Tuesday, March 3, 2009

ইমরে কার্টেজ : এক বেচে যাওয়া মানুষের স্মৃতিকথা

২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:২৫
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার বৃহত্তম কনসেনট্রেশন ক্যাম্প আশউইচ থেকে ফিরে এসেছিলেন ইমরে কার্টেজ। দীর্ঘদিনের অবজ্ঞা ও স্টালিনবাদের অধীনে টিকে ছিলেন হাঙ্গেরিতে। তারপর ২০০২ সালে পেলেন নোবেল সাহিত্য পুরস্কার। বৃটেনের ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার পক্ষ থেকে বুডাপেস্টে তার সঙ্গে আলাপ করেছেন টিবোর ফিশার।
১৯২৯ সালে হাঙ্গেরির একটি জুইশ পরিবারে জন্ম কার্টেজের। যুদ্ধের পর কনসেনট্রেশন ক্যাম্প থেকে মুক্ত হয়ে ফিরেছিলেন হাঙ্গেরিতে। বেছে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতা পেশা। ১৯৫১ সালে চাকরি হারিয়েছিলেন কমিউনিস্টদের চাপে। এরপর তার পেশা হলো ফ্রিল্যান্স রাইটার ও অনুবাদকের। ক্যাম্পের জীবন নিয়ে লেখা তার আধা-আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ফেটলেননেস প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালে। এরপর লেখেন ডিটেকটিভ স্টোরি (১৯৭৭), কাডিস ফর অ্যান আনবর্ন চাইল্ড (১৯৯০) এবং লিকুইডেশন (২০০৩)। সঙ্গে সঙ্গে বিপুল সংখ্যক প্রবন্ধ ও দিনপঞ্জী। বর্তমানে তিনি বসবাস করেন বার্লিন ও বুডাপেস্টে।


কার্টেজ বিশ্বাস করেন, যে কোনো জায়গায় সুখী হওয়া সম্ভব, এমনকি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পেও। আমি যখন তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনার বার্লিনে এতো সময় কাটানোর ব্যাপারটা কি পরিহাসমূলক নয়?’ কার্টেজ বললেন, ‘সবাই এ কথাটা জিজ্ঞাসা করে আমাকে। এটা পরিহাসের ব্যাপার নয়। কারণ এটা জার্মানি। লেখক হিসেবে আমি একটা প্রভাব তৈরি করেছি। এখানে আমার বই প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো বোঝার মতো সুযোগও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, কিছু বলা দরকার, কিছু করা দরকার। আর বিষয়টা হলো এই যে, এ বুডাপেস্টেই প্রথম ফ্যাসিজমের মুখোমুখি হতে হয়েছিল আমাকে, জার্মানিতে নয়।’
আমরা ছিলাম বুডাপেস্টে। গ্রেশাস প্যালেসের একটি কাফেতে। কার্টেজ তার দ্বিতীয় স্ত্রী মাগডাকে সঙ্গে নিয়ে এলেন। এমনভাবে হাসলেন যেন কিছুক্ষণ আগে একটা জোক শুনেছেন। একজন নোবেল পুরস্কার পাওয়া মানুষ যাকে ১৪ বছর বয়সে আশউইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, বুখেন ওলাল্ডে যাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল, যিনি দীর্ঘদিন শুধু দিন আনো দিন খাও করে কাটিয়েছেন একজন ফ্যাশন বিহীন লেখকের জীবন। মাত্র ১৫ মিলিয়ন মানুষ যে ভাষায় কথা বলে সে ভাষাতেই লিখেছেন, তার কাছ থেকে একটু কম হিউমারই আশা করা যায়। কিন্তু কার্টেজ বেশ হিউমারাস। তার হাসিটা আংশিকভাবে একজন বিজয়ীর আর অংশত ভাগ্যতাড়িত একজন মানুষের।
অনেক হাঙ্গেরিয়ান লেখকের কাছেই বার্লিন হলো দ্বিতীয় বাড়ির মতো স্থান। জার্মান রয়ালিটি ছাড়া অনেক বৃটিশ লেখককেই কষ্টে থাকতে হতো কিন্তু অনেক হাঙ্গেরিয়ান লেখকই এ ক্ষেত্রে অনাহারে থাকতেন। জার্মানদের সঙ্গে জুইশ লেখক গিওগ্রি কনরাড ও কার্টেজের মতো লেখকের সম্পর্ক হলো, ‘দুঃখিত আমরা আপনাকে গ্যাস চেম্বারে মারতে চেয়েছিলাম’ ধরনের। কিন্তু এর সঙ্গে ইতিহাস ও ভূগোলের একটা পোক্ত সম্পর্কও আছে। ১৯৯০ সালে তাকে যখন জার্মানিতে অভ্যর্থনা জানানো হয় তখন কার্টেজ বলেছিলেন, ‘হলোকস্টের সঙ্গে এর গভীর সম্পর্ক। আমি এটাকে কোনো নৈতিক ভিত্তি দিইনি। কিন্তু হাঙ্গেরির সাহায্যে তারা অতীতের কিছু ব্যাপার বুঝতে সক্ষম হয়েছিল।’
হলোকস্ট নিয়ে লন্ডনে কথা বলার চাইতে বুডাপেস্টে কথা বলার ব্যাপারটা একদমই আলাদা। সেখানকার চার লাখ ৩৭ হাজার মানুষকে আশউইচে নেয়া হয়েছিল। গ্রেশাম প্যালেস থেকে দানিয়ুব নদীর দূরত্ব কয়েক গজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে, যখন ক্যাম্পগুলোকে চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছিল তখন জিউদের স্রেফ গুলি করে এ নদীতে ফেলা হয়েছিল।
কার্টেজের প্রথম উপন্যাস ফেটলেসনেস প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। প্রায় আত্মজৈবনিক এ উপন্যাস নিয়ে খুব ভালো সময় যায়নি তার। কার্টেজ বলেন, ‘সমাজতান্ত্রিক হাঙ্গেরিতে মোট দুজন প্রকাশক ছিলেন। একজন এটাকে অ্যান্টি-সেমেটিক বলে বাতিল করে দিলেন। এখনো আমার কাছে সেই চিঠিটা আছে।’ কিন্তু প্রকাশনাই শেষ কথা নয়। অক্সফোর্ড হিস্ট্রি অফ হাঙ্গেরিয়ান লিটারেচার থেকে এখন সহজেই কার্টেজের লেখায় প্রবেশ করা যায়। পরে দেশে তিনি এর চেয়ে খানিকটা বেশি সমাদরই পেয়েছিলেন।
কমিউনিস্ট শাসনের সময় হলোকস্ট নিয়ে কিছু কৌতূহলকর দৃষ্টিভঙ্গির দেখা মিলতো। একদিকে এটা ছিল ফ্যাসিস্টদের কাজ। ফলে খুবই গর্হিত ও ঘৃণার কাজ হিসেবে ইতিহাসে যথাযথভাবে একে জায়গা দেয়া হতো। অন্যদিকে কেউ এ বিষয়টি খুব বেশি ঘাটতে চাইতো না। এটা বলা কঠিন যে, ইসরেল পশ্চিমিদের পক্ষে ছিল বলে একে অ্যান্টি-জায়নিস্ট অবস্থান হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল কি না। নাকি কমিউনিস্টদের হাতে জুইশদের অনেক সম্পত্তি চলে গিয়েছিল বলেই তাদের অবস্থান এমন হয়েছিল। সাবেক কমিউনিস্ট প্রধানমন্ত্রী ফিরেঙ্ক গিরেস্কানি এখনো জুইশ পরিবারের পরিত্যক্ত এ রকম একটি বাড়িতে থাকেন।
খেয়ে-পরে বাচার টাকা কার্টেজ আয় করেন লেখালেখি, অনুবাদ আর ছোট কাগজ প্রকাশ করে। তাকে যথেষ্ট সম্মান করা হতো। কিন্তু নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর পুরো দেশেই একটা প্রশ্নে ঝড় বয়ে গেল, তা হলো, ‘কে এই ইমরে?’ এমনকি আরেক ঔপন্যাসিক আকোস কার্টেজের বইও বেশ বিক্রি হলো। আকোসের সঙ্গে ইমরের আত্মীয়তা নেই।
কার্টেজ বলেন, ‘আমি আশউইচে থেকেছি। ১৯৪৮-এ কমিউনিস্ট ক্ষমতা দখলের মধ্যে বসবাস করেছি। এটা ছিল কঠোর একনায়কত্বের সময়। স্টালিনবাদ। আমি এর মধ্যেও থেকেছি। ১৯৫৬ সালের বিপ্লবের পর কাডারের ধ্বংসযজ্ঞ ও শুদ্ধিকরণের পর এক ধরনের মানুষ তৈরি হলো, এটা দুঃখজনক একটা উপায়ে পুরো জনগোষ্ঠীর আকার কমিয়ে আনলো। এভাবে তারা নিয়ে এলো মৃদু একনায়কত্বের শাসনকাল।’ সভিয়েট ইউনিয়ন জানোস কাডারের শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল ১৯৫৬ সালে। ‘কাডারের শাসনের মধ্যেই ফেটলেসনেসের দৃষ্টিভঙ্গিটা তৈরি হলো।’ কিন্তু তখন কেন কার্টেজ অন্য দুই লাখ হাঙ্গেরিয়ানের সঙ্গে পশ্চিমে পাড়ি জমালেন না? ‘আমার বয়স তখন ২৭। আমি হয়তো দেশ ছাড়তাম তখন, যদি ততোদিনে লেখালেখি শুরু করে না দিতাম। ২৭ বছর বয়সে আমি শিখতে পারিনি কিভাবে অন্য ভাষায় লিখতে হয়। এটা হয়তো এ কারণে ঘটেছিল। ভাষাটাকে আমি ছেড়ে যেতে পারিনি।’
আমার মনে আছে, কিভাবে হাঙ্গেরিয়ান লেখকরা নোবেল পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। গোপনে হলেও তারা এ নিয়ে আলোচনা করতেন। হাঙ্গেরিয়ান সাহিত্যের সবচেয়ে সমৃদ্ধ বিষয় সম্ভবত কবিতা। যা অনুবাদ করা কঠিন। আর হাঙ্গেরিয়ান কবিদের অল্প বয়সে মরার ভাগ্য। সায়েন্সে হাঙ্গেরিয়ানরা কয়েকটি নোবেল পেয়েছেন। কিন্তু সাহিত্যে কার্টেজই প্রথম। তিনি একমত হলেন পূর্বসূরিদের অনেকেই এ পুরস্কারের যোগ্য ছিলেন। ‘অবশ্যই অন্য লেখকরা ছিলেন। এমন অনেক মহান লেখক আছেন যাদের হাঙ্গেরিয়ানরাও চেনেন না। ডেজসো জোমোরির উদাহরণ দেয়া যায়। তিনি গদ্যের এমন এক শিল্পী। এমন তার লেখা।’ পরবর্তী হাঙ্গেরিয়ান লেখকদের কথাও বললেন কার্টেজ। যেমন এনরো জেপ ও বেলা জসল্ট।
হাঙ্গেরি হলো প্রতি-ইতিহাস ও প্রতি-সংবাদের এক দেশ। একটি গুজব রটেছিল যে, সুইডিশরা কার্টেজকে পুরস্কার দিয়েছে কারণ তারা হাঙ্গেরির সরকারের কাছে জেট প্লেন বিক্রি করতে চায়। এ বেদনাটার উল্টোদিকে আছে আমার এক হাঙ্গেরিয়ান বন্ধুর অভিজ্ঞতা। আমেরিকায় তার উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল। বন্ধুটি খুব আনন্দ পেয়েছিল। এমন একজন তার উপন্যাস প্রকাশ করেছিল যাকে সে চেনে না। এমন একজন উপন্যাসটির ইতিবাচক রিভিউ করেছিল যাকে সে দেখেনি। এর বিনিময়ে কিছু দেয়ার ছিল না। পিঠ চাপড়ানোর বুডাপেস্টে এটা ঘটেনি।
ফেটলেসনেস ছিল কার্টেজের অনাসক্ত ও ঠা-া একটা কাজ। কার্টেজের সুসমাচারটি ছিল এই যে, আপনি যে কোনো জায়গায় সুখী হতে পারেন। এমনকি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পেও। আসলে সুখ হলো এড়াতে না পারা এক ফাদ। আর দুঃসংবাদটি হলো, আপনি কোথাও নিরাপদ নন।
লিকুইডেশন হলো কাডার শাসনের দক্ষ এক প্রতিচ্ছবি যেখানে বুদ্ধিজীবীদের বেশ স্বাধীনতা ছিল। কারণ কাডার বুঝতে পেরেছিলেন, তাদের স্বাধীনতায় খুব বেশি কিছু যায় আসে না। আশউইচ থেকে বেচে আসা প্রধান চরিত্রটির জন্ম সেখানে। কলোকস্ট দ্বারা কার্টেজ ভীষণ তাড়িত হয়েছেন। তার লেখার মূল সূত্রও এ হলোকস্ট।
অনেক দিক থেকেই ডিটেকটিভ স্টোরি কার্টেজের সবচেয়ে খারাপ কাজ। প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। এখন এটা শুধু ইংরেজি ভাষাতেই পাওয়া যায়। বইটির বর্ণনাকারী এন্টনিও রোজা মার্টেনে নামহীন এক ল্যাটিন আমেরিকার দেশের পুলিশ। সে এক বাবা-সন্তান জুটির ওপর তদন্ত চালায়, যারা নাকি শাসকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এখানেও আশউইচের প্রসঙ্গ ওঠে। ইন্টারোগেটররা আশউইচে ব্যবহৃত যন্ত্রের উদাহরণ দেয়। কার্টেজ বলেন, ‘ডিটেকটিভ স্টোরি দেখিয়ে দেয় কিভাবে একজন পুলিশ প্রধান পার্লামেন্টকে অবজ্ঞা করে এবং পার্লামেন্ট তার নির্মম ও অনৈতিক ইন্টারোগেশনে সমর্থন দিক এটা চায়। এটা আমার অন্য লেখাগুলোর চাইতে বেশি রাজনৈতিক।’
নতুন ও গণতান্ত্রিক হাঙ্গেরিতে রাজনীতির অবস্থা কি? কার্টেজ বলেন ‘গণতন্ত্র এমন একটি শব্দ যেটিকে সম্পূর্ণ অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমি সত্যিই জানি না ডেমক্রেসি কি, আমি বলবো এটি যতোটা না একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা তার চেয়ে বেশি একটি সংস্কৃতি।’ কার্টেজ জানালা দিয়ে বাইরের ধূসর আকাশের দিকে তাকালেন, ‘হাঙ্গেরি এখন কিছুটা তিতা এক দেশ।’
ডানপন্থী হাঙ্গেরিয়ান গার্ডের উত্থানের পর তাদের পোশাক ও মার্চ অনেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বাজারে অনেক অ্যান্টি-সেমেটিক বইপত্র বিক্রি হতে দেখলাম। অ্যান্টি-সেমেটিক বইপত্রের এ উন্মুক্ত বিক্রি কি ভালো ব্যাপার? কার্টেজ বলেন, ‘হাঙ্গেরিতে অ্যান্টি-সেমেটিজমের ব্যাপারটা অদ্ভুত। এটি ক্ষতিকর, ধ্বংসাত্মক, হৃদয়বিদারক কিন্তু সক্রিয় কিছু নয়। মধ্য এশিয়ায় রাশিয়া ছাড়া আমাদের এখানেই রাব্বিদের সেমেনারি আছে। এটি কাডারের অধীনে ছিল। সবচেয়ে বড় জুইশ জনগোষ্ঠী এখানে বাস করে। হাঙ্গেরিয়ান জুইশরা যথেষ্ট স্মার্ট। তারা সত্যিকারের হাঙ্গেরিয়ান হতে চেয়েছে। ১৯৪৪ সালে যখন জার্মানরা হাঙ্গেরিতে ঢুকলো তখন জুইশদের মধ্যে তিনটি ভাগ ছিল। এক ভাগে ছিল সত্যিকারের বড়লোক, আরেক ভাগে মধ্যবিত্ত ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়াররা, অন্যভাগে গরিবরা। জুইশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোনো ঐক্য ও সংহতি ছিল না।
আমি বললাম, আসার পথে ফিকশন নিয়ে বিমানে একজনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন, ফিকশন হলো ফালতু, শব্দ সজ্জা মাত্র। কার্টেজ তার উদ্দেশে কি বলবেন? ‘আমার মতে, সব কিছুই ফিকশন। আমার আত্মজীবনীর শুরু ১৪ বছর বয়সে। আশউইচের ট্রেনে আমাকে ওঠানো হলো যেন ২০০২ সালে আমি নোবেল পুরস্কার পেতে পারি। ঘটনাই নির্দেশনা দেয়।’ তিনি যোগ করলেন, ‘আঙ্গিকের দিক থেকে ফিকশন অনেক বেশি সত্য। আমি নিজেকে ঔপন্যাসিক হিসেবে আবিষ্কার করেছি। গাটছড়া বেধেছি ফিকশনের সঙ্গে। কে জানে, আমি যদি থেমে যেতাম তবে কি হতো আমার? জীবনের পুরোটাই তো ধারালো একটা ব্লেডের সামনে ধরা।’
অনুবাদ : মাহবুব মোর্শেদ



প্রকাশ করা হয়েছে: অনুবাদ বিভাগে ।



* ২৪ টি মন্তব্য
* ২৫৪ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১০ জনের ভাল লেগেছে, ৯ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28763917 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৩১
comment by: সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:

গুড পোস্ট +
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৩৩

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস, সারওয়ার ভাই।
২. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৩৫
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: পড়ে যথারিতী ভাল লাগল.....
জ্ঞ্যানী মানুষদের কথা শুনতেও ভাল লাগে।
+



২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৩

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
৩. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৩৫
comment by: নাভদ বলেছেন:
কার্টেজ বিশ্বাস করেন, যে কোনো জায়গায় সুখী হওয়া সম্ভব, এমনকি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পেও।
========================

হা, অসাধারন একজন মানুষ...
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৬

লেখক বলেছেন: অবাক করার মতো কথা।
৪. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৮
comment by: মিরাজ বলেছেন: মাহবুব ভাই ইমরে কার্টেজ সম্পর্কে জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।

একটি কারেকশনের প্রস্তাব করছি --

Auschwitz যেখানে কনসেনট্রেশন ক্যাম্প ছিলো তার সঠিক উচ্চারণ হবে অউশভিটজ ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:০৮

লেখক বলেছেন: মিরাজ ভাই,
কারেকশনের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সময় করে পোস্টে ঠিক করে নেবো।
থ্যাংকস।
৫. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৯
comment by: মিরাজ বলেছেন: বা আউশভিটজ ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১২

লেখক বলেছেন: আবারও থ্যাংকস।
৬. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:০০
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: সকালেই যাযাদি-তে পড়েছিলাম।

'আসলে সুখ হলো এড়াতে না পারা এক ফাদ। আর দুঃসংবাদটি হলো, আপনি কোথাও নিরাপদ নন।'
কিংবা
'জীবনের পুরোটাই তো ধারালো একটা ব্লেডের সামনে ধরা।'

জটিল দর্শন!!বাপরে বাপ!!
অনুবাদটাও কিন্তু দারুণ করসেন।

মাহবুব ভাই,আমার চা-কফি পাওনার ব্যাপারটা মাইন্ডে রাখসেন তো??রাইখেন কিন্তুক!!
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:০৯

লেখক বলেছেন: হ।
ধন্যবাদ আপনেকে।
৭. ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৭
comment by: মৃদুল মাহবুব বলেছেন: সকালে পড়েছি। ভালো লেগেছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৪

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ মৃদুল।
৮. ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৯
comment by: সবুজ আরেফিন বলেছেন: ইমরে কার্টেজ সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৫

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
৯. ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:৫৬
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। তবে দর্শনটা একটু অদ্ভুত,কনসেনট্রেশন ক্যাম্পেও সুখী হওয়া যায়? এ যেন অনেকটা বাংলাদেশের মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী এই ধরণের জরীপগুলোর মত মনে হচ্ছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৬

লেখক বলেছেন: তিনি কিন্তু বলেছেন, সর্বত্রই সুখী হওয়া সম্ভব কিন্তু কোথাও আপনি নিরাপদ নন। সুখের সঙ্গে নিরাপত্তার সম্পর্ক তাহলে কী?
নাকি কোনো সম্পর্ক নাই?
১০. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৪১
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ভালো লাগলো , ইমরে কার্টেজ সম্পর্কে জানা ছিল না তেমন । হাঙ্গেরীতে থাকেন এটাও ভুলে গিয়েছিলাম , নামটা দেখে মনে হতো টার্কিশ (হঠাৎ মনে হলো ওরহান পামুক ছাড়া অন্য টার্কিশ ইদানীংকালে লিটারেচারে নোবেল পাননি )।এরপর আর খুজে দেখা হয়নি। কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম রুমানিয়া তে হাঙ্গেরীয়ান সংখ্যালঘুদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ।

আপনার লেখা থেকে কার্টেজের দৃষ্টিভঙ্গির চমৎকার পরিচয় মিললো ।
অনেক ধন্যবাদ
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০০

লেখক বলেছেন: প্রথম প্রথম আমিও এই ভুলটা করতাম।
কার্টেজের একটা উপন্যাস আছে আমার কাছে। কিন্তু পড়ি নাই এখনও। সাক্ষাতকারটা অনুবাদ করতে করতে মনে হলো পড়া দরকার। কাডিস ফর এ চাইল্ড নট বর্ন বাংলা হয়েছে। সে বাংলাটাই আমার কাছে আছে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৪১
comment by: ফ্লোরা ফেরদৌসী বলেছেন: আছো কেমন সবাই
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৫৪

লেখক বলেছেন: ভালো। মেইল কর।
১২. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৪৪
comment by: প্রচেত্য বলেছেন: চমতকার ভাল লাগা নিয়ে লেখাটা পড়লাম
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:০৭

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।

No comments:

Post a Comment