Monday, March 2, 2009

আন্তর্জাতিক বাজার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি

০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৯
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

আন্তর্জাতিক শব্দটা নিয়া ইদানিং খুব ভাবতে হয়। না ভাবলে চলে না। এই শব্দটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আকুল করে ফেলেছে। বাজারে গিয়ে দেখি চালের দাম বেড়েছে, উপদেষ্টারা বলেন, তাদের কিছু করার নাই। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। বাজারে মরিচের দাম, তেলের দাম, কাঁঠালের দাম যাই বাড়ুক না কেন দোহাই একটাই : আন্তর্জাতিক বাজার। যে আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে আমাদের এত কষ্ট সে আন্তর্জাতিক বাজারে কোন জিনিষের কত দাম সেটা কিন্তু কোনো দিনই আমাদের জানা হয়ে ওঠে না। কোনো মিডিয়া আমাদের জানায় না, চালের দাম আমেরিকার কত, ইনডিয়া, পাকিস্তান বা নেপালে কত। কিছু খবর আমাদের কানে আসে। শুনি যে, আমাদের বাজারে যখন শনৈশনৈ দাম বাড়ে তখন আশপাশের সব দেশের বাজার স্থিতিশীল। এমনকি পাশের পশ্চিমবঙ্গেও। কিন্তু আমাদের কোনো মিডিয়াই বলে না, পশ্চিমবঙ্গে মানুষ কত টাকায় চাল, ডাল, আটা কেনে। কেন আমরা তাদের থেকে বেশি দাম দিতে বাধ্য হই। কেন আমাদের সামনে একটাই দোহাই। আগে শোনা যেত, সিন্ডিকেটের কথা। হোলসেল ব্যবসায়ীদের চক্রের কথা। কিন্তু এখন দুর্নীতি বিরোধী মচ্ছবের সময়, সে সব কথাও কেমন ফিকে হয়ে এসেছে। এখন দেশে কোনো সিন্ডিকেট নাই। অশুভ ব্যবসায়িক চক্র নাই। কালোবাজারী, মুনাফাখোর নাই। এখন দাম এমনেই বাড়ে। কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? কুনো সমস্যা নাই। আন্তর্জাতিক বাজার আছে না?
চাপিয়ে দাও। কিছু দিন নিরাপদে থাকো।
আন্তর্জাতিক বাজারের দাম বাড়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধির কথাও কেউ বলে না। কেউ বলে না, আমেরিকার বাজার ইনডিয়ার বাজার করনেওয়ালারা মাসে কত পান, দিনে কত টাকার বাজেট করেন। কোনো কিছুর সঙ্গে কোনো কিছুর সম্পর্ক নাই যেন। বাজারে গিয়ে কুলাতে পারছো না? দোষ তোমারই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে খবর রাখো না কেন?
এখন আন্তর্জাতিক বাজারের হাত থেকে আমাদের নিস্তার মিলবে কেমনে? যাদের মাথায় আন্তর্জাতিক বাজার বসত গেড়েছে তাদের মাথা ধোলাই করতে হবে। নইলে তাদের মাথা সমেত দূরে কোথাও পাঠিয়ে দিতে হবে।
অন্য উপায় আছে, আমাদের বাঁচার?
আর এক আপদ হলো, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরা কারা? এরা আমাদের দেশে বসবাসরত প্রভু। সাউথ এশিয়া কোম্পানি। আন্ডার সেক্রেটারি, আর এসিট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি। দয়াবান দাতা গোষ্ঠী, আদতে সুদী কারবারের মহাজন, ঋণ দাতা গোষ্ঠী। এরা কখনো ব্যাংক, কখনো রাষ্ট্রদূত, কখনো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কখনো আন্তর্জাতিক বিবেকের প্রতিনিধি। দেশের এমন কোনো ইস্যু নাই যাতে এদের পক্ষে ও বিপক্ষে একটা করে বিবৃতি নাই। নির্বাচন দ্রুত হতে হবে/ নির্বাচন সরকার ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে হবে : দুই বিষয়েই এদের বিবৃতি আছে। জরুরি অবস্থা দ্রুত তুলতে হবে/ হবে না : দুই বিষয়েই এদের মত আছে। সরকারের সমালোচনাও আছে সমর্থনও আছে। এরা শেষ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়ার ওপর গভীর নজর রাখে আবার গণতন্ত্রের পথে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে। মানবাধিকার লংঘিত যাতে না হয় তার জন্য সদা তৎপর। আবার সরকার সমস্যায় থাকলে উদ্ধারের জন্য এক পায়ে খাড়া। আজকে এর বাসায় পার্টি তো কাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক। অমুক এলেন, কথা বললেন। আমরা ভাবলাম, অমুকে চাপে আছে। পরের দিন দেখা গেল পুরাটাই নাটক। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ আর বিভিন্ন কোম্পানির স্বার্থ, ট্রান্সন্যাশনাল কোম্পানির স্বার্থ, আর আমাদের গণতন্ত্রের স্বার্থ সব মিলে মিশে একটা অ্যাবসার্ড নাটক। চলিতেছে, চলিতেই থাকিতেছে।
এদের হাত থেকে মুক্তি নাই। এরাই মুক্তি। এরাই গণতন্ত্র। এরাই সার্বভৗমত্ব।
আমাদের দেশে হাজার রঙের আন্তর্জাতিকের মধ্যে আরেক আন্তর্জাতিক হলো : আন্তর্জাতিক খ্যাতি। কী জিনিশ এটা? ড. ইউনুস না হয় নোবেল পাইছেন। তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি নাই, এইটা কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু এদেশে ডজন ডজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ আছে। বিশ্বব্যাংকের একটা প্রজেক্টে কাজ পেলেই হলো। উনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থনীতিবিদ। দেশের বাইরে দু একটা দেশে জাদু দেখালেই হলো। উনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জাদুশিল্পী। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মিসকিন, অধ্যাপক, সবই এই দেশে আছে ডজন ডজন। এরা দেশের কী কাজে লাগে বুঝি না। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থ দেখাশোনায় তাদের জুড়ি নাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছায় আমাদের ওপর আন্তর্জাতিক বাজার চাপিয়ে দিতে এনারা বেশ উকিলের ভূমিকা পালন করেন। আন্তর্জাতিকের এই দেশে কিন্তু আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন উকিল একজনই। শোনা যায়, বাংলাদেশে শের্ন-কেয়ার্ন-ইউনিকোলসহ ট্রান্সন্যাশনাল কোম্পানির স্বার্থ ইনি দেখাশোনা করেন। ফলে, ইনি আন্তর্জাতিক উকিল। আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনার মেলা। এই আন্তর্জাতিক খ্যাতির সঙ্গে যখন আমাদের বহুদিনের দেশ বিখ্যাত বাম নেতারা ঐক্যের আলোচনা করেন। হাত মিলিয়ে বসে থাকেন তখন মনে হয়, দেশীয় কোনো কিছুর খাওয়া এই দুনিয়ায় আর নাই। এখন যদি কিছু হতে হয়, তবে আন্তর্জাতিকই হতে হবে। দেশের মানুষকে এখন হরেদরে আন্তর্জাতিকই হতে হবে। এছাড়া আর উপায় কী?



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৩৬ টি মন্তব্য
* ২৭৭ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৯ জনের ভাল লেগেছে, ৫ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28775430 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:০৫
comment by: মাঠশালা বলেছেন: হুমমমম
একটা আন্তর্জাতিক মানের লেখা।
০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১০

লেখক বলেছেন: হা হা হা। হি হি
২. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১৮
comment by: শীমুলতা বলেছেন: +
০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
৩. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:২৩
comment by: ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন:

আন্তর্জাতিক একটা +
০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:২৫
comment by: ২য় জীবনানন্দ বলেছেন: চালের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হল যোগানের সমস্যা। বেশ কয়েকবছর আগে আমরা চালের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছিলাম। আজও তা সম্ভব হলে চালের দাম পড়ত। কিন্তু বাড়তি মানুষের চাপে চাহিদা অনুযায়ী যোগান সম্ভব হচ্ছে না।আমি মনে করিনা দাতা দেশ থেকে চাল কিনলেই দাম কমে যাবে। বরং চাল উৎপাদনের একটি ফলপ্রসূ প্ল্যান সরকারকে করতে হবে। হ্যাঁ, অবশ্যই তাতে সময় লাগবে।

'যাদের মাথায় আন্তর্জাতিক বাজার বসত গেড়েছে তাদের মাথা ধোলাই করতে হবে।'

এ কথা ভালো লাগেনি। আপনার অভিযোগগুলো নতুন কিছু নয়। কিন্তু সমস্যা হল-সবাই অভিযোগ করে, সমাধান দিতে পারেনা।আপনিও দেননি।ধোলাই দেয়ার কথা বললেন। আর প্রেসকে আপনার কাছে সব এনে দিতে হবে কেন, ইন্টারনেট থেকে যদি এই ব্লগে লিখতে পারেন তবে অন্যদেশের দ্রব্যমূল্যের দাম জানা কি একেবারে অসম্ভব?

শুভেচ্ছা রইল।
০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

লেখক বলেছেন: আপনার কথাগুলা ভালই।
প্রয়োজন অনুসারে উৎপাদন করতে অনেক নীতি নিতে হয়। কৃষি খাতে বিনিয়োগ করা লাগে। ভর্তুকি দেয়া লাগে। আর বন্যা ঘুর্ণিঝড়ে ফসলহানি হলে বিদেশ থেকে কিনে আগেই মজুদ করা লাগে। এইগুলা যদি কোনো সরকার না বুঝে তাইলে বুঝতে হবে দেশ চালানোর যোগ্যতা তাদের নাই। আপনে যেভাবে সময়ের কথা বলতেছেন, তাতে তো আমাদের এখন চোখ বন্ধ করে অপেক্ষা করে থাকতে হবে। অর্থনীতি নিয়া সবাই চিন্তায় আছে। সেইখানে আপনে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিতেছেন বইলা মালুম হইতেছে।
আমার ধোলাইয়ের পরামর্শ আপনের ভাল লাগে নাই। ভাল না লাগা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আপনে সমস্যা হইলে যখন বলবেন এই সমস্যার কারণ অমুক। তখন তো আপনাকে জিগাবো কেমনে অমুক সেইটা বুঝান। নাকি আমি আপনের ভুল কথাটাকে নিজের মতো কইরা বুঝে নিবো? প্রেসের কাছ থেকে আমি সব কথা দাবি করি নাই। যা দাবি করছি তা অত্যন্ত ন্যায্য। প্রেস যদি দেশী/ বিদেশী ব্যবসায়ী চক্রের প্রতিভূ না হয় তবে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যক এই তথ্যগুলা অনেক আগেই তারা এনে দিত।
আপনের কথার মানে দাঁড়াইলো এই রকম : আমি বললাম, জিনিশের দাম বাড়ার জন্য আন্তর্জাতিক বাজার দায়ী। এখন আপনে বুইঝা নেন কেমনে দায়ী।
আমি যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্লগ লিখতে পারি অতএব আমি কেন এই তথ্য জোগাড় করি না। দেশের লাখ লাখ মানুষ পেপার পড়ে, টিভি দেখে এদের এই তথ্য বুঝাইবে কেঠা?
৫. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪২
comment by: মিরাজ বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।


আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলিতে শাসক গোষ্ঠীর (যখন যে থাকে) মুনাফা রাখার জন্য আন্তর্জাতিকতার আশ্রয় না নিলে কি চলে?

০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ মিরাজ ভাই।
৬. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১০
comment by: সত্যদা বলেছেন: এখন দুর্নীতি বিরোধী মচ্ছবের সময়, সে সব কথাও কেমন ফিকে হয়ে এসেছে। এখন দেশে কোনো সিন্ডিকেট নাই। অশুভ ব্যবসায়িক চক্র নাই। কালোবাজারী, মুনাফাখোর নাই। এখন দাম এমনেই বাড়ে। কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? কুনো সমস্যা নাই। আন্তর্জাতিক বাজার আছে না?
চাপিয়ে দাও। কিছু দিন নিরাপদে থাকো।


++
০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২১
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক বিষয়টা খুব লাগসই। স্থানীয় কথা বলে কাজ করে দুর্নাম কুড়াবে নাকি?
০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

লেখক বলেছেন: হ। ঠিকই বলছেন বস।
আপনাদের বইটা নিছি। ২৮ তারিখে।
৮. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৮
comment by: আরিফ জেবতিক বলেছেন: থিমটিতে মজা পেয়েছি , ভাবনার খোরাকও ।

শুভেচ্ছাসহ
আরিফ জেবতিক
(আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্লগার)
০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

লেখক বলেছেন: আরিফ ভাই,
অনেক ধন্যবাদ।

ইতি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি বিরোধী ব্লগার।
৯. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: দারুণ লেখা , আন্তর্জাতিক শব্দটা আসলেই আতঙ্কজনক হয়ে উঠেছে । আন্তর্জাতিকে দাম বাড়ে/কমে , কিন্তু আমাদের জাতীয় মার্কেট(নাকি তার প্রভুরা) কেবল বাড়ানোর অপেক্ষাতেই থাকেন , কে জানে ১ পয়সা বাড়লে তারা ২০ পয়সা চাপিয়ে দেন কিনা । কিন্তু আন্তর্জাতিক লেভেল কখন একটু পড়ে যায় , সেখবর তারা আমাদের দেন না।

একদম ঢাকার পাড়ায় নামিয়ে নিয়ে আসি । অলিতে গলিতে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হাস্যকর ব্যাপার স্যাপার, বাংলাদেশীর বাইরে এমনকি একটা রোহিঙ্গাকেও যদি স্কুলের দারোয়ান রাখতো , তাও বুঝতাম , ঠিক আছে বাবা ,এই তোমাদের ইন্টারন্যাশনাল নমুনা । "বেকহ্যাম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল" নয়তো "ডিকশনারি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল" । ইংলিশ শব্দের সাথে একটা ইন্টারন্যাশনাল লাগিয়ে যারা দু'রুমে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গজিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করেন , তারাও ধরে ফেলেছেন ছোটখাটো "কলাবাগান কোম্পানি" বা "খিলগাঁও কোম্পানি" কি করে প্রতিষ্ঠা করতে হয় ।

আন্তর্জাতিক শব্দের কোপানল থেকে আমাদের মুক্তি নাই
০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

লেখক বলেছেন: সবচেয়ে মজার হলো : ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
১০. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: বই কেমন হইছে জানায়েন।
০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

লেখক বলেছেন: অবশ্যই। লিখে।
১১. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
comment by: স্রোত বলেছেন:
বস!
এইডা কী লেখছেন! :)

পুরা আগুন। পুরা আগুন।

বেস্ট পোস্ট অফ দ্য ডে!

পেলাস দিয়া নিজেরে সম্মানিত করলাম। +
০২ রা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৭

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
১২. ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩৩
comment by: আন্ধার রাত বলেছেন:

+5

"কোনো কিছুর সঙ্গে কোনো কিছুর সম্পর্ক নাই যেন। বাজারে গিয়ে কুলাতে পারছো না? দোষ তোমারই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে খবর রাখো না কেন?"

দারুন বস্!

০২ রা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৯

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট, বস।
১৩. ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:১৭
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীর নীতি হইলো চোরেরে কয় চুরি কর গেরস্থরে কয় ধরো ধরো,নয়া কিসু না,আমাগো আন্তর্জাতিক সরকারও এই তাল ধরসে,সিন্ডিকেটরেও তাল দেয় পাবলিকরেও ঢোল দেয়।
মেহরাবের কথায় মনে পড়লো,রাস্তায় কয়দিন আগে বিল গেটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নামে ১খান দেখলাম।
০২ রা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৩

লেখক বলেছেন: তারা যা কয় আর যা করে তার মধ্যে তফাৎ আছে। ভোক্তা অধিকার আইন করে না কেন তা হলে?
১৪. ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৫৩
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ব্যাপার না ফারহান , সেদিন দেখলাম ers international school .
শান্তিনগর চৌরাস্তায় । একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম ers means einstein, rabindranath , shakespeare .আমাদের এলাকার সবচেয়ে নামকরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল বিএ পাশ , এক লাইন ইংরেজি বলতে ৩ টা ভুল করেন। সাম্প্রতিক খবর হলো ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি(!!!!!!) থেকে তিনি পিএইচডি করতে যাচ্ছেন । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে অনেক অনুরোধ করে ডক্টর হতে রাজি করিয়েছেন (ঠিকই তো এত টাকাওয়ালারা ডক্টর হবে না তো কে হবে ??)। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো উনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন একটা হোমরা চোমরা হয়ে যাবেন ।

সারা বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশে হূমড়ি খেয়ে পড়তো যদি জানতো ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অথবা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কথা। বাংলাদেশ ছাড়া এগুলো আর কোথাও কি আছে ?
০২ রা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৫

লেখক বলেছেন: ব্যাপক মজার হইতেছে তাইলে আন্তর্জাতিক নিয়া।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এইগুলার বহুল প্রচার দরকার।
১৫. ০২ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৪৯
comment by: কোলাহল বলেছেন: সব পড়া শেষ করে ভাবছি এই লেখাটাও কোন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা।
০৩ রা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১৫

লেখক বলেছেন: হা হা হা।
১৬. ০৩ রা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১৭
comment by: হলদে ডানা বলেছেন: আপনার লেখা যেহেতু, পড়তেই হয়। কিছু ভাবনার খোরাক পাব নিশ্চয়ই। তবে এখন না। পর্যবেক্ষণ।
০৩ রা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২১

লেখক বলেছেন: এখন পড়বেন না?
ব্যাপার না। পরে পড়ে জানাবেন। ধন্যবাদ।
১৭. ০৩ রা মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২০
comment by: অনিশ্চিত বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা আমরা এখন যে কোনোকিছুতেই আন্তর্জাতিক দোহাই দিতে পারি।
০৬ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:১২

লেখক বলেছেন: হ। আমাদের দোহাই দেয়ার গ্লোবালাইজেশন ঘটছে।
১৮. ০৫ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৩৪
comment by: জাহিদ সোহাগ বলেছেন: সংগ্রামে তাহাদের ভরসা নাই। এনজিও'র চাকরি, সাংবাদিকতা আরও কত কাহিনীর মইধ্যে থাইকা ইনটেলেকচুয়াল হইয়া এমন প্রগতির ফাল দেই... আমরা ব কলম হ্যাচিনা-খ্যালিদা'র পূর্বসূরীদের গুতা খাইছি, তাদোডা অহন খাই, হ্যাগো পোলাপানগোডাও খামু ইনশাল্লা।
কারণ তাহাদের সাম্যবাদ ঘাস খায়। কনদি দ্যাশে কয়খান রাঙ্গা-পাট্টি আছে?
০৬ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:১৪

লেখক বলেছেন: ভাল বলছেন। এনাদের শুদ্ধি কবে হবে?

No comments:

Post a Comment