Tuesday, March 3, 2009

টিকেট কেটে অমর একুশে বই মেলায় ঢুকতে হবে? ( রিপোস্ট )

১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

১২ বা ১৩ জানুয়ারি সকাল বেলা চ্যানেল আইতে একটা লাইভ অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সেখানেই প্রথম জানলাম এবারের বই মেলায় ঢুকতে দর্শকদের টিকেট লাগবে। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনিসুল হক এবং ফরিদ আহমেদ। আশ্চর্যজনকভাবে এ দুজন প্রবেশমূল্য নিয়ে আলোচনার সময় বিন্দুমাত্র সমালোচনা করলেন না। সকাল বেলার অনুষ্ঠানে ফোন কম আসে। সে জন্যই হয়তো দর্শকরাও কোনো প্রতিবাদ বা প্রশ্ন করলেন না। আজ বিডি নিউজে খবর দিয়েছে, অমর একুশে বই মেলায় ঢুকতে প্রবেশ মূল্য লাগবে। অন্য পত্রিকা ও টিভিতে খবরটা প্রচার হলে হয়তো সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া জানা যাবে।
খবরটা প্রথম শোনার পর ভেতর থেকে একটা প্রতিবাদ টের পেলাম। একুশে বই মেলাকে যারা স্রেফ বই বিক্রির বাজার ভাবেন তারা নিশ্চিত ভুল করেন। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘ সময়ের উৎসব। পুরো ফেব্রুয়ারি জুড়ে এ উৎসবে ধর্ম-বর্ণ-বয়স নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশ নেন। উৎসবের কেন্দ্রে থাকে অবশ্যই বই। লোকে বই কেনে। বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়। তরুণ-তরুণীরা নানা বর্ণে সেজে মেলায় ঘোরে। দিন যতই যাচ্ছে ততোই মেলাটি লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের একটা মিলন উৎসবে পরিণত হচ্ছে।
কিন্তু এ মেলা নিয়ে শাসকদের ষড়যন্ত্রের শেষ নেই। সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক এ আয়োজনকে ঠেকাতে তারা একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। সামরিক শাসকদের সময়ে এ বই মেলার স্থান পরিবর্তনের জোর প্রচেষ্টা হয়েছিল। এ মেলাকে ম্লান করতে ডিসেম্বরেই ঢাকা বই মেলা নামে আরেক বই মেলার আয়োজন শুরু হয়। কিন্তু মানুষকে টানতে পারেনি সে মেলা। মানুষ বাংলা একাডেমির বই মেলাতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন। ফলে, অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও ডাকা বই মেলা এখন পর্যন্ত ব্যর্থই। বিভিন্ন সময়ে এ বই মেলায় বিদেশী বই ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছে। ভারতীয় প্রকাশকরা অনেক তদবির করেছেন। কিন্তু লেখক-প্রকাশকদের প্রতিবাদের কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এ মেলা বাংলাদেশের পাঠক-লেখক-প্রকাশকদের মেলা হিসেবেই টিকে আছে।
এবার মেলায় নতুন উবদ্রব হিসেবে যুক্ত হয়েছে প্রবেশ মূল্য। বাংলাদেশের মতো জায়গায় টিকেট কেটে বই মেলা করা কতটা যৌক্তিক সেটা নিশ্চয়ই ভাবা দরকার। এখানকার পাঠকরা বই কিনুক না কিনুক মেলায় আসুক এটাই সবার চাওয়া। বই দেখতে দেখতে একটা কিনলেই প্রকাশকদের লাভ। যত কম দামের হোক টিকেট কেটে লাইনে দাঁড়ালে অনেকের আগ্রহই হারিয়ে যাবে। এমনিতেই প্রকাশকরা বলছিলেন, এ বছর বইয়ের বাজারে মন্দা যাবে। মন্দা অর্থনীতি বইয়ের বাজারেও ধস নামিয়েছে। ক্রেতাদের ক্রয়তালিকার মধ্যে বই নেই। এর মধ্যে যদি ভাসমান ক্রেতাদের টিকেট দিয়ে ঠেকানো হয় তবে বই মেলার সাফল্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠবে। মন্দা বইয়ের বাজার মাথায় রেখে এ বছর টিকেট চালুর সিদ্ধান্তকে স্রেফ বোকামি ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।
পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষ চায় না, তাদের সর্বজনীন উৎসবের বাণিজ্যিকীকরণ না হোক। বই মেলার সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িত। গত বছর বই মেলায় গ্রামীন ফোনের স্পন্সর করা ভাস্কর্য নিয়ে মৃদু তর্ক উঠেছিল। কিন্তু মেলার খরচের কথা ভেবে সবাই মোটামুটি নীরব থেকেছেন। সবাই হয়তো ভেবেছেন, কত কিছুর জন্যই তো তারা স্পন্সর করে মেলায় করলে ক্ষতি কী? এবারও বিভিন্ন জায়গায় তাদের পোস্টার দেখা যাবে না, সে খবর এখন পর্যন্ত আমাদের কানে আসেনি। এই স্পন্সর বাড়িয়েও মেলার খরচ মেটানো যেত। প্রকাশকরাও স্টলের বিনিময়ে বড় অংকের টাকা দেন। কিন্তু ঠুঁটো জগন্নাথ মেলা কর্তৃপক্ষ সামান্য ধূলাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। পাঠক-লেখকের বসার একটু জায়গাও বের করেত পারে না। অন্য বড় সমস্যার কথা আপাতত তোলাই থাকলো।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেছেন, তারা টিকেটের টাকা দিয়ে গবেষণা ও প্রকাশনার কাজ করবেন। আমাদের প্রশ্ন হলো, বাংলা একাডেমিকে কি সরকার বরাদ্দ দেয়া বন্ধ করেছে? আর এখন তারা কি নিয়েই বা গবেষণা করছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রকল্পের টাকা এনে তারা কোথায় খরচ করলেন? এখন পর্যন্ত একটা বইও কেন বের হলো না? মজার ব্যাপার হলো, একাডেমির জন্য সরকারি বরাদ্দ পুরেটাই অপব্যবহার করে একাডেমি। কোনো জবাবদিহিতার ধার তারা ধারে না। গত কয়েক বছরে তাদের গবেষণা ও প্রকাশনার কোঠা মোটমুটি শূন্য। বর্তমান নীতি ধরে রাখলে আগামীতে দরকারি কোনো গবেষণা প্রকাশিত হবে কি না সন্দেহ। অথচ তারা এখন জনগণের কাছ থেকে গবেষণার টাকা চায়।
বাংলা একাডেমি বছরে এখন একটাই কাজ করে। ফেব্রুয়ারির বই মেলা। সেটাও যেনতেন প্রকারে সেরে সারা বছর বসে থাকে বিপুল সংখ্যক লোকবল নিয়ে। প্রশ্ন হলো, বাংলা একাডেমির জবাবদিহিতা কোথায়? সেখানে গেলে বছরের অন্য সময় লেখক-পাঠকদের দেখাও মেলে না। লেখক-পাঠকদের আকৃষ্ট করার কোনো উদ্যোগও তাদের নেই। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটিই নাকি জাতির মননের প্রতীক।
বাংলা একাডেমি বই মেলায় প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক বা তারও বেশি লেখক-সাংবাদিক-প্রকাশক-প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট মানুষ যায়। প্রশ্ন হলো, এই লোকগুলো কি প্রতিদিন টিকেট কেটে লাইনে দাঁড়াবে? প্রতিদিন শাহবাগ বা দোয়েল চত্ত্বর থেকে পাঠকরা টিকেট কেটে লাইনে দাঁড়াবেন? এত লোকের টিকেট বিক্রি করবে কে?
মেলা জমে উঠলে যেখানে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পা ফেলা যায় না। সেখানে এই হাজার হাজার মানুষের কাছে টিকেট কে বেচবে, কিভাবে বেচবে?
সবকিছু বিবেচনায়, আমার মনে হচ্ছে অমর একুশে বই মেলায় টিকেট চালু করার সিদ্ধান্তটি বাতিল করা উচিত। এই মেলা পাঠকদের জন্য বই কেনার অনুশীলন কেন্দ্র হিসেবে থাকুক। তাতেও যে ব্যবসা কম হয়েছে তা কিন্তু নয়। টিকেট ছাড়া মেলা করে গত তিন দশকে কোন মেলাটা ব্যর্থ হয়েছে? কোন মেলায় একাডেমি কর্তৃপক্ষ বা প্রকাশকদের পকেটে কম টাকা ঢুকেছে?



প্রকাশ করা হয়েছে: চটজলদি বিভাগে ।



* ৩১ টি মন্তব্য
* ৩৩৩ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৯ জনের ভাল লেগেছে, ৯ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28761846 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১২
comment by: হট্টগোল বলেছেন:

রিপোস্ট করলেন কেন?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩

লেখক বলেছেন: ভুল করেছি কি?
২. ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৪
comment by: সত্যদা বলেছেন: অমর একুশে বই মেলায় টিকেট চালু করার সিদ্ধান্তটি বাতিল কর- করতে হবে....

এই মেলা পাঠকদের জন্য বই কেনার অনুশীলন কেন্দ্র হিসেবে থাকুক।

টিকেট ছাড়া মেলা করে গত তিন দশকে কোন মেলাটা ব্যর্থ হয়েছে?

কোন মেলায় একাডেমি কর্তৃপক্ষ বা প্রকাশকদের পকেটে কম টাকা ঢুকেছে?

ধন্যবাদ মা.মু
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩. ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
comment by: বজলু মহাজন বলেছেন: সত্যদা ঠিক কইছেন। +
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৪

লেখক বলেছেন: আর আমি?
৪. ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
comment by: দূরন্ত বলেছেন: অবশ্য যাদের অঢেল টাকা পয়সা আছে তাদের কাছে এ দুটাকা কোন বিষয় নাও হতে পারে (অবশ্য তারা সাধারণত বইমেলায় যায় না)।

বইমেলার প্রাণ ছাত্রদের জন্য অবশ্য দুই টাকা অনেক বড় বিষয়।

বইমেলায় ঢুকতে টাকা লাগবে! ভাবতেই পারি না।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৪

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস দূরন্ত।
৫. ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৭
comment by: মাথামোটা বলেছেন:
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৫

লেখক বলেছেন: আপনার এই কাজের প্রতিবাদ জানাই।@ মাথামোটা।
৬. ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২১
comment by: মাথামোটা বলেছেন:
গাজা সেবন পরিহার করুন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৬

লেখক বলেছেন: আপনার কমেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
৭. ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৯
comment by: নরাধম বলেছেন: মাথামোটা বলেছেন:
৮. ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৯
comment by: সুর বাংলা বলেছেন: পুস্টে +
আম মাথামুডারে -
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯. ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৩১
comment by: বাতিঘর বলেছেন: কিছু চিন্তা করার উদ্দেশ্যে ব্লগে ঢুকি কিন্তু কমেন্ট পড়তে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৭

লেখক বলেছেন: সেটাই।
১০. ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৪২
comment by: কোলাহল বলেছেন: জুতা দেখে দুখ পেলাম। কমেন্টটা গ্রুপেই গিয়ে করি।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৮

লেখক বলেছেন: জুতাটা উদাহরণ হিসেবে রেখে দিলাম। যদি কখনো এইটারে কর্তৃপক্ষের খারাপ কিছু মনে হয়!
১১. ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৪৬
comment by: কোলাহল বলেছেন: হায় হায় গ্রুপে এখন পর্যন্ত আসেনি।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৯

লেখক বলেছেন: গ্রুপে দেই নাই।
১২. ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৫০
comment by: বাতিঘর বলেছেন: জুতাটা বেশী জুতের না। মাঝখানে ভাঙ্গা।
১৩. ১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:৪০
comment by: পল্লব বলেছেন: বইমেলায় ঢুকতে টাকা লাগবে?
খুব খারাপ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০

লেখক বলেছেন: শুরু হিসেবে দুই টাকা কম বটে। তবে বছর বছর বাড়তে সময় লাগবে না। বলেই আমার ধারণা।
১৪. ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৭
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: ভালো লিখেছেন ও ভালো বিষয়ে লিখেছেন।

আপনার উপর এমন আক্রমণ দেখে বিস্মিতই লাগলো।ইদানীং পোস্টের চাইতে কমেন্টগুলোই চোখে লাগে বেশী,বুঝতে পারি না যে কি নিয়ে কথা বলবো।

বইমেলার টিকিট বিষয়ে আপনার সাথে একমত পোষণ করেছিলাম বিগত পোস্টেই,নতুন করে বলার নেই কিছু,ভালো থাকবেন।
২১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৫৮

লেখক বলেছেন: ওদের রাগ কমলে হয়তো আক্রমণ কমে আসবে। সে অপেক্ষায় থাকলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৫. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:১০
comment by: দুরন্ত পিথক বলেছেন: জুতাটা রেখে ভালো করেছেন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

লেখক বলেছেন: হ। মাথামোটার অবদান হিসেবে।
১৬. ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:১২
comment by: দুরন্ত পিথক বলেছেন: তবে বুঝতে পারলামনা জুতা কি জন্যে। আপনি রাজাকার সেই জন্য

নাকি পোস্টের সাথে একমত না সেই জন্য।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

লেখক বলেছেন: মাথামোটার কাছে জিজ্ঞেস করা দরকার। সে আমারে জুতা দিল কেন?
১৭. ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:১৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মেলায় টিকেট লাগবে না আর। একাডেমী কর্তৃপক্ষ আজকে জানিয়েছে।

No comments:

Post a Comment