Sunday, March 1, 2009

আমার জীবনের চন্দ্রবিন্দুহীন বছরগুলো : দি যায়যায়দিন ইয়ারস (পার্ট ফোর)

১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৯
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

এই জীবনে একটা শিক্ষা ছোটবেলায় পাইছিলাম, সেটা হইলো বিপদে না পড়লে কেউ শিখতে চায় না। ঠকতে ঠকতে বা ঠেকতে ঠেকতে মানুষ শিখে বেশি। পানি খাইতে খাইতে সাঁতার শিখে, উষ্ঠা খাইতে খাইতে হাঁটা শিখে। শিক্ষা অর্জন যদি সারভাইভালের সঙ্গে যুক্ত না হইতো তাইলে মানুষ কি এইভাবে শিখতো? অবশ্য জ্ঞানীদের কথা আলাদা। শিক্ষা হইলো নেশা এনাদের কাছে। কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাছে শিক্ষা হইলো তফাতে থাকার জিনিশ। এখন কেউ যদি আমার নিকটে আইসা বলে, মাহবুব তুমি আমার কাছে আসো, তুমি এইটা তো জানো না তোমারে শিখাই। তাইলে আমি কী ভাববো? প্রথমত ভাববো এই শিখাটা আমার কোন কামে লাগবো। দ্বিতীয়ত, সে যে শিখাইতেছে সেইটার পিছনে তার উদ্দেশ্য কী। এই দুইটার কোনোটার সুদত্তর না পাইলে ফাও কামে কেউ কিছু শিখতে চায় না। এখন ভাবে ঘোষণা দিয়া যদি কোনো দৈনিক পত্রিকা বাইর হয় যে তারা বাঙালি জাতিকে শিখাইবে, তাইলে সেই শিক্ষা কয়জনে নিবে? মানুষ দৈনিক পইড়া খবর জানতে চায়, টাকা দিয়া তারা বিশ্লেষণ কেনে তথ্য কেনে। এইগুলা থিকা শেখে বটে কিন্তু সম্পাদকরে মাস্টার মশাই মনে কইরা শেখে না। কিন্তু শফিক ভাই এমন একটা পত্র্রিকা বাইর করলেন যেইটার উদ্দেশ্য হইলো একটা স্কুল বা কলেজ হওয়া। আর উনি সেইটার হেডমাস্টার। সঠিক উচ্চারণে ইংরেজি লেখা উচিত। যে যে বানানে আছে সেইভাবে লেখা উচিত। তাই না? শফিক ভাইয়ের বিশাল অবদান হইলো তিনি বাঙালি জাতিকে সঠিক বানানে ইংরেজি লেখা শিখাতেছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হইলো, সঠিক বানানে ও উচ্চারণে বাংলা শিখাটা কি উচিত না? উনি কিন্তু এইখানে উল্টা অবস্থান নিলেন। বানান নিয়া বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন সঞ্জীবদা একদিন কইলেন, আমার মেয়েকে আমি তো যায়যায়দিন পড়তে দেব না। সে ইস্কুলে গিয়ে পাঁচ বানান পাচ লিখুক এটা আমি চাই না।
শফিক ভাই বাংলা বানান আর উচ্চারণ শিখাইতে চাইছিলেন বিকৃত কইরা আর ইংরেজি বানান ও উচ্চারণ শিখাইতে চাইছিলেন সঠিক কইরা। এক জায়গায় রক্ষণশীল আরেক জায়গায় বিপ্লবী। জিনিশটা সবাই বিশ্লেষণ কইরা দেখে মানে নাই তা না। কিন্তু শফিক ভাইয়ের ঘোর ভক্ত লোকেও কিন্তু কিন্তু করছে। শফিক ভাই বলতেন, ভাষাকে সহজ করার জন্য তিনি এইটা করতেছেন। কেউ তার কথা বিশ্বাস করে নাই। তার সম্পাদিত পত্রিকার নিউজগুলা প্রথম থেকে বাংলা একাডেমীর বানান রীতিতেই ছাপা হইতো। নিউজ সেকশন তার কথা মানে নাই। শুধু ফিচারের ম্যাগাজিনগুলোতে তার বানান রীতি ব্যবহৃত হইতো। পরে অমিতদাদের স্যাক করার পর নিউজে শফিক ভাইয়ের বানান রীতি ফিরে আসছিল। বানান নিয়ে কিছু বলতে গেলেই শফিক ভাই টিটকারি দিতেন। তিনি যে একটা বিপ্লবী কাজ করছেন এইটা বলতেন। শেষে যায়যায়দিনের কলিকালে শফিক ভাইয়ের উপলদ্ধি হইলো এই বানান মানুষ নিতেছে না। নিবে না। তখন তিনি বাংলা একাডেমীর বানানে ফিরলেন বটে। কিন্তু চন্দ্রবিন্দু ফিরাইলেন না। এই দুঃখে আমি হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়ে ব্লগ লিখতে বসছি।
বানান সংস্কার, ইংরেজি শিক্ষার আসর, সাহিত্য শিক্ষার আসর এইসব নিয়া ওপেন কলেজ হওয়ার কথা আছিল। বাঙালি সেই ওপেন কলেজ দেখতে পাইলো না। কারণ, আগে তো পত্রিকা হইতে হবে। সেই পত্রিকাকে সফল হইতে হইবে। তারপর সেই সফল পত্রিকার সম্পাদকের কথা লোকে শিক্ষণীয় মনে কইরা শুনবে। এইগুলা বাদ দেই। সোজা কথা কই। হেড মাস্টারের অ্যাপ্রোচ শিক্ষিত লোকে নিতে পারে নাই। পত্রিকা তো শিক্ষিত লোকেই পড়ে।
যায়যায়দিনে জয়েন করার আগ দিয়া আমি জানতাম না, ওইখানকার সাহিত্য পাতার বিদেশী দশা হইবে। রাইসু ভাই আছেন। সঞ্জীবদা, অমিতদা আছেন। বিদেশী সাহিত্য পাতা কেমনে হয়? আমি ভাবছিলাম, বড় জোর মৌচাকে ঢিল হবে। শফিক ভাই এই সাহিত্য পত্রিকাটা সুন্দর করে বের করতেন। আইডিয়াটা চমৎকার ছিল। কিন্তু জয়েন কইরাই শুনলাম বিদেশী সাহিত্য নির্ভর একটা কিছু হবে। রাইসু ভাই কিছু বুঝানোর চেষ্টা করে ততোদিনে ক্ষান্ত দিছেন। শফিক ভাইয়ের সঙ্গে সাহিত্য বিষয়ক প্রথম আলাপের কথা তো কইছিই। শফিক ভাইয়ের পরামর্শ অনুসারে আমরা ম্যাগাজিনের প্রথম দ্বিতীয় সংখ্যা করলাম। শফিক ভাই দেখি তেমন খুশি না। চিন্তামূলক, তাত্ত্বিক লেখা বাদ দিতে কয়। দেয়া হইলো। তারপরও উনি কয় কঠিন হইতেছে। এই লেখা পইড়া আমার ড্রাইভার তো বুঝবে না। আমরা আরও সহজ করলাম। কিন্তু তারপরও উনি আমাদের দিকে চির নাখোশের ভঙ্গিতে তাকায়া থাকেন। ফাঁকে তারে জিজ্ঞাসা করা হইলো, আমরা কিছু কিছু দেশী সাহিত্য ছাপবো কি না। উনি সোজা না কইরা দিলেন। বললেন, আমি না বলা পর্যন্ত বিদেশী জিনিশই ছাপো। এদেশে কেউ লিখতে জানে না। কীভাবে লিখবে সেটা আমার কাছে শিখতে হবে। বুঝেছো?
সো, আমরা ওইভাবেই ছাপি। দেশী সাহিত্য বলতে, পাঠকের পাঠানো গল্প। আর রিপৃণ্ট নামে একটা বিভাগ। আর আমি লিখতাম সাময়িকী রিভিউ। বাকী সব শফিক ভাইয়ের মতো। তারপরও উনি কন। না এইভাবে না। পরে একদিন আমরা ভাবলাম, কীভাবে করবো এইটা ওনারে জিগাই। গিয়া জিগাইলাম, শফিক ভাই কী কী ম্যাটার দেব সেইটা আপনিই বলেন। উনি কন, গার্ডিয়ান দেখো, নিউ ইয়র্ক টাইমস দেখো। বলাবাহুল্য আমরা সেইগুলাই দেখতেছিলাম, ছাপতেছিলাম। ফলে, সিদ্ধান্তে আসা গেল, উনি তৃপ্ত হবেন না। আমাদের কাজ এইভাবেই চালাইতে হবে।
বাংলা ভাষায় ওনার কাছে দুইজন লেখকের নাম খুব শুনতাম। বনফুল আর সৈয়দ মুজতবা আলী। এনাদের লেখা রিপৃন্ট করতে বলতেন। করা হইলো। রাইসু ভাই চলে যাওয়ার পর আবার আমারে বললেন বনফুলের লেখা রিপৃন্ট করতে। আমি বেশি বেশি করে বনফুল রিপৃন্ট করে ওনাকে তৃপ্ত করতে পারলাম। বনফুল, আমার প্রিয় লেখক, ক্ষমা করবেন। এইভাবে অনেক রিপৃন্ট করে আপনার হাত থেকে আমার মুক্তি মিললো।
রাইসু ভাই যাওয়ার পর আমি একা। ম্যাগাজিন চালাই। ৩২ পৃষ্টা থেকে ১৬তে নেমে আসলো। শফিক ভাইয়ের মনও পরিবর্তন হইলো কিছু। ১৬ থেকে ব্রড শিটে দুই পৃষ্ঠায় আইলো। শফিক ভাইয়ের মন আরও নরম হইলো। আমি ততোদিনে বিদেশী সাহিত্যে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। নেট থেকে ম্যাটার নামাই অনুবাদ করি, ছাপি। ঝুট ঝামেলা নাই। হঠাৎ একিদিন শফিক ভাই কইলেন, এবার কিছু দেশী লেখা ছাপো। আমি অনেক আগে শোনা শফিক ভাইয়ের কথাটা ফেরত দিলাম তাকে, বললাম শফিক ভাই এদেশের কারো লেখা হয়? উনি আমার উত্তরে একটু চমকে গিয়েছিলেন মনে পড়ে। আমি তীরে এসে আর তরী ডুবাই নাই। ওইভাবেই বাকীটা সময় পার করেছিলাম। কিন্তু দেশী সাহিত্য বিষয়ে উনি কী করতে চান এই পরখ করার বাসনা হইলো আমার মনে। আমি বিভিন্ন লেখকের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য একটা লিস্ট করে তার কাছে নিয়া গেলাম। তিনি দেখলেন। কিছু বললেন না। পরে একদিন এসে বললেন, আপাতত আইডিয়াটা ড্রপ করো।
তবে হ্যাঁ। আমি এবং আমরা কিছু দেশী সাহিত্য ছেপেছিলাম। বলাবাহুল্য বিশেষ ক্লেশ শিকার করে।
বানান ও সাহিত্য ছাইড়া এখন আসি ম্যাগাজিন প্রসঙ্গে।
যায়যায়দিন দৈনিক মাত করে দিল ম্যাগাজিন দিয়া। সাত দিন সাতটা ম্যগাজিন। গ্রেট।
এই দেশে কোনো সম্পাদককে আপনি যদি বলেন, একটা হাই বাজেটের পত্রিকা করেন। উনি বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সাংবাদিক আনবেন। বিভিন্ন বিভাগ, রঙিন পাতা-পুতা করে ভরায়া দিবেন। সঙ্গে হয়তো তিনচারটা ম্যগাজিনেরও ব্যবস্থা করবেন। সঙ্গে ২৪ পৃষ্টার দৈনিক। শফিক ভাই, এই জায়গায় খেল দেখালেন। সাতটি ম্যাগাজিন করে।
এরপর কিছু দিন গেলে আপনি এখন সম্পাদককে বলেন, ভাই লাভ দেখান। মানে অন্তত ব্রেক ইভেনে আইনা দেন। সম্পাদক চোখ বন্ধ করে একের পর এক ম্যাগাজিন পাতা বন্ধ কইরা দেবেন। পাতার দায়িত্বে থাকা লোকদের বরখাস্ত করবেন। সহজ হিসাব। শফিক ভাই এইখানে মাত কইরা দিলেন। তিনি একেবারে ১০৪ জনরে বরখাস্ত কইরা তারপর ম্যাগাজিন বন্ধ করলেন। পাতা কমাইলেন।
আমার প্রশ্ন হইলো, ভাই চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট তো আপনে আমি না। ২৩ বছর ধইরা সম্পাদনা তো আপনে করতেছেন আমি না। তো যে জিনিশ কইরা লাভ হইবো না সেইটা আপনি করতে যান কোন হিসাবে। আর সেই রেলাভের জন্য সাংবাদিকদের ভিক্টিমাইজই বা করেন কোন হিসাবে?



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।



* ৬০ টি মন্তব্য
* ৫২০ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ৮ জনের ভাল লেগেছে, ৩ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28797352 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৪২
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এই পার্টটা গোপাল ভাঁড়রে উৎসর্গ করলাম।
২. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৭
comment by: নাফে মোহাম্মদ এনাম বলেছেন: সম্পাদক সাহিত্যিক টাইপ লোক আমার পছন্দ। আমি এমন সাথে একটা রিলেশনশীপ না রাখলে লিখতে পড়তে পারি না। কি ভাই, আমার সাথে বন্ধুত্ব করবেন?
এ টাইপ লেখা লিখে গেলে আমার মতন আরো অনেক ফ্রেন্ডের ঠেলা সামলাতে হবে বলছি! তো...ফ্রেন্ড?
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:২২

লেখক বলেছেন: আমি তো সম্পাদক সাহিত্যিক টাইপ লোক না।
তারপরও বন্ধুত্ব হইতে অসুবিধা কী?
৩. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৯
comment by: মদন বলেছেন: চলুক
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:২৩

লেখক বলেছেন: গোপাল ভাঁড় আমারে আস্ত রাখবো তাইলে?
৪. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৭
comment by: মুহিব বলেছেন: আমরা পড়েই যাচ্ছি
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:২৪

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮
comment by: আরিফ জেবতিক বলেছেন: ভয়ে ভয়ে বলি , এই সাতদিনে সাতটা ম্যাগাজিনের আইডিয়াবাজদের মাঝে আমি একজন ।
আমি বলছি না যে শফিক রেহমান আমার আইডিয়া শুনে সেটা করেছেন , তবে আমি অনেক আগে থেকেই ৭ দিনে ৭ ম্যাগাজিন করার আইডিয়া নিয়ে সঞ্জীবদা , অমিতদা'দের সাথে কথাবার্তা বলা শুরু করেছিলাম ।
কাকতালীয়ভাবে যায়যায়দিন এটা শুরু করায় খুশীই হয়েছিলাম ।

আমি মনে করি ১৬ পৃষ্ঠার পত্রিকার সাথে ১৬ পৃষ্ঠার ম্যাগাজিন ( অবসর , ছুটির দিনে , আলপিন এধরনের ম্যাগাজিন ) দেয়ার আর্থিক কোন প্রেশার আসে না ।
আপনি ২০ পৃষ্ঠা থেকে ৪ পৃষ্ঠা ধার করে এটাকে ম্যাগাজিনের আকারে নিয়ে আসবেন , পত্রিকা কিন্তু মোট ২০ পৃষ্ঠাই থাকছে , কিন্তু পাঠক মনে করছে যে সে একটা ফাও ম্যাগাজিন পাচ্ছে ।
ফিচারগুলোকে ম্যাগাজিনে নিয়ে আসাটাই ভালো মনে হয় ।





১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:২৬

লেখক বলেছেন: ভাল একটা আইডিয়া আপনার মাথায় আসছিল।
৬. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮
comment by: সুরিজত স্বপন বলেছেন: অতঃপর...?
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:২৮

লেখক বলেছেন: সেটাই তো প্রশ্ন।
৭. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:০১
comment by: নাফে মোহাম্মদ এনাম বলেছেন: আহা কি আইডিয়া! এমন চক্কর বকবল আমরা লেখকরাই পারি। আর পারি মহা মহা সেলিব্রেপটরা.....হেহেহে!
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৩০

লেখক বলেছেন: হো হো হো।
৮. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭
comment by: আরেফিন রাফি বলেছেন: চলুক..........+
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৫

লেখক বলেছেন: আমারে খাইয়ালাইবো।
৯. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:২৩
comment by: আতিক ১৭ বলেছেন: চালিয়ে যান আমরা আছি আপনার সাথে।
উনি নাকি নতুন সাপ্তাহিক বাহির করতেছেন? যদি জেনে থাকেন তাহলে ব্লকে উল্লেখ করবেন প্লিজ।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯

লেখক বলেছেন: জানি না তো।
১০. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:২৯
comment by: আলফ্রেড খোকন বলেছেন: এখন তাইলে চন্দ্রবিন্দু আছে? যেমন মাহবুব মোর্শেদ এবং `তাঁর'।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৩

লেখক বলেছেন: খোকন দা বুঝি নাই আপনার কথাটা।
১১. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫০
comment by: হ্যারি সেলডন বলেছেন: আপনি সুশীল হইলেও এই লেখাটা ভাল্লাগতাছে। চালিয়ে যান।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭

লেখক বলেছেন: আমি সুশীল না। তারপরও ধন্যবাদ।
১২. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫২
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: কুশিল হবার চাইতে সুশিল হওয়া হাজারগুনে ভালো।

লেখা ভালো লাগছে মামো।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০৩

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ মা.সু। অনেক ধন্যবাদ।
১৩. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮
comment by: হ্যারি সেলডন বলেছেন: সুশীল না হইলে না হন। তবু লেখাটা চালিয়ে যান।
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০৪

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
১৪. ১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০১
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ৭ দিনে ৩২ পৃষ্ঠার সাতটা ম্যাগাজিন , ঝকঝকে তকতকে পত্রিকা থেকে যখন ১৬ পৃষ্ঠায় নেমে আসলো , সেটা ছিল পাঠকদের জন্য বড় ধাক্কা ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে , ঢাকা ইউনিভার্সিটি লিখলে দৃষ্টিকটু লাগতো । বৈরুতকে বেইরুট, মিশরকে ইজিপ্ট বলা সমর্থন করতাম ।

সাহিত্য পাতায় এমন লেখাগুলো আসার রহস্য জানা হলো
১৩ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০৬

লেখক বলেছেন: খরচ কমানোর সবচেয়ে ননক্রিয়েটিভ পদ্ধতি হলো : কাগজ কমানো।
১৫. ১৩ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৮
comment by: মাইনুল বলেছেন: বাংলা বানান নিয়ে তিনি যা করছেন তা আমি সাপোর্ট করিনা। কিন্তু ইংলিশ বানান নিয়ে তিনি যা করছেন তা ১০০ ভাগ সাপোর্ট করি। কেননা আমিও মনে করি ইংলিশ বানান গুলা ইংরেজী উচ্চারনের মত করে বাংলায় লেখা উচিত। এই ব্যাপার আমার একটা পোস্ট আছে , দেখতা পারেন-
Click This Link

আর উনি চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বা পেপারের এত দিনের এক্সপেরিয়েন্সের পরেও কেন বুঝতে পারেন নাই কতদিন লাগবে ব্রেক ইভেনে আসতে বা লাভের মুখ দেখতে। এই ব্যাপারে আমার একটা ব্যাখ্যা আছে। আসলে বাংলাদেশে মিডিয়া জগতে অনেক কম্পিটিশন। আর বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু সহজে একটা পেপার পড়ার হ্যাবিট চেইঞ্জ করে না। তাই এই ধরনের কম্পিটিশন মার্কেটে জায়গা করে নেবার জন্য সময় দরকার, নতুন আইডিয়া দরকার আর অনেক টাকা অনেক দিন ধরে ইনভেস্ট করার মানসিকতা দরকার।

শফিক রেহমান নতুন আইডিয়া নিয়ে আসছিলেন। আর পেপার ও আস্তে আস্তে মার্কেট পাচ্ছিল। কিন্তু ঘাপলা টা বাঝাইছে, ইনভেস্টর মানে বসুন্ধরা গ্রুপ। এরা হইতেছে দ্রুত প্রফিট লাভ করার বিজনেসম্যান। লাভের জন্য ওয়েট করার ধৈর্য্য এদের ছিলনা। আর একটা কথা শুনা যায়,এই গ্রুপ টি নাকি বনানীর এক ভবনের চাপে এই ইনভেস্ট করেছিল। এদের নিজের কোন ইচ্ছা ছিলনা। তাই প্রথম চান্সেই তারা এই ব্যবসা থেকে সরে আসে। এই ব্যাপারে মার্কেটে আরো একটা কথা চালু আছে, ধানমন্ডির আরেকটি ভবন নাকি তাদের চাপ দেয় ইনভেস্টমেন্ট তুলে নেবার জন্য।
যাই হোক আমি মনে করি এটাই ছিল যায়যায়দিন বা শফিক রেহমানের সফল না হবার মুল কারন। যদি বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের ইনভেস্টমেন্ট অব্যাহত রাখতো তাহলে যায় যায় দিনের ইতিহাস অন্যরকম হত।
১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:২৮

লেখক বলেছেন: ভাল বলেছেন।
কিন্তু একটা জিনিশ মনে রাখার সময় আসছে। আপনে চাঁদা হিসাবে পত্রিকা বাইর করার টাকা নেন আর ইনভেস্টমেন্ট হিসাবে নেন, যে টাকা দেয় সে অনন্তকাল ধইরা টাকা দিবে না।
আপনে এক্সপেরিমেন্ট শেষ কইরা দৈনিক বের করেন। দৈনিক বের করতে করতে এক্সপেরিমেন্ট করলে ইনভেস্টর ও চাকরিজীবীদের বারোটা এমনেই বাজবে।
১৬. ১৩ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১০
comment by: ক্যামেরাম্যান বলেছেন:
পার্ট টু থেকে ফোর পর্যন্ত একবারে পড়লাম। ভাল লিখেছেন। অনেক কিছু জানতে পারলাম। গোঁপাল ভাঁড়ের জন্য লেখাটা আবার বন্ধ করবেন না, প্লিজ।
১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৩১

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। আর কী লিখবো? লিখলে এবার দরবারের গোপাল ভাঁড়দের কাহিনি লিখতে হয়। সেটা লেখা কি ঠিক হবে? না। ঠিক হবে না।
১৭. ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৩৪
comment by: দূরন্ত বলেছেন: আমার মতে, সাতদিন সাতটা ম্যাগাজিন খুবই অবাস্তব ছিল (অবশ্য আরো অনেক কিছুই অবাস্তব ছিল)।
প্রতিদিন প্রতিটা ম্যাগাজিনের জন্য ২ টাকা করে অতিরিক্ত খরচ হতো।
১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৩৫

লেখক বলেছেন: অবাস্তবকে বাস্তব করার কোনো উদ্যোগ ছিল না বলেই সাতদিনে সাতটা ম্যাগাজিন শেষ পর্যন্ত সায়েন্স ফিকশনে পরিণত হয়েছিল।
১৮. ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:১৫
comment by: মেহেদী হাসান বলেছেন: যায়যায়দিনে চাদ ঠিকই দেখা গেছে কিন্তু সূর্য দেখা যাবে কি না সন্দেহ আছে। সূর্য ছাড়া চাদ অস্তিত্বহীন।
১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৩৬

লেখক বলেছেন: দিন যখন চইলা যায় তখন সূর্য দেখা যায় না। তখন চাঁদই দেখতে হয়।
১৯. ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৪৭
comment by: নীল-লোহিত বলেছেন: খুব চমতকার লেখা। আমি মনে করি শফিক রেহমানকে আইপি সহ ব্যান করা উচিত
১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৩৭

লেখক বলেছেন: ফালতু কথার আরেক ওস্তাদ আপনে। নীল লোহিত নামটারে পঁচাইবেন শীঘ্রই বুঝা যাইতেছে।
২০. ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৫০
comment by: অমিত বলেছেন: যাক, আপনে যখন পরের জবে যাবেন, তখন আমরা যা কিছু ভাল, তার সাথে প্রথম আলো নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারব।
১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৩৮

লেখক বলেছেন: এতদিন পর আবার মনে হইছে আমার কথা?
ভাল।
২১. ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:০৯
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

এই পর্বটা পইড়া আমারও নীল-লোহিতের লগে একমত হইতে ইচ্ছা করতেছে ।
"শফিক রেহমানরে আই পি সহ ব্যান করা হউক "
২২. ১৩ ই মে, ২০০৮ রাত ১১:২৫
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: সবগুলো পড়লাম। এইটা বেশি ভালো লাগলো। একজন ব্যক্তি ও সম্পাদকের ভালো বিশ্লেষণ হয়েছে। সাংবাদিকরা সম্পাদকের খামখেয়ালীপনার কাছে কীভাবে বন্দি তাও বোঝা গেল।
আমি যায়যায়দিন পড়তাম না কেবলমাত্র বাংরেজির কারণে। মানে টিকতে পারতাম না। এইটা অন্যায়, এইটা অপরাধ।
বাংলা বানানে তিনি ঋ-ফলা ছাড়া আর কী যোগ করতে চেয়েছিলেন তা বুঝিনি। আজ জানলাম চন্দ্রবিন্দু ছাঁটতে চেয়েছিলেন।
সহকর্মী রোবায়েত ভাই বলতেন 'পৃতি' লিখলে প্রিয়জনের কাছ থেকে 'প্রীতি' মেলার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
আর 'সঠিক' ইংরেজির ব্যবহার প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ পাড়তে চাই। যেমন আপনার পাতায় মুভি শব্দটা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। সেইখান থেকে ব্লগেও দেখি অনেকে শব্দটা ব্যবহার করেন। কিন্তু তাত্ত্বিকভাবে সব ছবিই কিন্তু মুভি না।
যদ্দূর জানি সিনেমা হলো চলচ্চিত্রের এসথেটিকস, ফিল্ম হলো টেকনোলজি আর মুভি হলো এর বাণিজ্য/অর্থনীতি। হলিউডের বা বলিউডের প্রায় সব ছবিকে মুভি বলা যেতে পারে। কিন্তু পৃথিবীর সব ছবিকেই মুভি বলার মধ্যে প্রমাদ ওঁত পেতে থাকে।
১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৪৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহমিদ ভাই।
মুভি/সিনেমা/ফিল্ম বিষয়ে গাস্তঁ রোবের্জ কথা বলেছিলেন। আমি গ্রামের লোকের মতো বই বলতে পারলে খুশী হতাম। ছবিও বলা যায়। গাস্তঁ রোবের্জ তাত্ত্বিক দিক বিচার করে মুভি বলতে উৎসাহী। অন্যদিনে শফিক ভাই জনপ্রিয় শব্দ ও হলিউডি কেতায় মুভি বলতেন।
আমি সবই বলতে চাই। যখন যা ইচ্ছা।
২৩. ১৪ ই মে, ২০০৮ রাত ১২:৫৭
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: আপনার লেখাটি আর কতদূর এগোবে। পড়তেছি।
১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৪৫

লেখক বলেছেন: রিফাত ভাই,
আর বেশি আগাবে না। গোপাল ভাঁড়দের অনুপ্রেরণা না থাকলে হয়তো দুই পর্বের বেশি আগাইতো না।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৪. ১৪ ই মে, ২০০৮ রাত ১:০৭
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন: পড়ছি নিয়মিত।
১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৪৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৫. ১৪ ই মে, ২০০৮ রাত ৩:৫৫
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: হুম,জানার আছে অনেক কিছু।
১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৪৮

লেখক বলেছেন: আমি এত কিছু জানি? বুঝেন তাইলে!
২৬. ১৪ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:৪৯
comment by: হ্যারি সেলডন বলেছেন: পরের পর্ব দেন।
১৪ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৭

লেখক বলেছেন: দিবো?
২৭. ১৪ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: দেন।
১৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:২২

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৮. ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ১১:২৪
comment by: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: শাহজালাল বিজ্ঞানও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যখন শাহজালাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনির্ভাসিটি হয়ে যেত তখন মনে হতো এই রাম ছাগল গুলো অনুবাদও করতে পারে না।

যাক ভালো লাগছে আপনার লেখা।
১৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৯. ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৩৯
comment by: মিসিরআলী বলেছেন: আসলে যা যে কাজ তাকে তাই করা উচিত। মি. শফিক রেহমান এর হওয়া উচিত ছিলো কোন হাই স্কুলের টিচার হওয়া। কিন্তু তিনি কেন যে একজন সম্পাদক হলেন তা বোধকরি তার কাছের লোকরাও বুঝতে পারেন।......
১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৩

লেখক বলেছেন: যারা মনে করে সমাজ অসুস্থ এটারে চিকিৎসা করা দরকার, অতএব আমি চিকিৎসক। সমাজ অশিক্ষিত এইটাকে শিক্ষা দেওয়া দরকার অতএব আমি শিক্ষক, তাদের মধ্যে গুরুতর সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি।
৩০. ১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:০৯
comment by: সামী মিয়াদাদ বলেছেন: ধীরে সুস্তে পড়বো বলে আগে পড়িনাই

বাংলা থুইয়া ইংরেজী বানানের পিছনে দৌড়ানোর শানে নজুল বুঝলাম না মোর্শেদ ভাই।
১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৬

লেখক বলেছেন: ধীরে ধীরেই পড়েন। বাংলা-ইংরেজি বানানের ব্যাপারে লেখছি তো বিস্তারিত। মনে হয় পরের পর্বে।
৩১. ১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৯
comment by: নীল-লোহিত বলেছেন: তুমার নীল সার্টের সম্মানে নীল-লোহিত নাম লইলাম আর তুমি আমার উপরে রাগ করলা মামো। তারপর বেতন কত বাড়ল প্রথম আলোয়?
১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৭

লেখক বলেছেন: ভাল করছো। এখন ফুটো।

No comments:

Post a Comment