Sunday, March 1, 2009

নারীর সমানাধিকার নীতি, ষড়যন্ত্রতত্ত্ব ও বাঙালি মুসলমানের গৃহবিবাদ

২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:০৭
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

এক.
১৯৯৪ বা ১৯৯৫ সালের কথা। স্মৃতি বিভ্রাট ঘটলেও তার আগে পরের কোনো বছরের ঘটনাও হইতে পারে। ওই বছর হুমায়ূন আহমেদের একটা বই বের হয়েছিল তিথির নীল তোয়ালে নামে। সেই বইটা নিয়ে একটা তীব্র বিতর্ক উঠেছিল। সে বিতর্কটিকে ধারণ করেছিল তখনকার জামাতি এখনকার আওয়ামী ইনকিলাব পত্রিকা। উপন্যাসটিতে একটি চরিত্র ইসলামে উত্তরাধীকারীদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টনের হিসাবে একটু গরমিল দেখে বলেছিল তোমাদের আল্লাহর অংক জ্ঞান একটু কম। (হুমায়ূন পাঠকরা তথ্যগুলো পরীক্ষা করে দেখলে ভাল হয়।) বিতর্ক উঠেছিল মূলত এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। ওলামা-মাশায়েশ, মোল্লা মাওলানারা চিঠির পর চিঠি পাঠিয়েছিলেন ইনকিলাব দফতরে। হুমায়ূন আহমেদ তসলিমা নাসরিন নন। কুরআনের গুরুতর একটি বিষয়ে বেফাঁস মন্তব্যের কারণে তার উপন্যাসের চরিত্র বা তার শাস্তির দাবি ওঠে নাই। ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ আলোচনাটিকে মডারেট করে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল যাতে হুজুররা বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের না করে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের একটি চরিত্রের বেফাঁস কথা হিসেবেই মূল্যায়ন করেন। তর্ক আর আগায় নাই। ফলে ঘটনাটা তেমন প্রচারও পায় নাই।
ওই ঘটনা থেকে কয়েকটা ব্যাপার আমার মাথায় এসেছিল :
১. গুরুতর আল্লাহ বা নবী বিরোধী মন্তব্যও হুজুররা ছেড়ে দিতে পারেন যদি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ মধ্যস্থতা করেন।
২. প্রয়োজনে তারা একটি মন্তব্যকে কোনো আনপড়াহ, অজ্ঞানীর মন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন আবার সিরিয়াসলি নিয়ে পানি ঘোলা করতে পারেন।
৩. কুরআনে প্রদত্ত হিসাবে যদি কোনো গরমিল থেকেও থাকে তবে তা নিয়ে কথা না বলাই ভাল। এর পর উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে খুব কম প্রতিষ্ঠানেরই আছে।

দুই.
মুসলিম পারিবারিক উত্তরাধিকার আইন নিয়ে আমি কিছু জানি না। দেশে বর্তমানে প্রচলিত আইনের সঙ্গে এ আইনের সম্পর্ক কী সে বিষয়েও আমি অজ্ঞান। যদি দেশে শরিয়া আইন প্রচলিত না থাকে তাইলে মিশ্রভাবে সম্পত্তি বন্টনের ক্ষেত্রে বা পারিবারিক বিষয়ে ধর্মীয় আইন আবার ফৌজদারি ক্ষেত্রে ব্রিটিশ শাসকদের কাছ থেকে পাওয়া আইন কেন প্রচলিত থাকবে সেটাও আমি বুঝতে পারি না।
আইনের ক্ষেত্রে সমরূপতা থাকা দরকার এইটুকু মোটামুটি বোঝা যায় সাধারণ জ্ঞানে। আবার এটাও বোঝা যায়, পারিবারিক ক্ষেত্রে প্রচলিত ধর্মীয় আইনের গুরুতর সংস্কার করতে হলে সামাজিক বিপ্লব ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। সমাজের গভীর পর্যন্ত নানা প্রাতিষ্ঠানিক শেকড় বিস্তৃত হয়ে যাকে যুগের পর যুগ প্রতিষ্ঠা দিয়েছে তাকে স্রেফ একটা আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর একটা নীতি প্রণয়নের দ্বারা পরিবর্তন করার চিন্তা স্রেফ গাধামো ছাড়া কিছু নয়।
আমি এই ষড়যন্ত্রতত্ত্ব মানতে রাজী নই যে, সরকার জঙ্গী মোল্লা ও জঙ্গী প্রগতিশীলদের মুখোমুখি করতে নারী নীতি হাতে নিয়েছে। দেশকে একটি সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে দিয়ে তার ফায়দা তুলে তারা নিজেদের ক্ষমতার মসনদ শক্তিশালী করবে।
এই সরকারটি একটি মিশ্র সরকার। সিভিল ও মিলিটারি সমাজের সমর্থন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থ, সেমি প্রগতিশীল ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদী অবস্থান, মিস গভর্নেন্স, বাজার নিয়ন্ত্রণে অদক্ষতা, ব্যবসায়ী তোষণ ও নিপীড়ন সব মিলিয়ে এ সরকার একটা মিশ্র চেহারা পেয়েছে। যে যেদিক থেকে পারে এ সুফল তুলছে বা কুফল ভোগ করছে। কেউ ঘরে মদ রাখার দায়ে জামিন অযোগ্য মামলায় ঝুলে আছে আবার কেউ মদ কারখানা করে জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জাতির ইতিহাসে এমন মিক্সড মাসালা আর আসে নাই। ডান/বাম, সিভিল/মিলিটারি, প্রগতিশীল/প্রতিক্রিয়াশীল, আন্তর্জাতিক স্বার্থ/ দেশীয় স্বার্থের এমন মিশ্রন সচারচর দেখা যায় না।
সরকার অবশ্য নিজেদের বাঘ মনে করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় তারা নিজেদের রয়েল বেঙ্গল টাইগার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সবাই দেখেছেন। পান থেকে চুন খসা তো দূরের কথা পান থেকে চুন খসতে পারে এই ভেবে অনেক বিষয়ে তারা পানে চুন লাগাতেই দেয়নি। অনেক ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছে। কিন্তু হুজুরদের বেলায় তারা একটু উদার। সাধারণত এই ধরনের সরকারকে প্রথম সমর্থন দেয় হুজুররা। এবার তারা পিছিয়ে গেছে। ফলে, এক ধরনের নৈকট্য ও দূরত্বের মেলবন্ধন হুজুরদের সঙ্গে সরকার অনুভব করে থাকতে পারে। পরন্তু তারা এটা ভুলে যায়নি হয়তো যে, বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী ইউনিফর্ম টুপি-পাঞ্জাবী। সবচেয়ে শক্তিশালী অনুভূতি ধর্মানুভূতি। হুজুরদের হাতে রাইফেল থাকলে আপনি তাদের ফাঁসি দিতে পারেন। কিন্তু লাঠি থাকলে আপনাকে পিছু হটতেই হবে। ফলে, সরকার হুজুরদের মিছিলকে টুপি ফুলের বাগান মনে করে একটু সমঝেই এসেছে।
আর সরকার এও জানে যে, এনারা জনগণ নয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ কোনো উদাহরণ দেখাতে পারবে না যে, চাল-ডাল-আলু-তেল-বেগুনের দাম বৃদ্ধির ফলে বায়তুল মোকারমে কোনোদিন কোনো অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মানুষের ন্যায্য দ্বৈনন্দিন দাবির পক্ষে কোনো ওলামা-মাশায়েখ কখনো দাঁড়িয়েছে। তারপরও কোর্টপরা হুজুরদের জ্বালায় টুপিপরা হুজুররা সরকারের কাছে ভিড়তে পারছিল না। এই দুঃখ তাদের রাজনীতিবোধকে নিয়মিত পীড়িত করে চলেছে বলেই অনুমান হয়। শক্তিপ্রদর্শন করে রাজনীতিতে দাখিল হওয়ার চেষ্টা তারা করবে এটাই স্বাভাবিক। করেছে, সফল হয়েছে। এই প্রাথমিক সাফল্যের জন্য বায়তুল মোকাররমের হুজুরদের প্রাথমিক অভিনন্দন জানাই। তারা বিড়াল নয়, বাঘতে কেজি কেজি মরিচ খাওয়াচ্ছে এখন।

তিন.
আমার ধারণা, নারীর সমানাধিকার নীতি সরকারের সদিচ্ছারই ফল। কিন্তু সদিচ্ছা এতটাই প্রখর ছিল যে, আমাদের সোসাইটির কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় তারা ভুলে ছিলেন। তারা সোসাইটির ভেতর কোনো আলাপ আলোচনা চালু করেন নাই। কথাবার্তা বলেন নাই। সোসাসাইটিকে কোনো প্রস্তুতি নিতে দেন নাই। এই প্রস্তুতিহীনতার ফলটাই হুজুররা তুললো।
বাঙালি মুসলমানের সমাজে অধিকাংশ মানুষই আস্তিক। আল্লাহ, মহানবী, কুরআন ও হাদিসের ওপর পূর্ণ আস্থাই এই আস্তিকতার মূল লক্ষণ। এখন প্রশ্ন, কুরআনে যে বিষয়ে সুস্পষ্ট বিধান আছে সে বিষয়ে ভিন্ন প্রস্তাব কেন একজন আস্তিক মুসলমান মেনে নেবেন? কোনো হুজুর যদি তাকে যুক্তি দেন যে কুরআনের বিরুদ্ধে আইন হইতেছে কুরআন বাঁচাইতে রাস্তায় নামো। তাইলে তিনি কোন যুক্তিতে হুজুরের কথা শুনবেন না?
আমার মতে, এই একটি নীতি ছাড়া আর কোনো নীতিই কুরআন-হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল না। সেটা হলো, সম্পত্তিতে নারীদের সমানাধিকারের নীতি। অন্যগুলা হুজুররা যে চেঞ্জ করতে চায় তার কারণ। মাথায় যখন উঠতে পারছে তখন কাঁঠাল খাইয়া, আঠা মাখাইবার লোভ তারা সংবরণ করতে পারতেছে না।
বাঘা সরকার হোক কি বিড়াল সরকার সোসাইটির সাধারণ নিয়মের সঙ্গে যুক্ত এমন কোনো বিষয়ে নীতি প্রণয়ন করতে গেলে তাকে অবশ্যই সেই সোসাইটির সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে হবে। না রাখলে কী হবে? একটা নীতি যখন কুরআনের সঙ্গে অসঙ্গত তখন পুরো নীতিই তার ভালো দিকগুলো নিয়ে খারিজ হয়ে গেল। আপাতত সরকারি ভাষায় স্থগিত। আগামী কোনো সরকার এই নীতি উঠাইতে পারবে? এই নীতি বাস্তবায়ন করতে পারবে?
নারী নীতির আম ও ছালা দুইটাই হারিয়ে গেল শুধু এই মিশ্র সরকারের মিস গভর্নেন্সে ও মিস ম্যানেজমেন্টের কারণে।

চার.
সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়ে মুসলিম আইন নিয়া মেলা কথা হইছে। অধিক বাগবিস্তার অনাবশ্যক। আমার অভিজ্ঞতার কথা শুধু বলি। আমি আত্মীয় স্বজনের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টনের যে রীতি দেখছি তাতে জমানো টাকা ছাড়া মেয়েরা আর কিছুই সরাসরি ভোগ করতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় বাপের পক্ষে সন্তানদের জন্য জমিজমা ছাড়া জমানো টাকা রেখে যাওয়া সম্ভব হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। জমির জগতে মেয়েদের অংশগ্রহণ সামান্য। বাঙালি মুসলমান মেয়েরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জমি নিজ দায়িত্বে চাষবাস করতে বা ভোগদখল করতে পারেন না। ভোগদখল করে স্বামী। নামেই সম্পত্তি তার নামে হয়। ফলে, মেয়েরা এক তৃতীয়াংশ পাইলো না অর্ধেক পাইলো তাতে একজন মেয়ের অবস্থার কোনো হেরফের কার্যত হয় বইলা আমার মনে হয় না।
ফলে, নারী তার অর্জিত ও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির ওপর ভোগদখল কায়েম করতে পারুক এইটাই হওয়া উচিত নীতির মূলকথা। অথচ দেখা যাইতেছে সম্পত্তির ভোগদখলের কথা না বইলা সম্পত্তির উত্তরাধিকারের কথা বলা হইতেছে।
আরেকটা কথা। বাংলাদেশে কতভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে?
কত ভাগ মানুষের স্থাবর সম্পত্তি আছে? কতভাগ মানুষ সন্তানদের জন্য সম্পত্তি রেখে যেতে পারে? এই নীতি তাইলে কাদের জন্য?
যাদের জন্য তাদের সন্তানদের মধ্যে উত্তরাধিকার আইনের সমবণ্টন নিয়ে মাথা খাটানোর কথা না। আমার গ্রাম ও শহরের অভিজ্ঞতা তা-ই বলে।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৫১ টি মন্তব্য
* ৫৪৯ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৮ জনের ভাল লেগেছে, ১ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28789554 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: "বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী ইউনিফর্ম টুপি-পাঞ্জাবী। সবচেয়ে শক্তিশালী অনুভূতি ধর্মানুভূতি। হুজুরদের হাতে রাইফেল থাকলে আপনি তাদের ফাঁসি দিতে পারেন। কিন্তু লাঠি থাকলে আপনাকে পিছু হটতেই হবে।"

খাঁটি কথা। উত্তমরূপে বিশ্লেষিত।

তবে "মেয়েরা এক তৃতীয়াংশ পাইলো না অর্ধেক পাইলো তাতে একজন মেয়ের অবস্থার কোনো হেরফের কার্যত হয় বইলা আমার মনে হয় না।" -- এই কথাটা মানতে পারছি না। কারণ আকার, আয়তনের, সংখ্যার একটা মূল্য আছে-- গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠর মূল্য যেমন। সত্যিকারের ভোগের বিষয়টা অর্জনের লড়াই পাশাপাশি চলতে পারে।

আবার "এই নীতি তাইলে কাদের জন্য?
যাদের জন্য তাদের সন্তানদের মধ্যে উত্তরাধিকার আইনের সমবণ্টন নিয়ে মাথা খাটানোর কথা না।" -- এই কথাটাও চিন্তার উদ্রেক করছে।



২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২১

লেখক বলেছেন: ভোগ দখল ও অর্জনের লড়াই পাশাপাশি চলতে পারে।
একথা ঠিক।
কিন্তু একটা নীতি যদি সব নীতির জন্য সর্বনাশ বয়ে আনে তাহলে সেই নীতির ভবিষ্যত কী? আর এই নীতিটাই হইলো সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারায় সমানাধিকার নীতি।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ফাহমিদ ভাই।
২. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২৫
comment by: লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বাস্তব পরিস্থিতি হল, কোরানের বিধান অনুসারে বাবার সম্পত্তির যে অর্ধেক পাওয়ার কথা কন্যা সন্তানদের, যে কোন অজুহাতে তাদের বঞ্চিত করা হয়। যুগের পর যুগ এ ব্যবস্থা চলে এলেও কোন হুজুরকে কোরান অবমাননা হচ্ছে বলে এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নামতে দেখি নাই। কোরানে অর্ধেক দেয়ার বিধান থাকলেও বাস্তবে স্থাবর সম্পত্তির পুরোটাই ভাই গ্রাস করে। এটাই আমাদের প্রচলিত সামাজিক রীতি। এ রীতি কি কোরানের অবমাননা নয় ? যদি অবমাননা হয়, তবে কেন হুজুররা কোনদিনও নারীদের পক্ষে রাজপথে নামলেন না ?

যে সমাজে নারীরা কোন স্থাবর সম্পত্তিই পায় না, সেখানে হঠাৎ করে ভাইয়ের সমান সম্পত্তি ? আগে সমাজ না বদলালে কোরানও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে না, তার বাস্তব উদাহরণ তো আমাদের সামনে আছে।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৪

লেখক বলেছেন: খুব ভাল পয়েন্ট। ধন্যবাদ।
৩. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২৬
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: আইচ্ছা, দেশে কোরআন হাদিস মাইনাও কি সম্পত্তি বন্টন হয়? নাকি ঐগুলারে ইউজ কইরা ফায়দা লুটা হয়।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৬

লেখক বলেছেন: পারিবারিক আইনগুলা সম্ভবত যার যার ধর্ম অনুসারে প্রয়োগ করা হয়। এর মধ্যে সম্পত্তির উত্তরাধিকারও পড়ে। একরামুলক হক শামীম/ সাতিয়া মুনতাহা নিশা ভাল বলতে পারবে।
৪. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৪১
comment by: কোলাহল বলেছেন: দারুন লেখা। অনেক কিছু চিন্তা করার মতো আছে।

উত্তরাধিকারের যে আইন আছে সেটা আগে বাস্তবায়ন হোক। তারপর অন্য কথা।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৯

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। ১৪০০ বছরে যে আইন বাস্তবায়িত হইতে পারে নাই সে আইন কবে বাস্তবায়িত হবে আর কবে অন্য কথার অবকাশ তৈরি হবে?
৫. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: এই সমস্যা আরো একবার দেখা দিয়াছিল যখন ১৯৬১-তে আইয়ুব খান উত্তরাধিকার আইনে একটা পরিবর্তন এনেছিল। হুজুররা তখন বলেছিলেন না বাপ মরা ছেলেরা সম্পত্তির অংশ পায়না , এটার মালিক দাদা। অথচ পবিত্র কুরআন শরিফে এমন কোন বিধান নেই যেখানে 'কারা সম্পত্তি পাবেনা' তার বিধান দেয়া হয়েছে। সেই আইনতো এখন চালু আছে। মুসলিম ফ্যামিলি ল' অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ এর সেকশন ৪ অনুযায়ি এখন বাপ মরা ছেলেরা সম্পত্তির অংশ পায়।

সুতরাং সময়ের সাথে সাথে আইনে পরিবর্তন আসবেই। কিন্তু দরকারি কথা হলো আইন সময় কে পরিবর্তন করে না বরং সময়ই আইনকে পরিবর্তন করে। এই দরকারি কথাটা ভুলতেবসেছে আমাদের বর্তমান এনজিও সরকার।

আপনি বলেছেন ''আমার মতে, এই একটি নীতি ছাড়া আর কোনো নীতিই কুরআন-হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল না। সেটা হলো, সম্পত্তিতে নারীদের সমানাধিকারের নীতি। '' মাহবুব ভাই , ঝামেলা এখানেই । 'সমান' অধিকার আসলে একটা অস্পস্ট পরিভাষা। তাছাড়া ইসলামের সকল পারিবারিক বিধি বিধান এর মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে সামাজিক সংগঠন হিসেবে 'পরিবার'কে মজবুত রাখা। অবশ্যই সবাইকে ন্যায্য অধিকার না দিয়ে সেটা সম্ভব নয়।

আপনি ঠিকই বলেছেন যে ''পারিবারিক ক্ষেত্রে প্রচলিত ধর্মীয় আইনের গুরুতর সংস্কার করতে হলে সামাজিক বিপ্লব ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। সমাজের গভীর পর্যন্ত নানা প্রাতিষ্ঠানিক শেকড় বিস্তৃত হয়ে যাকে যুগের পর যুগ প্রতিষ্ঠা দিয়েছে তাকে স্রেফ একটা আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর একটা নীতি প্রণয়নের দ্বারা পরিবর্তন করার চিন্তা স্রেফ গাধামো ছাড়া কিছু নয়।''

শীঘ্রই এ ব্যাপারে আইনি ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।


২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৫

লেখক বলেছেন: আপনার কি ধারণা যে, বুর্জোয়া পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বিদ্যমান পারিবারিক কাঠামো ভাঙার কথা বইলা নারীকে সমানাধিকার দিতে চায়? বুর্জোয়া সমাজে নারীকে সমান অধিকার দেওয়ার কারণে পরিবার ব্যবস্থায় ভাঙন ধরছে বলে শুনছেন কখনো?
বুর্জোয়া ব্যবস্থা সমানাধিকার হইলো একটা আওয়াজ। সমানাধিকার দিতে তারা নীতি প্রণয়নের বাইরে আর কিছু করে না। ফলে, তারা উদার সমাজ বইলা গণ্য হয়। তাদের বিজ্ঞাপন চারিদিক উজ্জ্বল করে। আর হুজুরের ফাও ফাল পাড়ে। আর নিজেদের জন্য, ইসলামের জন্য দুর্নাম কামাই করে। ইসলাম রক্ষার জন্য নারীর সমানাধিকার নয়, পুঁজিবাজী সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করতে হবে। বায়তুল মোকাররমের সুবিধাবাদীরা সেইটা জীবনেও পারবে না।
৬. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৬
comment by: সাঈফ শেরিফ বলেছেন: গুরুদেব, এ অধমের সালাম জানবেন।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৭

লেখক বলেছেন: গুরুদেব?
খাইছে।
ওয়ালাইকুম সালাম।
৭. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩১
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: আমাদের দেশের সিভিল ল' কি কোরআন অনুসারে করা নাকি? নাকি তা ব্রিটিশ আইনেরই অনুরূপ। আর দেশের কয়টা মানুষ কোরআনের তোয়াক্কা করে? নামাজ থেকে উইঠাই ঘুষ খায়। এইখানে ধর্মের ইউজ হয়না...এবিউজ হয়
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৯

লেখক বলেছেন: সিভিল ল' ব্রিটিশ আইনের অনুসরণ বইলাই আমার ধারণা।
দেশের মানুষ দেনন্দ্বিন জীবনে কোরআন অনুসরণ করে না। নিয়মিত নামাজ পড়ে না। কিন্তু ধর্ম ও নবীর অপমানও সইতে পারে না।
ফলে ব্যাপারটা জটিল।

সাধারণ মানুষ ঘুষ খায় না। নামাজ থিকা উইঠাও খায় না। ঘুম থেকে উইঠাও খায় না।
৮. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০
comment by: মাহমুদ রহমান বলেছেন: ভাল লিখেছেন.........অনেকেই আছে হৈচৈ নিয়েই থাকতে পছন্দ করেন। এটা অবশ্যই ঠিক না।... পুরো নীতিটা পড়ে দেখেছি কোথাও উত্তরাধিকার নিয়ে কিছু বলা নেই, অথচ এইটা কেমনে ইস্যূ হল? কোরআন হাদীসের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে যে এই নীতি হয়নি, সেটা ঠিক। ফলে অনেক বিষয়ই এমন আছে যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। আলেম সমাজের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, তাঁরা সুধী মহলে বেস্ট অপশন পেশ করবেন, জনমত গঠন করবেন....... কিন্তু উল্টাটাই দেখলাম।

তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলের ওয়েব সাইটে সম্ভবত দেখেছিলাম নারীদের ব্যাপারে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। কোথাও কোরআন হাদীসের নাম নেই, অথচ প্রত্যেকটা বক্তব্য কুরআন হাদীসকেই সমর্থন করে। এরকম কোন গবেষণাও নেই, কেউ একজন ভুল ধরিয়ে দিল, আর আমরা বগল বাজালাম, আজব লাগে এসব।

জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০০৮ নিয়ে কিছু কথা
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:০০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার পোস্টটা পড়লাম। গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। উত্তরাধিকার সূত্রে পাপ্ত সম্পত্তিতে সমানাধিকারের কথাটা কি সরাসরি বলা হয়নি এবারের নীতিতে?
বিভিন্ন জায়গায় ভাশুরের নামের মতো আড়ালে আবডালে ব্যাপারটা উল্লেখ করা হয়েছে? ফলে, অনেকগুলো পয়েন্ট হুজুরদের হাতে ধরা খেয়েছে?
পেট্রো ডলারের আলেম সমাজের কাছ থেকে আপনি বেস্ট অপশন আশা করেন? আর আশা যদি করেন তবে দেখান এই ঘটনার আগে পরে কবে আমাদের মিডিয়া, সরকার আর এনজিওগুলো তাদের সঙ্গে বসেছে? আমার তো মনে হয়, নারী উন্নয়ন কেন্দ্রিক সাহায্যের ছোট একটা অংশ দিয়ে এদের সঙ্গে ডায়ালগ করলেই সমস্যা মিটে যাইতো।
৯. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪২
comment by: শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: "বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী ইউনিফর্ম টুপি-পাঞ্জাবী। সবচেয়ে শক্তিশালী অনুভূতি ধর্মানুভূতি। হুজুরদের হাতে রাইফেল থাকলে আপনি তাদের ফাঁসি দিতে পারেন। কিন্তু লাঠি থাকলে আপনাকে পিছু হটতেই হবে।"

আবারো প্রমানিত। আর ঐ ইউনিফর্ম ওয়ালারাও এটা খুব দ্রুতই বুঝে ফেলেছে।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:০১

লেখক বলেছেন: মাসুম ভাই,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১০. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৫২
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: তা খায়না....কিন্তু যারা ঐসব নীতি টিতি নির্ধারন করে, বা এইসব নীতিফিতির বিরুদ্ধে চিল্লাফাল্লা করে...তাগো কয়জন ধর্ম নিয়া চিন্তা করে, বা সাধারন মানুষ নিয়াই চিন্তা করে?

আপনার কথিত সাধারন মানুষ কিন্তু কিছু নিয়াই চিন্তিত না। না সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা না অন্যকিছু। যেখানে ২৫ ভাগ লোক খাদ্য সংকটে থাকে, সম্পত্তি আইবো কোথা থেকে।

এইখানে কেউ কেউ এইটা অলরেডি কইছেন। যেখানে সব ল'ই ব্রিটিশ বা অন্যান্য দেশের অনুসরন সেখানে সম্পত্তি বন্টন ইসলামী হওয়ার ফায়দা কি? সম্পত্তিতে সমান অধিকার হইলে সমস্যাই বা কি?
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:০৪

লেখক বলেছেন: ব্রিটিশ ল' অনুসারে বা অন্য ল' অনুসারে সম্পত্তি বণ্টনের নিয়ম কী আমি জানি না।
সম্পত্তি বণ্টনে সমানাধিকার দিলে ব্যক্তিগতভাবে যদি আমার কোনো সমস্যা হইতো তাইলে আমি আগেই রাজি হয়া যাইতাম। কিন্তু সমস্যা হইলো কুরআনে এই বিষয়ে সরাসরি নির্দেশনা আছে। যে ব্যক্তিরা অন্তত মৌখিকভাবে কুরআন মানে তারা এইটা মানবে না বইলাই সমস্যা।
১১. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:০৯
comment by: মাহমুদ রহমান বলেছেন: আমি সব আলেমকে এই পর্যায়ের মনে করি না।.......

আমাদের মিডিয়ারও ব্যপক সমস্যা আছে, বেশিরভাগ রাজনৈতিক সমস্যা তাঁরায় সৃষ্টি করেন। তাঁরা ঐসব বিষয়কে ইস্যূ করেন যা দিয়ে পত্রিকার কাটতি বাড়ানো যায়।.... আসলে কোথায় কি আছে বা কি বলা হচ্ছে তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়গুলিকে সামনে আনা হচ্ছে.....

এরকম কোন ডায়ালগের কথা জানা নাই, তবে আমি আশা করেছিলাম।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:২০

লেখক বলেছেন: আমিও সব আলেমকে এক পর্যায়ের মনে করি না।
তবে বায়তুল মোকাররমে ঘাঁটি গাড়া অধিকাংশ আলেম এই ধারার।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:১৬
comment by: সুতরাং বলেছেন: হিজরা হইলেও তার একটা আইডেনটিটি থাকে। একটা স্ট্রাকচার থাকে। এই সরকারকে কী সরকার বলবো? জাত-পরিচয়হীন এই সরকার এখন বিষফোঁড়ার চেয়ে ভয়ংকর।
সম্পত্তি বণ্টন সংক্রান্ত সমাধিকারের কথা বলে সরকার আসলে জনগণের দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত চলমান অসন্তোষ আপাতত আড়াল করার পায়তারা করছিল কি? নইলে এই সময় অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়ে সরকার এই বিষয়টাকে টেনে আনলো কেন?
আর আপনিও চমৎকার লিখেছেন-
'সরকার হুজুরদের মিছিলকে টুপি ফুলের বাগান মনে করে একটু সমঝেই এসেছে।
আর সরকার এও জানে যে, এনারা জনগণ নয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ কোনো উদাহরণ দেখাতে পারবে না যে, চাল-ডাল-আলু-তেল-বেগুনের দাম বৃদ্ধির ফলে বায়তুল মোকারমে কোনোদিন কোনো অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মানুষের ন্যায্য দ্বৈনন্দিন দাবির পক্ষে কোনো ওলামা-মাশায়েখ কখনো দাঁড়িয়েছে।'
সেনাবাহিনীর কোনও সৈনিকের পাছায় লাথি মারার কারণে সরকারকে যেমন অ্যাকশান নিতে দেখা যায়, সরকারের কোনও পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে অস্ত্র কেড়ে নিলেও তার সামান্য অ্যাকশান চোখে পড়ে না। আহা, হুজুরদের কত পাওয়ার!
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:২৩

লেখক বলেছেন: থানা লুট হইলো চিটাগাংয়ে।
১৩. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:২৭
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: তাইলে কোরআনের নির্দেশানুযায়ী বন্টন হোক। তাও তো ঠিকমতো হয়না।

মূল কথা হইতেছে আমাদের দেশে সাধারন মানুষ ধর্ম নিয়া খুব একটা চিন্তিত না। কিন্তু ধর্মীও প্রথা থেকে তারা বের হয়েও আসতে পারেনা। আপনি যেমন বলেছেন। কোরআন হাদিসকে সবাই মনে করে দাড়ীওলা, টুপিওলাগো সম্পত্তি। আর সেই ফায়দাই লোটে দাড়িটুপিওলারা।

দেশের মানুষ শিক্ষিত না। ধর্ম এইখানে মানুষের মুখে মুখে প্রীচ হয়। গন্ডগ্রামের কুদ্দুস মিয়া ধর্মের কথা কিছুই জানবেনা। তাকে যা বোঝানো হবে সে তাই বুঝবে। তাকে যে বোঝাবে সেও যে খুব ভাল বুঝে তা না। এইখানেই সমস্যা।

আমাদের প্রাজ্ঞ-বিজ্ঞ পন্ডিতেরা হঠাত কইরাই একটা লাফ দিলেন তারপর আবার আগের জায়গায় আইসা ধপ কইরা পড়লেন। মাঝখানে কিছু জল ঘোলা করলেন। ফাল দেয়ার আগে বুইঝা ফাল দেয়া উচিত আছিলো।

হুজুরদের বেলায় তাগো উদারতার মূলেই ঐ ধর্ম। আর কিছু না। ধর্মানুভুতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে সবকিছু ভেন্গে পড়তে পারে। তখন দেখা গেলো প্রাজ্ঞ পন্ডিতদেরই গদি নিয়ে টানাটানি।

২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৬

লেখক বলেছেন: একেবারে খাঁটি কথা। যথার্থ বিশ্লেষণ।
১৪. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৭
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: ভালো লেগেছে, পড়ছি
২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৫
comment by: নেমেসিস বলেছেন:
"বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী ইউনিফর্ম টুপি-পাঞ্জাবী। সবচেয়ে শক্তিশালী অনুভূতি ধর্মানুভূতি। হুজুরদের হাতে রাইফেল থাকলে আপনি তাদের ফাঁসি দিতে পারেন। কিন্তু লাঠি থাকলে আপনাকে পিছু হটতেই হবে।"

>>> বাস্তবিক বিশ্লেষন ।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:০৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬. ২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
comment by: দূরন্ত বলেছেন: হুমম....পারিবারিক বিষয়ে ধর্মীয় আইন আবার ফৌজদারি ক্ষেত্রে ব্রিটিশ শাসকদের কাছ থেকে পাওয়া আইন কেন প্রচলিত থাকবে সেটাও আমি বুঝতে পারি না--- কঠিন একখান কথা বলেছেন।
ফৌজদারি আইনে যদি সমস্যা না থাকে তাহলে পারিবারিক আইনেও কোনো সমস্যা থাকার কথা না।
----------------------------------
ইংল্যান্ডে দুই বাংলাদেশী সিলেটির কথাবার্তা শুনছিলাম। একজন বললেন, সম্পত্তি বেশি দিতেছে, তাতে তো ভালোই হলো, নাকি? আগে বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে কম সম্পত্তি আনতো, এখন বেশি আনবে।
বাংলাদেশে মহিলাদের অর্ধেক সম্পত্তি দেয়া নিয়ে কি একটা গেঞ্জাম হচ্ছে, তা ইংল্যান্ডের বাঙ্গালীদের মধ্যেও সারা ফেলেছে।
-------------------------------------
তবে যাই বলেন, সমান ভাগ করাটাকে আমি অগ্রগতি হিসেবেই দেখি।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:১২

লেখক বলেছেন: সমান ভাগের অগ্রগতি করতে গিয়া অন্য নীতিগুলার দুর্গতি করে ফেলেছে।
ইংল্যান্ডের ব্যাপারটা জেনে ভাল লাগলো।
১৭. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ ভোর ৪:১৮
comment by: রামন বলেছেন: নারীর অধিকার ও নারীনীতি বাস্তবায়ন না হলে সরকার যে নাগরিক অধিকার ও মানবধিকার বস্তবায়নের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে, তার সাথে সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশ সরকার কোন অবস্হায় এরকম একটি আর্ন্তজাতিক সংস্হার সাথে শর্ত লঙ্ঘন করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুর্ন করতে পারে না।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:১৩

লেখক বলেছেন: ব্যাপারটা স্পষ্ট হইলো না মানে বুঝতে পারলাম না।
১৮. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:১৩
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: সবাই কনফিউজড।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:১৭

লেখক বলেছেন: কী নিয়া?
১৯. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:১৩
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: @ মাহবুব ভাই, লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো। আজকে ফরহাদ ভাইয়ের একটা ইন্টারেস্টিং লেখা পড়লাম। Click This Link

@ রামন, ভাইজান আর্ন্তজাতিক সংস্হা মানে কী, অইটা কোন আসমান থেইকা নামসে। নাদানদের একটুখানি জানাবেন কি।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২৫

লেখক বলেছেন: ফরহাদ ভাইয়ের লেখা পড়তেছি।
ফরিদা আপার লেখাটা দেখছেন আজকের প্রথম আলোতে?
Click This Link

লেখাটা ভাল লাগছে।
২০. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২০
comment by: অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: পর্তাছি...
২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২৭

লেখক বলেছেন: পরা হইলে কইয়েন।
২১. ২১ শে এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৭
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: একজন কইলো হুমায়ূন আহমেদের বইটার নাম হবে শ্রাবণ মেঘের দিন। উনি শিওর না। কেউ কি ঠিক তথ্যটা দিতে পারেন?
২২. ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২৯
comment by: কেএসআমীন বলেছেন: সবচেয়ে শক্তিশালী ইউনিফর্ম টুপি-পাঞ্জাবী। সবচেয়ে শক্তিশালী অনুভূতি ধর্মানুভূতি...... হুমমমম... চিন্তার বিষয়...
২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:০০

লেখক বলেছেন: চিন্তার বিষয়।
২৩. ২২ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:০৩
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: পড়লাম ফরিদা আপার লেখাটাও। ভালই। এখানে আরো কিছু সমস্যা আছে। আমার মনে হয় মুসলিম পারিবারিক আইনের সাথে ইসলামিক ওয়াল্ডভিউর একটা জরুরী সম্পর্ক আছে। এইটা পর্যালোচনা না করলে ব্যাপারটা একপেশে হয়ে যাবে। সমানাধিকার আর নায্য অধিকার নিয়েও ব্যাপক কথাবার্তা বলছেন কেউ কেউ। ধরা যাক, সম্পত্তিতে নারী পুরুষ সমানাধিকার সাব্যস্ত হলো এবং আইন পাশ হলো। কিন্তু ইসলামের বিধান অনুযায়ী স্বামীকে স্ত্রীর অর্থনৈতিক ভরন-পোষনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্ত্রীকে নয়। এবং স্ত্রীর স্বোপার্জিত সম্পত্তিতে একমাত্র স্ত্রীরই অধিকার। স্বামীর কোন অধিকার তাতে থাকবে না, কিন্তু বিপরীত পক্ষে স্বামীর উপার্জনে স্ত্রী-পুত্র সবারই অধিকার।

কাজেই সমানাধিকারের ব্যাপারটির সাথে অনেকগুলো সমানাধিকারের প্রশ্ন জড়িত। স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের সমানাধিকার উভয়ের সম্পত্তিতে। এবং সমাজে উভয়ের দায়িত্ব বন্টন।

ইসলাম একটা ওয়ার্ল্ডভিউ, কিন্তু আমরা কমন ল'র আধিপত্যে আমাদের অধিকারগুলোকে বুঝতে শিখি। এটা ভেবে রাখা দরকার অধিকার বিষয়ক পরবর্তী আলোচনার জন্য।


২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:০২

লেখক বলেছেন: নারীর সমানাধিকারের সঙ্গে আরও বহু সমানাধিকারের প্রশ্ন জড়িত, এই বিষয়ে আপনার যুক্তি যথার্থ। কিন্তু বুর্জোয়া ব্যবস্থায় সমানাধিকারের বিজ্ঞাপন কখনোই সকল বিষয়ে সমানাধিকারের প্রশ্নে মাথা ঘামাবে না এটাও বেশ বুঝা যায়। সমাজের বাইরে থেকে সমানাধিকারের নীতি আমদানী কইরা সেইটা দিয়া কতটা সমানাধিকার বাস্তবে কায়েম করা সম্ভব এইটা নিয়া আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

একটা পয়েন্ট আপনার মাথায় দিয়া রাখতে চাই। আমাদের সমাজে পরিবারের যে গঠন সেইখানে নারীর জমিতে ফলা চাল, আর স্বামীর জমিতে ফলা চাল আলাদা কইরা ভোগ করা হয় না। সন্তানের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে বাপে যেমন জমি বেইচা টাকা পাঠায়, মায়েও তেমনই করে। হয়তো একটু বেশিই করে।
নারীর স্বোপার্জিত সম্পদ নারী একা দ্বীপে গিয়া ভোগ করবে এমন বাস্তবতা নাই। কেতাবের স্বোপার্জিত সম্পদ আর বাস্তবের সম্পদে মেলা ফারাক।
নারীর জমি, নারীর টাকা পুরুষের মতোই পরিবারেরই সম্পদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জমি মূলত পুরুষেই ভোগ করে।
২৪. ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:২৭
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। আসলে আমরা তত্ত্বীয় কথা বলছিলাম, নারীর সমানাধিকার নীতির ব্যাপারটাও ব্যাপকভাবে তত্ত্বের, বাস্তবে যেটারে আপনি আমদানী বলেছেন। 'সমাজের বাইরে থেকে সমানাধিকারের নীতি আমদানী কইরা সেইটা দিয়া কতটা সমানাধিকার বাস্তবে কায়েম করা সম্ভব এইটা নিয়া আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।'- হক কথা।

আমি আমাদের লিগেল সিস্টেম নিয়া একটু ভাবতে চাই, এটা কতটুকু রিলেভেন্ট, কতটুকু বাস্তবাকে ধারণ করে। আমার মনে হয়েছে একটুও না। একটা অবাস্তব পবিত্রতা আরোপ করা হয়েছে। যার কারণে দীর্ঘদিনের গোলামীর উত্তরাধিকারের থেকে পাওয়া লিগেল সিস্টেম আমাদের কাছে ধর্মাবর্তারের মত। তাই মন্তব্য আসে: 'যেখানে সব ল'ই ব্রিটিশ বা অন্যান্য দেশের অনুসরন সেখানে সম্পত্তি বন্টন ইসলামী হওয়ার ফায়দা কি?'
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮

লেখক বলেছেন: প্রশ্নটা কিন্তু স্বাভাবিক। যদি মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি আপনি সিভিল ল অনুসারে করেন তাইলে সম্পত্তি বণ্টন কেন ইসলামী বা হিন্দু ল' অনুসারে করবেন? আমার মতে, এইটা আরও গভীর সংকটের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রথমত, বৃটিশরা দীর্ঘদিন শাসন করলেও, তাদের আইন আমাদের সমাজে সামাজিক রীতি হিসেবে গ্রহণীয় হয় নাই। প্যারালাল আইন বহাল থেকেছে। এই প্যারালাল আইনকে পরে পারিবারিক আইন ইত্যাদি হিসেবে আত্মস্থ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত বা ফতোয়ার কাঠামোয় বিচার সেই প্যারালাল আইনের অস্তিত্বকে হাজির করে। পশ্চিমা আঙ্গিকের রাষ্ট্র অনেক পাওয়ারফুল হইলেও সর্বত্র তার শাসন এখনও বিস্তৃত করতে পারে নাই।
২৫. ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৯
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি, বাংলা ভাই এবং শাইখ আব্দুর রহমানরা আমাদের লিগেল সিস্টেমকে যে অসাধারণ হাস্যরসাত্মকভাবে হাজির করেছিলেন এবং ঠাট্টা করেছিলেন আদালতের এজলাসে দাঁড়িয়ে, তাদের সেই নির্মোহ এবং অকুতোভয় সমালোচনার ভঙ্গী আমার কাছে কখনো কখনো সত্যের কাছাকাছি মনে হয়েছে। (বলে রাখি, জঙ্গীবাদ নয়, এখানে আমার আগ্রহের বিষয় লিগেল সিস্টেমকে প্রশ্ন করা।)
২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:২৬

লেখক বলেছেন: সিদ্দিকুর রহমান বা আবদুর রহমানরা কোর্টকে টিটকারি দিছিল এই বইলা যে, তোমাদের আইন আমরা মানি না। অতএব এই বিচারকে আমরা কেয়ার করি না। বিষয়টায় হিরোইজিম আছে। কিন্তু এই আদালতে এই হিরোইজমের মূল্য কী? রাষ্ট্র ও আদালত জঙ্গির জঙ্গিত্বকে কেয়ার করে। তাই তাকে প্রশ্রয় যেমন দেয় তেমনি তাকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু আদালতে একজন বন্দি একা কী মনে করলো তাতে কিছু আসে যায় না। কারণ, মানুষ আদালত থেকে কোনো মেসেজ নেয় না। আদালত একপ্রকার আনুষ্ঠানিকতা। ওদের টিটকারি না, মানুষ ওদের ফাঁসির মেসেজটাই যেন পায় সেইটাই আদালতের লক্ষ্য।
২৬. ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:২৩
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: 'পারিবারিক ক্ষেত্রে প্রচলিত ধর্মীয় আইনের গুরুতর সংস্কার করতে হলে সামাজিক বিপ্লব ছাড়া সেটা সম্ভব নয়।' - আপনার এই কথাটা আমি সাপোর্ট করছি। 'পশ্চিমা আঙ্গিকের রাষ্ট্র অনেক পাওয়ারফুল হইলেও সর্বত্র তার শাসন এখনও বিস্তৃত করতে পারে নাই।'- এইটাও। মনে রাখতে হবে যে, শুধু মুসলমানরাই নয়, বাঙালী হিন্দুরা তাদের ধর্মীয় আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয় উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে। ভারতে ইদানীং পারিবারিক আইনে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, তাও বেশীদিনের কথা নয়।

'আমি আত্মীয় স্বজনের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টনের যে রীতি দেখছি তাতে জমানো টাকা ছাড়া মেয়েরা আর কিছুই সরাসরি ভোগ করতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় বাপের পক্ষে সন্তানদের জন্য জমিজমা ছাড়া জমানো টাকা রেখে যাওয়া সম্ভব হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। জমির জগতে মেয়েদের অংশগ্রহণ সামান্য। বাঙালি মুসলমান মেয়েরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জমি নিজ দায়িত্বে চাষবাস করতে বা ভোগদখল করতে পারেন না। ভোগদখল করে স্বামী। নামেই সম্পত্তি তার নামে হয়। ফলে, মেয়েরা এক তৃতীয়াংশ পাইলো না অর্ধেক পাইলো তাতে একজন মেয়ের অবস্থার কোনো হেরফের কার্যত হয় বইলা আমার মনে হয় না।
ফলে, নারী তার অর্জিত ও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির ওপর ভোগদখল কায়েম করতে পারুক এইটাই হওয়া উচিত নীতির মূলকথা।...'

এইটাও আমি হক মনে করি।

এই সব প্রশ্ন স্বত্বেও আমি বৃটিশ ল'-কে বেশ প্রশ্ন করতে চাই। কোন এক জায়গায় আমার একটা কথা ছিল এরকম- (আমি আইনের ছাত্র, তাই কোন এক একাডেমিক পারপাসে লিখতে হয়েছিল, খুবই দুঃখিত, ইংরেজীতেই দিতে হচ্ছে- কতগুলি শব্দের বাস্তবের কাছাকাছি রূপান্তর করতে সময় দিতে চাচ্ছি না বলে) 'we inherit a legal system which havily relies on common law jurisprudence that converts the differences into dispute, translate the fact to evidence and reduced the dimentions into instrument. in this way, we reach legal settlement and lack justice...'

দুঃখিত, আপনারে অনেক্ষণ ব্যস্ত রাখলাম। আপনার সাথে আমার খুব বেশী দ্বিমত নেই। নতুন লেখা দিন। পড়ি। একটু অনুশোচনা: আপনার পুরো লেখাটা পড়তে পারি নি এ কয়দিন, চোখ বুলিয়ে বলেছি ভাল লেগেছে। এখন পুরোটা দ্বিতীয়বার পড়লাম। সত্যি, নারী নীতির আম ও ছালা দুইটাই হারিয়ে গেল শুধু এই মিশ্র সরকারের মিস গভর্নেন্সে ও মিস ম্যানেজমেন্টের কারণে। আর, 'আদালত একপ্রকার আনুষ্ঠানিকতা। ওদের টিটকারি না, মানুষ ওদের ফাঁসির মেসেজটাই যেন পায় সেইটাই আদালতের লক্ষ্য।'- সত্য। কিন্তু এই আদালত ও জাতিরাষ্ট্রের সমালোচনা কোন পদ্ধতিতে করবেন? করতে তো হবে। হয় এটা অস্বীকার করে, নতুবা এটার পরিবর্তন চেয়ে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬

লেখক বলেছেন: ব্যস্ত রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সঙ্গে কথোপকথনে বারবার একটা অনুভূতি ফিরে আসতেছে। সেইটার নাম বিস্ময়। আমি আইনের ছাত্র না। এ বিষয়ে আমার ভাসা ভাসা জানাশুনা থেকে বুঝতে পারতেছি আপনার উদ্ধার করা ইংরেজি বাক্যে আমাদের আইন ব্যবস্থা সম্পর্কে যথার্থ উপলদ্ধি ব্যক্ত হইছে।
আমার বুঝ অল্প ও সরল।
রাষ্ট্র ও আদালতের সমালোচনা করতে হইলে আরও 'অগ্রসর' কোনো বন্দোবস্ত হাজির করতে হবে যাতে সেই সমালোচনাটা পালে হাওয়া পায়। হইতে পারে যে, আমরা আরও দায়িত্বশীল ও কার্যকর রাষ্ট্র ও আদালত চাই। নাগরিকদের কাছাকাছি আইন আদালতকে আনতে চাই। সেক্ষেত্রে নাগরিকরা কী চায় সেইটা পষ্ট কইরা বলতে হবে। দাবির পক্ষে তাদের একাট্টা হইতে হবে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ন্যায়বিচারের পদ্ধতি কায়েম করতে হবে।
আর যদি কেউ এই আদালতের স্থলে নতুন কোনো আদালত আনতে চায় তাইলে তাকে স্রেফ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে হবে।

No comments:

Post a Comment