Tuesday, March 3, 2009

ওয়ান্স আপন এ কান্ট্রি, সামহয়ার ইন দ্য ওয়েব

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৬
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

অপরাজেয় সংঘাত
সামহয়ারের আর কারো হয়তো জানতে বাকী নেই। এমন একজনও হয়তো মিলবে না যিনি হঠাৎ করে লগ ইন করে একদম অবাক হয়ে যাবেন। নিজের মনেই বলে উঠবেন, হায় এ কী! আমার ধারণা, যাদের বলার সবাই বলে ফেলেছেন। যাদের পক্ষ নেবার সবাই পক্ষ নিয়ে ফেলেছেন। কেউ নিজে থেকে পোস্ট দিয়েছেন। কেউ অন্যের পোস্টে গিয়ে মন্তব্য করে নিজের ঐক্যমত বা দ্বিমত জানিয়ে এসেছেন। সব মিলিয়ে, সবার মত গ্রন্থিত করে একজোট করলে হয়তো একটা মহাকাব্য হয়ে যাবে। কিন্তু যা হয়েছে, সমস্যা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তা যেন সমাধানহীন। যেন এক পরিত্রাণহীন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছি আমরা। আমরা আপাতত ব্লগার, কিন্তু আগামী দিনের তরুণ চিন্তক, নাগরিক, অ্যাক্টিভিস্ট, সাধারণ মানুষ। এই তরুণদের নানা অংশের মধ্যে চলছে বিরামহীন ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। জয় ও পরাজয়ের মহড়া। আন্দোলন সংগ্রাম। এবং অবশ্যই সংঘর্ষ। আমাদের এই বাংলাদেশে ফেরেশতা অথবা শয়তান যেই ক্ষমতা নিক, মাইনাস টু থেকে শুরু করে মাইনাস মিলিয়ন যাই করুক এই সংঘর্ষ যেন অপরাজেয়। ব্লগের যুদ্ধক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের সংঘর্ষ, সংঘাত তথা মতাদর্শিক লড়াই দেখে আপাতত তাই মনে হলো।
আদার কালার্স
বাংলাদেশে যেমন সারা পৃথিবীতে তেমনি কেবলই দুইটা রঙ চোখে পড়ে। শাদা আর কালো। ব্লগেও তেমনি দুইটা রঙই চোখে পড়ে শাদা আর কালো। আমি প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত বলে আসছি। মাঝে আরও সাতটি রঙ আছে। শুধু শাদা আর কালো ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো রঙ নাই একথা মিথ্যা। কিন্তু কোনো দলই এটা মেনে নিতে প্রস্তুত নন। এই দুই দল সমস্ত রঙকে পরাজিত করে পৃথিবী শাসন করার এই বিধ্বংসী খেলায় মেতেছে। হয় জর্জ বুশের দল, নয়তো লাদেনের দল। হয় আক্রমণকারী নয়তো আক্রন্ত। কোন দলে আপনি? তাড়াতাড়ি জবাব দিন, নইলে এখনি আপনার ওপর হামলা করবে ইসলামপন্থীরা অথবা ওয়ার অন টেররের সৈনিকরা।
ব্লগেও এমন পরিস্থিতির চাপ। শাদা আর কালো দুইটা পক্ষ। কোন দিকে আপনি? তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিন। নইলে আপনার ভাগ্যে তকমা জুটবে এখনি। হয় আপনি রাজাকার নইলে মুরতাদ। আপনার বিরুদ্ধে মিছিল নামবে হয় বায়তুল মোকাররম থেকে নয়তো সুধাসদন থেকে।
অনেক লেখালেখির পর অনেক কথা খরচের পর এখন সবাই মানতে রাজি হয়েছেন শাদা ও কালোর বাইরে অন্য রঙ আছে। ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধারা নিন্দা করে তাদের নাম দিয়েছেন সুশীল। সুশীল তো এখন প্রবলভাবে সমালোচিত একটা গোষ্ঠী। যারা আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাতের বাইরে এদেশে তৃতীয় কণ্ঠস্বরের দাবিদার। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জানা গেল তারা হলেন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক/সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের উকিল। ফলে সুশীল এখন বড় সমালোচিত শব্দ।
তকমা দেয়া যাদের কাজ তারা চান্স পেলে তকমা দিয়ে যাবেন, সে তকমা দিয়ে কিছু বোঝা যাক বা না যাক। কিন্তু, এই তকমা নেগেটিভলি দিলেও একটা ব্যাপার কিন্তু তারা মেনে নিয়েছেন যে, ব্লগে তৃতীয়, চতুর্থ ইত্যাদি মত আছে বা থাকতে পারে। যে মতগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে কিন্তু অনৈতিক উপায়ে গালিবাজী করে কোনো ফায়দা লোটার উদ্দেশে তাকে প্রতিষ্ঠিত না করে যুক্তি, বুদ্ধি ও সহনশীল পদ্ধতি অবলম্বনের পক্ষপাতি। ইসলামকে স্রেফ জঙ্গিবাদের সঙ্গে, ইসলামী মতাদর্শকে স্রেফ পাকিস্তানপন্থী, এন্টি সেভেনটিওয়ান হিসেবে দেখার যেমন একচোখা নীতি আছে। তেমনি ইসলামের মধ্যেও অন্য মত আছে। যে মত, যে কাউকে যে কোনো প্রকারে মুরতাদ ঘোষণা করে না, মাথার দাম ঘোষণা করে না, দেশ ছাড়া করে না। সমালোচনাকারীকে বেঈমান বলে তার বিরুদ্ধে গজারির লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে পড়ে না। রাজনৈতিক ফায়দা লুটে ইসলামকে কলুষিত করে না।
১৯৭১ বাংলাদেশের মানুষের জন্য অপূর্ব এক সুযোগ এনে দিয়েছিল। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাদের সঙ্গে অন্য সব মতবাদ ধর্ম বর্ণের মানুষ ছিল। কিন্তু নেতৃত্বে ছিল এই মুসলমানরাই। উপমহাদেশে এই একমাত্র জাতিরাষ্ট্র যারা মালিক মূলত বাঙালি মুসলমান। কিন্তু ১৯৭১-এর সুযোগ আমরা নেইনি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাই ইসলামকে ব্যবহার করে নিয়মিত আমাদের ওপর আঘাত হেনেছে। আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তিকে সুদূর পরাহত করে রেখেছে।
আমাদের সমাজ আজ নানামুখি সংঘর্ষে এক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত। এ যুদ্ধ কখনো মুখোমুখি কখনো আড়ালে আবডালে চলছে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামাতের। শিক্ষার্থীর সঙ্গে সেনাবাহিনী। নাগরিকদের সঙ্গে শাসকের। নাস্তিকের সঙ্গে আস্তিকের। যুক্তির সঙ্গে বিশ্বাসের। ধর্মের সঙ্গে বাস্তবতার। জ্ঞানীর সঙ্গে মূর্খের সংঘাত লেগে আছে। এদেশে পাকিস্তানপন্থী আছে। ভারতপন্থী, চীন পন্থী, রুশপন্থী, আমেরিকা পন্থী এমনকি মালয়েশিয়া পন্থীও পাওয়া যাবে কিন্তু বাংলাদেশ পন্থী মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। একাত্তরের পর বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার জন্য বড় কোনো সংগ্রাম হয়নি। বড় কোনো উদ্যোগ আসেনি। ফলে, নাগরিকের দেশপ্রেমবিহীন এক ভবিতব্য নিয়ে দেশটি থমকে আছে। এখানে প্রগতিশীলরা নৈরাজ্যবাদী। ধর্মপন্থীরা জঙ্গি। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। একদল চায় আরেক দল দেশ ছেড়ে চলে যাক। বহিষ্কার হোক। কোনো আপোষরফা নেই। দুটো দলই এমন এমন সব পদ্ধতি অবলম্বন করে যার অধিকাংশই ফ্যাসিস্টরা অবলম্বন করেছিল। কিন্তু আমরা বলতে চাই, দেশ ছেড়ে বা ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়া বা বহিষ্কার করার বাইরেও পথ আছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরস্পরের কঠোর সমালোচনা করেও এদেশে থাকা সম্ভব। এমনকি ব্লগেও থাকা সম্ভব।
আমাদের দায়
সামহয়ারের বর্তমান সংকটে আমাদের দায় কতটুকু? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কায়েম করার কথা বলে যাকে তাকে রাজাকার বলে এক ধরনের নৈরাজ্য তৈরি করে নিজেদের ব্লগীয় ফায়দা লুটতে চেয়েছেন এবং তা করতে গিয়ে অন্যায় পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করেছি। আমরা বলেছি, এ পদ্ধতিতে ব্লগটিকেই শুধু ধ্বংস করে দেবার চেষ্টা হচ্ছে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্বপক্ষের বলে মনে করে ভুল বলিনি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে এবং অব্যাহতভাবে পিকেটিং চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী সবাইকে ব্লগ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। লক্ষ্য, কতিপয় মুক্তিযুদ্ধপন্থী গুণ্ডার অন্যায় কাজকে বৈধতা দান করা। কিছু ব্যান এক্ষেত্রে আগুনে ঘি ঢেলেছে। এই সুযোগে সামহয়ারে সংখ্যাগত আধিপত্য কায়েম করেছে তথাকথিত ইসলামপন্থীরা। এদের অনেকে ব্লগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধকেও সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে একাত্তরের রাজাকার আল-বদরের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কেউ বায়তুল মোকারম থেকে মিছিল নামানোর হুমকি দিয়েছেন। কেউ সহব্লগারকে মুরতাদ ঘোষণা করেছেন। এখন আপাত অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী ব্লগারেদের অনুপস্থিতিতে এরা আমাদের ছালাম দিয়ে যাচ্ছেন। আরেক রাজনেতিক ফায়দা লোটার উৎসবে নেমেছেন।
আমার কথা পরিষ্কার। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষ শক্তির ছালাম চাই না। আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির গালিও শুনতে চাই না। আমরা আওয়ামী টীমের পিকেটিং চাই না। আবার ছাত্র শিবিরের দাওয়াতও চাই না। আমরা একটা সুস্থ, সুন্দর, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে, প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা আছে এরকম একটা ব্লগ চাই। সেখানে ক্রিয়েটিভ চিন্তা ও সৃষ্টি প্রকাশ করতে চাই। ব্যস। যারা মতাদর্শ কায়েমের স্বপ্নে বিভোর তারাও থাকবেন। কিন্তু তারা যেন অন্যায় কোনো পদ্ধতি বেছে না নেন।
আমরা চাই না, এ ব্লগে যুক্তি দিতে গিয়ে কেউ ধর্মের অবমাননা করুক। আবার কেউ ধর্মের অবমাননা করার আগেই তাকে মুরতাদ ঘোষণা করুক কেউ। কেউ মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য বিতর্কিত কিছু বলুক। আবার কেউ মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও তাকে রাজাকার খেতাব দেয়া হোক।
মতাদর্শ কায়েমের ফ্যাসিস্ট পদ্ধতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। এজন্য শাদা ও কালোর বাইরের অন্য রঙগুলোতে আলো ফেলতে হবে। এ জন্য সুস্থ-সুন্দর চর্চা যারা চান তাদের সক্রিয় হতেই হবে।





* ১৪৭ টি মন্তব্য
* ১৩২৫ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ২৩ জনের ভাল লেগেছে, ১১ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28760688 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৬
comment by: আবূসামীহা বলেছেন: "আমরা চাই না, এ ব্লগে যুক্তি দিতে গিয়ে কেউ ধর্মের অবমাননা করুক। আবার কেউ ধর্মের অবমাননা করার আগেই তাকে মুরতাদ ঘোষণা করুক কেউ। কেউ মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য বিতর্কিত কিছু বলুক। আবার কেউ মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও তাকে রাজাকার খেতাব দেয়া হোক।"
===============================

ভাল বলেছেন।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৮
comment by: রোকন বলেছেন:


কারেকশন: সাদা ও কালো কোনটাই কোন রঙ না।
চাইলে হাজার খানেক রেফারেন্স দেওয়া যেতে পারে। :(
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫১

লেখক বলেছেন: আপনার এই জ্ঞান আপাতত এখানে অপ্রয়োজনীয়।
৩. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৯
comment by: রোকন বলেছেন: " মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা"-টা কেমন? একটু খোলাসা করেন।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৩

লেখক বলেছেন: এই একটা বাক্যই পাইলেন?
আমার প্রশ্নে উত্তর দেন : ধর্মের গঠনমূলক সমালোচনা করা সম্ভব? ধর্মকে অবমাননা না করে?
৪. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪২
comment by: এম.এ.হামিদ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও তাকে রাজাকার খেতাব দেয়া হোক।


Am I allowed to discuss constructively why Mahbub Morshed is a bastard?
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৪

লেখক বলেছেন: এই একটা কাজই তো করতে পারেন আপনে।
৫. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৫
comment by: কবিতা বালিকা বলেছেন: আপনার প্রতিটা লিখুনিই চমৎকার। অনেক খাঁটি কথা তুলে এনেছেন। তবুও এদের হুঁশ হবে বলে মনে হয়না। ব্লগটাকে বন্ধ করার চক্রান্ত চলছে, প্লীজ এটা হতে দেবেননা। ব্লগে এসে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। কিন্তু শিক্ষিত মানুষদের মুখ থেকে গালি যখন শুনি তখন নিজের উপর ঘেন্না ধরে যায়, মনে হয় মানুষেরা এত নীচ কেন।

যখন দেখি আমার প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে গালি দিয়ে পোষ্ট দেয়া হয় তখন খুব কষ্ট হয়। এটাকি আমাদের কাম্য ছিল? কেন রাজাকার আর ধর্মপ্রানকে একসাথে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে? কেন সবাই একটু সহনশীলতা দেখাতে পারছেনা?
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৫

লেখক বলেছেন: এতদিন জানতাম ইসলাম হলো ধর্ম।
এখন দেখছি মুক্তিযুদ্ধ আরও বড় ধর্মে পরিণত হয়েছে।
ধন্যবাদ।
৬. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৬
comment by: প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
প্রথম পাতায় এখন সুন্দরের চরচা হচ্চে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৫

লেখক বলেছেন: গালি চলছে না আর?
৭. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৮
comment by: কবিতা বালিকা বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ সাহেব দেখুন, এম এ হামিদ = আইজুদ্দিন আপনাকেও গালি দিল !! অবাক লাগে এদের আচরণ!!

আর রোকন নামের ঐ লোকটা, ফজলে এলাহি নামের একজন ব্লগারের ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে ছবি চুরি করে নিয়ে এসে নিজের প্রোফাইলে লাগিয়ে ঘুরছে! কারও কি কিছুই বলার নেই? কর্তৃপক্ষ কেন ব্যাবস্থা নিতে এত দেরী করে সবসময়?
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৬

লেখক বলেছেন: এই দুইজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করছে এখন?
৮. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫১
comment by: রোকন বলেছেন: " মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা"-টা কেমন? একটু খোলাসা করেন।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৭

লেখক বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা তো দেখি ইসলামপন্থীদের চেয়ে অসহনশীল হয়ে পড়েছে। বাহ!
৯. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫১
comment by: মুনশী বলেছেন:


ভালা মাইনসের পুত মাহবুব মিয়া, পেলাস দিলাম।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৬
comment by: রোকন বলেছেন: আমি কোন ধর্মকে বিশ্বাস করি না। কাজেই ধর্মের কথা আমার থেকে না জানতে চাওয়াই ভাল।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৮

লেখক বলেছেন: আপনি তো মুক্তিযুদ্ধকে ধর্ম বানিয়ে ফেলেছেন।
১১. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৯
comment by: রোকন বলেছেন: আপনে পাগলের গু পারায়ছেন। কেমনে বুঝলেন মুক্তিযুদ্ধকে ধর্ম বানিয়েছি?

ফালতু বকবাজ করেন কেন?
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০২

লেখক বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধকে আপনে ধর্মেরও উর্ধে নিয়া গেছেন।
১২. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০১
comment by: নগর বাউল বলেছেন:

চলমান রাজাকারমুক্ত ব্লগ আন্দোলনঃ আমার দুটি দাবি
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৩

লেখক বলেছেন: হ।
১৩. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৫
comment by: রোকন বলেছেন: হা হা, আমি আগেই বলেছি ধর্মকে আমি বিশ্বাস করি না, কাজেই আমার কাছে ধর্মের কোন স্থান নেই। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ ঠিক মুক্তিযুদ্ধের স্থানেই আছে। ধর্মের আগে বা পরে থাকার কোন ব্যাপার নেই।

এইবার বলেন আপনার এই বোধদয় কেমতে হল?
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৮

লেখক বলেছেন: কাইলকা বলবো।
১৪. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৪
comment by: শীমুলতা বলেছেন: ভাইজান আমি একটা কিশোর ছেলেই বলা চলে। প্রথম প্রথম ব্লগে এসে আমি দেখলাম একটা শক্তিশালী দল অন্য আরেকটা দূর্বল দলকে আঘাত হানবার ছেষ্টা করছেএবং বলছে ওরা রাজাকার। শক্তিশালী দলে কিছু শক্তিশালী সাংবাদিকও ছিল। আমি ভেবেছিলাম যেহেতু, ওরা এত স্বাধীনতার কথা বলছেন নিশ্চই ওরাই ভাল। তাই ওদের পক্ষ নিয়ে আমিও দূর্বল দলের অনেককে আজেবাজে কথা বলেছি কিন্তু গালি দেইনি কোনোদিন কাউকে। বলেছি রাজাকার। একদিন এক ব্লগার আমার কাছে ই-মেইল করে বলল, কোনো ধর্মীয় পোষ্ট দেখলেই যেন ১ দেই এবং আরও অন্য কিছু ব্লগারের নাম লিখে বলল যেন তাদের পোষ্টে এক দেই এবং তাদেরকে সারক্ষন খোঁচার উপড়ে রাখি। তাহলে ওরা আমার পোষ্ট টপরেটে উঠাবে। পরে আমি অনেক ভেবে চিন্তে দেখলাম যে , কতটা জঘন্য মানসিকতার হলে তারা এই কাজগুলো করতে পারে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে এমন কটু কথা বলতে পারে। আমি তার ঐ মেইলের কোনো জবাব আজ পর্যন্ত দেইনি।উল্ল্যেখ্য,নিজেকে সে এক স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির ব্লগার বলেছে। অনেক ভাবনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি ওদের কথা মত চলবনা এবং এরপর পরই তারা আমাকে রাজাকার উপাধীতে ভূষিত করে। এখন বলুন ভাইজান, সাধারণ পাব্লিক কিভাবে ওদের কাছে জিম্মী হয়ে আছে।তাই আমার মতে যারা গালিবাজি এবং ফ্লাডিং করার জন্য ব্যান হয়েছেন তাদের কাছ থেকে লিখিত নিয়ে ব্লগে ফেরত আনা হোক। স্বাধীনতাবিরোধী পোষ্ট কিন্তু সাধারণ ব্লগারেরা খুঁজে পাচ্ছেননা এবং যারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তারাও স্পেসিফিকলি দেখাতে পারছেননা কোনটা দেশবিরোধী পোষ্ট। আমাদের মনে হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে গন্ডগোল সৃষ্টি করার জন্যই এসব করা হচ্ছে।

এই পোষ্ট টাকে স্টিকি করার দাবী জানাই।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:১১

লেখক বলেছেন: এতদিন এই কাহিনী বলেননি বলেই দুষ্টরা সুযোগ পেয়েছে।
পোস্ট স্টিকি করার দরকার নাই। আপনারা পড়ছেন এইটাই ভাল।
ধন্যবাদ।
১৫. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৪
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব, ব্লগে আপনার অবস্থান নিয়ে অনেক ব্লগারের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আপনার অবস্থান আমার কাছে অস্পষ্ট নয়। কিন্তু কয়েকটি কারণে, যেসব ব্লগার ক'দিন আগেও আপনার ওপর আস্থাবান ছিল, তারা আপনাকে এখন সন্দেহের চোখে দেখছে:
১. আপনার প্রাইভেসি সিকিউরিটি সংক্রান্ত পোস্টের পরেই কর্তৃপক্ষের নোটিশ এবং কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ। সেজন্য আপনার ভয়েসকে অনেকে কর্তৃপক্ষের ভয়েস মনে করছে।
২. কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে গিয়ে কয়েকজন ভালো ব্লগারকে ব্যান করেছে, যেটা পরিস্থিতিকে সবচেয়ে খারাপ জায়গায় নিয়ে গিয়েছে।
৩. চিহ্নিত চরম দক্ষিণপন্থী ব্লগাররা আপনার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে দ্রুত এসে নির্বিচারে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এটাও সন্দেহ তৈরি করছে।
৪. আপনার কোনো কোনা বক্তব্য মাঝে মাঝে অস্পষ্ট থেকেছে। (মোটের ওপরে বললাম, রেফারেন্স চাইয়েন না)

দেশবিরোধীদের আমি চরম ঘৃণা করি, অতি রক্ষণশীলদের আমি অপছন্দ করি। ধর্মের বিষয়ে আমার আগ্রহ আছে, (পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতিতে এই আগ্রহ বেড়েছে) কিন্তু একচোখা ধার্মিকদের কথাবার্তায় আমার অরুচি আছে।

কর্তৃপক্ষ কেন এখনও ভালো ব্লগারদের (তারা যতই গালি দিক) আনব্যান করছে না সেটা একটা বিস্ময়। দেশবিরোধী কথা বলবেননা, গালি দিবেন না -- এই দুইটি বিষয় নিশ্চিত করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ সব লেজেগোবরে করে ফেলেছে।

আপাতত আনব্যান করে এবং কিছু আহ্বান জানিয়ে এর সমাধান হতে পারে। কিন্তু আপনার মতো আমিও মনে করি, ঐ দুইটা জিনিস গ্রহণীয় নয়। গালিতে আমার আপত্তি নাই, গালিসর্বস্বতায় আছে। আর মুক্তিযুদ্ধকে, জাতিসত্তাকে হেয় যে করে তার তো দেশে থাকারই অধিকার নেই।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৭

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১২

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
১৩ তারিখ রাতে হাতে সময় আছিল না। তাই আপনার কমেন্টের উত্তর না দিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে কেটে পড়েছি। ১৪ তারিখে আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে বসেছিলাম। তখনই সেলিম আল দীনের মৃত্যু সংবাদ এলো।
আজকে কিছু কথা বলতে চাই। প্রথমত ব্লগে আমি একজন ব্লগার মাত্র। লেখার বাইরে আর কোনো টুল ব্যবহার করি না। আমি আমার এক বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলাম, তাকে তিনদিন সময় দেয়া হলো, সে যেন আমার ব্লগ থেকে রাজাকারদের সমর্থন করা একটা বাক্য খুঁজে বের করে। আমার লেখা পড়ে যদি কারো মনে হয়, আমার অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ তাহলে সত্যিই কিছু করার নেই। যে বোঝে না তাকে বোঝানো কঠিন। আর যে জেগে ঘুমায় তাকে জাগানোই সম্ভব না। আমাকে সন্দেহের চোখে দেখার কারণ নাই। কারণ, পাবলিক পোস্ট ও কমেন্ট ছাড়া আমি আর কোনো পদ্ধতিতে মত গঠনের চেষ্টা করি না।
১. আমার কথা ন্যায্য হলে কর্তৃপক্ষ মানতে বাধ্য। আবার আমার কথা তাদের কাছে প্রয়োজনীয় মনে হলে তারা সেটাকে স্টিকি করতে পারেন। এর আগেও তারা অনেকের ক্ষেত্রে তা করেছেন। এক্ষেত্রে আপত্তির কিছু নাই।
২. ভালো ব্লগারদের আনব্যান করার ব্যাপারে আমি একাধিকবার দাবি জানিয়েছি। এক্ষেত্রে আমার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে আমার মনে হয় না।
৩. আমি সাধারণত কোনো ব্লক লিস্ট মেইন্টেইন করি না। কমেন্ট মডারেশনও সাধারণত করি না। চরম দক্ষিণপন্থী যদি কেউ আমার পোস্টে এসে তাদের বিরুদ্ধ মতবাদকেও সমর্থন করে তবে আমার কী করার আছে? আমার মতে, চরম পশ্চিমপন্থীদের বোকামির সুযোগে তারা এ ধরনের সুযোগ নিচ্ছে। অন্যের কাজের দায় তো আমি নিতে পারি না। তাই না?
৪.আমার বক্তব্য অস্পষ্ট এই কমেন্ট তো রেফারেন্স ছাড়া আমি গ্রহণ করতে পারি না, ফাহমিদ ভাই। রেফারেন্স দিতেই হবে।
গালি বিষয়ে আপনার মতের সঙ্গে আমি একমত নই। বাকী বিষয়গুলোতে সহমত।
আবারও ধন্যবাদ।

১৬. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি স্বাভাবিকভাবে ব্লগিং করতে চাই। জানি আপনিও চান। বিদ্যমান সঙ্কটের কী সমাধান হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? আগের একটি পোস্টে সমাধানের বিষয়ে আমি হতাশা ব্যক্ত করেছিলাম। আপনি আশাবাদী ছিলেন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৭

লেখক বলেছেন: বিদ্যমান সংকটের সমাধান হলো ভার্চুয়ার গুণ্ডা, গালিবাজদের ব্যান। ভালো ব্লগারদের আনব্যান। আমি এখনও আশাবাদী।
১৭. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৫
comment by: রোকন বলেছেন: আজকে তাহলে আপনি আর কোন আলোচনা করছেন না?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৮

লেখক বলেছেন: যে কোনো দিন যে কোনো সময় আপনার সঙ্গে আলোচনা করে কি কোনো ফল পাওয়া সম্ভব?
১৮. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৯
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: "কিছু ব্যান এক্ষেত্রে আগুনে ঘি ঢেলেছে। এই সুযোগে সামহয়ারে সংখ্যাগত আধিপত্য কায়েম করেছে তথাকথিত ইসলামপন্থীরা। এদের অনেকে ব্লগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধকেও সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে একাত্তরের রাজাকার আল-বদরের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কেউ বায়তুল মোকারম থেকে মিছিল নামানোর হুমকি দিয়েছেন। কেউ সহব্লগারকে মুরতাদ ঘোষণা করেছেন। এখন আপাত অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী ব্লগারেদের অনুপস্থিতিতে এরা আমাদের ছালাম দিয়ে যাচ্ছেন। আরেক রাজনেতিক ফায়দা লোটার উৎসবে নেমেছেন।আমার কথা পরিষ্কার। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষ শক্তির ছালাম চাই না। আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির গালিও শুনতে চাই না।"

১০০ পার্সেন্ট সহমত,
এদের সালাম চাই না,এবং এদের উপস্থতিই একধরনের বিরক্তি সৃস্টি করছে সবার মনে।আর কিছুদিন পর দেখবো এখানে আজান বাজছে,এবং মিলাদের আহবান করা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাপন্থীদের ব্যান করার কারণে!

আসলে ব্লগের মুক্তিযোদ্ধাপন্হীদের চাইতে কুটচালে বেশী পারদর্শী এই মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা।ব্লগের মুক্তিযোদ্ধাপন্হীরা যখন উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করেন তখন তারা নিরব থাকে এবং পরে তার ব্যান দাবী করে উদাহরণ সহ পোস্ট দেয়।আমার মনে হয় মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা দীর্ঘ কোন সময়ের প্ল্যান নিয়ে টেস্ট স্টাইলে খেলছে....লালসবুজ দল সেখানে বেধরক পিটিয়ে খেলতে গিয়ে অনেক উইকেট হারিয়ে ফেলেছে,একটু তাদের সাবধানী হয়ে খেলা উচিত।

লেখাটা ভাল হইছে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২১

লেখক বলেছেন: মুয়ীজ,
আপনার বিশ্লেষণটা ভাল লাগলো।
ব্লগেই শুধু নয়, দেশেও মাথা গরম করে খেলে জামাতিদের শক্তিশালী করা হয়েছে।
১৯. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
comment by: হট্টগোল বলেছেন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কায়েম করার কথা বলে যাকে তাকে রাজাকার বলে এক ধরনের নৈরাজ্য তৈরি করে নিজেদের ব্লগীয় ফায়দা লুটতে চেয়েছেন--------------মা.মো

------------------------------

এই 'ব্লগীয় ফায়দা' জিনিসটা কি?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৩

লেখক বলেছেন: ব্লগীয় ফায়দা হলো, নৈরাজ্য কায়েম করে ভালো কাজগুলোকে বাড়তে না দেয়া আর গুণ্ডাদের নায়ক হওয়ার সহজ পদ্ধতি।
২০. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৫
comment by: কানার বাজার বলেছেন: @মাহবুব --> আমার কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি ব্যাপার গুলো কে গুলিয়ে ফেলছেন। সেটা কি মধ্যস্থতা করার জন্য? একটা জিনিস মনে হয় ক্লিয়ার হওয়া দরকার। মধ্যম্পন্থা জিনিস্টা উপকারী তবে যখন বাকি প্রান্ত গুলো কাছাকাছি অবস্থান করে। কিন্তু প্রকৃতিগত ভাবে দুই মেরু তে থাকা দুইটা আইডিয়ার মাঝে আর যাই হোক মধ্যস্থতা হতে পারেনা। এদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটবেই। এটাই ভবিতব্য। এবং এখানে যেটা হবে সেটা কে আপনি সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেষ্ট বলতে পারবেন না। এটা হবে 'সারভাইভাল অফ দ্যা পপুলারলি ডিসারভিং'। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আপনি ডিফার করতে পারেন। I don't mind.

@ফাহমিদ --> আপনার বক্তব্য আমার কাছে অনেক বেশি বিবেচনা প্রসূত মনে হয়েছে। ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৭

লেখক বলেছেন: কানার বাজার,
কেন জানি মনে হইলে তো হবে না, কেন মনে হইছে সেইটা বলেন।
আমার মত আমি বলছি। আপনার পছন্দ হইলে বলেন, না হইলেও বলেন। কিন্তু মধ্যপন্থা বললে আপনার কি কোনো বাড়তি সুবিধা হয়? মধ্যস্থতা করার কোনো দায় আমার নাই। আমি আক্রান্ত হয়ে আক্রমণের প্রতিবিধান করার দাবি জানিয়েছি কর্তৃপক্ষের কাছে।
আপনাকে আগের পোস্টগুলো পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। বিশেষ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা... পোস্টটা।
২১. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৯
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "কর্তৃপক্ষ কেন এখনও ভালো ব্লগারদের (তারা যতই গালি দিক) আনব্যান করছে না সেটা একটা বিস্ময়"

ফাহমিদুল হক, আপনার লেখার মান অসাধারন - এটা যে কেউ স্বীকার করবে। কিন্তু গালিবাজরা কি করে ভাল ব্লগার হয়? এই কয়দিন গালি পাই নি, এর চেয়ে শান্তির কি আছে?

আনব্যান হয়ত হবে। এটাই আমার বিশ্বাস। কতৃপক্ষ একটা লিমিটেড সময়ের জন্য ব্যান করে রাখে। অতীতে তাই দেখেছি। কিন্তু গালির সেই পরিবেশে ফিরে যেতে চাই না।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩০

লেখক বলেছেন: ভাল ব্লগারদের আনব্যান দ্রুত বাস্তবায়িত হোক এটাই এখন প্রধান দাবি।
২২. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৯
comment by: শয়তান বলেছেন: @মুয়ীয মাহফুজ আপনি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন

এখন এই চরম সত্যটা সহ অনাগত ভবিষ্যত টা বুঝুক সবাই ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩১

লেখক বলেছেন: সহমত।
২৩. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৯
comment by: পাখী বলেছেন: কাদের রাজাকার বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী বলা হচ্ছে মুয়ীজ মাহফুজ ভাইয়া? ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোনো কথা লিখলেই রাজাকার হয়ে যায়না। এই ধরনের মনোভাব বাদ দিন দয়া করে । এখানে দেশবিরোধী কোন পোষ্ট আপনার চোখে পড়েছে একটু বলবেন কি?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৪

লেখক বলেছেন: মুয়ীজ রাজাকার ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বলতে ইসলাম ধর্ম নিয়ে যারা কথা বলেন তাদের বোঝাননি। রাজাকর ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিদেরকেই বুঝিয়েছেন বলেই আমার ধারণা।
২৪. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫২
comment by: শয়তান বলেছেন: ফাহমিদুল হক এর মন্তব্যে সম্পুর্ন সহমত
২৫. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৩
comment by: পাখী বলেছেন: ফাহমিদ:
গালিবাজরা কি করে ভাল ব্লগার হন? এতদিন কেন আমি ব্লগে আসিনি জানতে চান? গালির জন্য। আপনি সেই গালিবাজদের সাপোর্ট করে যাচ্ছেন? ছিঃ ছিঃ ছিঃ, এই আপনার শিক্ষা? আপনাদের কাছ থেক অনেক কিছু শেখার ছিল আমাদের। কিন্তু এখন আর নয়।

এই পোষ্ট টাকে স্টিকি করার দাবি আমারও।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৭

লেখক বলেছেন: গালি বিষয়ে ফাহমিদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার দ্বিমত আছে। কিন্তু তিনি ব্লগে গালি সমর্থন করেন বলে আমার মনে হয় না।

স্টিকি করার প্রয়োজন নাই। যাদের পড়ার তারা পড়লেই হবে।
২৬. ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৩
comment by: কালিদাস পন্ডিত বলেছেন:

"মুক্তিযুদ্ধের সমালোচনা" বিষয়টি আপত্তিকর মনে হইতেছে, মুক্তিযুদ্ধের গঠনমুলক বা অগঠনমুলক কোনপ্রকার সমালোচনা থাকিতেই পারেনা।
"মুক্তিযুদ্ধের সমালোচনা"কারীদের পশ্চাৎদেশে পদাঘাতপুর্বক রাষ্ট্র হইতে বিতারন অতিআবশ্যক।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৮

লেখক বলেছেন: আপনি মুক্তিযুদ্ধ বলতে কী বুঝেন পৃথক পোস্ট দিয়া অথবা এইখানে কমেন্ট দিয়া বোঝাইবেন কি?
তাইলে আপনার সঙ্গে কথা আগানো যায়।
২৭. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৭
comment by: মিরাজ বলেছেন: মাহবুব ভাই, চমৎকার লিখেছেন ।

দেশ এবং ব্লগীয় বাস্তবতা একসাথে তুলে এনেছেন ।

গালিবাজদের হাতে জিম্মী হয়ে থাকা আর নয় ।

আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে হবে এবং সামহোয়্যারইনকে একটি পরিচ্ছন্ন প্ল্যাটফর্ম করতে হবে যেখানে স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত থাকবে এবং গালিগালাজ ও অশ্লীলতা মুক্ত থাকবে ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৯

লেখক বলেছেন: সম্পূর্ণ সহমত। ধন্যবাদ, মিরাজ ভাই।
২৮. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৯
comment by: মিরাজ বলেছেন: কিছু কিছু অংশের সাথে দ্বিমত আছে কিন্তু এখন সেই ব্যাপারগুলি বর্তমান বাস্তবতায় সামনে আনলাম না ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪০

লেখক বলেছেন: দ্বমতগুলোর আলোচনাও দরকার। পরে করতে চাইলেও আমি রাজি।
২৯. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৯
comment by: মৃদুল মাহবুব বলেছেন: সমস্যাটা আরও গভীরতর দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

"প্রগতিশীলরা নৈরাজ্যবাদী। ধর্মপন্থীরা জঙ্গি।" এর বাইরে বাংলাদেশবাদী কন্ঠের আওয়াজ শুনতে চাই। তবে সে গনকন্ঠে যেনো রাজাকার, ধর্ম পণ্ডিত বা মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ী, জামাতীরা না থাকে। ধর্ম নিরপেক্ষতা কি এতই কঠিন একটা বিষয় আমাদের জন্য?

আমি যুদ্ধাপরাধীসহ আমাদের বাংলাদেশ লুন্ঠনকারী মহান রাজনীতিবিগনেরও বিচার চাই। তারাও জামাতীদের থেকে কম কিছু না। আ.লীগ, বিএনপি, জামাত নিপাত যাক। মানবতা হোক বাংলাদেশের উদার বুক।

আপনার লেখাটা নানা আলোচনার সুযোগ তৈরি করলো। আশা রাখি গঠনমূলক আলোচনা হবে। আমাদের ব্লগারদের আবস্থান পরিস্কার হবে। ভালো ব্লগারদের সস্মান মুক্তি চাই।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪২

লেখক বলেছেন: ইয়েস। ধন্যবাদ।
৩০. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৩০
comment by: মিরাজ বলেছেন: "আবার কেউ মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও তাকে রাজাকার খেতাব দেয়া হোক।"

মাহবুব ভাই, এই একটি লাইন আপনার পুরো বক্তব্যকে অনেক দুর্বল করে দিচ্ছে । এই লাইনটা বাদ দেয়া যায় না?

মুক্তিযুদ্ধের গঠনমুলক সমালোচনা হয়না, হতে পারে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে কাজে না লাগানোর ব্যাপারে গঠনমুলক আলোচনা ।

আমরা কেন মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলামনা দেশ গড়ার ক্ষেত্রে, সেই ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের দায় কতটুকু, কতটুকু দায় আমাদের এগুলি আলোচনায় আসতে পারে কিন্তু আমার দৃষ্টিতে শুধু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সমালোচনা হতে পারেনা ।

ধন্যবাদ ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৪

লেখক বলেছেন: এই লাইনটা আমি অনেক ভেবেই লিখেছি। @মিরাজ ভাই।
মুক্তিযুদ্ধের সমালোচনা করা যাবে কি যাবে না। তার আগে আমাদের জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধ কী? ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধারা জবাব দিলেই এ বিষয়ক আলোচনা আগাইতে পারে।
৩১. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪১
comment by: কালপুরুষ বলেছেন: জনাব মিরাজ, আপনার বক্তব্য সমর্থনযোগ্য। আমাদের "মুক্তিযুদ্ধ" সকল সমালোচনার ঊর্দ্ধে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোথাও কোন বিতর্কের কোন অবকাশ নেই এবং তা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৭

লেখক বলেছেন: কালপুরুষ দা,
আপনি ভাল ব্লগার। আপনার কাছে জিজ্ঞেস করি, মুক্তিযুদ্ধকে আপনি কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন? মুক্তিযুদ্ধের এমন একটা প্রসঙ্গের উল্লেখ করুন যা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বিবাদে লিপ্ত হয় নাই।
৩২. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৪
comment by: রোকন বলেছেন: কালপুরুষ ১০০% সত্য বলিয়াছেন, আপনার জন্য জাঝা :)
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৮

লেখক বলেছেন: কালপুরুষ ভাল বলিলেও আপনেরে ভাল বলিতে তো দেখি না।
৩৩. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫২
comment by: শয়তান বলেছেন: কালিদাস পন্ডিত বলেছেন:
"মুক্তিযুদ্ধের সমালোচনা"কারীদের পশ্চাৎদেশে পদাঘাতপুর্বক রাষ্ট্র হইতে বিতারন অতিআবশ্যক।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৯

লেখক বলেছেন: নিজামী তো কইলো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কথা। এখন আপনে আর কালিদাস যান দেখি লাথি মারতে। এখনও যান নাই?
৩৪. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৮
comment by: বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষ শক্তির ছালাম চাই না। আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির গালিও শুনতে চাই না। আমরা আওয়ামী টীমের পিকেটিং চাই না। আবার ছাত্র শিবিরের দাওয়াতও চাই না। আমরা একটা সুস্থ, সুন্দর, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে, প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা আছে এরকম একটা ব্লগ চাই। সেখানে ক্রিয়েটিভ চিন্তা ও সৃষ্টি প্রকাশ করতে চাই। ব্যস। যারা মতাদর্শ কায়েমের স্বপ্নে বিভোর তারাও থাকবেন। কিন্তু তারা যেন অন্যায় কোনো পদ্ধতি বেছে না নেন

আমরা এটাই চাই।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫০

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩৫. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:০৫
comment by: নু রা পা গ লা বলেছেন: কালপুরুষ বলেছেন: জনাব মিরাজ, আপনার বক্তব্য সমর্থনযোগ্য। আমাদের "মুক্তিযুদ্ধ" সকল সমালোচনার ঊর্দ্ধে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোথাও কোন বিতর্কের কোন অবকাশ নেই এবং তা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫০

লেখক বলেছেন: কপি কইরা আপনে কি বুঝাইতে চাইলেন। এই পোস্টটা হিট কেন বাড়াইতে চান?
৩৬. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:২৯
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: @ইসলাম ধর্মের সাথে যে রাজাকারীতার নিগুড় সম্পর্ক আপনি আমার মন্তব্য থেকে আবিস্কার করেছেন তাতে আপনার প্রতিভায় আমি মু্গ্ধ।একথা সকলেই জানে যে ইসলাম ধর্মীয় সেচ্ছাসেবক যে দল মানুষ হতা্যা করেছে তারা কি রাজাকার নয়?আপনার মত নব্য মুসলিম প্রজাতির যারা ইসলাম ইসলাম বলে চিৎকার করছেন,ধর্ম ব্যবসা করছেন,মুনাফা লুটছেন-তাদেরকে আমরা দেখেছি ৭১এ।প্রকৃত মুসলমান হওয়া আর দেশপ্রমিক হওয়ার মধ্য যেইসব পার্থক্য ও ফতোয়া দিয়ে ভাইয়ের গলায় ছুরি দিয়ে, আবার পাকিস্তানের অংশ হলে আজ পারমাণবিক বোমার অংশীদার হতাম টাইপ পোস্ট দেন এবং বলেন ইসলামের সাথে রাজাকারিতার সম্পর্ক নেই !কি নির্দোস আব্দার!স্বাধীনতার পর কোন ধর্মীয় রাজনৈতিক দলটি সক্রিয়ভাবে তাদের লজ্জাহীন,কোন ইসলামী দলটি আজকাল বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা নিয়ে র‌্যালী করে?জানেননা নাকি?হ্যা তারা ইসলামের কথাই বলে।ধর্ম
যদি হয় কোনো সুবিধাবাদীতার খাতিরে আজ এ কথা কাল এ কথা বলা তবে আমি তাকে ঘৃণা ও অবিশ্বাস দুটোই করি।

আর এ সংক্রান্ত পোস্ট আপনি নিজেই খুজে বের করুন,অনেক পাবেন।এইসব ফালতু লোকের পোস্ট নিয়ে আমার মেধা আমি ব্যয় করতে চাইনা বলে দুঃখিত।
৩৭. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৩৩
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: : @পাখী,
ইসলাম ধর্মের সাথে যে রাজাকারীতার নিগুড় সম্পর্ক আছে তা যে আপনি আমার মন্তব্য থেকে আবিস্কার করেছেন,তাতে আপনার প্রতিভায় আমি মু্গ্ধ।একথা সকলেই জানে যে ইসলাম ধর্মীয় সেচ্ছাসেবক যে দল মানুষ হতা্যা করেছে তারা কি রাজাকার নয়?আপনার মত নব্য মুসলিম প্রজাতির যারা ইসলাম ইসলাম বলে চিৎকার করছেন,ধর্ম ব্যবসা করছেন,মুনাফা লুটছেন-তাদেরকে আমরা দেখেছি ৭১এ।প্রকৃত মুসলমান হওয়া আর দেশপ্রমিক হওয়ার মধ্য যেইসব পার্থক্য ও ফতোয়া দিয়ে ভাইয়ের গলায় ছুরি দিয়ে, আবার পাকিস্তানের অংশ হলে আজ পারমাণবিক বোমার অংশীদার হতাম টাইপ পোস্ট দেন এবং বলেন ইসলামের সাথে রাজাকারিতার সম্পর্ক নেই !কি নির্দোস আব্দার!স্বাধীনতার পর কোন ধর্মীয় রাজনৈতিক দলটি সক্রিয়ভাবে তাদের কাজকর্মে লজ্জাহীন,কোন ইসলামী দলটি আজকাল বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা নিয়ে র‌্যালী করে?জানেননা নাকি?হ্যা তারা ইসলামের কথাই বলে।ধর্ম
যদি হয় কোনো সুবিধাবাদীতার খাতিরে আজ এ কথা কাল এ কথা বলা তবে আমি তাকে ঘৃণা ও অবিশ্বাস দুটোই করি।

আর এ সংক্রান্ত পোস্ট আপনি নিজেই খুজে বের করুন,অনেক পাবেন।এইসব ফালতু লোকের পোস্ট নিয়ে আমার মেধা আমি ব্যয় করতে চাইনা বলে দুঃখিত।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৩

লেখক বলেছেন: ইসলামের সঙ্গে রাজাকারিতার সম্পর্ক এত সরল নয় বলেই আমার ধারণা।
৩৮. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৩৪
comment by: নু রা পা গ লা বলেছেন: স্পষ্ট উচ্চারনের জন্যে ফাহমিদুল হককে অভিনন্দন।
৩৯. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৪৩
comment by: উন্মনা রহমান বলেছেন: ঘুম পাইতাছে...
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৪

লেখক বলেছেন: তখন কি ঘুম এসেছিল?
৪০. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:১১
comment by: এম.এ.হামিদ বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাধিনতা যুদ্ধ নিয়া গঠনমুল সমালোচনা করা গেলে, মাহবুব মোরশেদ তার পিতৃ জাত কিনা এটা নিয়ে কি গঠনমুলক সমালোচনা করা যাবে জিগাইলাম আর উনি বললেন আমি নাকি গালি দিসি
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৬

লেখক বলেছেন: তাইলে তো আপনে গালি দেন নাই মনে হইতেছে।
৪১. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:১৩
comment by: পান্জেরী বলেছেন: +
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
৪২. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:০৮
comment by: মদন বলেছেন: এতো ভেজাল না কইরা সাইট টা বন্ধ কইরা দিলেই তো ঝামেলা চুকে যায় ;)
অথবা-
প্রত্যেকে নিজ নিজ ব্লগ খুলে নিজের মতবাদ প্রচার করতে থাকুক।

অন্যান্য দেশের ব্লগ গুলো দেখার সুযোগ হয় নাই, সেখানেও কি আমাদের মতো ফাইট চলে নাকি??? ;)
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৮

লেখক বলেছেন: ভাল সমাধান।
ব্লগস্পট ও ওয়ার্ডপ্রেসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটা নীতিমালা গ্রহণের প্রস্তাব দিলে কেমন হয়?
৪৩. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৭
comment by: সবুজ সাথী বলেছেন: মাহবুব ভাই, খুব ভালো লেখা হয়েছে। +++++++++++। আপনার সাথে একমত।

"লেখক বলেছেন: এতদিন জানতাম ইসলাম হলো ধর্ম।
এখন দেখছি মুক্তিযুদ্ধ আরও বড় ধর্মে পরিণত হয়েছে।"
--- খুব সত্যি কথা বলেছেন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৯

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।


আজকে এই পর্যন্ত। আবার দেখা হোবে।
৪৪. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৯
comment by: সবুজ সাথী বলেছেন: শীমুলতা,
শুধু এই ব্লগেই না, সারা দেশেই তথাকথিত "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির" চেহারা এরকম।
৪৫. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৬
comment by: সবুজ সাথী বলেছেন: "এদেশে পাকিস্তানপন্থী আছে। ভারতপন্থী, চীন পন্থী, রুশপন্থী, আমেরিকা পন্থী এমনকি মালয়েশিয়া পন্থীও পাওয়া যাবে কিন্তু বাংলাদেশ পন্থী মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।"

মাহবুব ভাই, অফ টপিক একটা শোনা কথা বলে রাখি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মেরারজি দেশাইয়ের আমলে আমাদের দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের এক নেতা ভারতে গিয়ে মেরারজি দেশাইয়ের কাছে নাকি অভিযোগ করে যে, দেশে তাদের ওপর সরকার নির্যাতন চালাচ্ছে। মেরারজি দেশাই প্রশ্ন করেন কেন সরকার নির্যাতন চালাচ্ছে। নেতা বলেন "আমরা ভারতপন্থী তাই"। মেরারজি দেশাই নাকি বলেছিলেন "যান আপনাদেরকে ভারতপন্থী হওয়া লাগবেনা, বাংলাদেশ পন্থী হোন"।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৫২

লেখক বলেছেন: গল্পটা মজার। কিন্তু, সত্যি বলে মনে হয় না।
৪৬. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৫৭
comment by: দুরন্ত পিথক বলেছেন: আপনার লেখা গুলো পড়লে ভরসা পাই। খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন পোস্টটা। ধন্যবাদ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৩

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪৭. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:০২
comment by: দুরন্ত পিথক বলেছেন: রোকন বলেছেন: হা হা, আমি আগেই বলেছি ধর্মকে আমি বিশ্বাস করি না, কাজেই আমার কাছে ধর্মের কোন স্থান নেই। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ ঠিক মুক্তিযুদ্ধের স্থানেই আছে। ধর্মের আগে বা পরে থাকার কোন ব্যাপার নেই।
==============================
ব্যাটা ছাগল নাকি?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৪

লেখক বলেছেন: না উনি ছাগল নন। ছাগল একটা গালি। গালি পরিত্যাজ্য।
৪৮. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:১১
comment by: শীখা বলেছেন: লিখাটা গতকাল পড়ার পরই বুঝতে পারি আপনাকে অনেক গঞ্জনা সইতে হবে, তবে আমার ভয় নেই আপনি যথেষ্ট সাহসী। ধন্যবাদ এত সুন্দর এবং উজ্জল বোধ সম্পন্ন পোষ্টের জন্য। আশাকরি সবার মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারবেন কারা ব্লগের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার কাজে উঠে পড়ে লেগে আছে এবং কারা কেবল মতের সাথে না মেললে রাজাকার উপাধী দিয়ে দেয়। আরিলকেও ওরা রাজাকার বলেছে, আমাকে বলেছে রাজাকারের সঙ্গি! অদ্ভুত ব্যাপার। অথচ জীবনে কোনোদিন দেশ এবং স্বাধীনতার বিপক্ষে কিছুই বললাম না । সবসময় আমার সোনার বাংলা ও এর স্বাধীনতার সুবাতাসকে গায়েই মেখে চলেছি। তারপরও আমি রাজাকার? আমি ইসলাম ও এর ধর্ম সম্পর্কে তেমন কিছুই জানিনা, কিন্তু তারপরও এটা জানি যে, কেউ ধর্মের পক্ষে কোনো কথা বললেই সে রাজাকার হয়ে যায়না। আমি যদি আমার কোনো প্রিয় ব্লগারকে সাপোর্ট করি এবং সে যদি ইসলামের অনুসারী হয় এবং ধার্মিক পোষ্ট গুলোতে প্রসংশা করে আসে তবে কি আমি রাজাকার হয়ে গেলাম? কেন এতসব বাজে এবং নোংরা কথা শুনতে হল আমাকে তথাকথিত স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির ব্লগারদের কাছ থেকে? কিভাবে ওরা নিজেদের ভাল ব্লগার বলে দাবি করে? অন্য ব্লগারেরা কি দেখেননা যে মেয়ে ব্লগারেরা ঐসব পারভার্ট ব্লগারদের কাছে এতদিন কিভাবে জিম্মী হয়ে রইল। কই যাদেরকে তারা রাজাকার বলছে তাদেরকেতো কখনই দেখলামনা কোনো লেডি ব্লগারকে উত্যক্ত করতএ! যারা উত্যক্ত করেছে তারা সবাই স্বাধীনতার স্বপক্ষ বলে নিজেদের দাবি করে - এটাকি একটা যন্ত্রনাদায়ক কথা নয়? এতদিন হয়ে গেল এসব ঝগড়া ঝাটির কিন্তু দেশ বিরোধী পোষ্ট ছাড়া। একটাই শুধু দেখেছি, পাগলা বাবু আর অপার্থীব নামক ভারতীয় ব্লগার ছাড়া। একজনকে দেখলাম লিংক দিয়ে বেড়াচ্ছে কোথায় কোন পোষ্ট আরবী ভাষাকে ভালো বলা হয়েছে লে সেটা নাকি বাংলাকে অপমান করেছে! এ ধরণের উদ্ভট যুক্তি দিয়ে যদি বিচার করা হয় দেশবিরোধী ও রাজাকারী পোষ্ট তাহলে মনে করি, ব্লগটা আসলেই অন্তসার শূণ্য হয়ে পড়বে।

ধন্যবাদ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৭

লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪৯. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৩০
comment by: অচিন্ত বলেছেন: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: @ইসলাম ধর্মের সাথে যে রাজাকারীতার নিগুড় সম্পর্ক আপনি আমার মন্তব্য থেকে আবিস্কার করেছেন তাতে আপনার প্রতিভায় আমি মু্গ্ধ।একথা সকলেই জানে যে ইসলাম ধর্মীয় সেচ্ছাসেবক যে দল মানুষ হতা্যা করেছে তারা কি রাজাকার নয়?আপনার মত নব্য মুসলিম প্রজাতির.................
=======================================
আমি ইসলাম সম্পর্কে খুব বেশী কিছু জানিনা তয় যা জানি তাতে মনে হচ্ছে আপনার মন অনেক সংকীর্ণ ।আরো উদার হন।

দুইটা জিনিসে পার্থক্য আছে। ইসলামী স্বেচ্ছাসেবী দল আর ইসলাম ধর্মের মধ্যে পার্থক্য আছে। দল চলে দলের নেতার মত অনুসারে আর ধর্ম তো ধর্মই। দুটো জিনিসকে একসাথে মিশিয়ে সরবত বানাবেন না প্লিইজ।
৫০. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:২৬
comment by: হলদে ডানা বলেছেন: ইসলাম ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করি।

ইসলাম এমন একটি দ্বীন বা জীবন ব্যাবস্থা যা একটি রাষ্ট্র ছাড়া পরিপূর্ণভাবে মেনে চলা সম্ভব নয়। তাই যারা ইসলামের কথা বলেন, ইসলামের প্রচার চান, তাদেরকে বাধ্য হয়েই ইসলামী রাষ্ট্রের কথা বলতে হয়, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাতে হয়। এখানেই রাজনীতির প্রয়োজন।

এখন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকামী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে যদি আপনার পছন্দ না হয়, ইসলামের শত্রু মনে হয়, তবে অন্য কোন দলে সম্পৃক্ত হয়ে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলুন অসুবিধে নেই। কিন্তু ইসলামী রাজনীতি নিয়ে কটুক্তি করা ঠিক হবেনা।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

লেখক বলেছেন: ধর্মের প্রয়োজনেই এখন ধার্মিককে ধর্মের রাজনীতি থেকে বাইরে থাকতে হবে। আর রাষ্ট্রের প্রয়োজনে নাগরিকের ব্যক্তি জীবনে ধর্মকে সীমাবদ্ধ করা দরকার। রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা ধর্মের মূল এজেন্ডা এটা আমার মনে হয় না।
৫১. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: ধারালো বক্তব্য।

যারা মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা করা যাবেনা বলে চিৎকার করছেন তাদের বলি- সমালোচনা শব্দটি অনেক ব্যাপক। ইংরেজীতে যদি আপনি ক্রিটিসিজম ধরেন সেখানে কিন্তু ভালো এবং মন্দ এই দুই দিককেই সমালোচনা বলে। একটা উদাহারণ দেই, লিরিক্যাল ব্যালাডস যদি একটি ক্রিটিকস হয় তাহলে বাংলায় কি দাঁড়ায়? দাঁড়ায় লিরিক্যাল ব্যালাডস একটা সমালোচনা মূলক গ্রন্থ। কিন্তু সেই গ্রন্থেকি কেবল কবির বা সাহিত্যিকের দূর্বল দিকই তুলে ধরে? সেখানে কি সবল এবং ইতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়নি? তাহলে কেন সেটাকে আপনি সমালোচনা বলবেননা? "সমালোচনা" শব্দের শাব্দিক এবং পারিভাষিক কোন অর্থকে রুট ধরলে কিন্তু মাহবুব মোর্শেদের এই কথাটাকে দৃষ্টিকটু মনে হবেনা। সমালোচনা যেকোনো ভাবেই হতে পারে, একটা হল সমালোচনার জন্যই সমালোচনা আরেকটা হল গঠনমূলক সমালোচনা। মুক্তিযুদ্ধকেও আমরা সমালোচনার কাতারে আনতে পারি এবং সেটা অবশ্যই গঠনমূলক অর্থাৎ সেই সমালোচনাটা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষেই যাবে। লেখক এটাই বোঝাতে চেয়েছেন।এবং এটাই গঠনমূলক সমালোচনা। আর এখন যারা ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে মাতামাতি করছেন অনেক কিছু চোখের অগোচরে রেখে উজ্জল অনেক বক্তব্যকে আড়াল করার জন্য সেটাকেই আমরা বলতে পারি সমালোচনার জন্যই সমালোচনা।

এবার আসি, মুয়ীজ মাহফুজের বক্তব্যে, পাখী নামক একজন ব্লগারের প্রতি আপনার যেই আক্রমনাত্মক ভাষা দেখলাম তাতেই আমার ভয় লাগছে এই বুঝি আপনার মুখ দিয়ে কোনো গালি বেড়িয়ে পড়ল কিনা, তারপরও কিছু কথা না বললেই নয়, আপনার করা কমেন্ট থেকে কোট করছি, "আপনার মত নব্য মুসলিম প্রজাতির যারা ইসলাম ইসলাম বলে চিৎকার করছেন,ধর্ম ব্যবসা করছেন,মুনাফা লুটছেন-তাদেরকে আমরা দেখেছি ৭১এ" -- নব্য মুসলিম প্রজাতির ইসলামিক চিৎকার বলে আপনি যেভাবে গলা উচ্চ করেছেন সেটাকে আমি কেন অনেক ব্লগারই ভাবতে পারছেননা যে আপনার বটমলাইন কি। আপনি কি তাহলে বলতে চান যে প্রকৃত দেশপ্রেমিক কখনও ইসলাম পন্থি হতে পারবেনা? অথবা ইসলামপন্থি কেউ দেশের কথা যখন বলে তখন সে অবশ্যই ভন্ডামি করে বলে? অথবা আপনিকি বলতে চান ৭১ এর রাজাকারেরা মুসলিম ছিল বলে ইসলামপন্থি দেশপ্রেমিকেরা রাজাকার। নইলে আপনি একথা বলার ধৃষ্টতা কিভাবে করতে পারেন যে, আপনাদের মত নব্য ইসলামপন্থিরা মুনাফা লোটার জন্য ইসলাম ইসলাম করছে? এতে করে কি আপনি নিজেকে অনেক হালকা প্রমান করছেননা?
আপনি এও বলেছেন, আপনারা বলেন যে রাজাকারিতার সাথে ইসলামের সম্পর্ক নেই। হ্যাঁ, এ কথা আমিও বলি, রাজাকারের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। এবং একবার নয় বারবার বলি। রাজাকার সকল মুসলিম ছিল, তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে জঘন্য হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। কিন্তু পক্ষান্তরে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম এবং স্বাধীনতার সাপোর্টে সাধারণ অনেক দেশবাসিরাও ছিলেন মুসলিম। আপনার কথাতে মনে হচ্ছে আপনি মুসলিম এবং মুক্তিযোদ্ধাকে পরষ্পর বিপরীত অবস্থানে দাঁড় করাতে চাইছেন। কিন্তু দয়া করে এটা ভুলে যাবেননা যে, ধর্মের প্রভাব সাধারণ মানুষদের উপর স্বাধীনতার প্রভাবের চাইতে অনেক বেশি পড়ে । আর এর সুযোগ যদি কোন পক্ষ নিয়ে সেটাকে নেগেটিভ দিকে ব্যাবহার করে তবে তাতে কখনই অন্য সাধারণ ধার্মীককে দোষ দেয়া যায়না। যেটা আপনি ঢালাও ভাবে করার একটা আ্যটেম্পট নিয়েছিলেন। সেটা খুবই চোখে লেগেছিল বলে আমার এই কমেন্ট।

মাহবুব মোর্শেদকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা, নাকি ভুল করে ফেললাম? আবার আপনাকে তোপের মুখে ফেলে দিয়ে যাচ্ছি যে কেন চতুরভূজ আপনার পিঠ চাপড়ে সাবাশি দিয়ে যাচ্ছে। কারণ ভার্চূয়াল গুণ্ডাদের কাছে মাঠা বিক্রি না করে করে আমার নামের সাথেও রাজাকার উপাধি যুক্ত হয়েছে যেখানে আমার বাবার নামের সাথে যুক্ত আছে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা উপাধি!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

লেখক বলেছেন: ভুল করবেন কেন? আপনার কথা আপনি বলেছেন। বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫২. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৮
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: কারেকশন
মাঠা= মাথা
৫৩. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০০
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষ শক্তির ছালাম চাই না। আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির গালিও শুনতে চাই না। আমরা আওয়ামী টীমের পিকেটিং চাই না। আবার ছাত্র শিবিরের দাওয়াতও চাই না।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১০

লেখক বলেছেন: হ।
৫৪. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
comment by: ইেলারা বলেছেন: ভাল কথাতো
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫৫. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
comment by: কোলাহল বলেছেন: খুবই বাজে পোষ্ট। ছি: এত বাজে লেখেন কিভাবে ? (ডোন্ট মাইন্ড,প্রশংসা করে আপনাকে বিপদে ফেলতে চাই না।)
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫৬. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: উম্মু আব্দুল্লাহ ও পাখী@আমি বলেছি গালিতে আমার আপত্তি নেই, গালিসর্বস্বতায় আছে। তার মানে এই নয় যে, 'গালিবাজ'দের আমি অনুমোদন করছি। কিন্তু কখনো কখনো গালি অবলীলায় আসতে পারে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্পের পুরনো ঢাকার চরিত্রগুলো খুব গালি দেয়। কারণ ঐ অঞ্চলের মানুষ ঐভাবেই কথা বলে। ওখানকার কোনো তরুণ যখন বলে, "মাগীটা আমাকে খুব জ্বালাচ্ছে।" এর অর্থ হলো সে প্রেমে পড়েছে। ওর কথার লেভেল শুরুই ওখান থেকে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কেউ যদি প্রভোকড থাকে, এবং মুক্তযুদ্ধবিরোধীকে বিরোধিতা করতে গিয়ে যদি কেউ গালি দেয়, তাতে অনেকের হয়তো আপত্তি থাকতে পারে, আমার সেখান অবজেকশন নেই। তবে তার সেই বিরোধিতার বচনে যদি গালি ছাড়া আর কিছুই না থাকে, তবে তার মূল্য খড়কুটোও নেই। গালি কোনো রচনার অনুষঙ্গ হতে পারে, প্রধান বক্তব্য হতে পারেনা।
শিক্ষার কথা যদি বলেন (আমার শিক্ষক পরিচয়কে যদি ইঙ্গিত করেন), গালি দেয়া খারাপ, এই বাণী প্রাথমিক শিক্ষায় জরুরি, উচ্চশিক্ষায় নয়।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের প্রভাবেই কি না জানি না, গল্পে আমিও অনেক গালি ব্যবহার করেছি। ব্যক্তিগত বন্ধুদেরকেও স্বচ্ছন্দে গালি দেই আমি। যে মানুষটা পাবলিকলি গালি দেয় তার একটা শ্রেণী পরিচয় ও সামজিক পরিচয় আছে। সেইখানে তার সেই গালিকে মেনে নিতে অনেকেরই আপত্তি থাকার কথা না। আমি খেয়াল করেছি, যাকে তাকে তারা যেকোনো গালি দেয় না। কিন্তু, শিক্ষিত লোকেরা গালি দিতে গিয়ে সব গড়বড় করে ফেলে। শ্রেণী পরিচয়ের কারণে এইরকম হয় বলে আমার বিশ্বাস। পাবলিক ফোরামে শিক্ষিত লোকেরা পরস্পরকে গালি দেয় না, বলেই সাধারণ মান্যতা আছে। এক্ষেত্রে গালি দিলে যোগাযোগের ভাষা ও পদ্ধতি দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে আমার মত। কেউ যদি একে পুরান ঢাকা বা কামরাঙ্গির চর বানাতে চান তবে নিশ্চয় তিনি কিচুটা সফলতা অর্জন করবেন। কিন্তু, বাকীরা তা মেনে নেবে বলে মনে হয় না। আর গালি ব্যবহার করে ইলিয়াসের গল্পের মতো গল্প কেউ যদি লিখতে পারেন তবে গালি বিরোধি হয়েও সবার আগে আমি তাকে স্বাগত জানাবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
৫৭. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
comment by: মিরাজ বলেছেন: @ ফাহমিদ ভাই,
গোষ্ঠীগত বা স্থানগত ক্ষেত্রে অনেক শব্দই গালি হিসাবে ব্যবহৃত হয়না যেমন পুরান ঢাকার ক্ষেত্রে আপনি "মাগী" শব্দটির উদাহরন দিলেন। কিন্তু সেই একই শব্দটি যদি এখানে কোন এক নারী ব্লগারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয় তা নিশ্চিতভাবেই গালি হিসাবে বিবেচিত হবে । কারন যিনি দিচ্ছেন তিনিও পুরাতন ঢাকার মানুষের ভাষায় কথা বলেননা এবং যাকে দেওয়া হচ্ছে তিনিও না । একটি শব্দ কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে তাই নির্ধারণ করে শব্দটি গালি হবে নাকি প্রান্তিক জনপদের ভাষার উদাহরণ হবে ।

তাই প্রান্তিক জনপদের ব্যবহৃত যে কোন শব্দই সু-নির্দিষ্ট প্রেক্ষিত ছাড়া ব্যবহার করা যায় না ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

লেখক বলেছেন: বাহ।
৫৮. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৪
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: মিরাজ, আপনার উদাহরণটি যুৎসই, আমার বক্তব্য পরিস্কার করার জন্য তা কার্যকরী। আমিও দেখতে চাইবো পরিপ্রেক্ষিতটি, একজন ব্লগার কেন আরেকজনকে গালি দিচ্ছে।
সত্যি বলতে কি যেরকম অকারণ ও লাগামছাড়া গালাগালি মাঝে মাঝে দেখি. তা আমাকে করা হলে, আমিও ব্লগ ছেড়ে চলে যাবো। কারণ আমি প্রিয় বর্ণমালা দিয়ে শব্দ সাজাতে এসেছি এখানে, অন্যরা এই দুঃখিনী বর্ণমালাকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে সৃজনশীলতায় ও বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজে নিজেকে ব্যাপৃত রাখছেন, তাও পড়তে চাইবো। কিন্তু এই বর্ণমালার অপব্যবহার আমারও সইবে না।
কিন্তু গালিকে যদি আপনি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেন, তবে শব্দের শক্তিকেও কিন্তু আপনি রুখে দিলেন। ধরুন আমিও ইলিয়াসের মতো এক গল্পে গালি ব্যবহার করতে চাই, সেটা এখানে দিলাম। কিন্তু আমাকে ব্যান করা হতে পারে।
আমি এই পোস্টের প্রথম কমেন্টেই বলেছি 'কিন্তু আপনার মতো আমিও মনে করি, ঐ দুইটা জিনিস গ্রহণীয় নয়।' এক হলো মুক্তিযুদ্ধ ও জাতিসত্তাবিরোধী মন্তব্য এবং নির্বিচার গালাগালি।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

লেখক বলেছেন: সহমত।
৫৯. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:০৭
comment by: মিরাজ বলেছেন: @ ফাহমিদ ভাই

আপনি যদি ইলিয়াসের মতো আপনার ভাবনার প্রকাশমাধ্যম হিসাবে প্রেক্ষিত ঠিক রেখে কোন শব্দকে ব্যবহার করতে চান তাহলে সেটা গালি হবেনা, হবে সেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাবনার প্রকাশ । তাই এখানে ব্যান বা কোন ব্যবস্থা নেবার প্রশ্নই আসছেনা ।

আশা করি আপনি আমার অবস্থান বুঝতে পারছেন ।
৬০. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১১
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: ফাহমিদ ভাইয়ের বিপরীতে মিরাজের মন্তব্য ঠিক আমার মনের কথাকেই প্রকাশ করে যেন, ধন্যবাদ মিরাজ।
৬১. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৯
comment by: সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:


গুড পোস্ট।

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে ফেড আপ হয়ে গেছি।
মুক্তিযুদ্ধের সাথে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলার প্রবণতা দুঃসময় নিয়ে আসবে তাতে সন্দেহ নেই।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬২. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: বিরোধিতার বচনে যদি গালি ছাড়া আর কিছুই না থাকে, তবে তার মূল্য খড়কুটোও নেই। গালি কোনো রচনার অনুষঙ্গ হতে পারে, প্রধান বক্তব্য হতে পারেনা।

মিরাজ, আপনার বক্তব্য আমার কাছে প্রথম থেকেই পরিস্কার।

মুশকিল হলো পুরোপুরি গালিমুক্ত করতে গিয়ে আপনি কিছু ভালো ব্লগার হারাচ্ছেন। ঐ ব্লগাররা যদি গালি ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে প্রতিরোধ করতেন, আমি খুব খুশি হতাম। মাহবুব মোর্শেদের এক পোস্টেই পড়লাম, আদর্শকে ঠেকাতে হবে আদর্শ দিয়ে।

শব্দের এটাও বিরাট শক্তি যে গালি না দিয়ে আপনি অনেকক্ষণ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাত দে হারামজাদা বলতেই হয়।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

লেখক বলেছেন: এরকম কয়টা উদাহরণ দিতে পারবেন ফাহমিদ ভাই?
৬৩. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৩
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
ভাত দে হারামজাদা বলার পর কি ভাত মেলে? নাকি তাকে শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যি মানচিত্রই খেতে হয়? এই মানচিত্র খেয়ে ফেলার পর যদি সে নিজেকে সবল মনে করত তবে একটা কথা ছিল। কিন্তু গালি দূর্বলতার লক্ষন। এটা কখনই কারো মন্তব্যের জবাবে শিল্প হতে পারেনা।
৬৪. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫২
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: চতরভূজ, ঐ কবিতার জনপ্রিয়তা দেখে কবি রফিক আজাদকে বিব্রত হতে দেখেছি। তিনি নিজেও মনে করেন এটি তার দুর্বল একটি কবিতা।
কিন্তু সামহোয়ারের সব ইস্যু শিল্পমুখী নয়। নিরেট রাজনৈতিক বাহাসে রুচিবোধ নামতে থাকে।
সামহোয়ারও জাতীয় সংবাদপত্রের মতো অতটা প্রাতিষ্ঠানিক ফোরাম নয়। কিছুমাত্রায় গালাগালি এখানে চলে আসতে পারে।
কিন্তু খুব অরুচিকর এবং অকারণ, অযৌক্তিক হলে আপত্তি আমারও আছে।
৬৫. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৬
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: @চতুরভুজ,

আপনার মন্তব্যটা আমার কাছে স্পস্ট নয়।
কারণ আমি পাখীকে আমি মোটেও আক্রমণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে করিনি।আপনি দেখবেন যে "আপনার মত" কথাটি দিয়ে উল্লেখ করেছি।এখানে বিশেষ নয় বরঙ আমি সার্বিক কোন অবস্থা নির্দেশ করছি।আর গালি দেবার যে আশংকা আপনি আমাতে দেখেছেন তা আপনার অতিরন্জন ছাড়া আর কিছু নয়।

এখন ধর্মমত নিয়ে ফ্রয়েড তার টোটেম ও টাবু বইতে একে সমাজের উদ্বায়ু রোগ বলেছেন।যদিও ফ্রয়েড নিজেও অনেক সমালোচনায় দুস্ট আমি তবুও তার মত ধর্মকে রোগই বলতে চাই,সমস্ত ধর্মেরই ঈশ্বরেরই তাত্বিক উন্মেষ দর্শনের অধিবিদ্যা থেকে।সক্রেটিস খ্রীস্টপুর্ব ৫০০ সালে সার্বিক প্রত্যয়ের ধারক হিসেবে ইশ্বরতত্ব প্রচলন করেন।যাহোক অনেক পরে সমস্ত ধর্মের একেশ্বরবাদ প্রতিস্ঠিত হয়।তারো অনেক পরে ধর্ম একটা সমাজ কাঠামোতে ধর্ম নামক অর্থহীন বিষয় যুক্ত হয় এবং মানুষকে ক্রমশ অতিলৌকিক সত্বার উপর ভার লাঘব করে বাচতে চায়।

এসব বলার উদ্দেশ্য হলো সকল সমাজেই ধর্ম এখন একপ্রকার লাভজনক ব্যবসা ছাড়া আর কিছু নয়,হয়তো মানুষ অনেক ভক্তি নিয়েই এসব বিশ্বাস করে,কিন্তু ধর্মের মুল সুবিধা ভোগ করে উচ্চশ্রেণী।যেমন বাংলাদেশে কেউ যদি কোন জেলায় নির্বাচিত হতে চায়,সে সবার আগে ভোট পাবার জন্য হাসপাতাল স্কুল না করে কয়েকটি মাদ্রাসা ও মসজিদ নির্মাণ করে এবং সে বেশ জনপ্রিয় হয়,আমি এদেরকেই ধর্ম ব্যবসায়ী বলেছি।

আর দেশপ্রেম বিষয়ে আপনি যেটা ভেবেছেন তা তো ভুল,রাজাকারের দেশপ্রেম তো ছিলো পাকিস্থান বিষয়ে।আর দেশপ্রেমিক মুসলমানরা যে রাজাকার তা আমি কোথায় বললাম?(আমি একচোট হেসে নেই আগে)।আমি বলেছি দেশপ্রম বলতে রাজাকাররা মুসলিমদের জন্য একটা অখন্ড পাকিস্তানকে আদর্শ ভেবেছিলো,কারণ পাকিস্থান একটি মুসলিম দেশ এবং বাংলাদেশকে সে সময় ভারত সমর্থন করছিলো বলে রাজাকারদের ভয় ছিলো বাংলাদেশ কি শেষমেশ একটা হিন্দুস্থানে পরিণত হয় কি না।আশাকরি এবার বুঝেছেন।

@একটি পাবলিক ফোরামে আমার মত আমি প্রকাশ করবো।আপনি সমালোচনা করুন না যুক্তি দিয়ে।

শরবতটা টেস্টি হইছে,খায়া যান।
৬৬. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০০
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: ফাহমিদ ভাই, আপনার শেষের কমেন্ট কিন্তু অনেক কিছুই প্রমান করে এবং আপনার অবস্থানকে অনেক পরিষ্কার করে। সাধুবাদ জানাই। ধন্যবাদ।
৬৭. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৬
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: ব্লগিং শুরুর প্রথম থেকেই আমি গালির বিরুদ্ধে সোচ্চার,সম্মানীত ব্লগারবৃন্দের কেউ কেউ সেটা জেনে থাকবেন । একাধীক পোষ্টে আমি উল্লেখ করেছি,স্বঘোষীত রাজাকারদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হলে গালির পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

ব্যাক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কারণে, ব্যক্তিআক্রমণ করতে গিয়ে যারা গালিবাজী করেন তাদেরকে আরো সহজে তখন প্রতিরোধ করা যাবে, সবার একাত্মতাই ।

কিন্তু উস্কানীমূলক পোষ্ট আর পোষ্টদাতাদের যদি কর্তৃপক্ষ বাচিয়ে রাখতে চান,তাহলে গালি বন্ধ করা যাবেনা । আরিল সাহেবকেও গালি
খেতে হবে ।

এই ব্লগের মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে আমার একটি পোষ্ট এখানে তুলে দিলাম,-

"আমি রাজাকার'-এর "পাঞ্জেরী" পোষাক, মনের ভেতর একই রাজাকারী রূপ !!
.......................

"আমি রাজাকার" নিক ব্যান হবার পর, পান্জেরী নিকে রূপপরিগ্রহ করা স্বঘোষীত রাজাকার কিভাবে এই ব্লগে টিকে থাকে, বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজের জন্য এটি এখন খুবই জরুরী প্রশ্ন হওয়া উচিত। যে নিজেকে রাজাকার হিসেবে ঘোষণা দেই, অন্য নিক নিলেই কি,- তার মন-মনন বদলে যায় ?

না যায় না । বদলে যে যায় না তার প্রমাণ স্বঘোষিত রাজাকার পাঞ্জেরীর এই পোষ্ট-একটি প্রশ্ন: 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী' প্রজেক্টে দাদাদের বিনিয়োগের পরিমাণ কত?

এই পোষ্ট কি প্রমাণ করে ?-
*যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রতিজন বাংলাদেশীর প্রাণের দাবী নয় (রাজাকারেরা ছাড়া)?
* আজ আপামর যে জনসাধারণ, যুদ্ধাপরাধী নরকের কীটগুলোর বিচারের দাবীতে সোচ্চার, এরা সবাই ভারতের চর ?
*ভারতের কাছ থেকে সুবিদাভুগী ?
* দেশের জন্য মমতা নয়, বরং ভারতের দেয়া অর্থের লোভেই বাংলার কুটি কুটি মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইছে ?

সা. ইন-এর কর্তৃপক্ষ মডারেটরেরা এ-জাতীয় পোষ্টকে কি ভাবেন, জানিনা। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জা পাই, অপমানীত বোধকরি 'রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা' এবং 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার' চাওয়াকে পাঞ্জেরীর মত রাজাকারদের কাছে সুবিদাবাধী চাওয়া হিসেবে আখ্যা পায় বলে । এবং এইসব রাজাকার ছাগশিশুরা তাদের অপমত প্রকাশে বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজের মত একটি প্লাটফর্ম ব্যবহারের সুবিদাপ্রাপ্ত বলে । প্রবল প্রতাপে বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজের বাঁধ যদি একদিন সত্যিই ভেঙ্গে যায়, বাঁধ রক্ষার গানে সেইদিন হয়তো আর কাজ নাও হতে পারে !

আমিতো জানি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী আমার প্রাণের দাবী ।

সঙ্গত কারণেই, দেশপ্রেমিক মানুষদের অনুভূতিতে আঘাত করা অমন পোষ্টের মালিকের ব্যান চাই ।

................................................................

মাহবুব মোর্শেদ ভাই কি একটু বলবেন, উপরে মন্তব্য করা "পাঞ্জেরী" নিকটি কেন এখনও আইপি সহ ব্যান হলোনা ?


১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

লেখক বলেছেন: আবদুর রাজ্জাক শিপন,
আমার একটা সবিনয় প্রশ্ন হলো, ব্লগারদের মধ্যে কেউ কেউ যাকে তাকে যখন তখন রাজাকার বলেন। এবং সেটা তারা অব্যাহত রাখতে চান। এবং কাউকে রাজাকার উপাধি দেয়াটাকে তারা বেশ গর্বের ব্যাপার মনে করেন। বহু ব্লগারকে এ ধরনের উপাধি বা গালি খেতে হয়েছে। এখন কেউ যদি স্বেচ্ছায় গালিবাচক একটি নাম নিয়ে আসেন তবে কেন তার বিরোধিতা করা হচ্ছে?
এটা যদি নৈতিক সমস্যা তৈরি করে তবে চোর ডাকাত রাহাজানি ঘাতক নামগুলোও তো নৈতিক সমস্যা আগেই তৈরি করেছে। সেক্ষেত্রে বিরোধিতা করা হয়নি কেন?
৬৮. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৪
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: @মুয়ীজ মাহফুজ,
আপনি ধর্ম নিয়ে যেসব রেফরেন্স টানলেন সেগুলোর জবাব দিতে আমার অনেক সময় লাগবে, এবং এসব নিয়ে অনেক আলোচনাই করা যায়। আমি আবার ছোট করে কিছু বলতে পারিনা। বিজ্ঞানের ছাত্রী তাই সাহিত্যকে রসময়ও করতে পারিনা, যা কিছু বলি বা লিখি তা কেমন করে যেন কাটখোট্টা হয়ে যায়। দুঃখিত।

যাই হোক, আপনি ফ্রায়েডের কথা টেনে এনেছেন এবং তার টোটেম ও টাবু বইয়ের কথা বলেছেন, মেনে নিলাম তিনি যেভাবে ধর্মকে রোগ বলে গিয়েছেন সেটাকে আপনার মেনে নিতে ভাল লাগে। কিন্তু আপনি সেই ফ্রায়েডেরই " ইন্টারপ্রিটেশন অব ড্রীম" বইটি একটু ভালভাবে পড়ুন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন কতটা গোঁজামিলে ভরপুর তার কিছু কিছু যুক্তি। আমি টোটেম ও টাবু বইটি পড়িনি, হয়ত সুযোগ হয়নি কিন্তু আমি ঈমাম গাজ্জালীর ; কিমিয়ায়ে সা'দাত' পড়েছি। ভয় পাবেননা সেখানে জীবন ও জীবন দর্শনের কথাই লেখা আছে কিভাবে ও কেন মানুষ একেশ্বরবাদের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে এর চমৎকার বর্ণনা আছে। আমার বিশ্বাস সেটি পড়লে আপনার দর্শনও কিছুটা পাল্টাবে।

আপনি ধর্ম ব্যাবসায়ীদের যে উদাহারণ দিয়েছেন সেটা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে। কেননা, ধর্ম ব্যাবসায়ীরা ফায়দা লোটে মাদরাসা করে বিধায় যে সেখান থেকে ধর্মের সঙ্গা বদলে দিতে হবে এবং ধর্মকে বাহুল্য হিসেবে মার্ক করতে হবে সেটা ঠিক নয়। বরঞ্চ এখানে আমরা ধর্ম বর্জন না করে সচেতনাতাকে প্রাধান্য দিতে পারি। আপনি প্লীজ আবার বলবেননা যেনো যে, "আমি কখন বললাম ধর্ম বর্জন করতে?" আপনি ফ্রায়েডের রেফরেন্সা টানাতেই কথাটা বললাম। আমার কাছেতো সেকুল্যারিজমকে একটা রোগ মনে হয়।

আপনি বলেছেন দেশপ্রেম বিষয়ে আপনি যা বলেছেন তাতো ভুল, মাহফুজ, আমি দেশপ্রেম বিষয়ে আমার আগের কমেন্টে কোথাও বিশ্লেষন করেছি বলেতো মনে পড়েনা!
আপনি ঠিকই বলেছেন রাজাকরদএর একটা ভয় ছিল দেশটাকি শেষ মেশ একটা হিন্দুস্তানে পরিনত হয় কিনা। কিন্তু তারপরও দেশ স্বাধীন হয়েছে, ৩০ লক্ষ মানুষ প্রান দিয়েছে, সেই ইসলামিক দেশটিই এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইসলামিক দেশ জনসংখ্যার দিক দিয়ে। তাহলে দেখুন, ধর্মের এতটা প্রভাব থাকা সত্বেও যেখানে এই ভয়ংকর সুন্দর কাজটি হয়ে যেতে পারে সেখানে আপনি কিভাবে বলতে পারেন যে গ্রামে মাদ্রাসা দিলেই মানুষের চেতনাধারা বদলে যাবে?

আশাকরি, বুঝতে পেরেছেন।


চিনিবিহীন শরবত আমার কাছে টেস্টি লাগেনা।
৬৯. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩০
comment by: নু রা পা গ লা বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ ভাই কি একটু বলবেন, উপরে মন্তব্য করা "পাঞ্জেরী" নিকটি কেন এখনও আইপি সহ ব্যান হলোনা ?

(কবি এখানে নিরব:))
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

লেখক বলেছেন: ব্লগের নীতিমালা পড়ে নোটিশবোর্ডের কাছে কমপ্লেইন করেন।
৭০. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩১
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: শিপন, আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা আপনি গালির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, একবার আপনি আমার প্রতি দেয়া কিছু গালি নিয়ে পোষ্টও দিয়েছিলেন।
কিন্তু এখানে আপনি যেটা বলছেন যে যুদ্ধাপরাধীর বিচার আপনার আমার সবারই প্রানের দাবী, মজার কথা হল, সেটা রাজাকার খ্যাত জামাতেরও প্রানের দাবী। আর পাঞ্জেরী যদি চুনোপুটি রাজাকার হয় তবে রাগব বোয়াল হল তাদের আমীর। যদি সেই আমীরই বলে থাকে যে যুদ্ধপরাধীর বিচার হোক, তাহলে সে মানতে নারাজ হলে তাকেতো দল থেকে বহিষ্কারই করা হবে।
আরেকটা কথা , পাঞ্জেরী কিন্তু নিজেকে সবসময় বলে এসেছে যে সে রাজাকার নয় তাহলে সে কিভাবে স্বঘোষিত রাজাকার হয়?

সবশেষে, আমি চাই আপনার ব্যান তুলে নেয়া হোক।
৭১. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: ভালো কথা, তার পোষ্ট এই প্রথম পড়লাম। প্রথমেইতো সে লিখেছে যে, যুদ্ধাপরাধীর বিচার হোক! এবং এরজন্য সে জোড়ালো ভাবে লিখে যাচ্ছে, তাহলে এটাকে কেন ইস্যু করা হল?
৭২. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
comment by: নু রা পা গ লা বলেছেন: কিন্তু এখানে আপনি যেটা বলছেন যে যুদ্ধাপরাধীর বিচার আপনার আমার সবারই প্রানের দাবী, মজার কথা হল, সেটা রাজাকার খ্যাত জামাতেরও প্রানের দাবী।

:)


চতুরভুজ নিজেই একজন গালিবাজ।
৭৩. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৪
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: হ্যাঁ, আমি ভাত দে হারামজাদা টাইপ গালিবাজ!
৭৪. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০১
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: @চতুরভুজ,

ফ্রয়েডের খাবনামা অনেক আগেই পড়েছি,কোথায় আমার খুববেশী খাপছাড়া তো লাগেনি,বরন্চ অনেক বিষয় আমার গ্রহণযোগ্য মনে হলো।ফ্রয়েডের সমালোচনা করা যেতে পারে তার লিবিডোতত্ব পুরুষতান্ত্রিকতাও জন্য ।তবে আপনার পাঠক্রম সুবিধার লাগলোনা।ইমাম গাজালীই তো ইসলাম সংস্কার করার নামে ১২ টা বজায় দিলো বলে আমার মনে হয়।কারণ সে ইবনে সীনা ও অন্যান্য মুতাযিলা দার্শনিকদের নাস্তিক বলেন ও ইসলামের স্বাধীন গ্য়ানচর্চাকে সীমাবদ্ধ করে দেন।ইবনে সীনার মতো লোককে আত্নার কিছু মৌলিক বিষয়ে ও মৃত্যর পর পুনরুথ্যানে অবিশ্বাস ও আরেকটি সর্বমোট তিনটি কারণে কাফের ও ২০ টি কারণে নাছারা বলেছিলো গাজালী।কি হাস্যকর।

সেকলারিজম তো নামেই দেখি প্রচলিত,তবে প্রচলিত আছে অথচ ফলপ্রসু এমন তো দেখিনা।তবে আমি আপনার মতো রোগ ভাবতে রাজি নয়,কারণ এটি আপনার সীমাবদ্ধতা? সকল ধর্মের লোক মুখ খুলে কথা বলুক তা কি চাননা।না চাইলে কেন চাননা জানাবেন।

যাহোক,যুক্তিবিদ্যায় একটা কথা আছে আরোহমুলক লম্ফ,বিশ্বাস হলো তা-ই।আপনাকে বিশ্বাসী বলে মনে হলো।
আর শরবত বিষয়ে আপনাকে নয় @অচিন্তকে বলতে গিয়ে লিখতে ভুলে গেছি,সরি।
৭৫. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৩৬
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: চতুরভূজ, প্রশ্নটা আমি মাহবুব মোর্শেদ ভাইয়ের উদ্দেশ্য রেখেছিলাম ।



"রাজাকার খ্যাত জামাতেরও দাবী" ব্যপারটা আমি বুঝিনি, একটু বুঝিয়ে বলুন ।

"জামাতের বড় নেতাদের কয়েকজন যুদ্ধাপরাধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত"-এই বক্তব্য আপনি মানেন কি মানেন না ?

সংক্ষেপে 'হ্যাঁ' অথবা 'না'তে উত্তর দিলে চলবে ।
৭৬. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৪৮
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: @চতুরভূজ
মুদ্রার এক পিঠ দেখে বিচার না করার জন্য, সিদ্ধান্তে উপনীত না হবার জন্য এবং মন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ করবো আপনাকে ।

তাকে ইস্যু করা হয়েছে কারণ পাঞ্জেরী নিক-এর আগে তার নিক ছিল "আমি রাজাকার" ! বিতর্কিত পোষ্ট দিয়ে অনেক বিতর্ক ছড়ানোর পর ব্লগ উতপ্ত করার পর বহু অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার সেই নিকটি ব্যান করা হয় এবং পরবর্তীতে ঘোষণা দিয়েই সে, পাঞ্জেরী নিকে এসে বিতর্ক ছড়াতে শুরু করে ।

মন্তব্যের ঘরে আমি তার যে পোষ্টের কথা উল্লেখ করেছি, সেটির বক্তব্যও আমার কাছে অসৎ এবং বিতর্কিত,কেন সেটা আমার পোষ্টে উল্লেখ করা হয়েছে,- এ বিষয়ে আপনার কি মত ?
৭৭. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৫৬
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: "আরেকটা কথা , পাঞ্জেরী কিন্তু নিজেকে সবসময় বলে এসেছে যে সে রাজাকার নয় তাহলে সে কিভাবে স্বঘোষিত রাজাকার হয়?"
........................................

"আমি রাজাকার" নিকটাই তার স্বঘোষীত রাজাকার হবার প্রমাণ ।

আপনি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি । আপনার মন্তব্য এবং প্রশ্নের মাঝেও বুদ্ধিমত্তার ছাপ পেতে চাই । অবুঝের ভান করা সবসময় সুফল বয়ে আনেনা ।
৭৮. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:২৭
comment by: আশার আলো বলেছেন: সুন্দর একটা প্রবাদ আছে - "যুক্তি মানি, তবে তাল গাছটা আমার"।
এটা এখন বিশ্বজনীন ধর্ম ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

লেখক বলেছেন: হ।
৭৯. ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:০০
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: যারা গালি গালাজের সাথে বিশেষ গোষ্ঠীর উস্কানী অনুভব করছেন তাদেরকে "লোল পুরুষ", "লোল সাহিত্য" ইত্যাদি মনে করার আহবান জানচ্ছি। চতুরভুজের প্রোফাইলের ছবি নিয়ে লংকাকান্ডের কথা মনে করার আহ্বান জানাচ্ছি। গালি গালাজ আর অশ্লীলতা এই ব্লগে বিভিন্ন সময় অকারনেই এসেছে। কোন গোষ্ঠীর প্ররোচনায় নয়।

এটা কি সত্য নয় যে অনেক দিন পরে এখন গালিমুক্ত হয়ে নির্বিঘ্নে ব্লগিং করতে পারছি?
৮০. ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব, আমার প্রথম কমেন্টের উত্তরে আপনি যে-রেফারেন্স আবশ্যিকভাবে চাচ্ছেন, তা বের করতে গেলে ছোটখাটো স্টাডি করতে হবে। আমি এই মুহূর্তে সেই পজিশনে নেই, নেটের গোলমাল চলছে খানিক বাদে বাদেই।
সেক্ষত্রে ঐ অংশটি আমি উইথড্র করাটাই নিরাপদ মনে করছি। নেট যখন সবল হবে, তখন আগ্রহটা কমে যাবে বলে মনে হচ্ছে।
আপনার অবস্থান নিয়ে আমার সন্দেহ নেই, আমি সার্বিক ব্লগ-পরিস্থিতর একটা ইভালুয়েশন থেকে কথাগুলো বলেছি। আপনার মতো শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্লগারকে অন্যরা সন্দেহের চোখে দেখছে, এই জিনিসটাই বরং খারাপ লাগছে।
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যও আমি খারিজ করিনা। মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই মহান ঘটনা, কিন্তু এর কোনো সীমাবদ্ধতা নেই, এটা আমি মনে করিনা। রুশ বিপ্লবের ফল কয় যুগ ভোগ করা গেছে? মুক্তিযুদ্ধের ফল আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু সেই স্বাধীনতার স্বাদ আমরা সবাই সমানভাবে পাইনা। নিজামীর/জামাতীদের বিরোধিতা আর আত্মসমালোচনা এক জিনিস নয়।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৫০

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
আমি নিজেকে স্টাডি করার মতো গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না। আপনাকে ধন্যবাদ বক্তব্য উইথড্র করেছেন বলে নয়, আমার পোস্ট স্টাডি করার কথা ভেবেছেন বলে। আমি ভীষন আনন্দিত।
আমাকে কেউ সন্দেহ করলে সেটা তার দায়, আমার না। আপনি কারো কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে এইটুকু বিরোধিতা তো হবেই। সন্দেহ ছড়ানোর কিছু উদ্যোগ তো আসবেই। ভয় পেলে তো আর বিরোধিতা করার দরকার পড়ে না।
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে একাত্ম বোধ করলেই কেবল এ নিয়ে আত্মসমালোচনা চলে। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছেন তারা হয়তো সহজে তা পারেন। কিন্তু আমরা সেটা কিভাবে করতে পারি সেটা নিয়েই ভাবা দরকার। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে একাত্ম। কিন্তু আমাদের মধ্যে পারস্পারিক অবিশ্বাস প্রবল। ফলে আমরা একে অন্যের ব্যাপারে প্রধান যে ভূমিকাটা পালন করতে পারি তা হলো, সন্দেহ।
৮১. ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৯
comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: "লেখক বলেছেন: ভাল সমাধান।
ব্লগস্পট ও ওয়ার্ডপ্রেসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটা নীতিমালা গ্রহণের প্রস্তাব দিলে কেমন হয়?""


এই মন্তব্যটাই আমি করতে যাচ্ছিলাম.. ভাবলাম আগে মন্তব্য পড়ে দেখি.... আচ্ছা আমাকে কেউ একটু বুঝিয়ে দিন তো.. সুই হতে বিমান পর্যন্ত সব টপিকেই মুক্তিযুদ্ধ জড়িয়ে যায় কিভাবে? এই ব্লগে এসে কারো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নতা হওয়ার বদলে চেতনার মৃত্যু ঘটবে। (এটা আমার নিজস্ব অভিমত!)
৮২. ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
comment by: আরণ্যক যাযাবর বলেছেন: পতিত ছাগল কর্তৃক তৈলমর্দনে পোস্টারকে অভিনন্দন!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

লেখক বলেছেন: আরণ্যক যাযাবর,
আমার ব্লগে এসে কাউকে গালি দিবেন না।
অথবা এখানে আসবেন না।
৮৩. ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
comment by: অচেনা বাঙালি বলেছেন: ;)@আযু
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:২৬

লেখক বলেছেন: হ।
৮৪. ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৬
comment by: জল রঙ বলেছেন: "ধূসর ছায়া" আমার প্রথম নিক ছিল । সিরিজ গল্প লেখার জন্য "জল রঙ" নিই । আজ ধূসর ছায়া ব্যান । লগইন করতে পারি না । জল রঙ কেবল মন্তব্য করতে পারে । কেন ব্যান জানেন ? আমি রাগইমন-ত্রিভুজ বোরকা নিয়ে সংগঠিত ঘটনায় একটার পর একটা পোস্ট করে গেছলাম । যে অন্যায় ত্রিভুজ করেছিল সেটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি ব্যান । কিন্তু ত্রিভুজ বহাল তবিয়তে লিখে যাচ্ছে । কারণ কি জানেন ? মডু ব্লগার ইমেজ দেখে । কে ন্যায় আর কে অন্যায় দেখে না ।

আমি স্বঘোষিত গালিবাজ । আমি এখানে গালি দিতে ব্লগার হইনি । কিন্তু আমাকে কোন প্রেক্ষিতে গালি দিতে হয় ? আর কারা আমার গালির টার্গেট জানেন ? যারা আমার দেশের গর্ব করার মতো মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে তামাসা করে তখন আমি চুপ থাকতে পারিনি । হাজারো বার যুক্তি দিয়ে বুঝানো যায়নি । তখন ছাগল না বলে থাকতে পারিনি । যুক্তির সাথে না পেরে কেউ যদি বলে "এখন আমার ব্লগ থেকে বিদায় হোন ।" তখন গালি না দিলে আমার দেশের সাথে বেইমানি করা হবে । এটাই হলো আমার চিন্তা-চেতনা । যার যেটা প্রাপ্র তাকে সেটা পেতেই হবে । রাজাকারকে রাজাকার বলবো আর মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা । আর দালালদেরও দালাল বলা উচিত ।

অনেক বললাম । তেলের ড্রাম কবে খালি হবে ? প্রশ্নটা স্রষ্টাকে ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৩৩

লেখক বলেছেন: আপনে জল রঙ, ধূসর ছায়া আছিলেন না কী আছিলেন এইটা আপাতত আমার আগ্রহের বিষয় না। গালি বিরুদ্ধে আমার পরিষ্কার অবস্থান। আপনে বুঝলে বুঝলেন না বুঝলে না বুইঝা থাকেন।
তেলের ড্রাম খালি হইতে সময় লাগবে। আপনের গালির ড্রাম কবে খালি হবে?
৮৫. ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৩৬
comment by: নু রা পা গ লা বলেছেন: সুই হতে বিমান পর্যন্ত সব টপিকেই মুক্তিযুদ্ধ জড়িয়ে যায় কিভাবে? :)

- এতো এলার্জি থাকলে তো মুক্তিযুদ্ধের ফসল এই দেশে বাস করা কঠিন হবে, মহামতি ত্রিভুজ। পাকিস্থান নাম একটা দেশ আছে যেখানে মুক্তিযুদ্ধ শব্দটা নিষিদ্ধ - আপনার অবগতির জন্যে জানানো হইল @ ত্রিভুজ

No comments:

Post a Comment