Tuesday, March 3, 2009

এ বছর কেমন গেল : শিল্প-সাহিত্যের ২০০৭

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৭
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

শিল্প-সাহিত্যে রাজনীতির অভিঘাত মোটামুটি পরিচিত একটি বিষয়। রাজনৈতিক পরিবর্তন, অস্থিরতার একটি প্রত্যক্ষ ছাপ শিল্প-সাহিত্যে পড়ে। বিশেষ করে শিল্পী-সাহিত্যিকদের অ্যাক্টিভিজম ও বইপত্রের কেনাবেচায় প্রত্যক্ষ ছাপগুলো দেখা যায়। সাহিত্যে পরোক্ষ ছাপগুলো সাধারণত সুদূরপ্রসারী হয়। গল্পে, কবিতায় বহু দিন ধরে রাজনৈতিক ঘটনাবলীর অভিঘাত টের পাওয়া যায়। বছরের শুরুতে ওয়ান ইলেভেন রাজনীতির মতো শিল্প-সাহিত্যেও ছাপ ফেলেছিল। জানুয়ারিতে প্রকাশকরা যখন ফেব্রুয়ারির বই মেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখনই ওয়ান ইলেভেনের ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক ঘটনাবলীর আকস্মিকতা ও নাটকীয়তায় লেখক-প্রকাশকদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছিল বই মেলার সফলতা নিয়ে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি বই মেলায় তার ছাপ খুব একটা দেখা যায়নি। মেলা ছিল সফল। আগের বছরগুলোর মতোই বিক্রি হয়েছে। ক্রেতা-দর্শকের ভিড়ও ছিল আগের মতোই। প্রকাশকরা বই বাজারে আনার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হলেও অনেক নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন, সাময়িকী ও সাহিত্য পত্রিকায় উল্লেখযোগ্য বইগুলো বছর জুড়ে আলোচিতও হয়েছে। কিন্তু বই বাজারে পরের মাসগুলোতে ফেব্রুয়ারির ধারাবাহিকতা আর থাকেনি। অন্য সব ক্ষেত্রের ব্যবসার মতো বই বাজারেও মন্দাভাব দেখা গেছে। এমনিতেই বছরের অন্য সময় বাংলাদেশে বই প্রকাশের হার খুব কম। কিন্তু এবার এ হার ছিল অন্য বছরগুলোর চেয়েও কম। বাংলাবাজারের প্রকাশকদের মতে, সারা বছরের বই বিক্রি গত বছরের তুলনায় অনেক কম। বছর শেষে ঢাকা বই মেলাও তেমন একটা জমজমাট হতে পারেনি। কেউ কেউ মনে করছেন আগামী ফেব্রুয়ারি মেলায় মন্দা অর্থনীতির প্রভাব পড়তে পারে।
জরুরি অবস্থা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সন্ধ্যা বেলায়ই মার্কেট ও দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বছর জুড়ে লেখক-কবিদের আড্ডা-আলোচনায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। ঢাকার আজিজ সুপার মার্কেটসহ মার্কেট কেন্দ্রিক আড্ডা কেন্দ্রগুলো সন্ধ্যাবেলায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সাহিত্যিকদের সাধারণ আড্ডা বা খোশ গল্প বছর জুড়েই দুর্লভ ছিল। স্বাভাবিক কারণেই বই বিক্রির দোকানগুলোতে বিক্রি হয়েছে সামান্যই। অনেক আড্ডা-আলোচনাই ঘর কেন্দ্রিক থেকেছে।
সাধারণত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন দৈনিক ও সাময়িক পত্রিকাগুলোর পক্ষ থেকে ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। ঢাউস আকারের ঈদ সংখ্যাগুলোতে উপন্যাসসহ প্রচুর লেখা ছাপা হয়। ঈদ সংখ্যার অনেক উপন্যাস সাধারণত ঘষামাজা করে বা হুবহু বই আকারে ছাপা হয়। এবারো বেশ কিছু ঈদ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু প্রতি বছর ঈদ সংখ্যাকে কেন্দ্র করে যে সাজ সাজ রব পড়ে যায় এবার তা ঘটেনি। অনেক পত্রিকা ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করেনি। কোনো কোনো পত্রিকা প্রকাশ করেছে সীমিত আকারে। এবারের ঈদ সংখ্যাগুলোর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো তরুণ লেখকদের সামান্য উপস্থিতি। কিছু বহু বছরের চেনামুখ আর কিছু মৌসুমী লেখকের বাইরে নিয়মিত তরুণদের অনুপস্থিতি এবার বিশেষভাবে চোখে পড়েছে। পত্রিকাগুলোতে পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তর দশকের লেখকদের পর পরবর্তী তিনটি দশকের লেখকদের প্রায় অনুপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষ্য করার মতো বিষয়।
তরুণ লেখকদের সাহিত্য চর্চার অন্যতম ক্ষেত্র লিটল ম্যাগাজিন। ফেব্রুয়ারিতে বেশ কিছু লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হলেও বছরের বাকি সময় প্রায় ফাকাই গেছে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞাপন স্বল্পতাকে দায়ী করেছেন ম্যাগাজিন সম্পাদকরা। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকজন তরুণ লেখকের বই প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির জন্য বছর জুড়ে বই প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তরুণ লেখকরা, বিশেষ করে শূন্য দশকের কবিরা। দশক শেষের একটা তাড়া হয়তো তাদের কারো কারো মধ্যে কাজ করছে। আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো : উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ লেখক ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেখালেখির প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। ওয়েবসাইট ও ব্লগের মাধ্যমে তারা সাহিত্য চর্চায় উৎসাহী হয়েছেন। শিল্পী-সাহিত্যিকদের মধ্যে নতুন মিডিয়ার প্রতি উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তরুণ সাহিত্যিকরা এ বছর আগের যে কোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় উপস্থিত হচ্ছেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল নিয়মিত তাদের ইন্টারভিউ প্রচার করছে। পাশাপাশি এনটিভি চালু করেছে সাহিত্য শিল্প বিষয়ক একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান সাময়িকী। তরুণ সাহিত্যিকদের মধ্যে এবার দুটি উল্লেখযোগ্য পুরস্কার পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নব্বই দশকের কবি শামীম রেজা পেয়েছেন কলকাতার কৃত্তিবাস পুরস্কার। নব্বই দশকের গল্পকার আহমাদ মোস্তফা কামাল পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম আলো বর্ষ সেরা বই পুরস্কার।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইনডিয়া থেকে শতাধিক লেখক-সাহিত্যিক-শিক্ষাবিদ-প্রকাশক-অনুবাদক-সম্পাদকের একটি দল ঢাকা এসেছিল। তারা ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেশ কিছু সেমিনারে অংশ নেন। বলা হয়েছে, ঢাকায় একটি ইন্দো-বাংলা সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্যই তারা এসেছেন। ঢাকার সাহিত্যিক-প্রকাশকদের সঙ্গে ইনডিয়ান সাহিত্যিক-প্রকাশকদের একটি সমঝোতা হয় বলে সম্মেলনের পক্ষ থেকে বলা হয়। এ সমঝোতাকে ঢাকা ঘোষণা নামে অভিহিত করা হয়। ইনডিয়ান মিডিয়ায় ঢাকা ঘোষণা নিয়ে মোটামুটি আলোচনা হলেও বাংলাদেশের মিডিয়ায় বিষয়টি অনালোকিতই থেকে যায়। এ ইন্দো-বাংলা সম্মেলনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের অনুপস্থিতিও প্রশ্ন তুলেছে।
অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের সাহিত্য বা সাহিত্যিকরা বিদেশি ও দেশি মিডিয়ায় বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছেন। অক্টোবরে নতুন করে আলোচনায় আসেন ব্রিক লেন উপন্যাসের লেখক বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী মনিকা আলি। গত বছর তার নতুন উপন্যাস আলেন্তেজো ব্লু প্রকাশিত হলেও উপন্যাসটি আলোচনায় আসতে পারেনি। বরং ব্রিক লেনই আলোচনায় থেকেছে। ২০০৬-এর আগস্টে ব্রিক লেন উপন্যাস অবলম্বনে মুভি তৈরির প্রতিবাদে লন্ডনের বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর একটি অংশ প্রতিবাদ করে। পরে ২০০৭-এর অক্টোবরেও নতুন করে লন্ডনের বাংলাদেশিদের প্রতিবাদের প্রতি আলোকপাত করে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো। অক্টোবরের নতুন উপলক্ষ মুভিটির প্রিমিয়ার। নভেম্বরে বাংলাদেশের নতুন এক লেখক মূলত গার্ডিয়ান পত্রিকায় আলোচনায় আসেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেখক তাহমিমা আনামের প্রথম উপন্যাস এ গোল্ডেন এজ লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকার ফার্স্ট বুক অ্যাওয়ার্ডের জন্য শর্ট লিস্টেড হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বইটি পুরস্কৃত না হলেও নতুন এক বাংলাদেশি লেখকের উত্থান সবার মনে আশা জাগিয়েছে। নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ কেন্দ্রিক আরেকটি ঘটনা নতুন করে আলোচনা তুলেছে। সেটি তসলিমা নাসরিনকে কেন্দ্র করে। কলকাতায় তসলিমা বিরোধীদের ঠেকাতে আর্মি মোতায়েন এবং কলকাতা থেকে তসলিমা নাসরিনের দিল্লি যাত্রা ইনডিয়া ও বাংলাদেশের মতো অন্য দেশের মিডিয়াতেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
২০০৭-এর শেষ সময়টায় শুধু সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গন নয়, দেশের সর্বত্রই আলোচনার শীর্ষে ছিল ইতিহাস ও ঐতিহ্য প্রসঙ্গ। ঘটনার শুরু বাংলাদেশের মূল্যবান পুরাকীর্তি ফ্রান্সে পাঠানোর উদ্যোগ থেকে। একাধিক কপি না থাকলে দুর্লভ পুরাকীর্তি প্রদর্শনীর জন্য বিদেশে নেয়া আইনসম্মত না হলেও বাংলাদেশ থেকে এবার বেশ কিছু দুর্লভ পুরাকীর্তি ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে। আইন না মেনে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এগুলো পাঠানোর ফলে প্রথমে শিল্পী-সাহিত্যিক-অ্যাক্টিভিস্টরা প্রতিবাদ করেছেন। পরে অন্যদের মধ্যেও সচেতনতা তৈরি হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো পুরাকীর্তি বিষয়ে একটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে। ব্যাপক প্রতিবাদ ও এয়ারপোর্টে বিষ্ণু মূর্তি চুরির ঘটনার পর ফ্রান্সে পাঠানোর উদ্দেশে নেয়া পুরাকীর্তির দ্বিতীয় চালানটি জাদুঘরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আইন লঙ্ঘন করে পুরাকীর্তি পাঠানো একটি নেগেটিভ ঘটনা হলেও সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস বিষয়ে যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে তা একটি ইতিবাচক দিক হিসেবেই স্বীকৃত হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি কর্তাব্যক্তিদের উদাসীনতাও সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে। এসব তর্ক-বিতর্কের পাশাপাশি দেশের পুরাকীর্তির স্থলগুলোতে এস্কাভেশন ও গবেষণা চলছে। এ বছর নরসিংদীর উয়ারি-বটেশ্বরে বড় আকারের উৎখনন পরিচালিত হয়েছে।
বছরের শুরুতে ২৭ জানুয়ারি মারা গেছেন ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদুল হক। বছরের শেষে ১৯ নভেম্বর মারা গেলেন গায়ক সঞ্জীব চৌধুরী। ২৩ ডিসেম্বর মারা গেলেন একুশের প্রথম কবিতার কবি মাহবুবুল আলম চৌধুরী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কয়েকটি আলোচিত মৃত্যু ও অপমৃত্যু সবাইকে নাড়া দিয়েছে। ১৯ জানুয়ারি গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হয়েছেন টার্কিশ সম্পাদক-লেখক র‌্যান্ট ডিঙ্ক। র‌্যান্ট ডিঙ্কের মৃত্যু নতুন করে স্বাধীন মত প্রকাশের সঙ্কটকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। ৯ জুন মারা গেছেন আফ্রিকান মুভির জনক হিসেবে অভিহিত ওসমান সেমবেন। পরের মাসেই মারা গেছেন আরো দুই বিশ্বখ্যাত মুভি ডিরেক্টর। ৩০ জুলাই মারা গেছেন ইঙ্গমার বার্গম্যান ও মাইকেল অ্যাঞ্জেলো অ্যান্টনিওনি। পরপর তিন ডিরেক্টরের মৃত্যু সিনেমা অঙ্গনে ২০০৭-কে স্মরণীয় করে রাখবে। ২১ আগস্ট মারা গেছেন উর্দু সাহিত্যের মার্কেজ বলে খ্যাত কুররাতুল-আইন হায়দার। ১০ নভেম্বর মারা গেছেন আমেরিকান সাহিত্যিক নরম্যান মেইলার।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়েছে মেক্সিকান শিল্পী ফ্রিডা কাহলোর জন্মশতবর্ষ। ফ্রিডার কাজ নিয়ে নতুন প্রদর্শনী হয়েছে। তার ভক্তরা নতুন করে সমবেত হয়েছেন।
বছর জুড়ে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন গুন্টার গ্রাস। এ বছর আশিতে পড়েছেন নোবেল বিজয়ী এ জার্মান লেখক। গত বছর জার্মান পত্রিকার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তার নাৎসি সংশ্লিষ্টতার কথা। এ বছর জীবনের সেই পর্বের কাহিনী সংবলিত বই পিলিং দি ওনিয়ন প্রকাশিত হয়েছে। বইটি বিক্রি হয়েছে ব্যাপক সংখ্যায় আর গ্রাসকেও নানা সভা-সেমিনারে বেশি বেশি করে উপস্থিত হতে হয়েছে। সালমান রুশদিও এবার বছরের অনেক সময় জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন নাইটহুডের কারণে। নাইটহুড পাওয়ার পর ব্যাপক বিতর্ক উঠেছিল। রুশদি এবার ষাটে পড়লেন। ইন্টারন্যশনাল ম্যান বুকার অ্যাওয়ার্ডের জন্য নতুন করে আলোচনায় এসেছেন থিংস ফল অ্যাপার্ট খ্যাত নাইজেরিয়ান ঔপন্যাসিক চিনোয়া আচেবে। এ বছরের বুকার প্রাইজ পেয়ে আলোচনায় আসেন অ্যান এনরাইট। বুকার পুরস্কারটি উপমহাদেশে বেশ আলোচিত হয়েছে। কারণ ইনডিয়ান লেখক ইন্দ্র সিংহ ও পাকিস্তানি লেখক মহসিন হামিদ এবার পুরস্কারের জন্য শর্ট লিস্টেড হয়েছিলেন। আশি বছর বয়সী বৃটিশ লেখক ডরিস লেসিং নোবেল পুরস্কার পান। বড় দেরিতে নোবেল পাওয়ার ফলে ভগ্ন স্বাস্থ্যের লেসিং পুরস্কার নিতে স্টকহোম যেতে পারেননি। যে সময়ে তিনি লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন এবং পুরস্কারের জন্য আলোচিত ছিলেন তখন তাকে পুরস্কার দেয়া হয়নি। কিন্তু পুরস্কার পাওয়ার পর প্রায় ভুলে যাওয়া এ লেখক আলোচনার শীর্ষে চলে আসেন। বছরের নানা সময়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন ভিএস নাইপলও। এ বছর থেকে চালু হলো ম্যান এশিয়ান বুকার। পুরস্কারটি বিভিন্ন এশিয়ান ভাষায় প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসের জন্য দেয়া হবে। পুরস্কারের টাকা লেখক ও অনুবাদক দুজনই পাবেন। চায়নিজ লেখক জিয়াং রঙ প্রথমবারের মতো ম্যান বুকার পুরস্কার জিতে নিলেন তার উপন্যাস উলফ টোটেমের জন্য।
শিল্প-সাহিত্য অঙ্গনে নতুন করে আলোচিত হয়েছে বার্গম্যান, অ্যান্টনিওনির মুভি। বাংলাভাষী প্রবাসীদের কাছে বেশ কিছু দিন আলোচিত ছিল ঝুম্পা লাহিড়ির উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি মুভি মিরা নায়ার পরিচালিত মুভি নেমসেক। মার্চে মুভিটি মুক্তি পাওয়ার পর বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে পত্রপত্রিকায়। সারাহ গ্যাভরন পরিচালিত ব্রিক লেন মুভি কেন্দ্রিক আলোচনার কথা আগেই বলা হয়েছে। বছর শেষে আরেকটি মুভি লেখক পাঠকদের মধ্যে আলোচনা জমিয়েছে। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি মুভি লাভ ইন দি টাইম অফ কলেরা। মাইক নিওয়েল পরিচালিত মুভিটি মুক্তি পেয়েছে এ বছরের নভেম্বরে।
বছর জুড়ে প্রতিদিনই অসংখ্য ঘটনা ঘটে। কিছু ঘটনা গভীর ছাপ রেখে যায়, কিছু রাখে না। ব্যক্তি ভেদে ঘটনার গুরুত্বও সমান নয়। তারপরও ছোপ ছোপ রঙ ছোয়ানোর মতো করে ২০০৭-এর কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা তুলে ধরা হলো।
মাহবুব মোর্শেদ

আজকের যায়যায়দিনে লেখাটা ছাপা হয়েছে।



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।



* ২০ টি মন্তব্য
* ১৮৫ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৪ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28754329 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৫২
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: হুমমম.....ভাল লাগলো মাহবুব ভাই...অনেক জানলাম..ধন্যবাদ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, সামী মিয়াদাদ। চিত্তরঞ্জন সাহার মৃত্যুর খবরটা যোগ করতে হবে।
২. ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৩
comment by: সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:



+

ধন্যবাদ তথ্য সমৃদ্ধ ও দরদমাখা পোস্টের জন্য।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৮

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
৩. ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:১৫
comment by: জুবেরী বলেছেন:
বিষয়টা বড় জায়গায়টা ছোট

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৮

লেখক বলেছেন: হ। শর্টকাট সারতে হয়েছে। থ্যাংকস।
৪. ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২৯
comment by: মাঠশালা বলেছেন: জুবেরী'র সাথে একমত।
চিত্তরঞ্জন বাবুর মৃত্যুকেও শিল্প-সাহিত্যাঙ্গনে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৩

লেখক বলেছেন: একমত। খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: থ্যাংকস মাহবুব ভাই , বছর জুড়ে আপনার লেখাগুলোর একটি কুইক রিভিউ ও হলো
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৫

লেখক বলেছেন: হ্যা। কাজটা করতে গিয়া বুঝতে পারলাম।
৬. ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:২৪
comment by: বিহংগ বলেছেন:
মাহবুব ভাই,
আপনি কি প্যাকেট পেয়েছেন। না পেলে দুঃশ্চিন্তার কারন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৭

লেখক বলেছেন:
৭. ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:০৭
comment by: দূরন্ত বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো। ভালো লেখা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৭

লেখক বলেছেন: দূরন্ত,
থ্যাংকস এ লট।
৮. ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:০৫
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: হুমম,ভালো একটা রিভিউ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯. ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৪
comment by: ড. শামীম বলেছেন: ..ধন্যবাদ।ভালো লেখা ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৯

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০. ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৯
comment by: রহমান মাসুদ বলেছেন: মাহাবুব ভাই কিছু কি বাদ পড়লো!
ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০৭

লেখক বলেছেন: বাদ পড়ার ভয় তো থাকেই। এইটা এত বেশি কার্যকর যে, এ কারণে লেখা নাও হতে পারে। থ্যাংকস।

No comments:

Post a Comment