Sunday, March 1, 2009

অর্ধেক দেখা সিনেমাগুলোর জন্য শোকগাথা ও আমার টিভি দেখার অভ্যাস

২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৫১
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

কে বলছিলেন মনে নাই। কিন্তু কেউ একজন বলছিলেন যে, লোকে টিভি খুব মনোযোগ দিয়া দেখে না। লোকে নাকি টিভির দিকে তাকায়, অবলোকন করে না। সম্প্রতি একটা লেখায় পড়লাম ঘটনা সত্য না। অডিওভিজুয়াল মাধ্যমের সাঁড়াশি আক্রমণ দর্শক-শোতার পুরা মনোযোগটাকেই নাকি টেনে নেয়। সে যতই অন্যমনস্ক হওয়ার ভান করুক। কান আর চোখ নিলে মন সাধারণত পর্দাতেই থাকে। অন্য কোথাও নয়। নিজের ক্ষেত্রে যখন বিষয়টা ভাবি, বুঝতে পারি, কথা ঠিক। লোকে আসলে অভ্যাসবশতই টিভি মনোযোগ সহকারে দেখে। অথবা অডিও-ভিজুয়ালের সামনে মনোযোগ বিষয়টা খুব প্রাসঙ্গিক কিছু নয়। লোকে মনোযোগ দিয়ে বই পড়ে, গান শোনে, প্রদর্শনী দেখে। কিন্তু টিভি দেখতে আলাদা করে মনোযোগ দিতে হয় না।
টিভি সম্পর্কে বুদ্ধিজীবীরা খুব সমালোচনা প্রবণ। সৃষ্টিশীল চিন্তার জন্য টিভি খুব কাজের জিনিশ না, এইটা অনেকেই মানে। টিভি হইলো, মোটামুটি একটা তথ্য ও বিনোদনের মধ্যে থাকার যন্ত্র। মিডিওকার থাকার একটা পাকাপোক্ত ব্যবস্থা। ঘাটে, বাটে, বাসে, ট্রেনে যে লাইভ বুদ্ধিজীবীদের দেখা যায় তারা মোটামুটি টিভি থেকেই নিজেদের বুদ্ধিজীবীতার মালমশলা সংগ্রহ করেন।
এক গল্পকার বলতেন, টিভিই আমাকে খাবে। কারণ উনি ছিলেন টিভি আসক্ত। টিভি-আসক্ত ব্যক্তিদের পক্ষে সৃষ্টিশীল কাজ করা কঠিন। কারণ সময় বহিয়া যায়। আমিও টিভি আসক্ত। আমার মনে হয়, টিভি নির্মাতা কোম্পানিগুলো রিমোর্ট কন্ট্রোল বানানো ঠিক করে নাই। রিমোর্ট কন্ট্রোল না থাকলে টিভি দেখার অভ্যাসটা অন্যরকম হতে পারতো। তখন টিভি চ্যানেলের লোকেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চ্যানেল বদলিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতো হয়তো।
বাসায় ফিরে প্রথম যে কয়টা কাজ করি তার মধ্যে টিভি চালু করাটা অন্যতম। তারপর রিমোর্ট হাতে নিয়ে বসা, এলানো, চাহিয়া দেখা।
রিমোর্ট বদলানো। একের পর এক চ্যানেল সার্ফ করে আবার মনে করা যে দেখার মতো অনুষ্ঠানটা কোথায় হচ্ছে। অথবা কোথায় কোথায় হচ্ছে? সেখানে কিছুক্ষণের জন্য স্থির থেকে আবার অন্যত্র। আমাদের জীবনে অপশন কয়টা? সামান্য। অথবা নাই। দৈনন্দিন কাজে? একেবারেই নাই, কোনো কোনো ক্ষেত্রে। কিন্তু টিভি ছাড়ুন। ৭০টা চ্যানেল। এ বলে আমাকে দেখো, ও বলে আমাকে দেখো। অনেক সময় তো এমনও হয় যে, দেখার মতো দশটা চ্যানেল সামনে, ১০টা অনুষ্ঠান। কী দেখবেন? কী দেখতে চান। বেছে নেয়ার এই অবারিত সুযোগের মধ্যেই ওই বোকাবাক্সের কৃতিত্ব, বিজনেস। আই থিংক সো।
আবার এমনও তো হয়, ৭০ চ্যানেলের কোথাও দেখার মতো কিছু হচ্ছে না। চ্যানেল সার্ফ করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছি। বন্ধ করে দেবো ভাবছি। অমনি পছন্দের কিছু একটা শুরু করে গেল। অথবা সামান্য পছন্দের কোনো কিছুকে অধিক পছন্দ হতে থাকলো।
টিভিতে সবচেয়ে বিরক্তিকর সিনেমা দেখা। কখন শুরু হয়েছে আমি জানি না। কত সময় গেছে জানি না। কী নাম সিনেমার জানি না। পরিচালক কে জানি না। একটা গান, অ্যাকশন দৃশ্য, বা কিছু ডায়ালোগ শুনে দেখতে শুরু করলাম। আধাঘণ্টা কি বিশ মিনিট দেখলাম। বিজ্ঞাপন শুরু হলে চ্যানেল বদলিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে আটকে গেলাম। তারপর হঠাৎ হয়তো মনে হলো, আহা সেই সিনেমাটা! কখনো বিজ্ঞাপন,সিনেমা একাকার হয়ে যায়। কোনটা সিনেমা, কোনটা বিজ্ঞাপন। লাগে রাহো মুন্না ভাই না বিজ্ঞাপন কী দেখছি মনে করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। তবু দেখি।
আংশিক সিনেমা, অর্ধ সিনেমা, সিকি সিনেমা, বিজ্ঞাপন মাখানো সালাড সিনেমা, একটা সিনেমার সঙ্গে আরেকটা মেশানো সিনেমা। একটা দেখছি তাতে সালমান খান নায়ক, আবার আরেকটাতেও। মিশে যায় একটার সঙ্গে আরেকটা মিক্স হয়ে গেল। টিভি খুব কৌশলে, কোনো ন্যারেটিভ তৈরি হইতে দেয় না। না ন্যারেটিভ সব ওই টিভির। খবর দেখেন। মনে হবে, একটা মেগা সিরিয়াল চলছে। আগের দিনের সঙ্গে পরের দিনের খবরটা জোড়া দেয়া। বিজ্ঞাপন দেখেন, মনে হবে একটা কাহিনী চলছে। একটার সঙ্গে আরেকটা জোড়া দেয়া। তবু মাঝে মাঝে সেই ভাঙা সিনেমাগুলোর জন্য খুব কষ্ট হয়। কিরাম কিরাম জানি লাগে।
এইসব চলতে থাকে। মোহ, মুগ্ধ হওয়ার ক্ষমতা নিয়ে টিভির সামনে বসে থাকা। কিন্তু একবার যদি বন্ধ করতে পারেন সুইচ, তাহলে আপনার মতো সুখী মানুষ আর পৃথিবীতে নাই।



প্রকাশ করা হয়েছে: ফিল্মি, ফিল্মি বিভাগে ।



* ৩৫ টি মন্তব্য
* ৩০৭ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৯ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28813165 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:০০
comment by: মদন বলেছেন: জটিলসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস
এক্কেবারে আমার মনের কথা :)
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:০৭

লেখক বলেছেন: থ্যাংকসসসসসসসসসসসসসসসস
এ লটটটটটটটটটটটটটটটটট।
২. ২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:০২
comment by: শফিকুল বলেছেন: আপনার লেখার মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নাই, তবুও বলব খুব ভাল।
+++++++।
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:০৮

লেখক বলেছেন: এইভাবে লজ্জা দিতে নাই। তথাপি ধন্যবাদ।
৩. ২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২০
comment by: দূরন্ত বলেছেন: টিভি দেখা ছেড়ে দেন।
বদ অভ্যাস :) আমি খবর ছাড়া টিভি দেখিইনা.....
২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৯

লেখক বলেছেন: ঠিক বলছেন।
একদিন আমিও ঠিকঠাক টিভি দেখা ছেড়ে দেব।
৪. ২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২০
comment by: আসিফ আহমেদ বলেছেন: রিমোট কন্ট্রোল নষ্ট হয়ে গেলে কিছুটা স্হির হয়ে টিভি দেখা হয়। তবে হাতটা ঠিকই চুলকায় :)
২৪ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০০

লেখক বলেছেন: ঠিক।
৫. ২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২১
comment by: অিনেকত বলেছেন: দারুন হইসে ।

তবে এখন এমন অবস্হা যে টিভি থেকে মুখ ফেরানো প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার ।
২৪ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০১

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
তাহলে কি আমরা টিভি দেখতে দেখতেই মারা যাবো?
৬. ২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২১
comment by: শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: ঠিকই তো
২৪ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০২

লেখক বলেছেন: আসলেই। টিভি ছাড়া নিয়া আপনার সঙ্গে শীঘ্রই একটা বৈঠক করতে চাই।
৭. ২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২৯
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: একদম সত্যি কথাগুলো লিখেছেন ।

রিমোট কনট্রোল হাতে থাকলে কোথাও সুস্থির হতে পারি না , কয়েকবার চক্র ঘুরিয়ে শেষে বিরক্ত হয়ে অফ করে দিই । স্থির হতে পারি কেবল খেলায় , এখন যেমন ইউরোতে আটকে গেছি । অন্য সময় গুলোতে খবরে , বা হঠাৎ করে ভালো লেগে যাওয়া কোন ডকুমেন্টারিতে ।

টিভিতে মুভি দেখার বেলায় আমার ব্যর্থতাও ষোল আনা , তাই নিবিষ্ট মনে মুভি দেখার জন্য কম্পিউটারকেই সামনে রাখি
২৪ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৩

লেখক বলেছেন: আমি ক্রীড়ান্ধ। ফলে, কোনো খেলাই দেখি না।
মুভি দেখার জন্য কম্পিউটারই সই। কিন্তু কম্পিউটার স্টার্ট করার চাইতে টিভি স্টার্ট করা তুলনামূলকভাবে সহজ মনে হয়।
৮. ২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৪
comment by: যীশূ বলেছেন: দারুন লিখেছেন। এমন অর্ধ বা সিকি দেখা নাটক বা সিনেমার জন্য আমারও কেমন জানি লাগে!

টিভি থেকে একমাত্র মুক্তির উপায় বোধহয় রুম থেকে টিভিটা সরিয়ে ফেলা। দেখি, তাই করতে হবে শেষ পর্যন্ত।
২৪ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫

লেখক বলেছেন: টিভি সরিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু টিভি না ছাড়লে কেমন একটা টেনশনও লাগে। টিভির বদলে রেডিও শোনার অভ্যাস করা যায়।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৯. ২৪ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:১৯
comment by: জাতক বলেছেন: খুব সুন্দর অনুসন্ধানী লেখা। ফিনিসিং টা ভাল লেগেছে।

আমার মনে হয়, ইডিয়ট বক্সটার দিকে সময় বেঁধে তাকানো দরকার- আর নইলে সেই আমাদের দেখতে থাকবে। ভাল মন নিয়ে টিভি দেখতে বসলে-রিলাক্সের আশায়, উল্টো আরোও টেন্সড করে ফেলে।
২৫ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৩

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।
আসলেই। সমস্ত ইন্দ্রিয়কে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।
১০. ২৪ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৭
comment by: কঁাকন বলেছেন: আমার ধারনা ছিল এটা আমারি সমসযা
২৫ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৩

লেখক বলেছেন: আমার ধারণা শুধু আমি অথবা আপনি নই অনেকেরই এই সমস্যা।
১১. ২৪ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৪৬
comment by: ইশতিয়াক জিকো বলেছেন: রিমোট আর মোবাইল টেপা, লোডশেডিং, বিজ্ঞাপন বিরতি এবং যাবতীয় গার্হস্থ্য কাণ্ডকারখানার ফাঁকে টিভির মিনিপর্দায় যা দেখি, তা দেখা নয় - তাকানো।

কথাটা বলেছিলেন তারেক মাসুদ, ২০০৫ এর এক সেমিনার প্রবন্ধে, টেলিভিশনে আমাদের সিনেমা দেখার সংস্কৃতি প্রসঙ্গে।




২৫ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৫

লেখক বলেছেন: কথাটা সম্ভবত মার্শাল ম্যাকলুহানের।
১৯৭০-এর দিকে বলে থাকতে পারেন।
১২. ২৪ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৪১
comment by: সারাদিন বলেছেন: টিভি খুব কৌশলে, কোনো ন্যারেটিভ তৈরি হইতে দেয় না।

সত্যি কথা।
২৫ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
১৩. ২৫ শে জুন, ২০০৮ রাত ১১:১৯
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: " কখন শুরু হয়েছে আমি জানি না। কত সময় গেছে জানি না। কী নাম সিনেমার জানি না। পরিচালক কে জানি না। একটা গান, অ্যাকশন দৃশ্য, বা কিছু ডায়ালোগ শুনে দেখতে শুরু করলাম। আধাঘণ্টা কি বিশ মিনিট দেখলাম। বিজ্ঞাপন শুরু হলে চ্যানেল বদলিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে আটকে গেলাম। তারপর হঠাৎ হয়তো মনে হলো, আহা সেই সিনেমাটা! "
একদম ঠিক,অনেকের জন্য,আমার জন্য তো একদমই।
২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৫

লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফারহান।
১৪. ২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০৮
comment by: আন্দালীব বলেছেন: আপনার লেখা আর পর্যবেক্ষনগুলো সবসময়ই চমৎকার হয়। এটি তার ব্যতিক্রম নয়।

আর মুভি রিভিউগুলোর কথাও বলতে হবে আলাদা করে। লুই বুনুয়েলের কিছু মুভির রিভিউ পেলাম। খুবি ভালো লেগেছে। ত্রিস্তানার ডিভিডি বেশ আগেই হস্তগত হয়েছিলো; কিন্তু কেন যেন আগ্রহ পাইনাই। আপনার রিভিউ সেটিকে জাগিয়ে তুলছে।

বুনুয়েলের আরো একটি আলোচিত নির্মান "Un Chien Andaluo" (Undalusian Dog) নিয়ে আপনার একটি রিভিউ পেলে ভালো লাগবে। আমার কাছে ভালো লেগেছিলো ছবিটি।

অনেক ধন্যবাদ।
২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:১৫

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আঁ শিয়ে আন্দালু নিয়ে মজার ঘটনা হলো, প্রথমবার দেখার পর ডিভিডি কিনলেও যখনই দেখতে যাই তখনই একটা সমস্যা হয়।
আপনি একটা রিভিউ দেন না।
আমিও একটা দিবো। তাইরে শেয়ারিংটা ভাল হবে।
১৫. ২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০৮
comment by: সবুজ সাথী বলেছেন:
একমত
++++++

নেটে কোনও এক আর্টিকেলে দেখেছিলাম টিভিকে এন্টি-ইন্টেলিজেনস যন্ত্র বলেছে।
২৬ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:১৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
আসলেই কথা সত্য।
১৬. ২৬ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: টিভি কম দেখুন, সময়কে কাজে লাগান।
২৬ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

লেখক বলেছেন: ঠিক কথা ফাহমিদ ভাই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭. ২৭ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭
comment by: আন্দালীব বলেছেন: মাহবুব ভাই, রিভিউ করার যোগ্যতা আমার নাই। কেন যেন যেইভাবে ভাবিত হই কখনোই তার কাছাকাছি কিছু প্রকাশ করতে পারিনা। শব্দসংকটে পড়ে যাই।

সেইদিক থেকে আপনার রিভিউগুলি একদমই ব্যতিক্রম; ছবির দর্শক বা সম্ভাব্য দর্শকের চিন্তাকে খুব উস্কে দেয়। আর আন্দালুসিয়ান ডগ রিভিউ করার জন্য খুব টাফ একটা ছবি মনে হয়। যদিও মাত্র ১৫/১৬ মিনিটের ব্যপ্তি....কিন্তু এই ছবির সুরিয়্যালিস্টিক দৃশ্যগুলো যেন বিবিধভাবে দর্শককে ভাবায়।

আমরা বরং আপনার রিভিউটার জন্য অপেক্ষা করি।
২৮ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২৫

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
১৮. ০১ লা জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৩০
comment by: মাহবুবা আখতার বলেছেন:
অর্ধেক দেখা সিনেমাগুলোর জন্য শোক থাকাটাই স্বাভাবিক (অন্তত আমার নিজের ক্ষেত্রে সেরকমই)। শেষটা দেখা থাকলে শুরুটা দেখা নাই আবার শুরু দেখা থাকলে শেষ দেখা নাই........ সব হাফ ফিনিশ।
ভালো অনুষ্ঠানের আশায় আশায় টিভি দেখা... এটাও ১০০% ঠিক। কয়েকদিন আগেও এমন হয়েছে সারাদিন রিমোট টিপলাম (মানে প্রায় সারাদিন, ১২-১৪ ঘন্টা টানা) কিন্তু দেখার মত কিছু পেলাম না....
টিভি খুবই অ্যাডিক্টিভ, রিমোট না থাকলেও চ্যানেল চেঞ্জ করার আগ্রহ মোটেও কমে না। আমার পরিচিত একজনকে দেখতাম মান্ধাতার আমলের টিভির অতিশক্ত নব ওড়না দিয়ে ধরে চ্যানেল চেঞ্জ করতে। সেই টিভি আবার থাপ্পড় দিলে ভিউ ক্লিয়ার হত, কাছে দাঁড়িয়ে না থাকলে আসত না ঠিক মত........ তবুও টিভি দেখা ঠেকানো যেত না।

লেখাটা আপনি দারুণ লিখেছেন।

No comments:

Post a Comment