Sunday, March 1, 2009

ভাষা বিষয়ে কতিপয় ফেৎনা (বর্ধিত)

২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৪
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

শ্রদ্ধেয় এক ব্যক্তির সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা। বললেন, কী মাহবুব শুনলাম তুমিও নাকি পূর্ববাংলার ভাষার দলে চইলা গেছ? আমি কইলাম, কই? না তো। গেলাম কখন? টের তো পাইলাম না। গদ্য চর্চায় সক্রিয় অংশীদারি থেকে ভাষার নানা সম্ভাবনা নিয়া আমি উহসাহী। ভাষা নানাভাবে ব্যবহার করে প্রকাশমান বিষয়ের প্রতিক্রিয়া দেখা আমার একটা জরুরি কাজ। এইটা করতে গিয়া আমি যেমন লেখ্য মান ভাষায় লিখছি। তেমনি কথ্য চলিত ভাষায় লিখছি। গুটিকয় ক্ষেত্রে সাধু ভাষাও ব্যবহার করছি। কিন্তু আমার লেখাপত্র বিচার কইরা কেউ কইতে পারবে না তুমি ওই ভাষা ব্লকের বা ওই ভাষা গোষ্ঠীর। কৃতিত্ব জাহির করার জন্য এই বক্তব্য দিলাম না। দিলাম পরিস্থিতিটা বুঝানোর জন্য।
শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে কথাগুলা শুনাইলে উনি একটু নরমভাবাপন্ন হইলেন। বললেন, খাইছো? দুপুর বেলা খাওয়া দরকার। আমি কইলাম খাই নাই। তবে আপনি খাওয়াইলে খাইতে পারি। উনি কইলেন, হাত মুখ ধুয়া আসে। খাবার রেডি আছে। চলো বইসা পড়ি।
আমি খেয়াল করলাম, উনি উচ্চশিক্ষিত, মান ভাষার পক্ষের জোরালো ব্যক্তি হওয়ার পরও কইলেন না যে, হাত মুখ ধুয়ে এসো। খাবার তৈরি হয়ে আছে। চলো খেতে বসি। মনে খুব খায়েস হইলো ওনারে বলি, কিন্তু তৎক্ষণাত আত্মসংবরণ করলাম। কারণ ওনার সঙ্গে আমার দূরত্ব বেশ। ফলে, অফ গেলাম।
ঢাকা শহরে কি অধ্যাপক, কি সাংবাদিক, কি বিশেষজ্ঞ, কি অর্থনীতিবিদ উচ্চশিক্ষিত, ভাষার ব্যাপার চরম রক্ষণশীল যে কারো সঙ্গে আলাপে আমি তার ভাষা ব্যবহার খেয়াল করার চেষ্টা করি। দেখি যে, সবাই সমানে করতেছে, খাইতেছে, যাইতেছে বলে। শুধু ক্রিয়া না অন্য পদগুলাতেও চলতি শহুরে কথ্য ভাষাতেই সবাই কথা কয়। সেমিনারে গেলে কিংবা ঘরো পরিবেশে কোনো আনুষ্ঠানিকতার লক্ষণ দেখা গেলে বলছে, করছে, খেয়েছি বলে বটে কিন্তু আজকাল খেয়ে এসেছি, গিয়ে খাবোর দিন এই এলিট রক্ষণশীলদের মধ্যেও কইমা গেছে। আর আমরা যারা কম শিক্ষিত অর্থাৎ কম রক্ষণশীল তাদের মুখ থেকে মান ভাষা ছুইটা গেছে। আমি ভাবতেও পারি না, আমার বন্ধু ফোন কইরা বলতেছে, মাহবুব তোমার কি আজ বিকালে অবসর আছে। আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি কারওয়ান বাজারেই থেকো, আমি আসছি। কথা ঠিক রেখো কিন্তু। কেউ খেয়ে এসেছিস, ঘুরে এলি বললে আমি হাসতে হাসতে মইরা যাবো।
ঢাকা শহরের শিক্ষিত লোকে রিকশাঅলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়া বলে, কি যাবা নাকি? ওই রিকশা যাইবা?
খেয়াল করলে দেখা যায়, ঢাকা শহরে শ্রেণী, বর্গ, বিদ্যা নির্বিশেষে লোকেরা পরস্পরের সাথে ভাববিনিময়ের জন্য এক ধরনের নতুন ভাষা ব্যবহার করতেছে। এটা মান বাংলা না। চলতি ভাষা, ঢাকা শহরের চলতি ভাষা। সোজা কথায় ঢাকা শহরের কাজের ভাষা। এই ভাষা ব্যবহার করে এ শহরের অধিবাসীরা পরস্পরের সঙ্গে ভাববিনিময় করে। কাজের সম্পর্ক গইড়া তোলে। কিন্তু এই ভাষাকে অরিজিনাল ঢাকাইয়া, কু্ট্টি ভাষা বলার উপায় নাই। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের ভাষাভঙ্গি ও শব্দের সঙ্গে এ ভাষায় ঢাকাইয়া শব্দও মেলা ঢুকছে। কিন্তু, সেটাকে ঢাকাইয়া ভাষা বললে ভাষারূপটা ঠিক বোঝানো যায় না।
ভাষার মধ্যে বহু আঞ্চলিক ভাষার শব্দ ঢুকছে। ইংরেজি, হিন্দি, আরবি, ফারসি ঢুকছে নতুন কইরা। নানা টেকনিক্যাল শব্দ ঢুকছে। এনজিওর পরিভাষা ইত্যাদি ঢুইকা একটা নতুন চলতি ভাষা তৈরি করছে। এই ভাষারে কেউ অ্যাড্রেস করেন নাই তা না। অনেকেই অ্যাড্রেস করছেন। অনেকেই এই ভাষারে সাহিত্যে নিছেন। কবিতা, নাটক, গল্প লিখছেন। কিন্তু তাত্ত্বিকভাবে এই ভাষা নিয়া তেমন কোনো কাজ হয় নাই। আর যা কাজ হইছে তাতে চলমান ভাষাটারে বুঝতে পারা, বুঝাতে পারা চেষ্টার চেয়ে ফেতনা তৈরির অবসরই বেশি তৈরি হইছে।
কয় বছর আগে এবাদুর রহমান একটা সংকলন করছিলেন পূর্ববাংলার ভাষা নাম দিয়া। পূর্ববাংলা কই? উত্তর ইতিহাসে। ইতিহাসের অস্তিত্বহীন এক দেশের ভাষা হিসাবে নতুন চলতি ভাষার নামকরণে যে জটিলতা দেখা দিবার কথা সেটা দেখা দিছিল। আমি পূর্ববাংলার সংকলনকে টার্গেট কইরা একটা জ্বালাময়ী লেখা লিখছিলাম। সেইখানে এই সংকলনের সারবস্তুর বিরুধিতা করছিলাম। আলোচনা আগাইলে সে লেখাটা এইখানে পোস্ট করার বাসনা রাখি। ভাষা বিষয়ে একটা ফেৎনা জন্ম দিছিল এবাদুর সম্পাদিত বইটা। এর নাম দেওয়া যায় পূর্ববাংলা ফেৎনা। এই বইটার জন্য রক্ষণশীলরা করছি, খাইছি, দেখছি দেখলেই কয়, ও বুঝছি এনারা পূর্ববাংলার ভাষাওয়ালা। বুঝলা না? ওই যে। ভাষা একটা তৈরি হইছে, বুদ্ধিজীবীদের কাজ সেইভাষার একটা নাম দেওয়া। কিন্তু আগপিছ না ভাইবা সেইটার নাম পূর্ববাংলার ভাষা দেওয়ার গুরুত্ব কী? শানে নুযুলও বা কী? এ বিষয়ে এবাদুর নিরব।
নতুন ভাষা তৈরি হইতেছে এই আলামত টের পাইয়া, কেউ কেউ নতুন আরেকটা ভাষা প্রস্তাব হাজির করছেন। সহজ ভাষায় এই প্রস্তাবকে বলা যায়, আরবি ফারসি বাহুল্য ফেতনা। বাঙালি মুসলমানের মধ্যে কয়জন সুবেহ সাদেক, আওয়াম, ইনকিলাব, ইত্তেফাক মানে জানে? ভাষা তো ধর্মের দোহাই দিয়া তৈরি হয় না। ধর্ম গ্রন্থের উৎস থেকেও ডায়রেক্ট শব্দ ধার করে না। তাইলে বাংলা লেখায় ক্রিয়া, অব্যয়, বিশেষণ ঠিক রাইখা কিছু সুবেহ সাদেক, কিছু জারি, খারিজ, দাখিল হাজির করার উদ্দেশ্য কী? আমি খেয়াল কইরা দেখলাম, ঢাকার সংবাদপত্র বা মান বাংলার চেয়ে কলকাতার সংবাদপত্রের ভাষা ও মান বাংলায় আরবি ফারসি শব্দের প্রয়োগ বেশি। এর কারণ কী? কারণ, হিন্দির সরাসরি প্রভাব এবং আরবি ফারসির সঙ্গে হিন্দির সম্পর্ক। আমরাও হিন্দি মিডিয়ার প্রভাব বলয়ে আছি। কিন্তু শব্দ ব্যবহারে হিন্দি আমাদের এখানে খুব কম প্রভাব বিস্তার করছে। ভাষা নিয়া কাজ করেন ভাষাবিদ, কথা সত্য। কিন্তু ভাষা ভাষাতাত্ত্বিক তৈরি করতে পারে না। বাঘা সাহিত্যিকও ভাষা তৈরি করতে পারে না। কাজের সম্পর্কের ভিত্তিতে ভাষা তৈরি হয়। ফলে, সেইখানে কয়টা আরবি-ফারসি, ইংরেজি শব্দ থাকবে সেইটা জবরদস্তি কইরা ঠিক করা যায় না। আরবি ফারসি বাহুল্য ফেতনায় সবচেয়ে বেশি আগুয়ান হইছিলেন ইদানিংকালে মহাত্মা সলিমুল্লাহ খান। অবশ্য বর্তমানে তিনি সাধু গদ্যে লিখতেছেন, পড়ি। খান সাহেবের সাধু গদ্যের আমি ভক্ত। স্টাইল হিসাবে সেইটা বেশ সুন্দর, উপাদেয়। কিন্তু চলতি ভাষায় চলতি ক্রিয়া পদ ইউজ কইরা তাকে লিখতে দেখছি বইলা মনে পড়ে না। ফরহাদ মজহার একটি গদ্যেই বোধ হয়, ক্রিয়া পদের পরিবর্তন মাইনা বাক্য লিখছিলেন। তার গদ্য সুন্দর। তৎসম ও তদ্ভব শব্দের বাহুল্য নাই সেইখানে। কিছু আরবি ফারসি শব্দের সুন্দর ব্যবহার মাঝে মাঝে দেখার মতো।
ভাষা বিষয়ে তৃতীয় ফেৎনার জন্ম দিছে মোবাইল কোম্পানি গ্রামীন ফোন। ঢাকার শহুরে উচ্চবিত্ত পরিবারের ইংরেজি মিডিয়ামে পড়া তরুণ ছেলে মেয়েরা এক ধরনের কথ্য বাংলায় কথা বলে। ইংরেজি উচ্চারণে ছাপটাই তাদের ভাষায় প্রবল। ভাষা বাংলা, উচ্চারণ ইংরেজি। করছিকে এরা বলে করসি। জীবনযাপনের পদ্ধতির কারণে অপরাধ জগতের নানা শব্দ ও স্ল্যাং এনাদের ভাষায় ঢুকছে। সেইগুলা মিলায়া এনারা কথা বলেন। স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু ইংরেজি শব্দও ঢুকছে। আবার ঢাকা শহরের চলতি কথ্য ভাষা থেকে শব্দের ভাবভঙ্গিও ঢুকছে। এবাদুর রহমানের সাহিত্যে এই ভাষায় কথোপকথনের আলামত পাওয়া যায়। এই ভাষাটারে ডিজুস প্যাকেজে প্রোমোট করা হইছে। ফলে, নতুন এই ভাষার নাম কেউ কেউ দিছেন ডিজুস ভাষা। এই ভাষাটাই কিছুটা ন্যাকামো সহকারে এখন এফএম রেডিওগুলাতে ইউজ হইতেছে। এতে কইরা আরও একটা ফেৎনার জন্ম হইছে। ভাষা বিষয়ে রক্ষণশীলতা আমার নাই। কিন্তু কর্পোরেটের ব্যাপারে কিছু রক্ষণশীলতা আছে বইলা এই ভাষাকে একটু বেকা চোখে দেখলাম।
বাংলাদেশে ভাষা চিন্তার ক্ষেত্রে আদি ফেৎনার জন্ম হইছিল পাকিস্তান আমলে। কিছু লোকের ধারণা হইছিল বাংলা ভাষাটা হিন্দুয়ানি। ফলে, একে মুসলিম রাষ্ট্রে প্রাদেশিক ভাষা হিসাবে জায়েজ করতে হইলে এর মুসলমানি করাইতে হবে। ফলে খুব সচেতন প্রক্রিয়ার তারা ভাষার খৎনার কাজ শুরু কইরা দিলেন। এবং অতি উৎসাহী মহল এই পর্যন্ত বইলা ফেললো যে, এখন তবে বাংলা হরফে না আরবী বা ফারসি হরফে বাংলা লেখা হউক। যখন দেখা গেল সেইটা সম্ভব না, তখন কেউ কেউ কইলেন বাংলা হরফ তো তাড়াইতেই হবে। আরবী ফারসি যদি না পারা যায় তাহলে অন্তত রোমান হরফে বাংলা লেখা হউক। পৃথিবীর বহু জাতি তাদের ভাষা লিখার কাজে রোমান হরফ ব্যবহার করে। রোমান হরফে লেখার ব্যাপারে তারা রীতিমতো সাচ্ছন্দ্য অর্জন করছে। কিন্তু, বাংলা এমনই এক বিপ্লবী ভাষা যে, কোনো সংস্কারই তার ভাগ্যে জুটলো না।
যে লাউ সেই কদুই থেকে গেল। আরবী ফারসি যতটুকু আছে ততোটুকুই থাকলো। ইংরেজিও পরিমাণ মতো থাকলো। এই ফেৎনারই উল্টো দিকে বসে আছেন আরেকদল। তেনারা বাংলা থেকে আরবী ফারসি জাত তুলে খেদাইতে চান। বিকল্প কী? যে শব্দগুলা বাঙালি আরবী-ফারসি থেকে নিছে সেইগুলা স্বেচ্ছায় নিছে। কাজে কামে লাগছে বইলাই নিছে। কিন্তু এই প্রগতিবাদীরা সেইগুলাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে চান। বিকল্প হিসেবে সংস্কৃত থেকে আসা তৎসম ও তদ্ভব শব্দ দিয়া ভাণ্ডার ভারাইতে চান। এই জ্ঞানীরা এইটা বুঝে না, যা মানুষের মুখে নাই তা মানুষের মুখে তুইলা দিলেও জিভে রুচবে না। তৎক্ষণাত ফেইলা দিবে। আর যদি খায়ও না পাইরা তাইলে বদহজম হবে। আরবী-ফারসি বাহুল্য বা আরবী-ফারসি বর্জন দুই ধারাতেই কিছু সাহিত্য রচিত হইছে। পানি পায় নাই। মাটিও পায় নাই। আরবী-ফারসি শব্দ বাংলায় কেমন সেইটা ভাবতে গিয়া শামসুজ্জামান খানের একটা উদাহরণ মনে হইলো। উনি সেদিন টিভিতে বলতেছিলেন যে, সন হইলো আরবী আর সাল হইলো ফারসি। এখন আরবী ফারসি বাদ দিলে বাঙালির সন তারিখই হাওয়া হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়ে যাবে।
পঞ্চম ফেৎনার জন্ম দিছেন ভাষা নিয়া বেচইন চিন্তার অধিকারী লেখকরা। দুনিয়ায় ভাষা হাজারো। সেই ভাষায় কেউ সাহিত্য করলে কারো আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু হরহামেশা শুনি আমাদের শিক্ষিত লোকেরা চান না, নোয়াখালির ভাষায় সাহিত্য না হোক, চিটাগংয়ের ভাষায় সাহিত্য না হোক। প্রশ্নটা তারা একটু ঘুরায়া করেন। তাইলে কী মান ভাষা বইলা কিছু থাকবে না। সবাই যার যার ভাষায় লিখবে? নোয়াখালির সাহিত্য, সিলেটের সাহিত্য এইসব তৈরি হইবে? আমি কই, তাতে সমস্যা কী? কীসের ভয়? সিলেটের ভাষায় লেখা সাহিত্য যদি মান বাংলার সাহিত্যের জন্য হুমকি হয়া দাঁড়াইতে পারে তবে মানভাষার আত্মহত্য করা উচিত। এখনি।
আমাদের লেখকরা লেখেন এইভাবে, মফিজ মিয়ার মনে সহসা এক বিষণ্নতা জন্মে। বাসের ছাদে তীব্র শীতল হাওয়া বসে ভাবতে থাকে ঢাকায় গিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার মতো একটা কাজ জুটবে তো? পাশের তোবারককে মফিজ শুধায়, এ তোবারক ঢাকাত কামের বাজার কেমন হে। কাম পামো তো?
পৃথিবীর কোনো মানুষ কি এক ভাষায় ভাবে আর আরেক ভাষায় কথা কয়? কিন্তু লেখকরা লেখে এমনে। ভাবে আসলে লেখক আর কথা কয় চরিত্র। লেখকের জানা শোনার মধ্যে আঞ্চলিক ভাষায় কথা কয়। লেখক কখনো বিষয়ের ভাষায় লেখতে পারে না।
রবীন্দ্রনাথের গল্পে দেখি ফটিক ভাবে মান ভাষায় কথাও কয় মান ভাষায়। রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা ভাষায় বহু সাহিত্যিক প্রমিত বাংলায় সাহিত্য করছেন আর গরীব মানুষের মুখে কোনো একটা আঞ্চলিক ভাষা তুইলা দিয়া নিজেদের বিশ্বাযোগ্যতাকে সপ্রমাণ করছেন। এমন অনেক লেখকের দেখাও মিলবে যার সাহিত্যে উর্ধ্বকমার পাঁচিল ডিঙায়ে ছোট লোকের ভাষা বের হইতে পারে না। ছোট লোকের ভাষা ছোটলোকের মুখে রাইখা আমাদের সাহিত্যিকরা ছোটলোকের সাহিত্য করেন। এইটারে আমি কই পঞ্চম ফেৎনা।




প্রকাশ করা হয়েছে: শব্দচর্চা বিভাগে ।



* ৫৬ টি মন্তব্য
* ৫৮৬ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৯ জনের ভাল লেগেছে, ১ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28789849 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৫
comment by: আলফ্রেড খোকন বলেছেন: পড়লাম।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। আগামী পোস্টে শেষ করার ইচ্ছা আছে।
২. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০০
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: ভালো লাগল। পুরোটা আগে পড়ে নিই, তারপর মন্তব্য করব।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। পুরাটা আগে লেখি।
৩. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০২
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: চরম আগ্রহ নিয়া পড়লাম, পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি ।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
comment by: সততার আলো বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। তন্ময় হয়ে পুরোটা পড়ে শেষ করলাম। আগামীকাল আবার লিখবেন আশা করি।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। কালকে শেষ করার আশা করি।
৫. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: পর্তাছি। দু:খিত 'পড়ছি'।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

লেখক বলেছেন: পর্তাছি=পরতাছি।
পরেন।



পড়েন।
৬. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৮
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: পড়লাম । সমস্যা'র ধরন আলোচনায় এসেছে। কাল বাকিটা আসুক তারপর কথা হবে। বিষয় জরুরি , সন্দেহ নেই।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২০

লেখক বলেছেন: হ।
ধন্যবাদ।
৭. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২০
comment by: রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: "ভাষা বিষয়ে রক্ষণশীলতা আমার নাই। কিন্তু কর্পোরেটের ব্যাপারে কিছু রক্ষণশীলতা আছে বইলা এই ভাষাকে একটু বেকা চোখে দেখলাম।"

একমত মাহবুব ভাই।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:০৯
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: যথেষ্ট ভাবনার খোরাক যোগানোর মত , ভাষা নিয়ে মাঝে মাঝেই ভাবি । ঠিক আপনার কথাগুলোই । লেখার সময় হয়তো কিছুটা শব্দপ্রয়োগে সচেতন থাকি , সেটাও ইনহেরেন্টলি চলে আসে ।

কিন্তু কথা বলার সময় তো চলতে থাকে নিখিল বাংলাদেশি নব বাংলা ভাষা । কথার মাঝে খানিকটা পাবনা সিরাজগঞ্জের টান , আর অজস্র ময়মনসিংহ , নরসিংদি , কুমিল্লা , ঢাকার শব্দের মিশ্রণ ।

খাইসো এর খেয়েছো বললে মুখ টিপে হাসি , এসেছি হয়ে গেছে আসছি বা আসি । আর আসছি হয়ে গেছে আসতেসি ।

কিছু ব্যাপারে অবশ্য আমারও রক্ষণশীলতা আছে ।শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করা অনেকে ছাগল বা ছাতাকে sagol বা sata বললে মেজাজ টা খারাপ লাগে ।

যাই হোক , আবজাব কমেন্ট করলাম , এবার পড়ে দেখি কি লিখলাম :)
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২২

লেখক বলেছেন: কমেন্ট ভাল লাগলো। বরিশাল রংপুর চিটাগাং সব জায়গার শব্দই আছে।
আমার এক বন্ধু একদিন বাস অলাকে কইলো, আমাকে দু টাকা ফেরত দিন। আমি হাসতে হাসতে শেষ।
৯. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:১৪
comment by: আরিফুর রহমান বলেছেন: ভাষা নিয়ে আপনি নিজেই একটা ঝামেলার সৃষ্টি করলেন। 'ফেৎনা' কি জিনিস? বাংলায় অপ্রচলিত এই শব্দটা যদি আরবি শব্দ হয় তবে একে হেডলাইনে ব্যাবহার করে কি বুঝাতে চাইলেন!!
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২৫

লেখক বলেছেন: আমি তো ঝামেলা করার জন্যই লিখতেছি। ঝামলো মিটানোর ইচ্ছা আমার নাই।
ফেৎনার বাংলা কী বলেন জনাব?
১০. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৩৫
comment by: মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
একটি অঞ্চলের ভাষা রক্ষণশীলতা দিয়ে দীর্ঘকাল টিকেয়ে রাখা সম্ভব নয়- এর প্রমান আমাদের বাংলাভাষার বিবর্তন দিয়েই বোঝা যায়। তবে, যেটিকে আপনি ঢাকা শহরের কাজের ভাষা বলছেন, তার চেহারা ঢাকা শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরেই গেলেই অন্য রকম হয়ে যায়। ঢাকা শহরে প্রচলিত কথ্যভাষাকে বাংলাদেশের সার্বজনীন কথ্যভাষা হিসেবে প্রচার, বা দেশের মানুষের ভাবগত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিচার করাটা এখনও কোন যৌক্তিক পরিনতিতে পৌঁছায়নি। যদি সাধুভাষা সমাজের রক্ষণশীলদের আরোপিত ভাষা হয়ে থাকে, তবে নাটকে, লেখা-লেখিতে 'ঢাকার শহরের কাজের ভাষাটির' ব্যবহারও কিন্তু সাহিত্যে ঢাকা শহরের নিয়ন্ত্রন বা রক্ষনশীলতাকে প্রকাশ করতে পারে।

ফরিদপুর অঞ্চলের ভাষা কেন দেশের 'কাজের ভাষা' হয়ে উঠবে না? উত্তর খুব সোজা- আমাদের দেশটি সবকিছুতে এখনও ঢাকাকেন্দ্রিক। কিন্তু ঢাকার কথ্যভাষা কি ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষের জন্য খুব কি সহজবোধ্য? এর উত্তরটি সহজ- না। ঢাকা থেকে আরও দক্ষিণের অঞ্চলগুলোতে 'ঢাকার কাজের ভাষাটি' কিন্তু প্রায় দুর্বোধ্য।

সার্বজনীন প্রমিত বাংলাভাষা, যা দেশের সব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে, যার ক্রমবিকাশমান চেহারাটি কয়েকশ বছরের পুরনো- তাকে কি বিদায় করা সম্ভব? পরিবর্তনটি কত দ্রুত আর ব্যাপক আকারে ঘটবে- তা নির্ভর করছে ভাষার নতুন রূপটি সাহিত্যে- ভাষা প্রবহের মাধ্যমগুলোতে কি পরিমান জায়গা নিচ্ছে তার ওপর। কথ্য লেখনরীতির বিষয়ে ব্যক্তিগত কৈফিয়ত ভাষার সামগ্রিক বিবর্তনকে নিশ্চিত করে না; যেমন 'ডিজুশ ভাষা' ঢাকার কথ্যভাষার আসল চেহারাকে প্রকাশ করেনা।

যতই বাঁকা চোখে দেখিনা কেন- ডিজুশভাষীরা তাদের 'ইংরেজী উচ্চারণের বাংলাকে' বাংলাভাষার ভবিষ্যত চেহারা হিসেবে কল্পনা করলে, বা সাহিত্যে নিয়ে এলে একে 'কতিপয়ের ভাষা' হিসেবে উড়িয়ে দেয়া যাবে?
__________________________________________
আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে; পরের কিস্তির আশায় রইলাম।

২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৩০

লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা সুচিন্তিত। অনেক কিছু ভাবার আছে। কিন্তু আপনার একটি পর্যবেক্ষণ অভিজ্ঞতাপ্রসূত না বইলাই আমার ধারণা। ঢাকার নতুন কথ্য ভাষা অন্য অঞ্চলের লোকেরা বুঝে না বা বুঝবে না এইটা আমি মানতে পারলাম না। এটা তো সব এলাকার লোক মিলে তৈরি করছে। রংপুরের রিকশাঅলা, বরিশালের বিজনেসম্যান সবাই মিলে। তাইলে বুঝবে না ক্যান?
বাকী কথাগুলো মাথায় রাখা জরুরি। মাথায় রাখলাম।
১১. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:২১
comment by: আবূসামীহা বলেছেন: আমি মনে হয় একটু রক্ষণশীল দলের। আমি ঢাকার লোক নই বলেই নিজের আঞ্চলিক ভাষার পরে মান চলিতকেই প্রাধান্য দিই। নিজের মেয়েদের সাথে কথা বলতে গেলে মান চলিতই ব্যবহার করতে হ্য় ওদেরকে বাংলা শেখানোর তাগিদে। আবার বউয়ের সাথে বলার সময় যে কোন চলিত রূপ ব্যবহার করি তার কোন ঠিক নেই।

ধন্যবাদ সুন্দর লিখার জন্য।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৩

লেখক বলেছেন: বাচ্চার বয়স পাঁচ বছর জওয়া পর্যন্ত মা বাবারা আমি তুমি, খেয়েছি গিয়েছি বলে। তারপর মা-বাবাও ভুইলা যায়, বাচ্চাও ভুইলা যায়।
কাজের ভাষা আর ফ্যাশনের ভাষার এইখানেই পার্থক্য।

ঢাকার অরিজিনাল লোক যারা নন তাদের কথাই এইখানে আলোচনা হইতেছে জনাব।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:২৩
comment by: বোঘদাদি হেকিম বলেছেন: আরে জামাতি নর্দমার কীট আবুসামিহা উপস্হিত-
১৩. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৩১
comment by: মুক্তকথা বলেছেন: প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, ভাষা মুখ থেকে কলমে আসা উটচত, কলম থেকে মুখে এলে মুখে কালি পড়ে।

দুর্মুখের মুখে কালি পড়ুক। মাহবুব মোর্শেদের লেখা ভালা পাইলাম।

ডিজু্জ ভাষা নিপাত যাক। এফএম রেডিওর আল্লাদী ভাষা নিপাত যাক। একবার রেডিও টুডের হর্তকর্তা, নাট্যাভিনেতা শামস সুমনরে ধরছিলাম এই ভাষা নিয়া। তিনি এই ভাষার ভীষণ পক্ষে। যদিও তিনি প্রথমে স্বীকারই করতে চাইলেন না যে তার রেডিওতে এই ভাষায় কেউ কথা কয়।

অন্য একটা কথা জিগাই, 'আওয়াম' শব্দটা কি উর্দু? যতদূর জানি তাই। ভুলও হইতে পারে। অর্থ হল 'জনতা'। আওয়ামী লীগ মানে জনতা লীগ। আওয়ামী লীগের নামের মধ্যে উর্দু রয়া গেল গা?

(শব্দটা উর্দু না হইলে, ফেৎনা বাধানোর জন্য ক্ষমা চাইতাছি)।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৪

লেখক বলেছেন: শব্দটা উর্দু বইলাই তো জানতাম।
১৪. ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:০৯
comment by: মৃদুল মাহবুব বলেছেন: লেখাটা পড়লাম। ভালো লাগলো এবং নানা জায়গা থেকে আলোচনা করার সুযোগ আছে। যদিও লেখাটার সমাপ্তি ঘোষণা করলেই আলোচান করা ভালো ছিলো। তারপরও এক দুটা কথা আমার।

ভাষাকে কি আমরা দু ভাবে দেখতে পারি না। এক. ব্যবহারিক ( কথ্য ভাষা, নাটকের ভাষা, কথা সাহিত্যেও ভাষা, কবিতার ভাষা এই জাতীয় ইত্যাদি)। এগুলোকে ভাষার ব্যবহারিক ক্ষেত্র হিসাবে যদি দেখা যায়। দুই. তাত্ত্বিক ভাষা ( গবেষণার ভাষা, তত্ত্ব লেখার ভাষা, নিজ ভাষায় বিজ্ঞান র্চ্চা বা নানা রকম পরিভাষা, বক্তৃতার ভাষা এই জাতীয় ইত্যাদি) এখন কথা হলো ব্যকহারিক ভাষাটাকে তাত্ত্বিক ভাষার উপর চাপালেইতো সমস্যার তৈরি হবে। এটা কি এক রকম পক্ষপাত নয়? আমি যেটা মুখে বলি, আমার ব্যবহারটাকে, আমার আটপৌড়ে অভ্যাসটাকে, সর্বপরি আমার ভাষা যাপনটাকে সর্বজনীন যোগাযোগের ভাষার ( যাকে বলছি তাত্ত্বি ভাষা) উপর চাপালে কি মনে হয় না আমরা ভাষার একটা রূপকে অবহেলা করলাম?

দুটোকে তো আগানো যেতে পারে। পরস্পর কে বিপরীত মুখে দাড় না করিয়ে একটা ভাষার নানা ভঙ্গি বিকশিত হলে লাভ ছাড়া লস দেখি না। একটা মান ভাষা থাকলো আর নান রকম কথ্য ভাষা। কথ্য ভাষার বিকাশের সাথে সরাসরি জনসাধারণ জড়িত, সাথে শিল্পী-সাহিত্যিক। যেমন ‘মুঠোফোন’ শব্দটা কথ্য ভাষার সাথে মিশে গেছে; সাথে সাথে মিথে গেছে ‘মাইনকা চিপা’,‘জুসা’, ‘ডিজুস মাইয়্যা’। এগুলোও কথ্য ভাষার নতুন বিকাশ। অস্বীকারের কিছু নাই। আর মান ভাষার বিকাশের সাথে শিল্পী- সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী জড়িত। এখন সাহিত্যিক তার কথা শিল্পের বা কাব্য বিকাশ নানাভাবে ঘটাতে পারেন নিজ প্রতিভার জোড়ে। মান ভাষা বা কথ্য ভাষা উভয় ম্যাচেই সে খেলতে পারে। তবে কেন যে মান ভাষা বাতিল করা প্রয়োজন? উভয়ের বিকাশই তো দরকার। আমাদেও থিয়োরী লেখার জন্য, সর্বসাধারণকে একটা কিছু বোঝানোর জন্য বা কোন তত্ত্ব আলোচনা করার জন্য একটা মান ভাষা অবশ্যক। ধরলাম দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে আপনি একটা বক্তৃতা বা কবিতার সমাকালিন অবস্থা ও উত্তোরাধুনিকতা নিয়ে টিভিতে বা মঞ্চে কিছু বলবেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে লোক আসবে। এদেও মধ্যে হয়তো অনেকেই আপনার ঢাকার চলিত ভাষার সাথে পরিচিত নয় সেভাবে। সেক্ষেত্রে আপনার গুরু গম্ভীর আলোচন যদি ঢাকাই ভাষায় শুরু হয় তবে তারা তা কতটুকু গ্রহন করতে সম্ভব? এক্ষেত্রে আলোচনার সুবিধার্থে একটা মান ভাষা থাকা অবশ্যক মনে করি। যেমন ধরেন চিটাগং বা সিলেটের ভাষায় যদি কেউ এখানে আলোচনা বিজ্ঞানের কঠিন একটা বিষয়ে তবে সে আলোচনা কেমন রূপ নিবো? ঠিক একই ভাবে ঢাকার ভাষা যদি মান ভাষা হবার অধিকার পায় তবে চিটাগঙের ভাষা কে মান ভাষার অধিকার দিতে সমস্যা কোথায়? এটা কি ভাষার উপর আরোপন হবে না? যেমন কলকাতার বাংলার উপর হিন্দিকে চাপানোর চেষ্টা আছে। তেমন আমরাও কি অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাকে প্রাদেশিক ভেবে তার উপর আমাদের ঢাকাবাসীর কথ্য ভাষাটাকে চাপাতে চাচ্ছি না? মান ভাষা হিসাবে যে একটা ভাষা অনেক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি তাকে বিকশিত হতে দেওয়ই ভালো বোধ করি। আর এর পাশাপাশি কথ্য ভাষায় সাহিত্য র্চ্চা হলেও কিছু লোক তা নিতে পারে না। এটাও ঠিক নয়। কারণ কথ্য ভাষা বিকাশের দায়িত্ব লেখকও রাখে। ভাষা নানা ভাবে সমৃদ্ধ হোক। তা কথ্যতেও হোক, মানেও হোক। কোন সমস্যা নাই।

ভাষার কেবলা ঠিক না করে দেওয়াই ভালো।

বাকি অংশ লিখে ফেলুন জলদি, পড়ে তারপর আরও কথা বলার ইচ্ছা আছে। এ নিয়ে আমারও কিছু ভাবনা আছে। আর আপনার আলোচনাটা শেষ হলেই আলোচনায় যাওয়া ভালো।


২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৯

লেখক বলেছেন: মৃদুল,
আমরা কিন্তু এইখানে কোনো একটা ভাষাকে মানভাষার মর্যাদা দিতে বসি নাই। আমরা আলোচনা করতেছি আমাদের সামান্য একটা পর্যবেক্ষণ নিয়া। সেইটা হইলো, কাজের সম্পর্কের ভিত্তিতে বাংলাদেশের শহরের লোকদের মধ্যে বিশেষ করে ঢাকা শহরের মানুষের ভাষায় একটা পরিবর্তন আসছে। সেইটারে খেয়াল করতেছি। সাহিত্যে সেইটার নানা প্রভাব প্রচার আলোচনা করতেছি। ফলে, কোনটা মানভাষা থাকলো সেইটা আমাদের আলোচনার বিষয় বটে কিন্তু সেইটা আমাদের লক্ষ্য না।
ভাষা যারা তৈরি করে তারা ভাবে না সেমিনার সিম্পোজিয়ামে তাদের ভাষায় আলোচনা চলবে কি না। ভাষা যারা রক্ষা করে তারাই এই নিয়া চিন্তা করে।
১৫. ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:২০
comment by: মৃদুল মাহবুব বলেছেন: বিদ্যুত যাওয়ার ভয়ে খুব দ্রুত লিখতে হয়েছে এবং দ্বিতীয় বার না দেখেই পোষ্ট করতে হয়ছে। ফলে কোথাও কোথাও বাক্যে ভুল আছে। এজন্য দুঃখিত। তবে ভাবটা বোঝা যাবে তাই আর কষ্ট করে কারেকশন দিলাম না। কেননা আবারও বিদ্যুত যাবার ভয় আছে।
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০

লেখক বলেছেন: ব্যাপার না। আমি লিখা শেষ কইরা বাকী বিষয়ে আপনের সঙ্গে তর্ক করবোনে।
১৬. ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:৪১
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: ১টা স্ট্যান্ডার্ড ফর্ম তো সব ভাষারই থাকে,বাংলাতেও থাকা যায়,বাকি যা মুখের ভাষা,সেইটা পরিবর্তন হইতেই পারে,খালি সেই কথ্যটারে স্ট্যান্ডার্ড ধরতে চাইলে কিছু আপত্তি করতে পারি।
"এই ভাষাটাই কিছুটা ন্যাকামো সহকারে এখন এফএম রেডিওগুলাতে ইউজ হইতেছে। এতে কইরা আরও একটা ফেৎনার জন্ম হইছে। ভাষা বিষয়ে রক্ষণশীলতা আমার নাই। কিন্তু কর্পোরেটের ব্যাপারে কিছু রক্ষণশীলতা আছে বইলা এই ভাষাকে একটু বেকা চোখে দেখলাম।"
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪২

লেখক বলেছেন: যে স্ট্যান্ডার্ড ভাষাটার কথা বলতেছেন এইটা কে ঠিক করছে?
এইটা কি আবহমান কাল ধইরা চলতেছে?

১৭. ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:০৪
comment by: কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: ব্যাপক হইছে। ++
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৮. ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৯
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: আিরফুর রহমান বলেছেন:'ফেৎনা' কি জিনিস? বাংলায় অপ্রচলিত এই শব্দটা যদি আরবি শব্দ হয় তবে একে হেডলাইনে ব্যাবহার করে কি বুঝাতে চাইলেন!!

আপনি বললেন ''ফেৎনার বাংলা কী বলেন জনাব?''

বাংলাটা জানা যাবে কি ? যে কোন পক্ষ থেকে ?

তারপর আপনার কি খবর ? দ্বিতিয় কিস্তি কোথায়?
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩০

লেখক বলেছেন: আরিফুর রহমানই বলুক ফেৎনার বাংলা কী?
উনি তো প্রশ্ন করছেন। ওনার অপেক্ষায় আছি।
ড্রাফট কইরা রাখছি। শেষ করতে পারতেছি না। এট্টু বেস্ত তো।
১৯. ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৪:২৮
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: তা চলে না,মানি,কিন্তু কথ্য ভাষা বলেও ১টা জিনিস থাকে,তাইলে এখন প্রশ্ন আসে যে কথ্য আর স্ট্যান্ডার্ড ফর্মের পার্থক্যটা কি?
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৬

লেখক বলেছেন: কথ্যভাষা সেই ভাষা যেইভাষা সতত প্রবহমান, সাধারণ মানুষ যেইভাষা প্রতিদিন ব্যবহার করে। ব্যবহার করতে করতেই ‌'মূর্খতাবশত' যেইভাষারে প্রতিদিন 'বিকৃত' করতে থাকে। এইভাবে বিকৃত হইতে হইতে যখন সভ্য লোকের কথ্য ভাষার সঙ্গে অর্থাৎ বইয়ে লেখা ভাষার সঙ্গে যখন তার পার্থক্যটা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে যখন সভ্য লোকে রাস্তায় বারাইয়া দেখে ভদ্রতা বইলা কোনো ভাষাবস্তু থাকলো না আবার অভদ্র সাধারণের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ রাখতে হবে তখন তারা সাধারণের কথ্য ভাষা নিয়া নতুন এক ভাষা তৈরি করে। নির্দেশ দেয়, এই ভাষায় সবাই কথা বলবা, যাতে আমরা বুঝতে পারি। যাতে আমরা আলোচনা করতে পারি। কিন্তু মূর্খ সাধারণ প্রতিদিন ভাষা নোংরা করে দেয়। প্রতিদিনের পাট খোলা, ময়লা ভাষাটাই কথ্য ভাষা।
২০. ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৫০
comment by: শাওন বলেছেন: মাঝে মাঝেই এই অসুবিধাতে পড়ি । :( লজ্জা লাগে । এত বছর বাইরে থাকলা কিন্তু যে ক্ষ্যাত সেই ক্ষ্যাত-ই রয়ে গেলাম । রাজশাহী অঞ্চলের ভাষার ভক্ত আমি । ওনাদের কথাগুলো দারূণ হয় আমার মত : খাতি বলছি না , যাতি বলছি না হয়না । :(
সবথেকে অসয্য লাগে সিলেটি । আমি দুঃখিত কিন্তু এটা না বলে পারলাম না ।

ইউরো বাংলা পত্রিকাতে প্রায়ই জিনিসটা দেখা যায় । আমি অবাক হই , কিন্তু কি ই বা করার আছে ।
তারা কোনো মসজিদের জন্য ইমাম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আন্ডারলাইন টেনে লিখবে : ব্যক্তিকে অবশ্যই ইংলিশ ও সিলেটি ভাষা জানতে হবে ।
আমি বলি , বাহ , কি সুন্দর , বাংলা জানা লাগবে না , সিলেটি জানা লাগবে !
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০

লেখক বলেছেন: সিলেটি ভাষা আমার খুব ভাল লাগে। সৈয়দ মুজতবা আলী সিলেটি অ্যাকসেন্টে বাংলা বলতেন। তা-ই শুনে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন তোমার কথায় সিলেটের কমলালেবুর ঘ্রাণ পাওয়া যায়।


রাজশাহী অঞ্চলের ভাষা মিষ্ট। পাকা আমের ন্যায়।
২১. ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০
comment by: ইয়র্কার বলেছেন: এখানে দেখুন। আমরা একটা ই-বুকে আপনার লেখা নিতে চাই। কোন ক্যাটেগরীতে নিবো? অনেকে বলেন, আপনি বুদ্ধিজীবী, কেউ কেউ বলেন আপনি সুশীল, আবার গালিবাজবিরোধী ব্লান্দোলনেও আপনার ভূমিকা স্বার্ণাক্ষরে লেখার মত বলে অনেকের মত। আপনি ঠিক কোন ক্যাটেগরীটা বেশি পছন্দ করেন।

আপনার কোন লেখাটা আমরা নিতে পারি, তাও যদি একটু বলতেন? না করবেন না, প্লিজ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৯

লেখক বলেছেন: আপনে কোন ক্যাটাগরিতে এই দায়িত্ব নিলেন?

আমি এ টীমের বিরোধিতা করি মানে তাদের ভাল কাজের বিরোধিতা করি সেটা কি আপনার মনে হয়? হাসিব আর রাশেদ এ টীমের নেতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য ই-বুক বের করছে। আমি খুশী হইছি। আরও খুশী হইছি এইখানে আমার লেখা নিয়া তারা আমারে এ টীমের ছাপ্পা দেওয়ার সুযোগ নেয় নাই। আপাতত তারাই এ টীমের নেতা, এইটা মাইনা নিলাম।
কৌশিক হইলো ব্লগের মোস্ট আনপ্রেডিকটেবল লেখক, মোস্ট ফালতু, গিমিক। সে একটা সংকলন করবে। বাকী প্রকাশ করবে। অমুক তমুক এইটা নিয়া আমি বিরক্ত। তাই তাদের সঙ্গে যুক্ত হইতে চাই নাই। কিন্তু তারা আমার অনুমতি ছাড়া লেখা নিছে। মামলা করার হুমকি আমি দেই নাই। কারণ যা করতে পারবো না সেই কথা আমি বলি না।
এখন আপনার সমস্যটা কী?
আপনে লাইমলাইটে আসার চেষ্টা করতেছেন কেন?
আপনে তো এ টীমে গেলেই পারতেন। সেইখানে আপনেরে জায়গা যদি তারা না দিয়া থাকে তবে আপনার উচিত তাদের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্ম হওয়া। তারা যা বলে সেইটা শোনা। ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই আপনার লেখা নিবে। নতুন সংকলন না কইরা। এ টীমের সামনে সংকলনে যাতে আপনের লেখা নেয় সেই চেষ্টা কইরেন।
আর নিজেকে যদি সংবরণ করতে না পারেন তাইলে আমার লেখা নেওয়ার কোনো চেষ্টা কইরেন না।

২২. ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১:৫৯
comment by: ইয়র্কার বলেছেন: আপনি ভুল বুঝেছেন। আমি একা দায়িত্ব নেই নাই। প্রস্তাবটা উত্থাপন করেছি মাত্র। পেলাচ, এ-টীম প্রকাশিত সঙ্কলনে আমারও লেখা আছে।

যাহোক, আপনার প্রতিমন্তব্যে প্রতীয়মান হলো, আপনার লেখা বুদ্ধিজীবী ক্যাটেগরীতে যাবে। বুদ্ধিজীবীরা প্রথমে লেখার অনুমতি দিতে চাইবে না, না না তালবাহানা করবে। তালবাহানা সইতেও আমরা রাজী আছি। এক্ষেত্রে আমাদের অ্যাপ্রোচ হাতেপায়ে ধরে তাদের লেখা প্রকাশের অনুমতি সংগ্রহ করা। আপনাকে দিয়েই বিসমিল্লাহ করি।

মামো ভাইয়া, আপনার হাতে পায়ে ধরি, আপনার কোনো একটা তুচ্ছাতিতুচ্ছ হইলেও লেখা দান করুন। এটা আপনাকে করতেই হবে ভাইয়া।
২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:১৯

লেখক বলেছেন: আপনে আমার কথা বুঝেন নাই বইলাই মনে হইতেছে।
আবার স্পষ্ট কইরা বলি, আপনার এই সংকলনে লেখা দিবার কোনো ইচ্ছা আমার নাই। আর কোনো কথা না বাড়াইয়া আমার লেখা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আপনে সইরা আসবেন বলে আমার আশা।
আপনের সঙ্গে যেই থাকুক আর আপনে যে কাজই করেন না ক্যান আমি এইটার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত হইতে চাই না।
২৩. ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ২:৪৪
comment by: আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: এই বিতর্কটা এর আগেও একবার হয়ে গেছে। ব্রাত্য রাইসুর গদ্য সঞ্চালনে আমি এই বিতর্কের সূত্রপাত করেছিলাম। আমি মান ভাষার পক্ষে বলেছিলাম, আর সুব্রত দা, রাইসু, মাতিয়ার এবং আরো কেউ কেউ তোমার মতো 'রক্ষণহীন' (রক্ষণশীল-এর বিপরীতার্থে) সেজে আমাকে প্রচুর গালমন্দ করেছিলো। তোমার এই আলোচনা পড়ে মনে হলো, বিতর্কটা ওইখানেই রয়ে গেছে, এই কয়েক বছরে কোনো অগ্রগতি হয়নি। পুরনো কথাবার্তা সব।
রক্ষণশীলতা ঝেড়ে ফেলাটা এত সহজ নয়। তুমি বলেছ- 'কেউ খেয়ে এসেছিস, ঘুরে এলি বললে আমি হাসতে হাসতে মইরা যাবো।' কেন? তার কি ওই ভাষায় কথা বলার অধিকার নেই? এ বিষয়ে তোমার এত রক্ষণশীলতা কেন যে, হাসতে হাসতে মইরা যাবা? ... আমার এই ভাষায় মন্তব্যটি পড়েও মনে হয় তুমি এবং তোমার সমর্থকরা 'হাসতে হাসতে মইরা যাবে।' যাহোক, পুরোটা পড়ার পর আবার মন্তব্য করবো।
২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৬

লেখক বলেছেন: মোস্তফা ভাই,
আপনার কমেন্টটা পরে যার পর নাই শান্তি পাইলাম। কারণ আপনি আমার তর্কটারে পুরানা বইলা স্বীকৃতি দিয়া আমার তর্কের গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়িয়ে তুলছেন।

বিতর্ক করতে গিয়া গালমন্দ করা তো খুবই খারাপ। মনে হয় তাদের কথায় যথেষ্ট যুক্তি ছিল না বইলা তারা গালমন্দের রাস্তা বেছে নিয়েছিল। কিন্তু সত্যিই কি তারা গালমন্দ করেছিল নাকি তর্ক করেছিল?

লেখায় জিনিসটা এখনও চোখ সওয়া আছে বটে কিন্তু কথায় যদি কেউ কয় তাইলে আমি স্বেচ্ছায় হাসতে হাসতে মইরা যাবো। এইটা রক্ষণশীলতা না আমার শেষ ইচ্ছা হাসতে হাসতে মইরা যাওয়া। যে কোনো ছোট সিলি কারণে হাসতে হাসতে মইরা গেলে শান্তি পাবো।
২৪. ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:২২
comment by: ত্রিভুজ বলেছেন:

ভাষা নিয়া আমার এলার্জি নাই। আমি একেজনের সাথে একেক রকম স্টাইলে কথা কই। কয়েকটা আঞ্চলিক ভাষাও পারি। তবে মেজাজ খারাপ থাকলে প্রমিত বাংলা ব্যবহার করি। বুঝতেই পারছেন, প্রমিত বাংলা আমার খুব একটা ব্যবহার করা হয় না। :)

লেখটাটা ভাল লাগছে মোর্শেদ ভাই। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম...

লেখায় স্টার প্লাস।

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৫. ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৩১
comment by: দূরন্ত বলেছেন: হুমম...
২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৯

লেখক বলেছেন: হাম।
২৬. ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৪
comment by: মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: মাহবুব ভাই ,
দ্বিতিয় কিস্তি কই?
২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩০

লেখক বলেছেন: আসিতেছে।
২৭. ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: লেখা একটু বাড়াইলাম।
সিদ্ধান্ত নিছি, ব্যক্তি লেখকের স্টাইল ও কথ্যভাষার অকথ্য মর্মযাতনা নামে আরেকটা লেখা দেব।
২৮. ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:০০
comment by: মাঠশালা বলেছেন: মাহবুব ভাই,
নিয়মিত ব্লগে বসছি না কয়েকদিন। বসলেও অল্প সময় নিয়া। তাই আপনার পোষ্টটার উপর দিয়া একটা সর্ট দৌড় দিলাম। ভালো লাগার একটা বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিছেন। আর এ নিয়ে কথাও বলা যায় অনেক। অনেক প্রকার ফাৎনা আবিষ্কার করছেন কিন্তু মদ্রাসা ছাত্রদের একটা থাৎনা কিন্তু আসে নাই মনে হয়। তারা কয়- বাদ আছর তোমার সাথে দেখা হবে- এইরকম আর কি।

যাই হোক পরে আরেকবার পড়ে কথা বলব।
ভালো থাইকেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:২৭

লেখক বলেছেন: পুরাটা আজকেও শেষ হইলো না। ভাল থাইকেন। আর সুমায় পাইলে পইড়েন।
২৯. ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:৫৬
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: উত্তম আলোচনা।
আমার অবস্থান আপনার মতোই। না এবাদুরীয় না ফোর্ট উইলিয়ামীও -- কোনোটার চাপাচাপিই ভালো লাগেনা।
গ্রামের মানুষের মুখে মান ভাষা, লেখা/সিনেমা/থিয়েটার/নাটক হিসেবে আমার কাছে অবিশ্বস্ত।
প্রাসঙ্গিক একটা পোস্ট ছিল: Click This Link
২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৪

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহমিদ ভাই।
আপনার লেখাটা পড়ছিলাম।
কিন্তু তখন কোনো কারণে কমেন্ট করতে পারি নাই।
এবার করবো বইলা আশা রাখি।

No comments:

Post a Comment