Tuesday, March 3, 2009

সুশীল সমাজের সাজানো বাগানের ভেতর দিয়ে চলা লাইনচ্যুত ট্রেন

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৪
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

'বিএনপির সাজানো বাগান তছনছ হয়ে গেল।' কথাটা আমার নয়, এক প্রতিথযশা সাংবাদিকের। ১১ জানুয়ারির পর যখন গুদামে তালা পড়তে থাকলো। কেউকেটারা গ্রেফতার হলো, কেউ পালিয়ে বাঁচলো। বাগানবাড়ি, মিনি চিড়িয়াখানায় চোরাগোপ্তা হামলা চলতে থাকলো। রাস্তায় বাঘ, বানর, ময়ূর সাপ পাওয়া যেতে থাকলো। সিটি কর্পোরেশনের ভাংচুর অভিযানে ব্যবসায়ীরা ভয়ে অস্থির হতে থাকলো। দুর্নীতি বিরোধী, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাপন্থী, সুশীল সমাজ মুর্হূমুহু সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে জানিয়ে দিতে থাকলেন আমরা আছি। আমরা আছি।
গল্পটা অনেক মজার। শাসকদের একটা ট্রেন যাচ্ছিল বাংলাদেশের হৃদয়ের মধ্য দিয়ে। ট্রেন চলছে। কিন্তু হঠাৎ সুশীল সমাজ খেয়াল করলো, ট্রেনটা লাইন দিয়ে চলছে না। অন্যায়, অবিচারের মধ্য দিয়ে ট্রেনটা চললে দেশ শেষ হয়ে যাবে। সুশীল সমাজের সেমিনারে ব্যাপারটা নিয়ে অনেক কথা বার্তা হলো। ট্রেন শূন্য দিয়ে চলছে নাকি, থেমে গেছে, নাকি পুকুরে পড়ে গেছে? কেউ বললো না ট্রেনটা কোথায়। কিন্তু ট্রেনটাকে তুলতে হবে, এটা তখন সবার দাবি। কিন্তু সুশীল সমাজ আর তাদের পলিসি সংগঠনগুলো তো আর নিজেরা ট্রেন তোলার ক্রেন আনতে পারবে না। তাই তারা যাদের সাহায্যে চলে তাদের কাছে গেল। আন্ডার সেক্রেটারিরাও বললো ট্রেন তো লাইনে নাই। অতএব ট্রেনকে লাইনে তুলতে হবে। পত্রিকাগুলো বললো, হ্যা ট্রেনকে এবার লাইনে তুলতে হবে। ব্যবসায়ী নেতারা বললো, ট্রেন টেনে না তুললে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। সমগ্র শাসক শ্রেণী যখন একমত হলো তখনই ক্যান্টনমেন্ট থেকে ক্রেন এসে সেই অবাক, আশ্চর্য, ভার্চুয়াল ট্রেনটাকে লাইনে তুললো। অন্তত দাবি করা হলো, পিসি সরকারের সেই জাদুর ট্রেনটা লাইনে উঠেছে। সবাই প্রশ্ন করলো, তাইলে ভেঁপু বাজে না কেন? ধাড়াক ধড়াক আওয়াজ পাওয়া যায় না কেন? সিঁটি বাজে না কেন? বলা হলো, ড্রাইভার নেই। দুর্নীতিবাজ ড্রাইভাররা সব জেলে তাই শাসনের ট্রেন আর স্টার্ট করা যাচ্ছে না। একে একে অনেকেই ড্রাইভার সাজতে চাইলো। কিন্তু কেউ শেষ পর্যন্ত লাইসেন্স পেল না। নোবেল লরিয়েট থেকে ভাঁড় পর্যন্ত সবাই চেষ্টা করলো। কেউ পারলো না। আজ পর্যন্ত ড্রাইভার পাওয়া গেল না। তাই সামনে অনিশ্চিয়তা। ড্রাইভার না পাওয়া গেলে ক্রেন দিয়ে গুন টেনে ট্রেন চালানো হবে কি না?
ট্রেনের গল্পটা ভালই চলছিল। কিন্তু লাইনের গল্প শুরু হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র থাপ্পড় খাওয়ার পর। সেই এক থাপ্পড়, বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। দুই দিনের মাথায় সরকারের যাই যাই পরিস্থিতি। পুরো ব্যাপারটার কথা মনে হলে, একটা ফিকশন মনে হয়। পাঁচ মাস চলে গেল। গ্রেফতার হওয়া ছাত্র-শিক্ষকরা এইটা প্রমাণ করে বের হলেন যে, সরকারের একমাত্র অর্জন অর্থাৎ বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও এখন স্রেফ লোক দেখানো ব্যাপার। লাইনের কথা আবার আলোচনা হলো, প্রত্নসম্পদ পাচারের ঘটনা থেকে। বেহেশতী সুশীলদের প্রতিনিধিরাও যে পাপ করতে পারেন। তাও দেখা গেল। তারপর এলো, দ্রব্যমূল্য। চাইলের চাইলে চারজন উপদেষ্টা কুপোকাত। লাইনে যে ট্রেন নাই সেইটা বোঝা যাচ্ছে। লাইন থাকলে না দেখা যাবে ট্রেন কোথায় থাকার কথা।
যে রাতে উপদেষ্টারা পদত্যাগ করলেন সে রাতে এক বন্ধুকে ফোন করেছে সুশীল সমাজের এক প্রতিনিধি। বন্ধু বললো, স্যার আপনে এখনও ফোন বন্ধ করেন নাই? স্যার বললেন ক্যান? বন্ধু বললো, উপদেষ্টা হতে না চাইলে এখনি ফোন বন্ধ করে ঘরের লাইট নিবিয়ে শুয়ে থাকেন। একদা কত কত সুশীল সমাজে চারদিক মুখরিত ছিল। টিভিতে চেহারা মোবারক দেখে কতজনাই পলিসি দিতেন। অথচ সরকার এখন নাকি উপদেষ্টাই পায় না। একদা আমরা ভাবতাম, নুতন ধরনের এই শাসনে সুশীল সমাজের সাজানো গোছানো পলিসির বাগানের ভেতর দিয়ে যাবে সেই ভার্চুয়াল, আশ্চর্য ট্রেন। নাগরিকরা যে ট্রেন কোনোদিন দেখেনি। শুধু একটা ট্রেন আছে বলে শুনছে। সেই ট্রেন লাইন থেকে পড়ে যাচ্ছে। উঠছে। আহ, এখন গাড়ি চলে না, চলে না চলে না রে।
থাইল্যান্ডেও নাকি এইরকম হইছিল। সুশীল সমাজ এইরকম সক্রিয় হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে কী হয়েছে সবাই জানেন।
এখন বাংলাদেশে টিভি চ্যানেলে আর সুশীল সমাজের প্রতিনিধি তেমন দেখা যায় না। মাঝে মাঝে এলেও গলায় তেমন জোর নাই। তারা এখন কী বলেন সেইটা তারাও বোঝেন কি না বোঝা যায় না। টকশোগুলোকে এখন অ্যাবসার্ড নাটকের মহড়া মনে হয়। মাঝে মাঝে কিছু রাগী মানুষ এসে বাতাস গরম করে যান। ব্যস। এর বাইরে যারা আছেন সেই পলিটিকাল টাউটদের কথা শুনলে ট্রেনের নিচে মাথা দিতে ইচ্ছা করে। আমাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এক আশ্চর্য ট্রেন। আসুন লাইনে মাথা পেতে দেই। যদি কখনো চালু হয় তবে অন্তত মাথাটা তো কাটা পড়বে।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৬৭ টি মন্তব্য
* ৭০৭ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ২৩ জনের ভাল লেগেছে, ১২ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28763629 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৫
comment by: মৃদুল মাহবুব বলেছেন: দারুন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৩

লেখক বলেছেন: থ্যংকস এ লট।
২. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৭
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: আমাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এক আশ্চর্য ট্রেন। আসুন লাইনে মাথা পেতে দেই। যদি কখনো চালু হয় তবে অন্তত মাথাটা তো কাটা পড়বে।
-মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৪

লেখক বলেছেন: সহজ না?
ধন্যবাদ।
৩. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫০
comment by: সবুজ আরেফিন বলেছেন: ভালোই বলেছেন। আমাদের স্বপ্নের ট্রেনের ভবিষ্যতকে কি আমরা ধরতে পারবো না মাহবুব ভাই। আমরা আমাদের অতীত বিসর্জন দিয়ে ভবিষ্যত কিনতে চাচ্ছি।

আমাদের এখন দরকার কিছু হাবা যুবকের হাসি। আসুন আমরা সবাই হাবা হয়ে যায় আর হাসি আর কি কি যেন করতে হবে মাহবুব ভাই...
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৬

লেখক বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
আপাতত দেখা দরকার লাইনটা কোথায়। মাথা কোথায় দিতে হবে।
৪. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৫
comment by: মিরাজ বলেছেন: লাইনচ্যুত ট্রেনের চলতে থাকার চমৎকার বর্ণনা। তবে আমি মনে করি লাইনচ্যুত হলেও ট্রেন এতটা ছড়িয়ে যায়নি যে পুনরায় লাইনে ওঠা অসম্ভব।

চালকের (চালক কে সে প্রশ্ন কইরেননা আবার ) দক্ষতার উপর নির্ভর করবে ট্রেন কি ছিটকে পড়বে নাকি আবার লাইনচ্যুত হবার জন্য সাময়িকভাবে লাইনে উঠবে ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৮

লেখক বলেছেন: মিরাজ ভাই,
লাইন হয়া যায় আঁকাবাঁকা...

ধন্যবাদ।
৫. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৬
comment by: ১৯৭১ আমার চেতনা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০০
comment by: স্নোবল বলেছেন: "সুশিল সমাজের সাজানো বাগান" হা হা হা...এহানে কি তামাশা-মস্করা চলতেসে দেকি...আরো এপ্রপ্রিয়েট টাইটেল দেই আপনারেঃ "সুশীল সমাজের সাজানো ফুলেল বাগিচায় প্রেনোন্মত্ত বন্য বরাহের উল্লাস"
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৩

লেখক বলেছেন: ভাল বলছেন তো।
৭. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১০
comment by: মিসকল মফিজ বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট...........

++++++++++++++++++
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৫
comment by: সবুজ আরেফিন বলেছেন: একটা জাতি কিভাবে বেড়ে উঠবে তা ঠিক করে দেবে দর্শন। কিন্তু আমাদের সমস্যাটা দর্শনের খুব বড় ধরনের একটা ক্রাইসিসে।

আদৌ কি দর্শনের ক্রাইসিস? আমার মনে হয় না। কারন আমাদের যে দার্শনিক সারবস্তুর যে ভান্ডার আছে তাকে আমাদের সময়ের স্রোতে ছেড়ে দিতে হবে। অবশ্য সময়ের আঁকাবাকা পথটাকেও আমাদের ভালোভাবে চিনতে হবে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

লেখক বলেছেন: আমাদের সমস্যাটাকে ঠিক দার্শরিনক সমস্যা বলে মনে হয় না। সমাজটা তো ছোট বড় দার্শনিকে ভরে আছে। সমস্যা সক্রিয়তায়। কাজের লোক নাই, দর্শন তো প্রচুর।
৯. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
comment by: হলদে ডানা বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর এক রূপক বর্ণনা।

আপনার নিকট থেকে লেখালেখি শিখতে হবে। আপনাকে পর্যবেক্ষণে রাখলাম।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

লেখক বলেছেন: পর্যবেক্ষণে রাখেন। কিন্তু শিখার কথা বইলেন না। ধন্যবাদ।
১০. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৮
comment by: হট্টগোল বলেছেন:

আমি আবারও মুগ্ধ লেখা পইড়া
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

লেখক বলেছেন: আমিও আপনার কমেন্ট পইড়া মুগ্ধ।
১১. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৩৩
comment by: মামু বলেছেন: আমরা বাস্তবের ট্রেন ছাইড়া, সপ্নের ট্রেন চড়তে পছন্দ করি; আর তাই কখনই আমাদের ট্রেন চড়া হয় না।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

লেখক বলেছেন: ঠিক কথা।
১২. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৯
comment by: সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: দারুন বর্ণনা.......মনে হলো এক নিঃশ্বাসে পড়লাম।ভালো লেগেছে।
আশাকরি লাইনে মাথা দিতে হবেনা....।আপনারা তো রইলেন,কিছু একটা হবেই।
শুভেচ্ছা।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট। আমাদের ওপর ভরসা করলে মাথা কাটা পড়ার ভাগ্য থেকেও বঞ্চিত হতে হবে।
১৩. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:২০
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: আপাতত লাইনে মাথা দেয়া যাক।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

লেখক বলেছেন: হ।
১৪. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:৫১
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: মাহবুব ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই সাহসী লেখাটির জন্য। আচ্ছা পত্রিকা গুলোর উপর চাপ আছে বলেই কি এরা এসব লেখা প্রকাশ করতে পারে না? আমি তো দেখছি এক নয়া দিগন্ত ছাড়া কেউই সরকারের সমালোচনামূলক কোন লেখা ছাপে না। এমন কি দিনকালও না।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

লেখক বলেছেন: এই লেখা তো পত্রিকায় দেইনি। ব্লগের জন্যই লেখা। তাই বলতে পারবো না কেউ ছাপতো কি না।
থ্যাংকস।
১৫. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:০২
comment by: কোলাহল বলেছেন: দারুন লিখেছেন মাহবুব ভাই। আরো ভাল লাগছে কারন গতকালই আমি এই বিষয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম। এখন সুশীল তাড়ানোর পালা
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কোলাহল। আপনার লেখাটা পড়তে পড়তেই ভাবনাটা এলো মাথায়। লিঙ্ক দেয়ার জন্য আবারও ধন্যবাদ।
১৬. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫৬
comment by: মাঠশালা বলেছেন: রুলফো'র একটা গল্প আছে সেখনে এক লোক গোল্লায় যাবার ট্রেন ধরতে এক অচেনা ষ্টেশনে এসে এক পাগলের খপ্পরে পরে। সেই পাগলের সাথে আলাপচারিতায় কাহিনী এগিয়ে যায়। লোকটি পাগলের কাছে সেই ট্রন কখন আসে জানতে চাইলে সে বলে, এই ষ্টেশনে অনেকেই গোল্লায় যাবার জন্য আসে কিন্তু অধিকাংশ যাত্রীই ভুল ট্রেনে উঠে পরে অথবা ট্রেনই তাকে ভুল ষ্টেশনে নামিয়ে দিয়ে যায়। এরকম আরো মজাদার বিষয় আশয় আর কি। বেশ আগে পড়া। আপনার লেখাটা পড়ার সময় বারবার গল্পটার কথা মনে পড়তেছিল।
গল্পে এরকমও ছিলো যে যাত্রীদের ধোকা দেবার জন্য কতৃপক্ষ ট্রেনের জানালায় অনেক "গোল্লায় যাবার" শহরের ছবি টানিয়ে রেখেছিল, যাতে যাত্রীরা গোল্লায় যাবার শহরে এসে গেছে মনে করে ট্রেন থেকে নেমে যায়। অনেক সময় এরকমও হয় যে, ট্রেন লাইন কিছুদূর গিয়ে শেষ হয়ে গেলে কতৃপক্ষ আর রেল-ইঞ্জিনিয়াররা করে কি চক দিয়ে রেললাইন এঁকে রাখে আর তার উপর দিয়েও অবলিলায় ট্রেন চলে যায়। আবার দেখা যায় মাঝে মাঝে ট্রেনের সিটগুলো আছে কিন্তু বগিগুলো উধাও অথবা বগিগুলো আছে কিন্তু সিটগুলো উধাও। এমনই আযব সব কায়কারবার।

লেখাটা দারুন লাগলো।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

লেখক বলেছেন: রুলফোর এই গল্পটা তো পড়ি নাই। আইডিয়াটা দারুণ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:১৫
comment by: এহহামিদা বলেছেন: এক্কেবারে ঝাকা নাকা পিত্তি জ্বালানো!!!
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
১৮. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:১৪
comment by: এহহামিদা বলেছেন: আমার প্রথম প্রিয় পোস্ট!!!!!!!!!!!!!!!!
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এগেইন।
১৯. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:২৪
comment by: মাঠশালা বলেছেন: গল্পটা বোর্হেসেরও হতে পারে; আমার এই মুহূর্তে মনে পড়তেছে না।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

লেখক বলেছেন: গল্পটা বোর্হেসীয় নয় কিন্তু। যারই হোক গল্পটার সঙ্গে আমাদের অনেক মিল।
২০. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:০১
comment by: রোকন বলেছেন: ইকুয়েশন ৯/১০ করিয়া দিলাম।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:০৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। আরো কাউকে ডেকে এনে যদি মাইনাস বাড়ানো যায় তবে আরও ভাল হয়। মাত্র ১০টা মাইনাস কম হয়ে যায়।
২১. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:০৮
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: অসাধারণ লাগল!

আমাদের মাথাকি আদৌ ঘাড়ে আছে নাকি বহু আগেই কাটা পড়েছে?


+
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:১৩

লেখক বলেছেন: মাথায় হাত দিয়ে দেখা দরকার।
অনেক ধন্যবাদ।
২২. ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৬
comment by: এহহামিদা বলেছেন: সোনার বাংলা মনে হয় এই লেহা পড়ে নাই!!!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫১

লেখক বলেছেন: ক্যান উনি কী করছেন?
২৩. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৪৭
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ভালো লিখেছেন , যদিও ট্রেনটার আঁকাবাঁকা চলনে আমি কষ্ট পেয়েছি ।

ভাবনা ছিল , এবারের নটার ট্রেনটা কটায় আসবে না । পুরনো মিটারগেজ লাইনের উপর দিয়ে ম্যাগনেটিক ট্রেন চালানোর চেষ্টা হয়েছিল , এটা তো ফেইল করবেই

ইকুয়েশন ১১/১০ করে দিলাম
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৩

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
মেহরাব আমি বরং উল্টা কথা বলবো। তেলের জায়গায় কয়লার ট্রেন।
২৪. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০২
comment by: মদন বলেছেন: রেল লাইনে বডি দেবো মাথা দেবো না...



অসাধারন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১২

লেখক বলেছেন: এই লাইটার কথা আমার খুব মনে পড়ছিল।
আপনি বললেন দেখে ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ।
২৫. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১৪
comment by: সত্যদা বলেছেন: আহ, এখন গাড়ি চলে না, চলে না চলে না রে।

-----
সেই পলিটিকাল টাউটদের কথা শুনলে ট্রেনের নিচে মাথা দিতে ইচ্ছা করে। আমাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এক আশ্চর্য ট্রেন। আসুন লাইনে মাথা পেতে দেই। যদি কখনো চালু হয় তবে অন্তত মাথাটা তো কাটা পড়বে।

ভাই আমারে লগে লইয়া যান।

আর ইকটু খারান....টিফিন বাটিতে ভাত লইয়া লই.......... টেরেন চালু হইতে যুদি দিরং হয়..... আমি আবার খিদা একদম সহ্য কইরতে পারি না....
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:২০

লেখক বলেছেন: ঠিক কথা। আগে খেয়ে নেন।
২৬. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৩
comment by: সত্যদা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক কথা। আগে খেয়ে নেন।

ইডা কেম্বা কথা কইলা বাহে....

খাওন তো নাই...৪৫ তলায়...

ওই টেরেনে হগ্গল খাওন কাইড়া নিছে, দুঃখেই না জেবন দেতে আছি...
মোর অভাবের কাডা গায়ে নুনের ছেডা দিলা বাই......

২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৩

লেখক বলেছেন: তাইলে ওয়েট অ্যান্ড সি।
২৭. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮
comment by: প্রচেত্য বলেছেন:
ভাল কয়েছেন !
দেখলাম তো সব মামুদের !
সব বাবুরাই একই ক্ষ্যাতের মূলা !
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:০৫

লেখক বলেছেন: হ।
২৮. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৩০
comment by: সত্যদা বলেছেন: অ বাহে ইডা কিডা কইলা....

..দিকি না দিকি কি করে... গপ্পোর নাহান ..

যখানে পুলিশও পরামিশ দিল --বাড়ী গিয়ে বসে বসে ভাবেন.....
...দিকি না দিকি পুলিশ কি করে...

তুমিও বাই অমোন একখান পরামিশ দিলেন...


ওয়েট অ্যান্ড সি। ..

ঘুইরা ফিরা ওই : দিকি না দিকি কি করে...

কিছু নতুন কথা কও তো দেহী ....শইলডা গরম হইয়া ওডে... রক্ত চনমন কইরা নাইচা ওডে.... আবু ইসহাকের জোক গল্পের নাহান..ওই জাগ্রত......চাষীর চিৎকার...

এম্নেও মরছি ওম্নেও মরছি.. যা থাহে কপালে... আইজ ওর আহিজ বাইর কইরাই ছাড়ুম.... ল হগ্গলতে...



২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:০৯

লেখক বলেছেন: আমি তো কিছু করবো না বইসা বইসা দেখবো আর ব্লগ লিখবো তাই ভাবছিলাম আপনাকেও বলি ওয়েট অ্যান্ড সি।
২৯. ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২২
comment by: দূরন্ত বলেছেন: সর্বনাশ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৭

লেখক বলেছেন: কেন?
৩০. ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৫
comment by: স্রোত বলেছেন:
আমি ডোন্ট মাইন্ড ফেমিলির পোলা।
মাইন্ড করি নাই, করিও না!

কিন্তু এই অধম স্রোত একতু মজা করতে চাইছেলো।
তাই সে এই পুস্টা দেসিলো।

আর কই যায়...
পুস্ট উধাও!!

লিংকটা হইলো এই...
Click This Link

আমার লেখাটা ছিলো এমন...

ব্রেকিং নিউজ:
এ-তিম মেম্বারদের একটা রোগ মহামারী রুপে ছড়াইয়া গেছে!
রুগটা তারা ডিটেক্টও করতে পারছে!
এইটা আর কিসুই না।
আবহমান বাংলার প্রাচীন একটা অসুখ।
নাম চুলকানি!

রাজাকারের রাজাকার মহারাজাকারের দুইটা ঠ্যাং আছে
দুইটা ঠ্যাং তাদেরও আছে,
এইটা যে কত বড় লজ্ঝা তাদের কাছে!
কত্ত বড়ো হতাশা!! মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে ঠ্যাংটারে কাইট্টা ফেলাইতে।
কিন্তু পারে না! রক্ত পড়বো!! ব্যাথা হইবো!!
তাই তাদের ঠ্যাং চুলকায়।প্রচন্ড রকম চুলকায়!!

মহারাজাকারটার দুইটা হাত আছে,
দুইটা হাত তাদেরও আছে,
এইটা যে কত বড় শরম তাদের কাছে!
কত্ত বড়ো শড়ম!
মাঝে মইদ্যে ইচ্ছা করে হাতটারে কাইট্টা ফেলাইতে।
কিন্তু পারে না! রক্ত পড়বো!! ব্যাথা হইবো!!
তাই তাদের হাত চুলকায়।
প্রচন্ড রকম চুলকায়!!

মহারাজাকারটার (গন&প্রজাতি) Homo Sapiens এর সাথে মিল আছে,
তাদেরও Homo Sapiens এর সাথে মিল আছে,
এইটা যে কত বড় শরম তাদের কাছে!
কত্ত বড়ো শরম!
তাই মইদ্যে মইদ্যে Anti Homo Sapiens Behavior করতে ইচ্ছা করে।
এইটা তারা মাঝে মইদ্যেই পারে এবং চুলকানির কিছুটা আরাম পায়!!
তারপরেও শান্তি পায় না, চুলকায়, প্রচন্ড রকম চুলকায়, খালি চুলকায়!!

ড়াজাকারটার দাড়ি আছে, তুপি পড়ে।
তাই তারা এর বিপরীত ব্যবহার করে।
এইটা তারা মাঝে মইদ্যেই পারে এবং চুলকানির কিছুটা আরাম পায়!!
তারপরেও শান্তি পায় না, চুলকায়, প্রচন্ড রকম চুলকায়, খালি চুলকায়!!

এখন নিওরাজাকাররাও ব্লগিং করে।
পুস্ট দেয়। কমেন্ট করে। এনালাইসিস করে। টেকি পুস্ট দ্যায়।
ওয়েবসাইট বানায়। গ্রুপ বানায়। এডমিন হ্য়। ধম্মের প্রতি ভালোবাসা দেখায়।
ইন্টেলেকচুয়াল তাড়নাবোধ, ফিলসফি, পলিটিক্স নিয়া নাড়াচাড়া করে!
এইগুলাইন আগে মনে করতো শুধু তারাই পারে।
এখন দেখে নিওরাজাকারেরাও এইসব বুলি কপচায়, পড়ে, ডিবেট করে।
এইটা যে কত্ত বড় শরোম তাদের কাছে!
কত্ত বড়ো শড়োম!!

মইদ্যে মইদ্যে ইচ্ছা করে ব্লগিং ছাইড়া দিতে, সব পুস্ট মুইচ্ছা দিতে।
ফাকে ফাকে তারা হুসেইন এ-তিমের মহান বাণী জপে,
"আমি সুকড়ের সাথে সহবাশের ফটুআ অস্বীকার কড়ি!"
তপসী দিয়া জপে।বারেবারে জপে।
এইটা তারা মাঝে মইদ্যেই করে এবং চুলকানির কিছুটা আরাম পায়!!
তারপরেও শান্তি পায় না!
চুলকায়!
প্রচন্ড রকম চুলকায়!
খালি চুলকায়!!!

লিখক স্রোত
৩১. ০৯ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৫০
comment by: অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: এইটা তো আগে দেখি নাই। ঝাক্কাস।
০৯ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৩১

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। কৃতজ্ঞতা দেখার জন্য।
৩২. ০৯ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৩
comment by: আরিফুর রহমান বলেছেন: গুন টেনে ট্রেন চালান...
০৯ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৬

লেখক বলেছেন: হ। ভাল আইডিয়া।
৩৩. ২৪ শে মে, ২০০৮ রাত ১০:৩৮
comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: স্টার প্লাস
২৬ শে মে, ২০০৮ বিকাল ৫:২৭

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
৩৪. ১৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ৯:১৭
comment by: রাঙা মীয়া বলেছেন: চমৎকার লেখা
১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:১১

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment