Tuesday, March 3, 2009

ছোটদের অর্থনীতি অথবা কয়দিন ধরে যা কিছু কথা ভাবতেছি

২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৫
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

১. বর্তমান সরকার যত তর্জন-গর্জন করে দেশ থেকে দুর্নীতি বিতাড়নের আওয়াজ তুলেছে তার প্রায় সবটাই ফাঁকা ওয়াজ কি না এইটা এখন ভাবার সময় এসেছে। কারণ এনাদের এক বছর হইতে চললো।
২. যে প্রক্রিয়ায় তারা দুর্নীতি দমনের জন্য তৎপরতা চালিয়েছে তাতে দুর্নীতি ু কার টুকুও দমন করতে পারবে কি না এইটা এখন ভেবে দেখা যেতে পারে। কিছু রাজনীতিককে দমন করা সম্ভব হলেও দুর্নীতি দমন হবে এইটা ভাবা দিনকে দিন কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
৩. দুর্নীতি দমন অভিযানে ব্যবসায়ীদের আগে আংশিকভাবে এখন পুরোপুরি ছাড় দেয়ার প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে। ফলে দুর্নীতি যাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে সেই ব্যবসার গায়ে হাত পড়বে না এইটা প্রায় কনফার্ম।
৪. ব্যবসায়ীরা বুঝতে পেরেছে এখন ভয় পেয়ে বসে থাকাটাই সবচেয়ে লাভজনক। সরকার এসে যেমন তেলাবে তেমনি ধরা খাওয়ার ভয়ও থাকবে না। এইভাবেই তারা গুদাম সিলের অভিযানকে ট্রুথ কমিশনে এনে ঠেকিয়েছে।
৫. এই সরকারের মোট কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ১০ জন, দুদকের কমিশনার ৩ জন। নির্বাচন কমিশনে তিনজন। এইভাবে সাকুল্যে ১০০ জনের কম। এদের বেশির ভাগই অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি। নতুন কেউ কাজ পায় নাই। পাটকল শ্রমিক, সাংবাদিক, গার্মেন্টস কর্মী মিলিয়ে কতজন কাজ হারিয়েছে তার হিসাব বসে বসে করা যেতে পারে।
৬.এই সরকারের আমলে কোনো নতুন কাজের জায়গা তৈরি হয়েছে বলে আমরা জানি না। নুতন ইনভেস্টমেন্ট প্রায় জিরো।
৭. কোনো নতুন স্কেল ঘোষণা করা হয়নি। কারও বেতন বাড়েনি। কিন্তু দ্রব্যমূল্য প্রায় দ্বিগুণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনচার গুণ হয়েছে।
৮. দুই দফা বন্যা আর এক দফা সাইক্লোনে ফসলহানি হয়েছে ব্যাপক। খাদ্য ঘাটতির সঙ্গে এইগুলা যোগ হলে সামনে কী আছে আমাদের কপালে সেটা ভাবা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। আপাতত উত্তরবঙ্গ বেঁচে গেলেও সেখানে মঙ্গার মৌসুম সমাগত।
৯. ছাত্র-পেশাজীবীরা যে ত্রাণ কাজে অংশ নিচ্ছেন না। তার একটা কারণ জরুরি অবস্থা কিন্তু তার চেয়ে বড় কারণ হলো মধ্যম আয়ের মানুষের সাহায্য করার সামর্থ্য নাই।
১০. শেয়ারবাজরের রহস্যময় আচরণে বিক্ষোভ হয়েছে। ওই একটা জায়গাতেও আগামীতে তেমন বিনিয়োগ হবে না বলেই আশঙ্কা করা যায়।
১১. মিসম্যানেজমেন্টের কারণে বিদেশে লোক যাওয়া বন্ধ। অতএব কর্মসংস্থানের আউটসোর্সিংয়ের আশা আপাতত বাদ।
১২. ভাশুরেরা কিছু ইনভেস্টমেন্ট হয়তো করবে। কিন্তু তার প্রায় সবটাই হবে অসম চুক্তির ভিত্তিতে।
১৩. মনে হচ্ছে, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব একেবারে ভুল। সিভিল সোসাইটির ক্ষমতায় যাওয়ার এতদিনের প্রস্তুতির ফল যদি
এই হয় তাহলে এদের নিয়ে ভাবতে হবে। এদের ওয়াজ ভবিষ্যতে আর কেউ শুনবে বলে মনে হয় না।


বুঝার চেষ্টা করতেছি।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৫৩ টি মন্তব্য
* ৬৫৮ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১১ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28747511 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৩
comment by: ফ্লোরা ফেরদৌসী বলেছেন: বুঝলে আর একটা পোষ্ট দিও
২. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৮
comment by: মাঠশালা বলেছেন: মাহবুব ভাই, বুঝার আর বাকি রাখছেন কই।
"শাসক
সে যে দলেরই হোক
ভয়ানক ভয়ানক।"
৩. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৩
comment by: যীশূ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লষণ।
৪. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৮
comment by: ষড়যন্ত্রকারীদের জম বলেছেন: শেষ পর্যন্ত এরা আরেকটা ৭৪ উপহার দিবে বলে আমার ধারণা ।
৫. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০০
comment by: অচেনা বাঙালি বলেছেন: আপনেরা সাংবাদিক মানুষ আপনেরাইতো আগে থিকা কইবেন। তার্তারি ভাইবা কিছু কন। তাইলে আমার মত আম পাবলিক কিছু কিনারা (ভাবনার) পাইবো।



শুনতাছি ভবিছ্যতে প্রশাসনে পাকাভাবে জলপাইরা যাতে থাকতারে সেইটার জন্য নাকি চিন্তাভাবনা চলতেছে?
৬. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০১
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ ভাই , টু দি পয়েন্ট কথাগুলো বলেছেন ।সেজন্য ধন্যবাদ ।

আমি অবশ্য বেশ হতাশ । আমার কাছে মনে হয় , আমাদের স্ট্রাকচারটা এমন হয়ে গেছে , দূর্নীতিই আমাদের নীতি ,

প্রথমত, এটা দমন করার বিশেষ ইচ্ছাই আমাদের কারও নেই
দ্বিতীয়ত ,আর যদি দমন করতেই চাই , এমন সব জটিলতা সৃষ্টি হয় , তখন দূর্নীতির সাথে আপোষ করাটাই তখন সলুশন বলে মনে হতে থাকে ।

আপনার মতামত কি ?
৭. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০১
comment by: মদন বলেছেন: যুক্তিযুক্ত কথা...
৮. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফ্লোরা,
ঠিক আছে।
জুবেরী,
এখনো মেলা বাকী। অনেক কিছু তো আমরা জানিও না।
যীশূ,
থ্যাংকস।
জম,
এই মতটা এখন পাওয়ারফুল হচ্ছে।
৯. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০২
comment by: আবু সালেহ বলেছেন: মাহাবুব ভাই

বুঝলে ডাক দিয়েন.....আর একটা পুস্টু মাইরেন....

তয় সবকিছু মনে হয় ভালোর দিকে যাচ্ছে না....
১০. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০৭
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: অচেনা বাঙালি,
অনিয়মতান্ত্রিক সামরিক শাসনের চাইতে নিয়মতান্ত্রিক সামরিক শাসক আমার বিবেচনায় ভাল। তাতে অন্তত সরাসরি তাদের বিরোধিতা করা যায়।
মেহরাব,
আমি আমি যতটুকু বুঝি তাতে পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে দুর্নীতি দমন বলে কিছু নাই। কমাতে হবে। যারা দেশে দুর্নীতি কমাতে চায় তাদের অর্থনীতি সচল রাখতে হলে দুর্নীতির আউটসোর্সিং করতে হয়। দুর্নীতি করে যুদ্ধ লাগাতে হয়। অন্যের সম্পদ মারতে হয়। দুর্নীতি ছাড়া পুঁজিবাদী অর্থনীতি অচল।
১১. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মদন,
থ্যাংকস।
আবু সালেহ,
ডাক দিবার ক্ষমতা নাই। তবে আরো জানার ইচ্ছা আছে।
১২. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২১
comment by: মিরাজ বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণটা মোটের উপর ভাল তবে বেশ খানিকটা জেনারালাইজেশন হয়েছে।

সরকারের দূর্নীতি দমন অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে যারা এতদিন নিজেদেরকে বিচারের উর্ধে উঠে নিয়মিতভাবে দেশকে লুটেপুটে খেত তাদের একটা বড় অংশকে মাটিতে নামিয়ে আনা এবং জেলে প্রেরণ। এটা দরকার ছিল এবং ভবিষ্যতের জন্য একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।

এছাড়া এই এক বছরের মধ্যে এই সরকারকে একটা বড় বন্যা এবং এই সাইক্লোনকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এরকম দুইটা দুর্যোগ মোকাবেলা করা রাজনৈতিক সরবকার যাদের সাংগঠনিক ভিত্তি অনেক মজবুত থাকে তাদের পক্ষেও কঠিন।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থতা আছে কোন সন্দেহ নাই । তবে বিশ্ববাজারেও দ্রব্যমূল্য লাগামহীন ভাবে বাড়ছে আর সেই সাথে বাড়ছে তেলের দাম। আর একটা বড় অংশ চাচ্ছে এই সরকারকে ব্যর্থ দেখতে, তারাও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে। সরকারের ব্যর্থতা হচ্ছে এদের হাত থেকে তারা দেশবাসীকে রক্ষা করতে পারছেনা।

নতুন পে স্কেলর কাজ চলছে। আপনি নিশ্চয়ই বোঝেন যে হুট করে ঘোষণা করলে তা বাজারকে আরো অস্থিতিশীল করবে।

আর বিদেশে লোক প্রেরণের ক্ষেত্রে সরকার কিছু কূটনৈতিক সাফল্য দেখালেও আমাদের অতি লোভের কারনে এবং কিছু আদম বেপারীর দূর্ণীতির ফলে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানো বন্ধ হয়ে গেছে। এ খানে সরকারকে এককভাবে দায়ী করাটা ঠিক নয়। আর মালয়েশিয়া ছাড়া অন্যান্য দেশে লোক পাঠানো কিন্তু থেমে নেই ।
১৩. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২৩
comment by: এখনও গল্প লিখি বলেছেন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার , বাংলাদেশেই প্রথম
সামরিক ব্যাকাপে সিভিল সরকার,বাংলাদেশেই প্রথম
১৪. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মিরাজ,
মোটের এপর একটা ভাল বিশ্লেষণ দাঁড় করানোর কোনো ইচ্ছা আমার আছিল না। আমি কিছু পয়েন্ট বুঝার চেষ্টা করতেছি। বিশ্লেষণ অনেক কঠিন কাজ। আর আপনি বুঝদার মানুষ ও আলেম ব্যক্তি হিসাবে জানেন, বিশেষকে নির্বিশেষ বা জেনারালাইজ না করলে সেইটা বিশ্লেষণ হয় না। ফলে বিশ্লেষণ যেখানে সেখানে জেনারালাইজেশন থাকবেই। ভাবতে হবে, সেখানে প্রক্রিয়াগত কোন দোষ আছে কি না। কোনো ভুল তথ্য হাজির করা হয়েছে কি না।
আপনি আমার যে পয়েন্টগুলার সমালোচনা করেছেন সেগুলা বিষয়ে কিছু প্রশ্নের জবাব চাই আপানার কাছ থেকে।
১. আপনি কি জানেন গ্রেফতারকৃত নেতাদের মধ্যে এর আগে কোনোদিনই জেলে যান নি এরকম কয়জন আছেন? কোন মামলাটি বিষয়ে আপনি কনফিডেন্ট যে মামলাটি কথিত দুর্নীতিবাজকে শাস্তি দেয়ার মতো পোক্ত?
২. রাজনৈতিক সরকারও দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যর্থ হতে পারত এই যুক্তিতে একটি অরাজনৈতিক সরকারকে তার ব্যর্থতা সহ আমরা মেনে নেব?
৩. তেলের দাম কেন বাড়লো তা না হয় বুঝলাম। আপনি কি বলতে পারেন কোন কোন সব্জি ও মরিচ আমরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানী করি, যে সেগুলার দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে? কেন সরকার ক্রেতা অধিকার সংরক্ষণের জন্য আইন করছে না?
৪. ক্রেতাদের সামর্থ্য আর বাজারের গতির তাল মেলানোর অপেক্ষার প্রহর আর কত দীর্ঘ হলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়?
৫. আপনার আদম ব্যবসা সংক্রান্ত মন্তব্য মেনে নিলাম। আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।
১৫. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৯
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: দূর্নীতি দমনকে ফাঁকা আওয়াজ বলে আমার ধারনা সব সময়ই। সিস্টেমে পরিবর্তন না এনে এভাবে দূর্নীতি নির্মুল করা কঠিন। অতীতের সামরিক সরকারগুলোর দূর্নীতি দমন অভিযান (?!) গুলো উদাহরন হিসেবে দেখলে অনেক কিছুই পরিস্কার হবে।ঠিক একই প্রক্রিয়ায়ই সব চলছে। শুধু নাটকের কুশিলভ ভিন্ন।
কনফার্ম,ব্যবসায়ীদের কিছুই হবে না। যেসব ব্যবসায়ীদের ধরা হয়েছে তার রাজনীতিতে গভীর ভাবে যুক্ত। খাদ্য-ভোগ্য পন্যে সিন্ডিকেট ভাঙার কোনো ব্যবস্থা না করেই বিডিআর কে বসানো হয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রনে। বলদ দ্বারা প্রজনন যেমন হয় না তেমন ছাগল দ্বারা হাল চাষ হয় না।
অবশ্য বাজারের খুচরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবস্থা কি হচ্ছে যেটা পত্রিকায় আসছে।
ট্রুথ কমিশন আর সব কমিশনের মতোই নপুংসক হবে বলে ধারনা করছি।
নতুন কর্ম সংস্থান প্রায় বন্ধ। বেসরকারী পর্যায়ে রিক্রুটমেন্টের অবস্থা ভালো না। সব জায়গাতেই কস্ট-কাটিংয়ের নামে ছাঁটাই চলছে। সরকারী পর্যায়েও বন্ধ। অনেক প্রজেক্ট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে ( এর অনেকগুলোই যৌক্তিক ) , এতে অনেক লোক বেকার হয়ে যাচ্ছে।
বিনিয়োগ করতে বিদেশীরা অনেক কিছু যাচাই বাছাই করে, বড় বড় কথায় এরা মুগ্ধ হয় না। তবে এনার্জি সেক্টরে বা অন্য কিছু পরিবেশ অবান্ধব সেক্টরে বিনিয়োগ নামক বস্তু আসার সম্ভাবনা আছে।
নতুন পেস্কেল আসবে তবে দ্রব্যমুল্য সমান হারে বাড়বে, সুফল বয়ে আনবে না। সারা পৃথিবীতেই অর্থনীতির অবস্থা ভালো না এখন, তার প্রভাব পড়ছে দেশে ,আরো পড়বে।
বাংলাদেশের শেয়ারবাজরের কখনই ম্যাচিউরড নয়, এটা কাগজ হাত-বদলের মতোই একটা ব্যপার, ফাক তালে কিছু মানুষের আঙুল ফুলে কলাগাছ হবার অবস্থা হয়।
বিদেশে লোক যাওয়া প্রায় বন্ধ। যারা যাচ্ছেন তারাও নানা বৈষম্যমুলক চুক্তিতে যাচ্ছেন ও সেখানে গিয়ে যেটা থেকেও বনচিত হচ্ছেন। সরকারের ভুমিকা এখানে একটুকুই নেই। অতএব কর্মসংস্থানের আউটসোর্সিংয়ের আশা আপাতত বাদ।
বন্ধু(?) দেশ হতে কিছু ইনভেস্টমেন্ট আসবে, কিন্তু তার প্রায় সবটাই হবে অসম চুক্তির ভিত্তিতে।ম্যানুফেকচারিং খাতে না এসে সেটা সার্ভিস লেভেলে বেশী আসবে। দেশের যা বিনিয়োগ হবে তার অনেকগুন পকেটে পুরবে তারা।
সুশিল নামক ভন্ডদের চরিত্র প্রকাশ হচ্ছে ধীরে ধীরে।
১৬. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এখনও গল্প লিখি,
সেটাই।
১৭. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সুমন,
সহমত। দুর্বল সরকারকে সবার এখন ভাবী ডাকার সময় এসেছে। সাহায্য সামলাতে এই সরকার লেজে গোবর মাখিয়ে ফেলবে বলে আশঙ্কা করা যায়।
১৮. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১০
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: বস্তুত আমি সামরিক ও অনির্বাচিত সরকারের সাফল্য ও বৈধতা নিয়ে সন সময়ই সংশয় প্রকাশ করে এসেছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলোর উদাহরন সামনে আনলে অনেক কিছু পরিস্কার হয়।
১৯. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১২
comment by: মিরাজ বলেছেন: @ মাহবুব মোর্শেদ
১। এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা জেলে গেলেও সেটি ছিল রাজনৈতিক কারনে এবং সেখানে অগৌরবের কিছু ছিলনা। আর এবারের জেলে যাওয়া দেশবাসীর সামনে অপদস্থ হয়ে সম্পদ লুট ও দূর্ণীতির কারনে। আপনি সাংবাদিক মানুষ, এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আপনার না বোঝার কোন কারন নেই।

২। আমি সরকারের ব্যর্থতা মেনে নেয়ার কথা বলছুনা তবে ঢালাও সমালোচনাও যুক্তিযুক্ত মনে করছিনা। আর সম্ভবত: বন্যা রাজনৈতিক সরকারের চেয়ে এ সরকার ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছে (আপনাদেরই মিডিয়া রিপোর্ট)। সিডর মোকাবেলার ক্ষেত্রে মন্তব্যের সময় এখনো আসেনি ।

২। সকল কাচামালেরই একটা পরিবহন খরচ আছে যা তেলের দামের সাথে সম্পৃক্ত। আর অর্থনীতির মতে বাজারে ভোগ্যপন্যের একাংশের মুল্য বৃদ্ধি পেলে তা অপরাংশকেও প্রভাবিত করে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা আছে তা আমি নিজেও স্বীকার করেছি। এ বিষয়ে আমি আরো মাস দুয়েক আগেও একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম । সাধারণ মানুষ সিন্ডিকেটের কথা শুনতে চায়না, তারা যথাসম্ভব ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির দাম দেখতে চায়।

৪। এ ব্যাপারে আর একদিন দেরী করার মত সময়ও নেই। সহ্যের সীমা আগেই পেরিয়ে গেছে।
২০. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
comment by: রিজভী বলেছেন: আপনার প্রাজ্ঞতা পূর্ণ পোস্টে প্রীত হইয়া ৫ দাগাইলাম।
২১. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মিরাজ,
১. শেষ পর্যন্ত দুর্নীতি প্রমাণিত না হলে কিন্তু তাদের জেলের যাওয়ার কারণ রাজনৈতিক বলেই প্রমাণিত হবে।
২.এ বিষয়ে মিডিয়ার এ ছাড়া বিশেষ কিছু বলার নাই।
৩. তেলের দাম কত বাড়ে আর দ্রব্যমূল্য কতটা বাড়ে আর মধ্যসত্ত্বভোগীরা কতটা খায় এর অনুপাতটা জানা দরকার। তাহলে আলোচনায় বিশেষ সুবিধা হতো।
আবারো শেষ পয়েন্টে পুরোপুরি একমত।
২২. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: রিজভী,
থ্যাংকস ফর ৫ বাট নট ফর প্রাজ্ঞতা।
২৩. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: দ্রব্যমুল্যের বৃদ্ধি পাবার বেশ কিছু কারন আছে। উতপাদক হতে শুরু করে ভোক্তার হাতে পৌছুনো পর্যন্ত অনেকগুলো হাত বদল হয় যার প্রতিটি ক্ষেত্রে দাম বাড়তে সাহায্য করে। যে টমাটো ঠাকুরগাঁতে বিক্রয় হয় ৩ টাকা কেজি সেই একই টমাটো ঢাকায় পরের সকালে বিক্রয় হয় ৪/৫ গুন বেশী দামে বা আরো বেশী।
পরিবহন খরচের ব্যপারটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন। তেলের দামের বৃদ্ধি এতে বিশাল প্রভাব ফেলে।
আমাদানী নির্ভর বাংলাদেশে টাকার ক্রমবর্ধমান অবমুল্যায়ন আমদানী করা দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
সিন্ডিকেটেশন একটি প্রাচীন ও নোংরা প্রথা আমাদের দেশে। কোন সরকারই এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় নি, এ সরকারও নেয় নি।
২৪. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: চ্যানেল আইতে একটি রিপোর্টে একদিন শাইখ সিরাজ দেখাচ্ছিলেন কিভাবে প্রতি দশ কিলোমিটারে মরিচের দাম দ্বিগুণ হচ্ছে। তেল খরচ যেখানে প্রতি কেজিতে .০০৫ পয়সা সেখাতে কেজিতে দাম বাড়ছে ৫০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই এইখানে কেমনে অ্যাপ্লাই হবে?
@ সুমন।
২৫. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: একটা লক্ষনীয় বিষয়ঃ
জেলে যাওয়া রাজনীতিবিদদ বা অন্যদের মাঝে সামরিক আমলা নেই।
লিস্ট করে যাদের কাছে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে তাদের মাঝে সামরিক আমলা নেই।
দুদকে ৪ জন পরিচালক দেয়া হয়েছে সামরিক বাহিনী থেকে যাদের পদবি মেজর যা বেসামরিক পর্যায়ে একজন সিনিওর সহকারী সচিবের পদমর্যাডার সমতুল্য ( পদটি অবমুল্যায়ন করা হয়েছে )।
শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার প্রতি দুদকের নোটিশ অবৈধ ঘোষনা করেছে উচ্চ আদালত।
যে তোরজোর করে দূর্নীতি দমন শরু হয়েছিলো সেটা বন্ধ এখন , বিশেষ করে জিয়া পরিবারের সদস্যদের !! আপোষ হয়ে গেলে কি হবে সেটা কি আন্দাজ করা যায় ?
বিদেশ হতে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত কতটুকু এসেছে?
মামলা গুলোতে সরকার কি ধরনের প্রমান খাড়া করছে ও কি ধরনের আইনজিবী নিয়োগ করছে !
২৬. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: দেশে উতপাদিত পন্যের ক্ষেত্রে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি ছাড়া অন্য সব ফালতু বলে মনে হয়।
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বা চাষীদের হাতে সঠিক মুল্য না দেয়া তাদের আরো ক্ষতিগ্রস্থ করছে, প্রান্তিক নামে ডাকা হলেও সেটা আসলে আরো করুন।
২৭. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: বিদেশ থেকে টাকা আনার ব্যাপারটা স্রেফ আজগুবি ব্যাপার মনে হলো। এর সাথে চুক্তি করলে টাকা আসবে। ওরে এইটা দিলে টাকা আনতে সাহায্য করে খালি চুক্তি করা। কিন্তু আখেরে টাকা আসবে বলে মনে হয় না।
২৮. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: পাচার করা টাকা ফেরত আনা একমাত্র যে পাচার করেছে যে ছাড়া অন্যভাবে আনা একরকম অসম্ভব। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তা বিনিয়োগ করা হয়েছে বা বেনামে জমা আছে। যাদের টাকা ফেরত আনার কথা বলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও পরিস্কার নয়।
২৯. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: দেশের অন্যতম প্রধানতম সমস্যা হচ্ছে অর্থনীতি। এটাকে ভালো না করে কোনো সমস্যাই দূর করা যাবে না। মানুষের ৩ বেলা পেট পুরে ভাত খাওয়ার সুযোগ ও অন্যান্য বেসিক পুরন না করলে মানুষ কতোদিন চুপ থাকবে সেটা দেখার বিষয়। মানুষ সবার আগে নিজের ও নিজের পরিবারের কথা ভাবে, নিজের পরিবার যখন অর্থ কষ্টে থাকে তখন বাকী সব ফানুস বলেই মনে করে সে।
দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি, জীবন মানের ক্রম অবনয়ন, আয়ের উতসের সংকোচন ও বন্ধ হয়ে যাওয়া, ক্রমাগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি মিলে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে বলে মনে করছি।
৩০. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
comment by: সুমন চৌধুরী বলেছেন: "সিভিল সোসাইটি" কেমনে কি?
৩১. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: সিভিল সোসাইটি হইলো তেনারা যারা বড় বড় কথা বলেন, মুক্তমনের কথা বলেন, বিপ্লবের কথা বলেন কিন্তু বিপ্লবের টাইমে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন, টাকিলা টাইনা কোবতে লেখেন, টাইম মতো শব্দ/কমল সৈনিক হয়া যান, আদর্শের কথা বল্লেও নিজের জীবনে তা প্রয়োগ করেন না এবং সব সরকারের সময় ভালো থাকেন। @ সু. চৌ
৩২. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:২৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সুমন চৌধুরী ভাই,
ক্ষমতা দখলের সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ফারাক আছে। ওনাদের ক্ষমতা দখল করে এনে দিতে হয়। সেইটা চালানোর ক্ষমতা, প্রস্তুতি, দক্ষতাও ওনাদের নাই। তবে বিদেশীদের ভজানোর ক্ষেত্রে ওনারা এখনও কামে আসতেছেন।
মাহবুব সুমন,
থ্যাংকস ফর অল ইওর ডিসকাশন।
৩৩. ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:২৪
comment by: ষড়যন্ত্রকারীদের জম বলেছেন: .........ভবিষ্যতের জন্য একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। " সত্যিই কি তাই ?

@মিরাজ

এরশাদের সাজা কি উদাহরণ হয়েছে ? সামরিক শাসকদের দুর্নীতি বিরোধী জিহাদের ব্যর্থতা কি হয়েছ ?

এখনও লোকজন মঈনদের কথায় স্বপ্ন দেখে।

আসলে মানুষ অন্যের জীবন থেকে উদাহরণ নেয় না ।

নিজের জীবনের অতীত থেকেই নেয় না,অন্যের জীবন!!!!!!!!!!!!!!!
৩৪. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৩
comment by: জুবেরী বলেছেন: প্রশ্ন গুলান আরো জোরেসোরে তোলা দরকার ।

সিডরের প্রকৃত ক্ষতি আরাল করা হচ্ছে বলে মনে হয় আপনার মতামত জানা দরকার ।

৩৫. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৫৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: জম,
সহমত।
জুবেরী,
সিডরের ক্ষতি আড়াল করা সম্ভব হবে কাগজে-পত্রে। কিন্তু আকাশে মেঘ জমলে তা সবারই চোখে পড়ে। কত হেলিকপ্টার দিয়ে সেটা ঢাকা সম্ভব?
সরকারের জন্য খুব খারাপ লাগছে। তারা তো আর জানতো না যে এরকম কিছু হতে পারে। এইটা তো তাদের হিসাবেই ছিল না। তাই না?
প্রশ্নগুলো একেবারে স্পেসিফিক তথ্য-উপাত্ত সহকারে তোলা উচিত।
৩৬. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:০৫
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: বড়দের অর্থনীতি হয়ে গেলো। অবশ্য এ ব্যাপারে নীহাররঞ্জন ভালো বলতে পারবেন।
৩৭. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:০৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: নীহার সরকার?
৩৮. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৩০
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: স্যরি, নীহার সরকার।
৩৯. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হ। ব্যাপার না।
৪০. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:১৪
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: কথা হলো, এসব অর্থনীতি ছোটরাই ভালো বুঝে। কারণ অর্থনীতির প্রতিক্রিয়াগুলোর শিকার তারাই আগে হয়। যেমন তেলের দাম বাড়লে ইউরোপিয়ান পিপলদের খুব একটা কিছু আসে যায় না, কিন্তু আমাগো একবেলা খাওন কইম্যা যায়। এইগুলান বড়রা বুঝে না। বড়দের অর্থনীতিতে অনেক চাতুরি থাকে। হিসাব থাকে-সংখ্যা থাকে আর এইসব হিসাব দেখে আমরা বিশ্বাস করি- আমরা ভালো আছি।
৪১. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৫১
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: খাঁটি কথা বলছেন।
৪২. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আজকে হুয়া দু কী বলছে দেখেন। বিডিনিউজ থেকে কপি করে দিলাম।

বাংলাদেশ সবচেয়ে সংকটময় সময় পার করছে: হুয়া দু
Mon, Nov 26th, 2007 4:04 pm BdST


ঢাকা, নভেম্বর ২৬ (বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম) - ৩৬ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশ সবচেয়ে সংকটময় সময় অতিবাহিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আবাসিক পরিচালক হুয়া দু।

তিনি বলেছেন, "বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পর এই সময়টা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের জন্য খুব কঠিন।"

বাংলাদেশ বিষয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে হুয়া দু সোমবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এ কথা বলেন।

হুয়া দু জানান, তিনি বাংলাদেশে গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে অবস্থান করছেন, এমনকি তিনি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এদেশের সঙ্গে যুক্ত আছেন। "তবে বাংলাদেশকে এ রকম কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে কখনো দেখিনি, যা চলতি বছর দেশটি মোকাবেলা করতে চলেছে" বলেন তিনি।

তিনি আরো জানান, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থার বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে শস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী ও মাছের খামার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ত্রৈমাসিক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জিডিপি গত অর্থ বছরের তুলনায় চলতি অর্থ বছরে কিছুটা নেমে যেতে পারে। ২০০৭-০৮ এ বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও রপ্তানি কমে যাওয়ায় জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নেমে যেতে পারে। গত অর্থ বছরেও জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ছিল সাড়ে ছয় শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা ও খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকার কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে বলেও মন্তব্য করেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।

বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম/এসআর/এএল/এমএ/১৫৫৬ ঘ.

৪৩. ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৫৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: বন্ধু ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের, আমাদের ছাত্রদের জেলে ঢুকিয়ে রেখেছে, এই একটি কারণেই আমি এই সরকারের প্রতি সমর্থন জানাতে পারিনা।
এই পোস্টের সব কমেন্ট পড়ে অন্যান্য সব বিষয়ের একটা ঝালাই হয়ে গেল। কোনো কোনো মানুষকে দেখি ১০০ টাকায় ভোজ্যতেল কিনেও কেমন সুখী সুখী ভাব। তারেক-বাবর-মওদুদকে দেখা লাগেনা। জলপাই রঙ-এ শ্রদ্ধা তাদের ঐতিহাসিক। তাদের মাহবুব মোর্শেদের এই পোস্টটা এবং সচেতন ব্লগারদের কমেন্টগুলো পড়া দরকার।
৪৪. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫১
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: ফাহমিদুল হক, সুখী হওয়ার ক্ষমতা যাদের অসাধারণ, তাদের কাছ থেকে আর কী চাইতে পারেন আপনি? ঈদের সময় ঠেলাধাক্কা খেয়ে, গুতোগুতি করে, পরিবহন ব্যবস্থাকে টোটালি অকেজো বানিয়ে পুরো ঢাকা শহর যাই বাড়িতে ঈদ করতে। গিয়ে যেই আত্মীয়স্বজনের মুখ দেখি, তখনই পথের সব কষ্ট ভুলে যাই। সারাদিন কষ্ট করে বাড়িতে গিয়ে কীভাবে এক মুহূর্তে পথের কষ্ট ভুলা সম্ভব?
আমরা খুব সহজেই ভুলতে পারি বলে আমাদের দিয়ে কিছু হবে কি-না সেটা মাঝে মাঝে ভাবি। কষ্টগুলো মনের রাখলেও না হয় প্রতিকার করার চেষ্টা করা যায়।
-কী বলতে গিয়ে কী বলে ফেললাম!
৪৫. ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৫৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
ধন্যবাদ।
অনিশ্চিত,
পরে একটা ভাল অবস্থা আসবে?
৪৬. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৩৬
comment by: আহমেদুর রশীদ বলেছেন: সাধারণ লোকে বলে, যেই লাউ সেই কদু। তবে এই কদুর নিচ দিয়ে যে ছিদ্র আছে সেটা দেখা যাচ্ছে না শুধু মরমে মরমে টের পাওয়া যাচ্ছে।
৪৭. ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হ।
৪৮. ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আজকের বিডি নিউজ থেকে কপি পেস্ট :
চাকরির বাজারে 'অতি মহামন্দা' চলছে: আকবর আলি খান
Sun, Dec 9th, 2007 3:19 pm BdST


ঢাকা, ডিসেম্বর ০৯ (বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম)--দেশের চাকরির বাজারে এখন 'অতি মহামন্দা' চলছে বলে মন্তব্য করেছেন রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশন (আরআরসি) এর চেয়ারম্যান আকবর আলি খান।

রোববার রাজধানীর প্রেসক্লাবে 'কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আমাদের করনীয়' শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, "বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন বেকার সমস্যা। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারবো না দেশে এখন প্রকৃত বেকারের সংখ্যা কত। তবে আমার ধারনা দেশে ৩০/৪০ শতাংশ বেকার লোক রয়েছে।"

আকবর আলি খান অভিযোগ করে বলেন, "বেকার সমস্যা নিয়ে সরকারি সংস্থা 'বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো' এক ধরনের পরিহাস করছে। তারা বলেছে দেশে এখন তিন থেকে চার শতাংশ লোক বেকার। ব্যুরোর এই পরিসংখ্যান আমার কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে একবার বেকার লোকের সংখ্যা ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। তখন সেখানকার চাকরির বাজারে মহামন্দা চলছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। আর আমাদের এখানে বছরের পর বছর ৩০/৪০ শতাংশ লোক বেকার থাকে।

"এইম ইন লাইফ" নামে একটি সংগঠন আয়োজিত এ আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, সাবেক পরিচালক এম এ রউফ চৌধুরী, বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, এমচেমের সাবেক সভাপতি আফতাব-উল ইসলাম, এইম ইন লাইফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম সৈয়দ চৌধুরী।

বেকার সমস্যা সমাধানে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান আকবর আলি খান।

তিনি বলেন, কর্মসংস্থান না বাড়ালে দারিদ্র বিমোচনের কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাবেনা। দেশে বেকার লোকের সংখ্যা বেড়ে গেলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় অন্যদিকে সামাজিক সমস্যাও দেখা দেয়।

তিনি বলেন, দেশে যে বেকার সমস্যা আছে তা সরকারের একার পক্ষে দূর করা সম্ভব নয়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন আকবর আলি খান।

বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম/এআরএইচ/আরএ/জিএনএ/১৫০০ ঘ.

৪৯. ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫১
comment by: জামাল ভাস্কর বলেছেন: ষড়যন্ত্রটা যে সিভিল সোসাইটির ধারকগো এই ধারণাটা ঠিক জুইতের লাগলো না। ষড়যন্ত্র তত্ত্বটা যে এইখানে নিহিত আছে সেইটা নিশ্চিত...কে যে করতাছে সেইটা স্পষ্ট হইবো নির্বাচনের আগ দিয়া বা পরেই...তয় আমি তোমার মতোন সিভিল সোসাইটিরে তত্ত্বের প্রণেতা ভাবতে পারলাম না...তাগো গুটিবৎই লাগতাছে এখন পর্যন্ত...
৫০. ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভাস্করদা,
তারা গুটিই। কিন্তু প্রথমে এবং এখনো ভাবটা এমন নিছে যে ক্ষমতা দখল তারাই করছে। ষড়যন্ত্র করছে আন্ডার সেক্রেটারিরাই। আর এরা কাজ করেছে আন্ডার সেক্রেটারি আর মিলিটারির মধ্যে সেতুবন্ধ হিসাবে। সিভিল সোসাইটির সক্রিয় সমর্থন ছাড়া এই সরকারকে সিভিল সরকার হিসেবে অন্তত দেশের বাইরে প্রমাণ করা কঠিন আছে। ফলে, সব মিলায়ে এরা এখন ক্ষমতার অংশীদারও। তবে, সিপিডি, টিআইবি, পিআলো ইত্যাদি মিলে এরা এই রদবদলের আগে এমন একটা ভাব ধরছিল যে এরা দেশ চালানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। দেখা যাচ্ছে সেটা আদতে ভং ছাড়া আর কিছু আছিল না।
৫১. ১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:১৮
comment by: দুরন্ত পিথক বলেছেন: এ সব কথা নিয়া শফিক রেহমান নেড়ী কুত্তার যে সাক্ষাতকার নিসেন সেইটা ভালো লাগসে। দুর্নীতি সবদেশেই কমবেশী হয় কিন্তু দুর্নীতি সবদেশেই কমবেশী হয় । কিন্তু বর্তমান সরকার যে আবালীয় কায়দায় এর থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছিল সেটা সঠিক না। দুই জনরে ধরার জন্য দুইশজনের রুজিতে টান পড়সে।
.....................................................................
আর লক্ষণীয় বিষয় হল এই সরকারকে এখন কেউ ভালো চোখে দেখছেনা। এই যেমন আপনার এই পোস্টে দশটি রেটিংয়ের মধ্যে দশটাই প্লাস। মি: শফিক রেহমান ঠিকই বলসেন। এখন প্রয়োজন -৩ ফর্মুলা।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২১

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫২. ১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২১
comment by: দুরন্ত পিথক বলেছেন: ক্ষমতায় থাকা তিন আহমেদের মাইনাস চাই।

No comments:

Post a Comment