Tuesday, March 3, 2009

হারানো সময়ের সন্ধানে ফরাশি সংস্কৃতি

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

দিন ছোট হয়ে আসে। ঠাণ্ডা বাতাস খসিয়ে দিতে থাকে গাছের পাতা। কোনো কোনো সকালে উঠানে দেখা দেয় কুয়াশা। ফ্রান্স জুড়ে শুরু হয় নতুন একটা কিছুর। ২০০৭ সালে কোন ফসল উঠলো ফ্রান্সের ঘরে। অন্তত ৭২৭টি উপন্যাস, শত শত নতুন মিউজিক অ্যালবাম, ডজন ডজন নতুন মুভি, বড় বড় মিউজিয়ামে কেতাদুরস্ত একজিবিশন, ঝাকালো হলগুলোতে টাটকা কনসার্ট, অপেরা, নাটক, বড় শহরগুলোতে মেলা। হেমন্ত মানে অনেক দেশেই অনেক কিছু। কিন্তু ফ্রান্সে হেমন্ত মানে নতুন এ সাংস্কৃতিক বছরের শুরু।
আর কেউই সংস্কৃতিকে ফ্রেঞ্চদের মতো এতো সিরিয়াসলি দেখে না। তারা সাবসিডি দিয়ে, কোটা সংরক্ষণ করে একে সমর্থন যোগায়। ফ্রেঞ্চ মিডিয়া প্রচুর প্রচার সময় ও পত্রিকা প্রচুর কলাম ইঞ্চি ব্যয় করে। এমনকি ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোতেও সিরিয়াস বুক রিভিউ প্রকাশিত হয়। গত নভেম্বরে প্রিক্স গনকর্ট ঘোষণার পর সারা দেশের সংবাদপত্রের শীর্ষ খবর ছিল এটি। এ সাহিত্য পুরস্কারটি ৯০০ ফ্রেঞ্চ সাহিত্য পুরস্কারের একটি। ছোট-বড় যে কোনো ফ্রেঞ্চ শহরেরই নিজস্ব বার্ষিক অপেরা বা নাট্য উৎসব আছে। প্রত্যেক চার্চেই সপ্তাহ শেষে সঙ্গীত আসর বসে।
সমস্যা একটাই। ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক অরণ্যে যে বড় বড় গাছ জন্মাচ্ছে বৃহত্তর পৃথিবীতে তার কদর সামান্যই। একদা এর লেখক শিল্পী পেইন্টারদের বিশ্ব জোড়া প্রভাব ছিল বটে কিন্তু এখনকার বিশ্বায়িত সাংস্কৃতিক বাজারে ফ্রান্স হলো ক্ষীয়মাণ শক্তি। এখন অবশ্য এটা একটা আলোচনার বিষয়। কারণ ফ্রান্সের শক্তিমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি এখন হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু তিনি যদি সংস্কৃতির প্রসঙ্গে আসেন তবে হয়তো তাকে নিজের কাজকে কাটছাট করে আনতে হবে।
এ মৌসুমে যতো উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটিই হয়তো ফ্রান্সের বাইরে প্রকাশক পেতো। এখানে বছরে ইংরেজি থেকে অনুবাদ করা ৩০% বই বিক্রি হয়। একই হিসাব জার্মানিতেও। কিন্তু গত এক দশকে সেখানে ইংরেজি থেকে অনূদিত বইয়ের সংখ্যা কমে এসেছে। কিন্তু ফ্রান্সে সেটা বাড়ছে ক্রমাগত। ফ্রান্সের প্রথমদিকের প্রজন্মের লেখক মলিয়ের, হিউগো, বালজাক, ফ্লবেয়ার, প্রুস্ত, সার্ত্রে, কামু, মার্লো কখনোই বাইরের পাঠকের দৃষ্টির বাইরে থাকেননি। তাদের এক ডজন নোবেল লরিয়েট আছেন, যে সংখ্যা অন্য অনেক দেশের চেয়ে বেশি। যদিও শেষ যিনি নোবেল পেয়েছেন তার নাম গাও জিনজিয়ান। আর তিনি লেখেন চায়নিজ ভাষায়।
ফ্রান্সে মুভি ইন্ডাস্ট্রি ১৯৬০-এর দশকের কৃতিত্বকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় ব্যস্ত। তখন ফ্রাসোয়া ত্রুফো ও জা লুক গদারের মতো ডিরেক্টররা সিনেমার ব্যাকরণকে নতুনভাবে লিখতে শুরু করেছিলেন তাদের নিউ ওয়েভ আন্দোলনের মাধ্যমে। ফ্রান্সে এখনো বছরে ২০০ মুভি তৈরি হয়, ইওরোপের যে কোনো দেশের চেয়ে এ সংখ্যা বেশি। কিন্তু বেশির ভাগ ফ্রেঞ্চ মুভিই সাদামাটা, অল্প বাজেটে তৈরি আর তৈরি হয় স্রেফ অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্যই। ফ্রান্সে যতো মুভির টিকেট বিক্রি হয় তার অর্ধেকটাই যায় আমেরিকান সিনেমার পকেটে। পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রেও তাদের দৌড় হাতে গোনা।
ইম্প্রেশনিজম, সাররিয়ালিজম সহ অনেকে ইজমের জন্মদাতা প্যারিসে শিল্পকর্মের বাজার অন্তত বাণিজ্যিক দিক থেকে হলেও নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনের চেয়ে পিছিয়ে। বেচা বিক্রি কম। জার্মান ম্যাগাজিন ক্যাপিটালের জরিপ অনুসারে, আমেরিকা ও জার্মানিতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রচারিত ১০ জন শিল্পীর মধ্যে চারজন করে আটজনের বাস। অথচ ফ্রান্সে তাদের একজনও থাকেন না।
ফ্রান্সের অবশ্যই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কমপোজার ও সঙ্গীতকার আছে কিন্তু তারা ২০ শতকের খ্যাতিমান সঙ্গীতকার ডেবুজি, সাতি, র‌্যাভেল ও মিলহাউদের সমকক্ষ নন। ফ্রান্সের শার্ল ত্রেনে, শার্ল আজনাভর ও এডিথ পিয়াফ এককালে সারা পৃথিবীতে শোনা হতো। এখন আমেরিকা ও বৃটেন পপ মিউজিক শাসন করে। ফ্রান্সের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি গত বছর ১.৭ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করলেও এর প্রায় সবটাই অভ্যন্তরীণ বাজারের হিসাব। খুব কম শিল্পীই ফ্রান্সের বাইরে পরিচিত।
আছে আরো কিছু বিষয়। ফ্রান্স নিজেকে অন্যদের সভ্যকরণের জন্য নিয়োগ দিয়েছে যাতে নিজেদের মিত্র ও উপনিবেশ গড়ে তোলা যায়। এমনকি ২০০৫-এ সরকার ফ্রেঞ্চ স্কুলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে তারা যেন ফ্রান্সের উপনিবেশবাদকে, অসভ্যদের সভ্য করার উদ্যোগকে নেতিবাচকভাবে না পড়ায়। অন্য দেশগুলোর মতো এ অষ্টাদশ শতকীয় প্রবণতা নিয়ে ফ্রান্স মোটেও লজ্জিত নয়। সারকোজি অনেকটা গর্বের সঙ্গেই এ ধরনের মত প্রকাশ করে থাকেন। অনেক ফ্রেঞ্চই মনে করেন কয়েকটা ঐতিহাসিক ঘটনা থেকেই তাদের সাংস্কৃতিক অধঃপতনের সূচনা ঘটেছে। ১৯৪০-এর লজ্জাজনক জার্মান অনুপ্রবেশ ও দখল, ১৯৫৪’র বিভেদে সৃষ্টিকারী এলজেরিয়ান ওয়ার, এবং ১৯৬৮’র বিপ্লবের বছর। ১৯৬৮ থেকেই মূলত সারকোজির মতো রক্ষণশীলদের উত্থান শুরু হয়।
মান অবশ্যই সংস্কৃতির সংজ্ঞায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। কৃষি কাজের মতো সংস্কৃতি বা কৃষ্টি ক্রমবর্ধমান বিষয়কে বোঝায়। চিত্রকলা, সঙ্গীত, কবিতার মতো উচ্চমার্গীয় সংস্কৃতিক চর্চা উচ্চমার্গীয় বা এলিট উপাদান। আধুনিক সময়ে নৃতাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিকরা সংস্কৃতি ধারণাটি বৃহত্তর পরিসর এনেছেন নিম্নমার্গীয় সংস্কৃতিকে আলিঙ্গন করার মধ্য দিয়ে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জনসাধারণের আগ্রহের বিষয়, জাতি প্রসঙ্গ, কবর প্রথাসহ অন্য সব ব্যবহারিক অনুষঙ্গ। ফ্রান্সে সরকার জিডিপির ১.৫ শতাংশ বৃহত্তর অর্থে সাংস্কৃতিক কাজে ও বিনোদন খাতে ব্যয় করে। এ খাতে জার্মানিতে ব্যয় ০.৭%, বৃটেনে ০.৫%, আমেরিকায় ০.৩%। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ১১ হাজার ২০০ কর্মীবাহিনী নিয়ে এ অর্থ ব্যয় করে উচ্চমার্গীয় সংস্কৃতি চর্চায় : মিউজিয়াম, অপেরা হাউস ও নাট্য উৎসবে। ১৯৮০-র দশকে মন্ত্রণালয় একজন রক অ্যান্ড রোল মন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছিল যাতে অ্যাংলো-স্যাক্সন প্রভাবের বিরুদ্ধে টিকে থাকা যায়। কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়ে গেছে।
ফ্রান্স কিভাবে তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে পারে, এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা আছে। কেউ বলছেন স্কুল পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে আনতে হবে। কেউ বলছেন, সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে সংস্কৃতিকে মুক্ত করতে হবে। ফ্রান্সে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পাবলিক সেক্টরের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আনতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে মানসিকতা পরিবর্তনের প্রস্তাবও উঠছে। ফ্রান্সের নতুন জেনারেশন সরকারি কাজের চেয়ে ব্যবসায় ক্যারিয়ার গড়ার কথা চিন্তা করছে। মতপার্থক্যের তফাত বোঝাতে কুয়েমিন বলেন, ‘আর্টিস্ট যদি ব্যবসা সফল হয় তাহলে আমেরিকানরা মনে করে তিনি অবশ্যই ভালো হবেন। আর আমরা ভাবি আর্টিস্ট সফল হওয়া মানে তিনি কমার্শিয়াল। সফলতা খারাপ রুচির পরিচায়ক।’
এতো কিছুর পর ফ্রান্সে নিত্য নতুন শিল্পীর আগমন ঘটছে। এ দেশে সহজেই আর্টিস্টরা থাকতে পারেন, আশ্রয় পান। ফলে এখানে বহু জাতির সমাবেশ ঘটছে। বহু জাতির শিল্পের সমাবেশ ঘটছে। গত কয়েক দশকের অন্যান্য দেশের শিল্পীরা ফ্রান্সে অনেক বেশি কদর পাচ্ছেন। এতে হয়তো যাকে ফ্রেঞ্চ সংস্কৃতি বলা হয় সেই সংরক্ষিত বিষয়টি থাকছে না। কিন্তু ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন ধারা যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে একে একটা মোক্ষম রাস্তা বলে অনেকেই মত পোষণ করেন।

২১ নভেম্বরের টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ডন মরিসনের লেখা থেকে
অনুবাদ : মাহবুব মোর্শেদ



প্রকাশ করা হয়েছে: অনুবাদ বিভাগে ।



* ২৫ টি মন্তব্য
* ২৮০ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৭ জনের ভাল লেগেছে, ১ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28749815 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০২
comment by: তপেশ্বর বলেছেন: ভালো পোষ্ট মাহবুব ভাই। ফ্রান্স নিয়ে কিছুটা জানতান, এতটা নয়।
২. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৩
comment by: মাঠশালা বলেছেন: ৫
জরুরী অবস্থায় চলো মন ফ্রান্সে যাই...........
সরি মাহবুব ভাই, একটু দুষ্টামি আর কি।
৩. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৩
comment by: তপেশ্বর বলেছেন: জানতাম হবে। ৫
৪. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
comment by: হাসিব বলেছেন: ভাইগ্গ ভালো আপনার নামে মোহাম্মদ নাই । থাকলে এইটার অনুবাদ কেন করছেন সেইটা বুঝতে ওরা গোয়েন্দা লাগাইতো ।
৫. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
comment by: প্রচেত্য বলেছেন: চমতকার উপস্থাপন
৬. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: তপেশ্বর,
থ্যাংকস। আমিও এতটা জানতাম না। অনুবাদ করতে করতে কিছুটা জানলাম। তবে অনেক ছোট করতে হইছে লেখাটা। মূলটা অনেক বড়।
মাঠশালা,
তবে চলেন যাই। ব্যাপার না।
৭. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
comment by: হাসিব বলেছেন: উদ্ধৃতি : ফলে এখানে বহু জাতির সমাবেশ ঘটছে। বহু জাতির শিল্পের সমাবেশ ঘটছে।
>> কথাটা ঠিক্না । ফ্রেঞ্চরা গ্রিক, স্পেনের, ডেনমার্কের পর সবচেয়ে বেশী সাম্প্রদায়িক । বিধর্মি যবনদের শিল্পকলার প্রতি ওরা ভালো দৃষ্টি দেয় না ।
৮. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হাসিব,
হ। তবে টাইম কেন এইটা লিখলো এইটা বুঝা কিন্তু সহজ। ফ্রেঞ্চরা বিপদে পড়ছে তো!
প্রচেত্য,
ধন্যবাদ।
৯. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হাসিব,
কিন্তু বহু জাতির মানুষ গেছে ফ্রান্সে, তাদের ওরা থাকতেও দিছে। আর এরাই ফ্রান্সের শিল্পচর্চার মূলধারা হয়ে উঠছে। বৈদেশিদের প্রতি বিদ্বেষ সত্ত্বেও এইটা ঘটতে পারে। তাই না?
১০. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৮
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ফ্রান্স বিষয়ে এমনিতেও এখন কৌতুহল বেশি । তাই দৃষ্টি কাড়লো ।
শিল্প সাহিত্য , মুভি সবক্ষেত্রেই ফ্রান্স ঐতিহ্য হারাচ্ছে , লেখা পড়ার পর ব্যাপারটা পরিস্কার হলো ।
"অনেক ফ্রেঞ্চই মনে করেন কয়েকটা ঐতিহাসিক ঘটনা থেকেই তাদের সাংস্কৃতিক অধঃপতনের সূচনা ঘটেছে।" ..........বিগত কয়েক দশক ফ্রান্স ছিল পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে উদারপন্থি শক্তিশালী দেশ , ফরাসীরা কি তাহলে তাদের ঐতিহ্য ফিরে পেতে আবার রক্ষণশীলতার দিকে ঝুকতে যাচ্ছে ? তার নজিরও হয়তো দেখছি (২০০৫ এর দাঙ্গা , সারকোজির নির্বাচিত হওয়া ,রাজনৈতিক চিন্তাধারায় তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব ত্যাগ করে মার্কিনপন্থী হয়ে উঠা) ।

হয়তো এর সবকিছুই ফরাসীদের পুরনো দিন ফিরিয়ে দেবে , অথবা অবস্থার কোন পরিবর্তনই হবে না । কিন্তু আমাদের মত দেশগুলোর জন্য এর সামান্য যে প্রভাব আছে ,সেটা সুখকর হবে না (আমার ব্যক্তিগত মতামত)
১১. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:২০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মেহরাব,
কিন্তু রক্ষণশীলতা কি কখনো শিল্পে গতিসঞ্চার করতে পারে?
১২. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:২১
comment by: হাসিব বলেছেন: কাগুদের এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা ইওরোপে মুসলিম বাইড়া যাইতেছে । হেরা ক্যান তাগো সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়া ফ্রেঞ্চ হৈতেছে না সেইটাই তাগো চিন্তার বিষয় ।
বাস্তবতা হৈলো শক্তিশালি সংস্কৃতির উত্তরাধীকাররা (ইন্ডিয়ান সংস্কৃতি, চায়নীজ সংস্কৃতি, আরবিও সংস্কৃতি) বিদেশে গিয়া তাগো একটা বড় অংশ উঠতে বসতে দ্যাশের কথা ভাবে । তিনপুরুষ থাইকাও নিজেগো দ্যাশের নামেই পরিচয় দেয় (ইংল্যান্ড আমরিকা স্মর্তব্য) । কিন্তু এই ফ্রেঞ্চ কাগুগো মাথায় এইজিনিসটা কেমনে যানি ঢুকতেছেই না । হেরা চায় হক্কলতে ফ্রেঞ্চ হয়া যাক । এইরম আগ্রাসি সংস্কৃতি নিয়া বেশীদুর আওগাইতারবো না হেরা ।
১৩. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:২১
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমার জানাশোনাটাও ম্যাগাজিন পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ , কাজেই ম্যাগাজিন কোন দৃষ্টিকোন থেকে লিখেছে তার প্রভাব হয়তো আমার জানার মধ্যে রয়ে গেছে
১৪. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মাহবুব ভাই , আমার তো মনে হয় রক্ষণশীলতা আর শিল্প-সংস্কৃতির উতকর্ষ বিপরীত মেরুতে
১৫. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: হাসিব,
খাঁটি কথা।
মেহরাব,
সেম টু মি। হাসিবের কথা অবশ্য ভিন্ন, উনি নানা দেশ ঘুরছেন।
১৬. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:২০
comment by: ভাইপার বলেছেন: সুন্দর লেখা। ভাল লাগল। মাহবুব ভাইয়ের সব লেখাই পড়বো আশা রাখি।
১৭. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩৫
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: মাহবুব ভাই,যাযাদি'তে অনুবাদটা আজ সকালে পড়লাম।আসলেই অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ।
ফ্রান্সে যাওয়া কি আপনার স্পন্সরে হইতেছে??তাইলে আমারে বাদ দিয়েন না!!!!!
আর অবশ্যই ৫
১৮. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৩৫
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো। শুধু যদি বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ নিয়ে যাওয়াকে রিলেট করে একটা নোট দেয়া যেত!
১৯. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:০৯
comment by: নাজিম উদদীন বলেছেন: ইংরেজির আগ্রাসন থেকে রক্ষা পেতে কিছুটা রক্ষণশীল হলে ফরাসীদের কিন্তু দোষ দেয়া যায় না।
২০. ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৩৯
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: আপনার লেখা সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নাই,ভালো লাগে অনেক আগে থেকেই।

আচ্ছা,ফ্রেন্চ মিউজিশিয়ান সম্পর্কে কিছু কথা এ অনুবাদে পেলাম।তাদের সম্পর্কে যদি আরেকটু তথ্য পেতাম ভালো লাগতো।যাহোক ফরাসীদের চিত্রকলা বিষয়ক কিছু বিষয়ও খোলাসা করলেও ভাল লাগবে।সুররিলিজম,ডাডাইজম,ও ইম্প্রেশনিজম ও আর্ট রিলেটেড থিওরিগুলো আলোচনার জন্য পুরনো হলেও এ বিষয়ে নতুন লেখা পেলে ভাল লাগবে।

চমতকার অনুবাদ।৫।
২১. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:০৩
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: ফরাসিরা যে বেশ উন্নাসিক তাতে সন্দেহ নেই,বেশ কিছু দিক থেকে বর্ণবাদীও। এটা হয়তো তাদের ইংরেজির আগ্রাসন থেকে রক্ষা করেছে,কিন্তু আসলে শুধু আর্ট ফর আর্টস সেক এই মন্ত্র দিয়ে শিল্প সাহিত্য সারভাইভ করে কিনা সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। একটা সীমিত পরিসরে থাকতে পারে,মরবে না,কিন্তু প্রচার-প্রসারও যে হবেনা সেটা ধরে নেয়াই যায়। লেখাটা বরাবরের মতই ভাল,ধন্যবাদ।
২২. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:৩৪
comment by: হাসিব বলেছেন: নাজিমউদ্দিন, ওরা ইংরেজীর প্রতি রক্ষণশীল না । এশিয় বা বিধর্মি সংস্কৃতি লালন ওখানে দমন করা হয় । এটাকেই রক্ষণশীল বলা হচ্ছে এখানে ।
২৩. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:২২
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: আমার পোস্টে ঢুঁ মারার আমন্ত্রণ থাকল।
Click This Link
২৪. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৫৫
comment by: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: মাহবুব ভাই ভালো হয়েছে!
২৫. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:২৫
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভাইপার,
থ্যাংকস এ লট।
সাতিয়া মুনতাহা নিশা,
থ্যাংকস। ফ্রান্সে আর যাবো না, দাদা।
ফাহমিদ ভাই,
থ্যাংকস। এ নিয়ে আলাদা করে লিখবো ভেবেও লেখা হয়নি। লিখবো।
নাজিম উদদীন,
থ্যাংকস ফর দি কমেন্ট।
মুয়ীজ মাহফুজ,
মিউজিশিয়ানদের সম্পর্কে আমিও খুব জানি না। তবে জানার চেষ্টা করা যায়। থ্যাংকস এ লট।
ফারহান দাউদ,
সহমত।
হাসিব,
এইটা তো ফ্যাসিবাদ তাহলে।
সাতিয়া মুনতাহা নিশা,
পড়লাম।
নিঃশব্দ শিশির!,
থ্যাংকস।

No comments:

Post a Comment