Tuesday, March 3, 2009

কোথাও রয়েছে মৃত্যু, কোনো এক দূর পারাবারে

কোথাও রয়েছে মৃত্যু, কোনো এক দূর পারাবারে / পশ্চিম সাগরে এক যেইখানে সবশেষ তারা, অবসন্ন হয়ে যায়/ ডুবে যায় ভোরের আঁধারে
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০০
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

ল্যাবএইড থেকে ফিরলাম। সেলিম আল দীনের আজই ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছানোর কথা ছিল বিকাল চারটায়। কিন্তু তার দুই ঘণ্টা আগেই তিনি চলে গেলেন। একটু আগে ল্যাবএইডের অ্যাম্বুলেন্স তাকে বারডেমের মরচুয়ারিতে নিয়ে গেল। সবাই মিলে ঠিক করলেন, বুধবার তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাহিত করা হবে। তার আগে শহীদ মিনারে নেয়া হবে সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। ল্যাবএইডে সবাই এসেছিলেন। নাটকের মানুষেরা, জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কবি-সাহিত্যিক। সবাই কাঁদছিলেন। আমার কেন জানি কান্না আসে না। বুকটা ভারি হয়ে এলো। কোনো কথাই বলতে পারলাম না কারো সাথে। দুএকজনের হাত চেপে শক্ত করে ধরে থাকলাম শুধু। অ্যাম্বুলেন্স চলে যাবার পর চলে এলাম। গল্প শেষ হলো। সত্যিই কি গল্প শেষ হলো?
ফিরতে ফিরতে হু হু করে স্মৃতির পর স্মৃতি একের পর এক ঘুরে ফিরে আসছিল। কত কথা, কত আকুলতা। ১৯৯৪ সালের এক দুপুরে কুষ্টিয়ার গণউন্নয়ন গ্রন্থাগারে আমি ও আমার কলেজের সহপাঠি সাইমন জাকারিয়া আবিষ্কার করেছিলাম অপূর্ব এক নাটকের বই চাকা। সৈয়দ শামসুল হকের হাতে লেখা একটা মুখবন্ধ বইটির শেষ প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছিল। জানি না তখন সৈয়দ শামসুল হকের প্রতি মুগ্ধতাবশত নাকি নতুন ফর্মে লেখা এই নাটকের ভেতর কী আছে তা জানার জন্য চাকা পড়েছিলাম। সম্পূর্ণ নতুন এক লেখককে আবিষ্কারের আনন্দ হয়েছিল সেদিন। সাইমন জাকারিয়া সেই নাট্যকারের প্রভাবে পুরোদস্তুর নাট্যকার হয়ে গেল।
সেলিম আল দীনের হাত হদাই, কেরামতমঙ্গল, হরগজ পর্যন্ত পড়া ছিল ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। ১৯৯৭ সালে জাহাঙ্গীনগরে এলাম। একদিন তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগও এলো। সে আরেক দুপুরের গল্প। তার সঙ্গে দেখা করতে যাবো বলে হরগজ নাটকটা আবার পড়ে নিলাম। সাইক্লোনে লন্ডভণ্ড মানিকগঞ্জের এক জনপদে মানবিক সংকট নিয়ে লেখা নাটক। স্যার নাটক না বলে আখ্যান বলতেই পছন্দ করতেন। টিএসির পরিচালক তিনি তখন। দেখা করলাম। হরগজ নিয়ে আলোচনা শুরু হলো। আমার কথা তিনি শুনলেন। নিজের কথা বললেন। আমার সম্পর্কে জানতে চাইলেন। ক্লাশ শুরুর আগেই তখন জাহাঙ্গীরনগরে থাকি আমি। দুএকদিন পর ডেইরি ফার্মের দিকে যাচ্ছি। পরিসংখ্যান বিল্ডিংয়ের কাছের ঢালের ওখানে যেতেই একটা শাদা গাড়ি এসে থামলো পাশে। ভেতরে সেলিম আল দীন। বললেন, উঠে পড়ো। আশ্চর্য এক সম্মোহনে উঠে পড়লাম। কোথায় যাও?
ডেইরি ফার্ম।
আমার সঙ্গে ঢাকা চলো।
স্যার আমি তো ঢাকা যাবো না। প্রস্তুতি নেই।
চলো। আমার কথায় না বলো না।
চললাম তার সাথে। মাসুম রেজাদের সাবলাইমে গেলাম প্রথম দিন। ওখানে বসে স্যার নাটক লিখতেন। সেই শুরু। সেই শীতের পর কয়েকটা বছর... কত শীত গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত বসন্ত গেল। অনেক কথা, অনেক পথ। একটা সময় প্রতিদিন দেখা হতো। তিন চার পাঁচ বছর কেটে গেল। সেলিম আল দীন আমার কাছে সবচেয়ে কাছ থেকে দেখা লেখক। শিক্ষক।
স্যার একদিন দুপুর বেলা আমার হলে এসে হাজির। হলে পুরো তোলপাড়। সেলিম আল দীন কেন এখানে? স্যার উপস্থিত সবাইকে বললেন আমাকে নিতে এসেছেন। বাইরে গাড়ি নিয়ে বসে আছে কুদ্দুস ভাই। আমি বললাম, স্যার কাউকে দিয়ে খবর দিলেই তো হতো। স্যার বললেন, দেরি হবে তো তাই নিজেই এলাম। ভাল লাগছে না। বৃষ্টি হবে। চল মানিকগঞ্জ যাই। ওখানে একটা ভাল মিষ্টির দোকান আছে। মিষ্টি খেয়ে আসি। গাড়িতে উঠলাম। গাড়িতে উঠেও আমার অস্বস্থি যাচ্ছিল না। স্যার বললেন, কি ব্যাপার? আমরা তো বন্ধু। বন্ধুই তো না কি?
আকাশে মেঘ ছিল। মানিকগঞ্জের রাস্তায় অসংখ্যা সোনালু বা সোনাঝুরি গাছে ফুল ফুটেছিল। সোনালু স্যারের খুব প্রিয় ফুল ছিল। দেখতে দেখতে চললাম। নয়ারহাটেই বৃষ্টি আমাদের সঙ্গী হয়েছে। গাড়ির প্লেয়ারে রবীন্দ্রনাথের বর্ষার গান বাজছে। সব সময় রবীন্দ্রনাথের গানই বাজতো। রবীন্দ্রনাথকে স্যার ভীষণ পছন্দ করতেন। রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে কিছু বললে একদম সহ্য করতে পারতেন না। নিজের যুক্তির ব্যাপারে তিনি ছিলেন একরোখা। তার মত পাল্টানো যেত শুধু রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি দিতে পারলে।
একবার বন্ধের সময় আমি উদ্যোগ নিলাম জীবনানন্দ সম্পর্কে স্যারের মত পরিবর্তনের জন্য। একটা রাত কবিতা পড়তে পড়তে আর তর্কে তর্কে কেটে গেল। জীবনানন্দের মর্মে মর্মে যতটুকু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একে একে বের করতে থাকলাম আমি। সব শেষে ট্রামকার্ড হিসেবে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা জীবনানন্দের ছয় ছয়টি কবিতা তার সামনে মেলে ধরলাম। স্যার মানতে বাধ্য হলেন। রবীন্দ্রনাথকে তিনি অনেক বড় করে বলতেন। বলতেন, রবীন্দ্র ভুবন।
স্যারের খুব ইচ্ছা ছিল রবীন্দ্রনাথের সমান আয়ু পাবেন। আশি বছর। খুব সামান্য এক চাওয়া। সে চাওয়াটা পূর্ণ হলো না। তিনি বাংলাদেশে শান্তিনিকেতনের মতো একটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চেয়েছিলেন। তাও হলো না। স্যার কিছু রাবীন্দ্রিক রিচ্যুয়ালের অনুরক্ত ছিলেন। তার অনেক কিছুই হলো না। ১৯৪৯ (১৯৪৮) সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি। ষাটেই চলে গেলেন।
নিমজ্জন লেখার পুরো সময়টা তার পাশে থেকে দেখেছি কিভাবে অমানবিক এক পরিশ্রমে তিনি লিখছেন। একরোখা লেখক ছিলেন। মৃত্যুভীতি তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল নিমজ্জন লেখার শুরু থেকে। তাই নিমজ্জন হয়ে উঠেছিল মৃত্যুর পুরান। জগতের প্রায় সমস্ত মৃত্যুর কথা সেখানে আছে। শুধু নাই সেলিম আল দীনের মৃত্যুর কথা। নাকি আছে? আবার ওল্টাতে হবে তার রচনাবলীর পাতা।



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।



* ৩০ টি মন্তব্য
* ৪৫৭ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১৪ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28760888 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১০
comment by: মুনিয়া বলেছেন:
ভাল লাগল। অনেক কিছু জানতেও পারলাম।
ধন্যবাদ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
comment by: ইেলারা বলেছেন: সন্মান জানাচ্ছি স্যারের বিদেহী আত্মার প্রতি।
৩. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: শিরোনামের লাইনগুলো জীবননান্দের আজ কবিতা থেকে নেয়া। স্মৃতি থেকে উদ্ধার করেছি। ভুল থাকতে পারে।
৪. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২০
comment by: মিরাজ বলেছেন: স্মৃতিকথাটি ভালো লাগলো ।

স্যারের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস, মিরাজ ভাই।
৫. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
comment by: সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেছেন: +++++++
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৭
comment by: কোলাহল বলেছেন: নতুন করে কিছু বলার নেই। বিদেহী আত্বার মাগফেরাত কামনা করি।
৭. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
comment by: সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেছেন: ভাল লাগল।
৮. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন:

সন্মান জানাচ্ছি স্যারের বিদেহী আত্মার প্রতি।

অনেক কিছু জানতে পারলাম।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৪
comment by: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ভাল লাগল। অনেক কিছু জানলাম।
ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
comment by: শেখ জলিল বলেছেন: স্মৃতি জাগানিয়া পোস্ট।
....প্রখ্যাত নাট্যকার সেলিম আল দীন নেই। ভাবতেই খারাপ লাগছে।
১১. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
comment by: মুনশী বলেছেন:


ভালা মানুষ আছিল সেলিম আল দীন +
১২. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:২৬
comment by: সুমি বলেছেন: স্মৃতি কপাট অনেক দিন দাপড়ে বেড়াবে ++
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৯

লেখক বলেছেন: হ্যাঁ।
১৩. ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব আপনার সৌভাগ্য এরকম একজন গুণী লোকের বন্ধু আপনি। কেরামতমঙ্গল দেখি মঞ্চে, তখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইনি। পরে দেখেছি যৈবতী কন্যার মন। একসময় বেইলী রোডে যাওয়া কমে যায়। থিয়েটার ছেড়ে চলচ্চিত্রে ঝুঁকি। এখন কাজ করছি চলচ্চিত্র কিত্তনখোলা নিয়ে, সেলিম আল দীনের নাটকের এডাপ্টেশন। চাকাও থিয়েটারে দেখিনি, দেখলাম চলচ্চিত্রে, ১৯৯৩ সালে। পড়েছি শকুন্তলা। বাংলা একাডেমীর তরুণ লেখক প্রকল্পে তিনি নিজে শুনিয়েছিলেন আখ্যান হরগজ-এর খানিকটা। লিখতে গিয়ে দেখছি সেলিম আল দীনের অনেক কিছুই পড়া-দেখা। হবেনা কেন? তিনিই ছিলেন সাম্প্রতিক বাংলা থিয়েটারের শ্রেষ্ঠ লেখক। ইংরেজরা শেক্সপীয়র না পড়েই তার নাটক সম্পর্কে অনেক জানে।

সাইমন জাকারিয়া একদিন বললেন, আপনার এ শহর আমার নয় গল্পটি স্যার পছন্দ করেছেন। আমি সেকি আহ্লাদিত! থিয়েটারের লোকজনের হিপোক্রিসি নিয়ে ছিল গল্পটা। ভেবেছি কোনোদিন যদি দৈবক্রমে তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, ইনিয়ে বিনিয়ে তার কাছ থেকে নিজকানে প্রশংসাটি আবার শুনবো। পুনরায় ধন্য হবো।

তা আর হবেনা।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫০

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১৪. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৭
comment by: পথিক!!!!!!! বলেছেন: __________________________________________________________________________
১৫. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৪০
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
১৬. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৫০
comment by: তানজিলা হক বলেছেন: তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
১৭. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৬
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: স্যারের একটা ছবি। আমার কাছে ছিল। কার তোলা মনে নাই।
১৮. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
comment by: মাঠশালা বলেছেন: তিনি চলে গেলেন
তার শব্দরা অপেক্ষা করে আছে
আজ ও অনন্ত আগামীর পাঠকের বরাবর....

হে পাঠক তোমাকে সেলাম!!!

মাহবুব ভাই, আপনিতো আরো বিস্তারিত লিখতে পারতেন..আরো ঘটনা..কথোপকথন...স্মৃতি...বিস্মৃতি।

স্যারের চলে যাবার খবর শোনার পর থেকে আমার শান্তনু চৌধূরীর কবিতার লাইন মনে পড়তে থাকে, প্রায় সারাদিন মনে পড়েছে-

অভয় মিত্রের ঘাটে যারা যায়
তারা আর ফেরে না ফেরে না ফেরে না.....
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫১

লেখক বলেছেন: লিখবো স্মৃতি ঝাপসা হয়ে যাবার আগেই।
১৯. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:১২
comment by: শরিফ রনি বলেছেন: চমতকার। ১৯৯৯ সালে আমি আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে ধামরাইয়ে একটা থিয়েটার গড়ে তুলি। তখন আমাদের দলে ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া দুইজন বড় ভাই ছাড়া বাকি সবাই স্কুলে পড়ি। ঠিক করলাম আমাদের প্রথম নাটক হবে সেলিম আল দীন স্যারের লেখা বাসন নাটকটি। জা.বি.র সালাম ভাইয়ের (সালাম সাকলাইন) সঙ্গে আলাপ করে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সদস্য পদ নিই। পরে যদিও আমাদের প্রথম প্রডাকশনে গেছে সালাম ভাইয়ের লেখা চোর নাটকটি।দ্বিতীয় প্রডাকশনে ছিল বাসন নাটকটি। আমরা থিয়েটারের নাম দিই রুপান্তর থিয়েটার। ১৯৯৯ সালের ১১ নভেম্বর সেলিম আল দীন স্যার থিয়েটার উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গে আমরা তার ৫০ তম জন্ম উতসব পালন করি। থিয়েটারটি ২০০২ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এরপর থেকে এর কার্যক্রম নেই। তবে স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। দেখা হলেই বলতেন তোদের নতুন নাটকের নাম কি?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫২

লেখক বলেছেন: আমিও গিয়েছিলাম ধামরাইয়ের ওই অনুষ্ঠানে। তবে নাটক দেখি নাই।
২০. ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১২
comment by: সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:

সেলিম আল দীন নেই.......
অপুরণীয় ক্ষতি...!


চমৎকার লিখেছেন স্মৃতিকথা!
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩১

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment