইস্যুটাকে আওয়ামিলীগ যুৎসুই ভাবে ব্যাবহার করতে পারেনি। আলীগ তার প্রায় সব শক্তি যতটা ঢেলে রেখেছে যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে ততটা রাখেনি দূর্নীতিতে।
আর বিএনপি খুব সচেতন ভাবেই যুদ্ধপরাধী ইস্যুটাকে এড়িয়ে এ দায় থেকে নিজেদের দুরে রাখতে পারছে।

ব্যাক্তি খালেদা অনেক বেশী ক্যারেসমেটিক। বিএনপি এটাকেই এখন ব্যাবহার করছে, এবং সফল ভাবেই করছে। আপনার মতের সাথে একমত - খালেদা দেশ জুড়ে যেভাবে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে হাসিনা সে তুলনায় নিতান্তই নিস্পৃহ। খালেদার ক্লান্তিহীন ছুটোছুটি সবচেয়ে বেশী উজ্জীবীত করছে তার নেতা কর্মীদের। আর এটাতো সবাই জানি যে সক্রিয় ও মটিভেটেডে কমী বাহিনীই ইলেকশানে জিতার জন্য মূল ভূমিকা রাখে। জাতীয় পর্যায়ের ইমেজ, বদনাম সেখানে গৌণ।

অনেক স্থানেই আলীগের মনোনয়য়ন বন্চিতদের আত্মঘাতী তৎপরতায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। তারা নিজের দলের নৌকাকে ডুবিয়ে দিতে মোটেই পিছপা হয় না। অন্যদিকে বিএনপির প্রত্যাখ্যাত নেতাও আত্মঘাতী কাজ থেকে বিরত থাকে নগদ দেনা পাওনা কিংবা ভবিষ্যতে কিছু পাবার আশ্শাসের বিনিময়ে।

বিএনপি এ সরকারকে লাগাতার আক্রমনের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বিরোধীতার ২য় ফ্রন্ট খুলেছে। এর পেছনে অন্য অনেক কারণ থাকতে পারে তবে ভোটের হিসাবে এটা তার জন্য ভালো কিছু না। দলীয় নেতা কর্মী ও সরাসরি আক্রান্ত কিছু মানুষ ছাড়া এ সরকার সাধারণ মানুষের কাছে তেমন অজনপ্রিয় নয়। বিএনপির এই ২য় ফ্রন্টের কারনে ভোটের একটা বড় অংশ হারাবে।

অন্যবারের মতন দেশ বিক্রি ও ধর্মনাশের মাতম দিয়ে বিএনপি এবার খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। বিএনপির কিছু বুদ্ধিজীবি যতই চেষ্ঠা করুক জয় এর লেখা পুরো ভোটের মাঝে খুব সামান্যই প্রভাব পড়বে।

অনেকে মনে করছে নৌকার জোয়ার সৃষ্ঠি হয়েছে, আসলে এখনো এটা তুলতে পারেনি।
অথচ তা তুলতে পারতো। যদি আলীগ এ নির্বাচনে "পজিটিভ" রাজনীতি দিতে পারতো। আর বাম ও প্রগতিশীলরা কিন্তু ভোটের রাজনীতিতে আলীগের জন্য লায়াবিলিটি, এবারের মনোনয়নে আবার প্রমানীত হবে বলে মনে হচ্ছে।

তবুও এখনো হাওয়াটা নৌকার দিকেই। দেখা যাক কি হয়।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

লেখক বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ।
মুছে ফেলুন


১১. ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
comment by: সিলভার রেইন বলেছেন: আমি ওয়েইট করতাছি। ২৯তারিখ যদি নিবাচন হয়, তাইলে ৩০তারিখ রেসাল্ট পাইয়া যামু।
ভাল বিশ্লেষন করছেন।

তবে যেই জিতুক, কোকো দাদা জিন্দাবাদ।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১২. ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:১৩
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমরা তো ৯১ তেও আওয়ামী জয় দেখার জন্য বসে ছিলাম টি ভির সামনে। আওয়ামী লীগ তো আগেই মন্ত্রী সভা গঠন করে রেখেছিলো। অথচ দেখতে হল হাসিনা কোন মতে একটি আসনে জিতেছিলেন। বাকী দুটো আসন খুইয়েছিলেন মেজর মান্নান আর খোকার কাছে। পরবর্তীতে এজন্য খোকাকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আর মান্নানকে বস্ত্রমন্ত্রী করা হয়।

এটা ঠিক যে এবার মহাজোট সুবিধাজনক স্থানে। কিন্তু এদেশের মানুষের আবেগ ক্ষনে ক্ষনে পাল্টায়। আগেও সব ভোট জরিপ নাকচ হয়ে গিয়েছে ভোটের দিনে। প্রতিবারই প্রতিটা নির্বাচন আমাদের নূতন চমক দেখিয়েছে। আগের মুহুর্তেও কেউ ধারনা করতে পারেনি ঠিক কি হবে নির্বাচনে। এবারেও তা হতে পারে।

দুর্নীতি বা অন্য ইস্যু নয়, যে দল যত বেশী ঐক্য বদ্ধ থাকতে পারবে, পাল্লা সেদিকেই ঝুকবে। বি এন পি দিন দিন ভালো অবস্থানে যাচ্ছে। বিশৃংখল ভাব অনেকটা কমে এসেছে। নির্বাচনে অংশ নেয়াটা তাদের জন্য পজিটিভ স্টেপ হয়েছে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৩. ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২৭
comment by: পারভেজ বলেছেন: এবার ব্যাক্তি ইমেজের উপর আসন গুলি নির্বাচিত হবে। এই ক্ষেত্রে মহা জোট কিছু সুবিধা পাবে। 'না' ভোট ও বেশ কিছু পড়তে পারে। তবে পূনর্নিবাচনের মতো নয়।
সরকার গঠনের ক্ষমতা এরশাদ ও স্বতন্ত্রদের ঘিরে আবর্তিত হতে পারে। এরশাদ চোখ উল্টালে অবাক হবার কিছু নেই। ভালো সম্ভাবনা আছে। সব মিলিয়ে আমি কোয়ালিশন সরকারেরও একটা সম্ভাবনা অনুমান করছি। তবে অস্থিরতা থাকবেই।
হতাশার কথা এই চোর, সন্ত্রাসী, রাজাকার আর স্বৈরাচারের বৃত্ত থেকে আমরা বের হতে পারলাম না অন্তত আরো ১০ বছরের জন্য!
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৪. ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩১
comment by: দুরের পাখি বলেছেন: আফনের মত ছ্যাঁছড়া পাব্লিক জীবনে খুব কম দেখছি । বালের একখান বলগ বানাইয়া সবকিছু দিয়া আগলাইয়া রাখছেন । এইখানে আসার তাইলে দরকারডা কি ?
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৫. ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২২
comment by: প্রতিবাদী কন্ঠ বলেছেন: এই সব ছাগলামীর কথা আপনার ব্লগে যাইয়া কন।এইখানে আইছেন ক্যান???প্রথম আলোর চামচামী সব জায়গাতে করবেন না।
আমারে প্রথম আলো ব্লগে যেই ব্যানটা করেছেন আফনের পরিবারের সবারে নিয়া সেইটা ধুইয়া ধুইয়া পানি খান।আপনার প্রথম আলো ব্লগে মাঝে মাঝে পেসাব করতে যাই।মাইন্ড খায়েন না কইলাম।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

No comments:

Post a Comment