Sunday, March 1, 2009

এক লা বৈশাখ, মোল্লাবাদ, নেপাল ও চীনা অলিম্পিক (মিক্সড মাসালা)

১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২০
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

কাইলকা দুপুর পর্যন্ত বাইরাই নাই। পয়লা বৈশাখ বিধায়, ঘরের মধ্যেই পান্তা খেয়ে রবীন্দ্রনাথের গান ছাইড়া বইসা আছিলাম। একবার টিভি ছেড়ে দেখলাম বাংলাদেশের শিল্পীরা গান-বাজনা করতেছে। একক ও সম্মেলক চলতেছে। এইগুলা আমার রোচে না। এসো হে বৈশাখ যে এরা গায় কী মনে করে গায় আমি বুঝি না। বাংলাদেশের এমন কোনো শিল্পী আমি পাই না যার ডাকে বৈশাখ নাচতে নাচতে চইলা আসবে। বরং দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠে বসন্ত এসো যখন শুনলাম মনে হইলো বসন্ত কলিং বেল চাইপা দাঁড়ায়ে আছিলেন। দেবব্রত জাস্ট দখিন দুয়ার খুইলা দিলেন। ঘরে বসন্ত আইসা পড়লো। কলিম শরাফি ও মিতা হক ছাড়া আমার পোষায় না। এ বিষয়ে আমি ভীষণ ভারতপন্থী, পুরানা ভারত। তাই টিভি বন্ধ কইরা কলের গান ছাইড়া বইসা থাকলাম অনেকক্ষণ। রমনার পাকুড় গাছের তলায় বইসা গাওয়া গানের লোকের প্রাণে গান নাই। তাই রবীঠাকুর মূর্তি গড়ে এনারা বৈশাখ আবাহন করেন। এই গান দিয়া বৈশাখ আসবে না। আমার বিশ্বাস হয় না। রাইতে শুনলাম আলী যাকের বলতেছেন, বৈশাখ বরণ করতে আসা লোকদের দিয়া নাকি মোল্লাতন্ত্র, ধর্মান্ধতা ঠেকানো যাবে। সত্যিই কি? এই পাটভাঙা মধ্যবিত্ত, পুতুপুতু আবেগের জোয়ারে জঙ্গিত্ব প্রতিরোধ হইবেক?
দুপুরে বের হয়ে প্রথমে মিষ্টির দোকানে গিয়া বুঝলাম, খবর আছে। দোকানের সকল মিষ্টি ফুরায়ে গিয়াছে। কিছু অপ্রধান মিষ্টি দেখা যায়, দধিও শেষ। তার মানে, আকালের দিনেও মিষ্টি খাওয়ার লোকের অভাব নাই। কিনার লোকও মেলা। লাল পাড় শাদা শাড়ি আর পাঞ্জাবীতে রাস্তা সয়লাব। যানবাহন পাওয়া দুষ্কর। বিকাল নাগাদ অবস্থা এমন দাঁড়াইলো যে, যানবাহন মিলিবে কিন্তু রাস্তা মিলেবে তাহার নিশ্চয়তা নাই। লোকেরা ফিরিতেছে না যাইতেছে বোঝার উপায় নাই। ভাবলাম যাবে কই? আর ফিরবেই বা কোথা থেকে? পুতুপুতু রবীন্দ্রচর্চা সেই সকালেই শেষ। মঙ্গল শোভাযাত্রাও শেষ। মানুষ তাইলে কই যাইতেছে? অথবা কোথা থেকে আসতেছে? আসলে যাওনের জায়গা নাই। মানুষ তাই যাওনের ও সেই অলীক গন্তব্য থিকা আসনের ভান করতেছে। ফলে, রাস্তায় ভিড় বাড়তেছে। এই ফাঁকে আলোচনা করার মতো একটা অসাম্প্রদায়িক উৎসবের যোগান হইছে। গার্মেন্টস শ্রমিক থেকে শুরু করে শিল্পপতি পর্যন্ত কোটি কোটি লোকের এই শহরে উৎসব মানে রাস্তা অচল। মানুষের যাওয়ার জায়গা নাই। ঠাঁই নাই ঠাঁই না ছোট সে তরী। তারা কী মনে করে বাইর হইছে তা জানাইবার অবকাশ নাই। মিলিবার অবকাশ নাই। শুধু যাওয়া আসা শুধু স্রোতে ভাসা। এই মানুষের মিছিল সংহত নয়। তারা একই ভাবনায় ভাবিত নয় একই উদ্দেশে অগ্রগামী নয়। ঠিক কথা যে, তারা একটা অসাম্প্রদায়িক উৎসব মনে কইরাই বাইর হইছে। কিন্তু মনে করা নিবার কোনো জায়গা নাই। কলকাতার বাঙালিরা এইদিনে এইভাবে বাইর হয় না। হয় নাই। হবে না। ফলে, এই স্রোত নিয়া ভাবিবার আছে। যারা রমনার পাকুড় গাছের নিচে বইসা আছেন তাদের সাধ্য নাই এই বিপুল জনস্রোতকে নিজেদের চিন্তায় কি ও রমনার মাঠে স্থান দিবেন। ভাবতেছিলাম যদি পাড়ায় পাড়ায় কিছু আয়োজন হইতো। উৎসবের আকাঙক্ষা এতদূর গড়াইয়াছে যে, ছাদে ছাদে প্যান্ডেল কইরা বৈশাখ পালন প্রায় অবধারিত হয়ে গেছে।
এই জনস্রোত দেখাইয়া যারা মনে করেন, বায়তুল মোকারমের মোল্লাতন্ত্র ঠেকাইবেন তাদের সঙ্গে একমত হওনের উপায় নাই। কারণ, এনারা মোটেও রেজিমেন্টেড না। লাঠি হাতে একটা বাচ্চা হুজুর দৌড়াইয়া আইলেই রমনা ফাঁকা হয়ে যাবে। ফলে, পুতুভাবে মোল্লাবাদ ঠেকিবে না।
ভাবতে হবে। কেমনে কী, সেইটা ভাবতে হবে।
কাইলাই শিওর হইলাম মাওবাদের জয় নেপালে সুনিশ্চিত। মাওবাদীদের এত বড় জয়ের খবরটা পশ্চিমা মিডিয়া আর ভারতীয় পত্রপত্রিকার গলায় আটকে গেছে। ওনারা কয়দিন ধরে কইতেছিল গিরিজা প্রসাদ কৈরালার দল জিততেছে। মরি মরি, জিতলো প্রচণ্ড আর বাবুরামের দল। পৃথিবীতে প্রথম মাওবাদী রাষ্ট্র। কী খেল যে জানে মাওবাদীরা আর তাদের চিয়ারমেন। দেখার বিষয়। ভারত একটা বড় আঘাত পাইবে। অলিম্পিকে চীনাদের এক হাত দেখে নিয়েও ভারত ও পশ্চিমাদের নেপালাঘাত মিটিবে কি না কে জানে।
তিব্বতে চীনারা অবিচার করতেছে এইটা তো নতুন খবর না। তিব্বতীরা লড়তেছে এইটাও নতুন ব্যাপার না। গণতন্ত্রকামী মানুষেরা তিব্বতীদের পক্ষে আছে। কিন্তু সমস্যা অন্যখানে, অলিম্পিকের মশাল যাত্রা আর তিব্বতীদের বিক্ষোভের টাইমিং কেমনে মিললো? চীনকে একটা বিপদে ফেলার জন্য বুদ্ধিটা ভালই জমানো হয়েছিল। এর ফলে, পশ্চিমারা কী পেল জানি না। কিন্তু এইটুকু স্পষ্ট হয়েছে যে, তিব্বতীরা অন্যদের ট্রাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৪৫ টি মন্তব্য
* ৩৩০ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৮ জনের ভাল লেগেছে, ২ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28788032 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২৩
comment by: ত্রিভুজ বলেছেন:

শুভ নববর্ষ মোর্শেদ ভাই...


১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮

লেখক বলেছেন: শুভ নববর্ষ।
২. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:২৬
comment by: মুহিব বলেছেন: কি আর বলব ................ শুভ নববর্ষ
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:০৯

লেখক বলেছেন: শুভ নববর্ষ।
৩. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬
comment by: অচেনা বাঙালি বলেছেন: শুভ নববর্ষ!

আমি কিন্তু আপনারে কোনোদিন গাইল্কাই নাই। এইটা মনে রাইখেন।
হে হে প্রথম আলো ব্লগে আবার ব্লক কইরেন্না। B-)
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:১০

লেখক বলেছেন: আমি কি কইছি আপনে আমারে গাইলাইছেন?
৪. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫৭
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: একজন বাচ্চামোল্লা লাঠি নিয়ে আসলেই রমনা ফাঁকা হয়ে যাবে এবং রবীঠাকুরের মূর্তি গড়িয়ে গান গাইলে বৈশাখ আসবে না। এরকম ভাবনার সাথে একমত হতে পারলাম না। বিকেল পর্যন্ত ঘরে ঘুমিয়ে থাকলে এরকম দিবাস্বপ্ন দেখাই স্বাভাবিক, বাঙালির আবেগটাকে, শক্তিটাকে ধরবার ক্ষমতা এভাবেই হয়ত কারো কারো হারিয়ে যাবে। দুঃখ হয় তাদের জন্য।
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:১৪

লেখক বলেছেন: রবিউল ভাই,
বাচ্চা মোল্লা লাঠি নিয়া দৌড়ায়ে আসলে রমনার ভিড় অটুট থাকলে আমি খুশী হবো।
সুমনের গানটা শুনছেন?
প্রাণে গান নাই বুঝি তাই রবীঠাকুর মূর্তিগড়া?
শুনছেন নাকি?
বাঙালির আবেগ ও শক্তির ব্যাপারটা আলোচনা করতে চাই বইলাই তো পোস্ট দিলাম। বলেন, এই আবির মাখা বাঙালি কী হইতে চায়? আপনি বুঝলে বলেন।
৫. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:১১
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: হুমমমম...পড়িলাম

নববর্ষের শুভেচ্ছা
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬

লেখক বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।
৬. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৯
comment by: রোডায়া বলেছেন: বৈশাখ বরন করতে মানুষ যখন আসে, তখন মোল্লাবাদ, মৌলতন্ত্র এইসব নিয়ে তারা ভাবতে ভাবতে আসে বলে মনে হয় না৷ মানুষের কিছু উৎসব দরকার৷ রঙের ভীর দেখতে বা তাতে মিশে গিয়ে একটা অন্যরকম দিন কাঁটাতে অনেকেরই ভালো লাগে৷ অনেকেই সেখানে প্রানের স্পন্দন অনুভব করে, কিন্তু তারা সেখানে মৌলতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করে না৷ তাই এই জনতাকে দিয়ে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধের প্রশ্নই আসেনা৷

কিন্তু একেবারেই কি আসে না? এই ধরনের উৎসব মানুষকে নাড়া দেয়, মানুষের মধ্যে ধর্মান্ধতা কমায়৷ মানুষকে মধ্যে সত্যিকার সুন্দরের প্রতি আগ্রহী করে তোলে৷ কিন্তু এইসব ব্যাপার একদিনে হয় না, বা এক প্রজন্মে হয় বলেও মনে হয় না৷ ধীরে ধীরে ব্যাপারগুলো ছড়িয়ে যায়৷ মানুষ যত এধরনের উৎসব সত্যিকার সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে শিখবে, ততই মোল্লাদের ফালতু বুলি তাদের কাছে অসার হয়ে আসবে৷ মোল্লাদের দৌড় তাদের কাছে তত কমতে থাকবে৷ তবে এসব ব্যাপার হঠাৎ করে হয় না অবশ্যই৷

কিন্তু তাই বলে কথা নাই বার্তা নাই এই জনতাকে দিয়ে চট করে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধের ব্যাপারটা যারা ভাবে তারা আসলে দিবাস্বপ্নই দেখে৷
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৫

লেখক বলেছেন: আপনার অসাধারণ মন্তব্য ও পর্যবেক্ষণের জন্য ধন্যবাদ। নতুন করে ভাবতে শুরু করলাম।
৭. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬
comment by: কৌশিক বলেছেন: টাইমিংটা হইতে পারে সাজানো। অস্বাভাবিক না। তবে দালাইলামা পরবর্তী তিব্বতে একটা লিবারেশন ফ্রন্ট হয়েছে যাদের কিছু পশ্চিমা মদদ আছে, চীন সরকারের ভাস্য এরকম। অবশ্য আম্রিকা স্বীকার করে না, তারা তো অলিম্পিকের মশাল জ্বালানোর সময় পরিষ্কারভাবে তিব্বতের বিষয়ে চীনের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাইছে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:৫১

লেখক বলেছেন: হ।
৮. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:০২
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: আমি তোমার লেখনীর ক্ষমতা জানি। তুমি যেভাবে নেগেটিভ চিন্তা দিয়ে পাঠকের বোধটাকে যাচাই করে নিতে পাও, সেটা আমি কোনো কোনো সময় মেনে নিতে পারি না। কারণ এভাবে ভুলটাই হয়ত সত্যি ভেবে বসবে কেউ কেউ। তাই তোমার বিদ্রুপ সবখানে প্রয়োগ করো না। ক্ষমতা থাকলেই প্রয়োগ করতে হবে এটা মনে হয় ঠিক না। আমি কি তোমাকে বোঝাতে পেরেছি?
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:০০

লেখক বলেছেন: এইকথাগুলা তো বুঝলাম। কিন্তু উদাহরণ দিয়ে বোঝালে এই লেখার সঙ্গে কথাগুলোর সম্পর্কটা তৈরি করতে পারতাম।
৯. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৮
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মিডিয়ার কল্যাণে মাওবাদীদের খালি জানতাম লুটেরা , খুনি হিসেবে । পর্যবেক্ষকরা বলেই দিলো মাওবাদীরা থাকবে তৃতীয় অবস্থানে । ইলেকশনের আগে মাওবাদীদের কড়া হুশিয়ারি দেখে খুব একটা ভাবান্তর হলো না , মনে হলো ইলেকশনে হেরে গিয়ে মাওবাদীরা আবার জল ঘোলা করার জন্য উজানে গিয়ে অবস্থান নিচ্ছে ।

এখন দেখি , কিসের কি ? ভয়াবহ ব্যাপার , জয় তো না , ভূমিধ্বস ।

ভালো , পশ্চিমা মিডিয়া(ভারতও পশ্চিমে/আমাদের দেশের ইন্টারন্যাশনাল নিউজ কাভারেজ বিদেশি বার্তা সংস্থাগুলো থেকেই আসে) এক যুগ ধরে বেশ ঘোল খাওয়ালো ।

তিব্বতিদের ব্যাপারেও একমত , চীনাদের দোষ সেটা কেউ অস্বীকার করে না , তবে চিপায় ফেলার টাইমিংটা গুরুত্ব দেয়ার মত ।

শুভ নববর্ষ
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৯

লেখক বলেছেন: শুভ নববর্ষ।
মাওবাদীরা নেপালে এত জনপ্রিয় এইটা বুঝতে ইলেকশনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো। সত্যিই এক তাজ্জব ঘটনা। আমরা তাহলে অনেক খবরের মধ্যে বেখবরই আছি।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত খবরটা জানা গেল। এইটাই সুখ আপাতত।
ধন্যবাদ।
১০. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:৩১
comment by: খন্দকার সোহেল বলেছেন:
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

লেখক বলেছেন: কী?
১১. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:৩২
comment by: খন্দকার সোহেল বলেছেন:
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

লেখক বলেছেন: কী কস?
১২. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮
comment by: আজহার ফরহাদ বলেছেন: মামো একটা কথা বলি, সংস্কৃতিচর্চাকারী আর সাংস্কুতিক বৈশিষ্টের অধিকারীদের কিছু গুণগত পার্থক্য আছে। আপনি যে পরিশীলনে দেবব্রত বা শান্তিদেব বা মিতা হকের কথা বলছেন, তদ্রুপ পরিশীলন ছাড়াই কারো দেবব্রত বা শান্তিদেব বা মিতা হকের গান ভালো লাগতে পারে আবার নাও পারে।

আমি এমন অনেককে দেখেছি যারা এইসব শিল্পীদের গান ছাড়া দিনের শুরুই করেন না। তাদেরো রমনায় গণকোলাহলের ভিতর বসে থাকতে। এটা সহজে বুঝে ওঠা মুশকিল। তাদের কথা বাদ দিলেও আর সব সাধারণ মানুষ যারা অভ্যস্ত বিনোদনের রবীন্দ্রসঙ্গীতে যাদের কান কিছুটা সাগর সেন, কিছুটা বন্যা, কিছুটা পাপিয়া তাদের জন্যেতো এই কিছুটা বৈশাখ, কিছুটা রমনার বটমূল, কিছুটা রবীন্দনাথ। তবে উদ্দেশ্যটি কিন্ত থেকে যাচ্ছে ওই সংস্কৃতিবিনোদনে।

হাজারো পিঁপড়ের যে চলার পথ তাতে বাঁধা দিন, পানি ঢালুন, ক্ষুদ্র ও নির্বিরোধ পিঁপড়ে কিন্তু কিছু সময় পর আবার একই পথে চলতে শুরু করবে। যতবার আপনি করুন ততবার, অনন্তকাল। এটিই কি তার জবাব নয়? প্রতিরোধের থাকে কিছু ভিন্ন রূপ।

রমনায় যে বছর বোমা পড়লো তার পরের বছর, তারো পরের বছর, তারো পরের বছর মানুষ যাবে, মরবে; হয়তো তার দরজায় বেল টিপবে না বৈশাখ, তার জীবনে তা কখনো আসবেওনা, কিন্তু সেতো আসবে!
১৩. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: যারা যায় রমনায় তাদের সমালোচনা কিন্তু আমি করতেছি না। আমি এই যাওয়ার দলের মানুষগুলার অংশ। কিন্তু যারা রমনা মাত্র, শুধু রমনা নিয়া দেশ ও দিন বদলের স্বপ্ন দেখেন তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আমার অবস্থানের ফারাকটা দেখাইতেছি। এইখানকার শিল্পীরা যে গাইতে পারেন না সেইটা বলা আমার উদ্দেশ্য না। আমার উদ্দেশ্য এই যে, এইখানকার রবীন্দ্রপূজারিরা রবীন্দ্রনাথ না বুইঝা চর্চা করে। তাদের গান শুনলেও সেইটা বুঝা যায়। আমি কোনো রুচির প্রচার করতে চাইতেছি না। আমি রুচির কারণে রমনার পাকুড় তলায় যাইতেছি না তা নয়। আমি যাইতেছি এই চর্চার ভাসমান দিকটা খিয়াল কইরা। রবীন্দ্রনাথে বা পয়লা বৈশাখে কতটা মোল্লাতন্ত্র নিরোধ হবে সেইটা ভিন্ন বিতর্কের ব্যাপার। কিন্তু আমার কথা হইলো, রবীন্দ্রচর্চায়ও তাদের দারিদ্র্য সীমাহীন। কিন্তু এরাই মান তইরি করতেছে। আবার অন্যদের মান শিখাইতেছে। এরা ভিতর থেকেও ফাঁকা বাইরে থেকেও ফাঁকা।
মানুষের সম্মিলিত শক্তির ওপর আমার আস্থা অটুট আছে। কিন্তু ভিড়রে তুমি মিছিল বলতে শুরু করলে আমি মানবো?
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২০

লেখক বলেছেন: মন্তব্যটি আজহারের উদ্দেশে।
১৪. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
comment by: মাঠশালা বলেছেন: শুভ নববর্ষ।

লঘু চিট্টে আষাট পড়টেসে।
আবার কইয়েন না বুঝতেছেন না।
কইতে চাচ্ছিলাম, রবীন্দ্র চর্চাকরীদের চিত্তর কথা।

তবু বলি ভালোই লাগে সকালের সম্মেলনটা। তারা কতটা বৈশাখ অথবা রবীন্দ্রনাথ ধারণ করল তা বিচার করার সুযোগ হয় নাই।

মাওবাদীদের জন্য শুভ কামনা।

(লেখাটা ভালো লাগছে।)
১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:২০

লেখক বলেছেন: ওইখানে গেলে তো সে সুযোগ মিলিবার অবকাশ থাকে না ভাইটি। আমারও যেমন আপনারও তেমন, তাই না?
ধন্যবাদ।
১৫. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
comment by: দূরন্ত বলেছেন: পাইকপাড়ায় আমাদের এলাকার পাঠাগারে বিজয় দিবস অনুষ্ঠান করার সময় একবার শিবির আক্রমণ করেছিল (১৫-১৬ বছর আগে)। অনুষ্ঠানে শামসুর রাহমানও ছিলেন। শামসুর রাহমানের বক্তৃতার সময় শিবিরের লোকজন আক্রমণ করে। এর পর দর্শকরা প্রায় সবাই পালাচ্ছিল, মাইক থেমে গিয়েছিল। শিবিরের কর্মীরা কিছু চেয়ার টেবিল ভেঙ্গে দ্রুত চলে গিয়েছিল। তারা নিশ্চয়ই জানত দেরী করলে বিপদ আছে। আমরা অনুষ্ঠান আবার শুরু করেছিলাম। শামসুর রাহমান তার অসমাপ্ত বক্তৃতা শেষ করেছিলেন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:২২

লেখক বলেছেন: শিবির চলে যাওয়ার পর আপনেরা ফিরছিলেন?
১৬. ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:১২
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন: উদ্ধৃতি
পুতুভাবে মোল্লাবাদ ঠেকিবে না।

এইটাই বুঝাইতেছিলাম এদ্দিন ধৈরা আপনেরে । ব্লগেও একি থিওরী খাটে ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:২৭

লেখক বলেছেন: আপনের বুদ্ধি মাঝে মাঝে আমারে নির্বোধ করে দেয়।
মোল্লাবাদ ঠেকাইতে হবে বইলা আপনেদের দৈনন্দিন মাস্তানি, টিজিং, গুণ্ডামী মাইনা নিতে হবে নাকি?
পাড়ায় পাড়ায় তো মাস্তানী কম না এই দেশে সেইটা দিয়া মোল্লাতন্ত্র ঠেকছে। শুনছেন কোনোদিন?
১৭. ১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:২৪
comment by: দূরন্ত বলেছেন: আরে না, যাই নাই। এ ঘটনার স্মরণে শামসুর রাহমানের একটা কবিতাও আছে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:২৮

লেখক বলেছেন: ওইখানে খাড়ায় দেখতেছিলেন?
কতক্ষণ ছিল শিবিরগুলা?
কবিতাটা কলেক্ট করে রাখছেন তো?
১৮. ১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৩৩
comment by: দূরন্ত বলেছেন: আমি তখন পাঠাগারের কর্মী হলেও বয়সে খুব ছোট:) তাই পালানোর ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি:)। কিন্তু এখনও স্মৃতি উজ্জ্বল।
খুব তাড়াতাড়ি চলে গেছিল।
কবিতাটা কালেকশনে নাই।
১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৩৭

লেখক বলেছেন: বড়রা পালিয়েছিল তাইলে?
১৯. ১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪০
comment by: দূরন্ত বলেছেন: সবাই না, সেবার আমাদের এ ধরনের প্রস্তুতি ছিল না। এরপর থেকে প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এর পরও সেখানে টানা ১৪/১৫ বছর একই ধরনের অনুষ্ঠান হয়েছিল। এরপর কেউ হামলা করার সাহস পায়নি। গত বছর অনুষ্ঠান হয়নি টাকা/কর্মীর অভাবে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:১৩

লেখক বলেছেন: বাহ। সামনের বার থেকে অনুষ্ঠান করার টাকাটা আপনি পাঠাবেন বলে আশা করি।
২০. ১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:৪৭
comment by: রাজীব আহমেদ বলেছেন: ভালই লাগল মাহবুব মোর্শেদ। আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:১৪

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদই।
২১. ১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:০১
comment by: দূরন্ত বলেছেন: এখন প্রধান সমস্যা হচ্ছে কর্মী নাই।
সাবেক সেরা কর্মীদের মধ্যে একজন কর্মী ডিবি পাইয়া আমেরিকায়, দুইজন পড়ার জন্য লন্ডনে, আমি বার্মিংহামে, একজন এডিনবরায়, আর একজন জার্মানিতে চলে গেছে।
এছাড়া দেশে যারা আছে তাদের মধ্যে প্রায় সবাই চাকরি, বউ পুলাপান নিয়ে এতো ব্যস্ত যে সময়ই নাই। কাজেই তাদের কাছে টাকা চাইলে পাওয়া সম্ভব। কিন্তু শ্রম? সেটা সম্ভব না। তবুও এবার আমরা আশাবাদী।
১৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১১:০৪

লেখক বলেছেন: প্রগতিশীল লোকজন এইভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়লে হুজুররা তো দেশ চালানোর দায়িত্ব শীঘ্রই হাতে নিয়ে নেবে।
২২. ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৭
comment by: বোলারস ব্যাকড্রাইভ বলেছেন: কৈরালা কি তিব্বতীতের ভালোবাসেন?
১৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:০৫

লেখক বলেছেন: উত্তম প্রশ্ন।
২৩. ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:৩২
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: "আসলে যাওনের জায়গা নাই। মানুষ তাই যাওনের ও সেই অলীক গন্তব্য থিকা আসনের ভান করতেছে। ফলে, রাস্তায় ভিড় বাড়তেছে। এই ফাঁকে আলোচনা করার মতো একটা অসাম্প্রদায়িক উৎসবের যোগান হইছে।" মনের কথাগুলাই বইলা দিলেন।
নেপালে মাওবাদীদের বিজয় সম্পর্কে মিডিয়ার পাবলিকরে আন্ধারে রাখা নতুন কিসু তো না,হুগো শ্যাভেজের জনপ্রিয়তাও নাকি শূন্য আসিলো,কিন্তি আম্ড়িকাপন্থীদের ক্যুয়ের পরও কেমনে যে জনগণ এই ভীষণ অজনপ্রিয় নেতারে ক্ষমতায় আনলো সেটা দেখার আর ভাবারও বিষয়। ইরাকের কথা বাদই দিলাম এইখানে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:১০

লেখক বলেছেন: মুকতাদা আল সদর। মাইরা না ফেললে খবর সেই ঘটাইবো। কইলাম।


থ্যাংকস।

No comments:

Post a Comment