Sunday, March 1, 2009

ইন বড়ো বড়ো সাওয়ালো ছে কুছ নেহি মিলেগা?

০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

ইনডিয়ান টিভি চ্যানেলগুলোতে ইদানিং 'কেয়া আপ পাচভি পাস ছে তেজ হ্যাঁয়?' নামে একটা সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপন প্রায় মিনিটে মিনিটে দেখা যায়। প্রতিযোগিতার হোস্ট শাহরুখ খান। প্রতিযোগিতার প্রশ্নগুলো সাধারণ, সহজ এবং আকর্ষণীয়। যেমন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের তারার নাম কী? সবে শেষে বাস্তবায়িত হওয়া ইনডিয়ান রাজ্য কোনটি? এই সব সব। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। অনুমান করি, স্টার প্লাসের আয়োজনটি ইনডিয়ায় বেশ পপুলার হয়েছে। আয়োজনের প্রোমোশনের জন্য কিছু বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনগুলো হাস্যরসাত্মক, মজার। পুরস্কারের কিমত পাঁচ লাখ রূপিয়া। মানে পুরস্কারের মূল্যমান ভারতীয় টাকায় পাঁচ কোটি। বিশাল ব্যাপার। কৌন বনেগা ক্রোড়পতি অনুষ্ঠানের পর এটাই বোধ হয় হাই প্রোফাইল সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতা।
এই প্রতিযোগিতার একটা বিজ্ঞাপন কয়েকদিন থেকে আমার মাথা আচ্ছন্ন করে রেখেছে। প্রতিযোগিতার একটা প্রোমোশনে শাহরুখ একটা টেবিলে বসে আছেন। আপন মনে প্রশ্ন করছেন, 'সত্য কী?' সঙ্গে সঙ্গে টেবিলের নিচ থেকে একটা বাচ্চা বেরিয়ে এসে বলে, ইন বড়ো বড়ো সাওয়ালো ছে কুছ নেহি মিলেগা। বরং পাচভি পাসের এই প্রশ্নের উত্তর দিন আপনি পাবেন পাঁচ কোটি টাকা। বাচ্চাটির কথা শুনে গভীর চিন্তায় পড়ে গেলাম। ঠিকই তো, সত্য কী এটা জেনে কী হবে? আর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে কোন তারা সেটা জানলে আর প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে তো পাঁচ কোটি টাকা মিলবে। তার মানে সত্য কী, এ প্রশ্নের কোনো উপযোগিতা তাহলে নেই? কথাটা কি ঠিক? ভাবছিলাম। তারপর মাথায় একটা আইডিয়া এলো। আচ্ছা কোনো প্রতিযোগিতায় ধরা যাক এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়নি যে, পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী তারা কোনটি, তাহলে এই প্রশ্নে কিমত মানে মূল্য কত? আর সত্য কী এ প্রশ্নে কিমতই বা কত? পৃথিবী থেকে চাঁদ কত দূরে এটা জেনে কী হয়? আর সত্য কী? নীতি কী? ন্যায় কী? এইসব জেনেই বা কী হয়।
আজ সকালে একটা উত্তর খেলা করলো মনে। সেটা শেয়ার করার জন্যই এ পোস্টের অবতারণা। ঘটনা হলো, সত্য কী এ প্রশ্নের জবাব যার জানা আছে বা জানা না থাকলেও যার মনে এ প্রশ্ন আছে তার মধ্যে আছে জ্ঞান। সত্য কী এটা জানা জ্ঞানের প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে চাঁদে হয়তো যাওয়া যায় না, কিন্তু জ্ঞান এবং তার থেকে অর্জিত প্রজ্ঞার মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করা যায়। আর পৃথিবী থেকে চাঁদ কত দূর এ প্রশ্নের উত্তর হলো স্রেফ একটা ইনফরমেশন। তথ্য। এটা জানা হয়তো জরুরি। কিন্তু জেনে কী হয়? পরীক্ষায় পাস? সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষায় জিতে পাঁচ কোটি টাকা? এইসব না থাকলে কী হবে? এ প্রশ্নের উত্তর জানলে কি চাঁদে যাওয়া যাবে? এই সব যদি না থাকে তাইলে এই প্রশ্ন দিয়ে তো কচু হবে। তাই না?
আমি জানি বা না জানি আমাদের পৃথিবীতে জ্ঞান ও তথ্যের মধ্যে একটা সংঘর্ষ তৈরি হয়ে আছে। সারা পৃথিবীতেই নতুন প্রজন্মের মাথায় প্রতিনিয়ত যা ঢোকানো হচ্ছে তা হলো তথ্য, জ্ঞান নয়। ফলে, জ্ঞান বিহীন অথচ তথ্য সমৃদ্ধ একটি প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। আমার মনে হলো, একটা বাচ্চার মুখ দিয়ে কথাটা বলানোটার সঙ্গে কর্পোরেট সাবকনশাস কাজ করেছে। এই বড় বড় প্রশ্নের উত্তর দিলে কিছু মিলবে না। এই কথার মধ্য দিয়ে আমাদের বাচ্চারা কোন মেসেজটি পেল? জ্ঞানের দরকার নেই, দরকার শুধু তথ্য।
আমি এখন একটু বিস্মিত। কর্পোরেটের ভাষ্য বা বয়ান কতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা গ্রহণ করতে অভ্যস্ত হয়েছি সেটা দেখে। আমার মাথায় প্রশ্নটা আসতে যে সময় লেগেছে তা দেখেই স্বতঃস্ফূর্ততার কথাটা বললাম।



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।



* ৫৬ টি মন্তব্য
* ৪৬৪ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১২ জনের ভাল লেগেছে, ৩ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28785022 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১২
comment by: গিফার বলেছেন: আপনি অংস নিছ্ছেন তোহ...
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

লেখক বলেছেন: না। আপনি অংস নিয়েন।
২. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
comment by: তারিক টুকু বলেছেন: আমি জানি বা না জানি আমাদের পৃথিবীতে জ্ঞান ও তথ্যের মধ্যে একটা সংঘর্ষ তৈরি হয়ে আছে। সারা পৃথিবীতেই নতুন প্রজন্মের মাথায় প্রতিনিয়ত যা ঢোকানো হচ্ছে তা হলো তথ্য, জ্ঞান নয়। ফলে, জ্ঞান বিহীন অথচ তথ্য সমৃদ্ধ একটি প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। আমার মনে হলো, একটা বাচ্চার মুখ দিয়ে কথাটা বলানোটার সঙ্গে কর্পোরেট সাবকনশাস কাজ করেছে। এই বড় বড় প্রশ্নের উত্তর দিলে কিছু মিলবে না। এই কথার মধ্য দিয়ে আমাদের বাচ্চারা কোন মেসেজটি পেল? জ্ঞানের দরকার নেই, দরকার শুধু তথ্য।

অসাধারণ পোস্ট। এমন লেখাই মাহবুব মোরশেদের কাছ থেকে আসা করি।

অনেক +++++++++++++++++
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২০

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট টুকু।
৩. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
comment by: তারিক টুকু বলেছেন: মোরশেদ =মোর্শেদ।

ভুলের জন্য দুঃখিত।
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২১

লেখক বলেছেন: ব্যাপার না।
৪. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
comment by: কিরিটি রায় বলেছেন: সত্য কী এ প্রশ্নের জবাব যার জানা আছে বা জানা না থাকলেও যার মনে এ প্রশ্ন আছে তার মধ্যে আছে জ্ঞান। সত্য কী এটা জানা জ্ঞানের প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে চাঁদে হয়তো যাওয়া যায় না, কিন্তু জ্ঞান এবং তার থেকে অর্জিত প্রজ্ঞার মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করা যায়। আর পৃথিবী থেকে চাঁদ কত দূর এ প্রশ্নের উত্তর হলো স্রেফ একটা ইনফরমেশন। তথ্য।.....

এবং সম্ভবত এই ব্লগেওআমরা তেমন তথ্যধারী প্রচুর আতেলের দেখা পাই যাদের জীবন বোধ বলতে আসলে কিছু নেই। কেবলই কর্পোরেট থিংকিং......

ভয়াবহ ..এ অবস্থা শুধু জাতিগত নয়, মানুষের মৌলিকত্বকেওহুমকির মূখে ফেলছে।...

ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টর জন্য্।
পাশাপাশি সমাধান মূলক ভাবনাও পেলে খুশি হবো।
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

লেখক বলেছেন: আপাতত চিন্তাটা করতে শেখাটাই জরুরি মনে হচ্ছে সমাধান তো আর আমাদের হাতে নাই। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৫. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
comment by: শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: ভাল ভাবছেন তো
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস মাসুম ভাই।
৬. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
comment by: আরিফ জেবতিক বলেছেন: গুডিশ পোস্ট ।
কর্পোরেট যুগে আপনাকে ভাবতে হবে কেন ? আপনার ভাবনা আমরা ভেবে দেব , আপনি শুধু এসএমএস পাঠানোর জন্য ফোনের বাটনে গুতোগুতি করতে থাকুন ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

লেখক বলেছেন: ঠিক কথা।
৭. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
comment by: দূরন্ত বলেছেন: হুমম..
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

লেখক বলেছেন: হামমমমমমমম
৮. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৪০
comment by: অন্যকোথাও বলেছেন: চিন্তাশীল পোষ্ট। করপোরেট কনসেপ্টের খ্যাতা পুড়ি... :D পেলাচ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৩৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:০২
comment by: মৃদুল মাহবুব বলেছেন: যার মাথায় যত ইনফরমেশন সে ততই জ্ঞানী এই কর্পোরেট দুনিয়ায়। আর আমাদের জ্ঞান বা ইনফরমেশ কোনটাই ভালো লাগে না। জ্ঞান নাকি কখনও কখনও সৃজনের অন্তরায়।(?) আমাদের জাতীয় চরিত্রে জ্ঞানও নাই, ইনফরমেশনও নাই। আর প্রজ্ঞা! সে বহুদূর। আমাদের যে কি হবে?
০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৩৮

লেখক বলেছেন: প্রজ্ঞা সত্যিই অনেক দূরে। আমাদের যে কী হবে।
১০. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:০৮
comment by: হার্টবিট বলেছেন: ্দুর মিয়া, আপনার কোন কাজ নাই নাকি? আলতু ফালতু topics নিয়ে লিখেন
০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৩৯

লেখক বলেছেন: ওই মিয়া আপনার কাম নাই, আলতু ফালতু পোস্টে কমেন্ট করেন। যান ফুটেন।
১১. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:১১
comment by: নাজিম উদদীন বলেছেন: আমাদের যে কি হবে?
০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪২

লেখক বলেছেন: আমাদের যে কী হবে।
১২. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:১৯
comment by: হ্যারি সেলডন বলেছেন: এটাকে আপনার প্রিয় পোস্টে এখনও রাখেননাই কেন?
০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪৩

লেখক বলেছেন: বলছেন?
আপনার মতো ব্যক্তিও এত ছোট বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন।
১৩. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:৪২
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: ভাল লাগলো, এবং ঠিকই ধরেছেন।
০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪৪

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, রিফাত হাসান।
১৪. ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:৫৯
comment by: শ্রেয়া বলেছেন: +
০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫. ০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
comment by: কোলাহল বলেছেন: চিন্তা করার মত পোস্ট।

আপনার মাথায় দেখি সব কিচুই আছে !
০৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬. ০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:১৫
comment by: ত্রিভুজ বলেছেন:

হুমমমম + ম + ম + মমমমমমম


০৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০

লেখক বলেছেন: হাম...
১৭. ০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৪৬
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: তথ্যসমাজকে প্রথম দিকে নলেজ সোসাইটি বলার চেষ্টা হয়েছিল। পরে সেটা সামলে নেয়া হয়।

এই সময়ে অবশ্য বিখ্যাত হওয়া আগের চেয়ে সোজা: এক চিমটি প্রজ্ঞা, এক মুঠো জ্ঞান ও আধা জগ তথ্য -- বিখ্যাত হবার স্যালাইন।

ভালো পোস্ট।
০৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৩

লেখক বলেছেন: এক চিমটি প্রজ্ঞাও তো অনেক ব্যাপার। এমন লোকও তো মেলে যার পুরো অর্জন বলতে ওই ইনফরমেশন ছাড়া আর কিছু নয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফাহমিদ ভাই।
১৮. ০৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৫২
comment by: আজহার ফরহাদ বলেছেন: তথ্য ও জ্ঞানের বাহাস দীর্ঘদিনের। আমাদের বেড়ে ওঠার সময়ও এই দু'য়ের দ্বন্দ্ব টের পেয়েছি। শিক্ষা কাঠামোর ভেতর এটি লেজেগোবরে মিশে আছে। রবীন্দ্রনাথ তোতা কাহিনীতে বহুআগে এই প্রসঙ্গটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই দশাসই কর্পোরেট বর্গে একেকটি মানুষ হলো সেই তোতাপাখির মতো-

রাজা পাখিটাকে টিপিলেন। সে হাঁ করিল না, হুঁ করিল না। কেবল তার পেটের মধ্যে পুঁথির পাতা খসখস গজগজ করিতে লাগিল।
০৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৪

লেখক বলেছেন: বাহ দারুণ উদাহরণ দিছো তো।
১৯. ০৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৩৭
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: তথ্য নিয়ে ভাবার দরকার আছে,অতি তথ্যের ভারে ভাবার ব্যাপারটাই উঠে যাচ্ছে,শুধু ইন্স্ট্যান্ট তথ্য কাজে লাগিয়ে বাজিমাতের দৌড় এখন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:২৮

লেখক বলেছেন: কিন্তু তথ্যে বিরুদ্ধে কী করা সম্ভব?
দুনিয়াটা তো তথ্যে ভরপুর।
২০. ০৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:১৬
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: কর্পোরেট লাইফের জন্য তথ্যই অনেক কাজের,অথচ তথ্য দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যায়।একটা বাচ্চার মুখ দিয়ে কথাটা বলানোটার সঙ্গে কর্পোরেট সাবকনশাস কাজ করেছে-অথচ এটাই এখন সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে নতুন আর কি বলবো,এসব তো ঘটমান বাস্তব।

জ্ঞান বিষয়টি আমাদের অভিজ্ঞতায়ও পাওয়া যায়,কিংবা নিকটবর্তী বিষয় বলে এতে স্বল্প বিশ্বাস রাখা যায়।কিন্তু অতিলৌকিক প্রজ্ঞা,ফ্রজ্ঞায় আমার কোনো আগ্রহও নাই।

খুবই ভালো লাগলো াপনার লেখাটি।ধন্যবাদ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৩

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
প্রজ্ঞা অতিলৌকিক ব্যাপার এইটা আমি মানতে নারাজ। আমার মত হলো, জ্ঞান হলো বিজ্ঞান আর প্রজ্ঞা হলো প্রযুক্তি। আপনি যাকে অতিলৌকিক বলছেন সেটার সঙ্গে জ্ঞানের সম্পর্ক যতটা না তার চেয়ে বেশি সম্পর্ক অনুমানের। তাই না?
২১. ০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৩৭
comment by: কেএসআমীন বলেছেন: এই সময়ে অবশ্য বিখ্যাত হওয়া আগের চেয়ে সোজা: এক চিমটি প্রজ্ঞা, এক মুঠো জ্ঞান ও আধা জগ তথ্য -- বিখ্যাত হবার স্যালাইন।

হা হা হা...

ভাল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৫২

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট আমীন ভাই।
২২. ০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:২৫
comment by: . . . এখনো খুঁজি বলেছেন: "আমার মত হলো, জ্ঞান হলো বিজ্ঞান আর প্রজ্ঞা হলো প্রযুক্তি

ঠিক বুঝলামনা। বিশেষ করে "প্রজ্ঞা হলো প্রযুক্তি" কথাটা !
০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:০২

লেখক বলেছেন: প্রজ্ঞার সঙ্গে প্রায়োগিক বিষয়গুলো জড়িত বলে আমার মনে হয়। ফলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে যে সম্পর্ক জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মধ্যে সেই সম্পর্ক বলে আমি অনুমান করি। কারো জ্ঞান আয়ত্ত থাকতে পারে কিন্তু তিনি প্রজ্ঞার অধিকারী নাও হতে পারেন।
২৩. ০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:২৯
comment by: আজহার ফরহাদ বলেছেন: প্রজ্ঞা ও প্রযুক্তির সম্পর্কটি খুলে বলবেন কি?
০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:০৩

লেখক বলেছেন: ঐ। আগেরটাই।
২৪. ০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:১২
comment by: অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: একদম কন্টেম্পরারি পয়েন্ট। আধুনিক বিশ্ব এত'' 'নিজ'' '' 'নিজ'' করে কিন্তু কার্যত নিজেরে আবাংগের মত বিলাইয়া দেওনের চর্চা যত্ন কইরা জারি রাইখা দেয়। এইটা সে করে যাতে, মহাবয়ানের বিস্তৃতি বাড়তে বাড়তে আকাশ ছাড়াইয়া যায়।
কর্পরেট এইটারে দেখভালের নতুন নতুন পথ উন্মোচন করে এবং পুরা খেলা জারি রাখে। এইটার অনেক আগের উৎপাদন ও বিক্রয় পণ্য হইল 'তথ্য''। তথ্য দিয়া সে জিগ্গাসা তৈরী করে এবং উত্তর বিক্রী করে। এরপর জিগ্গাসা উত্তর দুইটাই বিক্রী করে...মূলত...জিগ্গাসা ও উত্তর দুইটার মালিকানা নিয়া নেয়। এবং তার মালিকানার গল্পে যা যা ফিট সেইটারে সত্য বইলা চালায়। এইটার ভোক্তারা তাগো সত্যরেই জীবনবোধ চর্চা বইলা মাইনা নেয়। এর মধ্যে আরেকটা টুইস্ট আছে।...মানুষের ক্রমাগত প্রশ্ন প্রক্রিয়ারে সে যেমন নিয়ন্ত্রণ করে,....তেমনি আবার তার প্রশ্নের চর্চারেরই বন্ধ কইরা দেয়া, অন্তত অলস বানায়া দেয়।
২৫. ০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২৭
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: শরৎ, আপনের বিচার খুব ভাল লাগলো।
২৬. ০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: প্রজ্ঞার বিচার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে তুলনা করে ডিডাকশন করা সহজ নয় বলে ামার মনে হয়।প্রজ্ঞাকে স্বীকার করলে মানুষের সহজাত বুদ্ধির ধারণাকেও স্বীকার করা হয়ে যায়-ফলে চিন্তাধারটি একধরণের ভাববাদী,স্ব্রজ্ঞাবাদী,বুদ্ধিবাদী ইত্যাদি বিষয়াদীর সাথে তুলনা করা যায়।

প্রাচীন গ্রীক ধারণায় প্লেটো তার রিপাবলিকে মনে করেন জ্ঞান অর্জন করা উচিত প্রজ্ঞালাভের জন্য।প্রজ্ঞা দ্বারা সার্বিক প্রত্যয়ের(ঈশ্বর) দেখা পাওয়া যায় বলে মনে করতেন।হ্যা তবে সেটাকে অনুমানই বলা ভালো।প্লেটো তার ইউটোপিয়ান রাস্ট্র শাসন (শোষন!!!) করার জন্য প্রজ্ঞাবানের কথা বলেন।

কিন্তু প্রজ্ঞা কি?জ্ঞান হতে এর কি আলাদা বৈশিস্ঠ্য, তাকি আমরা বলতে পারবো?আর প্রজ্ঞার বিভেদ তুলে মুলত ভন্ডরাই বহুকাল ধরে বৈষম্য রক্ষা করে আসছে।তাই ামি প্রজ্ঞা নিয়ে একটু অস্বস্তিতে আছি।

হ্যা,প্রজ্ঞার প্রায়োগিক দিক আমারও দেখার ইচ্ছা আছে।কিন্তু বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষনে,অনুসন্ধানে প্রজ্ঞার চাইতে মুলত গবেসণার দিকটি ভাবা।

তবে প্রকৃস্ট জ্ঞান অর্থেও যদি প্রজ্ঞা ব্যবহার করেন সেখানেও একই প্রশ্ন জাগে প্রকৃস্ট জ্ঞান কি?

প্রজ্ঞা কি একধরণের বোধগত উন্মেষ,তবে সেটা কি রকম।আমিও জানি না।তবে প্রচলিত বা প্রাচীন প্রজ্ঞাবোধ ামার পছন্দ হয় না।

এইসব আরকি!

ধন্যবাদ,ভালো থাইকেন:):)
০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:১৩

লেখক বলেছেন: মুয়ীজ,
আপনার মন্তব্যটি আমাকে বিস্তর ভাবালো এবং অনুপ্রাণিত করলো। আপনাকে ধন্যবাদ।
জ্ঞান ও প্রকৃষ্ট জ্ঞানের পার্থক্য কতটুকু তা আমার পক্ষেও বের করা কষ্টকর। ব্যাকরণিক অর্থভেদে খুব বেশি কাজ হবে বলেও মনে হয় না। আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে মিলিয়েছি ব্যবহারিক অর্থ বিচার করে। যিনি জ্ঞানী তাকে প্রজ্ঞাবান বলা হয় না। প্রজ্ঞাবান বলা হয় তাকেই জ্ঞানের প্রয়োগের ক্ষেত্রে যিনি বিশেষ পন্থা অবলম্বনে সক্ষম।
জ্ঞান যদি কোনো ভাববাদী বিষয় না হয়, তবে প্রকৃষ্ট জ্ঞান তা হতে যাবে কেন? এ প্রশ্ন তুলে রেখেও যদি বলি, প্রজ্ঞার সঙ্গে ভাববাদের সম্পর্ক কী? বুদ্ধি কেন মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য নয়? আমি প্রজ্ঞা বলতে কিন্তু ঈশ্বরের সাক্ষাৎ পাওয়ার উপায় যে প্রজ্ঞা তাকে বোঝাচ্ছি না। জ্ঞানের পার্থিব প্রয়োগের রূপকে বোঝাচ্ছি।
প্রাচীন প্রজ্ঞার বোধ আপনার পছন্দ না হইতে পারে। কিন্তু নতুন প্রজ্ঞা বোধ কি তৈয়ার হইতে পারে না?
২৭. ০৮ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:১৯
comment by: এমরান কবির বলেছেন: সন্দেহ নাই চমতকার একটা বিষয় নিয়ে চমতকার সব কথা বলেছেন।
অাপনার কথায় যেমন যুক্তি অাছে তেমনি কর্পোরেট কনসেপ্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সাহসো রয়েছে। বাস্তবতা হলো, এই মুহূরতে এই দুনিয়াকে নন-কর্পোরেট ভাবেন তো! অাপনি-অামি ভাব-বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে যা ব্যবহার করছি এ মুহুরতে তাো কি করপোরেছির মধ্যে পড়ে না? তথ্য মানুষকে মানুষ হবার পরিবরতে তোতা পাখি হতে সাহায্য করে_ অামি এই কথা যেমন বিশ্বাস করি, তেমনি অাপনার উত্থাপিত প্রশ্নের সঙ্গেো সহমত পোষণ করি। তারপরো কথা থেকে যায়, অাচ্ছা মাহবুব ভাই, তথ্য ছাাড়া পৃথিবীকে একবার কল্পনা করে দেখুন তো।

অারো কিছু বলার ইচ্ছে ছিল, হাতে সময় নাই। পরে কথা হতে পারে।
তার অাগে একটি প্রশ্ন, যে সত্য নিয়ে এত কথার অবতারণা পৃথিবীতে সেই সত্য-এর অাবসুলুট ফরম কী? অাবসুলুট ট্রুথই বা কী?
০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:১৯

লেখক বলেছেন: তথ্য বা কর্পোরেট বিহীন পৃথিবীর ভাবনা ভাবতে পারা সম্ভব। কারণ সৃষ্টির আদি থেকে এইগুলা ছিল না। কিন্তু সে প্রশ্ন উত্থাপনে আপাতত আমাদের দরকার নাই। ভবিষ্যতের পৃথিবী কেমন হবে জানি না। তবে বর্তমানে এই চলছে। কর্পোরেট মতাদর্শকে প্রশ্ন করা আর তার থেকে বেরিয়ে বিকল্প পৃথিবীর সন্ধান খোঁজা তো এক বিষয় নয়। তাই না?
সত্য কী? এই প্রশ্নের উত্তরের চেয়ে সত্য কী এই প্রশ্ন জারি রাখাটাই বেশি জরুরি মনে হয়। যুগে যুগে নতুন সত্য নতুন করে দেখা দেবে। কিন্তু প্রশ্নটা না থাকলে উত্তরটা কীভাবে আসবে?
২৮. ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:২৮
comment by: স্বপ্নশিকারী বলেছেন: বস নীচের লিংক টা দেখেন
আমার যার যার লেখা ভাল লাগে তারা দেখলে ভাল লাগবে।

Click This Link
০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:২৮

লেখক বলেছেন: পড়লাম। ভাল লেগেছে।
২৯. ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:১৬
comment by: আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: হুমম ভালো প্রশ্ন উপস্থাপন করছেন।+

আপনে প্রথম আলোয় কবে থেকে জয়েন করছেন?
০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:২২

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
জয়েন করে ফেলেছি।

No comments:

Post a Comment