Saturday, March 7, 2009

রহস্য গল্প : লাইন ছাড়া চলে না রেলগাড়ি

হঠাৎ একদিন ফেসবুকে লগইন করে দেখি, আমার দেড় হাজার বন্ধুর মধ্যে পাঁচশ জন অনলাইনে। ব্যাপারটা দুঃস্বপ্নের মতো মনে হইলো। বুঝলাম সিস্টেমে কোনো গোলমাল হইতে পারে। বিন্যাস-সমাবেশের যে অংক স্কুলে শিখছিলাম সেই নিয়মেই জানি, এটা সম্ভব না। আরও অসম্ভব ব্যাপার এই যে, ৫০০ অনলাইন বন্ধুর মধ্যে এক সাথে ত্রিশজন আমাকে নক করতে থাকে। অনলাইন বন্ধুদের হাইয়ের জবাব দিতে গিয়া আমার হাই উঠতে থাকলো। এরই ফাঁকে দেখলাম নোটিশে দেখাচ্ছে আমার একটা নতুন মেইল এলো ইনবক্সে। ছদ্মনামের বন্ধু। লিখেছে, লোকাল টককে আপনি চিনেন? আপনাকে কিছু ক্লু দেই। চেইন স্মোকার। সিগারেটের ব্র্যান্ড বেনসন। আগে চট্টগ্রামের একটা কাগজে কাজ করতো। এখন বের করে নেন। আমি উত্তর লিখলাম, লোকালের পরিচয় বের করে আপনার কী লাভ? আমারই বা কী লাভ। ছদ্মনামে ব্লগিং করে এমন অনেকেই তো আছে। তারা লোকালের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। উনি অনলাইনে থাকলেও আর উত্তর দেন না। কখনোই আর উত্তর দেন না। এর মধ্যেই লোকালটক আমাকে ফোন করে।
ভদ্রলোক একটু অদ্ভুত। সাহিত্যিক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম আছে। কিন্তু সাহিত্যের চেয়ে গেম প্ল্যানিং করতেই তার ভাল লাগে। একেকটা প্লেগ্রাউন্ড বানিয়ে খেলতে পছন্দ করেন। খেলাটা বেশ পছন্দ হয় আমার। আমি তার সাথে কথা বলতে শুরু করি। ফোন ধরি। ব্লগিংয়ের চেয়ে সাহিত্য নিয়েই তার সঙ্গে বেশি আলোচনা হয়। কিন্তু দেখি যে ব্লগিং নিয়েই তার আগ্রহ বেশি। ব্লগ পড়েন। জানেন। তবু আমার মতামত জানতে বিশেষ আগ্রহী। আমি ঝেড়ে কাশি না। বলি বস, আসেন একদিন। আলাপ করি। উনি আসেনও। লম্বা চেহারা। বেনসন অ্যান্ড হেজেস খান। শুধু একটা বিষয়েই ক্লিয়ার হওয়া যায় না। ক্যাডেট কলেজে উনি কখনো ছিলেন কি না। চেইন স্মোকার। চিটাগাংয়ে মেলাদিন ছিলেন। সরাসরি তাকে জিজ্ঞেস করি, আপনি ক্যাডেট কলেজেই পড়েছেন তো?
উনি একটু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকান। কথা ঘুরান। বলেন, ব্লগের গল্পকারদের কেমন মনে হয় আপনার? আমি বলি ভীষণ পটেনশিয়াল। ভাল। অনেকের গল্প আমার পছন্দ। লোকালটক তার চশমার ফ্রেমের ভেতর থেকে আমাকে দেখেন। একটা গল্প সংকলন করার আইডিয়া তার মাথায় খেলে যায়। আমি তাকে বলি, অন্য একটা সংকলন করেন। ডিবেট তৈরি করতে পারে এমন কিছু। কিন্তু গল্পই তার মাথায় এঁটে থাকে। দেখা হলেই বলতে থাকেন, ব্লগারদের গল্প নিয়ে একটা সংকলন করতে চাই। বুঝতে পারি সাহিত্যের নতুন রণক্ষেত্র হিসাবে তিনি ব্লগকে কৌশলগতভাবে নির্বাচিত করেছেন।
লোকালের সাথে টানা তিনটা চা তিনটা সিগারেট খাওয়া শেষ হলে উনি বিদায় নেন। এর মধ্যে কৌশিকের ফোন আসে। ব্লগের তাৎক্ষণিকভাবে ঘটা কোনো একটা ব্যাপর নিয়ে কুশিলের সাথে তার প্রয়োজনীয় আলাপ হয়। উনি হন্তদন্ত হয়ে সাইবার ক্যাফের দিকে হাঁটা দেন।
উনি চলে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর আমি আবার বারান্দায় যাই আরেকটা সিগারেট খেতে। দেখি লোকালটক তার অস্বাভাবিক অস্থিরতা নিয়ে পায়চারি করছেন। একটার পর একটা গোল্ডলিফ ধ্বংস করে চলেছেন। হালকা গড়নের চেহারা, তীক্ষ্ণ চোখ দিয়ে আমাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমাদের দুজনের ব্র্যান্ড গোল্ড লিফ হলেও কখনও সিগারেট বিনিময়ের সম্পর্ক হয়নি। কারণ প্যাকেট ভর্তি সিগারেট আর কাঠি ভর্তি ম্যাচ নিয়ে আমরা দুজনেই ঘুরি। কথাও তেমন হয় না। কারণ যতক্ষণ সিগারেট খাই ততক্ষণ মাথাভর্তি আইডিয়া আমাদের ব্যস্ত রাখে। কিন্তু সাহিত্য নিয়ে তার খুব বেশি আগ্রহ দেখি না। ফটোশপের কাজ তেমন জানেন বলেও মনে হয় না। তবে প্রচুর আইডিয়া আছে। সাংগঠিনিক অভিজ্ঞতা ভাল। আমার সাথে শত্রুতার প্রচুর কারণ আছে। কিন্তু আমি বুঝি, একটা নিরাপদ দূরত্বই ভাল। হয়তো তিনিও বুঝেন। মাঝে মাঝে লিকলিকে চেহারার এই ভদ্রলোকের সাথে হঠাৎ লিফটে কথা হয়। একটা দুইটা।

বুঝতে পারি লোকালটক নেটে সময় তেমন দিতে পারছেন না। মিটিং নিয়ে খুব ব্যস্ত। তখন তার হয়ে আরেকজন ব্লগিং করছে। ফেসবুকে দেখলাম তাকে অনলাইনে। ব্লগেও আছেন। হিসাব মিলিয়ে সোজা গিয়ে তার টেবিলে হাজির হলাম। দেখি, ফিরে দেখা একাত্তর নিয়ে কী যেন করছেন। না ফেসবুক খোলা নেই। ব্লগও খোলা নেই। শুধু ফিরে দেখা একাত্তর ঘাঁটছেন। আমার চেয়ে বয়সে কিছুটা ছোট। হলিউডের নায়কদের মতো চেহারা। আমাকে দেখে হতচকিত হয়ে গেলেন। বললেন, লোকলটককে আপনি খুঁজছেন দেখেই তার সম্বন্ধে খোঁজ করছিলাম। ফিরে দেখা একাত্তর পড়ে দেখছি।
এরপর থেকে যখনই দেখা হয়, তখনই লোকালটকের খবর জানতে চান আমার কাছে। আমি তার দিকে তাকিয়ে হাসি। খুব কনফিউজিং জবাব দেই। আইপি অ্যাড্রেসগুলো আমার চোখের সামনে খেলে যায়।
শুনতে পাই, লোকালটক আমেরিকায় এক ব্যবসায়ীর সফরসঙ্গী হয়েছেন। বিকাল তিনটায় তার সঙ্গে ফেসবুকে কথা হয় আমার। আমি বলি, এত রাতে জেগে আছেন? উনি বললেন, আপনি কি দেশের বাইরে নাকি? ওনার প্রশ্নে আমিই অবাক হয়ে যাই। শান্ত একটা নাম বলেন, আমি সে অনুসারে লোকালটককে খেয়াল রাখি। তার গণযোগাযোগ পদ্ধতিটা খেয়াল করার চেষ্টা করি। ২২এর সঙ্গে তার দেখা হবে জানতাম। সেদিনই আমি তার পিসি অরক্ষিত অবস্থায় পাই। অদ্ভূত এই লোক। সবিতাভাবির ভীষণ ভক্ত। পর্নহাবের মতো সফিসটিকেটেড সাইটে যান। কিন্তু তার ছয়মাসের হিস্ট্রিতে ব্লগ বলতে কিছু নাই। শান্তকে আমি না বলি। তবু, তাকে দেখলে সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বলি। ক্যাডেট কলেজের সাথে তার সম্পর্ক জানতে চাই। তার ভাই আর্মিতে কাজ করে কি না জিজ্ঞেস করি।
আমেরিকা থেকে লোকালটক ফিরলে আমি গিয়ে বলি, বস কী আনলেন? উনি আমাকে চকলেট দেন। আর আবশ্যিকভাবে এমএসএন চ্যাট উইন্ডো মিনিমাইজ করে বসে থাকেন। ওনার পেট থেকে কথা বের করার চেষ্টা করি। বলি, বস লোকালটক তো বিএনপি। কলেজে বিএনপি করতো। আপনি আওয়ামী লীগ হয়ে তাকে সাপোর্ট দিতেছেন কেন? উনি আরও কিছু জানার আগ্রহে আমার সাথে নিচে নামেন। একসাথে চা খাই আমরা। সিগারেট সাধি ওনাকে। উনি বলেন, সিগারেট? না। তার সাথে নানা বিষয়ে কথা হয়। পরদিনই লোকাল আওয়ামী লীগের সরকারকে সমর্থন দিয়ে একটা পোস্ট দেয়।
লোকালের এক বন্ধুকে ফোন দিয়ে আমি তার খোঁজ নেই সেদিন। ব্লগার্স মিট ছাড়া তার সঙ্গে দেখা হয় না। লোকাল কেমন আছে? উনি বলেন, লোকাল এখন লন্ডনে। আমি বলি, ওখান থেকেই যে জ্বালাময়ী পোস্টগুলো লিখতেছে তথ্য পায় কই? উনি বলেন, ভোরের কাগজ থেকেই তার অনেক বন্ধু যারা প্রথম আলোর সিনিয়র বলতে গেলে তারে অর্ধেকই তার বন্ধু। আমি মত দেই, বলি, কিন্তু তাই বলে কর্মী পরিচয় দেয়া তো ঠিক না। উনি বলেন, হু হা কিছু না বলে ফোন রেখে দেন। কন্সপিরেসি থিওরি উনি জানেন কিন্তু ওই পরিমাণ ধৈর্য নাই। আমি জানি কোনো না কোনোভাবে লোকাল নিয়মিত আমার খবর রাখছেন। আমি রাখছি।
আমি ব্লগের চাকরি ছেড়ে দিলে ওনাকেই দায়িত্ব নিতে হবে তার প্রস্তুতিও চলছে। আমার কাছ থেকে ব্লগের কিছু রহস্য জেনে নিচ্ছেন। আমিও বলছি।
নানা কথা প্রসঙ্গে একদিন আমি তাকে আমি বলি, আসেন না। আমার সাথে। কাজ করেন। উনি রাজি হন না। সত্যি কথা বলতে আমার বস লেবেলেই তাকে মানায়। তবু একটা ব্লগ চালানোর ব্যাপারে খুব আগ্রহ তার। তার সংকটটা বুঝতে পারি আমি।
যখনই দেখা হয় উনি জিজ্ঞেস করেন, লোকালরে খুঁজে পাইলেন?
আমি জবাব দেই, না বস পাই নাই। খুঁজে বের করে কী করবো? ফাইন করবো না মামলা করবো?
উনি কন, হ সেটাও একটা কথা।
কিন্তু চেনা থাকলে ভাল না?
হ। চেনা থাকলে ভাল, না চেনা থাকলেও ভাল।
সে তার মতো আছে থাকুক না।
তবু একদিন লোকালটক আমারে ধইরা বসেন। বলেন, বলেন না। কী কী পাইলেন তার সম্পর্কে।
আমি তারে কয়টা ক্লু দেই।
১. লোকালটক, ফিউশন ফাইভ, ব্রিগেড সিক্সটিন একজন ব্যক্তি হইতে পারে। তার মানে তার কয়েকটা মেইল অ্যাড্রেস আছে। কিন্তু সে জিমেইল ব্যবহার করতে পছন্দ করে। কিন্তু আমারে সে জিমেইলে মেইল করে না। কারণ আমার জিমেইল তার কাছে নাই। যাদের লোকাল বলে আমি সন্দেহ করি তাদের একজনের কাছে আমার জিমেইল অ্যাড্রেস নাই।
২. লোকালটক সচলায়তন থেকে বহিষ্কৃত বা সচলায়তন ছাইড়া দিছিলেন। সচলায়তনের পক্ষ অবলম্বনের কারণে তিনি ফারুক ওয়াসিফের বিরুদ্ধাচারণ করছিলেন। এবং আমার সচলায়তন বিরোধী মনোভাবের কারণে আমার লগে ঐক্য করছিলেন। তখন পল্লব মোহাইমেন সচলায়তনের পক্ষে লেখালেখি করার পরও তিনি তার বিরোধিতা করেন নাই। কৌশল হিসাবে তার লেখার লিঙ্ক মাঝে মাঝে দেন।
৩. ব্লগে তার নিক ১৮টা হইতে পারে আবার নাও হইতে পারে। তিনি নিজের নামে ব্লগিং করতে পারেন আবার নাও পারেন। কিন্তু তিনি অবশ্যই ব্লগ প্রতিদিন পড়েন। তিনি সাহিত্যিক হিসাবে স্বনামধন্য হইতে পারেন আবার নাও পারেন। কিন্তু সাহিত্য নিয়া তার যথেষ্ট আগ্রহ আছে। কিন্তু তিনি টেকনলজি বিষয়ে তেমন জানেন না। পেজ মেকআপ বিষয়ে তার ধারণা ভাল। ইলাট্রেশন বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু তিনি প্রথম আলোর কেউ নন। প্রথম আলোর যে পাঁচজনকে লোকালটক বইলা সন্দেহ করা হয় তাদের পরিচয় তিনি নানাভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। তারাও লোকালের ফাঁদে পা দিয়েছেন। রহস্যকে এনজয় করেছেন। কিন্তু তারা কেউই লোকালটক হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট সন্দেহ ঘনীভূত করতে পারেন নাই। কিন্তু যে পাঁচজন বা চারজনকে তিনি টার্গেট করেছেন তাদের সম্পর্কে তিনি জানেন। এই জানার মধ্যে একটা ঐক্য আছে।
৪. প্রথম আলোর বাইরে যে চারজনকে লোকালটক বলে সন্দেহ করা হয়। তাদের দুইজনের পক্ষে প্রথম আলোর ভেতরের খবর লোকালের মতো করে জানা সম্ভব। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে তিনি সামহয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এরকম একজনই কাজটা করতে পেরেছেন।
৫. লোকাল কৌশলগতভাবে অ্যান্টি আওয়ামী অবস্থান নিলেও সম্প্রতি তিনি তার অরিজিনাল মনোভাব ব্যক্ত করছেন। তিনি পাড় আওয়ামী লীগার।
৬. সম্প্রতি তার মনে হইতেছে যে পর্দার আড়াল ভাল না। লোকালটকের ক্রেডিটটুকু তিনি নিজের নামে ট্রান্সফার করতে চান।
ছয়টা ক্লু বলার পর লোকাল আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দেয়।
আমি বলি, বস আপনেই লোকাল।
কিন্তু একটা কথা বলি?
আপনে পর্দার অন্তরালেই থাকেন। আপনেরে দিয়া সাহিত্যের আরও কিছু উপকার হউক। দেন কোনো একসময় নিষ্ক্রিয় হয়া যাইয়েন।

সামহয়ারে ব্লগিংয়ের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে পোস্ট : গুডবাই সামহয়ারইন

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৫
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

আর দুইদিন পর সামহয়ারে আমার তিন বছর পূর্তি হবে। তার আগেই এই পোস্ট লিখছি। সামহয়ার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, তাদের নজরে পোস্টটি পড়লে এবং এতে তারা আক্রান্ত বোধ করলে যেন আমার ব্লগটি ডিলেট না দেন। আমার লেখাগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য যেন আমাকে প্রয়োজনীয় সময় দেন।
যেসব কারণে আমি সামহয়ার ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি :
১. বায়াস মডারেশন :
সামহয়ারের নীতিমালা আছে। সে নীতিমালা আপনা থেকে প্রয়োগ হয় নাকি কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োগ হয় তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়। আমার মতে, সামহয়ার নীতিমালায় প্রয়োগ বিষয়ে কনফিউজ। আমি এই ব্লগে বহু ব্যক্তিগত আক্রমণ, ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ, ছবি বিকৃতি ইত্যাদির শিকার হলেও সামহয়ারের টনক নড়েনি। কিন্তু আমি গল্প লিখে একজন জালিয়াতের তথ্য প্রকাশের উদ্যোগ নিলে আমার পোস্ট মুছে দেয়া হয়েছে।
২. ব্যক্তিগত সম্পর্ক :
আমার মতে সামহয়ারের সঙ্গে কারো ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত নয়। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে তারা মডারেশন করেন। একই অপরাধ করে কেউ ছাড়া পান কেউ কঠোর শাস্তি পান।
৩. অশ্লীলতা ও অশালীনতাকে প্রশ্রয় দান :
সামহয়ার শুধু হিট বাড়ানোর প্রয়োজনে অশ্লীলতা, মানহানী ও অশালীন পোস্টকে প্রশ্রয় দেয়। এ বিষয়ে মডারেটরদের স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই।
৪. ব্লগের অন্তর্দলীয় কোন্দলে অংশগ্রহণ:
ব্লগে অন্তর্দলীয় কোন্দল থাকবে। কারণ এখানে নানা মতের মানুষ আসেন। কিন্তু আমি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি ব্লগ পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সেই কোন্দলে অংশ গ্রহণ করছেন। যা কোন্দলকে বাড়িয়ে তুলছে।
৫.সংঘর্ষের আশঙ্কা :
ব্লগের বিরোধ সামহয়ারের বাইরে ছড়ানোর সমূহ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ব্লগের বাইরে কিছু সংঘর্ষের আলামত পাওয়া গেছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে আর বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে নিজের মত প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
৬. স্টেটাস পরিবর্তন :
আমার পরিচালনায় একটি ব্লগ চালু হওয়ার পরও আমি আশা করেছিলাম সাধারণ একজন ব্লগার হিসেবে সামহয়ারে লিখে যাবো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সামহয়ার কর্তৃপক্ষ সেটি করতে দিবেন বলে মনে হচ্ছে না। তারা তুচ্ছ কারণে আমাকে সাধারণ ব্লগারই করে রেখেছেন।
আমি আশা করবো, সামহয়ার তার ব্যধি থেকে মুক্ত হোক। কিন্তু সে ব্যধিমুক্ত ব্লগে হয়তো আমি ফিরবো না।
আবারও বলি, পোস্টগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য আমার মাস খানেক সময় প্রয়োজন।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।




প্রকাশ করা হয়েছে: চটজলদি বিভাগে ।




এডিট করুন | ড্রাফট করুন | মুছে ফেলুন

* ৩৬ টি মন্তব্য
* ৫৭৫ বার পঠিত,

Send to your friend Add to Your Showcase Print
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ১৯ জনের ভাল লেগেছে, ১৯ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28915732 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৮
comment by: বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: কৈতক না তো ???
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩১
comment by: বিপ্লব কান্তি বলেছেন: আপনি এত পুরনো ব্লগার ।

চলে যাবেন কেন ?

জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৩. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩১
comment by: সুদীপ্ত বলেছেন: সামু কর্তৃপক্ষের এখন গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত। এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে!
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৪. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩১
comment by: সময়খেকো বলেছেন: যা শালা ভাগ্। বেশী বেশী আলু খাও।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৫. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩৩
comment by: আরিফুর রহমান বলেছেন: একটা ব্লগ পরিচালনা করেন বৈলা আপনেরে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দিতে হবে???

এইখানে কর্তৃপক্ষ সেইটা দেয় নাই, জেন্রেল কৈরা রাখছে বৈলা এতো রাগ?

তা, আপনার ব্লগে কি হোমড়া চোমড়ারা ইস্পিশাল খাতির পায়?
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৬. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩৭
comment by: গিফার বলেছেন: :(
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৭. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪২
comment by: কখনও মানব কখনও দানব বলেছেন: বাই বাই...........................
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৮. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৩
comment by: বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: ৬
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৯. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫
comment by: মফিজুল হক বলেছেন: শুধু জেনারেল হবার কারনে গুডবাই জানাবেন?????
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১০. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫০
comment by: সুদীপ্ত বলেছেন: আসছে এমন কলির কাল/ ছাগলে চাটে বাঘের গাল

লাইন্টা ভাল্লাগছে
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: আপনের আগের পোস্টা মুছে দিছে?
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১২. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৫
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: পার্টির সংস্কারের চিন্তা থেকে কারো কারো সাথে লোকালটকের বিরোধিতা আপাত হইতেই পারে। কিন্তু এইটা এখন ধইরা লওন যায় যে, লোকালটক পার্টি আসলেই সামহোয়ার মালিকদের কিংস পার্টি।
আপনে যান। সমস্যা নাই। মাইনাস ওয়ান ফর্মুলায় যারা এখন খানাদানাউৎসবে ব্যস্ত হয়া পড়ছে তারা শীঘ্রই লাইনে আইসা পড়বো। লোকালটক যে দক্ষ ব্যবস্থাপক এই বিষয়ে নিশ্চয় আপনের সন্দেহ নাই।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৩. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৫
comment by: শ খি আ ঈয়ন বলেছেন: ''আমার পরিচালনায় একটি ব্লগ চালু হওয়ার পরও আমি আশা করেছিলাম সাধারণ একজন ব্লগার হিসেবে সামহয়ারে লিখে যাবো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সামহয়ার কর্তৃপক্ষ সেটি করতে দিবেন বলে মনে হচ্ছে না। তারা তুচ্ছ কারণে আমাকে সাধারণ ব্লগারই করে রেখেছেন''-এসবও ভাবার বিষয় !
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৪. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩২
comment by: গুরু ভাই বলেছেন: ঘুইরা আহেন...
Click This Link
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৫. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫০
comment by: সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: কী বলব? মন্তব্য জবাব না পেলে মন্তব্য করতে বিরক্ত লাগে। যাহোক শুভ বিদায় মাহবুব ভাই। আশা করি আবার দেখা হবে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৬. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১১
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: বুদ্ধিমানের মতো কাজ করলা এতদিনে
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৭. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১৩
comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: ...আমি অপেক্ষায় আছি পরিবেশ ভাল হওয়ার। কোনদিন হলে আবার এখানে লিখবো হয়তো। কিন্তু সেরকম কোন আলামত আসলে পাওয়া যাচ্ছে না...

ব্লগ থেকে রিয়েল লাইফে এবং ভার্চুয়াল লাইভে সংঘর্ষ ছড়িয়ে যাচ্ছে এটা সত্যি কথা। আমি নিজেই কিছুটা ভিকটিম। ইমেইলে হুমকি পাওয়া ব্লগারদের সংখ্যাও কম নয়। দু:খ লাগে যখন এই হামলাকারীদের কথায় ব্লগ কতৃপক্ষ নেচেছে।

সামহোয়্যারইনের প্রতি একটা টান সবসময়ই অনুভব করি। যেদিন প্রথম এখানে বাংলায় নিজের ব্লগ লিখেছিলাম সেদিন এক আনন্দ লেগেছিলো.. সেটা প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই। এই কারণেই এই ঘুরে ফিরে এই ব্লগটায় চলে আসি। একটা সময় সামহোয়্যারইনের পরিবেশ ভাল করার জন্য অনেক পোস্ট করেছি। অনেক গালি খেয়েছি... গালিগুলো গায়ে না লাগলেও কতৃপক্ষ যখন সেই গালীবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তখন দু:খ পেয়েছি। তারপর তো ব্লগ নিয়ে চিন্তা ভাবনা বাদ দিলাম.... একটা সময় আপনি আমি এবং আরো অনেক ব্লগার সামহোয়্যারইনকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি কিভাবে এটীম এই ব্লগটিকে ধ্বংসের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের কথায় ব্লগাররা সায় দিলেও কতৃপক্ষ ছিলো নির্বিকার। আজকে দেখলাম আমাদের সেইসব কথার বাস্তব প্রমাণ সহ একজন পোস্ট দিয়েছে- Click This Link ..এরপরও যদি সা.ই.ক বুঝতে না পারে তাহলে সবকিছুই পন্ডশ্রম।

যেদিন উলটা পাল্টা মডারেশন নিয়ে গঠনমূলক একটা সমালোচনা করে 'জেনারেল' হয়ে গেলাম সেদিন থেকেই সা.ইনে কি হচ্ছে বা কি হলে ভাল হবে এইসব চিন্তা বাদ দিয়েছি। এটা এখন আমার কাছে ব্লগস্পটের মতই একটা প্লাটফর্ম। পরিবেশ খারাপ তাই পোস্ট দিচ্ছি না.. কখনো ভাল হলে পোস্ট দেব আবার। আমার মনে হয় আপনার মত পুরানো এবং শক্তিশালী ব্লগারও আমার পলিসি গ্রহণ করতে পারেন। নতুবা আমরা কিছু ভাল লেখা থেকে বঞ্চিত হবো..


জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৮. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:২২
comment by: ডিজুষ আঙক্ষেল বলেছেন: চলে যাওয়াটাই ভালো হবে। সবাই গেলে বোকা সামহোয়ারের একদিন টনক নড়বে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৯. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:১০
comment by: সুদীপ্ত বলেছেন: সামহোয়্যারের পরিবেশ অনেক ভালো হয়েছে এবং আরো হবে। চিন্তার কিছু নেই @চীফ
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২০. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:২৩
comment by: শাহীন শেখ বলেছেন: ১১
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২১. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
comment by: অক্ষর বলেছেন: সুদীপ্ত বলেছেন: সামহোয়্যারের পরিবেশ অনেক ভালো হয়েছে এবং আরো হবে। চিন্তার কিছু নেই @চীফ
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২২. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০৬
comment by: আরিফুর রহমান বলেছেন: ত্রিভুজ, তুমি নাকি হিজবুত করো?

কথা সত্য নাকি?
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৩. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:১৭
comment by: নূহান বলেছেন: মামোর কোলে ছাগু
কইরা দিলো হাগু

ছাগুর কোলে মামো
উহ্‌, লাগছে ব্যাথা থামো
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৪. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:২৭
comment by: শাহরিয়ার হাসান বলেছেন: @ছাগলরাজ, তোমরার আলু বলগ থাকতে "সামু বলগের পরিবেশ ভালু হইরে পোস্টাইবো " এইটার জন্য অপেক্ষায় আচো কেন? তোমাগো বলগে দেকি কুনু কমেন্ট পড়ে না, কিন্তু প্রচুর নিক, প্রচুর পুস্ট! এইটার রহস্য কি?


@মামো, খুদাপেজ
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৫. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪০
comment by: বিডি আইডল বলেছেন: সবাইকে একদিন যেতে হয়
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৬. ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:০৩
comment by: এস্কিমো বলেছেন: ত্রিভুজ বলেছেন: ...আমি অপেক্ষায় আছি পরিবেশ ভাল হওয়ার।


এই পোস্টের সাথে পরিবেশের সম্পর্ক কি?
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৭. ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:২১
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনি থাকলে খুশী হতাম।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৮. ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৬
comment by: ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: মাহবুব, http://www.spadixbd.com/backstreet/ এ ঠিকানা থিকা BackStreet Browser 3.1 - Free Offline Browser / WebSite Downloader ব্যবহার করলে আর মাস খানেক সময় নিতে হবে না আপনার। এই জিনিস দিয়া আপনার পাতাগুলি নামাইয়া নিবেন। আমারগুলা নামিয়েছি।

তবে আপনার পোস্টগুলা না মুছলেও পারেন। অভিমানের মত হইয়া যায় ব্যাপারটা। কম বোঝা পার্টির লগে অভিমান কাজের না।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২৯. ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৫১
comment by: রিসাত বলেছেন: বায়াস মডারেশন
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৩০. ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৫
comment by: আমিই স্রোত বলেছেন: Trivuz said:
এটা এখন আমার কাছে ব্লগস্পটের মতই একটা প্লাটফর্ম। পরিবেশ খারাপ তাই পোস্ট দিচ্ছি না..

......right you are........

বায়াস তো বটেই...
মনে করেন আমার লগে এটিমের কেচাল লাগসে....
এটিম আমারে গাইল পাড়চে.... আমিও পাড়চি.....
কিন্তুক একশান হইবো কেবল আমার উপ্রে দিয়া....
হেগোরে কিচুই কইবো না .....

যডিও করে...তো হেগোরে দুই দিনের ব্যান...।
আর আমারে আজীবনের লাইগা বেন...
..........আজীব মডারেশন...
..........ফািং এসহোলস....
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৩১. ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩০
comment by: সুমন রহমান বলেছেন: অনেক দেরিতে দেখলাম। কি আর বলবো.... আমার নিদানকালের গন্ধ আমি যদিও এখনো পাই নি... তবু আল্লাহপাক বলিয়াছেন মৃত্যু মানুষের ঘাড়ের রগ অপেক্ষাও নিকটবর্তী।

তাই আপনার ফিরিতে যাচ্ঞা করি, আবার সেইসাথে এও বলি যে, হতে পারে প্রত্যাবর্তনের সেই উৎসবে আমিই নাই!
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৩২. ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮
comment by: সুমন রহমান বলেছেন: অনেক দেরিতে দেখলাম। কি আর বলবো.... আমার নিদানকালের গন্ধ আমি যদিও এখনো পাই নি... তবু আল্লাহপাক বলিয়াছেন মৃত্যু মানুষের ঘাড়ের রগ অপেক্ষাও নিকটবর্তী।

তাই আপনাকে ফিরিতে যাচ্ঞা করি, আবার সেইসাথে এও বলি যে, হতে পারে প্রত্যাবর্তনের সেই উৎসবে আমিই নাই!
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৩৩. ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪২
comment by: শূন্য আরণ্যক বলেছেন: সময় দেয়া হোক .... মডারেশন এর ব্যাপারে একমত ~
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৩৪. ০১ লা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৩০
comment by: ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: আপনের দেখাদেখি আপনের আগেই পোস্টাপিস হাপিস করলাম এইখান থন।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৩৫. ০১ লা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৪৩
comment by: আই লাভ ব্লগিং বলেছেন: আই লাভ ব্লগিং
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৩৬. ০৪ ঠা মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:২৫
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: পোস্ট গুলো না হয় থাকত।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

Tuesday, March 3, 2009

চড়িয়া মানবগাড়ি যাইতেছিলাম বন্ধুর বাড়ি

১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৫৭
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

ঢাকার বাইরে থেকে ফিরে পুরো অচল একটা শহর দেখে, দোকানে দোকানে মোমবাতির জন্য হাহাকার দেখেও বুঝতে পারছিলাম না দক্ষিণবঙ্গে কী ঘটে গেছে। মানুষ বিদ্যুতবিহীন, পানিবিহীন, উৎকণ্ঠিত। ফোনে নেটওয়ার্ক নাই। আত্মীয় স্বজন কে কোথায় আছে তার নিশ্চিত খবর জানা নেই। আজ বিডিনিউজ খুলে বসে আছি। মৃতের খবর বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। হাজার ছড়াবে। অনুমান করতে ভয় লাগছে। কত হতে পারে জানি না, খুব বেশি ভাবতে ভয় করছে। এই মৃত্যুর শোক আমার কাছে দুই দিনের পানি-বিদ্যুত না থাকার কষ্টের চেয়ে বড় হতে পারলে কতই না সুখের বেদনা হতো মনে। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বুঝি, এই মৃত্যুর খবরে আমি তেমনিই নিশ্চুপ বসে আছি যেভাবে বসে থাকতাম বার্মায় বা থাইল্যান্ডে বা চীনে এত লোক মারা গেলে। সবচেয়ে ভয় পাচ্ছি এখন নিজের নিরুদ্বেগ, নিরুত্তাপ অনুভূতিকে। সহমর্মিতা, সহানুভূতি আর একাত্মবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। অসহনীয় পরিস্থিতি।
কিছুক্ষণ আগে এক বন্ধু ফোন করে বললো সঞ্জীব চৌধুরী মারা গেছেন, অ্যাপোলো হাসপাতালে। পরে শুনলাম, না সঞ্জীবদা এখনও বেঁচে আছেন। তবে খুব কষ্টে আছেন। খুবই নাজুক তার পরিস্থিতি। কাল খবর পেয়েছিলাম উনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দেখতে যাবো যাচ্ছি করে আজ বিকাল হয়ে গেল। দক্ষিণ বঙ্গে মারা গেলেন ১০০০ মানুষ। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। মৃত্যুর কারাভাঁয় যারা পরিচিত তাদের জন্য প্রচণ্ড শোক হয়, কষ্ট হয়। কিন্তু যে মারা গেল, তার কি খুব কষ্ট হয়? না, যে মৃত্যু সংবাদ শোনে আর যে বেঁচে থাকে তারই কষ্ট হয়। স্মৃতিই সব অনিষ্টের মূলে। নইলে মানুষের মৃত্যুতে মানুষের কোনো কষ্টই হতো না। একজন কেন হাজার হাজার মানুষ মরলেও আমরা আনন্দ করতে পারতাম।
সিডরে নিহত হাজার মানুষের জন্য কষ্ট হচ্ছে। সিডরে যারা মারা গেছেন তাদের স্বজনদের কেউ যদি বেঁচে থাকেন তবে তাদেরও কষ্ট হচ্ছে হয়তো। নইলে, সেই গায়েবী স্বজনদের পক্ষ থেকে আমাদেরই হাহাকার করতে হবে। অন্তত একদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করতে হবে।



প্রকাশ করা হয়েছে: চটজলদি বিভাগে ।



* ২৬ টি মন্তব্য
* ২৭৪ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৪ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28745958 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০০
comment by: গোপনীয়া বলেছেন: কষ্টগুলো দলবেধে সব এক হলো আজ।
২. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০৪
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: কষ্টগুলো সব আমার একার.....ছন্নছাড়া কষ্টগুলো আজ ঘর বেঁধেছে আমারি বুকের পিন্জরে......

মনটা খুবই খারাপ.....খুবই.....
৩. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:১৩
comment by: ম স রানা বলেছেন: সঞ্জীবদা চলে গেল! এ সত্য মেন নেওয়া যায়না।আমি গতকালও ওনার স্বপ্নবাজি এ্যালবাম শুনছিলাম।দেশ একজন গুনী কবি ,সুরকার ও গায়ক হারাল।
ওনি কিভাবে মারা গেলেন?
৪. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:১৫
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: বাইরে বের হচ্ছিলাম , জামা কাপড় পড়ে পিসির সামনে বসে নির্বিকার বসে আছি ..........উনাকে চিনি না , কিন্তু প্রিয় কন্ঠটা কোনভাবেই ভুলতে পারছি না , বারবার বেজে উঠছে
৫. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২২
comment by: শীখা বলেছেন: ওহ নো!
৬. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২২
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সঞ্জীবদা মারা গেছেন, এই খবরটা এখনও কনফার্মড না। হাসপাতাল বা ওনার আত্মীয় কারও সাথে কথা হয়নি। ফলে খবরটা কনফার্ম করতে আরও সময় লাগবে।
৭. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৭
comment by: শীখা বলেছেন: কি হয়েছিলো উনার?
৮. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৯
comment by: আনন্দময় বলেছেন: আজ মন খারাপের দিন,আর যেন কোন খারাপ খবর শুনতে না হয়।
গত দুই দিন ধরে বিদূৎছিলনা আজ একটু আগে পাওয়ার আসল লগ ইন এ বসেতো থ হয়ে গেলাম আর খবরের কাগজটা হাতে পেয়ে ভীষন কষ্ট হচ্ছিল, আমি ভেবেছিলাম এ বার হয়ত বেচে গেছি কিন্তুনা....।গরিব মানুষ গুলোকে আল্লাহ‌‌ এত কষ্ট দেয় কেন?
আর সন্জীবদার কথা কি বলব! আমরা যে কি হারালাম আমরাই জানি.....।
৯. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩১
comment by: আনন্দময় বলেছেন: প্রানপনে চাইছি কবরটা যেন মিথ্যা হয়
১০. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩২
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: শীখা,
উনি স্ট্রোক করেছিলেন। ডাক্তার ওনাকে ক্লিনিকালি ডেড ঘোষণা করেছিলেন।
১১. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩২
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: লেনিন ভাইয়ের পোষ্ট পড়ে তো মনে হলো এখনও বেঁচে আছেন। লাইফসাপোর্ট দিয়ে বাচিয়ে রাখা হয়েছে।
১২. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৩
comment by: রকি ভাই বলেছেন: .....
১৩. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৩
comment by: আনন্দময় বলেছেন: কবরটা নয় খবরটা।
১৪. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৩
comment by: শীখা বলেছেন: ওহ গড!! নো !
১৫. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৩
comment by: রকি ভাই বলেছেন: বেশি মদ খেলে এই হয়।
১৬. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৩
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আমি অ্যাপোলোতে ফোন করেছিলাম। ওরা বললো, ওনার অবস্থা আশঙ্কাজনক। নানা রকম লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে এখন মিডিয়ার অনেক কর্মী আছেন। তাদের কাছে টাইম টু টাইম ব্রিফ করা হচ্ছে তার পরিস্থিতি।
আমরা আশা করি তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন।
১৭. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৭
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: তিনি সুস্ত হয়ে উঠুন, এই কামনা.....
১৮. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৯
comment by: অন্ধকার বলেছেন: শুভকামনা সন্জ্ঞীবদার জন্য।
১৯. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: পোস্টটা কারেকশন করছি।
২০. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৪
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
২১. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:২৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: বিডি নিউজের খবর :
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সঞ্জীব চৌধুরী
Sat, Nov 17th, 2007 3:20 pm BdST


ঢাকা, নভেম্বর ১৭ (বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম) - জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরীর জীবন সংকটাপন্ন। রাজধানীর অ্যাপেলো হাসপাতালে তাকে নিউরোলজি বিভাগের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে সংকটাপন্ন অবস্থায় সঞ্জীব চৌধুরীকে অ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক আলীম আখতার ভূঁইয়ার তত্ত্বাবধানে আছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে শুক্রবার সঞ্জীবকে প্রথমে মিরপুর আল হেলাল হার্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতে অ্যাপেলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

অধ্যাপক আলীম আখতার ভূঁইয়া বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,''তাকে লাইফ সার্পোট দিয়ে রাখা হয়েছে। ৩/৪ দিনের আগে তার অবস্থা সর্ম্পকে কিছু বলা যাবে না। আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। চেষ্টাও করছি। তার মতিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি এখন অজ্ঞান অবস্থায় আছেন। আপনারা দোয়া করুন।''

সঞ্জীব চৌধুরী সর্বশেষ যায়যায়দিন পত্রিকার ফিচার এডিটর ছিলেন। তিনি আরেক শিল্পী বাপ্পা মজুমদারকে নিয়ে 'দল ছুট' সঙ্গীত দল গঠন করেন।

বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/এনএইচ/জিএনএ/১৪০০ ঘ.

২২. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৫
comment by: হাসিব বলেছেন: রকি কেমুন আছো ?
২৩. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৮
comment by: ক্ষ্যাপা বলেছেন: রকি নামের ইতরকে মানবতার স্বার্থে জুতাপেটা করুন
২৪. ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪২
comment by: সিহাব চৌধুরী বলেছেন: তুমি সিড়ি ভাংগো , সিড়ি ভাংগো ...
ভেংগে ফেলেছো কি স্ব্‌র্গের সিড়ি ...
.............................................
কে শোনাবে এরকম মাতাল কন্ঠ, কে জিজ্ঞেস করবে এমন করে সভ্যতার পাপকে ?
বেঁচে উঠুক ভাল মানুষ টা ।
২৫. ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: সঞ্জীবদার কি সত্যিই 'আকাশচুরি' হয়ে যাবে? আর দক্ষিণবঙ্গের মানুষের সর্বস্ব ডাকাতি করে নিল জলরাক্ষস! মনটা খুবই বিমর্ষ।
২৬. ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫৪
comment by: প্রচেত্য বলেছেন: সঞ্জীবদা আজ আর নেই, সেই সাথে সিডরের আঘাতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি
সব কষ্টগুলো কেন এত নিষ্ঠুর হয়, কেন পাশাপাশি সহবস্থানে থাকে ..............

দ্য ম্যান হু লাভড উওমেন অ্যান্ড ওয়াইন

২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:১৪
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

কাল ফ্রাঁসোয়া ত্রুফোর একটা মুভির কথা ঘুরে ফিরে মনে পড়তেছিল। আমার মোস্ট পছন্দের একটা। যতদূর মনে পড়ে মুভিটা নিয়া সামহোয়ারে লিখছিলামও। মুভি তৈরি হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। এক শাদামাটা মানুষের প্রেম নিয়ে তৈরি মুভিটির শুরু হয় একটা অন্তেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে। একে একে মেয়েরা গাড়ি থেকে নামছে, বাজছে সূচনা সঙ্গীত, ক্রেডিট লাইনগুলো ভেসে যাচ্ছে একে একে। অন্তেষ্টিক্রিয়ায় আসা মেয়েরা নানা রকমরে কেউ বয়স্ক, কেউ কম। কেউ রাফ কেউ কুল। কেউ খুব সেজেগুজে কেউ স্রেফ আটপৌরে পোশাকে। এসে তারা যোগ দিচ্ছেন কফিনের পেছনে চলমান অল্প কয়েক মানুষের ভিড়ে। কফিন কবরে নামানো হলো। ওই মেয়েদের মধ্যে একজন বর্ণনা করতে শুরু করলেন, মৃত ব্যক্তিটির কথা। ফ্লাশব্যাকে জানা গেল, অন্তেষ্টিক্রিয়ায় আসা সব নারী ছিলেন ওই ব্যক্তির প্রেমিকা। তাদের ভালোবাসতেন তিনি। তারা ভালোবাসতেন তাকে। সবাই উপস্থিত হয়েছিলেন তার শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে। পুরো সিনেমা জুড়ে দেখানো হলো এই নারীদের সঙ্গে তার প্রেমের বৈচিত্রপূর্ণ নানা কাহিনী। ত্রুফো যেখানে একেবারে মাত করে দিয়েছেন সেটা বিশেষভাবে বলা দরকার। লোকটির কোনো প্লেবয় ইমেজ তিনি দাঁড় করাননি। কোনো কাউবয় ইমেজও নয়। শাদামাটা এক লোক একের পর এক প্রেমে পড়ছে, লাম্পট্যের ছিটেফোটা নেই তার অ্যাপ্রোচে। সিরিয়াসলি প্রেমেই পড়ে যাচ্ছে স্রেফ। এরকম এক মারেফতি প্রেমের সিনেমার কথাই কাল বেশি করে মনে হচ্ছিল।
না। সঞ্জীবদার প্রেমের খবর আমি জানি না। তার প্রেমিকারা অন্তেষ্টিতে উপস্থিত হয়েছিলেন কি না তাও জানি না। তাকে স্মরণ করতে গিয়ে তার প্রেমের প্রসঙ্গ নিয়ে আসাও হয়তো গর্হিত অপরাধ। তবু মনে পড়েছিল ওই সিনেমার কথা। শুধু এইটুকু জেনে যে, লোকটি নারীদের ভালোবাসতে পেরেছিলেন। তার প্রথম পছন্দ ছিল ওয়াইন। না, ওয়াইন নয় হুইস্কি, বিয়ার। ওয়ার কখনোই পছন্দ করতেন না। কোনো ঝগড়ার আশপাশ দিয়ে হাঁটতেন না। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, কেউ চাইলেও সঞ্জীবদাকে ঝগড়ায় জড়ানোটাই কঠিন কাজ। উনি থাকতেন মোগমুগ্ধ এক মৌ মৌ গন্ধের মধ্যে, যেন কোনো কিছুতেই লিপ্ত নন, কিন্তু আছি তোদের সঙ্গে এরকম এক ভঙ্গি নিয়ে।
সঞ্জীবদার কথা হবে অথচ মদ খাওয়ার প্রসঙ্গ উঠবে না এটা তো তার জীবিতকালে একটা অসম্ভব ঘটনা ছিল। কিন্তু তিনি মারা গেলেন বলেই কি আমরা রাতারাতি ভুলে গেলাম মাদকতা ও মাদকের প্রতি তার অসম্ভব প্রেমের কথা? মদ খেলেই শুধু সঞ্জীবদার ভেতর থেকে তার ছোট ছোট রাগ, সজনে ফুলের মতো ছোট ছোট অভিমান বের হয়ে আসতো। অন্য সময় সেই লিপ্ত-নির্লিপ্ত সঞ্জীব। উনি বসে বসে থাকলে বোঝা যেত না কখনো আবার কোনো গান ওনার পক্ষে গাওয়া সম্ভব হবে কি না। মনে হতো, কোথাও ভুল হচ্ছে, এই সঞ্জীব সেই সঞ্জীব নয়। উনি নিজেও ভুলে থাকতেন হয়তো। কখনো সেলিব্রেটি কোনো গায়ক-গায়িকার সঙ্গে দেখা হলে মনে হতো সঞ্জীবদাকে তারা আগের জন্মে কোনো ভুলে যাওয়া সঙ্গী মনে করে। আবার টিভিতে হঠাৎ চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সঞ্জীবদাকে দেখা গেলে মনে হতো এই লোকটাই কি আমাদের সঙ্গে কাজ করে? না মনে হয়। আর যদি কাজ করেও থাকে তাহলে হয়তো কাল আর কথা বলবে না। কিন্তু পরদিন একই শাদামাটা সঞ্জীবের দেখা মিলতো। সবাই ভাবতো, সঞ্জীব তার সঙ্গে আছে। অনেকে ভাবতো সঞ্জীব তার সঙ্গে নেই।
সঞ্জীব চৌধুরী আশির দশকের ব্যর্থ গল্পকার। ব্যর্থ কবি। সঞ্জীব চৌধুরী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ। সফল সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী সফল গায়ক। গান নিয়ে তার চিন্তা সফল হয়েছে অনুসৃত হয়েছে। শাহ আবদুল করিমের গান তিনি প্রথম শহরের মানুষের কাছে এনেছিলেন, তাই না? সঞ্জীব চৌধুরী সফল সাংবাদিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এক দীর্ঘ হাইবারনেশনে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলেন নিজের ভেতরের সাংবাদিক সঞ্জীবকে। তার অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। অনেক শিল্পীর দীর্ঘ জীবনেও এমন ঘটে না। কিন্তু তিনি তো লেগে থেকে গানটাও চালিয়ে যান নি, তাই না?
এরকমই সঞ্জীবদা। সাংবাদিকতার চাকরি চলে গেলে তিনি তো গানই গাইবেন। একটা অ্যালবাম বের হলে আবার চাকরি খুঁজবেন। অন্তহীন টানাপোড়েনের মধ্যে বসে থাকা এক মানুষ সঞ্জীবদা। সফল বললে সফল, অসফল বললে অসফল। সঞ্জীবদাকে সমানা সামনি বললে, উনি টেবিলে তাল ঠুকে কোনো একটা লাইন গাইতেন হয়তো। এইসবে তার কিচ্ছু আসতো যেত না। কিন্তু জীবিত মানুষ একটা জায়গায় তো বাঁধা। টাকা। টাকা মানুষকে ডোন্ট কেয়ার মানুষকে কেয়ারফুল করে দেয়। এইভাবেই পুঁজির সাম্রাজ্য নিরাপদ থাকে।
সঞ্জীবদা মারা যাওয়ার পর আসলেই ওরকম মানুষ আর থাকলো না। যিনি একসময় লিটল ম্যাগাজিন করতেন, দৈনিক পত্রিকায় চাকরি করেন, শিল্প-সাহিত্য বোঝেন আবার গান করেন, গানের জগতে সবাই তাকে মান্য করে, তার গান জনপ্রিয় হয়, মুখে মুখে ফিরতে পারে। এরকম লোক আর কেউ থাকলো না। থাকলো না বলেই তার সাথে হাঁটতে আনন্দ হতো। কথা বলতে আনন্দ হতো। দাদা এখন নাই। আর দেখা তো হবে না। দাদার মতো করে আনন্দ হবে না আর।
সঞ্জীবদা জীবিত থাকা অবস্থায় আমি সত্যিই জানতাম না এত মানুষ তাকে ভালোবাসে। সঞ্জীবদাকে সবাই একা একা আলাদা আলাদা করে ভালোবাসতো। একসাথে শুধু কালকেই ভালোবাসলো। পরিচিত অপরিচিত এত মানুষ দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম। একজন একজন করে মানুষ মিলিয়ে এত মানুষ তবে জমে উঠতে পারে!
মদের গল্প হবে অথচ সঞ্জীবদার কথা উঠবে না? বারে গেলে এবার বারে বারে দাদার কথাই মনে পড়বে। মদ খাওয়া খারাপ কিছু না। প্রেম করাও খারাপ কিছু না। যাদের মনে এ নিয়ে খারাপ কথা উঁকি দেয় তাদেরই উচিত নিজেদের চিন্তা শোধরানো।



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।



* ৩৭ টি মন্তব্য
* ৪২০ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১২ জনের ভাল লেগেছে, ২ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28746541 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৪১
comment by: জামাল ভাস্কর বলেছেন: মদ খাওয়া খারাপ কিছু না। প্রেম করাও খারাপ কিছু না। যাদের মনে এ নিয়ে খারাপ কথা উঁকি দেয় তাদেরই উচিত নিজেদের চিন্তা শোধরানো।

শেষের এই বাক্য তিনখানার জোরেতো তোমার লেখার মূল বিষয় থেইকা বহুদ্দূরে নিক্ষিপ্ত হইলাম...এই লেখা বাস্তবিকই সঞ্জীব চৌধুরীরে অবিচ্যুয়ারি, নাকি তোমার মদ খাওন আর প্রেমে পড়নরে জায়েজ করনের উদ্দেশ্য...এই নিয়া ধন্দে পরলাম...তয় সঞ্জীব দা'রে নিয়া লেখা অংশটা ভালো লাগলো...
২. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৫৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভাস্করদা,
ধন্যবাদ।
আপনি আমারে চিনেন বলে ওইরকম মনে হইতে পারে।
৩. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৫৭
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: কে জানি এক দিয়া পালাইলো। আর কে জানি ৫/৪ দিল, কে জানে।
৪. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০৪
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: ক্রফোর ছবির নামটা কি? দেখন লাগবো.....
৫. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৬
comment by: প্রচেত্য বলেছেন: সবার ভালবাসা একসাথে বহি:প্রকাশ হল
৬. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৭
comment by: জামাল ভাস্কর বলেছেন: ত্রুফোর ছবিটার নাম দ্য ম্যান হু লাভ্ড উওমেন...
৭. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৮
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাস্করদা, দেখতে হবে।
মোর্শেদ ভাইরেও ধন্যবাদ তাঁর লেখার জন্য
৮. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৩০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: থ্যাংকস: প্রচেত্য, ভাস্করদা ও সামী মিয়াদাদ।
৯. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৫
comment by: অরুনাভ বলেছেন: " মদ খাওয়া খারাপ কিছু না। প্রেম করাও খারাপ কিছু না। যাদের মনে এ নিয়ে খারাপ কথা উঁকি দেয় তাদেরই উচিত নিজেদের চিন্তা শোধরানো " ভাল লেগেছে কথাটা.....
ভাল লেগেছে আপনার লেখাটা....
১০. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১১
comment by: আমি মাহমুদ বলেছেন: "মদ খাওয়া খারাপ কিছু না। প্রেম করাও খারাপ কিছু না। যাদের মনে এ নিয়ে খারাপ কথা উঁকি দেয় তাদেরই উচিত নিজেদের চিন্তা শোধরানো।"
১১. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১২
comment by: আমি মাহমুদ বলেছেন: "মদ খাওয়া খারাপ কিছু না। প্রেম করাও খারাপ কিছু না। যাদের মনে এ নিয়ে খারাপ কথা উঁকি দেয় তাদেরই উচিত নিজেদের চিন্তা শোধরানো।"

তবে লেখাখানার জন্য ধন্যবাদ।
১২. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৬
comment by: মাথামোটা বলেছেন: মদ খাওয়া সিগারেট খাওয়ার চেয়ে খারাপ
কিন্তু পরকিয়া, অশ্লীলতা, কুটিলতার চেয়ে ভাল


১৩. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: অরুনাভ, আমি মাহমুদ ও মাথামোটা,
ধন্যবাদ।
১৪. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
comment by: নরাধম বলেছেন: প্প্ম্র...........
১৫. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৫
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: সঞ্জীবদাকে সবাই একা একা আলাদা আলাদা করে ভালোবাসতো।তাঁর গানের একা এক ভক্ত হিসাবে আমিও বাসতাম। চলে যাওয়ার পরে এমন মানুষ আর থাকলো না,আর থাকবেও না। লেখা দিয়া এমন মানুষরে বুঝানো যায় কিনা জানি না,তবে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
১৬. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪১
comment by: মাঠশালা বলেছেন: "পাগল রাগ করে চলে যাবে
ফিরেও আসবেনা........"
সঞ্জীব চৌধুরী মারা গেলেন, এইটা খারাপ আর দুঃখজনক হয়েছে আবার লেখাটা ভালো লেগেছে
লেখক সত্ত্বাটা কেমন জানি.......৫
১৭. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৩
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: নরাধম,
?
ফারহান দাউদ,
ধন্যবাদ।
জুবেরী,
থ্যাংকস এ লট।
১৮. ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৫৬
comment by: মৈথুনানন্দ বলেছেন: মদ খাওয়া খারাপ কিছু না। প্রেম করাও খারাপ কিছু না। যাদের মনে এ নিয়ে খারাপ কথা উঁকি দেয় তাদেরই উচিত নিজেদের চিন্তা শোধরানো।

=====

বস, টিনেজার ভাইবোনেরা এগুলির সামগ্রিক অর্থ বুঝবে না, যে কি কন্টেক্সটে বলা হচ্ছে। মাল পানের গাইডলাইন্সগুলো তো আর এমনি এমনি গজায় নি - ফলে এই লেখাকে মেসেন্টার্প্রেট করে কেউ কেউ বিঞ্জ ড্রিঙ্কিনে উতসাহ নিতে পারে।
১৯. ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৩৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মৈথুনানন্দ,
সেটাই। ধন্যবাদ।
২০. ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
comment by: কালো প্রজাপতি বলেছেন: মদের বিষয়ে খোলামেলা আলাপ করায় ধন্যবাদ । কেউ মারা গেলে আমরা সেই মানুষের অর্ধেক সত্য প্রকাশ করি। অথচ মদ ছাড়া দাদার কথা নাকি ভাবাই যেতো না । মদ নিয়ে দাদার সঙ্গে কোনো আনন্দের অভিজ্ঞতা থাকলে লিখতে পারেন । এতে তাকে অশ্রদ্ধা করা হবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। দাদা বেচে থাকবেন তার কাজের মধ্যে। তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে খুব ইচ্ছে করে।
২১. ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১৯
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: নতুন করে তাকে যেন চিনলাম । তার প্রতি শ্রদ্ধা
২২. ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৩৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: থ্যাংকস কালো প্রজাপতি।
২৩. ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: থ্যাংকস মেহরাব।
২৪. ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:০০
comment by: ফকির ইলিয়াস বলেছেন: ওয়াইন ' এর ''ও'' এবং
বিয়ার এর ''য়ার ''= ওয়ার !
মদ খাওয়া ভালো । তবে মদ কাউকে খেয়ে ফেললে
আমরা তীব্র বেদনা পাই। মর্মাহত হই।
২৫. ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:১৮
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: ত্রুফোর ছবিটি আমি দেখিনি। তবে শাইনী গ্যাবেলের 'এ লাভ সঙ ফর ববি লঙ' (২০০৪) ছবিটির কাহিনী দেখছি প্রায় একইরকম। এখানে মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে তার উচ্ছৃঙ্খল মেয়ে মায়ের শহরে গিয়ে দেখে মায়ের বাড়ি দখল করে আছে তার ভক্তরা (প্রেমিকেরা)। ববি লঙ হলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এমনকি মায়ের প্রতিবেশী বুড়োও মায়ের প্রেমিক। পরে জানা যায় ববি লঙই তার জৈবিক বাবা, মায়ের সঙ্গে বৈবাহিকসূত্রে যাকে সে বাবা বলে জানতো, সে কেউ নয়।
যাহোক, সঞ্জীবদা আমার বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র। বিভাগেরই দুটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে কাছ থেকে গান শুনেছি। অন্য দুয়েকটি কনসার্টেও তার গান শুনেছি। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তাকে বেশি জানতাম না। বিভাগের পিকনিকে গিয়ে মদ্যসরবরাহ না-থাকায় খুব নিচ্ছিলেন সহকর্মীেক। বিশেষ কিছু না, উনি ভাবতেই পারেননি এতটা পানসে আমরা। তবে ব্যান্ড-তারকাদের যেরকম গ্ল্যামার-দাপট থাকে তার মধ্যে সেটা একেবারেই অনুপস্থিত। তার অ্যাপিয়ারেন্স বলে ‌'আমি তোমাদেরই লোক'। বাপ্পার কণ্ঠে যেমন পশ্চিমা একটা ধাঁচ থাকে, সঞ্জীবের কণ্ঠ তুলনায় অনেক মেলোডিয়াস, ভারতবর্ষীয়। সেই কণ্ঠের নতুন কোনো গান শোনা হবেনা। এ এক বিরাট আফসোস।
২৬. ২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:২০
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: সঞ্জীবদাকে ব্যক্তিগতভাবে কিছুটা চিনি। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি নিভৃতচারীঅভিমানী, মদ খেলে মাঝে মাঝে সেখান থেকে ছেঁকে কিছু ছোটখাটো ক্ষোভ বেরিয়ে আসতো।
২৭. ২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:০৭
comment by: জুবেরী বলেছেন: ফ্রাঁসোয়া ত্রুফোর ছবিটির মজার একটি বিষয় হলো নায়ক তার পছন্দের নারীদের নির্বাচনে এক অদ্ভূত
বিষয়কে প্রাধান্য দিতেন তা হলো যে সকল নারীদের পা সুন্দর সুগঠিত তাদের প্রতি তার একটা বিশেষ আর্কষন ।
ব্যক্তির ভিন্নতায় কি তবে অপর লিংগের প্রতি আর্কষনের বিষয়ে পার্থক্য হয় ?

সঞ্জীবদার শ্রদ্ধা
লেখার জন্য ৫।



২৮. ২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২২
comment by: মাহমুদউল্লাহ বলেছেন: সুন্দর লেখা। তবে শেষ লাইনটায় এসে ধাক্কা খেলাম। যারা আপনার সাথের একমত না, তাদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন প্রয়োজন ছিলনা মনে হয়।
২৯. ২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৪০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফকির ভাই,
থ্যাংকস। একমত।
ফাহমিদ ভাই,
সুন্দর কমেন্টের জন্য ১০।
অনিশ্চিত,
ঠিক কথা।
জুবেরী,
রাইট পয়েন্ট। আজকের যায়যায়দিনটা দেইখেন।
মাহমুদউল্লাহ,
হয়তো আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি শিওর না।
৩০. ২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৮
comment by: ৈনাটন বলেছেন: খুব ভাল কথা। মেন েদালা লাগার কথা....
৩১. ২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: থ্যাংকস।
৩২. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৮
comment by: মৃদুল মাহবুব বলেছেন: ৫
৩৩. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: থ্যাংকস।
৩৪. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৩৭
comment by: দুরন্ত পিথক বলেছেন: ৫
৩৫. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৪
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, দুরন্ত পিথক।
৩৬. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:১৯
comment by: ফ্লোরা ফেরদৌসী বলেছেন: ভালো লেখা। ভাস্করদার সাথে একমত। আপনারা কেউ তার বউ বাচ্চাকে নিয়ে লেখেন। ওদের কথা জানতে মন চায়। ওদের কতখানি গেল? জাতির তো অনেক গেল, ওদের টা ?
৩৭. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সেটাই।

নিজের ভাষ্যে লেখক ও মুভি পরিচালক উডি অ্যালেন

২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৪
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

এ বছর প্রকাশিত হয়েছে উডি অ্যালেনের তিনটি বই। দুটির লেখক তিনি নিজে। এ দুটির একটি মেয়ার অ্যানার্কি প্রকাশিত হয়েছে র‌্যানডম হাউস থেকে, এ বছরের জুনে। গত ২৫ বছর এটিই উডি অ্যালেনের সর্বশেষ হিউমার কালেকশন। এতে গ্রন্থিত নকশা বা নিবন্ধ ১৮টি। এর ১০টিই প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনে। চমৎকার বিস্তারিত স্বাক্ষর আছে এ বইটির ছত্রে ছত্রে। পরের বইটিও প্রকাশিত হয়েছে জুনে, র‌্যানডম হাউস থেকে। নাম দি ইনসেনিটি ডিফেন্স। এটিও হিউমার কালেকশন নকশা জাতীয় বই। উডি অ্যালেনের প্রিয় বিষয় নিউ ইয়র্কে হাই প্রোফাইল বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে এটি এক কৌতূহল উদ্দীপক সংগ্রহ। এক কথায় যাকে বলা যায় খোচাখুচি সঙ্কলন। শেষ বইটি তার নিজের লেখা নয়, কথার সঙ্কলন। নাম : কনভারসেশনস উইথ উডি অ্যালেন : হিজ ফিল্মস, দি মুভিজ অ্যান্ড মুভি মেকিং। প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের অক্টোবরে, আলফ্রেড এ নফ প্রকাশনী থেকে। লেখক এরিক ল্যাক্স।
এরিক ল্যাক্স উডি অ্যালেনের বেস্টসেলার জীবনী উডি অ্যালেনের লেখক। তিনি নতুন প্রকাশিত বইটিতে গত ৩৬ বছর ধরে উডি অ্যালেনের নানা কথোপকথন, সাক্ষাৎকার ও মন্তব্য নিয়ে সঙ্কলনটি করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কিত ও বিতর্ক সৃষ্টিকারী লেখক উডি অ্যালেনের বই তিনটি নিয়ে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা এ তিনটি বই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক ও পরিচালক উডি অ্যালেনের অন্তর্গত জীবনের একটি জীবন্ত ছবি এতে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। উডি অ্যালেনের সঙ্গে কথোপকথন বইটি থেকে কিছু অংশ যায়যায়দিনের পাঠকদের জন্য এখানে অনুবাদ করা হলো।
তিনবার একাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী আমেরিকান মুভি ডিরেক্টর, লেখক, অভিনেতা, জাজ মিউজিশিয়ান, কমেডিয়ান ও নাট্যকার উডি অ্যালেন। আধুনিক সময়ের বর্ণাঢ্য এ লেখক-পরিচালকের মুভিগুলো বিশেষভাবে পরিচিত স্যাটায়ার, উইট ও হিউমারের বিশেষ প্রকাশভঙ্গির কারণে। তার ওপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছে সাহিত্য, দর্শন, মনোবিজ্ঞান, ইহুদিবাদ, ইওরোপিয়ান সিনেমা ও নিউ ইয়র্ক শহর। এ শহরেই তিনি জন্মেছেন এবং জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত করেছেন। ১৯৩৫ সালের ১ ডিসেম্বর এ শহরের একটি ইহুদি পরিবারে জন্ম উডি অ্যালেনের। অ্যালেন কয়েকবার বিয়ে করেছেন এবং এ বিয়ে নিয়ে বিস্তর বিতর্কিত হয়েছেন। প্রথম বিয়ে হয়েছিল হারলেন রোজেনের সঙ্গে ১৯ বছর বয়সে। দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল ১৯৬৬ সালে লুইজি লেজারের সঙ্গে। টেক দি মানি অ্যান্ড রান মুভিতে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের ডিভোর্সের পর অ্যালেনের তিনিটি মুভিতে কাজ করেছিলেন লুইজি লেজার। মুভি তিনটি হলো : ব্যানানাস, এভরিথিং ইউ ওয়ান্টেড টু নো অ্যাবাউট সেক্স ও স্টারডাস্ট মেমোরিজ। বলা হয়ে থাকে তার হাসবেন্ডস অ্যান্ড ওয়াইফস মুভিটি লেজারের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হয়েছিল।
তার পরবর্তী স্ত্রী ডায়ান কিটন। তিনি অ্যানি হলসহ উডি অ্যালেনের বেশ কয়েকটি মুভিতে অভিনয় করেছিলেন। বলা হয় তার ম্যানহাটান মুভিটি স্টেসি নেলকিনের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক নিয়ে তৈরি। কিন্তু অ্যালেন কখনোই স্টেসির সঙ্গে সম্পর্কে কথা জনসমক্ষে স্বীকার করেননি। এরপর তার সম্পর্ক হয় মিয়া ফারোর সঙ্গে। এ সম্পর্ক ও পরবর্তী ঘটনাক্রমে অ্যালেনের জীবনে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। মিয়া ফারো তার আত্মজীবনীতে লেখেন, তার দত্তক মেয়ে সুন ই প্রেভিনের সঙ্গে অ্যালেনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মিয়া ফারোর সঙ্গে অ্যালেনের বিয়ে বিচ্ছেদের পর অ্যালেন প্রকাশ্যে প্রেভিনের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। এ নিয়ে তাকে প্রচুর সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়।
দীর্ঘ জীবনে এখনো শিল্প-সাহিত্যের নানা শাখায় সক্রিয় আছেন এ লেখক-পরিচালক ও অভিনেতা।
# উডি অ্যালেনের সঙ্গে কথোপকথন#
মে, ২০০৫
উডি লন্ডনে একটি মুভির কাজে যাচ্ছেন। আমরা ছিলাম ম্যানহাটান সেন্টারের প্রেক্ষাগৃহে। সেখানে বছর বছর ধরে ঘন নীল সুইভেল চেয়ার পাতা থাকতো। আমাদের পাশের ক্যাবিনেটগুলোতে ছিল থার্টিজ ও ফোর্টিজের মিউজিক কালেকশন। সবটাই তার কাজের জন্য ব্যবহৃত। এখানকার সব কিছুর বয়স ২৫ বছর ছাড়িয়ে গেছে। একটা জিনিসই শুধু আলাদা, তার নতুন মুভি ম্যাচ পয়েন্ট। তিনি একটা মুভি শেষ করার পর খুব কমই আমাদের দেখিয়েছেন। কিন্তু এ মুভিটি নিয়ে তিনি বেশ খুশি ছিলেন।
এরিক ল্যাক্স : এটা এতো ভালো হলো কেমন করে?
উডি অ্যালেন : আমার মনে হয় এটাতে কিছু কাজ করতে হয়েছে। যেমন আমি কমেডির প্রতি আচ্ছন্ন ছিলাম না। যা করতে চেয়েছিলাম তা করতে পেরেছি। আমার ভাবতে হয়নি যে, একটা মুভি বানাচ্ছি যেটাকে কমেডি হতে হবে। কোনো বাধা-ধরা ব্যাপার ছিল না। ফলে, আমি যা করতে চেয়েছি তা করতে পেরেছি। আমি ভেবেছি আর একটা ভালো চিত্রনাট্য লিখেছি। আর এটা বাস্তবায়িতও করতে পেরেছি। আমার সব কিছুই ছিল।
এরিক : মুভিতে দুটি ভয়াবহ খুনের ঘটনা ছিল। কিন্তু আপনি খুনের ঘটনা কিংবা রক্ত কিছুই দেখাননি। কেন?
অ্যালেন : এটা হত্যা বা রক্ত নিয়ে তৈরি মুভি নয়। ফলে, দর্শককে শুধু ধাক্কা দেয়ার জন্য এ রকম কিছু করার চিন্তা আমি বাদ দিয়েছি। বাড়তি কিছু যোগ হতো না এটা করলে। আমি এ মুভি নিয়ে খুব খুশি। এমনিতেই যেসব কাজে ভুল হয়ে যায়, এতে সেগুলো ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। অনেক ব্যাপার আছে যেগুলো একেবারে ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ে যেমন ঠিকঠাক অভিনেতা-অভিনেত্রী যোগাড় করা, কোনো চরিত্র নিয়ে কম্প্রোমাইজ করা, প্রতিদিন সঠিক আবহাওয়া পাওয়া। সব কিছুই ঠিকঠাক মিলেছে। মুভিতে যতো সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো স্রেফ আমারই নয়, সেটের সবার। এগুলো জাস্ট ঘটে গেছে। আমি জানি না এভাবে আমি আরেকটি মুভি তৈরি করতে পারবো কি না।
এরিক : পল কে মুভিতে ছিলেন একজন রিয়াল এস্টেট এজেন্ট। তিনি যখন জনাথন রাইস মেয়ার্সের কাছে ফ্যাট ভাড়া দিচ্ছেলেন তখনই কিছু মজার কথা এসেছিল। আপনি কি ওইভাবেই লিখেছিলেন?
অ্যালেন : মুভিতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীরই যে কিছু করার থাকে, এটা হলো তারই একটি উদাহরণ। আমি এটা সরলভাবে লিখেছিলাম। কোনো মজার ব্যাপার ছিল না। কিন্তু সে পুরো জায়গাটাতেই স্বতঃস্ফূর্ত ছিল, চরিত্রটিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। সে ছিল মজার। এমন নয় যে, সে এলো, লাইনগুলো বলে টাকা নিয়ে চলে গেল। সবাই যার যার জায়গা থেকে কিছু করার চেষ্টা করেছিল।
এরিক : এক ঘটনা থেকে আরেক ঘটনায় সুন্দরভাবে সময় চলে গেছে। যেমন একই চার্চে দুটি বিয়ের পর পর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বোঝা গেল কয়েক মাস কেটে গেছে। কিন্তু এর জন্য বাড়তি কিছু করতে হলো না।
অ্যালেন : গল্প বলার সহজাত প্রবণতা থেকে আমি জানি ওটাই করতে হবে, আমি ওটাই করবো, ওর বেশি লাগবে না। আমি অনুভব করেছি, এটাই সবকিছু এবং তাড়াতাড়ি পেয়ে গেছি, বাস্তবায়নও করেছি।
এরিক : আপনার কি মনে হয় নিউ ইয়র্ক ছাড়া অন্য কোনো শহরে থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য তৈরি হয়?
অ্যালেন : নতুন শহর দেখাটা সব সময়ই মজার ব্যাপার। কিন্তু আমি ছবিটা এমন কোনো শহরে করছিলাম না, যে শহরটাকে এর জন্য আমি বিশেষভাবে কাজে লাগাতে পারি। আমি হয়তো লন্ডনকে কিছু পরিমাণ ব্যবহার করতে পারতাম। কিন্তু যদি রোমান্টিক মুভির কথা মনে আসে তবে আমাকে হয়তো ওই পথেই যেতে হতো যেভাবে ম্যানহাটানে ম্যানহাটান মুভিটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখানে কিছু বাস্তব বর্ণনার ব্যাপার ছিল। আমি নিজেকে আশপাশ দেখে বিশেষভাবে বঞ্চিত করতে চাইনি।
এরিক : এ মুভিটি সে রকমভাবেই হয়েছে যেভাবে মনের মধ্যে এর কথা আপনি ভেবেছিলেন। অন্য মুভিগুলোর বেলায় কি ঘটেছে, যেমন পার্পেল রোজ অফ কায়রো?
অ্যালেন : আমি যে রকম করে ভেবেছিলাম সে রকম করে তৈরি হওয়া মুভিগুলোর মধ্যে ওটা একটা। কিন্তু এ রকম নয় যে, আগেই ওটা আমি দেখে ফেলেছি।
এরিক : আপনি আমাকে একবার বলেছিলেন, আপনার মাথায় যখন এক অভিনেতার পর্দা ছিড়ে বেরিয়ে আসার আইডিয়া এলো তখন ভীষণ আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন।
অ্যালেন : আমি পর্দা ফুড়ে বেরিয়ে আসার আইডিয়াটা পেয়েছিলাম কিন্তু ব্যাপারটা ঘটাতে পারছিলাম না। আমি ৫০ পাতা লিখে সেটা সরিয়ে রেখেছিলাম। আমি আবার এর কাছে ফিরলাম যখন জানলাম আসল নায়ক এর দ্বারা সমস্যায় পড়েছে। সে শহরে এলো। মেয়েটি তার প্রেমে পড়লো। পর্দায় তার যে চরিত্র তারও প্রেমে পড়লো। তাকে বাধ্য করা হলো যে কোনো একটা বেছে নিতে। সে বাস্তবের চরিত্রটাকে বেছে নিল। সে মেয়েটিকে আঘাত দিল। এভাবেই গল্পটা তৈরি হলো। কিন্তু এর আগে আমি ৫০ পাতা লিখেছিলাম যেখানে সে পর্দা ছিড়ে বেরিয়ে এসেছিল এবং কিছু মজা করেছিল। আর এটাই হলো এ জিনিস।
এরিক : বাস্তবতা শেষ পর্যন্ত আপনাকে পেয়ে বসে।
অ্যালেন : আমার ধারণা, রিয়ালিটি ও ফ্যান্টাসির মধ্যে আপনি রিয়ালিটিকেই বেছে নিতে বাধ্য। আর রিয়ালিটি শেষে গিয়ে আপনাকে আহত করে। আর ফ্যান্টাসি হলো স্রেফ পাগলামি।
এরিক : কি এক বাছাই!
অ্যালেন : জীবনের মতোই এটা একটা হারানো-হারানো ব্যাপার।
এরিক : আপনি যখন লেখেন তখন কি নিজেকে ফ্যান্টাসির জগতে নিয়ে যেতে পারেন?
অ্যালেন : আমি খুব সহজেই নিজেকে নিয়ে যাই। যখন কেউ লেখে তখন গল্পটার ভেতরে ঢুকে যায়। আনন্দময় একটা অবস্থায় গল্পটার মধ্যে ঢোকে। এটা ব্যাখ্যা করা কঠিন কিন্তু এটা সে রকমই একটা ব্যাপার যা একজন পেইন্টারের বেলায় ঘটে একটা কোলাজ করতে গিয়ে বা ছবি আকতে গিয়ে। তিনি এটার ভেতরে আবার ঢুকতে চান, একে সমাপ্ত করতে চান। এটা এক আনন্দদায়ক পরিস্থিতি।
ভূমিকা ও অনুবাদ : মাহবুব মোর্শেদ



প্রকাশ করা হয়েছে: অনুবাদ বিভাগে ।



* ৭ টি মন্তব্য
* ১৭৬ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ২ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28746989 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ছবি : উডি অ্যালেনের উডেন স্কেচ।
২. ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৫৯
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: হুমম।
৩. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪২
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হামমমমমমমম।
৪. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:২৫
comment by: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: মাহবুব ভাই ভালো আছেন!
সত্যি ভালো তো!
৫. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৩
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হ। আপনি নাম বদলাইলেন ক্যান?
৬. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৩
comment by: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: কি করব বদলিয়ে ফেললাম!
৭. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভাল করছেন। নামটা ভাল নিছেন।

ছোটদের অর্থনীতি অথবা কয়দিন ধরে যা কিছু কথা ভাবতেছি

২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৫
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

১. বর্তমান সরকার যত তর্জন-গর্জন করে দেশ থেকে দুর্নীতি বিতাড়নের আওয়াজ তুলেছে তার প্রায় সবটাই ফাঁকা ওয়াজ কি না এইটা এখন ভাবার সময় এসেছে। কারণ এনাদের এক বছর হইতে চললো।
২. যে প্রক্রিয়ায় তারা দুর্নীতি দমনের জন্য তৎপরতা চালিয়েছে তাতে দুর্নীতি ু কার টুকুও দমন করতে পারবে কি না এইটা এখন ভেবে দেখা যেতে পারে। কিছু রাজনীতিককে দমন করা সম্ভব হলেও দুর্নীতি দমন হবে এইটা ভাবা দিনকে দিন কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
৩. দুর্নীতি দমন অভিযানে ব্যবসায়ীদের আগে আংশিকভাবে এখন পুরোপুরি ছাড় দেয়ার প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে। ফলে দুর্নীতি যাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে সেই ব্যবসার গায়ে হাত পড়বে না এইটা প্রায় কনফার্ম।
৪. ব্যবসায়ীরা বুঝতে পেরেছে এখন ভয় পেয়ে বসে থাকাটাই সবচেয়ে লাভজনক। সরকার এসে যেমন তেলাবে তেমনি ধরা খাওয়ার ভয়ও থাকবে না। এইভাবেই তারা গুদাম সিলের অভিযানকে ট্রুথ কমিশনে এনে ঠেকিয়েছে।
৫. এই সরকারের মোট কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ১০ জন, দুদকের কমিশনার ৩ জন। নির্বাচন কমিশনে তিনজন। এইভাবে সাকুল্যে ১০০ জনের কম। এদের বেশির ভাগই অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি। নতুন কেউ কাজ পায় নাই। পাটকল শ্রমিক, সাংবাদিক, গার্মেন্টস কর্মী মিলিয়ে কতজন কাজ হারিয়েছে তার হিসাব বসে বসে করা যেতে পারে।
৬.এই সরকারের আমলে কোনো নতুন কাজের জায়গা তৈরি হয়েছে বলে আমরা জানি না। নুতন ইনভেস্টমেন্ট প্রায় জিরো।
৭. কোনো নতুন স্কেল ঘোষণা করা হয়নি। কারও বেতন বাড়েনি। কিন্তু দ্রব্যমূল্য প্রায় দ্বিগুণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনচার গুণ হয়েছে।
৮. দুই দফা বন্যা আর এক দফা সাইক্লোনে ফসলহানি হয়েছে ব্যাপক। খাদ্য ঘাটতির সঙ্গে এইগুলা যোগ হলে সামনে কী আছে আমাদের কপালে সেটা ভাবা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। আপাতত উত্তরবঙ্গ বেঁচে গেলেও সেখানে মঙ্গার মৌসুম সমাগত।
৯. ছাত্র-পেশাজীবীরা যে ত্রাণ কাজে অংশ নিচ্ছেন না। তার একটা কারণ জরুরি অবস্থা কিন্তু তার চেয়ে বড় কারণ হলো মধ্যম আয়ের মানুষের সাহায্য করার সামর্থ্য নাই।
১০. শেয়ারবাজরের রহস্যময় আচরণে বিক্ষোভ হয়েছে। ওই একটা জায়গাতেও আগামীতে তেমন বিনিয়োগ হবে না বলেই আশঙ্কা করা যায়।
১১. মিসম্যানেজমেন্টের কারণে বিদেশে লোক যাওয়া বন্ধ। অতএব কর্মসংস্থানের আউটসোর্সিংয়ের আশা আপাতত বাদ।
১২. ভাশুরেরা কিছু ইনভেস্টমেন্ট হয়তো করবে। কিন্তু তার প্রায় সবটাই হবে অসম চুক্তির ভিত্তিতে।
১৩. মনে হচ্ছে, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব একেবারে ভুল। সিভিল সোসাইটির ক্ষমতায় যাওয়ার এতদিনের প্রস্তুতির ফল যদি
এই হয় তাহলে এদের নিয়ে ভাবতে হবে। এদের ওয়াজ ভবিষ্যতে আর কেউ শুনবে বলে মনে হয় না।


বুঝার চেষ্টা করতেছি।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৫৩ টি মন্তব্য
* ৬৫৮ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১১ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28747511 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৩
comment by: ফ্লোরা ফেরদৌসী বলেছেন: বুঝলে আর একটা পোষ্ট দিও
২. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৮
comment by: মাঠশালা বলেছেন: মাহবুব ভাই, বুঝার আর বাকি রাখছেন কই।
"শাসক
সে যে দলেরই হোক
ভয়ানক ভয়ানক।"
৩. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৩
comment by: যীশূ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লষণ।
৪. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৮
comment by: ষড়যন্ত্রকারীদের জম বলেছেন: শেষ পর্যন্ত এরা আরেকটা ৭৪ উপহার দিবে বলে আমার ধারণা ।
৫. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০০
comment by: অচেনা বাঙালি বলেছেন: আপনেরা সাংবাদিক মানুষ আপনেরাইতো আগে থিকা কইবেন। তার্তারি ভাইবা কিছু কন। তাইলে আমার মত আম পাবলিক কিছু কিনারা (ভাবনার) পাইবো।



শুনতাছি ভবিছ্যতে প্রশাসনে পাকাভাবে জলপাইরা যাতে থাকতারে সেইটার জন্য নাকি চিন্তাভাবনা চলতেছে?
৬. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০১
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ ভাই , টু দি পয়েন্ট কথাগুলো বলেছেন ।সেজন্য ধন্যবাদ ।

আমি অবশ্য বেশ হতাশ । আমার কাছে মনে হয় , আমাদের স্ট্রাকচারটা এমন হয়ে গেছে , দূর্নীতিই আমাদের নীতি ,

প্রথমত, এটা দমন করার বিশেষ ইচ্ছাই আমাদের কারও নেই
দ্বিতীয়ত ,আর যদি দমন করতেই চাই , এমন সব জটিলতা সৃষ্টি হয় , তখন দূর্নীতির সাথে আপোষ করাটাই তখন সলুশন বলে মনে হতে থাকে ।

আপনার মতামত কি ?
৭. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০১
comment by: মদন বলেছেন: যুক্তিযুক্ত কথা...
৮. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফ্লোরা,
ঠিক আছে।
জুবেরী,
এখনো মেলা বাকী। অনেক কিছু তো আমরা জানিও না।
যীশূ,
থ্যাংকস।
জম,
এই মতটা এখন পাওয়ারফুল হচ্ছে।
৯. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০২
comment by: আবু সালেহ বলেছেন: মাহাবুব ভাই

বুঝলে ডাক দিয়েন.....আর একটা পুস্টু মাইরেন....

তয় সবকিছু মনে হয় ভালোর দিকে যাচ্ছে না....
১০. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০৭
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: অচেনা বাঙালি,
অনিয়মতান্ত্রিক সামরিক শাসনের চাইতে নিয়মতান্ত্রিক সামরিক শাসক আমার বিবেচনায় ভাল। তাতে অন্তত সরাসরি তাদের বিরোধিতা করা যায়।
মেহরাব,
আমি আমি যতটুকু বুঝি তাতে পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে দুর্নীতি দমন বলে কিছু নাই। কমাতে হবে। যারা দেশে দুর্নীতি কমাতে চায় তাদের অর্থনীতি সচল রাখতে হলে দুর্নীতির আউটসোর্সিং করতে হয়। দুর্নীতি করে যুদ্ধ লাগাতে হয়। অন্যের সম্পদ মারতে হয়। দুর্নীতি ছাড়া পুঁজিবাদী অর্থনীতি অচল।
১১. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মদন,
থ্যাংকস।
আবু সালেহ,
ডাক দিবার ক্ষমতা নাই। তবে আরো জানার ইচ্ছা আছে।
১২. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২১
comment by: মিরাজ বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণটা মোটের উপর ভাল তবে বেশ খানিকটা জেনারালাইজেশন হয়েছে।

সরকারের দূর্নীতি দমন অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে যারা এতদিন নিজেদেরকে বিচারের উর্ধে উঠে নিয়মিতভাবে দেশকে লুটেপুটে খেত তাদের একটা বড় অংশকে মাটিতে নামিয়ে আনা এবং জেলে প্রেরণ। এটা দরকার ছিল এবং ভবিষ্যতের জন্য একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।

এছাড়া এই এক বছরের মধ্যে এই সরকারকে একটা বড় বন্যা এবং এই সাইক্লোনকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এরকম দুইটা দুর্যোগ মোকাবেলা করা রাজনৈতিক সরবকার যাদের সাংগঠনিক ভিত্তি অনেক মজবুত থাকে তাদের পক্ষেও কঠিন।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থতা আছে কোন সন্দেহ নাই । তবে বিশ্ববাজারেও দ্রব্যমূল্য লাগামহীন ভাবে বাড়ছে আর সেই সাথে বাড়ছে তেলের দাম। আর একটা বড় অংশ চাচ্ছে এই সরকারকে ব্যর্থ দেখতে, তারাও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে। সরকারের ব্যর্থতা হচ্ছে এদের হাত থেকে তারা দেশবাসীকে রক্ষা করতে পারছেনা।

নতুন পে স্কেলর কাজ চলছে। আপনি নিশ্চয়ই বোঝেন যে হুট করে ঘোষণা করলে তা বাজারকে আরো অস্থিতিশীল করবে।

আর বিদেশে লোক প্রেরণের ক্ষেত্রে সরকার কিছু কূটনৈতিক সাফল্য দেখালেও আমাদের অতি লোভের কারনে এবং কিছু আদম বেপারীর দূর্ণীতির ফলে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানো বন্ধ হয়ে গেছে। এ খানে সরকারকে এককভাবে দায়ী করাটা ঠিক নয়। আর মালয়েশিয়া ছাড়া অন্যান্য দেশে লোক পাঠানো কিন্তু থেমে নেই ।
১৩. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২৩
comment by: এখনও গল্প লিখি বলেছেন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার , বাংলাদেশেই প্রথম
সামরিক ব্যাকাপে সিভিল সরকার,বাংলাদেশেই প্রথম
১৪. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মিরাজ,
মোটের এপর একটা ভাল বিশ্লেষণ দাঁড় করানোর কোনো ইচ্ছা আমার আছিল না। আমি কিছু পয়েন্ট বুঝার চেষ্টা করতেছি। বিশ্লেষণ অনেক কঠিন কাজ। আর আপনি বুঝদার মানুষ ও আলেম ব্যক্তি হিসাবে জানেন, বিশেষকে নির্বিশেষ বা জেনারালাইজ না করলে সেইটা বিশ্লেষণ হয় না। ফলে বিশ্লেষণ যেখানে সেখানে জেনারালাইজেশন থাকবেই। ভাবতে হবে, সেখানে প্রক্রিয়াগত কোন দোষ আছে কি না। কোনো ভুল তথ্য হাজির করা হয়েছে কি না।
আপনি আমার যে পয়েন্টগুলার সমালোচনা করেছেন সেগুলা বিষয়ে কিছু প্রশ্নের জবাব চাই আপানার কাছ থেকে।
১. আপনি কি জানেন গ্রেফতারকৃত নেতাদের মধ্যে এর আগে কোনোদিনই জেলে যান নি এরকম কয়জন আছেন? কোন মামলাটি বিষয়ে আপনি কনফিডেন্ট যে মামলাটি কথিত দুর্নীতিবাজকে শাস্তি দেয়ার মতো পোক্ত?
২. রাজনৈতিক সরকারও দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যর্থ হতে পারত এই যুক্তিতে একটি অরাজনৈতিক সরকারকে তার ব্যর্থতা সহ আমরা মেনে নেব?
৩. তেলের দাম কেন বাড়লো তা না হয় বুঝলাম। আপনি কি বলতে পারেন কোন কোন সব্জি ও মরিচ আমরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানী করি, যে সেগুলার দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে? কেন সরকার ক্রেতা অধিকার সংরক্ষণের জন্য আইন করছে না?
৪. ক্রেতাদের সামর্থ্য আর বাজারের গতির তাল মেলানোর অপেক্ষার প্রহর আর কত দীর্ঘ হলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়?
৫. আপনার আদম ব্যবসা সংক্রান্ত মন্তব্য মেনে নিলাম। আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।
১৫. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৯
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: দূর্নীতি দমনকে ফাঁকা আওয়াজ বলে আমার ধারনা সব সময়ই। সিস্টেমে পরিবর্তন না এনে এভাবে দূর্নীতি নির্মুল করা কঠিন। অতীতের সামরিক সরকারগুলোর দূর্নীতি দমন অভিযান (?!) গুলো উদাহরন হিসেবে দেখলে অনেক কিছুই পরিস্কার হবে।ঠিক একই প্রক্রিয়ায়ই সব চলছে। শুধু নাটকের কুশিলভ ভিন্ন।
কনফার্ম,ব্যবসায়ীদের কিছুই হবে না। যেসব ব্যবসায়ীদের ধরা হয়েছে তার রাজনীতিতে গভীর ভাবে যুক্ত। খাদ্য-ভোগ্য পন্যে সিন্ডিকেট ভাঙার কোনো ব্যবস্থা না করেই বিডিআর কে বসানো হয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রনে। বলদ দ্বারা প্রজনন যেমন হয় না তেমন ছাগল দ্বারা হাল চাষ হয় না।
অবশ্য বাজারের খুচরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবস্থা কি হচ্ছে যেটা পত্রিকায় আসছে।
ট্রুথ কমিশন আর সব কমিশনের মতোই নপুংসক হবে বলে ধারনা করছি।
নতুন কর্ম সংস্থান প্রায় বন্ধ। বেসরকারী পর্যায়ে রিক্রুটমেন্টের অবস্থা ভালো না। সব জায়গাতেই কস্ট-কাটিংয়ের নামে ছাঁটাই চলছে। সরকারী পর্যায়েও বন্ধ। অনেক প্রজেক্ট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে ( এর অনেকগুলোই যৌক্তিক ) , এতে অনেক লোক বেকার হয়ে যাচ্ছে।
বিনিয়োগ করতে বিদেশীরা অনেক কিছু যাচাই বাছাই করে, বড় বড় কথায় এরা মুগ্ধ হয় না। তবে এনার্জি সেক্টরে বা অন্য কিছু পরিবেশ অবান্ধব সেক্টরে বিনিয়োগ নামক বস্তু আসার সম্ভাবনা আছে।
নতুন পেস্কেল আসবে তবে দ্রব্যমুল্য সমান হারে বাড়বে, সুফল বয়ে আনবে না। সারা পৃথিবীতেই অর্থনীতির অবস্থা ভালো না এখন, তার প্রভাব পড়ছে দেশে ,আরো পড়বে।
বাংলাদেশের শেয়ারবাজরের কখনই ম্যাচিউরড নয়, এটা কাগজ হাত-বদলের মতোই একটা ব্যপার, ফাক তালে কিছু মানুষের আঙুল ফুলে কলাগাছ হবার অবস্থা হয়।
বিদেশে লোক যাওয়া প্রায় বন্ধ। যারা যাচ্ছেন তারাও নানা বৈষম্যমুলক চুক্তিতে যাচ্ছেন ও সেখানে গিয়ে যেটা থেকেও বনচিত হচ্ছেন। সরকারের ভুমিকা এখানে একটুকুই নেই। অতএব কর্মসংস্থানের আউটসোর্সিংয়ের আশা আপাতত বাদ।
বন্ধু(?) দেশ হতে কিছু ইনভেস্টমেন্ট আসবে, কিন্তু তার প্রায় সবটাই হবে অসম চুক্তির ভিত্তিতে।ম্যানুফেকচারিং খাতে না এসে সেটা সার্ভিস লেভেলে বেশী আসবে। দেশের যা বিনিয়োগ হবে তার অনেকগুন পকেটে পুরবে তারা।
সুশিল নামক ভন্ডদের চরিত্র প্রকাশ হচ্ছে ধীরে ধীরে।
১৬. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এখনও গল্প লিখি,
সেটাই।
১৭. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সুমন,
সহমত। দুর্বল সরকারকে সবার এখন ভাবী ডাকার সময় এসেছে। সাহায্য সামলাতে এই সরকার লেজে গোবর মাখিয়ে ফেলবে বলে আশঙ্কা করা যায়।
১৮. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১০
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: বস্তুত আমি সামরিক ও অনির্বাচিত সরকারের সাফল্য ও বৈধতা নিয়ে সন সময়ই সংশয় প্রকাশ করে এসেছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলোর উদাহরন সামনে আনলে অনেক কিছু পরিস্কার হয়।
১৯. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১২
comment by: মিরাজ বলেছেন: @ মাহবুব মোর্শেদ
১। এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা জেলে গেলেও সেটি ছিল রাজনৈতিক কারনে এবং সেখানে অগৌরবের কিছু ছিলনা। আর এবারের জেলে যাওয়া দেশবাসীর সামনে অপদস্থ হয়ে সম্পদ লুট ও দূর্ণীতির কারনে। আপনি সাংবাদিক মানুষ, এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আপনার না বোঝার কোন কারন নেই।

২। আমি সরকারের ব্যর্থতা মেনে নেয়ার কথা বলছুনা তবে ঢালাও সমালোচনাও যুক্তিযুক্ত মনে করছিনা। আর সম্ভবত: বন্যা রাজনৈতিক সরকারের চেয়ে এ সরকার ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছে (আপনাদেরই মিডিয়া রিপোর্ট)। সিডর মোকাবেলার ক্ষেত্রে মন্তব্যের সময় এখনো আসেনি ।

২। সকল কাচামালেরই একটা পরিবহন খরচ আছে যা তেলের দামের সাথে সম্পৃক্ত। আর অর্থনীতির মতে বাজারে ভোগ্যপন্যের একাংশের মুল্য বৃদ্ধি পেলে তা অপরাংশকেও প্রভাবিত করে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা আছে তা আমি নিজেও স্বীকার করেছি। এ বিষয়ে আমি আরো মাস দুয়েক আগেও একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম । সাধারণ মানুষ সিন্ডিকেটের কথা শুনতে চায়না, তারা যথাসম্ভব ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির দাম দেখতে চায়।

৪। এ ব্যাপারে আর একদিন দেরী করার মত সময়ও নেই। সহ্যের সীমা আগেই পেরিয়ে গেছে।
২০. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
comment by: রিজভী বলেছেন: আপনার প্রাজ্ঞতা পূর্ণ পোস্টে প্রীত হইয়া ৫ দাগাইলাম।
২১. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মিরাজ,
১. শেষ পর্যন্ত দুর্নীতি প্রমাণিত না হলে কিন্তু তাদের জেলের যাওয়ার কারণ রাজনৈতিক বলেই প্রমাণিত হবে।
২.এ বিষয়ে মিডিয়ার এ ছাড়া বিশেষ কিছু বলার নাই।
৩. তেলের দাম কত বাড়ে আর দ্রব্যমূল্য কতটা বাড়ে আর মধ্যসত্ত্বভোগীরা কতটা খায় এর অনুপাতটা জানা দরকার। তাহলে আলোচনায় বিশেষ সুবিধা হতো।
আবারো শেষ পয়েন্টে পুরোপুরি একমত।
২২. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: রিজভী,
থ্যাংকস ফর ৫ বাট নট ফর প্রাজ্ঞতা।
২৩. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: দ্রব্যমুল্যের বৃদ্ধি পাবার বেশ কিছু কারন আছে। উতপাদক হতে শুরু করে ভোক্তার হাতে পৌছুনো পর্যন্ত অনেকগুলো হাত বদল হয় যার প্রতিটি ক্ষেত্রে দাম বাড়তে সাহায্য করে। যে টমাটো ঠাকুরগাঁতে বিক্রয় হয় ৩ টাকা কেজি সেই একই টমাটো ঢাকায় পরের সকালে বিক্রয় হয় ৪/৫ গুন বেশী দামে বা আরো বেশী।
পরিবহন খরচের ব্যপারটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন। তেলের দামের বৃদ্ধি এতে বিশাল প্রভাব ফেলে।
আমাদানী নির্ভর বাংলাদেশে টাকার ক্রমবর্ধমান অবমুল্যায়ন আমদানী করা দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
সিন্ডিকেটেশন একটি প্রাচীন ও নোংরা প্রথা আমাদের দেশে। কোন সরকারই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় নি, এ সরকারও নেয় নি।
২৪. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: চ্যানেল আইতে একটি রিপোর্টে একদিন শাইখ সিরাজ দেখাচ্ছিলেন কিভাবে প্রতি দশ কিলোমিটারে মরিচের দাম দ্বিগুণ হচ্ছে। তেল খরচ যেখানে প্রতি কেজিতে .০০৫ পয়সা সেখাতে কেজিতে দাম বাড়ছে ৫০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই এইখানে কেমনে অ্যাপ্লাই হবে?
@ সুমন।
২৫. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: একটা লক্ষনীয় বিষয়ঃ
জেলে যাওয়া রাজনীতিবিদদ বা অন্যদের মাঝে সামরিক আমলা নেই।
লিস্ট করে যাদের কাছে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে তাদের মাঝে সামরিক আমলা নেই।
দুদকে ৪ জন পরিচালক দেয়া হয়েছে সামরিক বাহিনী থেকে যাদের পদবি মেজর যা বেসামরিক পর্যায়ে একজন সিনিওর সহকারী সচিবের পদমর্যাডার সমতুল্য ( পদটি অবমুল্যায়ন করা হয়েছে )।
শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার প্রতি দুদকের নোটিশ অবৈধ ঘোষনা করেছে উচ্চ আদালত।
যে তোরজোর করে দূর্নীতি দমন শরু হয়েছিলো সেটা বন্ধ এখন , বিশেষ করে জিয়া পরিবারের সদস্যদের !! আপোষ হয়ে গেলে কি হবে সেটা কি আন্দাজ করা যায় ?
বিদেশ হতে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত কতটুকু এসেছে?
মামলা গুলোতে সরকার কি ধরনের প্রমান খাড়া করছে ও কি ধরনের আইনজিবী নিয়োগ করছে !
২৬. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: দেশে উতপাদিত পন্যের ক্ষেত্রে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি ছাড়া অন্য সব ফালতু বলে মনে হয়।
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বা চাষীদের হাতে সঠিক মুল্য না দেয়া তাদের আরো ক্ষতিগ্রস্থ করছে, প্রান্তিক নামে ডাকা হলেও সেটা আসলে আরো করুন।
২৭. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: বিদেশ থেকে টাকা আনার ব্যাপারটা স্রেফ আজগুবি ব্যাপার মনে হলো। এর সাথে চুক্তি করলে টাকা আসবে। ওরে এইটা দিলে টাকা আনতে সাহায্য করে খালি চুক্তি করা। কিন্তু আখেরে টাকা আসবে বলে মনে হয় না।
২৮. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: পাচার করা টাকা ফেরত আনা একমাত্র যে পাচার করেছে যে ছাড়া অন্যভাবে আনা একরকম অসম্ভব। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তা বিনিয়োগ করা হয়েছে বা বেনামে জমা আছে। যাদের টাকা ফেরত আনার কথা বলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও পরিস্কার নয়।
২৯. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: দেশের অন্যতম প্রধানতম সমস্যা হচ্ছে অর্থনীতি। এটাকে ভালো না করে কোনো সমস্যাই দূর করা যাবে না। মানুষের ৩ বেলা পেট পুরে ভাত খাওয়ার সুযোগ ও অন্যান্য বেসিক পুরন না করলে মানুষ কতোদিন চুপ থাকবে সেটা দেখার বিষয়। মানুষ সবার আগে নিজের ও নিজের পরিবারের কথা ভাবে, নিজের পরিবার যখন অর্থ কষ্টে থাকে তখন বাকী সব ফানুস বলেই মনে করে সে।
দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি, জীবন মানের ক্রম অবনয়ন, আয়ের উতসের সংকোচন ও বন্ধ হয়ে যাওয়া, ক্রমাগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি মিলে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে বলে মনে করছি।
৩০. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
comment by: সুমন চৌধুরী বলেছেন: "সিভিল সোসাইটি" কেমনে কি?
৩১. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: সিভিল সোসাইটি হইলো তেনারা যারা বড় বড় কথা বলেন, মুক্তমনের কথা বলেন, বিপ্লবের কথা বলেন কিন্তু বিপ্লবের টাইমে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন, টাকিলা টাইনা কোবতে লেখেন, টাইম মতো শব্দ/কমল সৈনিক হয়া যান, আদর্শের কথা বল্লেও নিজের জীবনে তা প্রয়োগ করেন না এবং সব সরকারের সময় ভালো থাকেন। @ সু. চৌ
৩২. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:২৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সুমন চৌধুরী ভাই,
ক্ষমতা দখলের সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ফারাক আছে। ওনাদের ক্ষমতা দখল করে এনে দিতে হয়। সেইটা চালানোর ক্ষমতা, প্রস্তুতি, দক্ষতাও ওনাদের নাই। তবে বিদেশীদের ভজানোর ক্ষেত্রে ওনারা এখনও কামে আসতেছেন।
মাহবুব সুমন,
থ্যাংকস ফর অল ইওর ডিসকাশন।
৩৩. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:২৪
comment by: ষড়যন্ত্রকারীদের জম বলেছেন: .........ভবিষ্যতের জন্য একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। " সত্যিই কি তাই ?

@মিরাজ

এরশাদের সাজা কি উদাহরণ হয়েছে ? সামরিক শাসকদের দুর্নীতি বিরোধী জিহাদের ব্যর্থতা কি হয়েছ ?

এখনও লোকজন মঈনদের কথায় স্বপ্ন দেখে।

আসলে মানুষ অন্যের জীবন থেকে উদাহরণ নেয় না ।

নিজের জীবনের অতীত থেকেই নেয় না,অন্যের জীবন!!!!!!!!!!!!!!!
৩৪. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৩
comment by: জুবেরী বলেছেন: প্রশ্ন গুলান আরো জোরেসোরে তোলা দরকার ।

সিডরের প্রকৃত ক্ষতি আরাল করা হচ্ছে বলে মনে হয় আপনার মতামত জানা দরকার ।

৩৫. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৫৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: জম,
সহমত।
জুবেরী,
সিডরের ক্ষতি আড়াল করা সম্ভব হবে কাগজে-পত্রে। কিন্তু আকাশে মেঘ জমলে তা সবারই চোখে পড়ে। কত হেলিকপ্টার দিয়ে সেটা ঢাকা সম্ভব?
সরকারের জন্য খুব খারাপ লাগছে। তারা তো আর জানতো না যে এরকম কিছু হতে পারে। এইটা তো তাদের হিসাবেই ছিল না। তাই না?
প্রশ্নগুলো একেবারে স্পেসিফিক তথ্য-উপাত্ত সহকারে তোলা উচিত।
৩৬. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:০৫
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: বড়দের অর্থনীতি হয়ে গেলো। অবশ্য এ ব্যাপারে নীহাররঞ্জন ভালো বলতে পারবেন।
৩৭. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:০৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: নীহার সরকার?
৩৮. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৩০
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: স্যরি, নীহার সরকার।
৩৯. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হ। ব্যাপার না।
৪০. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:১৪
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: কথা হলো, এসব অর্থনীতি ছোটরাই ভালো বুঝে। কারণ অর্থনীতির প্রতিক্রিয়াগুলোর শিকার তারাই আগে হয়। যেমন তেলের দাম বাড়লে ইউরোপিয়ান পিপলদের খুব একটা কিছু আসে যায় না, কিন্তু আমাগো একবেলা খাওন কইম্যা যায়। এইগুলান বড়রা বুঝে না। বড়দের অর্থনীতিতে অনেক চাতুরি থাকে। হিসাব থাকে-সংখ্যা থাকে আর এইসব হিসাব দেখে আমরা বিশ্বাস করি- আমরা ভালো আছি।
৪১. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৫১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: খাঁটি কথা বলছেন।
৪২. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আজকে হুয়া দু কী বলছে দেখেন। বিডিনিউজ থেকে কপি করে দিলাম।

বাংলাদেশ সবচেয়ে সংকটময় সময় পার করছে: হুয়া দু
Mon, Nov 26th, 2007 4:04 pm BdST


ঢাকা, নভেম্বর ২৬ (বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম) - ৩৬ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশ সবচেয়ে সংকটময় সময় অতিবাহিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আবাসিক পরিচালক হুয়া দু।

তিনি বলেছেন, "বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পর এই সময়টা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের জন্য খুব কঠিন।"

বাংলাদেশ বিষয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে হুয়া দু সোমবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এ কথা বলেন।

হুয়া দু জানান, তিনি বাংলাদেশে গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে অবস্থান করছেন, এমনকি তিনি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এদেশের সঙ্গে যুক্ত আছেন। "তবে বাংলাদেশকে এ রকম কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে কখনো দেখিনি, যা চলতি বছর দেশটি মোকাবেলা করতে চলেছে" বলেন তিনি।

তিনি আরো জানান, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থার বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে শস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী ও মাছের খামার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ত্রৈমাসিক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জিডিপি গত অর্থ বছরের তুলনায় চলতি অর্থ বছরে কিছুটা নেমে যেতে পারে। ২০০৭-০৮ এ বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও রপ্তানি কমে যাওয়ায় জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নেমে যেতে পারে। গত অর্থ বছরেও জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ছিল সাড়ে ছয় শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা ও খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকার কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে বলেও মন্তব্য করেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।

বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম/এসআর/এএল/এমএ/১৫৫৬ ঘ.

৪৩. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৫৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: বন্ধু ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের, আমাদের ছাত্রদের জেলে ঢুকিয়ে রেখেছে, এই একটি কারণেই আমি এই সরকারের প্রতি সমর্থন জানাতে পারিনা।
এই পোস্টের সব কমেন্ট পড়ে অন্যান্য সব বিষয়ের একটা ঝালাই হয়ে গেল। কোনো কোনো মানুষকে দেখি ১০০ টাকায় ভোজ্যতেল কিনেও কেমন সুখী সুখী ভাব। তারেক-বাবর-মওদুদকে দেখা লাগেনা। জলপাই রঙ-এ শ্রদ্ধা তাদের ঐতিহাসিক। তাদের মাহবুব মোর্শেদের এই পোস্টটা এবং সচেতন ব্লগারদের কমেন্টগুলো পড়া দরকার।
৪৪. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫১
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: ফাহমিদুল হক, সুখী হওয়ার ক্ষমতা যাদের অসাধারণ, তাদের কাছ থেকে আর কী চাইতে পারেন আপনি? ঈদের সময় ঠেলাধাক্কা খেয়ে, গুতোগুতি করে, পরিবহন ব্যবস্থাকে টোটালি অকেজো বানিয়ে পুরো ঢাকা শহর যাই বাড়িতে ঈদ করতে। গিয়ে যেই আত্মীয়স্বজনের মুখ দেখি, তখনই পথের সব কষ্ট ভুলে যাই। সারাদিন কষ্ট করে বাড়িতে গিয়ে কীভাবে এক মুহূর্তে পথের কষ্ট ভুলা সম্ভব?
আমরা খুব সহজেই ভুলতে পারি বলে আমাদের দিয়ে কিছু হবে কি-না সেটা মাঝে মাঝে ভাবি। কষ্টগুলো মনের রাখলেও না হয় প্রতিকার করার চেষ্টা করা যায়।
-কী বলতে গিয়ে কী বলে ফেললাম!
৪৫. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৫৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
ধন্যবাদ।
অনিশ্চিত,
পরে একটা ভাল অবস্থা আসবে?
৪৬. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৩৬
comment by: আহমেদুর রশীদ বলেছেন: সাধারণ লোকে বলে, যেই লাউ সেই কদু। তবে এই কদুর নিচ দিয়ে যে ছিদ্র আছে সেটা দেখা যাচ্ছে না শুধু মরমে মরমে টের পাওয়া যাচ্ছে।
৪৭. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হ।
৪৮. ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আজকের বিডি নিউজ থেকে কপি পেস্ট :
চাকরির বাজারে 'অতি মহামন্দা' চলছে: আকবর আলি খান
Sun, Dec 9th, 2007 3:19 pm BdST


ঢাকা, ডিসেম্বর ০৯ (বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম)--দেশের চাকরির বাজারে এখন 'অতি মহামন্দা' চলছে বলে মন্তব্য করেছেন রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশন (আরআরসি) এর চেয়ারম্যান আকবর আলি খান।

রোববার রাজধানীর প্রেসক্লাবে 'কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আমাদের করনীয়' শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, "বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন বেকার সমস্যা। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারবো না দেশে এখন প্রকৃত বেকারের সংখ্যা কত। তবে আমার ধারনা দেশে ৩০/৪০ শতাংশ বেকার লোক রয়েছে।"

আকবর আলি খান অভিযোগ করে বলেন, "বেকার সমস্যা নিয়ে সরকারি সংস্থা 'বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো' এক ধরনের পরিহাস করছে। তারা বলেছে দেশে এখন তিন থেকে চার শতাংশ লোক বেকার। ব্যুরোর এই পরিসংখ্যান আমার কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে একবার বেকার লোকের সংখ্যা ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। তখন সেখানকার চাকরির বাজারে মহামন্দা চলছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। আর আমাদের এখানে বছরের পর বছর ৩০/৪০ শতাংশ লোক বেকার থাকে।

"এইম ইন লাইফ" নামে একটি সংগঠন আয়োজিত এ আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, সাবেক পরিচালক এম এ রউফ চৌধুরী, বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, এমচেমের সাবেক সভাপতি আফতাব-উল ইসলাম, এইম ইন লাইফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম সৈয়দ চৌধুরী।

বেকার সমস্যা সমাধানে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান আকবর আলি খান।

তিনি বলেন, কর্মসংস্থান না বাড়ালে দারিদ্র বিমোচনের কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাবেনা। দেশে বেকার লোকের সংখ্যা বেড়ে গেলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় অন্যদিকে সামাজিক সমস্যাও দেখা দেয়।

তিনি বলেন, দেশে যে বেকার সমস্যা আছে তা সরকারের একার পক্ষে দূর করা সম্ভব নয়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন আকবর আলি খান।

বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম/এআরএইচ/আরএ/জিএনএ/১৫০০ ঘ.

৪৯. ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫১
comment by: জামাল ভাস্কর বলেছেন: ষড়যন্ত্রটা যে সিভিল সোসাইটির ধারকগো এই ধারণাটা ঠিক জুইতের লাগলো না। ষড়যন্ত্র তত্ত্বটা যে এইখানে নিহিত আছে সেইটা নিশ্চিত...কে যে করতাছে সেইটা স্পষ্ট হইবো নির্বাচনের আগ দিয়া বা পরেই...তয় আমি তোমার মতোন সিভিল সোসাইটিরে তত্ত্বের প্রণেতা ভাবতে পারলাম না...তাগো গুটিবৎই লাগতাছে এখন পর্যন্ত...
৫০. ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভাস্করদা,
তারা গুটিই। কিন্তু প্রথমে এবং এখনো ভাবটা এমন নিছে যে ক্ষমতা দখল তারাই করছে। ষড়যন্ত্র করছে আন্ডার সেক্রেটারিরাই। আর এরা কাজ করেছে আন্ডার সেক্রেটারি আর মিলিটারির মধ্যে সেতুবন্ধ হিসাবে। সিভিল সোসাইটির সক্রিয় সমর্থন ছাড়া এই সরকারকে সিভিল সরকার হিসেবে অন্তত দেশের বাইরে প্রমাণ করা কঠিন আছে। ফলে, সব মিলায়ে এরা এখন ক্ষমতার অংশীদারও। তবে, সিপিডি, টিআইবি, পিআলো ইত্যাদি মিলে এরা এই রদবদলের আগে এমন একটা ভাব ধরছিল যে এরা দেশ চালানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। দেখা যাচ্ছে সেটা আদতে ভং ছাড়া আর কিছু আছিল না।
৫১. ১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:১৮
comment by: দুরন্ত পিথক বলেছেন: এ সব কথা নিয়া শফিক রেহমান নেড়ী কুত্তার যে সাক্ষাতকার নিসেন সেইটা ভালো লাগসে। দুর্নীতি সবদেশেই কমবেশী হয় কিন্তু দুর্নীতি সবদেশেই কমবেশী হয় । কিন্তু বর্তমান সরকার যে আবালীয় কায়দায় এর থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছিল সেটা সঠিক না। দুই জনরে ধরার জন্য দুইশজনের রুজিতে টান পড়সে।
.....................................................................
আর লক্ষণীয় বিষয় হল এই সরকারকে এখন কেউ ভালো চোখে দেখছেনা। এই যেমন আপনার এই পোস্টে দশটি রেটিংয়ের মধ্যে দশটাই প্লাস। মি: শফিক রেহমান ঠিকই বলসেন। এখন প্রয়োজন -৩ ফর্মুলা।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২১

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫২. ১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২১
comment by: দুরন্ত পিথক বলেছেন: ক্ষমতায় থাকা তিন আহমেদের মাইনাস চাই।

একটি ব্লগীয় রাউন্ড টেবিল আলোচনার প্রস্তাব

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৬
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

সামহোয়ার চালুর প্রায় দুই বছর হতে চললো। ২০০৫ এর ডিসেম্বরে সাইটটি চালু হয়েছিল। এই দীর্ঘ সময়ে এখানে নানা ধরনের ব্লগার নানান রকম ব্লগিং করেছেন। সাহিত্য চর্চার জন্যও অনেকে নতুন এই মাধ্যমটিকে বেছে নিয়েছেন। প্রিন্ট মিডিয়ায় পরিচিত লেখকদের পাশাপাশি এমন অনেককে দেখা গেছে যারা শুধু ব্লগেই সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রেখেছেন। ব্লগারদের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছেন। সামহোয়ারে অন্য ব্লগারদের পাশাপাশি সাহিত্যিক ব্লগাররা সমভাবে অংশ নিয়েছেন। আবার এরই মধ্যে অনলাইন রাইটার্স ফোরাম হিসেবে সাহিত্যিকদের জন্য আলাদা সাইট হিসেবে সচলায়তন তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি আছে সাহিত্যিক-শিল্পীদের যোগাযোগ ও ভাব বিনিময়ের জন্য নানা অনলাইন ভিত্তিক গ্রুপ। ইয়াহু বা গুগল গ্রুপ এর উদাহরণ। আবার অনেকেই আছেন যারা এই ব্লগগুলো আসার আগে থেকেই ইউনিকোড ব্যবহার করে বাংলায় ব্লগিং করছেন। কেউ কেউ ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য চর্চার জন্য ব্লগকে বেছে নিয়েছেন। সাহিত্যে সর্বশেষ অনলাইন সংযোজন বিডিনিউজের আর্টস পাতা। সব মিলিয়ে আমাদের আলোচনার প্রস্তাবিত বিষয় :
সাহিত্য চর্চার নতুন মাধ্যম হিসেবে ব্লগ ও অন্যান্য অনলাইন টুল।
এখানকার সাহিত্যের ধারা, বৈশিষ্ট্য, সাহিত্যিকদের প্রবণতা, সফলতা, দুর্বলতা নিয়ে খোলামনে আলোচনা করুন। কাউকে আক্রমণ করবেন না। এই আলোচনাটি আমি যায়যায়দিনের আর্ট অ্যান্ড কালচার পাতায় ছাপতে চাই।
সবাই আমন্ত্রিত। আলোচনাটি সফল করার জন্য বিশেষ কয়েকজনকে নাম ধরে ডেকে আলোচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রস্তাবতি নাম উঠিয়ে নিলাম। সবাই খোলা মনে আলোচনা করুন। আজকের মধ্যে হলে ভাল হয়।



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।



* ৫৯ টি মন্তব্য
* ৮৯৩ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১২ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28747722 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪১
comment by: ফ্লোরা ফেরদৌসী বলেছেন: ফাটাফাটি আইডিয়া।
২. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৩
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফ্লোরা,
আইডিয়া ভাল বুঝলাম। কিন্তু বিষয়টা নিয়া বিস্তারিত বলো।
৩. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৩
comment by: আরশান খান বলেছেন: কি ধরনের মতামত দিলে আপনি খুশি হবেন মোর্শেদ ভাই ???
৪. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আরশান খান,
ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও তথ্য-উপাত্ত মূলক। দুই এক লাইনে না হলেই ভাল হয়।
৫. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫১
comment by: ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন: মোর্শেদ ভাই
সুন্দর আইডিয়া।
৬. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫২
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভাস্কর ভাই,
আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত মন্তব্য আশা করছি। সময় করে লিখবেন আশা করি।
৭. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৬
comment by: ফ্লোরা ফেরদৌসী বলেছেন: আমি সাহিত্য বুঝি না, তবে "সাহিত্য চর্চার নতুন মাধ্যম হিসেবে ব্লগ ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যম" শিরোনাম ব্যবহার করে এভাবে অন্যের মতামত নেয়ার আইডিয়াটা ফাটাফাটি লাগলো। অনেকে অনেক সহজ কাজে অনেক সময় এবং এফোর্ড দেয়,আবার অনেকে সহজেই সে কাজটা তুলে আনে।এই যে কাজের জন্য আধুনিক ও সমসাময়িক অবস্থাকে ঠিক সময়ে নিবার্চন করলা তাই এভাবে বলা
৮. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৬
comment by: মুকুল বলেছেন: ধন্যবাদ। সত্যি বলতে কি, লেখার এত যে বৈচিত্র্য এটা এই ব্লগে না আসলে বুঝতাম না। পত্রিকায় সম্পাদকের পছন্দ অপছন্দের ওপর নির্ভর করে লেখাটা প্রকাশ পাবে কি না। কিন্তু এটা উন্মু্ক্ত মাধ্যম হওয়াতে আমাদের মত সাধারণ মানুষও যাই লিখি না কেন, (ভালো কিম্বা দূর্বল) প্রকাশ করতে পারছি। পাঠকরা তাদের মতামত দিতে পারছে। এটা অন্যরকমের একটা ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি করে। যারা আগ থেকেই লেখালেখি করে বিখ্যাত, যাদের সাথে হয়তো জীবনে কখনো আলাপচারিতার সম্ভাবনাও ছিলো না, এই ব্লগের সুবাদে তাদের সাথে সরাসির যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। এটা একটা বড় পাওয়া। আমাদের মত প্রান্তিক মানুষের জন্য এটা অবশ্যই একটা বড় পাওনা।
৯. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: কেউ তো দেখি আলোচনা করে না, মন্তব্য করে সবাই। তাই ভাবলাম কয়জনরে নাম ধরে ডাকি। এখন তো দেখি নাম ধরে ডাকাটাই আলোচনার বিষয়বস্তু হতে চললো। নাম ধরে ডাকা স্রেফ নাম ধরে ডাকাই ইচ্ছা মতো যে কেউ আলোচনা করতে পারেন।
১০. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মুকুল,
কো-ব্লগারদের সাহিত্য চর্চাকে আপনি কিভাবে দেখছেন? এখানে কি যথেষ্ট ও এক্সপেক্টেড রিডারশিপ আছে?
১১. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:২১
comment by: মুকুল বলেছেন: ব্লগার বেড়ে যাওয়াতে পোস্টের পরিমান বেড়ে গেছে। এতে প্রতি পোস্টে পাঠক কম সময় দিতে পারছে। যে কারনে গুরুত্বপূর্ণ পোস্টও হয়তো পাঠক পাচ্ছে না।

এখানে অনেক বিখ্যাত লেখক আছেন। তারা মনে হয় সাধারণ লেখকদের লেখা খুব একটা পড়েন না। কিম্বা পড়লেও খুব একটা মন্তব্য করেন না। তাঁরা যদি নতুন লেখকদের লেখাগুলোর উপর আলোচনা করতো তাহলে হয়তো নতুনরা তাদেল ভুলগুলো শুধরে নিতে পারতো।

আরেকটা উপদ্রব তৈরি হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীদের আস্ফালন। তাদের কারনে সৃষ্টিশীল অনেক ব্লগারকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ঘায়েল করার জন্য অনেক মূল্যবান মেধা শ্রম ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে করে তাদের সৃষ্টিশীল পোস্ট থেকেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। অনেক সময়েই অনাকাংখিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
১২. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:০৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: থ্যাংকস মুকুল।
১৩. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:০৭
comment by: সুবিনয় মুস্তফি বলেছেন: এ ব্লগে আমি নুতন। তবে বেশ কিছুদিন ধরে ব্লগারদের লেখা পড়ছি। লেখা পড়ার অনুপ্রেরণা থেকেই মুখ্যত এখানে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ জন্মেছে। ব্লগার হিসেবে এখানে অংশগ্রহণ করার শুরু থেকে আমার ভাবনায় সাহিত্যচর্চার মাধ্যম হিসেবে ব্লগের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনার একটা তাগিদ তৈরি হয়েছিল। অনুধাবন করার চেষ্টা করছিলাম, এখানকার সাহিত্যচর্চা ও সাহিত্যিকদের চিন্তার ধারা কেমন ও কোন গতিপথে আবর্তিত হচ্ছে। সন্দেহ করার কোনো অবকাশই নেই যে, ব্লগে যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের অধিকাংশই মিডিওকার বা বিলোমিডিওকার। এ মানের ব্লগাররা সবসময় এক ধরনের গিমিক বা আত্মপ্রচারের আবহ তৈরি করে রাখেন। নানা ইস্যু তৈরি করে দল, উপদল গড়ে নিজেদের জন্য যেন তেন একটা প্রচার গড়ে তোলার জন্য ঘাম ঝরান। ব্লগে সবচেয়ে বেশি যা চোখে পড়ে তা হলো মিডিওকারদের গিমিক। মিডিওকারদের বৈশিষ্ট্য হলো তারা দিনানুদিনের অন্য পাঠ অভ্যাসের মতো ব্লগে এসেও তেমন কিছু পড়েন না। নিজেকে জানান দিয়ে চলে যান। মিডিওকারদের চিৎকারে কালেভদ্রে ভাল কোনো সাহিত্যিকের দেখা মিললেও তার পাতে তেমন কিছু পড়বে না এ নিশ্চয় করে বলা যায়।
তারপরও কিছু পুরনো ও ভাল লেখক এবং কিছু নতুন ও সম্ভবনাময় কবি-লেখকের সাক্ষাত মিলছে। সংখ্যায় তারা হয়তো শতে একজন। কিন্তু তাদের উপস্থিতি আমার বিবেচনায় ব্লগকে মহিমান্বিত করছে। ব্লগ মাধ্যম হিসেবে নতুন বৈকি। এর মাধ্যমে একপাক্ষিক যোগাযোগের বদলে দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক যোগাযোগও সম্ভব বটে। কিন্তু সেলিব্রেটি লেখকের জন্য এ খুব সুখের পরিস্থিতি নয়। খ্যাতিমান একজন কবি কিংবা লেখক কেন সময় ও শ্রম ব্যয় করে সাধারণের কাতারে নেমে আসবেন যেখানে পাশ্ববর্তী ব্লগাররা তাকে যা ইচ্ছা বলতে পারেন। চাই কি গালিও দিতে পারেন। তবে এটা নিশ্চয় সত্য যে, ব্লগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক পাঠক গোষ্ঠী প্রস্তুত হচ্ছে। যে তরুণ ও অনতিতরুণরা স্রেফ আড্ডাঘরে বৃথা বাক্য ব্যয় করে সময় কাটাতেন। তাদের কেউ কেউ এখানে এসে বাংলা লেখার কোশেশ করছেন। নতুন ও প্রতিভাবান কারও মনে হয়তো লেখক হওয়ার প্রতীতীও এভাবে জন্মাতে পারে। বাংলা লেখার অভ্যাসটা তো বজায় থাকছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। এ বা কম কিসে?
ব্লগে সাহিত্য চর্চা হচ্ছে, জঙ্গলে বানর কি হরিণ ছানার যদৃচ্ছা বেড়ে ওঠার মতো। সাহিত্য পদবাচ্য হতে হলে যে প্রস্তুতি প্রয়োজন, যে অধ্যবসায় ও চর্চা প্রয়োজন তার কোনোটাই এই ছানাপোনাদের মধ্যে নেই। সম্ভাবনাময় ব্লগারদের উৎসাহ দেয়ার জন্য সাহিত্যিক ব্লগারদের এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা অন্তত এটুকু বলুন কী পড়তে হবে, লেখালেখি শেখার উপায় কী, ব্যকরণ, বাক্যগঠন, বানান কোথায় শেখা সম্ভব। ভাল কিছু লেখকের নাম বলুন, ভাল কিছু বইয়ের নাম বলুন। নইলে পুরোটাই গিমিকের স্রোতে ভেসে যেতে চললো।
১৪. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:১৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সুবিনয় মুস্তফি,
থ্যাংকস এ লট। লেখকদের লেখার পাশাপাশি এখন কি গরুগিরিও শুরু করার প্রস্তাব দিচ্ছেন নাকি আপনি?
১৫. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩০
comment by: কেএসআমীন বলেছেন: ব্লগে সাহিত্য চর্চা হচ্ছে, জঙ্গলে বানর কি হরিণ ছানার যদৃচ্ছা বেড়ে ওঠার মতো। সাহিত্য পদবাচ্য হতে হলে যে প্রস্তুতি প্রয়োজন, যে অধ্যবসায় ও চর্চা প্রয়োজন তার কোনোটাই এই ছানাপোনাদের মধ্যে নেই। ----- যথার্থই মুস্তফি ভাই বলেছেন।
ব্লগ কেবল সাহিত্যিকদের পদচারণার স্থান নয়। যেকোন সৃষ্টিশীল ও কম্পিউটার লিটারেট মানুষ এখানে আসতে পারেন.....
তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারেন, সমাজের নানা অসংগতি, অসামঞ্জস্য, সমস্যা, সম্ভাবনা অতি সহজে আঙুলের কিছু ক্লিকের মাধ্যমে তাত্তখনিক ভাবে সেন্সর ছাড়াই ব্লগে প্রকাশ করতে পারেন...
১৬. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩২
comment by: কেএসআমীন বলেছেন: ব্লগকে এক্সিলারেটেড লিটারেচার বলা যেতে পারে। বিশুদ্ধ সাহিত্য এখানে ১০% থেকে ১৫% জায়গা দখল করে রাখতে পারে...
১৭. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩৪
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ কে এস আমীন।
১৮. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: কে এস আমীন,
বাকী সব বিষয়ে আপনার মত কী? বিশেষ করে রিডারশিপ বিষয়ে?
১৯. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:২১
comment by: জামাল ভাস্কর বলেছেন: সুবিনয় মুস্তফির আলোচনা ধইরা আগাইতে হইলে আসলে আমার একটু সমস্যাই বোধ হইতেছে...তিনি অনেক পরিমাপক দিলেন এই অঞ্চলের লেখকগো লইয়া...মিডিওক্রিসি ঠিক করলেন...মিডিওকারগো গিমিক বইলা কোন একটা কিছুরে অভীধা দিলেন...ভালো লেখা আর খারাপ লেখা বিষয়ে জাজমেন্ট দিলেন...সেলিব্রিটি লেখকগো সীমাবদ্ধ প্রচারণার কথা কইলেন...সবশেষে ব্লগীয় লেখকগো বান্দরও কইলেন...যাগো মাস্টারীতে ডাক দিলেন মা.মোগো মতোন শিক্ষিত সাহিত্যিকগো...আমার কাছে এতো সরলীকৃত বিষয় মনে হয় নাই মাহবুব মের্শেদের এই প্রস্তাবনা। ব্লগ আর অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমগুলিরে সাহিত্য চর্চার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করা যাইবো কিনা তার একটা আর্কেটাইপ ভাবনের চেষ্টা'ই মনে হইলো আমার এই প্রস্তাবনারে...সেই হিসাবে এইখানে ভালো লেখকেরা কেরম আছেন মন্দ লেখকেরা কি লিখেন সেই বিবেচনা অনেক পরের চিন্তা...লেখার উন্মুক্ত পরিসর আর তার লগে ইন্টার
২০. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৫২
comment by: মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: "ব্লগার বেড়ে যাওয়াতে পোস্টের পরিমান বেড়ে গেছে। এতে প্রতি পোস্টে পাঠক কম সময় দিতে পারছে। যে কারনে গুরুত্বপূর্ণ পোস্টও হয়তো পাঠক পাচ্ছে না"- কিছুটা একমত।
অনেকের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটি ঘটছে। তবে সময়ের অভাবে অনেকেই নিজেদের প্রিয় ব্লগারদের পোস্ট পড়ছে শুধু।
সাহিত্য চর্চার মাধ্যম হিসেবে ব্লগ এখন অনেক জনপ্রিয়। ব্লগের প্রকাশিত লেখাগুলো যতই ভাল হোক না কেন, এখানে স্বীকৃতি'র একটি সমস্যা রয়েছে।যেমন: বিহংগ বা নির্বাসিত, দু'জনের লেখা গল্প বা স্মৃতিকথাগুলো যেকোন ভাল জায়গায় ছাপা হওয়ার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু তারা তা না ছাপিয়ে ব্লগে দিচ্ছেন। এটি কিন্তু তারা তাদের বায়োগ্রাফিতে লিখতে পারবেন না,কিন্তু বিডিনিউজ২৪ এর মত কোথাও প্রকাশিত হলে কিন্তু লেখা যেত। এটি একটি ব্যাপার।
অন্যভাবে দেখলে আবার বলতে হয় যে, অনেক লেখাই হয়ত ছাপানো হত না, কিন্তু ব্লগের বদৌলতে আমরা সেগুলো পড়তে পারছি।
তবে ব্লগে সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে নিজের একটি স্বাধীনতা রয়েছে। ব্লগেই জন্ম দিচ্ছে অনেক ভাল লেখকের। কিন্তু যেভাবে লেখকের জন্ম হচ্ছে সেভাবে ভাল পাঠক দেখা যাচ্ছে না। ব্লগে যেকোন লেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দল একটি বড় ব্যাপার। ভার্চুয়াল দলাদলি,লিংগ বিশেষে বৈষম্যতা'র কারনে অনেক ভাল লেখাই জনপ্রিয় হচ্ছে না।ব্লগের লেখক সমাজ যতটা পরিপক্ক, পাঠক সমাজ ততটা নন। আর যেকোন লেখার গঠনমূলক মন্তব্য/আলোচনা/সমালোচনা-খুব কম হচ্ছে।
আর ইন্টারনেট আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঢুকে গেছে। সাহিত্য এর থেকে বাদ যাবে কেন? বরং অনলাইন মাধ্যমের যে কোন কিছু আপনি নিজের কাছে খুব সহজেই রাখতে পারছেন, এটিও একটি পজেটিভ দিক।
২১. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:২৯
comment by: কাল্‌বেলা বলেছেন: আলোচনার বিষয়বস্তু খুবই লোভনীয়। তাই আলোচনাকারীদের আপাতঃ লিস্ট অনুযায়ী অযাচিত হয়েও দু-একটি কথা বলছি।
প্রথমেই দৃষ্টি দেই- "ব্লগ" ধারনাটি যখন প্রথম ইন্টারনেট জগতে আসে তখন এটির রুপ কেমন ছিল সেদিকে।
আমার যতদুর মনে পড়ে এটি ছিল অনলাইনে অতিব নিজস্ব একটি জায়গা বা একাউন্ট যেখানে, যেকোন ব্যাক্তি নিজের ইচ্ছা
মত করে যেকোন কিছু, লিখিত আকারে সংরক্ষন করতে পারতেন এবং কে কে তার লেখাগুলো পড়বে বা পড়বে না কিংবা সবার জন্যই
উন্মুক্ত থাকবে কিনা সেটা নির্ধারন করে দিতেন। সেখানে সাহিত্য বিষয়ক লেখা-লেখিই যে থাকতে হবে বা তার লেখা যে খুব মান সম্পন্ন
হতে হবে এমন কোন প্রচেষ্টা বোধহয় তারা করে ফিরত না। কোন ব্যাপারে নিজের মত, ভাবনা এমনকি নিজের ডায়রিও ব্লগের উপাত্ত
হতে পারত।
সামহোয়ার ইনের ব্যাপারে যেটা ঘটছে সেটা এই ধারনা থেকে বোধহয় একটু ভিন্ন-ই বলতে হবে। এখানে যা কিছু
প্রকাশিত হচ্ছে বা ব্লগার রা করছেন তার সবটাই প্রথম থেকেই উন্মুক্ত- সবার জন্য। এখানে কে পড়বে কে পড়বে না এটা নির্ধারন
করার একটা সিস্টেম যদিও আছে তবে সেটা মনেহয় নেগেটিভলি ইউজ করার জন্যই রাখা। এখানে সবার জন্য উন্মুক্ত করাতেই আনন্দ।

যাই হোক এখানে যে ভাবে লেখা গুলো প্রকাশিত হচ্ছে বা ব্লগার রা ব্লগিং করছেন এই স্টাইলটাও খারাপ না,
বরং ভালই বলতে হবে। তবে এই ভিন্ন স্টাইলটার অন্য একটি ভিন্ন নামকরন হলে বোধহয় ভালো হত। তাতে লেখকের কাছে পাঠকদের
প্রত্যাশাটুকু নিয়ন্ত্রিত হত বলে আমার ধারনা। আর একটু সহজ করে বললে বলতে হয় যে, অনেকেই এখানে এসে বোধহয় ব্লগিং এবং
সাহিত্যচর্চা তদসংগে সাংবাদিকতা, কলাম, এবং কোন কোন ক্ষেত্রে দৈনিকপত্রিকাসুলভ ব্যাপারগুলো গুলিয়ে ফেলছেন।
উদাহরন স্বরুপ যিনি ব্লগিং করতে এসেছেন তিনি কিন্তু তার লেখার সাহিত্যগুন বিচার না করেই যা মনে এসেছে পটাপট লিখে
পোস্ট করে দেন। তিনি তার লেখার সাহিত্যগুন বা মান নিয়ে কদাচিৎই চিন্তিত থাকেন। অপরদিকে যিনি সাহিত্যের জন্যই আসেন
তিনি হয়তবা সেই লেখা পড়ে খানিকটা বরক্তও হতে পারেন, তার মান ভাল নয় ভেবে। ঠিক এভাবে সাংবাদিক, কলামিস্ট তাদের
যার যার দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা পোস্ট করেন এবং আশাকরেন যে সকলেই তার লেখাটা পড়ুক, তার মত করে ভাবুক এবং যথাসম্ভব
মন্তব্য করুক। তাই বলছিলাম, যে এখানে সনাতন ব্লগিং এর ধারাটা বোধহয় নেই বরং এটি 'আধুনিক ব্লগিং'
বলে পরিচিতি পেতে পারে যেখানে নিজের কথাগুলো তো নিজের একাউন্টে জমা থাকলই উপরন্তু জানা/অজানা, জ্ঞানী-গুনী কতজনের
কত অমুল্য মন্তব্যও পাওয়া গেল।
সনাতন ব্লগিং-এ আছে কেবল চেনা গন্ডির ভিতর জানানোর বা ভাগাভাগির আনন্দ আর সাঃইনের ব্লগিং এ আছে
সারা বিশ্বের সমভাষীদের কাছে 'কেমন হয়েছে বা কেমন লাগল' জানার আকাঙ্ক্ষা। আশাকরি সনাতন ব্লগিং এবং সাঃইনের আধুনিক ব্লগিং
(একান্ত আমার দেয়া নাম)এর পার্থক্যটা পরিষ্কার।

যদি পরিষ্কার হয়েই থাকে তাহলে বোধহয় সাঃইনে লেখার মান নিয়ে কাউকেই মূলতঃ দোষারোপ করা যায় না। অন্ততঃপক্ষে
যতদিন না এটা সনাতন ব্লগিং থেকে আলাদ কোন নাম বা প্লাটফরম নিয়ে আত্নপ্রকাশ না করে।

২২. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:৪১
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: ব্লগের সবচেয়ে বড়ো দিক হলো এর ইন্টারএকটিভ বা মিথস্ক্রিয়ামূলক প্রকৃতি। আগ্রহী ব্লগারদের সম্মিলিত আলোচনায় একটি ইস্যু পূর্ণাঙ্গ চেহারা পেতে পারে। এযেন নিরন্তর গোলটেবিল বৈঠক হয়ে চলেছে, কোনো ইভেন্ট-ম্যানেজার ছাড়াই।

পরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যেকউ এখানে লেখক হতে পারেন। প্রথাগত মুদ্রণ-মাধ্যমে একাধিক গেট-কিপার বসে থাকেন, হয় আপনাকে ঢুকতে দেয়া হবে না, নয়তো কাঁচিয়ে চালিয়ে লেখার মেদ-মজ্জা স্লিম করা হবে। মতপ্রকাশের এই যে আলটিমেট স্বাধীনতা, এটার জন্যই মানুষ বেঁচে থাকতে চায়। পদে পদে শৃঙ্খলিত মানুষ যদি এক জায়গাতেও স্বাধীনতা পায়, কম কী? ব্লগের মাধ্যমে নতুন অনেক লেখককে পাচ্ছি, যারা সনাতন মাধ্যমে লেখা প্রকাশের ব্যাপারে মোটেও ভাবিত না।

আবার সনাতন মাধ্যমের অনেক প্রতিষ্ঠিত লেখক ব্লগের বিশাল ভূবনের পাঠকের সঙ্গে তার লেখাকে শেয়ার করার জন্য নিজেই ব্লগাররূপে আবির্ভূত হচ্ছেন।

জরুরি অবস্থায় যখন অনেক জরুরি কথা বলা যায়না, তখন ব্লগ সেই ব্যবস্থা করে দেয়। এখানে সেন্সর হবার, গ্রেফতার হবার, আইনী মারপ্যাঁচে পড়বার ভয় নেই। ছদ্মনাম বা নিক ব্লগারকে এসব থেকে বাঁচিয়ে দেয়।

তবে এই আলটিমেট স্বাধীনতা অনেক অনাচারের জন্ম দেবে সেটা অনুমেয়। নিকের আড়ালে দলাদলি, গালাগালি, টপ-রেটেড হবার ইঁদুর-দৌড় এসব আছে, বিরক্তিকর মাত্রায় আছে। এই মাত্রা মাঝে মাঝে ব্লগের মূল উদ্দেশ্যকে ছাপিয়ে ওঠে, হতাশ হয়ে অনেক 'ভদ্রলোক' এই অভয়ারণ্য ছাড়তে বাধ্য হন।

এসব কুলক্ষণ এড়াতে পারলে ভবিষ্যতের বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞানের গতি, এক্টিভিজম ব্লগকে ঘিরে বেড়ে উঠবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
২৩. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:৫২
comment by: মামু বলেছেন: মুকুল @ ( আরেকটা উপদ্রব তৈরি হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীদের আস্ফালন। তাদের কারনে সৃষ্টিশীল অনেক ব্লগারকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ঘায়েল করার জন্য অনেক মূল্যবান মেধা শ্রম ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে করে তাদের সৃষ্টিশীল পোস্ট থেকেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। অনেক সময়েই অনাকাংখিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। )


যাক বুঝলেন, কিন্তু পালন করেন না।
২৪. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১:৪১
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: ২-১টা কথা বলার অনুমতি পাবো কিনা বুঝতে পারছি না,সবার জন্য কি উন্মুক্ত ?
২৫. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:০১
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: মাত্র দেখলাম, শুরু করবো।
২৬. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৩
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফারহান দাউদ,
সবার জন্য উন্মুক্ত। আপনার নাম তুলতে ভুলে গেছিলাম। প্লিজ আলোচনা শুরু করুন।
মাহবুব সুমন,
তাড়াতাড়ি করেন। এই সংখ্যায় ধরাই।
২৭. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৪
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভাস্করদা,
সুবিনয় মুস্তফির আলোচনার রিঅ্যাকশনই শুধু পাইলাম। আপনার মূল্যায়ন কী?
২৮. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৭
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মোস্তফা মনির সৌরভ, কালবেলা ও ফাহমিদ ভাই,
আপনাদের দরকারি ও বিস্তারিত আলোচনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
২৯. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৫৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আলোচনার সঙ্গে আলোচকের ছবি দেয়ার প্রস্তাব করছি। এ বিষয়ে আপনাদের মত চাই। অনেকের ছবি দিতে আপত্তি থাকতে পারে।
৩০. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:০৮
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: সাহিত্যের ধারা হিসেবে ব্লগ বা অনলাইন বাংলাদেশে তুলনামুলকভাবে নতুন হলেও অন্যান্য দেশে বিশেষ করে ইউরোপে ব্লগ একটি প্রতিষ্ঠিত ধারা। অনেক প্রতিস্ঠিত লেখকের নিজস্ব ওয়েব সাইট এবং ব্লগ আছে যার মাধ্যমে তারা পাঠকের সাথে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন, লেখার মুল্যায়ন গ্রহন করেন, ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রতিস্ঠা করেন। এটা আমাদের দেশে অনুপস্থিত। তবে নতুন প্রজন্মের লেখকরা অবশ্য বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে লিখছেন, যার মাঝে রয়েছে ওয়ব ম্যাগাজিন, অনলাইন ফোরাম, ওয়েব সাইট ও ব্লগ।
ব্লগের কথা বল্লে বলা যায় এখানে যারা লেখেন তাদের বেশীর ভাগই অপেশাদার ও শখের লেখক। তথাকথিত প্রতিস্ঠিত লেখকদের অবশ্য ব্লগে বা অনলাইনে খুব একটা পাওয়া যায় না।
এসব শখের ও অপেশাদার লেখকরা সাহিত্যের সব ধারাতেই দাগ কাটার চেষ্টা করেন।ভতে পারে সেটা কবিতা বা উপন্যাস ! মাঝে মাঝেই সেটাই প্রতিস্ঠিত লেখকদের চাইতেও ভালো হয়ে যায়!

শখের এসব লেখকরা সনাতন পন্থা যেমন পত্রিকার সাহিত্যের পাতায় লেখার সুযোগ না পাওয়া অথবা পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত হতে বিনা বাধায় তাদের লেখা প্রকাশের সুযোগ পাওয়ায় ব্লগ বা অন্য অনলাইন মাধ্যমকে লুফে নেন।
সামহোয়্যার ইনের মতো ব্লগের বড় সুবিধে হলো লেখক ও পাঠকের মাঝে মিথস্ক্রিয়া। লেখক ব্লগে পোস্ট করার সাথে সাথে পাঠক পড়তে পারছে ও তার মতামত জানাতে পারছে যা সনাতন পন্থায় একেবারেই অসম্ভব। এতে শখের লেখকরা তাদের ভুলত্রুটি ধরতে পারছে ও লেখার মানের পরিবর্তন বা উন্নতি করতে পারছে। ব্লগ সংস্কৃতির প্রসারে বর্তমানে এক লেখক ও পাঠকের এক নতুন ধারা তৈরি হচ্ছে ও এর প্রসার প্রতিনিয়তই বাড়ছে।
শখের লেখকদের ব্লগ থেকে বইও বের হচ্ছে। গত বইমেলায় আলি মাহমেদের "শুভর ব্লগিং " এবং সামহোয়্যারইন ব্লগারদের লেখা " অপরবাস্তব " এর উদাহরন। আশা করা যায় এবারের বইমেলায় আরো বই আসবে। এ ছাড়া শুরু হয়েছে ই-বুক নামের নতুন কিন্তু প্রতিস্ঠিত ধারা। সচলায়তন নামের ব্লগ সাইট থেকে বের হওয়া " আমার ছেলে বেলা " ই-বুক এর একটি সুন্দর ‌উদাহরন। এভাবেই ব্লগ বা অনলাইন থেকে অন্য একধারার লেখক বের হতে যাচ্ছে। মুক্তমনার কথা বলা যায়; পত্রিকা বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যা বলা সম্ভব হয় না সেটাই তার আলোচনা করতে পারছে তাদের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে।
বিডিনিউজ২৪ এর আর্টস এ অনেক লেখক আছেন যারা মুল ধারায় সক্রিয়। তবে অনলাইনের তারা লিখছেন ও এর মাধ্যমে তারা হাজারো পাঠকের মাঝে তাদের লেখা ছড়িয়ে দিতে পারছেন খুব সহজেই যা সনাতন পন্থায় সহজ নয় অনেকের পক্ষেই।
অনলাইন বা ব্লগের কিছু দূর্বলতা আছে। এতে যার যা ইচ্ছে লিখতে পারে কোনরকম বাধা ছাড়াই। তবে নির্মল বাতাস যেমন দূর্গন্ধময় বাটাস কে উড়িয়ে দেয় তেমনি ভালো লেখাও বাজে লেখাকে তাড়িয়ে দেয়।
সামহোয়্যারইন বা অন্য সব ব্লগসাইটে লেখক-পাঠকের মিথস্ক্রিয়ায় অনেক সময় গালাগালী বা ব্যক্তিগত আক্রমন আসতে পারে তবে মন্তব্য নিয়ন্ত্রনে লেখকের ক্ষমতা থাকায় সেটা এড়ানো সম্ভব। অনলাইনের প্রতিটি ধারাই তৈরি করা যায় মানুষের জীবনের সাথে মিল রেখে। ব্লগেও সেই ছাপ পরে। মানুষের হাসি কান্নায় মেশানো জীবনের ছাপ পড়ে ব্লগে।
পেশাদার ও প্রতিস্ঠিত লেখকরা এ ধারার প্রতি অনেকটুকুই উন্নাসিক। তবে এ উন্নাসিকতা একসময় ভালোবাসায় রুপ নিবে বলে আশা করছি যখন তারাও বাধ্য হবে অনলাইনে লিখতে, কারন একসময় এ ধারাই হবে মুল ধারা।
৩১. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:১৯
comment by: নাজিরুল হক বলেছেন: প্রস্তাবনার সপক্ষে আছি।
৩২. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:২১
comment by: মনিটর বলেছেন: ব্লগ সাহিত্য ব্যাপারটি সাহিত্যের কোন পর্যায়ে থাকবে তা বলার সময় এখনো আসেনি। দৈনন্দিন জীবনের বাইরে সমকালীন ইস্যু আলোচনায় এসে পারস্পরিক আলোচনার-বিতর্কের সুযোগটাই এখনো পর্যন্ত বলার মতো একটি ব্যাপার। ব্লগে যারা গল্প কবিতা নিবন্ধ লিখেন, তারা প্রায়ই বলেন পাঠকের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন হয়। এ জায়গাটি আমার কাছে খুব ধোঁয়াশা মনে হয়। এখানে আসল মন্তব্যের চেয়ে 'ভালো লেগেছে ৫ দিলাম' টাইপ কমেন্টই বেশি। গ্রুপ-সাব গ্রুপের প্রভাবও মারাত্মক। সম্পাদকের কাঁচির শংকা না থাকায় নূতন লিখিয়েরা সানন্দে লিখে যাচ্ছে, তবে মান নির্ধারনে খুব বেশী উত্তীর্ন বোধ হয় হতে পারছে না। মূলধারার লেখক যারা ব্লগে আছেন তারা সেভাবে নূতনদের মার্জিনে মন্তব্য দিতে চান না, আগ্রহ পান না কিংবা পারেন না। বরং এসব প্রতিষ্ঠিতরাই বইমেলা উপলক্ষে নিজের বইয়ের বিজ্ঞাপনটা ব্লগে সেরে ফেলেন কৌশলে।
সর্বোপরি, ব্লগে সাহিত্যচর্চা খুব বেশি হলে হাত মকশো করার একটা মাধ্যম হতে পারে, এর বেশী কিছু হওয়ার সম্ভবনা আমি দেখছি না। ব্লগ থেকে নূতন লেখক বেরিয়ে আসার সম্ভবনা আপাতত: নেই।
৩৩. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:২৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মাহবুব সুমন,
অনেক ধন্যবাদ। ছবির ব্যাপারে কী বলেন। যারা ছবি দিতে চান না তাদের জন্য ছবির জায়গায় একটা লোগো দেয়ার অপশন দেয়া যায়। কী বলেন?
নাজিরুল হক,
থ্যাংকস।
মনিটর,
অনেক ধন্যবাদ। মূলধারার লেখকদের প্রতি মনিটরের সমালোচনার জবাব কেউ দেবেন?
৩৪. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৩৩
comment by: রিজভী বলেছেন: সাহিত্য মূল্যমান হিসেবে হিসেবে ব্লগের অনেক লেখাই এক্ষেত্রে বিবেচনার দাবী রাখে।

ধন্যবাদ। ভালো একটা প্রস্তাব।৫
৩৫. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৪৩
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: প্রতিস্ঠিত লেখকদের ব্যপারে মনিটরের সাথে অনেকটুকুই একমত।
সামহোয়্যারইন ব্লগ বা অন্য যেসব ব্লগ সাইট আছে সেখানে প্রতিস্ঠিত লেখক বলতে যাদের বোঝায় তাদের তেমন একটি পদচারনা নেই। যারা আছেন তারাও নতুন বা অপেশদার বা তাদের ভাষায় অপ্রতিস্ঠিত ব্লগারদের লেখায় কমেন্ট করেননা বল্লেই চলে, উতসাহিত করাও দূরের কথা। এক্ষেত্রে তাদের উন্নাসিকতা/নাক উঁচো মনোভাব চোখে লাগে।
৩৬. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৫১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মাহবুব সুমন,
ব্লগের ভাল সাহিত্যকে চিহ্নিত ও মূল্যায়ন করার জন্য ব্লগারদের মধ্যে কোন সক্রিয়তা দরকার বলে আপনি মনে করেন? আমি লক্ষ্য করছি অনেক সময় এই উৎসাহ প্রদান ধান্দাবাজিতে পর্যবসিত হয়।
৩৭. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৫৫
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ব্লগটা আমার কাছে মনে হয়েছে নিজের মাঝে একটা নতুন সত্তার অস্তিত্ব খুজে পাওয়া ,পাশ করার করার দায়ে ২৩ বছর যে হাত পরীক্ষার কয়েকটি খাতা ছাড়া আর কিছু ভরাতে পারেনি , সেই হাত অন্য কি যেন একটা লিখছে , স্মৃতিগুলো জেগে উঠছে , ব্লগের পাতায় ফিল্মের মত স্মৃতিগুলো রয়ে যাচ্ছে । মান উতরে যাবার নিরিখে বিচার করলে ব্লগে আমার নিজের লেখাগুলো একদমই কাচা ,অগোছালো , ভাষার কোন বুদ্ধিদীপ্ত প্রয়োগহীন , কিন্তু তুষ্টিটা রয়েছে পুরো মাত্রায় ।

একটা সময় ধারণা ছিল ভার্চুয়াল জগতটা অবাস্তব গ্রহের ছবির মত , মনিটরের পর্দায় পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ দৃশ্যেও নির্বিকার থাকা যায় , ব্লগ সে ধারণাও বদলে দিল । সামান্য উতসাহে আংগুল গুলো যেমন নতুন কিছু লিখবার জন্য সচল হয়ে যায় , অহেতুক ব্যক্তি আক্রমণের মুখে সেই হাতটাই অসার হয়ে পড়ে । নিজের নামে না এসে অন্য কোন নিক নিয়ে আসলে হয়তো মানসিক ক্ষমতাটা থাকতো বেশি , কিন্তু সেটা খারাপ পথে চলে যাবার সম্ভবনা থেকেই যেত ।

ব্লগ থেকে ভালো লেখক উঠে আসাটা আমার কাছে অনেক কঠিন মনে হয় , এখানে শখের লেখকের সংখ্যাই বেশি , লেখালেখির ভবিষ্যত নিয়ে যারা নিজেরাও কখনো ভেবে দেখেনা । পরমত সহিষ্ঞুতার পরিচয় দিয়ে আলোচনা গুলো গঠনমূলক হলে , অহেতুক আক্রমণ পরিহার করলে ব্লগটা আরও অনেক জনপ্রিয়তা একটা আড্ডাস্থল হয়ে উঠতো ।
৩৮. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:১৪
comment by: মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: ছবি দিতে সমস্যা নেই।
"জরুরি অবস্থায় যখন অনেক জরুরি কথা বলা যায়না, তখন ব্লগ সেই ব্যবস্থা করে দেয়। এখানে সেন্সর হবার, গ্রেফতার হবার, আইনী মারপ্যাঁচে পড়বার ভয় নেই। ছদ্মনাম বা নিক ব্লগারকে এসব থেকে বাঁচিয়ে দেয়।"
- অনেক ক্ষেত্রে এর বিপরীত চিত্রও লক্ষ্য করা যায়। যেমন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১শে আগস্ট ঘটনার সময় অনেক পোস্টই মুছে ফেলা হয়েছে।

ব্লগ লেখক তৈরী করছে না - এই কথাটি আমি মানতে পারছি না। ব্যাপক অর্থে না হলেও সীমিত আকারে হলেও অনেক লেখক বেরিয়ে আসছে।অনেকেই সাহিত্য চর্চার জন্য কোন সহজ মাধ্যম পান না, সেই অর্থে ব্লগ একটি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। কারন একটি লেখা জন্ম দিচ্ছে বিভিন্ন মতের এবং মন্তব্যের-এর আকর্ষনেও অনেকে লিখছেন।
আরেকটি ব্যাপার হল, অনেক ক্ষেত্রেই গালিগালাজ করা হলেও ব্লগের মাধ্যমে কোন একটি ধারনা'র বিপরীত মত জানা যাচ্ছে।
৩৯. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৪
comment by: জুবেরী বলেছেন: চিন্তাকে ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা কখনো করিনি ।
কারন , হাতে লেখা অথবা কম্পিউটারে টাইপ করা সময় সাপেক্ষ্য ও শ্রমসাধ্য মনে হতো ।

চিন্তাকে সংগোঠিত করে তা প্রকাশের ক্ষেত্র আমার মনে হয় দুইটা ধরনের সামর্থ্য বিদ্যমান ।

১. লেখালেখির ও সৃজনশীল কাজ করার স্বাভাবিক
(জন্মগত অথবা পারিবারিকসূত্রে )ক্ষমতা ।
২.সাধারন মানের ক্ষমতা অথচ লেখালেখির ও সৃজনশীল কাজ করার আগ্রহ।

দুই ক্ষেত্রেই সুযোগ,পরির্চচা আর উৎসাহের প্রয়োজন হয় । এক্ষেত্রে প্রচলিত প্রিন্টিং ধারার থেকে নতুন ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্লগিং এর সুযোগ ,পরিসর আর সম্ভাবনা অনেক বেশি ।

অনেকটা
বাজাতে বাজাতে বায়েন
আর লিখতে লিখতে লেখক ।
এই অসীম সুযোগ আর সুবিধা এক মাত্র এখানেই সম্ভব ।
আমি এই যে এতোটুকু লিখতে পাড়লাম তা শুধুমাত্র এই কয়দিনের ব্লগের লেখালেখির অভ্যাসের কারনে ।
আর মাধ্যম হিসাবে ইন্টারনেট ভিত্তিক লেখালেখি একদিন মূল ধারা হয়ে উঠবে এটি এখন সময় এর ব্যাপার ।


৪০. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৩
comment by: বাপ্পী... বলেছেন: আমি আশাবাদী এই ব্লগীয় ধারা নিয়ে। যদিও আমার নিজের লিখতে খুবই ইচ্ছে করে কিন্তু লিখতে পারি না দেখে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয় না। আগে যেটা হত পত্রিকায় একটা লেখা পাঠিয়ে দিনের পর দিন পার করে দিতাম পত্রিকায় লেখাটা ছাপা হল কিনা তা দেখার জন্য। এখানে সেটার কোন উপায়ই নাই। তাই আমি বলতে চাই "ব্লগ হলো এমন এক মাধ্যম যেখানে যে কেউ তার লেখা বা চিন্তাধারা প্রকাশ করতে পারে বিনা বাধায়"। এটাই হচ্ছে ব্লগের সবথেকে বড় পাওয়া অর্থাৎ "লেখার স্বাধীনতা"। এই যা ইচ্ছা তা লেখার স্বাধীনতাই একদিন হাজার হাজার লেখককে তৈরী করবে। কিভাবে সেটা সময়ই বলে দিবে। ব্লগাররা ভুল করবে আবার তারাই ভুল শুধরাবে। এভাবেই এগিয়ে যাবে।

ব্লগে যে শুধু সাহিত্যিকই তৈরী হবে তার কোন বাধাধরা নিয়ম আছে বলে আমি মনে করি না। একজন কবি বা গল্প লেখক যেমন তেমনি একজন একাউন্টটেন্ট, ভূগোলবিদ বা বিজ্ঞানী তার কথা বা গবেষনার অভিজ্ঞতা এবং তার চিন্তা ধারা নিয়ে এখানে লিখতে পারবেন। এতে করে যেটা হবে নতুনরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে উৎসাহিত হবেন।

এবার আসি প্রতিষ্ঠিতদের ব্যাপারে। যারা আজকে প্রতিস্ঠিত তারা তাদের এই অবস্থানে একদিনে আসেননি। একটা সময় ছিল যখন প্রয়াত কবি শামসুর রহমানকেও অপেক্ষা করতে হত তার লেখা পত্রিকায় ছাপা হবে কিনা সেটা জানার জন্য। তারপর যখন উনি প্রতিস্ঠিত হলেন, তখন সম্পাদকরাই উল্টা তার জন্য অপেক্ষা করতেন। এই ব্যাপারগুলোই যারা প্রতিস্ঠিত হয়ে গেছেন বা প্রতিস্ঠিত হবার লাইনে আছেন তারা এখানে নতুনদের টিপস (উপদেশ বল্লাম না) দিতে পারেন, তার লেখা পরে। আর যদি টিপস নাও দিতে চান তাহলে তার ব্লগটা একবার ঘুরে আসতে পারেন। একথাটা বল্লাম এজন্য যে এখন আমরা বুঝতে পারি কারা কারা আমার ব্লগটা দেখেছেন। তাই একজন ছড়াকার যখন দেখেন তার ব্লগটি লুৎফর রহমান রিটন (উদাহরণ স্বরূপ ব্যবহৃত) সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছেন তখন তিনি খুবই উৎসাহ এবং উত্তেজিত বোধ করেন এবং অনুপ্রানিত হন আরও ভাল কিছু ছড়া লিখবার।

তাই নতুনদের জন্য ব্লগ হচ্ছে এক অপার সম্ভবনার জায়গা। এমন দিন হয়ত দেরী নয়, যেদিন রাহাত কান বা মতিউর রহমান বা শফিক রেহমান একজন ব্লগারকে মেইল করে বলবেন "তুমি কি আমার পত্রিকায় লিখবে?"

মাহবুব, আপনাকে ধন্যবাদ।
৪১. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৮
comment by: বাপ্পী... বলেছেন: রাহাত কান = রাহাত খান হবে।

ছবি দিতে সমস্যা নেই।
৪২. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:২০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: বাপ্পী...,জুবেরী, মোসতফা মনির সৌরভ, মেহরাব শাহরিয়ার,
আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একটা কাজের জায়গায় আলোচনা পৌছাবে এই বিশ্বাস ছিল। আপনাদের আবারও ধন্যবাদ।
রিজভী,
ধন্যবাদ।
৪৩. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:২৪
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ছবির ব্যাপারে কেমন সাড়া পাওয়া যাবে বুঝতে পারছি না। যারা ছবি দিতে চান না, তারা পছন্দসই লোগো দিতে পারেন। সামহোয়ারের প্রোফাইলের ছবির রেজুলেশন কম। তাই অনুরোধ করছি, ছবি/ লোগো যাই হোক আমার ঠিকানায় মেইল করে দিন।
মেইল অ্যাড্রেস : not_2b@hotmail.com
কারও দ্বিমত থাকলে বলেন।
৪৪. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৭
comment by: মাঠশালা বলেছেন: ব্লগের লেখালেখির ক্ষেত্রে সাহিত্যমান দ্বিতীয় চিন্তার বিষয়। এখানে যোগাযোগটাই মূখ্য। তাই দেখা যায় ব্লগাররা তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট ও অভ্যাসবসতই সারা দিয়ে পোস্ট অথবা মন্তব্য করেন। আমি এতে অসুবিধার কিছু দেখি না আবার মহান কিছুও মনে করি না।
৪৫. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:২৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: জুবেরী,
ধন্যবাদ।


ছবির ব্যাপারে দুইজন ছাড়া তেমন কারো সাড়া পাওয়া গেল না।
আলোচনা সুন্দর হয়েছে। আরও কেউ আলোচনা করতে চাইলে তিনি নিশ্চয়ই আমন্ত্রিত। কিন্তু আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বারোটার পর হলে পত্রিকায় আর ধরাতে পারবো না।
যারা পড়লেন, আলোচনা করলেন, উৎসাহ দিলেন সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।
৪৬. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:১৭
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব, আমি মেইলে ছবি পাঠিয়ে দিচ্ছি।
সৌরভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার সময়ে আমি ব্লগে সক্রিয় ছিলাম না। আমি রেজিস্ট্রেশন করি অক্টোবরে। যদি তেমনটি ঘটে থাকে, তবে খুবই দুঃখজনক। এডমিনই কি মুছে দিয়েছিল?
৪৭. ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ২:২৫
comment by: মেহেদী হাসান বলেছেন: একবার কাগজে লিখে আবার লেখাটাকে কাগজে প্রকাশ করার মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা অর্থের কাছে হার মানছিল। ফলে লেখার আগ্রহ থাকলেও প্রকাশের জটিলতার কারণে অনেকেই লিখতে চাইতো না। স্কুল বা কলেজ লাইফে দুই একটি কবিতা, গল্প অনেকেই লিখে। অনেক সাহিত্যিক আছে যাদের সব লেখা বই আকারে প্রকাশ পায়নি। যেহেতু সেগুলো পাঠকের হাতে পৌছায়নি, তাই সেগুলো যে সাহিত্যমানসম্পন্ন ছিল না তা বলা যায় না। হয়তো অপ্রকাশিত লেখাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ লেখাই প্রকাশ পাবার যোগ্য ছিল। প্রকাশক তখনই লেখা ছাপাতে ইচ্ছা পোষন করে যখন সে বুঝতে পারে বইটি ব্যবসা সফল হবে। প্রকাশকের হাতে অনেক বই থাকলে যেটি বেশি ব্যবসা সফল সেটিই ছাপা হয় প্রথমে। পৃষ্ঠা সংখ্যা বেশি হলে সেটা ব্যবসা সফলতা ও ইনভেস্টমেন্ট ক্যাপাসিটির বিচারে টিকতে হয়। এটি সাহিত্যচর্চার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। নিউজপেপার বা ম্যাগাজিন লেখার জায়গা দিলেও সে জায়গা নির্ধারিত। নির্দিষ্ট বিভাগ ও নির্দিষ্ট আয়তন এখানেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। সেই সঙ্গে সাবএডিটর ও এডিটরের ফায়ারওয়াল লেখক ও কাগজের মাঝে যেন সত্যিকারের ওয়াল। ব্লগ সাহিত্য প্রকাশের অর্থ আর জায়গা বা নির্দিষ্ট আয়তনের সীমাবদ্ধতা তুলে নিয়েছে। কিনতু ন্সেন্সরশীপ রেখে দিয়েছে। সেযাই হোক এভাবে সকলেই সাহিত্য অর্থাত মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছে। হয়তো এখান থেকে নতুন প্রফেশনাল তৈরি হবে।
এক সময় কবিতা ছন্দাকারে প্রকাশিত হতো। আধুনিক কবিতা সেরকম না। অনেকটা গদ্যের মতো। শরত চন্দ্রের মতো এখন কেউ সাধু ভাষায় উপন্যাস লিখে না। লেখার ধারা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হবে এটাই স্বাভাবিক। ব্লগ নতুন একটি ধারা। এ ধারায় সকল ব্লগার সাহিত্যিক হবে না। তবে কম বেশি আলোচক-সমালোচক হবে। কেউ জানাতে চায়, আবার কেউ জানতে চায়। ব্লগ দুইটিকে একত্র করেছে।
৪৮. ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:১২
comment by: মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: হ্যা @ ফাহমিদুল হক।
৪৯. ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:০৪
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহমিদ ভাই, মেহেদী ও সবাইকে।
মাত্র মেকাপ সেরে এসে বসলাম। আগামী কালের যায়যায়দিনের আর্ট অ্যান্ড কালচার পাতায় দেখুন ব্লগারদের অংশগ্রহণে প্রথম অনলাইন রাউন্ড টেবিল বৈঠকের বিবরণ। অনেকেই ছবি পাঠাননি। ছবি পাঠানোর দলে কেউ কেউ আছেন যাদের কোনো খোঁজ পাওয়াই সম্ভব নয়। আবার কেউ কেউ আছেন উইদিন মাই রিচ। তাদের ছবি জোগাড় করে ছাপলাম।
এই অবকাশে একটা বাকী থাকা ধন্যবাদ দিয়ে ফেলা দরকার। গোলটেবিলের আইডিয়াটা আসলে আমার না। এই আইডিয়াটা দিয়েছেন আমাদের ফিচার এডিটর মোহাম্মাদ মাহমুদুজ্জামান। আইডিয়াটা কাজে লেগেছে। সো, থ্যাংকস টু মাহমুদ ভাই।
৫০. ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:১১
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: যদিও মনে হচ্ছে আলোচনার সময় পার হয়ে গেছে(পরীক্ষার দৌড়ে ছিলাম),তাও একটু নাক গলানোর লোভ ছাড়তে পারলাম না। ব্লগটা ১টা মাল্টিপারপাস প্ল্যাটফর্ম,সেখানে সাহিত্যচর্চার,বা সাহিত্যচর্চার চেষ্টা ১টা পারপাস হতেই পারে। ব্লগ সাহিত্যকে আমার কাছে অনেকটাই মন্চ্ঞ নাটকের মতই মনে হয়েছে,যেখানে পাঠকের তাতক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। ব্লগে যারা কোন কিছু নিয়ে লেখেন,সাহিত্যচর্চার চেষ্টা করেন,তাদের সবাই যে লেখক তা নয়,শখের লেখক আছেন,আমাদের মত অলেখকও আছে,কিন্তু এর মাঝে থেকেও অনেক ভালো লেখা বের হয়ে আসছে,আর এখানে সবাই লেখক না হতে পারেন কিন্তু পাঠক হিসেবে যে মোটামুটি অনেকেই বেশ উঁচুদরের তাতে কোন সন্দেহ নেই,ফলে পাতে দেয়ার অযোগ্য লেখা দিয়ে এখানে পার পাবার উপায় এমনকি প্রতিষ্ঠিত লেখকদেরও নেই। হয়তো সরাসরি মন্তব্য সবসময় হয়না,কখনো রেটিংয়ের দলবাজিও হয়ে থাকে,কিন্তু কে লেখা পড়ছে,কিভাবে পড়ছে,কেন পড়ছে,সেটা দেখেও লেখা কেমন হলো তা অনেক পাঠক না হলেও যিনি লেখক তিনি বেশিরভাগ সময়ই বুঝতে পারেন বলেই মনে হয়,যে সুযোগটা বাইরে কোথাও লিখে নেই। তবে যারা প্রতিষ্ঠিত লেখক বা সাংবাদিক,তাদের ব্যাপারে ১টা অভিযোগ করা যায়,নতুনদের ব্যাপারে তাদের বিশেষ মাথাব্যথা নেই,যদিও নতুন,বা নবীশরা,তাদের কাছে থেকে কিছুটা গাইডলাইন আশা করে। মাঝে একবার মনে হয় জেবতিক আরিফ ১টা লেখা দিয়েছিলেন,প্রদায়ক হবার প্রস্তুতি,এমনভাবে যাদের লেখালেখি নিয়ে অভিজ্ঞতা আছে,তারা অন্য ব্লগারদের জন্য মাঝে মাঝে 'অনলাইন রাইটিং ওয়ার্কশপ' জাতীয় কিছু করতে পারেন কিনা ভেবে দেখতে পারেন।
৫১. ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:১৬
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: আর পাঠক হিসাবে বলবো,অপার স্বাধীনতা পড়ার,নিজের পছন্দ অপছন্দ জানাবার। পাঠকেরও কিছু অধিকার আছে বলার,তোমার লেখা আমার ভালো লেগেছে বলার,ভালো লাগেনি সেটাও বলার,ব্লগ সেই সুযোগটা করে দিচ্ছে,সেই সাথে মাল্টিডাইমেনশনাল লেখা পড়ার সুযোগ পাচ্ছি,আর কি চাই!
৫২. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৩৬
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মাহবুব ভাই , কষ্ট করে ফেইসবুক থেকে আমার ছবিটা সংগ্রহ করে নিয়েছেন , এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের যায়যায়দিনের [wsjK=http://www.jaijaidin.com/details.php?nid=43175]আর্টস এন্ড কালচার[/wsjK] পাতায় আলোচনাটি ছাপা হয়েছে
৫৩. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৪০
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মাহবুব ভাই , কষ্ট করে ফেইসবুক থেকে আমার ছবিটা সংগ্রহ করে নিয়েছেন , এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আজকের যায়যায়দিনের আর্টস এন্ড কালচার পাতায় আলোচনাটি ছাপা হয়েছে
৫৪. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:০৬
comment by: মুকুল বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। এইমাত্র যায়যায়দিনে আলোচনাটা পড়লাম। সত্যিই ইউনিক আইডিয়া।
৫৫. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:১৩
comment by: জয়িতা বলেছেন: আমি পড়তে পারলাম না, ভুয়া অফিস।
৫৬. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২৫
comment by: অভিক শাওন বলেছেন: চেয়ারতো মাত্র ৩টা।এর মইদ্দে ১টা হাতাওলা।
সেয়ানে সেয়ানে ৩শেয়ান।
৫৭. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৭
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফারহাদ দাউদ,
অল্পের জন্য আপনাকে মিস করলাম। ধন্যবাদ।
মেহরাব, মুকুল,
ধন্যবাদ।
অভিক শাওন,
যারা চেয়ারের চিন্তা করে তারা বসতে পারে?
জয়িতা,
কেন পড়তে পারলেন না?
৫৮. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৫০
comment by: অচেনা বাঙালি বলেছেন: """
সুবিনয় মুস্তফি বলেছেন:
ব্লগে সাহিত্য চর্চা হচ্ছে, জঙ্গলে বানর কি হরিণ ছানার যদৃচ্ছা বেড়ে ওঠার মতো।
"""
এইটা মিস করেছিলাম।
হা হা এইবার থেইকা মুস্তফি ছাবের উপর তো চোখ রাখন লাগে উনি কেমনে বাইড়া উঠেন আর তারপরে কেমনে আটি বান্ধেন।
৫৯. ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৫
comment by: সুবিনয় মুস্তফী বলেছেন: বহুদিন পরে এই ব্লগে আসলাম - এবং অন দ্য রেকর্ড কিছু কারেকশান দেয়ার দরকার বোধ করলাম, যদিও এইটা খুব সম্ভবত একেবারেই ম্যাটার করবে না।

উপরের সুবিনয় মুস্তফি, আর এই কমেন্টের লেখক সুবিনয় মুস্তফী, এক লোক না। উনি দিছেন ই-কার আর আমি ব্যবহার করি ঈ-কার। আমি মূলত সচলে ব্লগাই সুবিনয় মুস্তফী নিকে, আর এইখানে একটা একাউন্ট ছিলো কিন্তু জীবু বাবুর দুইটা কবিতা পোস্ট করা ছাড়া আর কিছু ছাপানো হয় নাই।

এই মন্তব্যটা আদৌ লিখতাম না, কিন্তু উপরের ভদ্রলোকের বানর ইত্যাদি জাতীয় কমেন্ট বড়ই অফেন্সিভ মনে হইছে, এবং এই কমেন্টের সাথে আমার নাম কোনভাবে জড়িত হোক, সেইটাও আমি চাই না। যদিও সচল ব্যান বিষয়ক আরেক ডিসকাশনে আমার নাম ভূলবশত ইতিমধ্যে এই বানর কমেন্টের সাথে জড়ানো হইছে।

কেউ যদি জড়াতে চায়, অসুবিধা নাই। কিন্তু আমার পক্ষ থেকে এই কনফিউশন-টা পরিষ্কার করার জরুরত বোধ করলাম। আরেকবার - সুবিনয় মুস্তফি আর সচল ব্লগার এই একাউন্টের মালিক সুবিনয় মুস্তফী এক না।