Sunday, March 1, 2009

শহীদুল জহির মারা গেলেন

২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩২
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

প্রতিদিনকার মতো আজও একটা দিন ছিল। কিন্তু দিনটা আর সেরকম থাকলো না। সকাল বেলাতেই খবর পেলাম আজ সকাল নয়টায় ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা গেছেন লেখক শহীদুল জহির। খুব কম বয়সেই চলে গেলেন কথাশিল্পী শহীদুল জহির। তার জন্ম পুরাতন ঢাকায় ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ সালে। গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা কলেজে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। অকৃতদার এই লেখক সিভিল সার্ভিসে দীর্ঘ দিন কাজ করতেন। কিছুদিন আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তার প্রথম বই পারাপার প্রকাশিত হয়েছিল মুক্তধারা থেকে ১৯৮৫ সালে। বিখ্যাত ও বহুল আলোচিত উপন্যাস জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে। এরপর আরেকটি উপন্যাস সে রাতে পূর্ণিমা ছিল প্রকাশিত হয়। এ দুটি উপন্যাস ও গল্পের বই ডুমুর খেকো মানুষ প্রকাশ করেছিল শিল্পতরু প্রকাশনী। ২০০৫ সালে প্রকাশিত ডলু নদীর হাওয়ার পর তার সর্বশেষ (প্রকাশিত) উপন্যাস মুখের দিকে দেখি।
শহীদুল জহির কখনো সাহিত্যের আড্ডায় পরিচিত মুখ ছিলেন না, তাকে কোনো আড্ডা বা আলোচনায় দেখা যেত না, নিভৃতচারী লেখক ছিলেন। তার ব্যক্তিগত জীবনে খুব কম মানুষেরই প্রবেশাধিকার ছিল। কিন্তু তার এই অনুপস্থিতি তাকে সবচেয়ে বেশি আলোচিত করে তুলেছিল। ষাট দশকের বিখ্যাত লেখকদের পর শহীদুল জহিরই আমাদের সবচেয়ে আলোচিত ও গ্রহণীয় লেখক। তার পরবর্তীকালের লেখকরা তার লেখার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে তাড়িত হয়েছেন।
গল্পে তিনি এক প্রকার জাদুবাস্তবতার প্রয়োগ ঘটাতেন। তবে টেকনিকের জাদুর মধ্যে সবচেয়ে মোহনীয় ছিল তার ভাষা। অত্যন্ত কুশলতার সাহায্যে তিনি বাক্যের ঘোরের মধ্যে পাঠকদের হাবুডুবু খাওয়াতে পারতেন। তার গল্প অবলম্বনে একাধিক নাটক ও সিনেমা তৈরি করেছেন তরুণ নির্মাতারা।
আজ ১২ টায় তার মরদেহ বাংলা একাডেমীতে আনা হয়েছিল। কয়েকমিনিটের জন্য। গুটিকয় লেখক সাহিত্যিকের সঙ্গে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। শেষ দেখা দেখলাম আমাদের সময়ের সবচেয়ে অদেখা অথচ সবচেয়ে চর্চিত এ লেখককে। সেই এক রকম বিনম্র হয়ে শুয়ে আছেন।
এর আগে একবারই তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। ২০০৫ সালে। উনি সেবার কাগজ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন। আমি পেয়েছিলাম ওই বছরই কাগজ নবীন সাহিত্য পুরস্কার। তার পাশে থেকে পুরস্কার নেয়ার ব্যাপারটা আমাকে ভীষণ আনন্দিত করেছিল। ওনার সঙ্গে কিছু কথা হয়েছিল। এরপর আর কখনোই কথা হয়নি। কতবার ভেবেছি যাবো একদিন দেখা করতে। যাওয়া হয়নি।



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।



* ৩৬ টি মন্তব্য
* ৩২৯ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৩ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28781760 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩
comment by: কৌশিক বলেছেন: এই বছর শুরু থেকেই মোটামুটি মৃত্যু উৎসব লেগেছে। একটা মৃত্যু সংবাদ শুনলেই আতঙ্কে থাকি এখন।
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯

লেখক বলেছেন: একটার পর একটা খবর আসছে প্রতিমাসে।
২. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩
comment by: অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: শহীদুল জহিরের কথা আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। পড়ার আগ্রহ রইল।
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১১

লেখক বলেছেন: পড়ার অনুরোধ থাকলো।
৩. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩
comment by: মাঠশালা বলেছেন: শহিদুল জহিরের গল্প/ উপন্যাস নিয়ে আরো কথা বলা উচিত ছিল। কাগজ সাহিত্য পুরস্কার এখন পর্যন্ত তাঁকে পুরস্কৃত করে একটা ভালো কাজ করেছিল।
আপনার পোষ্ট থেকেই উদৃতি দেই-ষাট দশকের বিখ্যাত লেখকদের পর শহীদুল জহিরই আমাদের সবচেয়ে আলোচিত ও গ্রহণীয় লেখক।
তবে এই আলোচনা আরো বিশদ হওয়া উচিত।
এবারের বই মেলাও তাঁর নতুন কোন বই এসেছে কিনা খোজ করছিলাম।তাঁর মৃত্যুর খবর শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১২

লেখক বলেছেন: মৃত্যুর খবরে এর বেশি আর কী লিখবো?
পরে নিশ্চয়ই কথা হবে। লেখাও হবে।
৪. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৯
comment by: সুতরাং বলেছেন: সকালবেলা শামীম ভাই মেসেজে জানালেন শহিদুল ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদটি। শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। গতকাল ল্যাবএইডে যাওয়ার কথা ছিল, যেতে পারিনি।
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১৪

লেখক বলেছেন: আমি সকালে এক ফোনে জানলাম কোমায়, খবরটা নিশ্চিত হতে গিয়ে জানলাম তিনি মারা গেছেন।
৫. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭
comment by: আরিফ জেবতিক বলেছেন: শহীদুল জহির মারা গেছেন !
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১৫

লেখক বলেছেন: বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন।
৬. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮
comment by: মানস চৌধুরী বলেছেন: মাহবুব, খুব খসড়া মনে পড়ে শহীদুল জহিরের নাম আপনার কাছে শোনা। হয়তো ৮/৯ বছর আগে। আমি সমকালীন সাহিত্য (বা কোনো কিছুরই) ভাল পাঠক ছিলাম না। যদি আপনি হয়ে থাকেন, ওর নাম শুনিনি শুনে একটু বিস্মিত হলেন। আমাকে "জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা" দেখালেন। ...এই হলো পরিচয় এই লেখকের সঙ্গে।

জহিরের লেখার ধারা নিয়ে যে সামান্য আলাপ পড়েছি তাতে সন্তুষ্টি মেলেনি। কী তিনি লেখেন তার চেয়ে কোন ধারায় তাকে ফেলা যায় (ধরা যাক, যাদু বাস্তবতা) সেটাই মুখ্য মনে হয়েছে। এর বাইরে সম্ভবত কথা পত্রিকায় একটা সাক্ষাতকার পড়ি। সাক্ষাতকারের চেয়ে লেখায় তাকে অনেক প্রোথিত মনে হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আচমকা এই বার্তা। ভোতা ভোতা লাগছে। বিষণ্ন এবং নিরর্থক ...
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১৯

লেখক বলেছেন: স্যার,
আপনার এত আগের কথা মনে আছে দেখে অবাক হচ্ছি। শহীদুল জহিরের লেখা নিয়ে আলোচনার অবকাশ নিশ্চয় মৃত্যুর পর আরও বাড়বে। আমি সাকুল্যে দুইটা লেখা লিখেছি। একটা ব্লগে, আরেকটা শীঘ্রই পোস্ট করবো।
৭. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১০
comment by: সফেদ ফরাজী...... বলেছেন: মাহবুব ভাই, গতকাল বাড়ি (গফরগাঁও) ছিলাম। রাত ১১ টা ৫৪মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে একটি মেসেজ পাই। তাতে লেখা- Shahidul jahir hospitalized for serious hart attack. sender Shamim Reza. মেসেজটি পড়ে বেশ খারাপ লাগছিল। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বিস্তারিত জেনে নিই। যখন জানতে পারি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি, তখনি এক অজানা আশঙ্কায় বেদনার্ত হচ্ছিলাম। কেননা, গত কিছুদিন আগে এইখানেই তো সেলিম আল দীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। অনেক রাত পর্যন্ত আমি আর মুন্নী অনেকক্ষণ শহীদুল জহির সম্পর্কে কথা বললাম এবং উনার জন্য মঙ্গল কামনা করলাম।
আজ সকালে যখন ট্রেনযোগে ঢাকা ফিরছিলাম, টঙ্গীতে পৌঁছার পরই একটি মেসেজ পাই। তাতে লেখা- Jahir vhai mara gachen. sender Shamim Reza. 23-Mar-2008, 10:30:53.
মেসেজটি পড়ে আমি থ মেরে যাই। এ কি পড়লাম আমি! শহীদুল জহির মারা গেছেন? আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। উনার সঙ্গে আমার কখনো সরাসরি দেখা বা কথা হয়নি। ছবিতে দেখেছি শুধু। তাই সঙ্গে সঙ্গে উনার তিনটি ছবি আমার চোখে ভেসে উঠল, এক. সে রাতে পূর্ণিমা ছিল বইয়ের ফ্ল্যাপের গোঁফওয়ালা ছবি, দুই. ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প এবং মুখের দিকে দেখি বইয়ের গোঁফ ছাড়া ছবি এবং তিন নাম্বার. কাগজ সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণের সময় ক্রেস্ট হাতে মাহবুব মোর্শেদসহ, কাজী শাহেদ আহমেদ, শামীম রেজার সঙ্গে যে ছবিটা। মাথার ভেতর ছবিগুলো এতই তোলপাড় করছিল, বাধ্য হয়ে সংবাদটি আমার বন্ধুদেরকে ফোনে জানাই। সবাই তো অবাক!
দ্রুত বাসায় ফিরি। কিন্তু ঢাকায় বাসায় ফিরে অন্য একটি সমস্যা শেষ করে যখন জানতে পারি যে, উনার জানাজাও শেষ, আর আমাদের দেখা হবে না কোনোদিনই, তখন মনটা খুব মেঘলা হয়ে যায়। খুব খারাপ লাগে। ভাবি, কেন এত খারাপ লাগছে? শহীদুল জহির আমার কে হন? উনি নেই তো আমার কী? কিন্তু মন কোনো যুক্তি মানে না, প্রশ্ন মানে না, উত্তর মানে না। খারাপই লাগে।

আপনার পোস্টটি পড়ে সেই খারাপ লাগা আরো বেড়ে গেল। তবু ধন্যবাদ আপনাকে, এই কাজটি করার জন্য।

`তার জন্ম সিরাজগঞ্জে ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ সালে।'
আমার জানা মতে, সিরাজগঞ্জ তার গ্রামের বাড়ি। কিন্তু উনার জন্ম ঢাকায়, নারিন্দার ভূতের গলিতে।
এবং পড়াশোনা করেছেন ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল, ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন ডি.সি-র দি আমেরিকান ইউনিভার্সিটি এবং বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটিতে।
৮. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৩০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এই কারেকশনটার জন্য ধন্যবাদ সফেদ।
কমেন্টের জন্যও ধন্যবাদ।
৯. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৬
comment by: আজহার ফরহাদ বলেছেন: পিয়াস মজিদ দুপুরে ফোন করে খবরটা জানালে খুব কষ্ট পেয়েছি। বাংলা ছোটগল্প ও উপন্যাসে ভিন্ন বাস্তবতার সন্ধান দিয়েছিলেন শহিদুল জহীর। যদিও একে যাদুবাস্তবতা বলতে চান অনেকে। তবে তার গদ্যের আমি একজন বিমুগ্ধ পাঠক। যে কয়াটা লেখাই পড়েছি সবকটি লেখাতেই শহিদুল জহীর অনন্য হয়ে উঠেছেন মোহন ও মেরুদন্ডী ভাষার জন্য্।

সাহিত্যে পুরান ঢাকার কথ্য ভাষার সম্ভবত তারচেয়ে ভালো প্রয়োগ ঘটাতে পারেনি কেউ । তার 'ইন্দুর বিলাই খেলা' এখনো মাঝে মাঝে পড়তে ইচ্ছা করি। এই নিভৃতচারী মানুষটির চলে যাওয়া বড় দুঃখের।
২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১৩

লেখক বলেছেন: শহীদুল জহিরের জাদুবাস্তবতা নিয়ে আমি একটা লেখায় কিছুটা দ্বিমত পোষণ করেছিলাম। পরে দেখলাম তিনি নিজেও একটা সাক্ষাৎকারে ব্যাপারটাকে জাদুবাস্তবতা বলেছেন।
তার অধিকাংশ গল্পই আমার প্রিয়।
১০. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: একজন অসাধারন গল্পকার মারা গেলেন!

তার গল্পগুলো নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই।মনে পড়ে গেলো নুরুল আলম আতিক ভাইয়ের নির্মাণে শহিদুল জহিরের গল্পের অবলম্বনে চলচ্চিত্র "চতুর্থ মাত্রা"এর কথা।সেই ফিল্মটার প্রিমিয়ার হয়েছিলো জার্মান কালচারাল সেন্টারের অডিটোরিয়ামে।সে অনুস্ঠানে তাকে আমন্ত্রন করা হয়েছিলো।তিনি আসেননাই।আসলেই তিনি নিভৃতচারী ছিলেন।

শোক রইলো আর কিছু নয়।
২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬

লেখক বলেছেন: onar golpo niye toiri kono movie aami dekhi nai.
kemon hoyechilo choturtho matra?
১১. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৩১
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: একি শুনলাম!
আমার খুব প্রিয় একজন লেখক। যদি কেউ জিজ্ঞেস করে সমসাময়িক কার গল্প আপনার প্রিয়? আমি সবসময় শহিদুল জহিরের নামটাই প্রথমে বলি।
আরও কিছু অসামান্য সৃষ্টি নিশ্চয় পেতাম, আরও কিছুদিন বেঁচে থাকলে।

চতুর্থ মাত্রা তো টেলিফিল্ম। কিন্তু আরেকটি ফিল্ম হয়েছিল 'ফুলকুমার', কানাডাপ্রবাসী আশিক মোস্তফা করেছিলেন ছবিটা।

ডলু নদীর হাওয়া, কাঠুরে ও দাঁড়কাক, চতুর্থ মাত্রা কী অসামান্য সব গল্প।
২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২০

লেখক বলেছেন: শহীদুল জহিরের গল্প অবলম্বনে ফিল্মগুলা আপনার কেমন লেগেছে ফাহমিদ ভাই?
১২. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৫
comment by: মানস চৌধুরী বলেছেন: আশিক মোস্তফা এখন ঢাকায়। এই ব্লগে বোধহয় থাকেন না। "ফুলকুমার"-এর বেশ বড় একটা দল শহীদুল জহির-এর পাঠ বিস্তারিত করেছে বোধহয় এবং দৃশ্যগতভাবে দেখতে শুরু করেছিল।

২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২৩

লেখক বলেছেন: ওনাদের প্রস্তাব দেয়া যায় শহীদুল জহিরের গল্পের ওপর মুভিগুলা এক সাথে দেখানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না।
১৩. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৮
comment by: পথিক!!!!!!! বলেছেন: নামটা পরিচিত .....হওয়াটাই স্বাভাবিক................
কিন্তু তেমন পরিচয় নেই তার লেখার সাথে সত্যি ...
তারপরও বেদনার্ত আমি।
১৪. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩৮
comment by: অ্যামাটার বলেছেন: মাহবুব ভাই,
২০০৮ সালটা শুধু হারানোরই বছর...
হারিয়েছি সেলিম আল দ্বীন কে,
হারিয়েছি অ্যাডমন্ড হিলারি কে,
হারিয়েছি ববি ফিশার কে,

খবরে শুনলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা গেছেন,
তবে তার সাহিত্যিক পরিচয়টা জানতাম না,

তার সাহিত্যকর্ম এখন হয়ত পড়ব, কিন্তু আফসোস সেটা তার জীবদ্দশায় আর হয়ে উঠল না ।
২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২৭

লেখক বলেছেন: এখন পড়েন। আজিজ মার্কেটে তার বই পাওয়া যাবে।
১৫. ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪০
comment by: অ্যামাটার বলেছেন: হারিয়েছি আর্থার সি ক্লার্ক কেও*
১৬. ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:২০
comment by: মাহমুদ মামূন বলেছেন: প্রিয় সমাজতান্ত্রিক ফোরাম গ্রুপের ব্লগার,

আমাদের 'সমাজতান্ত্রিক ফোরাম 'গ্রুপটিকে সক্রিয় করতে এবং গ্রুপের ব্লগারদের মধ্যে আন্তঃ যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আপনারা আপনাদের ইমেইল আড্রেস গ্রুপের স্টিকে পোষ্টের কমেন্টে এসে দিয়ে যাবেন প্লিজ। চাইলে কন্টাক্ট এড্রেসও দিতে পারেন। গ্রুপকে কার্যকর ও গঠনমূলক করতে আপনাদের প্রত্যেকের অংশগ্রহন একান্ত কাম্য।
২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২৯

লেখক বলেছেন: যাবো নে।
১৭. ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:২৮
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: হ্যা ফুলকুমারের কথা বলতে ভুলে গেছিলাম।আশিক ভাই এখন ঢাকায়।সামির ভাইয়ের অফিসে নাকি মাঝে মাঝে অবস্থান করে বলে শুনেছি।

তবে ামার কাছে তুলনামুলক বেশী ভালো লেগেছিলো চতুর্থ মাত্রা।
২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩২

লেখক বলেছেন: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নাকি একটা তৈরি করেছেন?
১৮. ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১৭
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন:

টিভিতে তার গল্প অবলম্বনে নাটক কোথায় পাবো তারে দেখে আগ্রহ জন্মেছিলো। খুবই দু:খজনক
২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩

লেখক বলেছেন: এটাই কি ফারুকী বানিয়েছেন?
১৯. ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩০
comment by: শেখ জলিল বলেছেন: শহীদুল জহির-এর অল্প কয়েকটি গল্প পড়েছিলাম। তখনই আকৃষ্ট হয়েছিলাম তাঁর লেখায়। টিভি চ্যানেলে তাঁর গল্প অবলম্বনে নাটক 'কোথায় পাবো তারে' বেশ সাড়া ফেলেছিলো।
..তাঁর মৃত্যুসংবাদ শুনে খুব খারাপ লাগছিলো সেদিন।
২০. ২৫ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৩২
comment by: কাস্তের মত চাদঁ বলেছেন: আতকে উঠলাম। এই লেখকের একটা গল্প/ছোট উপন্যাস পড়েছিলাম ঈদ সংখ্যায়,..নামটা মনে নেই, পুরনো ঢাকার প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখা। খুবই ভাল লেগেছিল তার লেখাশৈলি। কয়েকজনের সাথে আলোচনাও করেছিলাম।
মারা গেছেন শুনে খুব অবাক লাগছে। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতে নসীব করুন।
২১. ২৫ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:৩০
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: চতুর্থ মাত্রা আসলেই অসাধারণ হয়েছিলো।আতিক বা আশিক ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ হলে যথাক্রমে চতুর্থ মাত্রা ও ফুলকুমার দেখতে পারেন।দুইটাই চমৎকার নির্মাণ করেছেন দুই পরিচালক।

তবে ফারুকীরটা আমিও টেলিভিশনে দেখেছি,(নামটা ঠিক মনে াসছে না)অতটা আহামরি গোছের কিছু মনে হয়নাই।আর ফারুকী তো তাদের তুলনায় বেশ কিছু সময় পরে(সম্ভবত বছর ৩-৪)পরে তৈরি করেছেন।
২২. ২৫ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২০
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: নির্মিত ছবি তো একটাও দেখি নাই। ফুলকুমার-এর প্রদর্শনী ঢাকায় মাত্র একটা হয়েছে। সেটাতো মিস হতেই পারে। যথারীতি চতুর্থ মাত্রাও মিস। ফুলকুমার-এর একটি ওয়েবসাইট আছে, দেখতে পারেন: http://www.phulkumar.50megs.com/
আগ্রহ আছে, যদি কখনও ডিভিডি ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।

ফারুকি করেছিলেন শহীদুল জহিরের গল্পের চরিত্র/বই নিয়ে, নাটকটা অন্য কারও লেখা (হয়তো আনিসুল হকের)। সেখানে নাটেকর চরিত্ররা অনুসন্ধান (রিফাত চৌধুরী) করে অমুক চরিত্রটি ভূতের গলির অমুক দোকানে বসে ডাইলপুরি খাইছিল এইটা শহীদুল জহির জানলো কেমনে? লেখকের ঠিকানা খুঁজে তারা মাওলা ব্রাদার্সে যায়, সেইখানে দোকানের কর্মচারীর চরিত্রে অভিনয় করেন কামরুজ্জামান কামু। এইসব আরকি।

No comments:

Post a Comment