Tuesday, March 3, 2009

১. এ পোর্ট্রেইট অফ এ ইয়াং আর্টিস্ট অ্যাজ এ মিডিওকার

২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫২
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

দিনের বেলা ঘরে নিজের কাজ করার খুব একটা সময় পাই না। তাই শুক্রবার রাতটাকেই বেছে নেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো সারার জন্য। এমনকি শুক্রবার দিনটাও নয়। পুরো সপ্তাহের বাজার করে, দিনের প্রায় সবকটা পত্রিকা পড়ে তারপর গোসল ও খাওয়া সারতে সারতে বিকাল হয়ে যায়। তাই রাতই কাজের জন্য ভালো। নয়টা থেকে বারোটা পর্যন্ত টানা লেখার টেবিল, বইয়ের তাক গোছালাম। ইদানিং কাগজে লেখাই হয় না। তারপরও কাগজ-কলম পর্যাপ্ত থাকে টেবিলে। নিউ মার্কেট থেকে নিয়মিত ভাল কাগজের প্যাড আর কলম কিনে এনে সাজিয়ে রাখি। একদিন লেখা আসবে। সেদিন হয়তো দেখাবো কোনো কারণে কম্পিউটারটা কাজ করছে না। অথবা সেদিন হয়তো কম্পিউটার অন করার ইচ্ছাই হলো না। হতাশ হয়ে যাতে টেবিলে ধপ করে বসে পড়তে না হয়, তাই প্রস্তুতি হিসেবে সব সাজানো থাকে। টেবিলে রবীন্দ্রনাথের ছোট একটা প্রোট্রেইট। পাশে লাল শেডের ছোট টেবিল ল্যাম্প। লেখার জন্য লাল শেডটা ক্ষতিকর কি না জানি না। তারপরও রেখেছি। বইয়ের তাক গোছাতে গোছাতে হঠাৎ ডায়রিগুলোর দিকে চোখ চলে গেল। ১৯৯৮ সাল থেকে নিয়ম করে প্রতিদিন ডায়রি লিখি। পর পর সাল অনুসারে সাজানো, নয়টা ডায়রি। ২০০৮-এর ডায়রিটা টেবিলের ওপর রাখা। সন্ধ্যা সন্ধ্যাতেই বাসায় ফিরে আসি। বউয়ের সঙ্গে গল্প করে, খেয়ে প্রতিদিনের অভ্যাস মতো টেবিলে বসি। ডায়রিতে একটা লাইন হলেও নিয়ম করে লেখার অভ্যাসটা হয়েছে। খুব আহামরি কোনো সাহিত্য নয়। শুধু ডায়রিই লিখি প্রতিরাতে। তারপরও বউয়ের এদিকে খুব খেয়াল। এক গ্লাস পানি ঢেকে রেখে, টিভিতে অল্প সাউন্ড দিয়ে আমার ফেরার অপেক্ষা করে। ফোন এলে, বলে উনি একটু ব্যস্ত। একটু পরে ফোন করলে হয়? বউয়ের এই সহযোগিতার কথাটা প্রথম থেকেই আমার খুব পছন্দ। লেখকদের ভাগ্যে এরকম বউ খুব মেলে না। আমার মিলেছে। কিন্তু সেই এক ডায়রিই তো লিখি প্রতিদিন। আর কিছু লিখতে পারি না। বউটা চায় আমি যেন মহৎ কোনো কিছু লিখে ফেলি কোনো এক রাতে। কোনো একটা মিরাকল একদিন ঘটবেই, এটা বিশ্বাস করে মনে প্রাণে। সবচেয়ে বড় কথা, আমিও লেখক হবো বলেই ওকে বিয়ে করেছিলাম। কারণ আমার বই পড়েই ও আমাকে পছন্দ করেছিল। আর আমিও ওকে পছন্দ করেছিলাম, ও লেখক ও লেখা পছন্দ করে বলে। আমি তাক গোছাতে গোছাতে তৃপ্তিকে ডাক দেই। এ শোনো। আসলে আমার মাথায় নতুন একটা আইডিয়া এসেছে। তৃপ্তির সঙ্গে এক্ষুনি শেয়ার করা দরকার। আমি ভুলে গেলেও তৃপ্তি ভুলবে না। কাল বা পরশু রাতে খাওয়ার সময় ঠিক বলে উঠবে, কালকের আইডিয়াটা কিন্তু ভালই ছিল। এক কাজ করো, আজকেই লিখতে বসো। শোনো প্রতিদিন এক পৃষ্টা করে লিখলেও ফেব্রুয়ারি আসতে আসতে ২০০ পৃষ্ঠার বই হয়ে যাবে। কোথায় লিখবে? টেবিল খালি করে দেবো?
আমার ডাক শুনে তৃপ্তি প্রায় ছুটে আসে। ডাকো কেন? তুমি আজকে লেখো না?
না লেখি না। নতুন একটা আইডিয়া আসলো। ভাবলাম তোমার সঙ্গে শেয়ার করি। আমার ডায়রিগুলা দেখছো?
হ্যাঁ। ওই তো। তোমারে পড়েতে দিছিলাম বিয়ের পর, পড়ছিলাম।
পড়বো না। সব একবারে মুখস্ত।
আমি ভাবছি কি জানো, ডায়রিতে লেখা অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে একটা উপন্যাস লিখলে কেমন হয়?
তৃপ্তি কখনো আমার আইডিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে না। এখনও তুললো না। একটু চুপ করে থেমে বললো, ভালই।
মনে হলো তৃপ্তি আইডিয়টা ছিক নিতে পারছে না। আমি বললাম সমস্যা কী?
কী আর সমস্যা তো কিছুই না। কিন্তু তুমি তো লিখবা না আসলে। তোমার মতো লেখক এইরকম করে এতদিন বই বের না করে আছে। প্রতিদিনই তো লিখতে চাও। লেখ কই?
আমি ডায়রিগুলো একে একে সাজিয়ে রাখলাম। কাল থেকে ডায়রিগুলো পড়বো। এখান থেকেই গল্পের সূত্র পাওয়া যাবে। আমি নিশ্চিত। আত্মজৈবনিক উপন্যাস। লেখকের প্রতিটি লেখাই তো আত্মজৈবনিক। সে অর্থে আলাদা করে কোনো কিছুকে আত্মজৈবনিক বলার কোনো যুক্তি নেই। সমালোচকরা অবশ্য একটু নাক কোচকাবে। তাদের জন্য দাঁতভাঙা জবাবও রেডি আছে অবশ্য।
তৃপ্তির সঙ্গে আমার অনেক মিল। মিলগুলোর একটা লিস্ট করেছিলাম একদিন। তৃপ্তি লিস্ট দেখে হাসতে হাসতে অজ্ঞান। বলে, আসলটাই তো বাদ দিচো?
কি? কোনটা বাদ গেছে?
তমাল, তুমি না খুব সাধারণ ব্যাপারগুলো খুব মিস করো। তোমরা লেখকরা এত ভারি ভারি বিষয় নিয়ে ভাবো বলেই হয়তো।
বলো না। বলো,
তোমার আর আমার নামের প্রথম অক্ষর ত।
আমি বোকার মতো বললাম, স্যরি। ভুলে গেছলাম। স্যরি।
ডায়রি থেকে উপন্যাস লেখার আইডিয়া শুনে তৃপ্তি চেয়ারে বসে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। তারপর উঠে গিয়ে টিভিতে খবর শোনায় মন দিয়েছিল। আমি রিডিং রুম থেকে বাতি নিবিয়ে লিভিং রুমে যেতেই সে টিভিটাকে মিউট করে দিল।
তমাল, আমাদের কাহিনীগুলো নিয়ে...
আরে না। আমাদের কাহিনী সেটা কেউ বুঝবে? বলো, বুঝবে? আর হুবহু কিছু থাকবে না। তুমি নিশ্চিত থাকতে পারো।
আচ্ছা আগে লেখা শুরু করো তো। তুমি তো খালি বলো। কিছু তো লেখো না ওই ডায়রি ছাড়া। এবার ডায়রি লেখাও বন্ধ হয় কি না ভাবছি।



প্রকাশ করা হয়েছে: ফিকশন বিভাগে ।



* ৩৮ টি মন্তব্য
* ৩৬৭ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১১ জনের ভাল লেগেছে, ৫ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28764521 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০১
comment by: বিহংগ বলেছেন:
সুপাঠ্য।
আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি , অফ টপিক, ভালো না লাগলে মুছে দিবেন।
এ ব্লগের আর কারো লিখাকি আপনার পছন্দের না?
প্রিয় পোস্টে যে সব আপনারই লিখা।
এরকম আরো কয়েকজনকে আমি দেখেছি।
আমার প্রশ্নটি হ্য়তোবা ভুল হতে পারে, এবং আমার বিশ্বাস এর ভালো জবাব নিশ্চয় আপনার থাকবে।
ভালো থাকবেন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৫

লেখক বলেছেন: শোকেসে নিজের লেখা রাখলে খুব খারাপ দেখায়, তাই না?
২. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৪
comment by: আলোর দিশারী বলেছেন: প্রোট্রেইট মানে কি?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৭

লেখক বলেছেন: বানান ভুল হইছে। স্যরি।
পোর্ট্রেইট।
৩. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৯
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: হুমমমমম..........
আচ্ছা ভাবতাছি,বউ তো এইর'ম পাওয়া যায়......বর কি পাওয়া যায়??????????
পাওয়া গেলে,কিছু লেখার চেষ্টা করা যাইতো!!!এখন তো খালি আলতু-ফালতু কাটাকুটি চলতাসে......ওই অছিলায় যুদি কুনো 'আইডিয়া' আসে! নাই-বা লিখলাম....
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮

লেখক বলেছেন: খুবই চিন্তার কথা।
৪. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১০
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ভালো লাগলো , শেষদিকে একটা আশঙ্কা করছিলাম , এটা আপনার জীবনের সত্য ঘটনা না হয়ে হঠাৎ গল্প হয়ে যাবে কিনা , না এবার সেটা হলো না । গল্পেটাই সত্য হয়ে গেল ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৯

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস। গল্প বানানোর চেষ্টা করছি। দেখা যাক সত্য কাহিনী হয়ে যায় কি না?
৫. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৯
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমার কাছে খোঁজ পেয়ে অনেকেই এ ব্লগে এসেছে ।খেয়াল করেছি , কিছুদিন যাবার পর সবাই মোটামুটি ভালো লেখাগুলো খুঁজে বের করে পড়ে । আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করলাম , এসব লেখকদের কাছে ১ টা মন্তব্য পেলে শতগুণ উৎসাহে নতুন ব্লগাররা লিখতে শুরু করে ।কবিতায় , গল্পে আপনি , অন্যমনস্ক শরৎ , বা শেখ জলিল , স্ম্বতিকথায় মানবী আপু বা অন্য কোন লেখায় রাগিব ভাই ..........(আরও অনেকে , সবার নাম মনে পড়লো না), মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখায় মিরাজ ভাই বা অমি পিয়াল । মেসেন্জারে একবার আমাকে একজন জানালো ........"নির্বাসিত আমার ব্লগে কমেন্ট করে গেছে , মনে হচ্ছে ব্লগে আসাটাই স্বার্থক" ।

আপনাদের দু'একটা প্রশংসা অনেক মূল্য নিয়ে ফিরে আসার ক্ষমতা রাখে ।অপ্রাসংগিক হয়ে গেলো হয়তো , তবুও বিহংগের কমেন্ট পড়ে মনে হলো বলে ফেলি
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০০

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস। ব্যাপারটা নিয়ে আমিও ভাবছি। ধন্যবাদ আপনাকে এবং বিহংগকেও।
৬. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২২
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: মেহরাব ভাই,একদম ঠিক কথা!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০১

লেখক বলেছেন: আমিও একমত।
৭. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪১
comment by: মৃদুল মাহবুব বলেছেন: মাহবুব ভাই, কনগ্যাচুলেশন। কেন দিলাম তা আপনি নিশ্চযই জানের। শুরু করলেন তা হলে.......
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০১

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
৮. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৫
comment by: শেখ জলিল বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা, আমিও লেখক হবো বলেই ওকে বিয়ে করেছিলাম। কারণ আমার বই পড়েই ও আমাকে পছন্দ করেছিল। আর আমিও ওকে পছন্দ করেছিলাম, ও লেখক ও লেখা পছন্দ করে বলে।
....একেই বলে লেখকের বউ ভাগ্য!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০২

লেখক বলেছেন: শুনে খুব ভাল লাগলো, জলিল ভাই।
৯. ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০০
comment by: মিরাজ বলেছেন: এটি কি তরুণ লেখকের আত্মকথন নাকি লেখকের নতুন কোন সৃষ্টি?

যেটাই হোক, ভালো লাগলো ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৩

লেখক বলেছেন: মিরাজ ভাই,
দেখা যাক কী হয়।
১০. ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৫
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: শুরু তো করলেন,মাঝপথে ইন্তেকাল করবে না তো লেখাটা? পড়ছি,অপেক্ষাতে থাকলাম পরেরগুলোর।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৪

লেখক বলেছেন: দোয়া রাইখেন।
১১. ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৬
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: লিখে মনে হলো,এটা কি ধারাবাহিক? নাকি ১টাই? :(
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬

লেখক বলেছেন: এর আগের এরকম উদ্যোগ ইন্তেকাল করছে তাই ধারাবাহিক বলতে ভয় লাগে। অনলাইনেই ইন্সট্যান্ট লিখতেছি।
১২. ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৯
comment by: আহমেদ মুসা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো৷ ব্লগে সবসময় পড়ার মত লেখা থাকে না৷ ধারাবাহিক হয়ে থাকলে পরের পর্বগুলো তাড়াতাড়ি দিন৷
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭

লেখক বলেছেন: তাড়াতাড়ি দেয়ার উপায় নাই। ব্লগে সরাসরি লিখতেছি। থ্যাংকস।
১৩. ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৪৫
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ভালো লাগলো , শেষদিকে একটা আশঙ্কা করছিলাম , এটা আপনার জীবনের সত্য ঘটনা না হয়ে হঠাৎ গল্প হয়ে যাবে কিনা , না এবার সেটা হলো না । গল্পেটাই সত্য হয়ে গেল ।

আমারও তাই মত।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭

লেখক বলেছেন: দেখা যাক।
থ্যাংকস।
১৪. ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:১৭
comment by: শাওন বলেছেন: কিউট সম্পর্ক টা অনুভব করলাম আমি । লেখাটা জটিল ভালো লাগলো ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৮

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
১৫. ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:২৯
comment by: সুতরাং বলেছেন: মাহবুব ভাই, এরকম বউ তো লেখক-কবি মাত্রই প্রত্যাশা করেন। মাগার আপনার, আমার কপালে যে কেমন জোটে সেইটাই ভাবার বিষয়!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১২

লেখক বলেছেন: খুবই চিন্তার কথা।
১৬. ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৩৪
comment by: চতুরভূজ বলেছেন: দারুণ!



+
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১৩

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
১৭. ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯
comment by: নিহন বলেছেন: +
২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:১৩

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
১৮. ২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:২১
comment by: নির্বাসিত বলেছেন: মেহরাবের মন্তব্যের সূত্র ধরে--- আসলে আমাদের সবারই উচিৎ ব্লগের ভাল লেখাগুলো পড়া এবং সেই লেখাগুলোর একটি সুস্থ সমালোচনা করা। উৎসাহ এবং উপদেশ দুটোই ভয়ানক জরুরী একজন লেখকের বেড়ে ওঠার জন্য।
আজকাল কেন যেন মনে হচ্ছে, ব্লগে আলতু-ফালতু পোস্টের সংখ্যাই বেশী। ভাল লেখা বেশী পোস্ট হচ্ছেনা। যে কয়টা ভাল লেখা পোস্ট হচ্ছে সেগুলোও আমাদের মনোযোগ পাচ্ছেনা।
এরকম চলতে থাকলে একসময় ভাল লেখকেরা চলে যাবেন অন্য কোথাও। যে হাটে আদা-রসুনের খদ্দের বেশি, সে হাটে কেউ কি আর পালংক বিক্রি করতে আসবে?
২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৮

লেখক বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সঙ্গে মোটামুটি একমত আমি।
খারাপ লেখা বা অপ্রয়োজনীয় লেখা আর আদা রসুনের মধ্যে তফাৎ আছে বলে আমার মত। পালংক মানুষ জীবনে একবার কেনে, আর আদা রসুন পারলে প্রতদিনি বা প্রতি সপ্তাহে কেনে। প্রতিদিন লাগে এইগুলা। সো, কেউ আদা রসুনের মতো লিখলে আমি সেইটা প্রতিদিন কিনতে রাজি আছি।
১৯. ২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩
comment by: মিরাজ বলেছেন: আমি নির্বাসিতের সাথে কিছুটা ভিন্নমত পোষন করি । আমার মতে ভালো লেখার সংখ্যা খুব কম নয় । সামহোয়্যারের মত একটি ওপেন প্ল্যাটফর্মে সব লেখাই মানোত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়, তারপরও প্রতিদিনকার ১৫০ থেকে ২০০ টি লেখার মধ্যে কমপক্ষে ৩০-৪০টি লেখা ব্লগ হিসাবে ভালো ।

কিছু কিছু লেখা আছে ব্যক্তি আক্রমণমুলক, নোংরামী, বিকৃতি কিন্তু এর বাইরে সাধারণ লেখকরা তাদের মত করেই লিখছেন। সবার লেখার ক্ষমতা একজন নির্বাসিতের মত এতটা গোছালো নয় এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে ।

এটা ঠিক আরো অনেক ভালো লেখা হতো পারতো। অনেকে যারা ভালো লিখতে পারেন তারা হয়ত লিখছেননা তবে সামনে হয়ত তারাও লিখবেন । অনেকে ব্লগের পরিস্থিতির কারনে লিখতে সংকোচ করছেন, জানেনা যে কি ধরণের প্রতিক্রিয়া পেতে পারেন।

এর মাঝেও যে ভালো লেখাগুলি আছে সেখানে আলোচনা করা, তাদের উতসাহ দেয়াটা প্রয়োজন । তাহলে পাঠক লেখকের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরী হয় এবং লেখক নতুন সৃষ্টির জন্য প্রেরণা পান ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৪১

লেখক বলেছেন: মিরাজ ভাই,
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment