Sunday, March 1, 2009

আমার জীবনের চন্দ্রবিন্দুহীন বছরগুলো : দি যায়যায়দিন ইয়ারস (পার্ট ফাইভ)

১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৪
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

সেবার ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে দশবার ভেবেছিলাম যাবো কি যাবো না। ছুটি ঘোষণার আগেই শোনা যাইতেছিল ৩০ জন কি ৫০ জন কি ১০০ জনের লিস্ট তৈরি হইতেছে। লিস্ট হইতেছে, স্যাক হইতেছে এইগুলা যায়যায়দিনের নিয়মিত গসিপের অংশ ছিল। তারপরও ব্যাপারটা মনে কিছু ভয় ধরাইতো। সেইবার গসিপগুলা কেমন জানি পাকায়া আসতেছিল। দোনামোনা করে ঈদের ছুটি কাটায়া বাড়ি গেছিলাম। ফিরেও আসছিলাম ঈদের পরের দিন রাইতে। সকাল বেলা সমকালের এক কলিগ ফোন দিলেন, উনি লাভ রোড দিয়া অফিস যাইতে গিয়া বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে যায়যায়দিন অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে এই নোটিশ দেখছেন। শুনছেন ১০৪ জনকে বরখাস্ত করা হইছে। সঙ্গে সঙ্গে রাইসু ভাইকে ফোন দিলাম। উনি কইলেন, যা শুনছেন ঠিকই শুনছেন। দুপুর বেলা এক জায়গায় দাওয়াত আছে, গেলে চইলা আসেন। সমস্যা মোকাবেলার রাইসু ভাইয়ের নিজস্ব পদ্ধতি আছে। কারো মাথায় আসবে না এইরকম একটা প্রসঙ্গ থেকে উনি আলাপ শুরু করেন। টেনশন নিয়া তার কাছে ছুইটা গেলাম। খোঁজ নিয়া জানা গেল, স্যাক হওয়া সাংবাদিকরা যায়যায়দিনের সামনে। আমরা যাইতে যাইতে ওনারা ইস্কাপনের টেক্কায় চইলা গেছেন। সন্ধ্যা নাগাদ আমরা ইস্কাটনে পৌঁছাইতে পারলাম। সেইদিন জানা গেল না, পরের দিন জানা গেল আমার চাকরি যায় নাই, রাইসু ভাইয়ের চাকরি গেছে। আন্দোলন করতেছি, সবার সঙ্গে আছি কিন্তু মনে মনে এইটা বুঝতেছি রাস্তা আলাদা হয়া যাইতেছে। মিডিয়ার বাজার খারাপ। এইসময় চাকরি গেলে এখনই কেউ চাকরি পাবে না। যারা চাকরি ছাড়ছে তারা ক্ষতিপূরণ পাবে। কিন্তু আমি নিজে থেকে চাকরি ছাড়লে কিছুই পাবো না।
তীব্র অপরাধ বোধ আর লজ্জা নিয়ে দুই/তিনদিন পর যায়যায়দিনে জয়েন করার দিনটা আমার জীবনে সবচেয়ে খারাপ দিনগুলোর একটা। কেউ যদি যায়যায়দিনের জীবনে আমার সবচেয়ে আনন্দময় সময়গুলার কথা জিগান তাইলে আমি বলবো, হ্যাঁ ব্রাত্য রাইসুর সঙ্গে কাজ করার সময়টা। ব্লগে একবার রাইসু ভাই পোস্ট দিয়া আমার চলতি ভাষার ডিকশেনারি করার উদ্যোগকে শুভেচ্ছা জানাইছিলেন। আমি মনে করলাম ব্রাত্য রাইসু এইরকম শুভেচ্ছা জানাইছেন তো আমার বিষয়টারে ক্লিয়ার করা দরকার। চলতি ভাষা চর্চায় ওনার অবদানটা বইলা ফেলি। একটা পোস্ট দিতেই সবার গাত্রদাহ শুরু হইলো। আমি আনন্দের সঙ্গে পাঁচটা পোস্ট দিলাম। অনেকেই এখনও সেই পোস্টগুলার রেফারেন্স দেয় এই বইলা যে, আমি বুঝি ব্রাত্য রাইসুকে তেল দিছি। সম্ভবত রাইসু ভাইও এইটা মনে করেন। কনটেন্ট রাইখা, মোটিভ দেখার প্রবণতার কারণেই এই মিস রিংডিং হইছে বইলা আমার ধারণা। আমার বক্তব্য পরিষ্কার, রাইসু ভাই জানে, আমি এডিটোরিয়াল ছাইড়া সাহিত্য পাতায় আসার জন্য আগ্রহী আছিলাম না। যায়যায়দিনের এডিটোরিয়ালেই আসতে চাইছিলাম। রাইসু ভাইয়ের আগ্রহেই সাহিত্যে গেছি। আমার ধারণা, নিজের পাতার জন্য আমার চেয়ে ভাল সিনিয়র সাব-এডিটর উনি পাইতেন না।
পিয়াল একাধিকবার ব্লগে লিখছে, আমি রাইসু ভাইরে সরায়ে দিয়া সাহিত্য সম্পাদক হইছি। আমি ভাবছি, আর কেউ না হউক রাইসু ভাই এইটার প্রতিবাদ করবে। কারণ, কাউরে সরায়া দেওয়ার মতো সখ্যতা কখনোই শফিক রেহমানের সঙ্গে আমার হয় নাই। পরন্তু ১০৪ জন চাকরিজীবীর মধ্যে শুধু একজনের ক্ষেত্রে সরায়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক। ১০৪ জনকেই যদি থেকে যাওয়া কেউ না কেউ সরায়ে দেওয়ার এন্তজাম করে তাইলে ঈদের আগেই যায়যায়দিনে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার কথা। তা হয় নাই। বরং কিচেন কেবিনেটের সদস্যরা ছাড়া বাকী সবাই একাট্টা ছিলেন এইটাই আমি জানি।
১০৪ জনের সঙ্গে আমার চাকরি গেল না। পরে অনেকের চাকরি হইছে গেছে। আমার যায় নাই। এইরকম কয়েকজন ছিলেন। আমরা নিজেদের আদু ভাই বলতাম। বলতাম, সবাই পাশ কইরা যাইতেছে আমরা খালি পুরান ক্লাশে থাইকা গেলাম। কেন গেল না, এইটা একটা রহস্য। একবার দেখলাম, চাকরি যাওয়ার এন্তজাম শেষ। আমার ম্যাগাজিনের ম্যাটার আমার অজান্তে কম্পোজ হয়া তৈরি হয়ে গেছে। আমি প্রমাদ ও পাওনা টাকার হিসাব গুনতে থাকলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গেল না। কয়েল জ্বালানোর আন্দোলনের পর ভাবলাম, এইবার যাবে। গেল না। তিন মাসের বকেয়া বেতন আদায়ের আন্দোলনে জেনারেল মিটিংয়ে গরম বক্তৃতা দেয়ার পর ভাবলাম, এইবার ক্ষমা নাই। কিন্তু সে বারও গেল না। শফিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার সখ্য ছিল না, নিয়মিত ওঠা বসা ছিল না। তারপরও এই চাকরি না যাওয়ার ঘটনা থেকে আমার ধারণা হইছে উনি আমারে পছন্দ করেন। আমিও ওনারে পছন্দ করি। যায়যায়দিন ছেড়ে আসার দিন তার কথা মনে হয়েই আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। আমি তার অনেক কাজ অপছন্দ করেছি, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে পছন্দ করি। উনি না চাইলে, যায়যায়দিন থেকে কয়েকবার আমার চাকরি চলে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল।
চাকরি গেলে চাকরি হয়তো পেতাম। বাজার ছোট হয়ে এসেছে, নতুন উদ্যোগ নাই, তারপরও অনেকেই অনেক জায়গায় কাজ পেয়েছেন। আমিও হয়তো পেতাম। কিন্তু শত সমস্যার মধ্যেও ভাবছিলাম, নতুন একটা উদ্যোগ হোক তারপর চাকরিটা ছাড়ি। কিন্তু গণতন্ত্রের মতো সংবাদপত্রের নতুন উদ্যোগও অনেক দূরে।
বলছিলাম রাইসু ভাইয়ের কথা। খুব কম সময় আমরা কাজ করেছি। এরই মধ্যে মতান্তর হইছে, অমত হইছে কিছু সময় কিন্তু কখনো সময় নিরানন্দ কাটে নাই। গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে থাকতাম আমরা। একসঙ্গে খানাপিনা করতাম। সবচেয়ে মজার ছিল গভীর রাত পর্যন্ত মেকাপ করা বিষয়টা। গ্রাফিক্সের মেহেদী ভাই, আমি আর রাইসু ভাই মিলে বেশ কয়েক সপ্তাহ সারারাত করে মাঝে মাঝেই ভোর রাতে বাড়ি ফিরতাম। ফুরফুরে হাওয়ার সকাল বেলার ঢাকা শহর দিয়ে বাসায় ফিরে বিকাল পর্যন্ত ঘুমাতাম। সন্ধ্যায় আবার অফিসে যেতাম। সেই আমেজটা এখনও মনে পড়ে।



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।



* ৭৩ টি মন্তব্য
* ৬৭১ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৯ জনের ভাল লেগেছে, ৬ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28797958 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০০
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: অনেকেরই মনে হয় প্রফেশনাল জেলাসী আছে ;)
১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০২

লেখক বলেছেন: তা তো আছেই।
২. ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০৮
comment by: নাফে মোহাম্মদ এনাম বলেছেন: ভাল লিখছেন। আমি এমন করে লিখতে চাই।
১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৫

লেখক বলেছেন: লেখেন। সিরিজ কইরা বড় বড় লেখা লেখেন। ধন্যবাদ।
৩. ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০৮
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: সেই ঘটনার পর যায়যায়দিনের অনেক পাতা জন্ডিসে নিপতিত হইলো । যায়যায়দিন পড়তাম স্পোর্টস আর ইন্টারন্যাশনালের জন্য , সাথে ম্যাগাজিন গুলোর জন্য । অবশ্য আমি দিনে ৪/৫ টা পত্রিকা পড়ি সুযোগ পাইলেই , পত্রিকার পোকা আমি ।

স্পোর্টস পাতার এমনই বেহাল দশা হলো , মনে হলো এই পত্রিকা পড়ার আর মানে নাই । তবে , একটা কথা আমার মাথাতেও ছিল , আর্টস এন্ড কালচারে , মাহবুব মোর্শেদ দেখি এখনও লিখে , মানে ১০৪ জনের মাঝে সে নাই ।

যাই হোক , পড়ছি , আর সাধারণ পাঠকের দৃষ্টিতে হালকা টাইপের কমেন্ট করছি
১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৬

লেখক বলেছেন: বিনয় কইরেন না কইলাম।
৪. ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯
comment by: দূরন্ত বলেছেন: হুমম...
১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৮

লেখক বলেছেন: হাম...
৫. ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:১০
comment by: আজহার ফরহাদ বলেছেন: পড়তেসি, আর দেখতেসি চোখের সামনে ঘটা বর্তমান কেমনে অতীত হয়ে যায়!

তরপরও বেদনার অতীত কিছু সুখের সময়কে মনে রেখে অনবদ্য হয়ে ওঠে।

লেখাটা খুব সুখপাঠ্য হচ্ছে।
১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৯

লেখক বলেছেন: খাঁটি কথা।

অনেক ধন্যবাদ আজহার।
৬. ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:১৬
comment by: হ্যারি সেলডন বলেছেন: চলুক, সাথে আছি।
১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৯

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
৭. ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:১৭
comment by: সুরিজত স্বপন বলেছেন: অনেক অপছন্দের কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত কেন যেন শফিক রেহমানকে ভালো লাগতো। এটা হতে পারে তার অসাধারণ স্মার্টনেস আর আপডেট থাকার কারণে।
১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৫০

লেখক বলেছেন: সম্ভবত।
৮. ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৩২
comment by: সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেছেন: প্রফেশনাল জেলাসী আছে।

এইক্ষেত্রে আমি বলবো, সমালোচনা করা তারই সাজে, যে আত্মসমালোচনা করতে পারে।
১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৫১

লেখক বলেছেন: ঠিক কথা।
৯. ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৫
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: একই লেখা । কথা দুই রকম।

''মিডিয়ার বাজার খারাপ। এইসময় চাকরি গেলে এখনই কেউ চাকরি পাবে না। ''

''চাকরি গেলে চাকরি হয়তো পেতাম। ''

তবে ধন্যবাদ। কারন আজাইরা পোস্ট না।
১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৩

লেখক বলেছেন: বাজার খারাপ মানে তো একদম বাজার বন্ধ সেইটা না।
কিছু সুযোগ তো আছেই তাই না?
সেই অল্প সুযোগের মধ্যে আমি কিছু একটা জুটাইতে পারতাম।
১০. ১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৪০
comment by: শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: চলুক
১৪ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৫

লেখক বলেছেন: আর লেখতে ইচ্ছা করতেছে না। এই প্রথম আমি একটা ধারাবাহিক লেখা পাঁচ পার্ট লেখলাম। গোপাল ভাঁড় না থাকলে এতোটা সম্ভব হইতো না।
১১. ১৪ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০১
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: 'কিছু একটা জুটাইতে পারতাম' এ বিশ্বাস যদি থাকতো তা চাকরি ছাড়লেন না কেন।
১৪ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

লেখক বলেছেন: ভাল একটা প্রশ্ন করছেন।
কী মনে হয়, বিশ্বাস থাকার পরও আমি চাকরিটা ছাড়লাম না কেন?
সম্ভাব্য উত্তর কী হইতে পারে?
আপনেরগুলা শুনার পর আমি বলবো।
১২. ১৪ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: প্রশ্নের জবাব দেয়ার কাজটা আপনার। আমার না।
কারন স্ববিরোধি লেখা'র বিষয়টা আপনাকেই পরিস্কার করতে হবে।

এরপরও একটা সম্ভাব্য জবাব দেই--------হয়তো আপনি ঝুকি নিতে চাননি।
১৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৫

লেখক বলেছেন: পুরা লেখাটারেই স্ববিরোধী বানায়া দিলেন?
বাহ!
শুনেন, যাইতে নিছিলাম। কিন্তু দামে মিলে নাই।
কম দামে যাওয়া ঠিক হইতো না। তাই যাই নাই।
১৩. ১৪ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬
comment by: সারওয়ার জামান চন্দন বলেছেন:
ভালো লাগলো পড়ে।
১৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪. ১৪ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:২৮
comment by: সারাদিন বলেছেন: পোস্টগুলো ভাল হইতেছে। পড়তেছি।
১৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনের পোস্ট পড়লাম।
১৫. ১৪ ই মে, ২০০৮ রাত ১০:৫৯
comment by: রিজভী বলেছেন: চলুক.......
১৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৮

লেখক বলেছেন: চলুক তাইলে।
১৬. ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৮:৩০
comment by: মফিজুল হক বলেছেন: ভাই চালাইয়া যান। ভাল লাগেতেছে। সামনের পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি।
১৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৯

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭. ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৯:১৫
comment by: আতিক ১৭ বলেছেন: চালাইয়া যান আছি আপনার সাথে।
১৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:২০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৮. ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৩৫
comment by: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: হ্যা এই আমিও সেই সময় বেশ কয়েকদিন শাহবাগে গরম আড্ডা দিছি আর ভাবছি সামনে নতুন কিছু হবে যাদের জন্য যাদের দেখে যায়যায়দিনে এসছিলাম তাদের সাথে আবারো কাজ করতে পারব। আমি এখনও সেই স্বপ্ন দেখি।
একদিন আবারো সময় আসবে।
এই স্বপ্ন এখন্র দেখি স্পের্টে মোস্তফা মামুন গং। নিউজে অমিত হাবিব টোকন ভাই গং। আর ফিচারে সঞ্জিব দার গং।
জানিনা এই স্বপ্ন খুব বেশী কিনা।

ভালো লাগলো আপনার লেখা।

ছালিয়ে যান।
১৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:২১

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ শিশির। ভালো থাকবেন।
১৯. ১৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:১৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: যায়যায়দিনের জন্ম এবনরমাল একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। কিন্তু পতনটা নরমালই মনে হয়।
আপনার বিশ্লেষণ মিডিয়ার রাজনৈতিক অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা বুঝতে খুব কাজে দেবে।
শুধু ভাবি, সাংবাদিকরা কত অরক্ষিত!
এইতো সেদিন ইটিভিতে অনেক কিছু হলো। পত্রিকা পড়ে ঘটনা বুঝি নাই। কেউ যদি জানাতো!
১৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৭

লেখক বলেছেন: মিডিয়ার ঘটনা কেউ জানায় না। আগেও না পরেও না। শুধু কিছু অনুমান।
ধন্যবাদ ফাহমিদ ভাই।
২০. ১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:০৭
comment by: আবাবিল বলেছেন: এখন কি চন্দ্রবিন্দু পড়েছে? পড়লে সেটা কি?
১৬ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৫৭

লেখক বলেছেন: বুঝতে পারলাম না বিষয়টা।
২১. ১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:১৭
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন:
আপনার জবাব=
''শুনেন, যাইতে নিছিলাম। কিন্তু দামে মিলে নাই।
কম দামে যাওয়া ঠিক হইতো না। তাই যাই নাই।''

আপনার পোস্ট=
''তীব্র অপরাধ বোধ আর লজ্জা নিয়ে দুই/তিনদিন পর যায়যায়দিনে জয়েন করার দিনটা আমার জীবনে সবচেয়ে খারাপ দিনগুলোর একটা। ''

বলছেন অপরাধ বোধ আর লজ্জা। আবার বলছেন দামে মিলে নাই তাই যাই নাই। তাই যদি হবে তবে অপরাধ বোধ আর লজ্জা কিসের?

'দামে মিলে নাই তাই যাই নাই'--এটা তো স্বাভাবিক সময়ের কথা। আপনার সহকর্মিদের গনছাটাইয়ে এতোই যদি এতোই আঘাত পাবেন তো অনুভুতির দাবি ছিল 'মোটামুটি রকমের পে হলেও এই হাউস ছেড়ে দেবো ' জাতিয় মনোভাব।
১৬ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:০২

লেখক বলেছেন: বাপরে আপনে তো আমারে কাইত কইরা ফেলছেন দেখি।
যেদিন যায়যায়দিনে জয়েন দিলাম সেইদিনই দামে মিলে নাই ঘটনা সেইরকম না। ঘটনা হইলো, ওইদিনের পরে মোট দেড় বছর কাজ করছি ওইখানে। এই দেড় বছরে অনেকের লগে কথা হইছে দামে মিলে নাই। আপনে এই রকম ভাববেন জানলে তখন কম দামেই কোথাও চইলা যাইতাম। আপনার যুক্তি দেইখা আমার প্রিয় এক ব্লগারের কথা মনে পইড়া গেল গা। ওনার সঙ্গেও যুক্তিতে পারা যায় না। পালিয়ে বাঁচতে হয়। আপনে তো মনে হয় আমারে পালাইতেও দিবেন না।
২২. ১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:১৮
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন: যথারীতি পড়ছি নিয়মিত। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
১৬ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:০৩

লেখক বলেছেন: আর লেখতে ইচ্ছা হয় না। অলস অলস লাগে।
২৩. ১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:২১
comment by: হট্টগোল বলেছেন:

ছিঃ সুজন বাঙালি এভাবে বলতে নই যে।
১৬ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:০৪

লেখক বলেছেন: আইছে।
২৪. ১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:২৪
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন:
ফাহমিদুল হক,

যায়যায়দিনের জন্ম এবনরমাল একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। কিন্তু পতনটা নরমালই মনে হয়।

যায়যায়দিনের জন্ম এবনরমাল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই কথাটা আরেকটু বিশ্লেষণ করবেন কি ? কোন বিষয়টা আপনার এ্যাবনরমাল মনে হলো ?
২৫. ১৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: এই পর্বটা ভালো লাগছে বেশ । সহকর্মীদের জন্য সহানুভুতি থাকাটা মানবীয় গুণাবলীর মধ্যে পড়ে ।

এইটা খুবই সত্য কথা যে, শফিক রেহমানের আরো দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হওয়ার দরকার আছিলো । যেই বিশালত্ব তিনি সামলাইতে পারবেন না, সেইটা নিয়া মাঠে না নামাটাই হইতো কাজের কাজ ।
১৬ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:০৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৬. ১৬ ই মে, ২০০৮ সকাল ৮:০৩
comment by: মাহবুবা আখতার বলেছেন:
অনেক কিছুরই ব্যাখ্যা জানা গেল লেখা থেকে।
আপনার ভাষা খুব সুন্দর, পড়তে ভালো লাগে।
১৬ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১২

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৭. ১৬ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:৪৫
comment by: কেএসআমীন বলেছেন: পড়ছি, অনেক কিছু জানতে পারছি... চলুক
১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:০৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৮. ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৩৪
comment by: মিসিরআলী বলেছেন: বলতে চাইলে তো কতো কথাই বলতে পারি, কিন্তু বলতে না পারলে তাকে কি আর বা বলে অভিহিত যে করবো তা বুঝি না।......একজন মানুষ অন্যদের নিয়ে কতো এক্সপেরিয়েন্স যে করতে পারে তা আপনার লেখা ছাড়া আমি কেন, মিডিয়ার অনেকেই জানেন। ......শফিক রেহমান তার ফলও যে ভালো নয় তা বোধ করি এবার বুঝতে পেরেছেন। ........আশা করি নতুন প্রজেক্টে হাত দেবার আগে নিজের আগাছাগুলো এবার তিনি ঝেড়ে নেবেন।......
১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:০৯

লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রাচীন অনেক বটগাছ দেখি যে গাছগুলোর নিজের ঐশ্বর্যের চেয়ে তার পরগাছার ঐশ্বর্য অনেক বেশি। পরগাছা জন্মানোর অবাধ স্বাধীনতা দিয়ে যারা স্থির বসে থাকে।
২৯. ১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৮
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: চলতি ভাষার ডিকশনারি কি আমাগো মৌখিক ভাষার সাথে শুদ্ধ বাংলার সম্পর্কযুক্ত কোন ডিকশনারি?

বাইর কি হইছে? না হলে উদ্যোগ কি মাতৃগর্ভেই বিলীন। আসলে ওটা পেলে বেশ উপকার হতো আমার তাই এই কৌতুহল।

ইংরেজীতে একটা ডিকশনারি দেখছিলাম স্যাং নিয়া
১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯

লেখক বলেছেন: এইরাম মেলা কিছু আছে।
বাংলায়ও স্ল্যাং অভিধান আছে।
বিষয়টা বেশি আগায় নাই। সামনে দেখি আবার কাজটা ধরা যায় কি না।
৩০. ১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৩২
comment by: আতিক ১৭ বলেছেন: পার্ট ফাইভ কবে আসবে?
১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৫০

লেখক বলেছেন: পার্ট সিক্স। দেখি সুমায় পাইলেই।
৩১. ১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৫
comment by: মদন বলেছেন: চলুক
১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৫০

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
৩২. ১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:৫২
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: ''আপনার যুক্তি দেইখা আমার প্রিয় এক ব্লগারের কথা মনে পইড়া গেল গা। ওনার সঙ্গেও যুক্তিতে পারা যায় না। পালিয়ে বাঁচতে হয়। আপনে তো মনে হয় আমারে পালাইতেও দিবেন না।''

আসলে সত্য লুকাতে চাইলে এ দশাই হয়। পালানো ও যায়না।
আপনি ধরা খাবেন মিয়া সাহেব। সুবিধাবাদি মানুষ আপনি।
১৭ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১০

লেখক বলেছেন: ধরা আর খাবো কী? ধরা তো খায়া গেছি। সুজনবাঙালী, আপনে আমারে একেবারে কাইত কইরা দিছেন। হাইরা গিয়া আপনেরে আমি যুক্তিবাদী উপাধি দিলাম।
অসুবিধাবাদী হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। ফলে, আমারে সুবিধাবাদী কইলেন, খুশী হইলাম।
৩৩. ১৮ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:০৪
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: নারে ভাই!
অনেক হইছে আর না।
আমি স্রেফ আপনেরে বাজাইয়া দেখলাম আরকি!
তয় অসুবিধা হৈল আপনে কিন্তু আসলেই 'সুবিধাবাদি' মানুষ।
অসুবিধায় জড়াতে চাননা। এবং পারেন ও না।

সমস্যা হৈল- সাংবাদিকতার এই বেহাল বাজারে নিজের প্রতি অবিচার করে, মানসিক অত্যাচার করেও আপনাদের কাজ করতে হয়। চাইলেই প্রতিবাদি প্রদত্যাগি হতে পারেন না।

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-সাংবাদিকতা এই দেশে কবে যে এমন হবে যাতে নিজের প্রতি সৎ থেকে পেশাজিবি হওয়া যায়!
১৮ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:১০

লেখক বলেছেন: মাফ কইরা দিছেন যখন আমারে তখন ভয়ে ভয়ে একটা কথা জিগাই?
৩৪. ১৮ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৩
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: মাফ করি নাই। কারন এর আগে মাফ না করার কোনো বিষয় ছিলনা।

তয় জিগান।
১৮ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৯

লেখক বলেছেন: সততার ঝাণ্ডাদারী, সত্যের সেনাপতি জনাবের পরিচয় জানতে পারলে ধন্য হইতাম। জানাইবেন?
৩৫. ১৮ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: জনাব আপনারই পরিচিত একজন, একজন সম্মানিত ছোটভাই। সাক্ষাতে আলাপ হইবেক।
১৯ শে মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

লেখক বলেছেন: আপনের দিদারের অপেক্ষায় থাকলাম।
৩৬. ১৮ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০২
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: সম্মানিত এই অর্থে যে আপনে তারে সম্মান দিছেন।
১৯ শে মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

লেখক বলেছেন: interesting.
৩৭. ১৯ শে মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
comment by: আরেফিন রাফি বলেছেন: ৫ পার্ট একসাথে পড়লাম। পরের গুলোর অপেক্ষায় রইলাম..........................
২০ শে মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।

No comments:

Post a Comment