Tuesday, March 3, 2009

ডরিস লেসিংয়ের নোবেল বক্তৃতা

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৫১
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

গত ৭ ডিসেম্বর সুইডেনে নোবেল উৎসবে যোগ দেয়ার কথা ছিল ডরিস লেসিংয়ের। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে উৎসবে যোগ দিতে পারেননি তিনি। সরাসরি বক্তৃতাও দিতে পারেননি। আয়োজকরা তার অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেয়ার পর সবার মনে সেই পুরনো কথাটাই নতুন করে উকি দিয়েছে। বড় দেরিতেই তাকে পুরস্কারটি দেয়া হলো। লেসিংয়ের বয়স এখন ৮৮। ডাক্তাররা তাকে ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছেন। ফলে লন্ডনে গিয়েই তার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডিশ একাডেমি। কিন্তু ৭ তারিখে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেয়ার রীতি অনুযায়ী ডরিস লেসিংয়ের নোবেল বক্তৃতাটি পড়ে শোনানো হয়। ডরিস লেসিং এ বক্তৃতায় তুলে এনেছেন বইয়ের প্রতি বঞ্চিত মানুষের তীব্র আগ্রহের কথা। তিনি আফ্রিকার রডেশিয়ায় তার বেড়ে ওঠার স্মৃতিচারণ করেছেন যেমন, তেমনি বর্তমানে জিম্বাবুয়ে বলে পরিচিত দেশটির আত্মার সন্ধান দিয়েছেন তার এ বক্তৃতায়। অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা আর শুভবোধের অপূর্ব এক সংমিশ্রণে তিনি আজকের পৃথিবীকে শুনিয়েছেন এমন এক বাণী, যা শুনলে বিস্মিত হতে হয়। দীর্ঘ বক্তৃতায় বইয়ের জন্য আফ্রিকার তৃষ্ণা নিয়ে তিনি যা শুনিয়েছেন তা মানুষকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলবে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, লেখকরা এ বক্তৃতা থেকে এমন কিছু পাবেন, যা হয়তো বহুশ্রুত কিন্তু এখন, এ সময়ে তা নতুন করে মনে করার ভীষণ দরকার আছে। বক্তৃতার শিরোনাম : অন নট উইনিং দি নোবেল প্রাইজ। বক্তৃতাটি পড়ে শোনান তার বৃটিশ প্রকাশক নিকোলাস পিয়ারসন। লেসিংয়ের বক্তৃতাটির প্রথম অংশ যায়যায়দিনের পাঠকদের জন্য অনুবাদ করা হলো।
ডরিস লেসিংয়ের জন্ম ১৯১৯ সালের ২২ অক্টোবর। তৎকালীন পারস্য অর্থাৎ বর্তমান ইরানের কেরমানশাহতে। তার বাবা ক্যাপ্টেন আলফ্রেড টেলর ও মা এমিলি মড টেলর দুজনই বৃটিশ। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশগ্রহণের এক পর্যায়ে তার বাবা ব্যাংকের কাজের সূত্রে ইরান যান। সেখানেই লেসিংয়ের জন্ম হয়। পরে আফ্রিকার রডেশিয়াতে যান সপরিবারে।
সেখানে লেসিংয়ের শৈশব কাটে।
ডরিসের কাজকে মুখ্যত তিন ভাগে ভাগ করা হয় : কমিউনিস্ট থিম, সাইকোলজিকাল থিম ও সুফি থিম। ১৯৪৯ সালে লেসিংয়ের প্রথম উপন্যাস দি গ্রাস ইজ সিংগিং প্রকাশিত হয়। ১৯৬২ সালে তার সবচেয়ে আলোচিত উপন্যাস দি গোল্ডেন নোটবুক প্রকাশিত হয়। নারীর অন্তর্গত অভিজ্ঞতা ও যৌন পরিচয় নিয়ে লেখা উপন্যাসটিকে একটি মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার অন্যান্য আলোচিত কাজ সিকাস্তা (১৯৭৯), দি মেকিং অফ দি রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর দি প্লানেট এইট (১৯৮২) ও দি গুড টেররিস্ট (১৯৮৫)।

# অন নট উইনিং দি নোবেল প্রাইজ #
আমি দাড়িয়ে আছি একটি দরজায়। তাকিয়েছি উড়ন্ত ধুলার মেঘের ভেতর দিয়ে। কারণ আমাকে বলা হয়েছিল, এখনো ওইখানে আস্ত একটা বন রয়ে গেছে। গতকাল আমি মাইলের পর মাইল রাস্তা গাড়ি চালিয়ে এসেছি। চারদিকে শুধু কাটা পড়া গাছের গুড়ি, পুড়ে খাক হওয়া গাছের অবশেষ। এ জায়গাতেই ১৯৫৬ সালে আমি সুন্দরতম অরণ্য দেখেছিলাম। সব ধ্বংস হয়ে গেছে। লোকের খাবার লাগে, তারা আগুন জ্বালাবার কাঠ সংগ্রহ করেছে।
এটা আশির দশকের উত্তর-পশ্চিম জিম্বাবুয়ের ঘটনা। আমি এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বন্ধুটি লন্ডনে এক স্কুলে পড়াতো। তিনি এখানে গেছেন ‘আফ্রিকাকে সহায়তা করতে’, এভাবেই বলি আমরা। তিনি আদর্শবাদী সজ্জন ব্যক্তি, এখানকার স্কুলে এসে তিনি যা দেখলেন, তাতে ভীষণ আহত ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। এ অবস্থা থেকে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো খুব কঠিন। স্বাধীনতার পর তৈরি হওয়া অন্য স্কুলগুলোর মতো ছিল এ স্কুলটিও। পাশাপাশি চারটি ইটের ঘর, পুরো ধুলার মধ্যে রাখা, এক দুই তিন চার, শেষ মাথায় একটা অর্ধেক রুমÑ এটাই লাইব্রেরি। কাসরুমে ব্ল্যাকবোর্ড ছিল, কিন্তু বন্ধু চক রাখতো পকেটে। নইলে চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। কাসরুমে নেই কোনো ম্যাপ, কোনো গ্লোব, কোনো পাঠ্যবই, কোনো অনুশীলন বই, লাইব্রেরিতে নেই শিক্ষার্থীদের পড়ার মতো কোনো বই। আছে আমেরিকার ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে দেয়া মোটা মোটা বই, যেগুলো বহন করাও কঠিন। সাদাদের লাইব্রেরি থেকে বাতিল করা বই। গোয়েন্দা কাহিনী। যেগুলোর নাম হয়তো উইকএন্ড ইন প্যারিস বা ফেলিসিটি ফাইন্ডস লাভ।
একটি ছাগল হলদে ঘাস থেকে খাবার খুজে নেয়ার চেষ্টা করছে। হেডমাস্টার স্কুল ফান্ড তসরুপ করে চাকরি হারিয়েছেন। এখানে আমাদের সবার মনে একই প্রশ্ন জাগে : কিভাবে একজন মানুষ এ রকম আচরণ করতে পারে, যেখানে তিনি জানেন সবার চোখ তার দিকেই?
আমার বন্ধুর তেমন পয়সাপাতি ছিল না। কারণ যখনই সে বেতন পেতো তখনই ছাত্র-শিক্ষক সবাই ধার চেয়ে নিতো। সেগুলো হয়তো কখনো ফেরত আসবে না। শিক্ষার্থীদের বয়স ৬ থেকে ২৬। যারা আগে পড়ালেখা করতে পারেনি তারা এখন সেটা করে নিতে আগ্রহী। পথে বৃষ্টি হোক কি রোদ, কিছু শিক্ষার্থী প্রতি সকালে মাইলের পর মাইল পথ হাটে, নদী পার হয়ে আসে। তারা হোমওয়ার্ক করতে পারে না। কারণ গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। একটা জ্বলন্ত কাঠের আলোয় পড়াশোনা করা কঠিন। বাড়িতে ফিরে মেয়েদের পানি আনতে হয়, রান্না-বান্না করতে হয়। এ কাজ সারতে হয় স্কুলে যাওয়ার আগেও।
বন্ধুর রুমে আমার বসে থাকার সময় লোকজন লজ্জা সহকারে ভেতরে আসছিল। তাদের প্রত্যেকে বই চাইলো। একজন বললো, ‘আপনি লন্ডনে গেলে আমাদের জন্য বই পাঠাবেন। ওরা আমাদের পড়তে শিখিয়েছে কিন্তু আমাদের পড়ার কোনো বই নেই।’ যার সঙ্গেই আমার দেখা হয়েছে প্রত্যেকে বই চেয়েছে।
আমি ওখানে কিছু দিন ছিলাম। ধুলা উড়ে যাচ্ছিল, পানি কমে আসছিল। পাম্পগুলো ভেঙে গেছে। মেয়েরা আবার নদী থেকে পানি আনছিল। লন্ডন থেকে যাওয়া আরেক আদর্শবাদী শিক্ষক কাকে স্কুল বলে এটা দেখেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। একদিন শিক্ষা পর্বের শেষ দিনে একটা ছাগল জবাই করা হলো। সেটা কেটে বড় একটা পাতিলে ওঠানো হলো রান্নার জন্য। এটাই হলো শিক্ষা পর্ব শেষ করার একটা রেওয়াজ। একটা সেদ্ধ ছাগলের মাংস আর পরিজ সহকারে ভোজ আয়োজন। এ উৎসব যখন চলছিল তখন আমি আবার গাড়িতে করে সেই কাটা গাছের গুড়ি আর পুড়ে যাওয়া বনের মধ্য দিয়ে ফিরছিলাম।
আমার মনে হয় না, এ স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী পুরস্কার পাবে।
পরের একদিন আমি গিয়েছিলাম উত্তর লন্ডনের নামী এক স্কুলে। স্কুলের নামটা বেশ পরিচিত। ছেলেদের স্কুল। সুন্দর বিল্ডিং, বাগান ঘেরা।
প্রত্যেক সপ্তাহে এখানে নামিদামি ব্যক্তিরা সফরে আসেন। আর এটা হতেই পারে যে এদের অনেকের বাবা, আত্মীয় এমনকি মা-ই সেই সেলিব্রেটি। ফলে নামিদামি কোনো ব্যক্তির সফর কোনো বড় ঘটনা নয় তাদের কাছে।
ধুলায় ধূসর উত্তর জিম্বাবুয়ের সেই স্কুলের কথা আমার মনে ছিল। আমি এ মৃদু চাহিদার মুখগুলোর দিকে তাকালাম। তাদের বলার চেষ্টা করলাম, গত সপ্তাহে জিম্বাবুয়েতে আমি কি দেখেছি। বইপত্র, পাঠ্য বই, অ্যাটলাস এমনকি দেয়ালে সাটা একটি ম্যাপবিহীন কাসরুম। সেখানকার শিক্ষকরা কিভাবে শিক্ষা দিতে হয় তা শিখতে বই চেয়ে পাঠায়, ১৮-১৯ বছরের শিক্ষার্থীরা বই ভিক্ষা করে। আমি এ ছেলেদের বললাম, সেখানকার সবাই বই ভিক্ষা চায়। বলে, ‘আমাদের জন্য বই পাঠান।’ আমি নিশ্চিত, কথা বলার সময় আমি যে মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে আছি সেগুলো শূন্য, অভিব্যক্তিহীন। আমি কি বলছি শ্রোতারা তা শুনতে পাচ্ছে না। যে বিষয়ে বলা হচ্ছে তার কোনো ছবিই তাদের মনে উকি দিচ্ছে না। এখানে সে ছবিটা হলো : ধুলার মেঘের ভেতর এক স্কুল। যেখানে পানি কমে আসছে। শিক্ষা পর্ব শেষে একটা ছাগল জবাই করে বড় পাতিলে রান্না করার মাধ্যমে শেষ হয় একটি টার্মের।
এ তীব্র দারিদ্র্য বোঝা কি তাদের জন্য সত্যিই খুব কঠিন?
আমি বেশ চেষ্টা করলাম। তারা বেশ ভদ্র।
আমি নিশ্চিত, এ দলে অনেকেই আছে যারা পুরস্কৃত হবে।
কথা শেষে আমি শিক্ষকদের সঙ্গে বসলাম, যা আমি সবসময় করি। শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করলাম, লাইব্রেরিটা কেমন, ছাত্ররা পড়ে কি না। এখানে এ উন্নত স্কুলে আমি যা শুনলাম তা সব স্কুলেই শুনি। এমনকি কোনো ইউনিভার্সিটিতে গেলেও একই কথা শুনতে হয়। ‘আপনি তো জানেনই, অনেক ছেলে কখনো পড়ে না। লাইব্রেরির অর্ধেকটা অব্যবহৃত পড়ে থাকে। আপনি তো জানেন ব্যাপারটা।’ হ্যা, আমরা জানি ব্যাপারটা কেমন। সবাই জানি।
আমরা এমন এক ভগ্ন সংস্কৃতির মধ্যে আছি যেখানে কয়েক দশক আগেও আমাদের নিশ্চয়তা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এখানে তরুণ-তরুণীরা কয়েক বছরের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে দুনিয়া সম্পর্কে কিছু না জেনেই, কোনো কিছু না পড়েই। শুধু কমপিউটারের মতো কিছু বিশেষ বিষয়ে তারা দক্ষতাটুকুই অর্জন করে।
এ অভূতপূর্ব আবিষ্কারে, এ বিপ্লবে, এ টিভি কমপিউটার আর ইন্টারনেটে আমাদের কি হয়েছে। মানব জাতির জন্য এটাই প্রথম কোনো বিপ্লব নয়। ছাপাখানার বিপ্লব ছিল, যেটা শুধু কয়েক দশকের ব্যাপার ছিল না। বরং এটা ছিল আরো অনেক বেশি সময় দীর্ঘ। এটা আমাদের মানসিকতা আর চিন্তার পদ্ধতিকে পরিবর্তিত করে দিয়েছে। যেমনটা আমরা সবসময় করি, কোনো প্রশ্ন না করে আমরা এর সব কিছুই গ্রহণ করেছি। বলিনি, ‘ছাপা কাগজের আবিষ্কারের পর আমাদের কি হতে যাচ্ছে?’ যেমন করে এখন আমরা একটু দাড়িয়ে এ প্রশ্ন করার অবসর বের করতে পারছি না ইন্টারনেটের সঙ্গে কেমন আছি আমরা, আমাদের মন? ইন্টারনেট একটা পুরো জেনারেশনকে এর অনন্ত পরিসরের মধ্যে টেনে নিয়েছে। এমনভাবে এটি কাজ করে, খুব দায়িত্বশীল ব্যক্তিও স্বীকার করবেন একবার এর সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়লে বের হয়ে আসা খুব কঠিন। তারা হয়তো ব্লগিং-ব্লাগিং করেই পুরো একটা দিন খুইয়ে বসেন।
কিছুদিন আগেও যে কেউ, এমনকি কোনো অল্প শিক্ষিত ব্যক্তিও বিদ্যা অর্জন, শিক্ষা ও আমাদের মহৎ সাহিত্য সংগ্রহ ইত্যাদির প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করতো। আমাদের এটা অবশ্যই জানা, এ অবস্থা যখন ছিল তখন সবাই পড়ার ভান করতো, বিদ্যা অর্জনের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করার ভান করতো। এমন প্রমাণও আছে, খেটে খাওয়া মানুষও বইয়ের জন্য ভালোবাসা দেখাতো। আঠারো ও ঊনিশ শতকের খেটে খাওয়া মানুষের লাইব্রেরি, প্রতিষ্ঠান ও কলেজগুলোতে এর প্রমাণ মিলবে।
বই পড়া ছিল সাধারণ শিক্ষার অঙ্গ। বুড়ো লোকেরা নতুনদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অবশ্যই বুঝতে পারেন বই পড়াটা কি রকম একটা শিক্ষা ছিল। নতুনরা এতোই কম জানে। বাচ্চা যদি পড়তে না পারে, তার মানে এই দাড়ায় যে তারা পড়েইনি।
আমরা সবাই এ করুণ কাহিনী জানি। কিন্তু এর শেষ কোথায় তা আমরা জানি না। আমরা এ পুরনো প্রবাদটা শুনেছি, ‘বই একজন মানুষকে পূর্ণাঙ্গ করে তোলে’, আবার বেশি শুনে ভুলেও গিয়েছি। বই পড়লে মানুষ তথ্য জ্ঞান পায়, ইতিহাসসহ সব ধরনের জ্ঞান লাভ করে।
কিন্তু আমরাই পৃথিবীতে শুধু মানুষ নই। অনেক আগে আমার এক বন্ধু জিম্বাবুয়ে থেকে আমাকে ফোন করেছিল। তারা যেখানে ছিল সেখানকার লোকেরা তিন দিন ধরে খাবার পাচ্ছিল না। কিন্তু তারা কথা বলছিল বই ও শিক্ষা নিয়ে। কিভাবে বই পাওয়া যায় তা নিয়ে।



প্রকাশ করা হয়েছে: অনুবাদ বিভাগে ।



* ২২ টি মন্তব্য
* ২৯৩ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১২ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28751324 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৫৩
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: বাকী অংশ :
আমার একটা ছোট্ট প্রতিষ্ঠান আছে। এটি শুরু হয়েছিল গ্রামে পৌছানোর উদ্দেশ্য থেকে। একদল মানুষ আছে যারা অন্য একটা সূত্রে জিম্বাবুয়ের তৃণমূল পর্যায়ে সফরে গিয়েছিল। তারা একটা রিপোর্ট পাঠিয়েছিল, যা অন্য খবরের সঙ্গে মিলে যায়। বলা হয়েছিল ওখানকার গ্রামগুলো বুদ্ধিমান মানুষে ভরা। রিটায়ার্ড শিক্ষক, ছুটিতে থাকা শিক্ষক-ছেলেমেয়েরা, বয়স্ক মানুষ। আমি একটা ছোট সার্ভে করেছিলাম, যেখানে জানতে চেয়েছিলাম মানুষ কি পড়তে চায়। এতে যে রেজাল্ট এসেছিল ঠিক একই রকম রেজাল্ট এসেছিল একটা সুইডিশ সার্ভে থেকেও। লোকে সেই বই পড়তে চায়, যা ইওরোপের মানুষও পড়তে চায়Ñ সব ধরনের উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, কবিতা, গোয়েন্দা উপন্যাস, নাটক, শেক্সপিয়ার, নিজে করো ধরনের বই, কিভাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এ রকম বইও লিস্টে ছিল। শেক্সপিয়ারের সব বই, তারা নামও জানে। গ্রামের জন্য বই খুজে পাওয়ার একটা সমস্যা হলো তারা জানে না কোনটা সহজলভ্য। ফলে স্কুলের পাঠ্য মেয়র অফ ক্যাস্টারব্রিজই তাদের কাছে জনপ্রিয়। কারণ তারা জানে এটা পাওয়া যায়। অ্যানিমাল ফার্ম আবশ্যিক কারণেই উপন্যাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়।
ছোট সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা যেখান থেকে পারতাম বই সংগ্রহ করতাম। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ইংল্যান্ড থেকে কেনা একটা ভালো পেপারব্যাকের দাম এক মাসের মজুরির সমান। এটা মুগাবের সন্ত্রাসের রাজত্বের সময়ের কথা। এখন মূল্যস্ফীতির ফলে এটা কয়েক বছরের মজুরির সমান হয়ে গেছে। সেখানে জ্বালানির তীব্র সঙ্কট। কোনো এক বক্স বই নিয়ে কোনো গ্রামে যাওয়া মানে ওই বইগুলোকে তারা চোখের জল দিয়ে বরণ করে নেবে। লাইব্রেরি বলতে হয়তো কোনো গাছের নিচে ইটের ওপর একটা তক্তার ঘর। এক সপ্তাহের ভেতর হয়তো আয়োজিত হবে নিরক্ষরদের জন্য কোনো একটা কাস। পড়াশোনা জানা লোকেরা পড়াশোনা না জানা লোকদের শিক্ষা দেবে। কোনো একটা প্রত্যন্ত গ্রামে হবে নাগরিক কাস। যেহেতু টঙ্গায় কোনো উপন্যাস নেই সেহেতু কয়েকটি ছেলে টঙ্গায় উপন্যাস লিখতে বসেছে। জিম্বাবুয়েতে এ রকম ছয়টি ভাষা আছে। আর ছয়টি ভাষায়ই উপন্যাস আছে। সেগুলো সহিংস, অযাচারমূলক, অপরাধ ও খুনের কাহিনী।
আমাদের ছোট সংগঠনটি শুরু থেকে নরওয়ে ও সুইডেনের সমর্থন পেয়ে আসছিল। এ ধরনের সাপোর্ট ছাড়া হয়তো আমাদের বইয়ের সংগ্রহ কোথাও পৌছানোর ব্যবস্থা করা যেতো না। জিম্বাবুয়েতে প্রকাশিত বইগুলোও, নিজে করো ধরনের বইসহ সবই পাঠানো হতো চাহিদা অনুসারে।
বলা হয়ে থাকে, জনগণ যে ধরনের সরকার চায়, তা-ই পেয়ে থাকে। কিন্তু আমার মতে, জিম্বাবুয়েতে এ রকম ঘটেনি। আমার অবশ্যই মনে আছে বইয়ের জন্য এ শ্রদ্ধা ও তৃষ্ণা মুগাবের রাজত্ব থেকে আসেনি বরং তার আগের সাদাদের কাছ থেকে এসেছে। এটা এক অবাক করা ব্যাপার যে, বইয়ের জন্য এ তৃষ্ণা কেনিয়া থেকে শুরু করে উত্তমাশা অন্তরীপ পর্যন্ত সর্বত্রই দেখা যায়।
এর সঙ্গে হয়তো একটি বিষয়ের যোগ আছে : আমি বড় হয়েছিলাম একটা শুকনো খড়ে ছাওয়া মাটির ঘরে। এ ধরনের ঘর ওইসব জায়গাতেই তৈরি হয়, যেখানে ঘাস বা বিচারি, কাদা, পাকা খুটি পাওয়া যায়। যেমন স্যাক্সন ইংল্যান্ড। আমি যেটিতে বড় হয়েছি, সেটি ছিল পাশাপাশি চারটি রুমের বাড়ি, একটি রুম নয়। আর এটি ছিল বইয়ে ভরা। আমার বাবা-মা শুধু ইংল্যান্ড থেকে আফ্রিকায় বই বয়ে নেননি, আমার মা ছেলেমেয়েদের জন্য ইংল্যান্ড থেকে নতুন বই আনাতেনও। বই আসতো বড় বাদামি পার্সেলে। এগুলো আমার তারুণ্যের খুব আনন্দদায়ক ব্যাপার ছিল। একটি মাটির কুড়ে, পুরো বইয়ে ভরা।
কোনো কোনো সময় আমি গ্রামের লোকদের চিঠি পাই। যেখানে হয়তো বিদ্যুৎ নেই, পানির সরবরাহ নেই। ঠিক আমাদের ঝাপসা হয়ে যাওয়া সেই কুড়ের মতো ঘরে থাকে তারা। ‘আমিও একজন লেখক হতে চাই। কারণ আপনি যে রকম ঘরে থাকতেন সেই একই রকম ঘরে আমিও থাকি।’
কিন্তু এখানে একটা সমস্যা আছে। না।
লেখা, লেখক কখনো সেসব বাড়ি থেকে বের হয় না যেখানে বই নেই।
এটাই একটা সমস্যা। এটাই সেই তফাৎ।
আমি আপনাদের কিছু নোবেল বক্তৃতা দেখছিলাম। ধরুন, অনন্য সাধারণ পামুকের কথা। তিনি বলেছেন, তারা বাবার ১,৫০০ বই ছিল। তার প্রতিভা বাতাস থেকে আসেনি। তিনি একটা মহৎ ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন।
ধরুন ভি এস নাইপলের কথা। তিনি উল্লেখ করেছেন, ইনডিয়ান বেদ তার পরিবারের স্মৃতিতে খুব উজ্জ্বল হয়ে ছিল। তার বাবা তাকে লিখতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি ইংল্যান্ডে গিয়ে অধিকার পেয়েই বৃটিশ লাইব্রেরি ব্যবহার করেছেন। ফলে তিনিও মহৎ একটা ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন।
ধরুন জে এম কোয়েটজির কথা। তিনি শুধু একটা মহৎ ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত নন, তিনি নিজেই একটা ঐতিহ্য। কেপ টাউনে তিনি সাহিত্য পড়ান। আমার দুঃখ যে, আমি কখনোই তার চমৎকার, সাহসী মন নিয়ে পড়ানো সেসব কাসে ছিলাম না।
লিখতে হলে, সাহিত্য সৃষ্টি করতে হলে লাইব্রেরি, বই আর ঐতিহ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়।
আমার এক জিম্বাবুয়ের কালো বন্ধু আছে। তার বর্ণটাই এখানে প্রসঙ্গ। সে নিজেকে পড়তে শিখিয়েছে জ্যামের কৌটার লেবেল, ফলের বক্সের লেবেল থেকে। সে যেখানে বড় হয়েছে সেটা কালোদের একটা গ্রাম। সেখানে গিয়েছিলাম আমি। মাটি রুক্ষ আর পাথুরে। ছোট ছোট ঝোপ। কুড়েগুলো গরিব, যেন এর চেয়ে অযতেœর আর কিছু হতে পারে না। আমি যেমন বলেছি, সে রকমই এক স্কুল। সেখানে সে ময়লার স্তূপের মধ্যে ছোটদের একটা এনসাইকোপেডিয়া পেয়েছিল। এটা থেকেই শিখেছে সে।
১৯৮০-এর স্বাধীনতার পর জিম্বাবুয়েতে ভালো লেখকদের একটি দল ছিল। তারা সত্যিই ছিল গানের পাখি। তাদের
উত্থান ঘটেছিল সাউথ রোডেশিয়ায়
সাদাদের তত্ত্বাবধানে। মিশন স্কুলের মতো ভালো স্কুল থেকে। লেখকরা জিম্বাবুয়েতে তৈরি হয়নি। এতো সহজে মুগাবের অধীনে তৈরি হয়নি।
একা একা লেখক হতে যাওয়া সব লেখকের স্বাক্ষরতা শেখার নিজস্ব কঠিন পদ্ধতি আছে। আমি বলবো, জ্যাম টিনের ছাপা অক্ষর বা বাতিল এনসাইকোপেডিয়া খুব অপরিচিত কোনো ব্যাপার নয়। যেখানে আমরা কথা বলছি এমন লোকদের বিষয়ে, যারা আদর্শ একটি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে অনেক দূরে আছে। একটি কুড়েঘর। সেখানে ছেলেমেয়েতে ভরা। কাজের চাপে নুয়ে পড়া একজন মা। খাদ্য ও পোশাকের জন্য তীব্র লড়াই।
এতো অসুবিধার পরও লেখকরা বের হয়ে আসছে। আর এখানে আরো একটি বিষয় স্মরণ করার আছে। এই হলো জিম্বাবুয়ে, যা সরাসরি ১০০ বছর আগে শাসিত হয়েছে। এ লোকদের দাদা-দাদি নিশ্চয়ই তাদের গোষ্ঠীতে গল্প কথকদের দেখেছে। কথ্য সংস্কৃতি। একটি প্রজন্ম থেকে আরেকটিতে এ গল্প প্রবাহিত হয়েছে। তারপর ছাপা অক্ষরে, বইয়ে সেটি প্রকাশিত হয়েছে। এটা চরম সার্থকতা।
সাদা মানুষের দুনিয়ায় বই হলো আবর্জনার স্তূপ। কিন্তু এমন বইও তো আছে, যা কেবল পাতার পর পাতা সাজানো। হয়তো টাইপ করা নয়। এর জন্য এখনো প্রকাশক দরকার। আফ্রিকার প্রকাশনা জগতের
অনেক ছবিই আমার কাছে আছে। এমনকি উত্তর আফ্রিকার উন্নত ও ভিন্ন ঐতিহ্যের চিত্রও এর চেয়ে আলাদা কিছু নয়। প্রকাশনা নিয়ে কথা বলার মানে হলো, সম্ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে কথা বলা।
আমি এখানে এমন বইয়ের কথা বলছি, যা লেখা হয়নি। লেখকরা লিখতে পারেননি। কারণ প্রকাশক নেই। অশ্রুত কণ্ঠস্বর। প্রতিভা ও যোগ্যতার এ অপচয় মাপার কোনো উপায় নেই। কিন্তু তারও আগে একটা বই যখন প্রকাশক খোজে, তারও আগে একটা বড় অগ্রসর বিষয়ের অভাব ঘটে।
লেখকদের প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হয়, কিভাবে লেখেন? কোনো প্রসেসরের সাহায্যে? টাইপ রাইটার? পাখির পালক? হাতে? কিন্তু জরুরি প্রশ্ন হলো ‘আপনার কি এমন জায়গা আছে, এমন কোনো ফাকা জায়গা আপনার চারপাশে আছে, যেখানে বসে আপনি লিখতে পারেন? এমন একটা জায়গা যেখানে আপনি মনোযোগ দিতে পারবেন, একাগ্র হতে পারবেন, শব্দগুলো আপনার মধ্যে আসবে, সেই শব্দে আপনার চরিত্রগুলো কথা বলবে। আইডিয়া ও অনুপ্রেরণা কাজ করবে।
লেখক যদি এ রকম কোনো জায়গা না পান তবে কবিতা-গল্প জন্মাতে পারবেন না।
যখনই কোনো লেখকের সঙ্গে কোনো লেখকের কথা হয়, তারা একে অন্যকে এ জায়গাটির কথাই বলেন। ‘এটা আপনি খুজে পেয়েছেন নাকি প্রথম থেকেই এটা আপনার ছিল?’
এখন যাওয়া যাক একেবারে ভিন্ন একটি পরিস্থিতিতে। আমরা লন্ডনে খুব বড় একটি শহরে। একজন নতুন লেখক সম্পর্কে আমরা অসুস্থের মতো জানতে চাই, তার স্তন কেমন? সে কি দেখতে সুন্দরী? ছেলে হলে সে কি ক্যারিশমাটিক? হ্যান্ডসাম? আমরা পরিহাস করি, কিন্তু এটি পরিহাসের বিষয় নয়।
এ নতুন আবিষ্কারটিকে প্রচুর স্বীকৃতি দেয়া হবে, মেলা টাকাও দেয়া হবে। তাদের কানে বাজবে পাপারাৎসির ফিসফাস। তারা পৃথিবীর ব্যাপারে ত্যক্ত, বিরক্ত, উচ্চকিত। আমরা বুড়োরা এর সবই দেখেছি, আমরা এ নবিশ নাবালকের জন্য দুঃখ পাই, কি ঘটছে সে সম্পর্কে যার কোনো ধারণাই নেই।
মেয়েটি বা ছেলেটি চমৎকৃত হয়, খুশি হয়। কিন্তু এক বছর পর তাকে জিজ্ঞাসা করুন সে কি ভাবছে? আমি শুনেছি, ‘এটাই সবচেয়ে খারাপ জিনিস, যা আমার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে।’
অনেক প্রচার পাওয়া নতুন লেখক আর কখনোই লেখেনি। অথবা এমন কিছু লেখেনি যা তারা চেয়েছিল বা তারা বোঝাতে চেয়েছিল। আর আমরা বুড়োরা এ নতুনদের কানে কানে এখনো ফিসফাস করতে চাই। ‘তুমি কি খুজে পেয়েছো তোমার স্থান? তোমার সারাংশ, তোমার নিজের দরকারি সেই জায়গা যেখানে তোমার নিজের কণ্ঠস্বর তোমার সঙ্গে কথা বলে উঠবে। একা যেখানে তুমি স্বপ্ন দেখতে পারবে। ধরে রাখো সেই জায়গাটা, চলে যেতে দিও না।’
ভূমিকা ও অনুবাদ : মাহবুব মোর্শেদ
২. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০৪
comment by: মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: ওয়েল ডান ইউ।ধন্যবাদ।
৩. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৩
comment by: মাঠশালা বলেছেন: ৫
৪. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মুয়ীজ মাহফুজ,
ধন্যবাদ।
জুবেরী,
থ্যাংকস।
৫. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:২০
comment by: রকি ভাই বলেছেন: কি, অফিসে কাজ কাম নাই?
এত্ত বড় পোস্ট ছাড়ার টাইম পাইলেন কই?
যাউকগা, আছেন কেমন?
৬. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:২৪
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: রকি, আজকের যায়যায়দিন দেইখেন। কামকাজ করি কিনা বুঝতে পারবেন। আপনার কাম কাজ নাই? সারাদিন নেটেই তো দেখি।
আছি ভাল।
৭. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৭
comment by: রকি ভাই বলেছেন: নেটেই চাকরি করি, নেটই আমার রুটি রুজি,
৮. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: নেটেই নেটিয়াতি করেন, এইটাও বলেন। @ রকি।
৯. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:০৬
comment by: আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: ৫
১০. ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:৫০
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: লেখাটা কিছুটা বড়। তবুও ভাল।
১১. ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৮:৫৩
comment by: অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: একটা কাজের কাজ হইছে।
১২. ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:০৮
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: যাযাদি'তে পড়েছি।
ভালো লেগেছে....৫
১৩. ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:১২
comment by: কালপুরুষ বলেছেন: বেশ পরিশ্রমী লেখা। ভাল লাগলো। অনেক কিছু জানা হলো।
১৪. ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:২৫
comment by: প্রচেত্য বলেছেন: একসিলেন্ট
১৫. ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:১০
comment by: দিগন্ত বলেছেন: বাঃ, লেখা খুবই সুন্দর।
১৬. ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৪৫
comment by: মৃদুল মাহবুব বলেছেন: ৫
১৭. ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: আলী আরাফাত শান্ত, উম্মু আবদুল্লাহ, অন্যমনস্ক শরৎ, সাতিয়া মুনতাহা নিশা, কালপুরুষ, প্রচেত্য, দিগন্ত, মৃদুল মাহবুব :
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৮. ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৫৪
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: বিশাল লেখা , তাও পড়ে শেষ করলাম । ভালো লাগলো
১৯. ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:১৮
comment by: মৈথুনানন্দ বলেছেন: বইয়ের নামটা টাইপো হয়ে গেছে...the grass is singing.

২০. ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২২
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মেহরাব শাহরিয়ার,
ধন্যবাদ।
মৈথুনানন্দ,
থ্যাংকস।
২১. ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:৩২
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: পড়েছি।
২২. ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:০০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফারহান দাউদ,
থ্যাংকস।

No comments:

Post a Comment