Sunday, March 1, 2009

করপোরেট রেসপনসিবিলিটি বনাম কর্পোরেট আগ্রাসন : বর্ষাবরণে বাংলা লিঙ্ক, বই মেলায় ব্র্র্যাক ব্যাংক, আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির রক্ষণাবেক্ষণ

করপোরেট রেসপনসিবিলিটি বনাম কর্পোরেট আগ্রাসন : বর্ষাবরণে বাংলা লিঙ্ক, বই মেলায় ব্র্র্যাক ব্যাংক, আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির রক্ষণাবেক্ষণ ও সামহয়ারে বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গ
১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:১৫
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

সামহয়ারে বিজ্ঞাপন দেওয়া নিয়া ঢের কথা হইলো। কিছু শুনলাম, কিছু দেখলাম, কিছু এড়ায়া গেলাম। কিন্তু অনুধাবনের চেষ্টা করলাম ফাহমিদ ভাইয়ের পোষ্টটা (Click This Link)। অনুধাবন করার চেষ্টা করতে বাধ্য হইলাম বলা যায়। মিডিয়া, মিডিয়া অ্যাক্টিভিজম বিষয়ে ফাহমিদুল হক সমঝদার ব্যক্তি। এই নিয়া বহুদিন কাজ করতেছেন। ফলে, নোটিশবোর্ডের পোস্টে কিছু সমর্থন দিয়া এই বিষয়ে একটা শীতঘুম দিবার উদ্যোগ করতে আছিলাম। ফাহমিদ ভাই একেবারে মুখে পানি দিয়া জাগাইলেন। বটে? তবে ফাহমদি ভাই আপনের খবর আছে। আমরা বিজ্ঞাপন চাই। আপনে চান না। আপনের লগে তর্ক আছে। আপনে বিজ্ঞাপন চান না মানে আপনে বিপ্লবী আর আমরা অবিপ্লবী এইখানেও আমরা আপোষ করতে রাজি না। আমরা বিপ্লবীও বটে, বিজ্ঞাপনেও বটে। ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি। পারলে ঠেকান।
কর্পোরেটের বিরুদ্ধে আমাদের নাড়াই চলছে। নাড়াইকে ভালো কথায় বলে লড়াই। কেমন লড়াই? আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁচানোর লড়াই। বাংলাদেশের ইতিহাসে আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি নিজেই একটা আধিপত্যবাদী ধারণা। এই আধিপত্যবাদ সময়ে অসময়ে ক্ষুদ্র, দুর্বলদের ওপর হামলে পড়ে। তাকে কাইত কইরা নিজেরে জাহির করে। এই দেশে আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিই মেইনস্ট্রিম। ফলে, আপনে বলেন বাঙাল সংস্কৃতি আবহমান না। দেখবেন আপনের লাশ এই ব্লগে পইড়া রইছে। শুধু জাতীয়বাদ না, উগ্র জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিস্ট রূপও মাঝে মধ্যে আমাদের আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি ধারণ করেন। তো মেইনস্ট্রিমের এই আধিপত্যবাদী আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি নিজের জোরেই বাঁইচা আছে। তারে বাঁচানোর কিছু নাই। ক্ষমতাধর, ব্যবসায়ী, আধিপত্যের ঝাণ্ডাধারীরা এই আবহমান সংস্কৃতিরে অবলম্বন কইরা বাণিজ্য, শাসন সবই করতেছেন। আবার কর্পোরেটও করতেছেন। বাঙালি সংস্কৃতি আর কর্পোরেট সংস্কৃতি মিলেমিশে ভালোই চলতেছে। হা-হুতাশ শুধু কিছু বেদিশা লোকের মধ্যেই দেখি। কী ব্যাপার? বাঙালি সংস্কৃতি গেল। ইজ্জত হারাইলো। ঘরে ঘরে গ্রামীণ ফোন যদি লোকের প্রতি ঘণ্টার দরকারি জিনিশ হইতে পারে তাইলে গ্রামীণ ফোনের স্পন্সরে পয়লা বৈশাখ করতে অসুবিধা কোথায়? মোড়ে মোড়ে ব্র্র্যাক ব্যাংকের বুথ ব্যবহার করতে যদি আমরা অভ্যস্ত হয়া থাকি তাইলে বই মেলায় ব্র্যাক ব্যাংকের স্পন্সর নিতে অসুবিধা কোথায়?
মোবাইল কোম্পানিগুলা দেশে ধুমছে ব্যবসা করতেছে, লাভের গুড় বিনিয়োগকারী তার দেশে নিয়া যাইতেছে। আর আমরা টকটাইম নিয়া সন্তুষ্ট আছি। না আমরা না আমাদের সরকার কেউ বলতেছে না, যে কর্পোরেট ভাইরা তোমরা লাভের গুড় পুরাটা নিওনা অর্ধেক আমাদের এইখানে ইনভেস্ট করো। কেউ কিছুই কইতেছে না। হেরা বৈধ ব্যবসা অবৈধ ব্যবসা সব কইরা লাল হয়া গেল। কিন্তু আমরা খালি বাঙালি সংস্কৃতির ইজ্জত নি
য়া তড়পাইতেছি। আমার কথা পরিষ্কার, হেরা যদি ব্যবসা করতে পারে তাইলে এইখানে বিজ্ঞাপন দিতে হবে, এইখানের লোকদের চাকরি দিতে হবে, এইখানে ৫০% লাভ রিইনভেস্ট করতে হবে। আর আমাদের সব মেলা-মূলারে স্পন্সর করতে হবে।
উপায় আরেকটা আছে, কর্পোরেটের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন। সাফ কথা কর্পোরেট আসতে পারবে না। বিজনেস করতে পারবে না। আমরা ধীরে-সুস্থে নিজের শিল্প, সেবাখাত গইড়া তুলুম। এই উপায় আজকের দুনিয়ার আর কার্যকর নাই। মাওবাদী নেপাল, মাওয়ের চীন, সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ থিকা নিয়া সবাই এখন বিদেশী ইনভেস্টমেন্টের জন্য অধীর। দ্বার সবাই খুইলা দিছে। অতএব কর্পোরেট ঠেকানোর উপায় তাদের বর্জন এই মুহূর্তে না। ওদের ঠেকাইতে রাস্তায় নামবেন? কেন নামবেন? আপনে ফোন ব্যবহার করেত চান না? আপনি তো পশ্চাৎপদ। আপনে মুক্তমিডিয়া চান না? আপনে গেছেন। আর রাস্তায় নাইমাই দেখেন। যে আপনেরে ঠেকাইবে তারে পর্যন্ত কর্পোরেট স্পন্সর কইরা ফেলছে।
রাস্তায় নাইমা মিছিল কইরা কর্পোরেটরে জিতাইয়া আপনে ঘরে ফিরা ব্লগে লিখবেন কর্পোরেট আগ্রাসন। আর রাস্তায় না নাইমা, না বুইঝা কর্পোরেটের কাজ কর্মকে নীরব সমর্থন দিবেন এইটারে হেরা বলবে করপোরেট রেসপনসিবিলিটি। শাদা মনের মানুষ থিকা দুর্নীতি বিরোধী অভিযান, ক্লোজআপ ওয়ান থিকা উকিল মুন্সীর গান, পয়লা বৈশাখ থিকা বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল সবটাই এনাদের স্পন্সরে ফুটতেছে। ফলে, মেইনস্ট্রিম বাংলা সংস্কৃতি, শাসন ও প্রতিষ্ঠান থেকে কর্পোরেট স্পন্সর তুইলা নিলে এইটা ধীরে ধীরে কাইত হয়া যাবে। সো কিপ ইট আপ।
মেইনস্ট্রিমকে বাঁচাইতে কর্পোরেট বিরোধিতা করতে আমি রাজি না। যদি সর্বাত্বক আন্দোলনের ডাক কেউ দেয়। কেউ বিকল্প হাজির কইরা কয় আসো, তাইলে ভাইবা দেখতে পারি।
কথা হইতেছি সামহয়ারে বিজ্ঞাপন নেওয়া নিয়া। কেউ কেউ বিরোধিতা করতেছেন। যারা সামহয়াররে গরু ভাবতেছেন তাদের দলে আমি নাই। আমি মনে করি সামহয়ার ষাঁড়। ইহা হইতে দুগ্ধ দোহন করা সম্ভব নহে। কেউ যদি বলে, সামহয়ার বাংলা ভাষা চর্চায় বিশাল দিগন্ত উন্মোচন করছে। আমি তালি দিব। সামহয়ার বিকল্প মিডিয়া হিসাবে নাম করছে। আমি তালি দিব। সামহয়ার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সহজ করছে আমি তালি দিব। কিন্তু কেউ যদি কয়, সামহয়ার কর্পোরেট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, কর্পোরেট বিজ্ঞাপন এর লগে যায় না, তাইলে আমি ফিক কইরা হাইসা ফেলবো। ষাঁড়ের নিকট হইতে আমি দুগ্ধ আশা করি না। কেউ ব্লগস্পট ব্যবহার কইরা লড়াই করতে পারেন, ওয়ার্ড প্রেস ব্যবহার কইরা মক্তমতের বন্যা ছুটাইতে পারেন। ইভেন কর্পোরেটের বিরুদ্ধে সামান্য সমালোচনাও করতে পারেন। কিন্তু কর্পোরেটের বিরুদ্ধে সর্বাত্বক লড়াই সম্ভব হইবে বইলা আমার বিশ্বাস নাই। তার মিডিয়া ব্যবহার কইরা তার বিরুদ্ধে আপনে সীমিত আকারে সংগঠিত হইতে পারেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে হুমকি হইয়া দাঁড়াইতে পারবেন না। সো, গাভী পালন করেন। দুগ্ধ দিবে।
জেডনেট যতদূর জানি বিপ্লবীদের গাভী। বিপ্লবীদের খড়-কুড়া খেয়ে বেঁচে থাকে। বিপ্লবীরা ইহারে ইচ্ছামতো দোহন করিতে পারে। সেইরকম একটি গাভী পুষিতে পারিলে আর আমাকে তাহাতে নিলে আমিও লালন-পালন ও দোহন করায় রাজি। কিন্তু সামহয়ারে আপাতত বিজ্ঞাপন নেওয়া হইবে না এই বিষয়ে কোনো উপযুক্ত যুক্তি আমি সরবরাহ করতে পারলাম না। এইজন্য ফাহমিদ ভাই ও অন্য সকলের নিকট ক্ষমা চাইয়া ক্ষান্ত দিলাম।



প্রকাশ করা হয়েছে: পঞ্চতন্ত্র বিভাগে ।



* ৭৫ টি মন্তব্য
* ৫৭৬ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১২ জনের ভাল লেগেছে, ৭ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28810905 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:১৭
comment by: কৌশিক বলেছেন: হেডিং টা স্ম্যাট করার জন্য আকুল-ব্যাকুল অনুরোধ রইলো। আপনার লেখার জন্য লম্ফা হেডিং লাগে না।
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪২

লেখক বলেছেন: একটা ছোট হেডলাইন দিতে চাইছিলাম। মাথায় আইলো না। একটা থাকুক না এইরকম।
২. ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৩১
comment by: যীশূ বলেছেন: দারুন লেখছেন। সহমত।
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৭

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩. ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৩৮
comment by: মখআলমগীর বলেছেন: হাহ হাহ সারা দুনিয়া যেইখানে করপোরেটময় সেইখানে ক্যান যে কিছু পাবলিক লাফায় বুঝে আসে না। সিস্টেমটাই এখন এই। এর থিকা কেমনে আমরা লাভবান হইতে পারি সেইটা নিয়াই আমাগ ভাবতে হইব।

কত যদু মধুর মাথায়ত আম, জাম, কলা পরছে গাছ থিকা, কই কেউত নিউটনের মত চিন্তা করে নাই ক্যান পরছে?

সা.ইনের আগেত কারও মাথায় আসে নাই এইরম একটা কিছু করন যায় যেইটা নিয়া পরে ব্যবসা করন যাইব? এখন এইডা নিয়া ত্যানা প্যাচানি শুরু করছে যে ব্যবসা করন যাইব না। কেউ যখন নকিয়াতে চাকরি করব তখন নকিয়ার রুলস এন্ড রেগুলেশনের বাইরে গেলে চাকরি যদি নট হইবার পারে তাইলে সা.ইন যার থিকা পয়সা লইব তাইলে তার কথা ক্যান শুনতে পারব না সেইটা আমারে কেউ বুঝাক!!

আর কেউ যদি ভাইবা থাকে সা.ইন একটা চ্যারিটি তাইলে ভুল ভাবছে। পুরাটাই ব্যবসা।
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৮

লেখক বলেছেন: তারমানে কিন্তু এই না যে লড়াইটা শেষ। কর্পোরেট চূড়ান্ত জয় পাইছে।
৪. ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৩৮
comment by: সোহানের রোজনামচা বলেছেন: ভাল লিখছেন। আমি মনে করি বড় বড় কোম্পানীগুলির বিরোধিতা কইরা কোন লাভ নাই। অগোরে যেমন ব্যাবসায় করার সুযোগ দিছি, লাভ যেমনে ওরা নিয়া যাইতেছে, আমগোও উচিৎ অগোর থাইকা যতোটা সুযোগ নেয়া যায়। অবশ্যই পজিটিভ অর্থে সুযোগ নেয়ার কথা কইতেছি।
আর বিগ্গাপন কেন নিবোনা। বিগ্গাপন ছাড়া কিছু হয় নাকি আজকাল। মার্কেটিং এর যুগ এখন। মার্কেটিং এমন এক জিনিস যেখানে মার্কেটার রা আপনার মধ্যে আগে উপযোগ তৈরী করবে কোন দ্রব্যের, তারপর হেরা আপনার কাছে বেঁচবো। এখন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব খানেই মার্কেটিং আছে, প্রচার আছে, বিগ্গাপন আছে, ব্যাবসায় আছে।
আমার কথাগুলিরে অপ্রাসংগিক মনে হইতারে, তাইলে ক্ষমাপ্রার্থী।
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৭

লেখক বলেছেন: কথা অপ্রাসঙ্গিক না।
একটা কর্পোরেট টাইপ উদ্যোগ আরেকটা কর্পোরেট টাইপ উদ্যোগের বিজ্ঞাপন নিতে পারে। তবে একটা বিপ্লবী উদ্যোগ একটা কর্পোরেট উদ্যোগের বিজ্ঞাপনে চললে সেইটার বিপ্লবী ভূমিকা আর বিপ্লবী থাকে না।
৫. ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৩৯
comment by: মখআলমগীর বলেছেন: লেখা ভাল হইছে
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৮

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬. ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫০
comment by: মেহরাব বলেছেন: ফাহমিদুল হক যেভাবে সামহয়্যারকে দেখতে চেয়েছিলেন সেটা খানিকটা ইউটোপিয়ান কিন্তু অসম্ভব নয়। আমার ধারনা ফাহমিদুল হক সামহয়্যারকে মুক্ত চিন্তা বিকাশের একটা স্মার্ট মাধ্যম হিসাবে দেখে ভুল করেন নি। তিনি সামহয়্যারএর গুনগত মান পরিবর্তন করে একটি দেশীয় মুক্ত ও বিকল্প চিন্তার ব্লগ হিসাবে দেখতে চেয়েছেন। তার চাওয়াকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। এখন সামহয়্যারের বিজ্ঞাপন জনিত প্রক্রিয়াটা আসলে সামহয়্যারের দুর্বলতা যে তারা এখনও এমন এক শ্রেনীর লেখক তৈরী করতে পারেনি যারা তাকে প‌্যার্টন করবে। উল্টা সামহয়্যার ষাড়ের সাথে তুলনীয় হচ্ছে। বর্তমানে সামহয়্যারে যারা লেখা লেখি করেন তাদের প্রায় নব্বই ভাগেরই বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ নিম্নস্তরের বলেই আমার ধারনা। সামহয়্যার ব্যর্থ। সেকারনে আজ তাকে বেচেঁ থাকার জন্য বিজ্ঞাপন দিতে হচ্ছে। আর যারা এর পক্ষে মতামত দিচ্ছেন তারা কয়েকটি অংশে বিভক্ত:
১. মুক্তবাজার অর্থনীতির গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো কিছু ব্লগার।
২. ব্যাক্তি স্বার্থে হিট বাড়লে পয়সা ইনকামের ধান্দা
৩. আসলে বিজ্ঞাপন দিলে কি হয় এটা দেখার জন্য কিছু উৎসুক ব্লগার।
৪. কর্পোরেটের কাছ থেকে টাকা নিতেই হবে এরকম কিছু এক্স-বামপন্থী ছ্যাচড়া ব্লগার।
৫. আর কিছু বেশী বোঝা ব্লগার যারা সামহয়্যার ধ্বংস করে আরেকটি ব্লগের মালিক অথবা সম্পাদক অথবা মডারেটর হতে পারে।

সামহয়্যারে ফাহমিদুল হকের লেখা পড়েন গুটি কয়েকজন। এবং তার লেখা অন্য যে কারো লেখার চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে বলে আমার মনে হয়। সামহ্য়্যার কতৃপক্ষের বিষয়টা ভেবে দেখা উচিৎ , যদি তারা মনে করেন তাদের ভাবমূর্তি বাড়ানো উচিৎ।
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাইয়ের কথার স্পিরিটটাকে আমি ভাল মনে করি। সামহয়ারের এ যাবতকালের অ্যাপিয়ারেন্সের ফলে তার একটা নন-কর্পোরেট ভাবমূর্তি তৈরি হইছে যেটা ঠিক না। ফলে তার কাছ থিকা নন-কর্পোরেট আচরণ আশা করা মিসরিডিং জনিত সমস্যা বইলা আমার মনে হয় না।
সামহয়ারের নব্বইভাগ লেখক নিম্নস্তরের বুদ্ধিজীবীতা ধারণ করেন? এই নব্বইভাগ না থাকলে আপনের উচ্চস্তরের বুদ্ধিজীবীতার স্থান কোথায়?
ভাবমূর্তি একটা ফাঁপা জিনিশ। ফাঁপা জিনিশ বাড়াইয়া লাভ কী? ভাবমূর্তির বদলে মূর্তিটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৭. ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫
comment by: সোহানের রোজনামচা বলেছেন: মেহরাব বলেছেন: বর্তমানে সামহয়্যারে যারা লেখা লেখি করেন তাদের প্রায় নব্বই ভাগেরই বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ নিম্নস্তরের বলেই আমার ধারনা।

আপনি নিজেকে কোন স্তরে ফেলবেন? নিজের মতকেই যে শ্রেষ্ঠ মনে করে সে আসলে বোকাই।
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৫০

লেখক বলেছেন: হ।
৮. ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮
comment by: অমলকান্তি বলেছেন: তাইলে,ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের সকল ক্ষেত্রে কাউন্টার অ্যাকটিভ থাকা বলতে কি বুঝিব?
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৫২

লেখক বলেছেন: কাউন্টার-অ্যাকটিভ থাকার বিনিময়ে আপনে কী চান সেইটার ওপর নির্ভর করতেছে কাউন্টার-অ্যাকটিভ থাকা বলতে আমরা কী বুঝবো। বাণপ্রস্থে যাওয়া ছাড়া সর্বত্র কাউন্টার-অ্যাকটিভ থাকার উপায় তো পাই না আর।
৯. ১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০০
comment by: মখআলমগীর বলেছেন: মেহরাব বলেছেন: বর্তমানে সামহয়্যারে যারা লেখা লেখি করেন তাদের প্রায় নব্বই ভাগেরই বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ নিম্নস্তরের বলেই আমার ধারনা। ----একদম খাটি কথা বলছেন। আপনে যে সুশীল ব্লগের ব্লগার সেইটা কিন্তু আমি বলি নাই ;)
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৫

লেখক বলেছেন: সার্ভেটা কখন হইলো? নব্বইভাগ উনি কেমনে কইলেন? আর নিম্নস্তরের বলতে উনি কী বুঝাইতে চাইলেন?
১০. ১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০০
comment by: আসল-ট্র্যাপ বলেছেন: সমঝদার
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬

লেখক বলেছেন: কেঠা সমঝদার?
১১. ১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০২
comment by: মেহরাব বলেছেন: আপনি নব্বই ভাগের নাকি? আপনি চ্যাতেন ক্যানো?
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭

লেখক বলেছেন: নব্বইভাগের মধ্যে আমি থাকতে চাই।
১২. ১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:১৯
comment by: সালাহউদ্দীন মুহম্মদ সুমন বলেছেন:
মাহবুব ভাই,
ভালো লিখেছেন।

+++++
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:০০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুমন।
১৩. ১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৮
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: নোটিশ বোর্ড, ফাহমিদুল হক, মাহবুব মোর্শেদ সবার লেখা পড়লাম। ফাহমিদুল হকের মতামতটা আমিও সমর্থন করতে পারিনি এটা অনেকটাই অবাস্তব বলে। সামহোয়ারেরর মত একটি বড় উদ্যোগ যখন কেউ চালায় তখন তার সাথে বিশাল অর্থলগ্নিতা থাকবে, এবং শুধু মুনাফা নয়, তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্যও বিজ্ঞাপন সহায়তা দরকার হতে পারে। সামহোয়ারতো এটাকে কোন মুভমেন্ট হিশেবে কখনো ঘোষণা দিয়েছে বলে চোখে পড়েনি। যারা এখানে ব্লগ লিখছেন তারা তাদের ব্লগ এবং মনে কোন আদর্শ পুশতে পারেন কিন্তু তার প্রতিপালনের জন্য সামহোয়ার দায়বদ্ধ থাকে বলে আমি মনে করি না। সামহোয়ার একটি আলাদা এবং ব্যতিক্রম গণমাধ্যম, (প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া থেকে আলাদা, মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে অনেকটাই ব্লগাররা স্বাধীন)- কিন্তু এটিতে এর চেয়ে কোন মহ‌‍ৎ অর্থ আরোপ করা উচিত হবে বলে আমি মনে করি না। এখানে আমি মাহবুব মোর্শেদের সাথে একমত: কিন্তু কেউ যদি কয়, সামহয়ার কর্পোরেট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, কর্পোরেট বিজ্ঞাপন এর লগে যায় না, তাইলে আমি ফিক কইরা হাইসা ফেলবো। ..

সেই দিক থেকে আমি এখানে বিজ্ঞাপন প্রকাশের বিরোধী হবার কেউ নই, কর্তৃপক্ষের পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে সেটি আমি উল্লেখ করেছি এই আশংকা নিয়ে যে, যেন বিজ্ঞাপনদাতারা মডারেটরদেরকে মডারেট করার সুযোগ না পান। তাহলে সবটাই যাবে, আমও, ছালাও।

এবং এটা সত্যি যে, কেউ কর্পোরেটের মিডিয়া ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ততটুকুই দাঁড়াতে পারে যতটুকু দাঁড়ালে কর্পোরেটের পর্যাপ্ত বিজ্ঞাপন হয়, এর বেশী না।

পরিশেষে মাহবুব মোর্শেদকে ধন্যবাদ, অনেকদিন পর তার এই উপভোগ্য ভাষার তীর্যক লেখনি পেলাম। কথ্য ভাষার মর্মযাতনা!
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯

লেখক বলেছেন: রিফাত ভাই,
আপনে কমেন্ট করছেন দেখছি। কিন্তু ভয়ে নিচে তাকাইতে ইচ্ছা করতেছিল না। এখন পইড়া শান্তি পাইলাম।
ধন্যবাদ আপনারে।
১৪. ১৮ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর 'আমরা মুক্ত, আমরা স্বাধীন, আমরা ধুমপান করি না'- কর্পোরেট মিডিয়ায় কর্পোরেট বিরোধী প্রচারণাটা ঐরকম অনেকটা।

একটা মজার এবং কৌতুহলকর মন্তব্য করেছেন আপনি। 'ভয়ে নিচে তাকাইতে ইচ্ছা করতেছিল না। এখন পইড়া শান্তি পাইলাম।'..
এটার মর্মার্থটা কী হতে পারে?
১৮ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

লেখক বলেছেন: হক কথা।







মানে ভয় খাইছিলাম।
১৫. ১৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ৮:১১
comment by: সরকার আমিন ১৯৬৭ বলেছেন: মোর্শেদ, ফারাচির ইন্টারভিউ পড়তে চাই, একটু সন্ধান দিবা?
১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৯

লেখক বলেছেন: Click This Link
১৬. ১৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ৮:২৮
comment by: সরকার আমিন ১৯৬৭ বলেছেন:
ফালাচি
১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:০১

লেখক বলেছেন: ঠিক আছে।
১৭. ১৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ৮:৩৩
comment by: মখআলমগীর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তারমানে কিন্তু এই না যে লড়াইটা শেষ। কর্পোরেট চূড়ান্ত জয় পাইছে।

আমাগ লড়াই কখনও শেষ হইব না।
অবশ্যই জয় পাইছে, নাইলে জি-৮ রে সবাই এত পুছে ক্যান? চিন্তা করেন জি-৮ বনাম জি-১৯২ (যদি দুইশ দেশও ধরি)। তার মধ্যে আবার জি-২ কনট্রল করে জি-৬ রে!!

তাইলে ক্যামনে কি? সেইখানে আমরা কই??
১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:১৯

লেখক বলেছেন: জয় পাইলেও চূড়ান্ত জয় পায় নাই। মানুষ শেষ পর্যন্ত জিতবে। জি এইট চিরদিন ছিল না। কিন্তু মানুষ চিরদিন ছিল।
১৮. ১৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ৮:৪৯
comment by: কিরিটি রায় বলেছেন: আর রাস্তায় নাইমাই দেখেন। যে আপনেরে ঠেকাইবে তারে পর্যন্ত কর্পোরেট স্পন্সর কইরা ফেলছে।
রাস্তায় নাইমা মিছিল কইরা কর্পোরেটরে জিতাইয়া আপনে ঘরে ফিরা ব্লগে লিখবেন কর্পোরেট আগ্রাসন

আর রাস্তায় না নাইমা, না বুইঝা কর্পোরেটের কাজ কর্মকে নীরব সমর্থন দিবেন এইটারে হেরা বলবে করপোরেট রেসপনসিবিলিটি।

শাদা মনের মানুষ থিকা দুর্নীতি বিরোধী অভিযান, ক্লোজআপ ওয়ান থিকা উকিল মুন্সীর গান, পয়লা বৈশাখ থিকা বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল সবটাই এনাদের স্পন্সরে ফুটতেছে। ফলে, মেইনস্ট্রিম বাংলা সংস্কৃতি, শাসন ও প্রতিষ্ঠান থেকে কর্পোরেট স্পন্সর তুইলা নিলে এইটা ধীরে ধীরে কাইত হয়া যাবে। সো কিপ ইট আপ।

---------------------------------------------------------
তবে সাবধানে....

দুধে চিনি দেব না চিনিতে দুধ.....!!!

মাত্রা জ্ঞানটুকু থাকা চাই।
নাকি?
++
১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:২২

লেখক বলেছেন: সেটাই। চিনিতে দুধের অবস্থা না হয়ে যায়।
১৯. ১৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ৯:০৫
comment by: সারাদিন বলেছেন: সহমত।
১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৪৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২০. ১৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ১০:১৫
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনি বলেছেন "মোড়ে মোড়ে ব্র্র্যাক ব্যাংকের বুথ ব্যবহার করতে যদি আমরা অভ্যস্ত হয়া থাকি তাইলে বই মেলায় ব্র্যাক ব্যাংকের স্পন্সর নিতে অসুবিধা কোথায়?"

কর্পোরেট আগ্রাসন হবার আগে কি বইমেলা হয়নি? তখন এর স্পন্সর কে করতো? আপনি গ্রামীণ ফোন ব্যবহার করবেন, প্রযুক্তিকে ম্যানিপুলেট করবেন, ব্যক্তিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে, কিন্তু সে আপনাকে ম্যানিপুলেট করবে, এটা কেমন কথা? আপনি বেশ ছিলেন বইমেলা ও এর ধূলা নিয়া। হঠাৎ গ্রামীণ ফোন বা আড়ং দুধের অনুপ্রবেশ। সংষ্কৃতি গেল কিনা সেইটা বড়ো কথা না, আপনি আগে যা নিজে করতে পারতেন, এখন আর পারছেননা। এসো হে বৈশাখ না বলে এসো হে কর্পোরেট গান গাইছেন বলেই তো পারছে। প্রতিরোধের ফ্যাকাল্টি এত দুর্বল হলে আপনি দাঁড়াবেন কোথায় শেষপর্যন্ত? বিজ্ঞাপনের এই গুণটা আছে যে সে আপনাকে কেবল পণ্য কিনতে প্ররোচিত করবে না, আপনাকে তাকে ওউন-ও করতে হবে। আপনি জিঙ্গেল গাইতে গাইতে এর বাস্তবতাকে নিজের জন্য অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা বলে মেনে নেবেন।

অনেক কিছু ঠেকানো যায়নি বলে কি ঠেকানোর প্রচেষ্টা বন্ধ করে দেব? মুদ্রণ ও ব্রডকাস্ট মেইনস্ট্রিম মিডিয়া পুঁজির করতলগত হবার কারণেই তো সচেতন/প্রতিরোধকামী মানুষেরা সাইবারস্পেস, কমিউনিটি রেডিওর মতো বিকল্প মাধ্যমগুলোতে ঝুঁকছে। সঠিক তথ্য, ভেতরের তথ্য পাবার জন্য সাইবারস্পেস, ব্লগ কতটা কার্যকরী তা কি আমরা ইরাক যুদ্ধ কিংবা বিশ্বায়নবিরোধী আন্দোলনের সময় দেখছি না?

আপনি বলছেন "মেইনস্ট্রিমকে বাঁচাইতে কর্পোরেট বিরোধিতা করতে আমি রাজি না।" কিন্তু বিল্পেকে তো বাঁচাইতে রাজি আছেন নাকি? ফেসবুকে দেখলাম লালন উৎসবে কর্পোরেট স্পন্সরশিপের বিরুদ্ধে জনমত গঠন চলছে। এইবার সামহোয়ারকে বাঁচান, বিজ্ঞাপন না নিয়া।

শুদ্ধতা হারানো মুদ্রণ মাধ্যম বা ইলেক্ট্রনিক মাধ্য থেকে কীভাবে কী আদায় করা যাবে, তার লড়াই আলাদা। কিন্তু পুঁজির প্রশ্নে বিকল্প মাধ্যম ও অপেক্ষাকৃত শুদ্ধ সাইবারপরিসরকে অশুদ্ধ বানানোর প্রক্রিয়াকে বিনাপ্রশ্নে ছেড়ে দেয়া কি উচিত হবে?

আপনি বলছেন, "কেউ যদি বলে, সামহয়ার বাংলা ভাষা চর্চায় বিশাল দিগন্ত উন্মোচন করছে। আমি তালি দিব। সামহয়ার বিকল্প মিডিয়া হিসাবে নাম করছে। আমি তালি দিব। সামহয়ার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সহজ করছে আমি তালি দিব।কেউ যদি কয়, সামহয়ার কর্পোরেট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, কর্পোরেট বিজ্ঞাপন এর লগে যায় না, তাইলে আমি ফিক কইরা হাইসা ফেলবো।"

সামহোয়ার কর্পোরেট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে না, কিন্তু সামহোয়ারে কর্পোরেট সংস্কৃতির চর্চা শুরু হলে আপনার অবস্থান কী হবে?
১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৪২

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনার সঙ্গে কথা ও তর্কে আমি ভীষণ উপকৃত বোধ করি। এই সুযোগটা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এ কথা ঠিক যে, কর্পোরেট স্পন্সরের আগে বই মেলা, বৈশাখী মেলা, বর্ষা বরণ সবই হইতো। ভালোই হইতো। তবে ওই ভালোর ভেতরেও কথা আছে। বই মেলার ব্যয়ভার নির্বাহের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্পোরেট স্পন্সরের বাইরেও মেলায় টিকেট কেটে ঢোকার কথা প্রস্তাব করে। এই ব্যাপারটারে আমি একটু ভাল করে বুঝতে চাই। কর্তৃপক্ষের খাই স্পন্সরেও মিটতেছে না। অর্থাৎ এই মেলা আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষের মধ্যে খাই আছে। ওইটা মিটানোর জন্য তাদের আরও স্পন্সর দরকার। এখন প্রশ্ন হইলো, আগে কেমনে মেলা হইতো? সরকারের বরাদ্দে, প্রকাশকদের চাঁদায়। সিটি কর্পোরেশনের সাহায্যে। এইভাবে কি এখন চলতে পারে না? পারে, যদি হাতের কাছে মোবাইলের দোকান থাকতে আপনি টিএনটিতে একটা ল্যান্ডলাইনের জন্য দিনের পর দিন ধর্ণা দিতে আগ্রহী হন।
বিষয় হইলো, বৈশাখী মেলার মতো নিরুপদ্রব বাঙালি সংস্কৃতিকে স্পন্সর দিলে সেইটার স্পিরিটও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, আবার আয়োজকরাও শান্তিতে থাকেন। প্রশ্ন হইলো, রাশেদ খান মেনন বা হাসানুল হক ইনুর মিছিল তারা স্পন্সর করতে পারে কি না? আমার কথা হইলো এনাদের রাজনীতির যে ধারা তাতে পারেন। কিন্তু গার্মেন্ট শ্রমিকদের মিছিলের স্পন্সর এনারা করতে পারবেন না। চাইলেও না। সারের দাবিতে কৃষকের মিছিল এনারা স্পন্সর করতে চাইবেন না। চাইলেও না। আমার কথা হইলো, সেরাম কাজ, উদ্যোগ মিছিল যদি হয় যে কর্পোরেট সেইখানের কর্মসূচির কারণেই ভীত হইয়া যায় সেইখানে স্পন্সরের তর্কই আর থাকে না। কিন্তু পুতুপুতু মধ্যবিত্ত উদ্যোগে স্পন্সর না থাকাটাই আমার মতে একটা ডিসক্রেডিট।
অলটারনেটিভ তৈরি হইতে হবে। তার জন্য আলাদা উদ্যোগ দরকার। ইন্টারনেট স্পেস কম তৈরি করে নাই। ইন্টারঅ্যাকটিভ এই স্পেসটাকে ভিন্নভাবে কাজে লাগানোর চিন্তা করতে হবে অবশ্যই। আমার জানা মতে, বিশ্বের বামপন্থীরা এখনও ইন্টারনেটে নিজেদের এমন মিডিয়া তৈরি করেন নাই যাতে অনেকেই সংগঠিত হইতে পারে। অনেকের কথা শোনা যাইতে পারে। কর্পোরেট পুঁজি তৈরি করছে। কারণ এইটা তাদের বিজনেসের সঙ্গে জড়িত। গুগল, মাইস্পেস, ব্লগস্পট, ওয়ার্ডপ্রেসকে আমি ব্যবহার করি বটে। কাজেও লাগে। কিন্তু এইটা নন-কর্পোরেট স্পেস সার্বিক কোনো আইডিয়া থেকে তৈরি করতে পারে বইলা আমার মনে হয় নাই।
ফাহমিদ ভাই,
সামহয়ার কর্পোরেটের বিরুদ্ধে না, কি সামহয়ার কর্পোরেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে কি না এইটা পরের প্রশ্ন। সামহয়ার নিজেই একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। এইটা আমি জানি ও বিশ্বাস করি। আপনে এই বিষয়ে কী বলেন?
আলোচনার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
২১. ১৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ১০:২৯
comment by: মেহরাব বলেছেন: ফাহমিদ ভাইয়ের কথার সাথে সহমত।
১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৪৩

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, ফাহমিদ ভাইয়ের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করার জন্য।
২২. ১৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ১০:৪৬
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: সামহোয়্যার কখনোই সেবামূলক কিসু আসিলো না,এখনো নাই। এদিন এক্সপেরিমেন্ট কইরা ব্লগটারে দাঁড়া করাইসে,ইউজার বাড়াইসে,এমনি এমনি কি আর কর্পোরেটরা বিজ্ঞাপন দিবে নাকি? চামে আরকি আমরা বাংলা লেখার ১টা জায়গা পাইসি,তাই বইলা এইটারে কোন মহান চ্যারিটি হোম ভাবার কারণ নাই,তাদের আলটিমেট টার্গেট যা আসিলো সেই ব্যবসা তারা আস্তে আস্তে করবোই,এইখানে আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার খুব বেশি মূল্য আছে বইলা আমার মনে হয় নাই,বিজ্ঞাপন নেয়ার ব্যাপারে আমাদের মতামত চাওয়াটাও নতুন পদক্ষেপটার বিজ্ঞাপন বইলাই আমার মনে হইসে।কর্পোরেটরে বাঁশ দিয়া ১টা লেখা দিয়েন পরে,দেখবেন সামহোয়্যার আপনেরে কোনদিক দিয়া বাঁশ দিব বুঝার আগেই আপনে ঠাশ হয়া যাইবেন।
১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৫২

লেখক বলেছেন: সামহয়ার দুই বছর আমাদের দারুণ সেবা দিছে। আরও দিবে বইলা আশা করি। এইটারে তো আমি চ্যারিটিই মনে করি। বিজনেস তারা প্রথম থেকেই করতে পারতো, করে নাই। বিজনেস না করলেই তারা সাধু এইটা আমি মনে করতে পারি না, দাউদ। বিজনেসের বাইরে এই দুনিয়া নাই। আল্লাহপাকও বিজনেসকে হালাল করছেন।
কর্পোরেটের বিরুদ্ধে কিছু কইলে সামহয়ারে দৌড়ানি খাওয়ার সম্ভাবনা আছে বইলা আমার মনে হয় না। এখানকার মডারেটরদের মন তুলনামূলকভাবে নরম। কিছুটা কর্পোরেট, কিছুটা মডারেট। আমার ভালই লাগে।
কিন্তু নন-কর্পোরেট স্বাধীন কোনো বাংলা ব্লগে যান মডারেটরের গরমেই আপনি ঘেমে যাবেন। ফলে, তুলনা করতে গিয়া আপনার সঙ্গে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করলাম।
২৩. ১৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ১১:০১
comment by: মৈথুনানন্দ বলেছেন: যে ব্যাটা কর্পোরেটদের এগেন্স্টে - ডাঙুশ দিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দোবো। কর্পোরেট পোশাক পেহেন কর বংগালী মামণিলোগকো বহোত কুল লাগতা হ্যায় মামোজি - উ লা লা!!!!! :)

১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৫৪

লেখক বলেছেন: আর ইউ শিওর?
২৪. ১৯ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:২৫
comment by: মেহরাব বলেছেন: মেহরাব বলেছেন: আপনি নব্বই ভাগের নাকি? আপনি চ্যাতেন ক্যানো?
১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭
লেখক বলেছেন: নব্বইভাগের মধ্যে আমি থাকতে চাই।
কথাটা দলবাজির মতো হয়ে গেল। পাবলিকরে লইয়া আমি আছি টাইপের। যাউগ্গা। আপনার অভিরুচি।


ফাহমিদ ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরে আপনি বলেছেন কতৃপক্ষের খাই আছে তাদের খাইকে বাড়ানোর জন্যে আরও স্পন্সর বাড়ানো দরকার। এখন কথা হচ্ছে আমি স্পনসরকেই পছন্দ করিনা আবার খাইনীতি। আমার ধারনা এই খাই নীতির পক্ষে আপনিও নাই।

আপনি বলেছেন, "বিষয় হইলো, বৈশাখী মেলার মতো নিরুপদ্রব বাঙালি সংস্কৃতিকে স্পন্সর দিলে সেইটার স্পিরিটও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, আবার আয়োজকরাও শান্তিতে থাকেন।"
বৈশাখী মেলাতে স্পনসর এখনো মেলার আমেজ থেকে কম তাই এক্ষেত্রে নেতিবাচক ফলাফলটা একটু দূরবর্তী। কিন্তু সুদুরে নয়। তবে একটা কথা বলে নেয়া ভাল যে মেলার দেষজ ব্যাপারগুলি ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে।

আপনি বলেছেন, "কিন্তু পুতুপুতু মধ্যবিত্ত উদ্যোগে স্পন্সর না থাকাটাই আমার মতে একটা ডিসক্রেডিট।"
আমি আপনাকে বলছি আপনার এই ধারনাটা মধ্যবিত্ত মানষিকতার বহি:প্রকাশ কারন আপনার লেখা শ্রেনীচ্যুত হতে চায় মধ্যবিত্তকে গালি দিয়ে যা আপনার শ্রেনীগত অবস্থানকেই পরোক্ষ ইঙ্গিতে তুলে ধরে।

তবে বিশ্বের বামপন্থীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঠিকমতো সংগঠিত করতে পারছে না কথা টা ঠিক না। কারন রিম এর ওয়েব সাইট কেপিটির জামার্ন ওয়েব সাইট এবং হালের বিশ্বায়ন বিরোধি বিক্ষোভ গুলোতে ওয়েবসাইট গুলোই সবচেয়ে বেশী ভুমিকা পালন করে থাকে।

সামহয়্যার কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু তেনারা যখন জানতে চাইলেন তখন ফাহমিদ ভাই তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। ফাহমিদ নিজেও জানেন সামহয়্যার বিজ্ঞাপন দিবেই তিনি বিকল্প চিন্তার যায়গা তৈরি করেছেন মাত্র।

ধন্যবাদ আপনাকে মামো।
১৯ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫

লেখক বলেছেন: মেহরাব,
১. আপনি কোনো মানদণ্ড খাড়া না কইরা, কোনো জরিপ না চালাইয়া মনের সুখে নব্বইভাগ ব্লগাররে নিম্নস্তরের বললে সেটা কী প্রকাশ করে? দলবাজী, উচ্চম্মন্যতা নাকি এন্টি-কর্পোরেট সক্রিয়তা? আপনার এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা আসলেই দরকার।
২. আমি শ্রেণীচ্যুত হওনের বিপ্লবী বাসনা কখনো ঘোষণা করি নাই। করবো বইলাও মনে হয় না। কারণ বিষয়টা আমার কাছে অসম্ভব লাগে। আমি আমার শ্রেণীকে ওউন করি। ফলে, মধ্যবিত্তরে আমি গালি দেই নাই। আপনে ভুল শুনছেন। আমি পেটি/পুতু মধ্যবিত্তরে গাইল দিয়া থাকতে পারি। আমার শ্রেণীগত অবস্থান নিয়া আমার গর্ব বা অগর্বের কিছু নাই। সো, সেইটা প্রকাশ হইয়া পড়ায় বেআব্রু হওনের লজ্জা আমি পাই নাই।
৩. ব্লগস্পট, ওয়ার্ডপ্রেসের মতো পুঁজিবাদী উদ্যোগগুলা মানুষকে যতটা স্বাধীনভাবে ব্লগিং করতে দেয় সেইভাবে কোনো মার্কসবাদী সাইট দেয় কি না সেইটা নিয়া আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। বিশ্বায়ন, বিশ্ববাণিজ্য, মুক্তবাজার বিরোধি অনলাইন সক্রিয়তার ধরন-ধারণ নিয়া আমি ওয়াকিবহাল আছি। অনলাইন সুবিধা ব্যবহার কইরা নতুন করে সংগঠিত হওয়া বা একত্রিত হওয়ার প্রক্রিয়া আমার ভীষণ পছন্দ হইছে। এই উদ্যোগগুলোকে এখন পর্যন্ত সামান্য ও ইউরো-সেন্ট্রিক মনে হয়। আপনাকে একটা অনুরোধ করি? আমাকে কি এমন কোনো মার্কসিস্ট, অ্যাক্টিভিস্ট সাইটের লিঙ্ক দিতে পারেন যাতে আমি ইংরেজি ভাষায় স্বাধীনভাবে আমার কথা লিখতে পারি?
৪. ফাহমিদ ভাইয়ের অবস্থান আমি বুঝি। তার সঙ্গে আমার দ্বিমত সামান্য। ফাহমিদ ভাই গরু কিনলে আমি রাখাল হইতে পারি। কিন্তু উনি ষাঁড়ের নিকট দুধের প্রার্থনা করিলে কেমনে সমর্থন করি বলেন তো?
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৫. ১৯ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৩১
comment by: মেহরাব বলেছেন: ১. নং বিষয়ক কথামালা: ব্লগের ৯০ ভাগই যে বুদ্ধিবৃত্তির নিম্নস্তরের্ এটা বোঝার জন্য স্ট্যাটিসটিক্স এ পি-এইচ-ডি করা লাগে না। ব্লগারদের কান্ডজ্ঞান দেখলেই বোঝা যায়। এইসব বিষয়ের যে কোন মানদন্ড নাই তা আপনিও জানেন শুধু জানেন না কতজন ব্লগার কি লিখতেছে। আপনি নিজেও খুব বেশী অন্যদের বা নতুনদের ব্লগে যান না পোষ্ট পড়তে এটা বোঝা যায়। আমি প্রায় সবই পড়ি। আমার বোঝা পড়ার যায়গা ভুল হতে পারে। তাইলে কেউ প্রমান করুক আমার কথাটা ঠিক না, মানে ৯০ ভাগ নিমস্তরের বুদ্ধিবৃত্তির। আমি তাতে বেশী খুশি হব। মনে হয় আপনার থেকেও।

২. পুতু পুতু মধ্যবিত্তের কথা বলাতে আমার মনে হইল আপনি মধ্যবিত্তরে কটাক্ষ করলেন। অবশ্য কটাক্ষ কোন পর্যায়ে গেলে তা গালি হয় তা আমার জানা নাই। আমি আমার এই অজ্ঞানতার বিষয়ে লজ্ঝিত।

৩. আপনি http://www.revcom.us/s/corim.htm তে যেতে পারেন।
এবং মেঘবার্তা তে যেতে পারেন বাংলায় লেখালেখি করতে। http://www.meghbarta.org
যানিনা আপনার পছন্দ হবে কিনা। না হইলে জানায়েন আরো দিবোনে।

৪. ফাহমিদ ভাই গরু কিনলে আপনাকে রাখাল রাখেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। যাই হোক। উনি প্রার্থনা করেন নাই আমি নিশ্চিত। উনি ওনার চিন্তা শেয়ার করেছেন মাত্র।


আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৯ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০১

লেখক বলেছেন: মেহরাব ভাই,
১. আপনি পড়েন বইলা যে আমি পড়ি না এই সিদ্ধান্তটা ঠিক না। আমি মনে করি, ব্লগে নব্বইভাগ ব্লগারের বুদ্ধিবৃত্তি উচ্চস্তরের। ১০% খারাপ লিখে। এই কথারে আপনি কেমনে ভুল প্রমাণ করবেন?
২. হা হা হা।
৩. রেভকমে তো রেজিস্ট্রেশন করার কোনো অপশনই নাই। আপনে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। আমার ক্ষুদ্র ধারণায় বলে, মার্কসিস্টরা সাইট করবে আর তাতে সবার মতামত দেওয়ার বা লেখার অপশন দিবে এইটা হইতে পারে না। ওনারা বলবেন আর সবাই শুনবে এইটাই হইলো রীতি।
আর মেঘবার্তার কথা যদি বলেন তাইলে বলি, আপনার মতো আমিও এই সাইটা সম্পর্কে এর জন্মলগ্ন থিকা জানি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও ছিলাম। কত সাল, মনে পড়ে? আট বছর হবে, মেঘবার্তার বয়স? এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আমার নিকটবর্তীও। কিন্তু ওইখানে লেখার আইডিয়া, বস, আপনে কমেন্ট করার আগের মুহূর্তেও আমার মনে আসে নাই। আগেও আসে নাই। বলতে গেলে বামপন্থীরা কত আগানো চিন্তা করেন সেইটা মেঘবার্তার উদ্যোগ থিকাই বুঝা যায়। কিন্তু ওনারা বুর্জোয়াদের মতো না। বুর্জোয়ারা সমাজ আগাইয়া নিয়া বিজনেস করে। আর বামপন্থীরা নিজেরা আগায়া থাকে ফলে, সমাজও আগায়া নিতে পারে না। বিজনেসও আগায়া নিতে পারে না। অনেকদিন পর মেঘবার্তার কথা মনে করায়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। মেঘবার্তা নিয়া আলাদা কইরা লেখতে হবে।
৪. আপনি সন্দেহ করলেও আমি সন্দেহ করি না। ফাহমিদ ভাই আমারে নিবে।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
২৬. ১৯ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:১৭
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব, আজকে খবর পেলাম টিএসসির উন্নয়নকাজ করবে গ্রামীণফোন। চুক্তি হয়েছে। আমি পুতু মধ্যবিত্ত, তাই বলি এটাও দখল হলো। বইমেলা হয়েছে, বৈশাখী মেলা হয়েছে, লালন মেলা হচ্ছে আর সবই হবে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরে নীলক্ষেতে তৈরী একটি সেমি গেইটে দেখেছিলাম একটি সাইনবোর্ড, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা' লেখা। তবে পুরো সাইনবোর্ডের শতকরা আশিভাগ জুড়ে ছিল মৌসুমীর ছবি, তিনি তিব্বত সাবান বা স্নোকে রেফার করছেন।
এইরকম একটা সাইনবোর্ড কেমনে হয়? আমার ধারণা তিব্বত গিয়ে ঢাবির ভিসিকে বলছে যে ঐখানে এরকম কিছু লেখা নাই, আমরা লিখে দিই, "আপনারে কিছু পয়সা দিই" আর আমাদের মৌসুমীরে একটু সেট কইরা দিই। এই আলোচনায় কার ভাগে কতটুকু স্পেস থাকবে তার আলোচনা উহ্য থাকে। বা এমন হতে পারে তিব্বত বলতে পারে আমাদের ৬০ আপনাদের ৪০। দেবার সময় ৮০-২০ হয়ে গেল। ফান্ড সঙ্কটে ভোগা ঢাবির ভিসি সানন্দে রাজি। কিছু পয়সা আসুক।
এইটা হলো কর্পোরেট করাপশন। পাবলিক সেক্টরের, আবহমান সংস্কৃতির দরিদ্রদশা, মলিন চেহারায় পালিশ দেবার নাম করে, পয়সা দেবার ছুতায় দখল নেয়ার শয়তানি। কারণ পাবলিক সেক্টরেই পাবলিকের/ভোক্তার সংখ্যা বেশি। আপনি যে খাইয়ের কথা বলেছেন, এইটা ছিল না ১০ বছর আগেও। এইটা কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট। ঢাবির ভিসি বা বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক এইভাবে বেচা যান। নিজে কিছু করার ক্ষেত্রে পঙ্গু হয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যখন ডিবেট সংস্কৃতি সবচেয়ে জমজমাট ছিল, তখন স্পন্সরের নামগন্ধ ছিলনা। আর এখন মৃতপ্রায় ডিবেট ফেস্টিভাল নাকি স্পন্সর ছাড়া আয়োজন অসম্ভব।
আমি এই করাপশনকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করি। আপনার বক্তব্য সেই করাপশনের শিকার। আপনিও হাল ছেড়ে বাস্তবতা ভেবে সব মেনে নিয়েছেন। এই ব্লগের শতকরা ৯৯ ভাগেরও বেশি মানুষ সেই করাপশনের শিকার।
আশ্চর্য আমি কিনা এই সংখ্যাগরিষ্ঠের বাইরে! যার কোনো (বাম) রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নাই, যার এইসব সচেতনতা এসেছে তখন প্রজন্মের অন্য সবাই যখন সেই এক্টিভিজম থেকে অবসর নিয়েছে!
২১ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৮

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
আপনাকে কিন্তু বামপন্থী তকমা দেয়ার চেষ্টা আমি করি নাই। আমি আপনাকে অ্যাক্টিভিস্ট বলছি কিন্তু বামপন্থী হিসাবে ভিক্টিমাইজ করার চেষ্টা করি নাই। হইতে পারে, আলোচনাটাকে সার্বিক চেহারা দিতে গিয়া বামপন্থী প্রসঙ্গ আইসা পড়ছে।
ফাহমিদ ভাই আপনার সঙ্গে মোটামোটি ৮০% একমত আমি। বাকী ২০% নিয়া তর্ক।
সমাজের মধ্যে যখন কর্পোরেট পুঁজি ঢুইকা পড়ে অথবা দুর্নীতিগ্রস্ত খাত থিকা পাওয়া টেকা যখন বাজারে খরচা হইতে যায় তখন কি হয়? কিছু লোকের ক্রয়ক্ষমতা সীমাহীনভাবে বাইড়া চলে। গ্রামীন ফোনের কাস্টমার কেয়ারের চেংড়া পোলার আয়ের সঙ্গে ডাকসাইটে অধ্যাপকও আর পাইরা ওঠে না। বাজারে দাম বাড়ে। ক্রয় ক্ষমতা বাড়লে এইটা ঘটতেই থাকে। একদিকে কর্পোরেট পুঁজি একদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত পুঁজি দুইটাই আমাদের বাজারকে অস্থিতিশীল কইরা তুলছে গত একদশক যাবত। ফলে, সমাজের অপরাপর শ্রেণীগুলাও বাজারে গিয়া বুঝছে, আয় বাড়াইতে হবে। ফলে, সাধারণভাবে সমাজের মধ্যে সংস্কৃতিবান, বিবেকবান, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বেচা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির চাহিদার সঙ্গে নিশ্চয়ই এই সাধারণ ও সার্বিক সমস্যাকে মিলানো ঠিক না। তথাপি আমি প্রসঙ্গটা তুললাম। কারণ সমস্যাটা আরোপিত নয়। সমাজের মধ্যে নতুন কাজের সুযোগ যখন তৈরি হয় না, আয় বৃদ্ধির সভ্য নিয়ম যখন প্রতিষ্ঠিত থাকে না তখন মানুষকে স্বভাবতই ভিন্নপথ অবলম্বন করতে হয়। ফলে ব্যাপারটা ইমপোজড নয়। ব্লগের বা ব্লগের বাইরের ৯৯% লোক (আমি সহ) যদি করাপশনের শিকার হই তাইলে সেইটা তো দুরারোগ্য ব্যাধি। এই ব্যাধি সারাইবেন কেমনে? মানুষ নিজের খাদ্যের জন্য পশু, পাখি, গাছপালা হত্যা করে। এইটারে আপনি ব্যাধি বলবেন? ৯৯% মানুষ এই হত্যাকাণ্ডে অভ্যস্ত।
২৭. ১৯ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৩৪
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনি যে কায়দায় বামপন্থীদের প্রসঙ্গ টেনেছেন, পদ্ধতি হিসেবে সেটাও সমস্যাজনক। একটা বিতর্ককে কাৎ করার এটাও পুরনো একটা পদ্ধতি -- "উহা বামপন্থী মতামত, কানে তোলার কিছু নাই"।
বামপন্থীরা হয়তো তাদের তাত্ত্বিকতায় এইসব কথাবার্তা চালু রাখে, কিন্তু নব্বই পরবর্তী যুগে এইসব আলাপের কি কেবল বামপন্থী সীমানা রয়েছে? বিশ্বায়নবিরোধিতায় কি কেবলই নির্ভেজাল বামেরা থাকেন? সর্বগ্রাসী পুঁজিবাদের মধ্যে কি অভ্যন্তরীণ টেনশন নাই? বিশ্বব্যাংকের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা কি পুঁজিবাদী পরিমণ্ডলে হয়নি?

সামহোয়ার কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, আমারও তাতে দ্বিমত নাই। কিন্তু সামহোয়ারে এতদিন তার ছাপ ছিলনা বলেই আমার পর্যবেক্ষণ। আপনি চান বহুজাতিক এখানেই মুনাফা বাইরে পুরাপুরি না নিয়ে বাংলাদেশে আদ্দেক মুনাফা বিনিয়োগ করুক। আমি চাই সামহোয়ারের কর্পোরেট-নিরপেক্ষ মূর্তিটা টিকে থাকুক। ইয়াহু কর্পোরেট, সেলফোনও কর্পোরেট, আমি ননকর্পোরেট কাজে একে ব্যবহার করতে চাই। ভারতে রেলগাড়ি চালু হয়েছিল লুণ্ঠিত মাল পরিবহণের জন্য, কিন্তু শেষপর্যন্ত তার ব্যবহার বহুমুখী হয়েছে।

মার্কিন মুলুকে রেডিও বা কমি্উনিটি রেডিও এখন অল্টারনেটিভ মিডিয়া। অল্টারনেটিভ ধারণাগুলো ঐ পুরনো মাধ্যম দ্বারা পরিবাহিত হয়। রেডিও প্যাসিফিকা এরকম একটি রেডিও, কমিউনিটি রেডিও বলতে যেমন একটা কুটিরশিল্পের ধারণা হয়, সেটা মোটেও সেরকম কিছু না। আর আছে সাইবারস্পেস। আপনি ইন্ডিমিডিয়া দেখেন, জিনেট দেখেন, ফেয়ার দেখেন, গ্লোবালইস্যুজ দেখেন, আরও আছে, সবকিছুর নাম জানিনা। ব্লগ তো ভুরিভুরি। ইন্ডিমিডিয়া মোটেও ইউরোসেন্ট্রিক নয়, সারা বিশ্বেই এর নানা ভাষার সাইট আছে, ভারতেও আছে। এগুলা সামহোয়ারের মতো হয়তো ইন্টারএকটিভ না, কিন্তু সাইবারস্পেস কেন্দ্রিক এক্টিভিজমে এগুলার ভূমিকা অনেক।

আপনি যদি বেনিয়ার কাছে রেসপন্সিবিলিটি আশা করে প্রেশার দিতে চান, ষাঁড়ের কাছে দুধ চাইতে আমার দোষ কোথায়?
২১ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫২

লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
আগের মন্তব্যের উত্তরে বামপন্থী প্রসঙ্গ কিছুটা আসছে।
একথা আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে শিকার করতে চাই লেফট পরিমণ্ডলের বাইরে থেকেও বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-জি এইট বিরোধিতা আমরা দেখছি। সেটা ভাল হয়েছে। বিরোধিতার দায়িত্ব বামপন্থীদের হাতে ছেড়ে দিলে তো আর চলবে না। আর বামপন্থার বাইরের মানে কর্পোরেট পন্থী সেটাও ঠিক নয়।
আপনার মতো, আমিও বিশ্বাস করি, কর্পোরেট যোগাযোগ টুলগুলা ব্যবহার করে অ্যাক্টিভিস্টরা সংগঠিত হইতে পারে। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে। সেটা অনেক বড় আকারে কার্যকরও হইতে পারে। কিন্তু কর্পোরেটের বিজনেস স্ট্র্যাটেজিতে আপোষ কইরা তারা আমাদের প্রতিরোধের লাইনে আসবে এইটা আমি ভাবি না। তাদের রেসপনসিবিলিটি নিয়া আমি খুব উত্তেজিত নই। শুধু বলেছি, তারা এই কাজগুলারে রেসপনসিবিলিটি বলে।
কিন্তু আমি চাই, তারা বিজনেসটা নিয়ম অনুসারে করুক। এইখানকার লোকদের চাকরি দিক, এখানে রিইনভেস্ট করুক, এইখানে বিজ্ঞাপন দিক। এইটা মোটামুটি সব দেশেই শর্ত হিসাবে থাকে। বিজ্ঞাপন এইখানে বড় খাত। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কয়েকটা স্তরের মধ্যে লভ্যাংশ বাটোয়ারা হয়। ফলে, আমি বিজ্ঞাপনের পক্ষে। চাকরি, রিইনভেস্টমেন্ট, স্থানীয়বাজার হতে কাঁচামাল সংগ্রহ, লোকবল জোগাড়, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি ছাড়া কর্পোরেটের কাছ থেকে লভ্যাংশ আদায়ের আর কোনো উপায় আপাতত জানি না।
পরিবেশ, খাল নদীর ক্ষতি করলে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ তো করতেই হবে। সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের দাবিও করা যাইতে পারে।
২৮. ১৯ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৩৯
comment by: মেহরাব বলেছেন: ফাহমিদ ভাই আমি আপনার সাথে ১০০ ভাগ একমত। হয়তো আপনার সাথে আমার মতের একাত্মতার কারনে আমাকে আপনার ঘ্যাট জাতীয় কিছু একটা ভাবতে পারে {আপনিতো জানেন ব্লগারদের চিন্তা ভাবনা কত প্রখর(?)} কিন্তু তাতে আমার কিছুই আসে যায় না।
আমি বলেছি ৯০ ভাগের বুদ্ধিবৃত্তি নিম্নস্তরের আর আপনি বলেছেন ৯৯ ভাগ করাপটেড। ভাল লাগল। আমি বিশ্বাস করি।
আমি আশা করছি আপনার এই সচেতনতা অন্তত কিছু ব্লগারকে সংক্রমিত (পজেটিভ অর্থে)করবে।
২১ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৫

লেখক বলেছেন: মেহরাব,
আপনাকে ঘ্যাট জাতীয় কিছু ভাবার কারণ নাই। আমি বরং অবাক হচ্ছি ফাহমিদ ভাইয়ের মতামতের পক্ষে সমর্থন আশানুরূপ নয় বইলা। আমিও চাই তার মতামত সাধারণ ব্লগারদের সংক্রমিত করুক।
২৯. ১৯ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:৪৭
comment by: বোধিস্বত্ত বলেছেন: ধুর, প্যাচাল মাইনাস
২১ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:১৪

লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩০. ১৯ শে জুন, ২০০৮ রাত ১১:১৮
comment by: মেহরাব বলেছেন: মানুষ তর্ক কেন করে?

১. নিজের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য
২. কিছু জানার জন্য।
৩. এটা যে তর্ক হচ্ছে এবিষয়টাকে সবসময় মনে রাখার জন্য।
৪. নিজের অস্তিত্বকে জাহির করার জন্য।
৫. বিষাদভরা মনে অন্যকে খোঁচানোর জন্য। এবং তাতে অপমজা পাওয়ার জন্য।

ফাহমিদ ভাই হয়তো আরও পয়েন্ট বের করতে পারবেন।

মামো বল্লেন, "ব্লগের মইধ্যে ৯০ ভাগের বুদ্ধিবৃত্তি উচ্চস্তরের। এবং ১০ ভাগের নিম্নস্তরের এবার প্রমান করেন দেখি?"

প্রিয় পাঠক, তার্কিক হিসাবে মাহমুব মোর্শেদকে উপরোক্ত কোন নম্বরে রাখবেন তা জানাতে আহবান করছি।
২১ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:১৬

লেখক বলেছেন: মেহরাব,
আপনি আমাকে কোন নম্বরে রাখতে চান রাখেন। কিন্তু আপনার বক্তব্যটার ব্যাখ্যা একটু দিয়েন দয়া করে। বুঝতে সুবিধা হইতে তাইলে।
৩১. ২০ শে জুন, ২০০৮ সকাল ৮:৩৩
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: মেহরাব, আমার ৯৯ আর আপনার ৯০ না মেলানোর জন্য অনুরোধ করি। আপনার এসেসমেন্ট সার্বিক, আর আমারটা একটা কেস স্পেসিফিক।
তবে আমাকে সমর্থনের জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।
৩২. ২০ শে জুন, ২০০৮ সকাল ৯:২৯
comment by: মেহরাব বলেছেন: ফাহমিদ ভাই ধন্যবাদ আপনাকে। ৯৯ আর ৯০ মেলাচ্ছি না। আমি ৯০ ভাগের বুদ্ধিবৃত্তির বিষয়ে কথা বলাতে আমাকে ব্লগাররা তুলোধুনা করেছে, তাই ভাবলাম আপনি যখন বলছেন ৯৯ ভাগ করাপটেড তখন মনে হলো একটু আপনার পাশে দাড়াই।

ভাল থাকবেন।

৩৩. ২০ শে জুন, ২০০৮ সকাল ৯:৩১
comment by: মেহরাব বলেছেন: আমার একটি মন্তব্যে মাহবুব মোর্শেদ বানানটা ভুল ছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য দুঃখিত।
২১ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:১৮

লেখক বলেছেন: ব্যাপার না।
৩৪. ২১ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭
comment by: অন্তীম বলেছেন: সহমত
২১ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:২০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৫. ২১ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:১৯
comment by: মেহরাব বলেছেন: মা মো ভাই, আপনি বলেছেন,"কিন্তু আমি চাই, তারা বিজনেসটা নিয়ম অনুসারে করুক। এইখানকার লোকদের চাকরি দিক, এখানে রিইনভেস্ট করুক, এইখানে বিজ্ঞাপন দিক। এইটা মোটামুটি সব দেশেই শর্ত হিসাবে থাকে। বিজ্ঞাপন এইখানে বড় খাত। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কয়েকটা স্তরের মধ্যে লভ্যাংশ বাটোয়ারা হয়। ফলে, আমি বিজ্ঞাপনের পক্ষে। চাকরি, রিইনভেস্টমেন্ট, স্থানীয়বাজার হতে কাঁচামাল সংগ্রহ, লোকবল জোগাড়, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি ছাড়া কর্পোরেটের কাছ থেকে লভ্যাংশ আদায়ের আর কোনো উপায় আপাতত জানি না।"
এই লভ্যাংশ তারা দিচ্ছে যাতে তাদের ক্রেতারা বেচেঁ থাকে। এটা ইউনুস সাহেবের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের বিপরীত এক্সিকিউশন। কর্পোরেট বিজ্ঞাপন দেয় কারন তাতে শ্রম শোষন লিগালাইজ্ড হয়। আপনি হয়তো এই বিজ্ঞাপনের সাথে সম্পর্কিত কিছু মানুষের লভ্যাংশ শেয়ারকে ভাল চোখে দেখছেন কিন্তু আমি তা দেখছি না। বিশ্বে এত মানুষ কর্পরেটদের উপর বিক্ষোভ দেখায় তার কারন এ বিজ্ঞাপন সুবিধা খুবই অল্প এবং গুটি কয়েক মানুষ এর ফল ভোগ করে।
কর্পরেটরা এখন পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি হাজির করছে যাতে করে আপনাদের মতো কিছু লোকের মুখ বন্ধ করা যায় কিন্তু তাতে কি নিপীড়িত মানুষের পেটে খাদ্যের সংস্থান হবে? আমার মনে হয় না। শ্রম শোষনের বিকাশকে ভাল ভাবে পর্যবেক্ষন করলে বোঝা যায় যে কর্পরেটের দুরভীসন্ধি। ধনী গরিবের মাঝে বৈষম্য বাড়ছে কেবল।
আর আপনাকে আরো বলতে চাই ক্ষতিপূরণ একটি ভেক টার্ম। ক্ষতি তা ক্ষতিই, পূরণ কি তা আসলেই হতে পারে। সে সময় কে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারে।
ধন্যবাদ।
২১ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২৭

লেখক বলেছেন: মেহরাব,
আপনি তাইলে কী চান?
১. কর্পোরেটগুলা চইলা যাক?
২. তারা বিজ্ঞাপন না দিয়া, স্পন্সর না কইরা ভালমনে ব্যবসা করুক।
৩. কর্পোরেটের বিরুদ্ধে আন্দোলন?
৩৬. ২১ শে জুন, ২০০৮ রাত ৯:৩০
comment by: মেহরাব বলেছেন: আপনি যদি আলদিনের জীনি হন তাইলে কমু,
উহু তিন টার কোন টাই না। কর্পরেট রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আসুক। পাবলিকের সম্পদ হউক।
২২ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:১১

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস মেরে আকা।
বুমমমমমমমমমমমমম
কর্পোরেটগুলা সব রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চইলা আসছে।
তাকাইয়া দেখেন....
৩৭. ২২ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:১৮
comment by: বর্ণ. বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক কথার জন্য দুঃখিত।

মাইনুলের আনব্যান চাই। ভিন্নমত দলনের ও গালিবাজ তোষণের কর্তৃপক্ষীয় নীতির নিন্দা জানাই।
৩৮. ২২ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:২৯
comment by: মেহরাব বলেছেন: হয় নাই। জ্বীনির পাওয়ার কইমা গেছে নাইলে কর্পরেট হ্যারেও কিন্ন্যা লইছে।
ভাল থাকবেন।
২৩ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৭

লেখক বলেছেন: জিটিভিতে আলাউদ্দীন দেখেন?
ওখানকার জিনুটা ভীষণ ফানি।
৩৯. ২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:২৩
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন:
আপনার লেখাটার সাথে একমত । কর্পোরেটদের সমূলে উৎপাটন আমার মতে কোন কাজের কথা না , বরং তাদেরকে চিপায় ফেলে দেশে কিছু করতে বাধ্য করাটাই কাজের কথা ।

২৪ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ মেহরাব।

No comments:

Post a Comment