Sunday, March 1, 2009

সত্যজিত রায়ের জন্মদিনে প্রথমবারের মতো পথের পাঁচালী দেখা

০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১১
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

বড় পরিচালকদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই যার সিনেমা দেখার ভাগ্য হয়েছিল তার নাম সত্যজিৎ রায়। বিভিন্ন সীমান্ত শহরে থাকার সুবাদে আমাদের শাদাকালো টিভিতে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো ডিডি ওয়ান, ডিডি সেভেন দেখা যেতো। মনে পড়ে স্কুল পড়ার সময় ডিডি সেভেনে সত্যজিৎ রায় রেট্রোস্পেকটিভ হয়েছিল টিভিতে। সম্ভবত তার মৃত্যুর পর এটা হয়েছিল। একে একে তার সব সিনেমা দেখানো হয়েছি। দেখানো হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর তৈরি করা তার রবীন্দ্রনাথ ডকুমেন্টারি এবং তার সত্যজিতের ওপর করা শ্যাম বেনেগালের ডকুমেন্টারিটিও। সেবার অনেক সিনেমা দেখানো হলেও কীভাবে যেন পথের পাঁচালী মিস করে গিয়েছিলাম। সেই যে পথের পাঁচালী না দেখা শুরু হলো, এই না দেখা চললো গতকাল পর্যন্ত। স্কুল জীবনের পর, ঢাকা এসে ইনডিয়ান কালচারাল সেন্টারে দেখলাম আবার তার রেট্রো। ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের কালচারাল সেন্টারে। কত সাল? ১৯৯৯ বা ২০০০ হবে। সেবারও মিস করলাম।
সত্যজিতের প্রতি আমার আকৈশোর মুগ্ধতার অবসান ঘটলো এই দ্বিতীয় দর্শনে। টানা প্রায় ১৫টি মুভি দেখার পর মন অবসন্নতায় ভরে গেল। সত্যজিতের ব্যকরণ মানা, রেনেসাঁসের চৈতন্য আমাকে পীড়িত করতে থাকলো। পাটভাঙা মুভির নন্দনতত্ত্ব থেকে মনটা একটা সরে গেল।
তারপর প্রায় পাঁচ ছয় বছর আর সত্যজিৎ দেখিনি। অন্য অনেকের বহু দেশের, বহু ভাষার সিনেমা দেখেছি। বড় পরিচালকদের নাম জেনে মুভি দেখার চেষ্টা করেছি। মুভি দেখে নাম জানার চেষ্টা করেছি। অবশেষে, হঠাৎ করে টিভিতেই একদিন অপুর সংসার দেখলাম। একদিন চিড়িয়াখানার ডিভিডি এনে দেখলাম। একদিন দেবী, চারুলতা, শাখাপ্রশাখা, আগন্তুক এইভাবে এক এক করে দেখতে থাকলাম। জয়বাবা ফেলুনাথ, সোনার কেল্লা দেখলাম। সত্যজিৎ আসলে একজন নন। সত্যজিৎ বহু। একের ভেতরে অনেক। এই ব্যাপারটা ধীরে ধীরে টের পেতে থাকলাম। তার নিজস্ব ভাষা সেই ভাষায় প্রতিষ্ঠিত কাঠামোর সমালোচনা, সেইভাষায় রাগ ও ক্ষোভের বহিপ্রকাশ। সেই ভাষার ডিটেইল নতুন করে দেখতে থাকলাম। ঘরে বাইরে যতবার দেখি, কিংবা অরণ্যের দিনরাত্রি মনে হয় একেবারে নতুন করে পড়তে পারা যাচ্ছে। কিংবা তার সবচেয়ে বিপ্লবী মুভি হিরক রাজার দেশে।
না সত্যজিতের সিনেমা একভাবে এক দর্শনে পড়ে ফেলার কোনো উপায় নাই। বহুতলীয় একেকটি মুভিকে বহুভাবেই দেখতে হবে। এই বোধ আমাকে এক ধরনের অপরাধ বোধের মধ্যে ফেলে দিল। সেই অপছন্দের অপরাধবোধ।
জীবনের একেকটা বাঁকে একেক গতিপথে সত্যজিতের মুভিকে একেক ভাবে পাঠ করা সম্ভব। একবার দেখে দেখছি বললে শেষ হয়ে যায় না।
পথের পাঁচালী আমি গতকাল পর্যন্ত দেখিনি। কেন? ঠিক যে কারণে পথের পাঁচালী পড়িনি। ঠিক যে কারণে গড অব স্মল থিংস হাতে তুলিনি। সবাই যখন অকুণ্ঠ প্রশংসা করে তখনই মনে হয় কোথাও নিশ্চয়ই একটা ফাঁক রয়ে গেছে। কোথাও একটা ঝামেলা আছে। অজনপ্রিয় বিষয় নিয়ে জনরুচিকে খুব বিপজ্জনক মনে হয়।
তাই পথের পাঁচালী দেখলেই চোখ সরিয়ে নিয়েছি।
কিন্তু এবার আর চোখ সরালাম না।
খুব মুগ্ধ হয়েছি? অবশ্যই। এক মহাকাব্যিক বেদনা বোধ টের পেলাম। কলকাতায় রায় পরিবারে বড় হওয়া একজনের পক্ষে এত বিস্তৃতভাবে অন্য আরেক শৈশবের এতো ডিটেইল ছবি তোলা কীভাবে সম্ভব হলো? সত্যজিৎ তাহলে কি নিজের জীবনে অন্যের জীবনও যাপন করতেন?



প্রকাশ করা হয়েছে: ফিল্মি, ফিল্মি বিভাগে ।




এডিট করুন | ড্রাফট করুন | মুছে ফেলুন

* ৪৬ টি মন্তব্য
* ৩৫৩ বার পঠিত,

Send to your friend Add to Your Showcase Print
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ৯ জনের ভাল লেগেছে, ১ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28793732 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭
comment by: নিসর্গ পথিক বলেছেন: ভাল লাইগলো...+
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৩৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
মুছে ফেলুন


২. ০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১২:২০
comment by: শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: কাল হঠাৎ চ্যানেল ঘুরাতে দেখি কোন এক ভারতীয় বাংলা চ্যানেলে পথের পাচালী দেখাচ্ছে। মাত্রই শুরু। আবার দেখলাম, আবার মুগ্ধ। আমার হিসেবে নেই ছবিটা আমি কতবার দেখিছি। এটা ঠিক যে প্রতিবারই মনে হয় প্রথমবার দেখছি। নতুন নতুন দৃষ্টিকোন ধরা পড়ে প্রতিবারই। কাল আমি বিশেষ করে ইন্দিরা ঠাকুরুন কে বেশি মনোযোগ দিয়ে দেখলাম। অসাধারণ অভিনয় এই বৃদ্ধা মহিলার।


ছবি দেখার নেশা যারা যারা জাগায় তাদের মধ্যে বড় নাম সত্যজিত
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৩৭

লেখক বলেছেন: aamio oivabei dekhlam.
Shokria.
মুছে ফেলুন


৩. ০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪
comment by: 'স্বপ্নবাজ' বলেছেন: ছবির মত আপনার লেখাতেও মুগ্ধ হয়ে গেলাম যোগ(+)
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৩৮

লেখক বলেছেন: thanx.
মুছে ফেলুন


৪. ০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৩১
comment by: হায়দার কািরগর বলেছেন: ভালো লাগলো। দুঃক্ষের বিষয় সত্যিজিতের মৃত্যু দিবসে এ দেশের কোন পত্রিকা ক্রোড় পত্র করেনি। প্রথম আলোর আনন্দ পাতায় সত্যজিতের যায়গা ভেতরের পাতায়। প্রথম পৃষ্ঠায় এদেশের মোটকা মোটকিদের দিন রাত কেমনে যায় তার ফিরিস্তি।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৪০

লেখক বলেছেন: পত্রিকাগুলো প্রতিবছর ক্রোড়পত্র করলে যে কারো অবস্থা কেএন ইসলাম আর আরএন ঠাকুরের মতো হয়ে যায়। সেদিক দিয়ে ধন্যবাদ জানাতেই হয় যে, সত্যজিতের ওপর ক্রোড়পত্র হয় নাই।
মুছে ফেলুন


৫. ০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৭
comment by: রাজীব আহমেদ বলেছেন: সত্যজিতের ছবি আমার ভাল না লাগলেও তার উপর আপনার এই লেখা আমার অনেক ভাল লেগেছে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৪১

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
মুছে ফেলুন


৬. ০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৭
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: পথের পাঁচালী, অনেক আগে দেখেছি। বইটাও পড়েছি অনেক আগে। দুটোই অসাধারণ ভরপুর অভিজ্ঞতা। আপনার লেখাটা ভাল লাগল।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৪৪

লেখক বলেছেন: বইটা আমি এখনও পড়ি নাই। কেউ জিগাইলে পড়ি নাই বললে দেখি মনে খুব ব্যথা নিয়া আমার দিকে তাকান। একটা গুরুতর সন্দেহ পোষণ করেন আমার পাঠ নিয়া। আমি পুরা ব্যাপারটায় মুখ আনন্দ পাই।
মুছে ফেলুন


৭. ০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৭
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

পথের পাঁচালী এখনও দেখা হয়নি !
আহারে ! একটা অপূর্ণতাবোধ ।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৪৫

লেখক বলেছেন: যাহা অবশ্যপাঠ্য বা অবশ্য দর্শনীয় তাহা যত বেশি সম্ভব দেরিতেই পড়া/দেখা ভাল।
মুছে ফেলুন


৮. ০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:১০
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন: সত্যজিৎ তাহলে কি নিজের জীবনে অন্যের জীবনও যাপন করতেন?


আমারও তাই মনে হয়।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৪৭

লেখক বলেছেন: করতেন।
ফিকশন লেখক ও ফিল্ম মেকারদের ক্ষেত্রে বেশি ঘটে ব্যাপারটা কবিদের তুলনায়।
মুছে ফেলুন


৯. ০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৪৪
comment by: এহসানুল ইয়াছিন বলেছেন: খুব মুগ্ধ হয়েছি
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৪৮

লেখক বলেছেন: thanx a lot.
মুছে ফেলুন


১০. ০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৪৪
comment by: আকাশচুরি বলেছেন:
সবাই যখন অকুণ্ঠ প্রশংসা করে তখনই মনে হয় কোথাও নিশ্চয়ই একটা ফাঁক রয়ে গেছে। কোথাও একটা ঝামেলা আছে।

অবশেষে এই দর্শন থেকে বের হওয়া গেল!!
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৩ রা মে, ২০০৮ দুপুর ১:৫২

লেখক বলেছেন: না। আমি বরং অন্যভাবে দেখলাম।

কখনো কখনো ভাল জিনিশগুলোও সবার অকুণ্ঠ প্রশংসা পায়। অবাক কাণ্ড!
মুছে ফেলুন


১১. ০৩ রা মে, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮
comment by: নূহান বলেছেন: আপনি কি অপরাজিত দেখেছেন?
পথের পাচালী,অপরাজিত ও অপুর সংসার , সত্যজিতের প্রথম ট্রিলজী।
আমিও দারুন সত্যজিত ভক্ত।
আপনার লেখা ভাল লাগল।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৪ ঠা মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৩

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
অপরাজিত দেখি নাই।
মুছে ফেলুন


১২. ০৩ রা মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
comment by: বিহংগ বলেছেন: ভালো লাগলো।
শৈশবের ফেলে আসা স্মৃতিকে যদি আবার বর্তমান দর্পনে দেখতে চান তবে Rob Reiner এর "Stand by me" ছবিটি দেখতে পারেন।অপূর্ব একটা ছবি।Stephen King এর নোভেল থেকে নেয়া।
হাসাবে,ভাবাবে,ছবির শেষে চোখ ছলছল করবে।ফেলে আসা বন্ধুদের কথা মনে করে প্রান আকুল করে ওঠবে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৪ ঠা মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৪

লেখক বলেছেন: দেখবো তো। অনেক ধন্যবাদ। ভাল আছেন?
মুছে ফেলুন


১৩. ০৪ ঠা মে, ২০০৮ রাত ১২:৫৬
comment by: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: সেই ছোট কালে যখন তিন মাসে একটি বাংলা সিনেমা দেখাতো টিভিতে তখন কোন এক শুক্কুর বারে দেখেছিলাম পথের পাঁচালী। তাও পুরাপুরো নয় অংশিক।

আজ আর ঠিক মনে নেই।
এখন অনেক সুযোগ পাওয়ার পরও কেন জানি দেখতে ইচ্ছে করেনা।
ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৪ ঠা মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৬

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ শিশির।
মুছে ফেলুন


১৪. ০৪ ঠা মে, ২০০৮ রাত ১:২৮
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: প্রশংসা সবাই বুইঝা করে নাকি না বুইঝা,সেই প্রশ্ন থাকে বইলাই জনপ্রিয়তায় একটু টান পড়ার পরেই জনপ্রিয় জিনিস হাতে তুলি। যাই হোক,লেখাটা ভাল লাগসে,বরাবরের মতই।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৪ ঠা মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
মুছে ফেলুন


১৫. ০৪ ঠা মে, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: হুমমমম.........
পথের পাঁচালী দেখেছি,তবে পুরোটা না। কাজিনদের নিয়ে দেখতে বসছিলাম,তাদের নাকি এইসব দেখে পোষায় না!হাহ!
ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছিল না,বাসায় ডিভিডি এনে রেখেছি,পরীক্ষা শেষ আর পড়াশোনার চাপ কমলেই সময় করে দেখতে বসব।

অনেকদিন পর আসা হল আপনার পেজে,ভাল আছেন?পার্টির ছবিতে আপনার ছবি দেখলাম
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৪ ঠা মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

লেখক বলেছেন: সময় কইরা দেইখেন।
পরীক্ষা ভাল হইলে বেশি বেশি কইরা দেইখেন।
হ। অনেক দিন পর আপনেরে দেখলাম।
নিজের ছবি দেইখা তো আমিই চিনতে পারতেছিলাম না।
মুছে ফেলুন


১৬. ০৫ ই মে, ২০০৮ রাত ১২:০০
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: অপু ট্রিলজি আমার কখনোই সত্যজিতের অন্য কোনো কোনো ছবির চেয়ে বেশি ভালো লাগেনি। অরণ্যের দিনরাত্রি, নায়ক, আগন্তুক এমনকি কাপুরুষও অপু ট্রিলজির চেয়ে বেশি ভালো লাগে। পথের পাঁচালি সম্ভবত তিনবার দেখেছি, খুব কম বয়েসে একবার দেখার কারণেই হয়তো এই বিকর্ষণটা স্থায়ী হয়ে গেছে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৩

লেখক বলেছেন: আমার সবচয়ে ভাল লাগে হিরক রাজা, গুপি বাঘা, চিড়িয়াখানা।
মুছে ফেলুন


১৭. ০৫ ই মে, ২০০৮ রাত ২:২০
comment by: মুহাম্মদ বলেছেন: আমার মনে হয় পথের পাঁচালী, অপরাজিত আর অপুর সংসার এই তিনটা একসাথে এক বসায় দেখা উচিত। আমি প্রথমে পথের পাঁচালী দেকেছিলাম। মাঝে অপুর সংসারও দেখা হয়। অপরাজিত না দেখে আবার প্রথম থেকে শুরু করলাম। কেমন লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না। ছোট্টবেলার দুরন্ত অপু থেকে অপুর ডানপিটে বাচ্চা পর্যন্ত পুরো জীবনটা অনুভব করতে পেরেছি। অনেক বোধ হয়েছে। গ্রাম থেকে উঠে আসা একটা ছেলে কত কিছু কত আগ্রহভরে আবিষ্কার করলো, কিন্তু জীবনে তার সফলতা আসেনি।

এটাই কিন্তু জীবন, সাধারণ অর্থে সফলতা আমাদের আসে না। স্ত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অপুর জীবনের ব্যর্থতাকে এভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্যই অপুর সংসারের শেষ দৃশ্যটা এতো ভাল লেগেছে। সত্যি বলছি: অপুর ডানপিটে ছেলে যখন তার কাঁধে চেপে রওনা হয় তখন আমার লাফাতে ইচ্ছা করছিল, বসে থাকতে পারছিলাম না। তাই আমার পরামর্শ: তিনটা একসাথে দেখুন। থান্ডার্ড হয়ে যাবেন।

আমার ভাল লাগার আরেকটা কারণ, আমিও গ্রামের ছেলে। স্কুলের পড়াশোনা গ্রামেই। আমিও কেন জানি অপুর আবিষ্কারের বিষয়টার সাথে খুব একাত্মতা বোধ করি। আমিও আবিষ্কার করেছিলাম অনেক কিছু। এখন আমার জীবন যদি অপুর মত ব্যর্থ হয়ে যায় তাহলে আপত্তি নেই। অপুর সংসারের শেষ দৃশ্যটার মত কোন সুখ আমার জীবনে না আসলেও আপত্তি নেই। কারণ জানি না, শুধু জানি মানুষের জীবন এমনই হয়।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৪

লেখক বলেছেন: একসাথে দেখবো এবার। ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য। আমিও ভাবছিলাম।
মুছে ফেলুন


১৮. ০৫ ই মে, ২০০৮ রাত ২:২৬
comment by: মুহাম্মদ বলেছেন: আরেকটা কথা বলি।
অনেকেই হয়তো জানেন যে, সত্যজিৎ "দ্য এলিয়েন" নামে একটা ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। হলিউড থেকে নির্মাণের কথাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্রীলংকার পরিচালক "মাইক উইলসন" এর বিশ্বাসঘাতকতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। বিশ্বাসঘাতকতা করার আগে সত্যজিৎ যখন এলিয়েন করতে পারবেন কি-না এ নিয়ে দ্বিধায় ভুগছিলেন তখন উইলসন বলতেন:
"আপনি সব পারবেন। কারণ আপনি অপু ট্রাইলজির নির্মাতা"

সত্যজিৎ সম্বন্ধে অনেক জানতে চাইলে বাংলা উইকিপিডিয়ার এই নিবন্ধটা পড়ে দেখতে বলবো:
Click This Link
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস। পড়িয়াছি।
মুছে ফেলুন


১৯. ০৫ ই মে, ২০০৮ রাত ২:৪৪
comment by: তারার হাসি বলেছেন: কয়েকবার পড়লাম, অনেক সুন্দর করে লিখেছেন।
ধন্যবাদ, আপনারা লিখেন বলেই আমরা কোন বিষয়ের গভীরে যেতে পারি, বুঝতে পারি।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮

লেখক বলেছেন: কী যে বলেন।
সত্যজিতের ওপর কত ভাল লেখা আছে।
মুছে ফেলুন


২০. ০৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭
comment by: দূরন্ত বলেছেন: সত্যজিৎ আসলে একজন প্রকৃত জিনিয়াস ছিলেন।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০০

লেখক বলেছেন: h.
মুছে ফেলুন


২১. ০৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:০৫
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: শেষ দেখলাম জন অরন্যে ...........আমি দেখতে চাই সত্যজিত রায় কি সুন্দর কে জীবনকে দেখান।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৫ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০২

লেখক বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ মাসু।
মুছে ফেলুন


২২. ০৫ ই মে, ২০০৮ রাত ৯:৪১
comment by: সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখা।
পথের পাঁচালি প্রথম দেখার স্মৃতিটা মনে পড়ে গেলো।
শুভেচ্ছা থাকলো।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৬ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৩

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস এ লট।
মুছে ফেলুন


২৩. ০৬ ই মে, ২০০৮ সকাল ১০:১৮
comment by: জুবেরী বলেছেন: আপনার অধিকাংশ লেখা গুলো পত্রিকার জন্য লিখেন তাই
লেখাগুলো ফরমাল হয় ।

এই লেখাটি বিশুদ্ধ আবেগের ।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



০৬ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৭

লেখক বলেছেন: সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু ব্লগে দেয়া বেশিরভাগ লেখা তো আমি স্রেফ ব্লগের জন্যই লিখি।
মুছে ফেলুন

No comments:

Post a Comment