Tuesday, March 3, 2009

২০০৭ : নাগরিক হিসেবে আমার অপরাধসমূহ

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

আমার সকাল হয় ১০ থেকে ১২টার মধ্যে। নয়টায় ঘুম ভাঙলে মনে হয় ভোর। এক সকালে টানা ঘুম দিয়ে উঠেই প্রতিদিনকার অভ্যাস মতো টিভির সুইচটা অন করি। সম্ভবত এগারোটার ছোট খবর হচ্ছে চ্যানেল আইতে। বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমানের মরদেহকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে। আমার বাসা থেকে অফিসে যেতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড পার হয়ে যেতে হয়। ভাবলাম একটু দেরিতে বের হবো। জাতীয় ব্যক্তিরা রাস্তা গরম করে রেখে যান। একটু থাণ্ডা হোক। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, বিজয় স্মরণী আর রাঙস ভবন কয়েক মিনিটে পার হয়ে যেতে হয় প্রতিদিন। রাঙস ভবনে তখনও অজানা সংখ্যক লাশ। উদ্ধারের জন্য মিনিমাম কোনো উদ্যোগ সেদিন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। অদ্ভূত ব্যাপার, বাতাসে লাশের গন্ধ ছিল না। অন্তত বাসের যাত্রী হিসেবে পাইনি। অথচ চারপাঁচদিন কেটে গেছে। প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৬ বছর আগে শহীদ হওয়া হামিদুর রহমানের মরদেহ ঘিরে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা পাশে একটা বিল্ডিংয়ে টাটকা লাশের গন্ধ। ভেবেছিলাম এই কনট্রাস্ট বিষয়ে কিছু লিখবো। কোথায় আর? ব্লগে। লিখতে পারলাম না। মনে হলো এই যে ভাবনাটা আমার মধ্যে এলো এটাই একটা অপরাধ। রাঙস ভবন পার হতে হতে ভাবলাম, বীরশ্রেষ্ঠের প্রতি সম্মান দেখানো নিশ্চয়ই ভাল। মহৎ ব্যাপার। কিন্তু এটাই কি সেই দেশ যার জন্য হামিদুর যুদ্ধ করেছিলেন? যুদ্ধে যিনি শহীদ হন তিনি কি কয়েকটা নাম না জানা শ্রমিকের লাশ পঁচতে দিয়ে নিজের আনুষ্ঠানিকতা অনুমোদন করতেন? আমার ভুল হতে পারে, সম্ভবত এই দেশটার জন্য হামিদুর যুদ্ধ করেননি।
ভিএস নাইপলের আত্মজীবনীর নাম হাফ এ লাইফ। ১৯৭১কে আমার মনে হয় হাফ এ ওয়ার। অর্ধেক যুদ্ধ। এই যুদ্ধ শেষ হয়নি। কেন শেষ হয়নি, কে শেষ করেনি। কে ক্ষমা করেছে কাকে এ প্রশ্ন মাঝে মাঝে অবান্তর মনে হয়। কিন্তু একটা বিষয় খুব প্রাসঙ্গিক। বাকী যুদ্ধটা পেন্ডিং পড়ে আছে। আমাদের প্রজন্মকে হয়তো সেটা শেষ করতে হবে। ২০০৭ জুড়ে একটা স্লোগানই শুধু শুনেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। ১৯৭১ সালে অবশ্যই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা যুদ্ধাপরাধ করেছে। তারা প্রথম রাত থেকেই নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা করেছে। শুধু ২৫ মার্চ রাতের হিসাব নিলেই তখনকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে বাঁচানো কারো পক্ষে সম্ভব হবে না। আর তাদের যখন ধরা হবে তখন তো রাজাকার-আলবদরদের হিসাবও বেরিয়ে আসবে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে যদি না পারা যায় তবে নিশ্চয়ই দোসরদের পারা যাবে। তাদের বিচার করতে অসুবিধা থাকার তো কথা নয়। যুদ্ধাপরাধের বিচার করা কি খুব বড় কূটনৈতিক সমস্যা, আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ? তাহলে তো অন্তত স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করা যায়। যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রে বসে এই রাষ্ট্রে সার্বভৌমত্ব বিষয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের বিচার করা তো কঠিন কিছু না। সেটা অন্তত হোক। সহব্লগার ও সহনাগরিকদের মতো আমিও চাই সেটা হোক। যুদ্ধাপরাধ ও স্বাধীনতা বিরোধিতার বিচার হোক।
টিভির টক শোতে এ বিষয়ে যখন ড. কামাল হোসেন, শাহরিয়ার কবীরের মতো ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার শুনি খুব ভাল লাগে। তারা বলেন, রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষ ট্রাইবুনাল করতে হবে। সব যুদ্ধাপরাধী না হোক কিছু বড় যুদ্ধাপরাধীর বিচার হতে হবে। বাহ। দেশে এরকম ঐক্যমত্য তো এই ইস্যুতে আগে তৈরি হয়নি। জামাত, শিবির রাজাকার ছাড়া বিরুদ্ধে কেউ নাই। কিন্তু তারপরও বিচারের দাবির পক্ষে সরকারকে আনা যাচ্ছে না। আজ পর্যন্ত আনা যায়নি। তবে কি একাত্তরের পরাজিত শক্তিই ক্ষমতায়? দৃশ্যত ক্ষমতার শোকেসগুলোতে তাদের সমর্থক থাকলেও তারা নেই। বরং তারা ক্ষমতায় ছিল একবছর আগে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিএনপির সঙ্গে মিলে দেশ শাসন করে চলে গেছে। শহীদ মিনারে গেছে, স্মৃতিসৌধে গেছে। তখন না রাজপথ না ঘরে কাউকেই আজকের মতো তীব্র প্রতিরোধ গড়তে দেখা যায়নি। আজ বিশ্বাসই হয় না। এত মুক্তিযোদ্ধার দেশেও স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় থাকতে পারে।
বাংলাদেশের মানুষ একবারই জিতেছিল ১৯৭১ সালে। তারপর পরজিত হতে হতে আজ এমন এক অবস্থায় এসে পড়েছে যে জনগণের বড় অংশ একমত হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করা যাচ্ছে না। কারণ ক্ষমতা শোকেসে জামাত না থাকলেও ক্ষমতার পেছনে তারা আছে। তারা এদেশে বড় কি অ্যান্ড কুইন মেকার। তারা ৩৬ বছর ধরে রাজনীতি করছে। অস্ত্র হাতে নিয়ে তারা হামলা করেছে। ধর্ম হাতে নিয়ে আক্রমণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিটকে তারা ধ্বংস করার সব আয়োজন সেরে ফেলেছে। জামাতের অস্ত্র আজ জঙ্গীদের হাতে জিহাদের ভাষায় কথা বলছে। কিন্তু যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তারা কোনো রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অস্ত্র ধরেনি। সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে দখলে নেয়নি। তারা স্রেফ নিজেদের আখের গুছিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর তারা মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিটকে ভুলে গিয়ে/ ভুলিয়ে দিয়েছে। শেখ মুজিবের পর আর কোনো নেতা জাতির সামনে নতুন কোনো কর্মসূচী ঘোষণা করতে পারেননি। ফলে, জামাত আজ শক্তিশালী, প্রায় অপ্রতিরোধ্য। আমারা তাদের বিচারের তুলছি এমন এক সরকারের কাছে, যে সরকারটি একটা প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় ক্ষমতায় আছে। যেটি গণতান্ত্রিক নয়, যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাদের কাছে দাবি করে করে আমরা প্রতিদিন তাদের বৈধতা ও ন্যায্যতাকে প্রতিষ্ঠিত করছি। কারণ কোনো গণতান্ত্রিক শক্তি জামাতের বিচার করতে পারে একথা আমরা বিশ্বাস করতে পারি না। কিন্তু কোনো অনির্বাচিত শক্তি জামাতের বিচার করবে এই বিশ্বাস এত সহজে আমাদের কি করে হয়?
তারপরও ধরা যাক যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার হলো। তাতে কি জামাত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে? জামাত দল হিসেবে শেষ হয়ে যাবে? জামাতের রাজনীতির স্পিরিট ধ্বংস হয়ে যাবে? আমার বিচারে, না। গুটিকয় জামাত নেতার ফাঁসি দিলে জামাত শেষ হবে না। জামাতের মতো শক্তিশালী সংগঠন তাতে পুরাতন অপরাধ থেকে রেহাই পেয়ে নতুন নেতৃত্বের অধীনে তাদের বিধ্বংসী রাজনীতিকে নতুন গতি দেবে। নতুন একটি একাত্তরের জন্ম দেবে। এই শক্তিকে শুধু দাবি তুলে ধ্বংস করা যাবে না। রাজনীতি করতে হবে। সে বড় দমের কাজ।
তাহলে কি জামাত নিষিদ্ধ করা এখনকার দাবি হবে? কীভাবে? সেটা ঘটাতে হলে তো আরও বড় যুদ্ধের দরকার। সে যুদ্ধের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি কি?
জামাত ও ধর্মভিত্তিক দলগুলো নিষিদ্ধ হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে অস্ত্রের রাজনীতি শুরু করলে আমাদের রক্ষাকবচ কী হবে?
এই প্রশ্নগুলো উঠলে ভেতরে একটা প্রচণ্ড নিরাপত্তাহীনতা জাগে। আহা এত দাবি, এত সৈন্য অথচ একটি দুটি দাবির বাইরে আমাদের আর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচী নেই। দাবি উত্থাপন করে আমরা এই সরকারের মুখের দিকে চেয়ে আছি।
মাঝে মাঝে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ বোধহয়, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সামাজিক মুক্তির জন্য হয়নি, হয়েছে স্রেফ যুদ্ধাপরাধী আর স্বাধীনতা বিরোধীদের শাস্তি দেয়ার জন্য। তা না হলে, দেশের মানুষে প্রচণ্ড অর্থনৈতিক সংকটে, দ্রব্যমূল্যের সীমা ছড়ানো উর্ধ্বগতিতে, সারের সংকটে, কৃষি, শিল্প, বিনিয়োগের সংকটে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির সঙ্গে আর একটা দাবিও কেন যুক্ত হয় না। যখন গণতন্ত্র সুদূরে তখন নিদেনপক্ষে গণতন্ত্রের দাবিও ওঠে না কেন?
কিছু রাজাকার আলবদরের শাস্তি হলে আমাদের ৭১ পরবর্তী ভুলের প্রতিবিধান হয়। শহীদের আত্মার শান্তি হয়। কিন্তু নতুন একাত্তরে নতুন রাজাকার আলবদরের শাস্তি বিধান কি তাতে হবে। যারা নতুন করে আমাদের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জনগণের বিরুদ্ধে সংগঠিত হচ্ছে সেই নতুন যুদ্ধের কথা আমরা কেউ বলিনি। পুরো বছরটা চলে গেছে।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৭৯ টি মন্তব্য
* ৫৭৩ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১৩ জনের ভাল লেগেছে, ১ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28755455 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন: আমাদের ভাবনাগুলো এখনো সুসংগঠিত নয়। এখনো আমরা মুদ্রার একপিঠ দেখে ভাবতে বসে যাই। অন্যপিঠ মাঝেমধ্যে আমাদের দেখার বাইরে থেকে যায়। এজন্যই বুঝি নতুন করে যারা আমাদের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জনগণের বিরুদ্ধে সংগঠিত হচ্ছে তাদের বিরোদ্ধে নতুন যুদ্ধের কথা আমরা কেউ বলিনি।
হায়! পুরো বছরটা চলে গেছে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১৩

লেখক বলেছেন: শামীম,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
comment by: অনুনাদ বলেছেন: এই যুদ্ধ শেষ হতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু যাদের এই কাজ তা করার কথা ছিল, তারা করেনি বলে কি কোনদিন করা যাবে না? আমাদের বিবেক জেগে উঠার জন্য আর কত যুগ ধরে অপেক্ষা করতে হবে।? আপনার অনেক ভাল লেখার মাঝে আরও একটা ভাল লেখা যোগ হল আজ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১৭

লেখক বলেছেন: অনুনাদ,
কাজ তো করতেই হবে। আমি না করলে আরেকজন করবে। তখন আমি ফাও হয়ে যাবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার তাহলে আরও ভাল লেখা আছে? ভাবতে কষ্ট হচ্ছে গতকাল আপনি আমাকেই চোর বলে গালি দিয়েছিলেন।
৩. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১১
comment by: প্রশ্নোত্তর বলেছেন:


নতুন বছরের শপথ হোক "এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হবোই"।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১৯

লেখক বলেছেন: প্রশ্নোত্তর,

শপথ তো কতই হলো! কত কমিটি হলো। কিন্তু কাজ হলো না। শুধু শপথ নিলে জয় আইবো না।
৪. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:২১
comment by: প্রশ্নোত্তর বলেছেন:

সাথে বাঁশ!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:২৫

লেখক বলেছেন: হ।
৫. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৩৩
comment by: কার্টুনিস্ট_রকস বলেছেন: ফালতু পোষ্ট। - ৫
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:১৭

লেখক বলেছেন: রকি,
আপনারেও -৫। ধন্যবাদ।
৬. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৩৭
comment by: সিহাব চৌধুরী বলেছেন:

ভাইয়া,

আলো দেখতে চাই ,
তবু কেন এত আঁধার ? আসলে আমাদের একটা বিপ্লব দরকার সেকুলারিজমের বিপ্লব । না হলে ধর্মব্যবসায়ী জামাত বেড়েই চলবে অবস্তুগত কাচামাল ধর্মকে পূজি করে । কবে আসবে সেই সোনা রাংগা বিল্পব ? আসবে কি আদৌ ? না কি, যে আঁধার, সে আঁধারে ......... দীর্ঘশ্বাস গুলো ক্রমাগত দীঘলতর হতে থাকবে ?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৪

লেখক বলেছেন: নতুন বছরের শুরুতে প্রত্যাশাই থাকুক।
৭. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৩৮
comment by: ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: "বাংলাদেশের মানুষ একবারই জিতেছিল ১৯৭১ সালে। তারপর পরজিত হতে হতে আজ এমন এক অবস্থায় এসে পড়েছে যে জনগণের বড় অংশ একমত হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করা যাচ্ছে না। " @ সেরা লাইন।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৫

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস ঝড়ো হাওয়া।
৮. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৩৮
comment by: মিসিরআলী বলেছেন: এতো জ্ঞান নিয়া ঘুমাইতে গেলে আপনার মাথায় ব্যথা উঠে না?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৭

লেখক বলেছেন: আপনার ব্যাথা না উঠলে আমার উঠবে কেমনে। আপনার চেয়ে কম জ্ঞান নিয়ে শান্তিতে আছি। আপনার দোয়ায় ঘুম ভালই হয়।
৯. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪০
comment by: নেহার পুরকায়স্থ বলেছেন: শুধু কমিটি গঠন আর শপথ নিলে হবে না। যে কোনো মূল্যে যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। ভাল লেখার জন্য + দিলাম মাহবুব ভাই!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৮

লেখক বলেছেন: নেহার পুরকায়স্থ,
থ্যাংকস এ লট।
১০. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৫
comment by: নাদান বলেছেন: ভাল লাগলো +
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৯

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪৯
comment by: মুনশী বলেছেন:


ভালা লেখসেন



অগো শাস্তি হওন দরকার
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৫০

লেখক বলেছেন: হ। ধন্যবাদ।
১২. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৫৮
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৬ বছর আগে শহীদ হওয়া হামিদুর রহমানের মরদেহ ঘিরে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা পাশে একটা বিল্ডিংয়ে টাটকা লাশের গন্ধ।


৩৬ বছর আগে শহীদ হওয়া বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের মরদেহ ঘিরে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার দরকার ছিল । ৩৬ বছর পরে হলেও দরকার ছিল । সেটা করে সরকার ভাল করেছে । সেজন্য সরকারকে জানাই সাধুবাদ ।

কিন্তু, রাংগস ভবনের টাটকা লাশ গুলোকো এভাবে ঝুলিয়ে না রেখে সমাহীত করার জন্য সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সরকার ঔদাসিন্য দেখিয়েছে । অবজ্ঞা দেখিয়েছে শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের প্রতি ,- যেটাকে এক কথায় 'স্পর্ধা' বলা যায় ! কোন রাজনৈতিক সরকার না হয়ে আর্মি ব্যাক সরকার হবার কারণেই হয়তো এই গাদ্দারিটা সরকার দেখাতে পারলো । নিশ্চিত করে বলা যায়, যদি রাজনৈতিক সরকার হতো, মৃত লাশদেরকে ওভাবে দিনের পর দিন ঝুলিয়ে রাখার অমানবিক স্পর্ধার কারণেই শুধু এই সরকারের পতন হতো !

আর্মি ব্যাক (মতান্তরে সামরিক ) এই সরকারের প্রতি নিন্দাবাদ !

এজন্যই বলছিলাম,-"রক্তের লোহিত কণিকায় দ্রোহ জাগানিয়া ড্রাগ চাই.."
১৩. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:০৭
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ, আরাশি।
১৪. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:২৪
comment by: দূরন্ত বলেছেন: ৫
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:২৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ দূরন্ত। নতুন পোস্ট কই?
১৫. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩০
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: 'বাংলাদেশের মানুষ একবারই জিতেছিল ১৯৭১ সালে। তারপর পরজিত হতে হতে আজ এমন এক অবস্থায় এসে পড়েছে যে জনগণের বড় অংশ একমত হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করা যাচ্ছে না।'
সেরা লাইন,ঝড়ো হাওয়ার সাথে একমত।

আসলেই নতুন যুদ্ধের কথা কেউ বলিনি....অথচ পুরোটা বছর চলে গেল!

ভালো আছেন মাহবুব ভাই?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩৩

লেখক বলেছেন: নিশা,
ধন্যবাদ। ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন?
১৬. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩০
comment by: দূরন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ। হবে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩৫

লেখক বলেছেন: তবে তাই হোক।
১৭. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩১
comment by: বসুরহাট বলেছেন:
ইংরেজী নববর্ষের শুভ লগ্নে আপনার জন্য রইলো একরাশ রজনী গন্ধার সুরভী শুভেচ্ছা।

হ্যাপী নিউ ইয়ার 2008

mojnu@noakhaliweb.com.bd
http://www.noakhaliweb.com.bd
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩৬

লেখক বলেছেন: আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আপনাদের সাইটটা ভাল হয়েছে।
১৮. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩১
comment by: অনুনাদ বলেছেন: নারে ভাই, তসলিমা কে দেখতে পারি না বলে তার লিখা আপনি কপি/পেষ্ট করায় সহ্য করতে পারি নাই। নিজ গুনে ক্ষমা করে দিয়েন।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩৯

লেখক বলেছেন: অনুনাদ,
ক্ষমা করে মহৎ হইতে চাই না। আমি মাইন্ড করি নাই। আজকে কমেন্ট দেখে অবাক হইছি বলে ওই কথাটা বলছি। টেক ইট ইজি। ফরগেট অ্যান্ড... এনজয়।
১৯. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩৯
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: এই তো চলছে আর কি!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৪৬

লেখক বলেছেন: তার মানে আপনার মন খারাপ থামে নাই।
২০. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫১
comment by: এস্কিমো বলেছেন: আপনার কি অপরাধ সেইটা ঠিক বুরলাম না।

বলছেন -"কিছু রাজাকার আলবদরের শাস্তি হলে আমাদের ৭১ পরবর্তী ভুলের প্রতিবিধান হয়। শহীদের আত্মার শান্তি হয়।"

তারপর বলছেন -

"কিন্তু নতুন একাত্তরে নতুন রাজাকার আলবদরের শাস্তি বিধান কি তাতে হবে। "

তারপর নতুন ৭১ আবার কোথা থেকে এলো? রাজাকার আর আলবদরের ইতিহাস নতুন করে লেখবেন নাকি?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫৮

লেখক বলেছেন: এস্কিমো,
আপনার মতো জ্ঞানী ব্যক্তিকে একটা পুরা পোস্ট লিখেও যখন বুঝাইতে পারলাম না তখন কমেন্টে সামান্য কয় লাইন লিখে আর বুঝাইতে চাই না। এ যাত্রা মাফ করে দেন। মাফ করতে না চাইলে পোস্টটা নিজগুনে আবার পড়েন।
২১. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:০৫
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: না মাহবুব ভাই,আগের চাইতে অনেক ভালো........তবে সাবধান থাকবো এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়!

ভালো থাকবেন,নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:০৯

লেখক বলেছেন: গুড। থ্যাংকস। হ্যাপি নিউ ইয়ার।
২২. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:১২
comment by: এস্কিমো বলেছেন: আপনি তো পুরা পোস্টে বারবার অতীতকে টেনে এনেছেন। আগে সম্ভব হয় নি বলে আজও হবে না তা কেন? যুদ্ধাপোরাধীর বিচারের দাবীর সাথে ইফ এলস যোগ করে আপনি কি পুরো দাবীটাকেই বিতর্কিত করছেন না?

আমি একজন ভিকটিম হিসাবে কখনওই "যদি কিন্তু " ধরনের কথা যেমন শুনতে চাইনা তেমনি কে অতীতে কি করেছে - কার জন্যে বিচার হয়নি তাও শুনতে চাইনা। আগে চাই যুদ্ধাপোরাধীর বিচার। তারপর ইতিহাস বিশ্লেষন।

যতক্ষন বিচার না হচ্ছে ততক্ষন দাবী করতেই থাকবো - কার কাছে করছি সেটা গুরুত্বপূর্ন কি? এই সরকার কেন কোন সরকারই তাদের প্রভুকে অখুশী করতে চাইবে না - তবে এক পর্যায়ে সবই হয়। শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকরে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেয়েছিলো হত্যাকারীরা। এখনও কি বলবেন সেটা ছিল জনগনের ব্যর্থতা?

আমরা জনতা হিসাবে আমাদের দাবী থাকবেই। এর সাথে "যদি কিন্তু" ধরনের কথা বলে দয়া করে সুশীল হবার চেষ্টা না করাই ভাল। হয় সাথে থাকেন - না হয় সরাসরি বিরোধীতা করেন।


শেষ কথা হলো - ভাই একজন সাধারন মানুষকে জ্ঞানী হিসাবে উল্লেখ করে কৌতুকটা কি নির্মম হয়ে যায় না?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:২০

লেখক বলেছেন: জ্ঞানী ব্যক্তিকে জ্ঞানী বলাটাই আদব। আপনার জ্ঞান, বিদ্যা ও বুদ্ধি আমার মাথা নুইয়ে দেয়। আগেও কথা বলে টের পেয়েছি। সেলাম আপনাকে। আপনার কঠিন প্রশ্নে জবাব দেয়া আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে সম্ভব নয়। আপনার কথা বুঝতে চেষ্টা করি, এতেই আমার সাফল্য আসবে।
২৩. ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:২২
comment by: এস্কিমো বলেছেন: হুমম...

মজা পাইলাম জনাব :)
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:২৪

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট। ভাল থাকবেন।
২৪. ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:৫৭
comment by: ডাক্যাইত বলেছেন: বিশ্বাস করেন, এস্কিমোর মন্তব্য দেখার আগেই আমি বলতে চাইছিলাম যে এস্কিমো আপনের লেখা পইড়া উল্টা বুঝবো এবং উল্টা কমেন্ট করবো। comprehension problem. আর কিছু না ;-)
০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪১

লেখক বলেছেন: ডাক্যাইত,
আমি ওনার উল্টা বুঝন আর উল্টা কমেন্ট করনের ভক্ত। ভক্ত হিসেবে উনি মাঝে মধ্যে দৃষ্টি দিলেই আমি খুশী। কমেন্টের দরকার কী? জয় এস্কিমোর জয়! আপনার কথা বিশ্বাস করছি।
২৫. ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:২১
comment by: মিরাজ বলেছেন: "বাংলাদেশের মানুষ একবারই জিতেছিল ১৯৭১ সালে। তারপর পরজিত হতে হতে আজ এমন এক অবস্থায় এসে পড়েছে যে জনগণের বড় অংশ একমত হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করা যাচ্ছে না। "

এই এমন অবস্থা হলো আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং তা হতে উদ্ভূত ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুবিধাবাদ।

চমৎকার একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪৩

লেখক বলেছেন: মিরাজ ভাই,
অনেক ধন্যবাদ। ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুবিধাবাদ অনেক দলকে আদর্শসহ খেয়ে ফেলেছে।
২৬. ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২১
comment by: মাঠশালা বলেছেন: সাংবাদিকদের কাছে নিজামীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এবছর রাজাকার ইস্যু নিয়ে সরাসরি আলোচিত হচ্ছে।
আমি সঠিক জানি না যে ইতিপূর্বে রাজাকার অভিযোগে অভিযুক্তদের মধ্যে নেতৃত্ত্ব স্থানীয় কেউ এবারের মত এত স্পষ্ট করে কিছু বলেছে কি না। যাই হোক তারা এবার বলল আর আমরা শুনলাম। তাদের বক্তব্যকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিতে হচ্ছে একারনে যে, এতদিন যারা মূলধারার রাজনৈতিক মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের পেটেন্ট এবং ভূমিকা নিয়ে আগডুম বাগডুম বলত তাদের রাজনৈতিক অবস্থানে ধস নেমেছে আর ঠিক এরকম একটা সময়ে গোলাম আযম-নিজামী-কামরুজ্জান প্রমুখ অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে তাদের অবস্থান এবং মনোভাব জানিয়ে দিলেন। এমন কি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মুভমেন্টর সময়ও স্পস্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে ঘাদানিক মুভমেন্টের সময় মিডিয়া তাদের বক্তব্যের বিষয়ে এখনকার মতো সচেতন ছিলো বলেও মনে হয় না। তথাপি সেসময় রাষ্ট্র নিজে তাদের প্রতি শুধু সহানুভুতিশীল ভূমিকাই নেয়নি বরং ঘাদানিক'এর নেতৃত্ত্বে থাকা অরাজনৈতিক (কোন কিছুই রাজনীতির বাইরে না ধরে নিয়েও) ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করেছিল।
এখন লক্ষ্য করেত হবে অভিযুক্তরা কেন এই সময়ে এসে কথা বলছে। যখন রাজনৈতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের পেটেন্ট দাবিদাররা সবসময় তাদের ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা জ্ঞান করে 'বঙ্গদেশীয় গনতান্ত্রিক' ক্ষমতা ভোগদখলের অভিলাসে ব্যবহার করে আসতেছিল।
আমার মনে হয় এবার একটা আষ্চার্য সুযোগ এসেছে রাজাকারদের বিচার চাওয়ার(যারা চান)। এ প্রকৃয়ায় লীগ-বিএনপি-বাম কাউকেই কলকে দিলে তারা তাদের অভ্যাস বসত ফায়দা লুটতে এবারও কসুর করবে না; কিছুদিন আগের ঢাকা ইউনিভার্সিটির ঘটনা সহ পূর্বের অন্যান্য মুভমেন্টে যার ভুরি ভুরি উদাহরন আপনারাই জানেন।

এবার আসা যাক ৭১ পরবর্তী রাজাকারদের প্রসঙ্গে;ছোটবেলায় আমি যে স্কুলটিতে পড়তাম তার পশেই ছিল একটা মসজিদ কাম্ মাদ্রাসা। তো সময়টা রুশদির ফাসি চাওয়া কালিন।
যে কোন রকম মিছিল মিটিং এ ঐ মাদ্রাসার ছাত্রদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করার মত ছিল; কারন, তারা একই রকম পোষাকে প্রায় প্রতিটা মিছিলেই গজাড়ির লাঠি সহকারে সামিল হত। দেশে মুসলিম জঙ্গীবাদের উথ্থানের সাথে সাথে আমার প্রথমেই ঐ সকল মাদ্রাসার জঙ্গী মিছিলের কথা মনে পড়তে থাকে। যদিও কোন কারন নাই, নাকি আছে?
ছোটবেলায় ওদেরকে আমরা আন্ডারএষ্টিমেট করতাম আর মসজিদে গতায়াত করা মুরুব্বিরা স্নেহের দৃষ্টিতে দেখতেন।

মাহবুব মোর্শেদ যে জামাতি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের স্পিরিটের কথা বলছেন তাকে স্মরণে রেখেই বলতে চাই, গজাড়ির লাঠি সহযোগে মিছিল করতে করতে আমারই সমবয়সী ছেলেটা এই যুবক বয়সে আইসা তার ঐ জঙ্গী মিছিলের স্পিরিটটা কি ভুইলা গিয়া মসজিদে আযান দিতাছে নাকি অন্য কোন খাতে তার শৈশবে-কৈশরে অর্জিত সেই স্পিরিটটা কাজে লাগাইতেছে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:০২

লেখক বলেছেন: জুবেরী,
দীর্ঘ ও দরকারি মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার শৈশবের পর্যবেক্ষণটা মজার। আমিও এরকম কিছু ঘটনা দেখেছি। আপনার শৈশবে দেখা মাদ্রাসাগামী ছেলেদের কী হইলো, বা আমার দেখাদেরই বা কী হইলো এইটা নিয়া খোঁজ নেয়া যেতে পারে। তবে, গরীব মানুষের এই সন্তানদের জামাত ও অন্যরা কি বলে দলে টানছিল একটু খেয়াল করা দরকার। কথাটা শিক্ষিত লোকেরা অধিকাংশ সময় ভুলে থাকে। ইসলাম কায়েম উপলক্ষ বটে। কিন্তু তারা এর মধ্যে সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখে অর্থাৎ নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন। ফলে, এই তরুণদের সামনে গারিবি হটানোর জন্য নতুন কোনো রাজনীতি হাজির না করা গেলে তারা জিহাদী উপায়েই নতুন করে সংগঠিত হতে থাকবে। বাংলা ভাই বা আবদুর রহমানের ফাঁসি তো জিহাদের মতাদর্শকে ধ্বংস করতে পারবে না। খেয়াল করবেন, যে জঙ্গীরা ধরা খেয়েছে তারা জামাতের রানিং কর্মী না, অনেকেই প্রাক্তন কর্মী। আমার ধারণা, জামাতকে ইসলামী বিপ্লবের শক্তি মনে করে তারা জামাতে ভিড়েছিল বটে। কিন্তু প্রতারিত হয়ে পুনরায় জেএমবির সঙ্গে জড়িয়ে নতুন ভুল করেছে। জঙ্গী বানানোর মেশিন কিন্তু মাদ্রাসা নয়, দারিদ্র।
মাদ্রাস হলো উপলক্ষ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩

লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশের সঙ্গে একমত। সিভিল সোসাইটির সঙ্গে মেশামেশি করে বর্তমান বাম ও প্রগতিশীলরা মোটামুটি দুর্নীতি দমন আর সংস্কারের পক্ষে কথা বলাটাকেই তাদের স্লোগান হিসেবে মেনে নিয়েছে। দুএকজন অবশ্য সাথে সাথে শেখ হাসিনার মুক্তিও চান। এরা কিন্তু আওয়ামী লীগ না। এই দাবিটা এই দফা প্রথমে বাম ও প্রগতিশীলদের তরফ থেকে ওঠেনি। উঠেছে ক্ষমতাসীনদের তরফ থেকে। কর্মসূচীহীন বাম ও প্রগতিশীলরা প্রথম সুযোগেই এটা লুফে নিয়ে নিজেদের মুখ রক্ষা করেছে। এরা একটা বিষয়ে ভুল বুঝতেছে বলেই মনে হয়, সেটা হলো, দেশের মানুষ স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় মানেই বাংলাদেশী বাম ও প্রগতিশীল ও আওয়ামী লীগের পতাকা তলে এসে সমবেত হবে এই ধারণাটা মনে হয় ভুল।
২৭. ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪৪
comment by: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: আজ যখন দেখি আমার প্রিয় ক্যাম্পাসে
আমারিই সামনে
আমার প্রিয় শিক্ষক জাফর ইকবালের
জিহ্বাহ কেটে বঙ্গবসাগরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়
কিছুই করতে পারিনা
পত্রিকায় পাতায় দু লাইন লেখা ছাড়া
তখন ..............
তারপর দুই রাত নিজের জান নিয়ে লুকিয়ে থাকা
এ আমারই স্বাধীন দেশে
বলুন কিছু বলুন
আর কত সহ্য করব!
০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:০৪

লেখক বলেছেন: হায় হায়! আবার কী হইলো?
২৮. ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: খুব গভীরভাবে যখন ব্যাপারটা নিয়ে ভাবি , ভীষণ হতাশ লাগে ।৩৬ বছর ধরে আমার স্বদেশের অংগে যুদ্ধাপরাধীরা ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে গেছে, এখান থেকে ওখানে , সেখানে ।

একটা কথা খুব ভালো লেগেছে .........একবারই জিতেছিলাম ৭১ এ ।
তারপরেই যদি ক্যান্সারের গোড়াটা উপড়ে ফেলা হত , আজকের মত অবস্থা কি দাঁড়িয়ে যেতে পারতো ?

ভালো লেগেছে আপনার কথাগুলো +
০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মেহরাব শাহরিয়ার।
২৯. ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
comment by: আইরিন সুলতানা বলেছেন:
"টিভির টক শোতে এ বিষয়ে যখন ড. কামাল হোসেন, শাহরিয়ার কবীরের মতো ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার শুনি খুব ভাল লাগে। তারা বলেন, রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষ ট্রাইবুনাল করতে হবে। সব যুদ্ধাপরাধী না হোক কিছু বড় যুদ্ধাপরাধীর বিচার হতে হবে। বাহ। দেশে এরকম ঐক্যমত্য তো এই ইস্যুতে আগে তৈরি হয়নি। "


"হবে" শুনতে আর ভাল লাগছে না !!! হচ্ছে না কেন ? হয়নি কেন ?

ঐক্যমত ? আমাদের মত আবার সময়-সুযোগ মত পাল্টায় !!!

যে জাতি ৯ মাসে দেশ স্বাধীন করল সে জাতি ৩৬ বছরে কিছু যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে পারল না ! অথচ আমাদের মাঝে এখনও বিশিষ্ট, জ্ঞানী ব্যক্তিরা বিদ্যমান; এখনও যদি ইতিহাস সঠিক মর্যাদা না পায় তাহলে সামনের প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে শংকা, বিবাদ, দ্বিধা কতটা বৃদ্ধি পেতে পারে একবার ভাবুন তো ...
০২ রা জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪২

লেখক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আইরিন সুলতানা।
৩০. ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
comment by: "কুদরত আলী" বলেছেন: রাজাকার পুত্র ওয়ামীর বিশিষ্ট বন্ধু মাহবুব মোরসেদের রাজাকার তোষন বড়ই সুন্দর হইয়াচে
০২ রা জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪৩

লেখক বলেছেন: এইগুলা ছাড়েন। কোনো লাভ হবে না। পারলে আমার ব্লগে আইসেন না।
৩১. ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৯
comment by: এস্কিমো বলেছেন: মাঠশালা বলেছেন: সাংবাদিকদের কাছে নিজামীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এবছর রাজাকার ইস্যু নিয়ে সরাসরি আলোচিত হচ্ছে।


কোন ব্ক্তব্যটা?
০২ রা জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪৫

লেখক বলেছেন: খুব জরুরি একটা প্রশ্ন করেছেন এস্কিমো। মাঠশালা যদি এই পোস্ট আবার দেইখা থাকেন তবে এস্কিমোর জরুরি প্রশ্নের জবাব দিয়া যান।
৩২. ০২ রা জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:০৬
comment by: মদন বলেছেন: আমার মনের কথাগুলো এভাবে লিখে ফেল্লেন.?? :)
০২ রা জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট মদন।
৩৩. ০২ রা জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫০
comment by: অন্যরকম বলেছেন: আমি ছোট কমেন্ট করতে ভালবাসি!

প্লাচ+

কিছু কমু ভাবছিলাম, কিন্তু পড়তে পড়তে সব ভুইলা গেছি :(
০২ রা জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

লেখক বলেছেন: অন্যরকম,
ধন্যবাদ অনেক।
৩৪. ০২ রা জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৪৮
comment by: রকি ভাই বলেছেন: কার্টুনিস্ট রকস আমি না, অন্য কেউ ফাইজলামি করতাছে। মনে হয় আপনার বন্ধু হাসান বিপুল।
০২ রা জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৫১

লেখক বলেছেন: রকি,
সত্য কথা বল। নইলে কাল আসিস। তোকে রিমান্ডে নেবো।
৩৫. ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৪৯
comment by: মাঠশালা বলেছেন: নির্বাচন কমিশনারের সথে বৈঠক শেষ করে নিযামী সাংবাদিকদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭১ ও রাজাকার প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দেন তার পর থেকেই রাজাকার এবং যুদ্ধ অপরাধ ইস্যুটি জোরেসোরে আলোচনায় চলে আসে।
মহান এস্কিমো ভুলত্রুটি জ্ঞানগুনে ক্ষমা কইরেন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:০৪

লেখক বলেছেন: জুবেরী,
এস্কিমোর কাছে ক্ষমা চেয়ে ভাল করছেন। ওরকম জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে বারবার ক্ষমা চাইলেও লজ্জা লাগে না।
৩৬. ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: তাঁর জ্ঞান গরীমার সাগরে হাঁটুপানি ভেবে একবার নেমে গিয়েছিলাম । এহেন গোস্তাখির দরুন তিনি আমাকে ক্ষমা চাইবার জন্য আবেদন নিবেদন করে যাচ্ছেন । মনে হচ্ছে ক্ষমা না চাওয়াটা ভুলই হয়ে গেছে ।
(কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হচ্ছে না, এমন জ্ঞানীদের পদতলে জায়গা পাবার হিম্মত আমার নেই )
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:১৩

লেখক বলেছেন: এখন ক্ষমা চান। ভাল কাজে দেরি হলেও করে ফেলতে হয়।
৩৭. ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:২৩
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: ক্ষমা চায়া লাভ নাই,জ্ঞানী ব্যক্তিদের চুলকানি রোগ থাকে,কিছু না করলেই উনাদের চুলকায়,তাই মাঝে মাঝেই অন্যরে গুতায়া নিজের চুলকানি কমায়,কি আর করবেন? উনাদের রাতের ঘুম ভাল হোক,এই দোয়া করি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:২৮

লেখক বলেছেন: তবে তাই হোক। ওনাদের ঘুম ভাল হোক।
৩৮. ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৪৯
comment by: মুসতাইন জহির বলেছেন: ''যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তারা কোনো রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অস্ত্র ধরেনি। "--- ইন্টারেস্টিং।

অস্ত্র বলতে কি কি ধরা হবে বুঝতেছিনা। আর নিরস্ত্র বলপ্রয়োগের নানান রূপ ও প্রকাশ তো আছেই।

কিন্তু জাসদ এবং তাদের গণবাহিনী সম্পর্কে যারা সামান্য ইতিহাসও জানেন তাদের ভ্যাবাচ্যাকা খাইতে হবে। তবে জাসদকে যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলা না হয়, তাইলে ভিন্ন কথা।
২১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

লেখক বলেছেন: মুসতাইন জহির,
ভাল পয়েন্ট।
জাসদ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। তারা অস্ত্রও ধারণ করেছে। এবং একটা রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামও করেছে। যে সংগ্রাম অনেকদূর এগিয়েও ছিল। নিশ্চয়ই সংগ্রামের ইতিহাস আমরা ভুলবো না। কিন্তু আজকে যখন ইতিহাসের দিকে পেছন ফিরে তাকাই তখন সরলার্থে আমার মনে এ সিদ্ধান্ত তৈরি হয় যে, আওয়ামী লীগের গর্ভ হতে তৈরি জাসদ আবার আওয়ামী লীগের গর্ভেই বিলীন হয়েছে। জানি না আপনি পরের প্রশ্নটা করলে আমি উত্তর দিতে পারবো কি না। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জাসদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, বিপ্লব, সব কিছু মনে রেখে আমার মনে হয় জাসদ আসলে আওয়ামী লীগের এক্সটেনশন। জাসদ ও আওয়ামী লীগের বিরোধের ফলে বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির সূচনা ঘটেছে। সেটাকে বাঙালি মুসলমানের জাতীয়তাবাদী রাজনীতি বলা সম্ভব। এইখানেই জাসদের কৃতিত্ব।
এর বাইরে জাসদ আমাদের যা দিয়েছে তা হলো, বীরত্ব, হা-হুতাশ আর আওয়ামী বর্বরতার স্মৃতি।
৩৯. ১৯ শে জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:১৯
comment by: কথামালা বলেছেন:
অবশেষে নব্য রাজাকারদের দলে আপনিও ????????????



সাবাস ভাইজান ! যোগ্য উত্তরসরী ! যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বেইচা,যারা নিজেরা যুদ্ধ না করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বেইচা সারা বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুক্তিযুদ্ধাদের আজ না খাওইয়া রাখছে সেই কামাল হোসেন, সেই শাহরিয়ার কবিরদের দলে আপনি শুধু যোগই দেন নাই; তাদের হইয়া ভালোই তো কলম চালাইতাছেন। তো টাকার ভাগ কতদূর পাইছেন ?

এই নব্য রাজাকাররা আজ বিদেশীদের টাকা খাইয়া যখন দেশ; দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সহ বিদেশিরা যা যা চাচ্ছে তার পক্ষেই ওকালতি করছে; আইনি সহায়তা দিচ্ছে (উল্লেখ্য ড. কামাল হোসেন এশিয়া এর্নাজি ; শেভরন সহ বেশ কটি বিদেশী বহুজাতিক কমপানির এদেশের সম্পদ লুটপাটের যে তৎপরতা তার সাথে প্রকাশ্যে-গোপনে যুক্ত) তখন মাহবুব ভাই নিশ্চয় অবুঝের মত কিছু লিখছেন না ।

এই কথা বললে বোদহয় অপ্রাসঙ্গিক হবে না মাহবুব ভাই কর্মসূত্রে যে পত্রিকার (দৈনিক প্রথম আলো ) সাথে যুক্ত তারাও অতীতে ও বর্তমানে এই নব্য রাজাকারি ভূমিকায় প্রকাশ্যেই নামছে । সচেতন পাঠক মাত্রই জানেন এই পত্রিকা বর্তমান অবৈধ (অসাংবিধানিক এবং গণ বিরোধী কাজ-কর্ম--যেমন দ্রব্যমূল্যসহ নানান ক্ষেত্রে মানুষের বেচে থাকার নূন্যতম অধিকারটুকু কেড়ে নিচ্ছে এ সরকার ) সরকার এর মূখপত্র শুধুনয়; নীতি নির্ধারনী পত্র রূপে কাজ করে ।

সচেতন মাত্রই জানেন, এই সরকার কাজ করছে বিদেশী করপোরেট স্বার্থে ; বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; তার ইউরোপিয়ান মিত্র বৃটেন এবং আঞ্চলিক মিত্র ভারতের সরকার ও তাদের করপোরেট স্বার্থে । আর এই সব বিদেশীদের টাকায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রে দীর্ঘ সময় ধরে বানানো হয় নানান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( যেমন- সিপিডি, ট্রান্সপারেন্সী ইন্টরন্যাশনাল); এনজিও (যেমন-ব্রাক; প্রশিকা;গ্রামীণ; নিজেরা করি; মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন): বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা (যেমন - আইন ও সালিশ কেন্দ্র ); সংবাদ পত্র কিংবা ইলেক্টনিক মিডিয়া(যেমন- প্রথম আলো; ডেইলি স্টার; চ্যানেল আই প্রভৃতি )।

পাঠক । মাহবুব ভাই না জানলেও আপনারা নিশ্চয় জানেন, বর্তমান সরকারের যারা উপদেষ্টা কিংবা নানা ভাবে বর্তমান সরকারকে নানা পদ-পদবির বিনিময়ে সাপট করে যাচ্ছেন ; উপরে নামনেয়া প্রতিষ্ঠান গুলো বিদেশীদের টাকায় তারাই নিজেদের আখের গোছানোর জন্য তৈয়ার করেছেন । এবং এখনো নানান টাকা-পয়সার বিনিময়ে আখের গোছানোর মধ্যেই আছেন ।

তারা সকলে মিলে বিদেশীদের কাছে টাকার বিনিময়ে শপথ করেছে এই যে, আমরা বাংলাদেশ থেকে যে কোন প্রকার রাজনীতি (জনকল্যাণ +জনবিরোধী ) উৎখাত করব । উৎখাতের সময় আমরা নিজেদের প্রচার করব সৎ,যোগ্য,সুশীল বলে । সংক্ষেপে আমরা 'সুশীল সমাজ' বলে সমাজে হাজির হব ।

অতীতের জনস্বার্থ বিরোধী রাজনৈতিক দল (আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত,বাম দল সমূহ) ও দলের সমর্থক জনগনের চোখে ধোকাবাজি দিয়ে নিজেদের সৎ;যোগ্য হিসাবে প্রচারের সাথে সাথে বলব মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা; বলব দুর্নীতির বিরোদ্ধে; বলব সন্ত্রাসের বিরোদ্ধে; কখনো কখনো বলব ইসলামী জঙ্গীদের বিরোদ্ধে(যেটা আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিপীড়নের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ কারী মুসলমান পরিচয়ের লড়াকু ইসলামীদের বিরোদ্ধে; কারণ তারা ডলারের জীবন দিবে । যার সাথে ১৯৭১ সালে রাজাকার জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশের জনগনের বিরোদ্ধে যে নারকীয়তার পক্ষ নিয়ে ছিল ; সেই ইতিহাস জনগনের সামনে হাজির করে মাঝে মাঝে তথাকথিত সেক্যুলার মধ্যবিত্তকে ভয় দেখাব); আর ইউনুছের মতো সুদখোর; ঋণের নামে গরীবের মাল লুটপাট করে গ্রামীণ ফোন কমপানির নামে বিদেশে টাকা পাঠিয়ে নোবেল পাওয়া ব্যক্তিদের সংর্বধনা দিব । অধ্যাপক মোজাফফরের মতো আমেরিকান এজেন্টদের একুশে পদক কিংবা স্বাধীনতা পদক দিব। কিংবা রাষ্ট্রদূত বানাবো সিপিডির দেব প্রিয়কে; সংখ্যা লঘুরা যেন বুঝে আমরা সরকারে আছি তাই কাউ কাউকে উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বানাব ; আরো কত কি পদ-পদক দিব ।

মাহবুব ভাই ধৈর্য না হারালে বলি-

উপরে বলা এই 'সুশীল সমাজ' যারা বিদেশীদের হুকুমে আমাদের তথাকথিত দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ( যারা জাতিসংঘের নানান মিশনে মূলত আমেরিকার স্বার্থে বাড়া খাটতে যায়) বন্দুকের নল পাছায় ঠেকিয়ে আজ জনগনের উপর জোরকরে বসে আছে তারাই অতীতিতে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চড়ে কখনো মুক্তিযুদ্ধা হইছে আবার বিএনপির কাদে চইরা এনজিও বানাইছে গরীবগ ভাগ্যে বদল ঘটাবে বলে । যখন আখের গোছানো শেষ তখন তাদের আসল রূপে ১/১১ তে হাজিরা দেখলাম ।

ফলে সংগত কারনেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশে থাকতে পারবা না যত দিন সুশীলরা রাষ্ট্র চালাবে । হয়ত খালেদাকে দেশ নাহয় দশ ছেড়েই থাকতে হবে । যদিনা কোন কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে জনগনকে সাথে নিয়ে সুশীলদের বিরোদ্ধে । নিজামীর মুক্তিতে আপনি আরাম পাইতে পারেনমাহবুব ভাই কিংবা বেরাম আরো বাড়তেও পারে ; তবে আমার মনে হয় নাকে খত দিয়েই সে জেল থেকে বাইর হইছে । ( শুনুন বাংলাদেশে জাতিসংঘের তথাকথিত শান্তি মিশন কে জামায়াত নেতারা ডাকতাছে । সাধু সাবধান !)।

এটা সন্দেহ নাই পূর্ববর্তী ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দল গুলোর রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারনেই এই নব্য রাজাকার সুশীলরা আজ বাংলার আকাশ(এয়ার ট্রানজিট)-বাতাস(মিঠা পানির নদী গুলো বিদেশী কমপানিদের কাছে তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে) -মাটি ( ট্রানজিট)-নদী- জল-প্রকৃতি নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কমপানিদের দিয়ে দিচ্ছে ।

মাহবুব ভাই আপনার লেখা পড়ে আমি আতকে উঠেছি । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের দোহায় দিয়ে ড. কামাল হোসেন; প্রথম আলোর সম্পাদক মতি ভাই গংরা আজ বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে যে বিদেশীদের স্বার্থে তাদের মত করে নতুন নতুন নীতিমালা, অধ্যাদেশ ইত্যাদির মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে বন্দী করছে আপনিও( নিছকই চাকরির কারনে কি না জানি না? ) তাদের রাজনৈতিক প্রপাগান্ডার অংশীদার হচ্ছেন ; যখন আপনার হওয়া উচিত অস্ত্র হাতে তাদের বিরোদ্ধে লড়াকু মুক্তিযুদ্ধা ।

তাহলে কি আমরা ধরে নিব ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি জন্মালে হতেন একজন সাচ্চা রাজাকার । না ; আমরা তা বিশ্বাস করতে চাইনা । আমরা চাই ১৯৭১ সালের রাজাকারী ভাবনা অতিক্রম করে বর্তমানেও আপনি নব্য রাজাকারদের থেকে চিন্তাগত ভাবে এবং কর্মগত ভাবে মুক্ত হবেন ।

একজন ভক্ত হিসাবে আপনার নিকট এটা প্রত্যাশা মাত্র । বাকিটা আপনার বুঝের উপর র্নিভর করবে ইতিহাসে আপনি কি ভূমিকায় অভিনয় করবেন ।

রাজাকার নাকি মুক্তিযুদ্ধা।

ভগবান আপনাকে ইহকালে নয়; পরকালে বেহেস্ত দান করুন । যেহেতু আপনি ভাববাদি সেক্যুলারদের ধর্মে এখনো আস্থাবান ।


আপনাকে বর্ণহীন সালাম !!!!!


আরো অনেক প্রশ্ন তোলা যেত । যদি আগ্রহ থাকে পরে আলাপ হবে।




২১ শে জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১১

লেখক বলেছেন: খাইছে!
আপনে তো রীতিমতো ইশতেহার দিয়া দিছেন দেখি। কিন্তু আপনার ইশতেহার পইড়া তো বুঝলাম না আমার অপরাধটা কী?
আমার কোন লেখা থেকে আপনার এইকথাগুলা মনে হইলো একটু জানতে পারি কি?
৪০. ২২ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১:১৩
comment by: কথামালা বলেছেন:


নমুনা হিসেবে আপনার লেখার অংশবিশেষ তুলেদিলাম--

'যুদ্ধাপরাধ ও স্বাধীনতা বিরোধিতার বিচার হোক।
টিভির টক শোতে এ বিষয়ে যখন ড. কামাল হোসেন, শাহরিয়ার কবীরের মতো ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার শুনি খুব ভাল লাগে। '

এবার বুঝলেন তো ? নাকি বুঝতে চান না ?
২২ শে জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:০৭

লেখক বলেছেন: এইটুকু লেখার জন্য আমারে এতো গালি দিলেন?

No comments:

Post a Comment