Tuesday, March 3, 2009

নিজের ভাষ্যে লেখক ও মুভি পরিচালক উডি অ্যালেন

২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৪
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

এ বছর প্রকাশিত হয়েছে উডি অ্যালেনের তিনটি বই। দুটির লেখক তিনি নিজে। এ দুটির একটি মেয়ার অ্যানার্কি প্রকাশিত হয়েছে র‌্যানডম হাউস থেকে, এ বছরের জুনে। গত ২৫ বছর এটিই উডি অ্যালেনের সর্বশেষ হিউমার কালেকশন। এতে গ্রন্থিত নকশা বা নিবন্ধ ১৮টি। এর ১০টিই প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনে। চমৎকার বিস্তারিত স্বাক্ষর আছে এ বইটির ছত্রে ছত্রে। পরের বইটিও প্রকাশিত হয়েছে জুনে, র‌্যানডম হাউস থেকে। নাম দি ইনসেনিটি ডিফেন্স। এটিও হিউমার কালেকশন নকশা জাতীয় বই। উডি অ্যালেনের প্রিয় বিষয় নিউ ইয়র্কে হাই প্রোফাইল বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে এটি এক কৌতূহল উদ্দীপক সংগ্রহ। এক কথায় যাকে বলা যায় খোচাখুচি সঙ্কলন। শেষ বইটি তার নিজের লেখা নয়, কথার সঙ্কলন। নাম : কনভারসেশনস উইথ উডি অ্যালেন : হিজ ফিল্মস, দি মুভিজ অ্যান্ড মুভি মেকিং। প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের অক্টোবরে, আলফ্রেড এ নফ প্রকাশনী থেকে। লেখক এরিক ল্যাক্স।
এরিক ল্যাক্স উডি অ্যালেনের বেস্টসেলার জীবনী উডি অ্যালেনের লেখক। তিনি নতুন প্রকাশিত বইটিতে গত ৩৬ বছর ধরে উডি অ্যালেনের নানা কথোপকথন, সাক্ষাৎকার ও মন্তব্য নিয়ে সঙ্কলনটি করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কিত ও বিতর্ক সৃষ্টিকারী লেখক উডি অ্যালেনের বই তিনটি নিয়ে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা এ তিনটি বই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক ও পরিচালক উডি অ্যালেনের অন্তর্গত জীবনের একটি জীবন্ত ছবি এতে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। উডি অ্যালেনের সঙ্গে কথোপকথন বইটি থেকে কিছু অংশ যায়যায়দিনের পাঠকদের জন্য এখানে অনুবাদ করা হলো।
তিনবার একাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী আমেরিকান মুভি ডিরেক্টর, লেখক, অভিনেতা, জাজ মিউজিশিয়ান, কমেডিয়ান ও নাট্যকার উডি অ্যালেন। আধুনিক সময়ের বর্ণাঢ্য এ লেখক-পরিচালকের মুভিগুলো বিশেষভাবে পরিচিত স্যাটায়ার, উইট ও হিউমারের বিশেষ প্রকাশভঙ্গির কারণে। তার ওপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছে সাহিত্য, দর্শন, মনোবিজ্ঞান, ইহুদিবাদ, ইওরোপিয়ান সিনেমা ও নিউ ইয়র্ক শহর। এ শহরেই তিনি জন্মেছেন এবং জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত করেছেন। ১৯৩৫ সালের ১ ডিসেম্বর এ শহরের একটি ইহুদি পরিবারে জন্ম উডি অ্যালেনের। অ্যালেন কয়েকবার বিয়ে করেছেন এবং এ বিয়ে নিয়ে বিস্তর বিতর্কিত হয়েছেন। প্রথম বিয়ে হয়েছিল হারলেন রোজেনের সঙ্গে ১৯ বছর বয়সে। দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল ১৯৬৬ সালে লুইজি লেজারের সঙ্গে। টেক দি মানি অ্যান্ড রান মুভিতে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের ডিভোর্সের পর অ্যালেনের তিনিটি মুভিতে কাজ করেছিলেন লুইজি লেজার। মুভি তিনটি হলো : ব্যানানাস, এভরিথিং ইউ ওয়ান্টেড টু নো অ্যাবাউট সেক্স ও স্টারডাস্ট মেমোরিজ। বলা হয়ে থাকে তার হাসবেন্ডস অ্যান্ড ওয়াইফস মুভিটি লেজারের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হয়েছিল।
তার পরবর্তী স্ত্রী ডায়ান কিটন। তিনি অ্যানি হলসহ উডি অ্যালেনের বেশ কয়েকটি মুভিতে অভিনয় করেছিলেন। বলা হয় তার ম্যানহাটান মুভিটি স্টেসি নেলকিনের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক নিয়ে তৈরি। কিন্তু অ্যালেন কখনোই স্টেসির সঙ্গে সম্পর্কে কথা জনসমক্ষে স্বীকার করেননি। এরপর তার সম্পর্ক হয় মিয়া ফারোর সঙ্গে। এ সম্পর্ক ও পরবর্তী ঘটনাক্রমে অ্যালেনের জীবনে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। মিয়া ফারো তার আত্মজীবনীতে লেখেন, তার দত্তক মেয়ে সুন ই প্রেভিনের সঙ্গে অ্যালেনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মিয়া ফারোর সঙ্গে অ্যালেনের বিয়ে বিচ্ছেদের পর অ্যালেন প্রকাশ্যে প্রেভিনের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। এ নিয়ে তাকে প্রচুর সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়।
দীর্ঘ জীবনে এখনো শিল্প-সাহিত্যের নানা শাখায় সক্রিয় আছেন এ লেখক-পরিচালক ও অভিনেতা।
# উডি অ্যালেনের সঙ্গে কথোপকথন#
মে, ২০০৫
উডি লন্ডনে একটি মুভির কাজে যাচ্ছেন। আমরা ছিলাম ম্যানহাটান সেন্টারের প্রেক্ষাগৃহে। সেখানে বছর বছর ধরে ঘন নীল সুইভেল চেয়ার পাতা থাকতো। আমাদের পাশের ক্যাবিনেটগুলোতে ছিল থার্টিজ ও ফোর্টিজের মিউজিক কালেকশন। সবটাই তার কাজের জন্য ব্যবহৃত। এখানকার সব কিছুর বয়স ২৫ বছর ছাড়িয়ে গেছে। একটা জিনিসই শুধু আলাদা, তার নতুন মুভি ম্যাচ পয়েন্ট। তিনি একটা মুভি শেষ করার পর খুব কমই আমাদের দেখিয়েছেন। কিন্তু এ মুভিটি নিয়ে তিনি বেশ খুশি ছিলেন।
এরিক ল্যাক্স : এটা এতো ভালো হলো কেমন করে?
উডি অ্যালেন : আমার মনে হয় এটাতে কিছু কাজ করতে হয়েছে। যেমন আমি কমেডির প্রতি আচ্ছন্ন ছিলাম না। যা করতে চেয়েছিলাম তা করতে পেরেছি। আমার ভাবতে হয়নি যে, একটা মুভি বানাচ্ছি যেটাকে কমেডি হতে হবে। কোনো বাধা-ধরা ব্যাপার ছিল না। ফলে, আমি যা করতে চেয়েছি তা করতে পেরেছি। আমি ভেবেছি আর একটা ভালো চিত্রনাট্য লিখেছি। আর এটা বাস্তবায়িতও করতে পেরেছি। আমার সব কিছুই ছিল।
এরিক : মুভিতে দুটি ভয়াবহ খুনের ঘটনা ছিল। কিন্তু আপনি খুনের ঘটনা কিংবা রক্ত কিছুই দেখাননি। কেন?
অ্যালেন : এটা হত্যা বা রক্ত নিয়ে তৈরি মুভি নয়। ফলে, দর্শককে শুধু ধাক্কা দেয়ার জন্য এ রকম কিছু করার চিন্তা আমি বাদ দিয়েছি। বাড়তি কিছু যোগ হতো না এটা করলে। আমি এ মুভি নিয়ে খুব খুশি। এমনিতেই যেসব কাজে ভুল হয়ে যায়, এতে সেগুলো ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। অনেক ব্যাপার আছে যেগুলো একেবারে ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ে যেমন ঠিকঠাক অভিনেতা-অভিনেত্রী যোগাড় করা, কোনো চরিত্র নিয়ে কম্প্রোমাইজ করা, প্রতিদিন সঠিক আবহাওয়া পাওয়া। সব কিছুই ঠিকঠাক মিলেছে। মুভিতে যতো সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো স্রেফ আমারই নয়, সেটের সবার। এগুলো জাস্ট ঘটে গেছে। আমি জানি না এভাবে আমি আরেকটি মুভি তৈরি করতে পারবো কি না।
এরিক : পল কে মুভিতে ছিলেন একজন রিয়াল এস্টেট এজেন্ট। তিনি যখন জনাথন রাইস মেয়ার্সের কাছে ফ্যাট ভাড়া দিচ্ছেলেন তখনই কিছু মজার কথা এসেছিল। আপনি কি ওইভাবেই লিখেছিলেন?
অ্যালেন : মুভিতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীরই যে কিছু করার থাকে, এটা হলো তারই একটি উদাহরণ। আমি এটা সরলভাবে লিখেছিলাম। কোনো মজার ব্যাপার ছিল না। কিন্তু সে পুরো জায়গাটাতেই স্বতঃস্ফূর্ত ছিল, চরিত্রটিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। সে ছিল মজার। এমন নয় যে, সে এলো, লাইনগুলো বলে টাকা নিয়ে চলে গেল। সবাই যার যার জায়গা থেকে কিছু করার চেষ্টা করেছিল।
এরিক : এক ঘটনা থেকে আরেক ঘটনায় সুন্দরভাবে সময় চলে গেছে। যেমন একই চার্চে দুটি বিয়ের পর পর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বোঝা গেল কয়েক মাস কেটে গেছে। কিন্তু এর জন্য বাড়তি কিছু করতে হলো না।
অ্যালেন : গল্প বলার সহজাত প্রবণতা থেকে আমি জানি ওটাই করতে হবে, আমি ওটাই করবো, ওর বেশি লাগবে না। আমি অনুভব করেছি, এটাই সবকিছু এবং তাড়াতাড়ি পেয়ে গেছি, বাস্তবায়নও করেছি।
এরিক : আপনার কি মনে হয় নিউ ইয়র্ক ছাড়া অন্য কোনো শহরে থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য তৈরি হয়?
অ্যালেন : নতুন শহর দেখাটা সব সময়ই মজার ব্যাপার। কিন্তু আমি ছবিটা এমন কোনো শহরে করছিলাম না, যে শহরটাকে এর জন্য আমি বিশেষভাবে কাজে লাগাতে পারি। আমি হয়তো লন্ডনকে কিছু পরিমাণ ব্যবহার করতে পারতাম। কিন্তু যদি রোমান্টিক মুভির কথা মনে আসে তবে আমাকে হয়তো ওই পথেই যেতে হতো যেভাবে ম্যানহাটানে ম্যানহাটান মুভিটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখানে কিছু বাস্তব বর্ণনার ব্যাপার ছিল। আমি নিজেকে আশপাশ দেখে বিশেষভাবে বঞ্চিত করতে চাইনি।
এরিক : এ মুভিটি সে রকমভাবেই হয়েছে যেভাবে মনের মধ্যে এর কথা আপনি ভেবেছিলেন। অন্য মুভিগুলোর বেলায় কি ঘটেছে, যেমন পার্পেল রোজ অফ কায়রো?
অ্যালেন : আমি যে রকম করে ভেবেছিলাম সে রকম করে তৈরি হওয়া মুভিগুলোর মধ্যে ওটা একটা। কিন্তু এ রকম নয় যে, আগেই ওটা আমি দেখে ফেলেছি।
এরিক : আপনি আমাকে একবার বলেছিলেন, আপনার মাথায় যখন এক অভিনেতার পর্দা ছিড়ে বেরিয়ে আসার আইডিয়া এলো তখন ভীষণ আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন।
অ্যালেন : আমি পর্দা ফুড়ে বেরিয়ে আসার আইডিয়াটা পেয়েছিলাম কিন্তু ব্যাপারটা ঘটাতে পারছিলাম না। আমি ৫০ পাতা লিখে সেটা সরিয়ে রেখেছিলাম। আমি আবার এর কাছে ফিরলাম যখন জানলাম আসল নায়ক এর দ্বারা সমস্যায় পড়েছে। সে শহরে এলো। মেয়েটি তার প্রেমে পড়লো। পর্দায় তার যে চরিত্র তারও প্রেমে পড়লো। তাকে বাধ্য করা হলো যে কোনো একটা বেছে নিতে। সে বাস্তবের চরিত্রটাকে বেছে নিল। সে মেয়েটিকে আঘাত দিল। এভাবেই গল্পটা তৈরি হলো। কিন্তু এর আগে আমি ৫০ পাতা লিখেছিলাম যেখানে সে পর্দা ছিড়ে বেরিয়ে এসেছিল এবং কিছু মজা করেছিল। আর এটাই হলো এ জিনিস।
এরিক : বাস্তবতা শেষ পর্যন্ত আপনাকে পেয়ে বসে।
অ্যালেন : আমার ধারণা, রিয়ালিটি ও ফ্যান্টাসির মধ্যে আপনি রিয়ালিটিকেই বেছে নিতে বাধ্য। আর রিয়ালিটি শেষে গিয়ে আপনাকে আহত করে। আর ফ্যান্টাসি হলো স্রেফ পাগলামি।
এরিক : কি এক বাছাই!
অ্যালেন : জীবনের মতোই এটা একটা হারানো-হারানো ব্যাপার।
এরিক : আপনি যখন লেখেন তখন কি নিজেকে ফ্যান্টাসির জগতে নিয়ে যেতে পারেন?
অ্যালেন : আমি খুব সহজেই নিজেকে নিয়ে যাই। যখন কেউ লেখে তখন গল্পটার ভেতরে ঢুকে যায়। আনন্দময় একটা অবস্থায় গল্পটার মধ্যে ঢোকে। এটা ব্যাখ্যা করা কঠিন কিন্তু এটা সে রকমই একটা ব্যাপার যা একজন পেইন্টারের বেলায় ঘটে একটা কোলাজ করতে গিয়ে বা ছবি আকতে গিয়ে। তিনি এটার ভেতরে আবার ঢুকতে চান, একে সমাপ্ত করতে চান। এটা এক আনন্দদায়ক পরিস্থিতি।
ভূমিকা ও অনুবাদ : মাহবুব মোর্শেদ



প্রকাশ করা হয়েছে: অনুবাদ বিভাগে ।



* ৭ টি মন্তব্য
* ১৭৬ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ২ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28746989 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ছবি : উডি অ্যালেনের উডেন স্কেচ।
২. ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৫৯
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: হুমম।
৩. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪২
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হামমমমমমমম।
৪. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:২৫
comment by: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: মাহবুব ভাই ভালো আছেন!
সত্যি ভালো তো!
৫. ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৩
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হ। আপনি নাম বদলাইলেন ক্যান?
৬. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৩
comment by: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: কি করব বদলিয়ে ফেললাম!
৭. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভাল করছেন। নামটা ভাল নিছেন।

No comments:

Post a Comment