Sunday, March 1, 2009

গোলটেবিল পোস্ট : ব্লগিং করে কী হয়, কী হবে, কী হয়েছে

০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩২
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

অনেক বাংলাভাষী ব্লগার ব্লগিংয়ে দুই বছর পূর্ণ করলেন। অনেকে সামহয়ারের আগে থেকেও ব্লগিং করেন। তাদের কারো কারো তিন/চার এমনকি পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যে কার্যকর একটি ব্লগ কমিউনিটি গড়ে উঠেছে। গড়ে উঠেছে একটি ব্লগিং কালচার। ভার্চুয়াল ছদ্মবেশ থেকে বাইরে বেরিয়ে ব্লগারদের মধ্যে বন্ধুত্ব হচ্ছে, পারস্পারিক যোগাযোগ বাড়ছে। সামাজিক নানা উদ্যোগ সফল হয়েছে। চলছে নানা উদ্যোগ। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে বাংলা ভাষায় মতপ্রকাশে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা এখন স্বতস্ফূর্তভাবে মত প্রকাশ করতে পারছেন। আমাদের সমাজের নানা মত, প্রবণতা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা, অসহিষ্ণুতার উদাহরণ আমরা ব্লগে দেখতে পাচ্ছি। ব্লগের বিকাশের একটি পর্যায়ে তরুণ সাহিত্যিকরা এতে যোগ দিয়েছেন। এমন অনেক লেখক সাহিত্যিক কলামিস্ট বিশ্লেষক আইটি-স্পেশালিস্ট উদ্যোক্তা সমালোচক গল্পকার কবি অনুবাদ ব্লগে লিখেছেন ব্লগ ছাড়া তাদের দেখা পাওয়া কঠিন হতো। বাংলা ভাষার ব্লগগুলোতে প্রচুর ভাল লেখা পোস্ট হয়েছে। তারপরও অনেকের মধ্যে একটা অস্বস্থি লক্ষ্য করি। তারা আরও গঠনমূলক আরও অর্থপূর্ণ এবং আরও প্রভাবশালী ব্লগিং ট্রেন্ড গড়ে তুলতে আগ্রহী। এটা খুব স্পষ্ট যে, ব্লগের মতো কমিউনিটিতে ভাল কাজ, ভাল লেখা ও ভাল যোগাযোগ তৈরি করতে হলে বাইরের কোনো শক্তি বা সাহায্য আমাদের কোনো কাজে লাগবে না। নিজেদের মধ্য থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। ব্লগিংকে আরও অর্গানাইজড হতে হবে। কিন্তু কী সেই উদ্যোগ? কী সেই উপায়?
বিগত দিনের বাংলা ব্লগের মূল্যায়ন করে আমরা কেন আমাদের অর্জন, ব্যর্থতা আর প্রত্যাশা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলি না?
আসেন শুরু করি।



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।



* ৪৬ টি মন্তব্য
* ৫৯৯ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ১২ জনের ভাল লেগেছে, ৩ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28807123 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৮
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ভার্সিটি ঘুরে আসি , তারপর বলবো
ভালো টপিক
০৭ ই জুন, ২০০৮ রাত ৮:০১

লেখক বলেছেন: অপেক্ষায় আছি।
২. ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৮
comment by: আরণ্যক যাযাবর বলেছেন:
সময় নষ্ট হয়।
০৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:০৯

লেখক বলেছেন: বিস্তারিত কিছু বলবেন বলে আশা করছি।
৩. ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৪২
comment by: নেমেসিস বলেছেন: ওয়েব আওয়ার খরচ হয় ।
০৮ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

লেখক বলেছেন: শুধু এই?
৪. ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৪৮
comment by: আইরিন সুলতানা বলেছেন: একটা মন্দ দিক হলো -

ব্লগিং আমাদের আটকে রাখছে পিসি'র সামনে ...এতে চোখের ক্ষতি হচ্ছে ...আবার মাঝে মাঝে সামাজিক রীতিনীতিতেও হেরফের হয়ে যাচ্ছে যদি এই ব্লগিং এর নেশাকে ঠিক মত আয়ত্তে না রাখা যায় ...

ভাল দিক -

বাংলা লেখা হয়না সেই কত দিন, জানা বানানগুলোতেও ভুল হয়ে যায়...এখন চর্চাটা বজায় থাকছে

কারো মাঝে যে কবি-লেখক সত্তা আছে সেটা হয়ত অগোচরে থেকে যেত এখন সে নিজেই ঝালিয়ে নিতে পারছে

যোগাযোগ বাড়ছে ভিন্ন ভিন্ন পেশা, শিক্ষা, বয়স এবং এলাকার মানুষের সাথে
১০ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৬

লেখক বলেছেন: মেয়েদের ব্লগিং বিষয়ে আলাদা করে কিছু বলবেন না?
সমস্যা, সম্ভাবনা ইত্যাদি?
৫. ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৫৮
comment by: আজম মিজান বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
১০ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৮

লেখক বলেছেন: thanx.
৬. ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:০১
comment by: মৈথুনানন্দ বলেছেন: কাউচ পটেটো হয় - অর কেয়া?
১১ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:২৭

লেখক বলেছেন: আর কিছু হয় না?
৭. ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:০৭
comment by: ফারহান দাউদ বলেছেন: প্রথম কথা হল,ভার্চুয়াল নিক বা পরিচয়ের আড়াল নিয়ে বাইরের ভদ্র মানুষটার মুখোশ খুলে অন্যকে হেনস্থা করার যে ট্রেন্ড বা ধারা গড়ে উঠেছে সেটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে,কারণ ইন্টারনেট এখন আর ঠিক ফালতু বা সময় কাটানোর উপায় নয়,এখানে যা বলা বা লেখা হয় সেটা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে,দেশে এবং দেশের বাইরেও। সোজা কথায়,একটু দায়িত্বশীল হতে হবে কি বলা বা লেখা হচ্ছে সেটা নিয়ে। খারাপ দিক আমি দেখি না,খারাপ যা হচ্ছে সেটা আমাদের প্রয়োগে,কিন্তু নিজের মত বা চিন্তা বা ইচ্ছা বা প্রতিভা যাই বলুন,এত মুক্তভাবে সেটা প্রকাশের এর চেয়ে ভাল বা সহজ কোন মাধ্যম তো আর কোনটা দেখি না।
১১ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০৪

লেখক বলেছেন: সহমত। ১০০%। অনেক ধন্যবাদ।
৮. ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৪৯
comment by: লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খারাপ দিক যতই থাকুক, ভালো দিক হল, সবাই মতামত জানাতে পারছে। এমন সব মতামত যা আগে চেপে রাখতে হত কোন প্রকাশযোগ্য মাধ্যমের অভাবে। এই নতুন মাধ্যমটি মানুষের অনেক না বলা কথা প্রকাশে সাহায্য করছে। এটা একটা দারুণ অগ্রগতি।
সব নতুন প্রযুক্তির খারাপভাবে ব্যবহারের জন্য দায়ী তার ব্যবহারকারীরা, প্রযুক্তি নিজে নয়।
১২ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৭

লেখক বলেছেন: প্রকাশযোগ্য মাধ্যম এখন আছে। তারপরও কাজের কথা কি খুব বেশি হচ্ছে?
আপনার সঙ্গে সহমত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৯. ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬
comment by: হ্যারি সেলডন বলেছেন: আমি শুধু বাংলা লেখার জন্য আসি। এইসএসসি'র পরে আর বাংলা লেখার সুযোগ হয়নি।সেটা একটা দুঃখ ছিল!
১৪ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৯

লেখক বলেছেন: দারুণ। শুধু বাংলায় লিখতে পারা। যা ইচ্ছা। এর বেশি আর কী চাই?
১০. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০১
comment by: মানুষ বলেছেন: কেউ লেখা ছাপায় না এই দুঃখে ব্লগিং করি
১১. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫
comment by: মাহমুদ রহমান বলেছেন: মানুষ চিনছি.... আমি যে পরিবেশে বড় হয়েছি তার বাইরে খুব বেশি চিনি নাই। ব্লগে এসে সে সুযোগটা হয়েছে।

ভাল মানুষ সম্পর্কে ধারণা হয়েছে। একইভাবে খারাপ মানুষও দেখেছি। আমি খারাপদের সম্পর্কে যে কল্পনা করতাম তারা আসলে তার থেকেও ডেঞ্জারাস..... ব্লগে না আসলে কোন দিনই জানা হতো না।

নিজের কথা অন্যকে জানাতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সে সময় নেই মানুষের। ব্লগ এক্ষেত্রে সে সুযোগ দিয়েছে।

থিওরিটিক্যাল নয় মোর প্র্যাকটিক্যাল পড়াশুনা হয়েছে। চয়েসের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা এসেছে। ইমোশোনকে ডেভোলপ করা গেছে। চিন্তা শেয়ার করলে চিন্তা সামান্য হলেও এডভান্স হয়.... পূর্ণতা পায়।

অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করার পরিবর্তে কখনও কখনও ব্লগ সময়কে অপ্রয়োজনীয় বানিয়ে দিয়েছে।

কনফিডেন্স, সাহস (সত্য বলার সাহস) বেড়েছে........ মজাদার লাইফের জন্য এগুলি খুবই প্রয়োজনীয়।
১২. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫
comment by: কৌশিক বলেছেন: কী হয়?
ক্রিয়েটিভ নেশাগ্রস্থতা।
কী হবে?
একটা জনপ্রিয় নিউ মিডিয়া।
কী হয়েছে?
সচলায়তন, আমার ব্লগ, এটচেটরা।
১৩. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫
comment by: ভোরের আলো বলেছেন: লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খারাপ দিক যতই থাকুক, ভালো দিক হল, সবাই মতামত জানাতে পারছে। এমন সব মতামত যা আগে চেপে রাখতে হত কোন প্রকাশযোগ্য মাধ্যমের অভাবে। এই নতুন মাধ্যমটি মানুষের অনেক না বলা কথা প্রকাশে সাহায্য করছে। এটা একটা দারুণ অগ্রগতি।

আমি এই কথাটার সাথে একমত!
১৪. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৭
comment by: প্রবাস কন্ঠ বলেছেন: প্রবাসে বসে মাতৃভাষায় নিজের ভাব প্রকাশ করে আত্মতৃপ্তি পাই এবং গর্ববোধ করি।
১৫. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮
comment by: মাহমুদ রহমান বলেছেন: হ্যারি সেলডন বলেছেন: আমি শুধু বাংলা লেখার জন্য আসি। এইসএসসি'র পরে আর বাংলা লেখার সুযোগ হয়নি।সেটা একটা দুঃখ ছিল!

.......এটা একটা ভাল দিক।
আসলেই তো বাংলা তেমন লেখায় হয়ে ওঠে না। কতকাল যে এক পৃষ্ঠা বাংলা লিখি না।
১৬. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৯
comment by: মানুষ বলেছেন: আজকাল কী-বোর্ড ছাড়া খাতায় বাংলা লিখতে গেলে কেমন জানি বেধে বেধে যায়
১৭. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:১০
comment by: ত্রিভুজ বলেছেন: ব্লগিং করে সময় নষ্ট হয় এটা কিছুটা সত্য। তবে পুরোপুরি নয়... অনেক কিছু শেখার ও জানার আছে ব্লগে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মানুষ ও এদের মনমানসিকতা সম্পর্কে জানতে পারছি। এই ব্লগে না আসলে বাঙালী যে এত গালাগালি করতে পারে জানা হতো না হয়তো। চরম অভদ্র ব্যবহার বলতে আসলে কি বুঝায় তাও শিখতে পারছি.. আবার চরম ভদ্রতা দেখানো লোকেরও সন্ধান পেয়েছি। সহনশীলতা, অসহিষ্ণুতা, গোঁড়ামী ইত্যাদি নানা প্রকার শব্দের বাস্তব রুপ ও প্রতিফলনের উদাহরণও দেখা যাচ্ছে। ভার্চুয়াল পরিবেশে কেউ চিনতে পারবে না ভেবে মুখোশের আড়াল থেকে বের হয়ে আসা মানুষগুলোকে দেখা যাচ্ছে, যেটা বাস্তবে দেখা সম্ভব হতো না।

এগুলো তো গেল সব নেগেটিভ সাই... প্রচুর পজেটিভ দিকও রয়েছে। সেগুলো নিয়ে বলতে গেলে গরু রচনা হয়ে যাবে। তবে কিছু বিষয় না বললেই নয়....। মানুষের সমাজে সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হলে সমাজ বেশীদিন টেকে না। সমন্বয়টা বিভিন্ন মতের, পথের, রুচির, পেশার মানুষের মাঝে হতে হয়। একে অপরের কাছাকাছি আসতে হয়.. আরো খোলাখুলি ভাবে। ভাবের আদান প্রদান করতে হয়। ইসলামে জামাতে নামাজ পড়াটার একটা বড় উদ্দেশ্য হলো এটা। এখানেও সেটা হচ্ছে। এমনও দেখা গিয়েছে যে যারা সাথে আজ চরম খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে, পরের দিন তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। এতে ভিন্নমতের মানুষটির সাথে কিছুটা হলেও সৌহাদ্য সৃষ্টি হচ্ছে যা উভয়ের চিন্তাভাবনা ও মতামত সম্পর্কে নতুন করে মূল্যায়ণ করতে উৎসাহীত করে। বেশীর ভাগ মানুষেই মূলত যা বলে বা করে, তা মানবজাতির কল্যাণের নিমিত্তে। কল্যাণ করতে গিয়ে দুই কল্যানকামীর মাঝে যখন যুদ্ধ বেঁধে যায়, তখন তাদেরকে একই মঞ্চে রেখে দেয়াটাই উত্তম। কতদিন আর ফাইট করবে... কিছুক্ষনের জন্য হলেও তারা একে অপরের উদ্দেশ্য বুঝার চেষ্টা করবে। আর ব্লগিং এর মত ইন্টারএ্যাকটিভ মিডিয়া সেই সুবিধাটাই দিচ্ছে যা প্রত্রিকার কলাম, বই পুস্তক, চ্যানেল টক শোতে সম্ভব নয়।

আরো বহু কিছু বলার ছিলো... অফিস ফাঁকি দিয়ে ব্লগিং করতে কেমন যেন লাগে। সুতরাং পরে কখনো আবার.. ...

পরিশেষে- ধন্যবাদ মোর্শেদ ভাই... চমৎকার কিছু মতামত পাওয়া যাবে এই লেখা থেকে। সময় করে পুরোটা পড়ার ইচ্ছে রইলো। আপাতত প্রিয় পোস্ট।
১৮. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন:

কি হয়?

- বহুকাল আগে মা.মো. নামে একজনরে দেখছি কি দেখি নাই, পাশাপাশি টেবিলে চা খাইছি কি খাই নাই, একলগে এক মিছিলে ধাওয়া খাইছি কি খাই নাই, এক জমায়েতে পুলিশের বাড়ি খাইছি কি খাই নাই - এমন একজনরে পাওয়া যায় । সেই মা.মো.র ফ্রেন্ড সার্কেলের অনেকেই আবার নিজস্ব ফ্রেন্ড সার্কেলে পড়বে যাদের মা.মো. বা মা.মোর মতো সূত্রে আবারো খুঁজে পাওয়া যায় ।

কি হবে?

- ব্লগ যোগাযোগের একটা প্রতিষ্ঠিত মাধ্যম হবে । যোগাযোগ শব্দটার মধ্যে মিডিয়া এ্যাজ এ হোল বিষয়টাও চলে আসবে । মোটকথা এক্সপ্রেস দাইসেলভস এর একটা মাধ্যম হিসেবে এটা চালু হবে ।

কি হৈছে ?

- ঝগড়া ফর্মে হলেও মা.মো. নামে লোকটার সাথে রেগুলার দেখা সাক্ষাতের জায়গা হৈছে । এরকম আরো অনেকের সাথে যোগাযোগ ঝালাই করে নেয়া গেছে । আরো অনেকের সাথে হবে । বয়স, পেশা, অবস্থান সব কিছুরে পাশে সরায় রাইখাই এইটা হৈছে । বাংলাদেশীদের ওয়েবে কোন জায়গায় সবধরনের মানুষের জমজমাট উপস্থিতির জায়গার অভাব ছিলো । সেইটা পুরন হৈছে । আর উপরি হিসেবে বাংলা ভাষাটা ওয়েবে জায়গা করে নিছে । ওয়েবে বাংলা কন্টেন্ট এখন বেশ ভালোই পাওয়া যায় । মিডিয়া হিসেবে পত্রিকা বা পোর্টাল টাইপ সাইট থাকলে যেটা এখন পর্যন্ত হতো না ।
১৯. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: গুটেনবার্গীয় ছাপা কাগজে লেখা ছাপতে অভ্যস্ত লেখক হিসাবে ব্লগ-মাধ্যমে লেখালেখি করতে যতটুকু সমস্যা হওয়ার কথা ছিল, ততোটুকু সমস্যাও আমি ফেস করিনি। আমরা যখন ব্লগিং শুরু করি তখন এই কমিউনিটিতে ছাপা কাগজের লেখক সংখ্যায় ছিলেন হাতে গোনা। আবার ছাপা কাগজের লেখক হিসেবে মিডিয়ায় তেমন একটা পসারও আমরা জোগাড় করতে পারিনি। ফলে, লেখার মাধ্যমে নতুন একটা কমিউনিটির সঙ্গে ইন্টারাক্ট করতে হয়েছে আমাদের। তাদের জানতে হয়েছে। আমাদের কথা তাদের জানাতে হয়েছে।
আমি ব্লগে নিয়মিত লেখা শুরু করার অনেক দিন পর আমার লেখকবন্ধুরা ঘটনাক্রমে জানতে পারেন এখানে আমি বেশ কিছু সময়ের অপচয় করে ফেলেছি। যা লিখেছি তার মধ্যে সাহিত্য বা অর্থপূর্ণ লেখা খুব কম। তারা ইন্টারনেটের প্রতি আমার আসক্তিজনিত একটা সমস্যা হিসাবে এটাকে সনাক্ত করেছেন। তাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করি নাই আমি। এখানে আমি এমন অনেক লেখা লিখেছি যা শুধু ছাপা কাগজের ওপর নির্ভরশীল হলে কখনো লেখা হতো বলে মনে হয় না। সে লেখাগুলোর সবটা ফেলনা না হলেও অনেকগুলোকেই অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। ব্লগে লেখার উপায় ধরন ও প্রকাশের পদ্ধতি বুঝতে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেতে হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপজাত হিসাবে অনেক খারাপ লেখাও তৈরি হয়েছে। শুধু আমি না অনেক ব্লগারের ক্ষেত্রেই আমি খেয়াল করেছি ব্লগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়িয়ে যাবার কারণে তাদের বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে নিয়মিত লিখতে হয়।
আরেকটা বিষয় হলো : অনেক পাঠকের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করার প্রবণতা। এই প্রবণতা অসুখের মতো হয়ে যায়। ফলে, অনেকেই শুধু সিনেমা, সাহিত্য, ছবি, অনুবাদ, সংবাদ, কবিতা, গল্প, কলাম, সাক্ষাৎকার, বুক রিভিউ, স্মৃতিকথা, উপন্যাস ইত্যাদি বিশেষ বিষয় নিয়ে না লিখে বারোয়ারি লেখার দিকে ঝুঁকেছেন। আমার ক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছে।
ব্লগ মাধ্যমে লেখার কিছু ইতিবাচক দিক আমি স্পষ্ট সনাক্ত করতে পারি। অনেক নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। বেশকিছু নতুন লেখকরে সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। শুধু সাহিত্যিক অর্থে লেখক না, অন্যান্য বিষয়ের লেখকদের লেখার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পেরেছি। আমাদের সময়ের চিন্তা ও চর্চার প্রবণতাগুলোকে সনাক্ত করার চেষ্টা করেছি। বেশ কিছু ইতিবাচক বিতর্কে অংশ নিয়েছি। বেশ কিছু বিতর্ক পর্যবেক্ষণ করেছি। বিকল্প মিডিয়া হিসেবে কিছু অ্যাক্টিভিজমের সম্ভাবনার কথা মাথায় এসেছে। কিছু অ্যাক্টিভিজম পর্যবেক্ষণ করে আনন্দ হয়েছে।
এত এত পজিটিভ ব্যাপারের পরও আলোচনা করার জন্য বিষয়টিকে বেছে নেওয়ার কারণ কিছুটা হতাশা ও অনেকটা আশা।
সামহয়ারের পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টিয়ে যখন দেখি অবশ্যপাঠ্য লেখার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে তখন চিন্তা করতেই হয়। অনেককেই দেখি লগ ইন করেন, তাৎক্ষণিকভাবে মাথায় যা এলো তা লিখে একটু জমিয়ে চলে যান। সময় নিয়ে, আগে ভেবে, পরিকল্পনা করে লেখার অভ্যাস খুব কম লোকের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। বই পড়ে রেফারেন্স ঘেঁটে, নিদেনপক্ষে নিজের সঙ্গে ভাল করে কথা বলার অভ্যাসটাও যেন অনেকে হারিয়ে ফেলছেন। সহজ পরিচয়, সহজ যোগাযোগ এই ব্যাপারটা তৈরি করছে বলে আমার মত।
০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৫

লেখক বলেছেন: আমারটাও টু বি কন্টিনিউড। সবার কথা শুনে পরের অংশ লিখবো।
২০. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৪
comment by: হাসিব মাহমুদ বলেছেন: ... টু বি কন্টিনিউড .. বাসায় মেহমান আছে ... নাস্তা বানায় খাওয়াইতে হবে তাদের ।
২১. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৭
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন: কী হয়

বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে ইচ্ছামতো কিছু লিখছি, কিছু কমেন্ট আসছে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সময় কাটছে। তবে আদতে আমি মনে করি, ব্লগিং এর মাধ্যমে ইন্টার্-অ্যাকশনটা বেশ ভালো হয়। এইটা আমার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।

কী হবে
ব্লগিং করে ঠিক কি হবে এই বিষয়টা এথনো আপেক্ষিক মনে হয়। যারা ব্লগে খুব বেশি সময় দেয় তাদের কাছে একটা পর্যায়ে ব্লগটাকে লাইফের ক্ষুদ্র একটা পার্ট মনে হয়। নিয়মিত ব্লগে আসনে তারা। লেখালেখি করেন, মন্তব্য পান। যারা হয়তো কোনদিন নিজের ভাবনাগুলো লেখায় প্রকাশ করতেন না তারা ভাবনা প্রকাশ করছেন ব্লগের মাধ্যমে। সামগ্রিক বিষয়গুলোই বিজ্ঞাপিত করতে পারে ব্লগ। তবে সেজন্য ব্লগীয় সুষ্ঠু পরিবেশটার প্রয়োজনয়তা অনেক বলে মনে করছি।

কী হয়েছে
আমি যদি ব্লি ব্লগিং করে কী হয়েছে তাহলে বলবো- ব্লগিং করতে গিয়ে নিজের ভাবনাগুলো যখন তখন অন্য আরো অনেকের সাথে শেয়ার করতে পারছি। অনেক ভালো কিছু বন্ধু পেয়েছি। লেখার স্টাইলের ডেভলাপ করতে পারছি। আমি স্যোশাল ব্লগিং এর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে চায়। তার সুফল মানবিক বিষয়গুলোতে ব্লগারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।



২২. ০৭ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০০
comment by: আরিফুর রহমান বলেছেন: আমার কান্দে 'রিপিটিটিভ স্ট্রেইন ইনজুরি বাসা বাঁধছে... এইট হইল অপকার।

উপকারের লম্বা লিস্টি করতে হবে। ধৈর্য নাই।
২৩. ০৭ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১০
comment by: দূরন্ত বলেছেন: (হুমম....
জ্ঞানী-গুণী মানুষেরা আলোচনা করতেছেন। ইহার মধ্যে কিছু কমু কিনা বুঝতেছিনা :) )
০৮ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০২

লেখক বলেছেন: দূরন্ত,
বিস্তারিত কিছু বললে ভাল হয়। আপনি তো ব্লগের আগে থেকেই পত্রিকায় লেখেন। আবার ব্লগে পরিবেশ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ে গুরুত্ব দেন, যেগুলো আবার অ্যাক্টিভিজমের সঙ্গে জড়িত। ফলে আপনার মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ।
২৪. ০৭ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১২
comment by: অবকাশ বলেছেন: সবার আলোচনা পড়ছি। ভালই লাগছে।
২৫. ০৭ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: বাংলা ব্লগিং ধারাটা খুব একটা পুরোনো না বলে একে এখনো শিশুই বলা যায়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে এর যাত্রা শুরু হলেও এর প্রসার দ্রুত বাড়ছে বলেই মনে করি।
এক সময় হয়তো দেখা যাবে " আমি ব্লগিং করি" বলে পরিচয় দেয়া যাবে বা ব্লগার হিসেবে পরিচয় দেয়া যাবে।
তবে মুল ধারা যাকে অনেকেই ছাপা কাগজে লিখে থাকেন তাদের পদচারনা তুলনামুলক ভাবে ড়খনো অনেক কম। তবে বিডিনিউজ২৪ এর বিডিআর্টস এ যারা লিখেন তারা মুলধারা/ছাপার ধারা থেকেই এসেছেন যদিও প্রকৃত ব্লগ বলতে যা বোঝায় সেটাকে তা বোঝায় না।

মুলত আন্তর্জালিক বলেই এখানে সবাই নিজের মতো করে লিখতে পারেন সাহিত্য সম্পাদক বা পত্রিকা সম্পাদকের কাঁচির হাত হতে বেঁচে।

ব্লগ যেকোনো বিষয় নিয়েই হতে পারে। এটা যেমন ছবি হতে পারে তেমনি হতে পারে উপন্যাস। হয়তো এখান থেকেই একদিন অনেক ভালো আগুন সব লেখক বের হয়ে আসবে।

সম্পাদকের চোখ রাঙানী বা আইএসপিআর এর খবরদারী বা সুশিল সমাজের সুচিবায়ু গ্রস্থ সুবিধাবাদীতা নেই বলে এখানে এমন অনেক খবর প্রকাশ করা যায় যেটা মুল ধারায় প্রকাশ করা সম্ভব হতো না।


বাংলা ব্লগিং এ সামহোয়্যারইনের বাঁধ ভাঙার আওয়াজকে এক কথায় প্রথিকৃত বলা যায়। এর পর একে একে এসেছে আমার ব্লগ, প্যাচালি সচালায়তানের মতো ব্লগ। হয়তো আরো আসবে ভবিষ্যতে।

প্রথম দুনিয়ার সংবাদ পত্রগুলোতে ব্লগ অংশ থাকে, সেখানে পাঠকরা স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে বা সাংবাদিকরাও এমন সব খবর প্রকাশ করতে পারে যেটা মুল কাগজে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশেও এটা প্রচলন করা যায়।

প্রিন্ট মিডিয়ার মতো ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতেও ব্লগ চালু করা যায় যেখানে দর্শকরা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে বা অনুস্ঠান নিয়ে আলোচনা করতে পারবে।

অর্জন, এখনো বাকি। প্রবাসীরা বাংলা ভাষায় লিখতে পারছে। যেমন আমি, ১২ বছর পর বাংলায় লিখছি, অন্যের ব্লগে কমেন্ট করতে পারছি, অনেক ভালো লেখা পড়তে পারছি।
(চলবে, আশা করি)
২৬. ০৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯
comment by: আরণ্যক যাযাবর বলেছেন:

হাসিব ভাই, মাহবুব সুমন, মাহবুব মোর্শেদ এর লম্বা বিশ্লেষণের পরে কিছু কওনের নাই।
তাও কিছু কইতে কইলেন যখন কই।


ব্লগিং করে কী হয়?
-----------------
আমার অবস্থান থেকে দেখলে, খুব একটা কিছুই হয় না। আমি আসি সময় কাটাতে।

বাস্তব জীবনে হয়তো কখনোই চিনতাম না, এরকম অনেক মানুষকে মাঝেমাঝে বড্ড আপন মনে হয়। কখনো একাত্মতা বোধ করলাম, কখনো বিরোধিতা পোষণ করলাম - এই করে, সামান্য হলেও দেশ থেকে বহুবছর বাইরে থেকেও নিজের ভাষায় কথা বলা নিজের সম-সংস্কৃতির মানুষের সাথে মিথস্ক্রিয়ার যে সুযোগটুকু পাই, তাতে বড়সড় মানসিক শান্তি বোধ করি।

আবার, বড় পরিসরে সবার কথা চিন্তা করলে বলবো, অনেক কিছুই হয়।
ভার্চুয়াল চায়ের কাপে ঝড় তোলা হয়। বাস্তব জীবনে হয়তো একটা জামাতবিরোধী মিছিল পাশ দিয়ে গেলেও যোগ দিতাম না, ভার্চুয়াল বলেই হয়তো সেই ঝড়ে আলোড়িত হই, নিজেও লাফিয়ে পড়ে শামিল হই।

যা বাস্তবে পারতাম না, সেটা ভার্চুয়ালি পারি।
নিজের মধ্যে এই পরিবর্তনটা খুব বড়।


কী হয়েছে?
-----------
ব্লগিং শুরু হয়েছিল টেকনিক্যাল জ্ঞানের লোকজন প্রতিদিন যেসব সমস্যা সমাধান করেন, সেইসব নিয়মিত লিখে রাখার জন্যে। পরে অন্যদের কাজে লাগবে অথবা অন্যদের মতামত পাওয়া যাবে, সেই জন্যে।

পরবর্তী সময়ে, ব্যক্তিগত কথা অন্যদের সাথে শেয়ার করার জন্যে, মানে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর একটা অংশ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

কিন্তু সামহোয়্যার, সচলায়তন, নতুন তৈরি হওয়া আমারব্লগ (আরো বেশ কিছু আছে বোধহয়, সবগুলোর নাম আমি জানি না) এই ছোটছোট বাংলা ভাষার দ্বীপগুলো তে তৈরি হওয়া ব্লগিং এর নতুন ধারণা একটু অন্যরকম। সেইজন্যেই বোধকরি কম্যুনিটি-ব্লগিং বা ফোরাম ব্লগিং নামের নতুন কোন ট্যাগ অনেকেই লাগিয়ে দিচ্ছেন।

বাংলা ভাষায় কথা বলা কম্যুনিটি তৈরি হয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন বলে আমি মনে করি। হাসিব ভাইও ব্যাপারটা বললেন।

তবে "বাংলা কনটেন্ট বাড়ছে" এর কথাটায় হাসিব ভাইর সাথে আমি একটু নেতিবাচক পয়েন্ট যোগ করতে চাই। এই ধরেন আপনি গুগলে গিয়ে "রবীন্দ্রনাথ" দিয়ে একটা সার্চ দেন।

অনেক ভালো কিছুর সাথে অনেক আবর্জনাও আসবে। যেমন ধরেন, অল্পবিদ্যা ভয়ংকর একজন সাইবার-ট্রলার "রবীন্দ্রনাথ চোর ছিলেন" এই শিরোনামে একই আবর্জনা বিভিন্ন ব্লগ ফোরামে পোস্ট করে বেড়িয়েছে, সেগুলোও আসবে।
"ভালবাসা" দিয়ে সার্চ দেন, অনেক কিছুর সাথে হালকা বড়দের গল্পও আসতে পারে।

তার উপরে আরেকটা বাজে দিক, কন্টেন্টে বানান অথবা শব্দের ভুল।


কী হতে পারে সামনে আরো?
----------------
কী হতে পারে বলা মুশকিল। তবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর ব্যাপারটা যেহেতু সামনের দিনে আরো জনপ্রিয় হবে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কে কেন্দ্র করেই অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে, সেই দিক চিন্তা করলে, বাংলা কে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের বাজারে আগ্রহী ভার্চুয়াল বাণিজ্যের সংখ্যাও হয়তো বাড়বে।
২৭. ০৮ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: সামহয়ারের কবি-সাহিত্যিকরা দেখি কিছু বলে না।
২৮. ০৮ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
comment by: র‌্যাভেন বলেছেন:

ব্লগিং করার ফলে ণীল সাট পড়া এক গিয়ানী লুকের সাক্কাত পাইসি
০৯ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩

লেখক বলেছেন: কালার সমস্যা এখনও মিটে নাই?
২৯. ০৮ ই জুন, ২০০৮ রাত ১১:৫৪
comment by: রিফাত হাসান বলেছেন: আমার ব্লগিং শুরু এক বন্ধুর আমন্ত্রণে। ব্লগে বাংলা লিখতে পারবো, এবং সেটা সত্যি সম্ভব, এই ব্যাপারটা আগে ভাবতে পারতাম না। আমি আপনার কোন একটা পোস্টে বলেছিলাম, এই যে সেন্সর ছাড়া সম্পাদনাবিহীন এবং নিশ্চিত সামনের পাতায় স্থান পাওয়া একজন লেখকের জন্য এবং পাঠকের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হঠাৎ আলটপকা একজন লোক যার কোনদিন লেখার সম্ভাবনাই ছিল না তার ভাবনাগুলো আমাদের পড়ার সুযোগ হচ্ছে এখানে। এবং লেখকদেরও পাঠক থেকে তৎক্ষনাৎ মতামত-মন্তব্য পাওয়া, খুব বড় লাভ। কারণ সমালোচকদের মুখ-গম্ভীর আলোচনা আর পাঠকের ভাবনা এক হবার নয়। এটা ব্লগিং ব্যাপারটার যে পজিটিভ ব্যাপার আমার মনে হয়েছে তা।

পরে এসে আরো কিছু কথা বলার ইচ্ছে আছে।


৩০. ০৯ ই জুন, ২০০৮ রাত ১২:২৪
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

সবার মন্তব্য উপভোগ করছি । নজর রাখছি ।
৩১. ০৯ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৫
comment by: কোলাহল বলেছেন: খুব গুছিয়ে বলা একটু কঠিন।

সহজভাবে যেটা অনুভব করি সেটা হচ্ছে স্বাধীনভাবে এবং নিসংকোচে মত প্রকাশ করতে পারাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় দিক। আমরা যখন কথা বলি বা বলতে চাই তখন তখন অনেকগুলো প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য বাধা আমাদেরকে পিছুটানে। সামাজিক কিছু বাধা আছে, নির্ভয়ে মত প্রকাশের মত পরিবেশ সব যায়গায় থাকেনা। আছে আরো নানারকম শঙ্কা, ভীতি, বিব্রতবোধ, স্বার্থচিন্তা। বড়দের সামনে ছোটদের অনেককিছু বলার অধিকার নেই। প্রভাবশালীদের সামনে চুনোপুটির কোন দাম নেই। পেশীশক্তির দাপটে সাধারন জনগনের মুখ বন্ধ। ভুল বোঝাবুঝি, কিছু মনে করা ইত্যাদি নানা বিষয় বিবেচনা করে আমাদের কথা বরতে হয়। ব্লগ এক্ষেত্রে একটা দারুন একটা সুযোগ এনে দিয়েছে।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে গায়ের জোরে কিছু করা যায়না, সবকিছু টু দ্য পয়েন্টে উত্তর দিতে হয়। একজন আরেকজনের কথা শুনে, বুঝে এরপর কথা বলতে বাধ্য। বাস্তবে এমন পরিবেশ পাওয়া যায়না। লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে যেকোন মানের, যে কোন বয়সের, যে কোন পেশার লোক সমানগুরুত্ব পাওয়ার ব্যাপার তো আছেই।

বাংলায় ব্লগিং শুরু হবার পর কি হয়েছে, কি হচ্ছে সেটা সবার সামনে পরিস্কার। ইতিবাচক, নেতিবাচক দুটো দিকই আছে।

ব্লগিংকে আমার মতে তিনটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা যেতে পারে।

কমিউনিটি ব্লগিং
ক্রিয়েটিভ ব্লগিং
স্পেশালাইজড ব্লগিং


সামহোয়ার নিসন্দেহে কমিউনিটি ব্লগিং। ক্রিয়েটিভ ব্লগিংয়ের উদাহরন হতে পারে সচলায়তন( সংশ্টিস্ট সদস্যরা অবশ্য ওটাকে অনলাইন রাইটার্স ফোরাম বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। যেটাই বলা হোক তাতে মুর বিষয়বস্তুর তারতম্য ঘটবে না) । তবে ক্রিয়েটিভ ব্লগ যদি আবার সো ক্লোজড হয়ে যায় তাহলে অন্যদের আকর্ষন হারিয়ে ফেলে।

ব্যক্তিগতভাবে আমার কমিউনিটি ব্লগিংয়ে আগ্রহ কম। এমন ব্লগ সাইট আশা করি যেখানে সদস্যরা সবাই নিয়মিত থাকবে এবং কমবেশী লেখালেখিতে আগ্রহী হবে। আড্ডা হবে, গল্প হবে, ঝগড়া হবে তবে সবই হবে লেখালেখি ভিত্তিক।

ব্লগিংয়ে সামনের দিকে কি হবে জানিনা তবে আমার প্রত্যাশা পুরন হোক তেমন কামনা করি।
৩২. ০৯ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৩৫
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: আমার আশেপাশের সবাই যখন ব্লগিং করছে, আমি তখনও ভাবছি বিষয়টা কি? কি আছে ওতে? এক ধরনরে ঋণাত্মক ভাবনাও ছিল অস্বীকার করছি না। এই মাহবুব যখন বলত ব্লগে উপন্যাস লিখছি রবিউল ভাই। আমার চোখ কুচকে যেত। ভাবতাম ওকে দিয়ে আর সিরিয়াসলি কিছু হবে না। তারপর একসময় এক বন্ধুর ব্যাপক প্ররোচনায় আমিও ব্লগে যোগ দিলাম।
দেখলাম এখানকার পরিবেশ খুব একটা খারাপ না। একটা সামাজিক যোগাযোগ তৈরি করা সম্ভব। আর সম্ভব ভাবনা কিছু শেয়ার করার। এর চেয়ে বেশি আর কিছু দিতে পারে বলে আমার মনে হয়নি এখনো ব্লগকে।
একটা উদাহরণ দেই, ভেবেছিলাম আমি যেহেতু গল্প লিখি সেহেতু গল্পগুলোকে ব্লগে দেই তারপর মতামত জেনে একটা সিদ্ধান্ত নেব যে কোন লেখাগুলো পাঠক প্রিয়তা পাচ্ছে, একটা ঝোক আবিস্কার করা। কিন্তু অবাক বিস্ময়ে দেখলাম যে এখঅনে বড় লেখা মানেই হচ্ছে ঋণাত্মক । কেউ পড়তে চায় না। আর যদিওবা পড়ে তবে ভালো বা মন্দ এরকম ছোটো একটা মন্তব্য থাকে। ভাদু নাপিত নামে একটা গল্প পোস্ট দিলাম। গল্পের মারাত্মক সমস্যা হলো ঐ খানে আমি লিখেছি ভাদু লুঙ্গি পরে। কিন্তু আসলে তার ধুতি পরার কথা। কেউ এব্যাপারটি ধরতে পারল না। সবাই বেশ ভালো, খুব ভালো, চমৎকার ইত্যাদি বলে চলে গেছে। আমার বিশ্বাস খুব কমজনই গল্প পড়ে। তাই এখন দৈনন্দিন যে সব সমস্যা বা ভালো লাগার অনুভূতি জাগে তাই-ই ব্লগে লিখি।
আমার লেখালেখিটাই বন্ধ হয়ে গেছিল। পজেটিভ দিক হলো, একন আমি লিখি. গল্প হয়ত না কিন্তু কিছু একটা তো বটে একটা অকর্ম্মা নয়। এটুকুই।
৩৩. ১০ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৯
comment by: কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আমি ব্লগিং এ নতুন - মনের কথা বলার স্বাধীনতা বেশ উপভোগ করছি। তবে আমার মনে হয় ব্লগারদের আরো বেশী দ্বায়ীত্বশীল হওয়া উচিৎ - ভার্চুয়াল নিকের আড়াল আছে বলেই যাতা বলা উচিৎ নয়। বিশেষ করে স্ল্যাগ ভাষা পরিহার করা দরকার - এখানে মাঝেমাঝে যেসব ভাষা ব্যাবহার হয় তাতে আমি আমার ছোট ভাই বোনদের ব্লগিংএর সাথে পরিচয় করাতে সাহস পাচ্ছি না। সবাই দ্বায়িত্বশীল হলে ব্লগ কমিউনিটি আরো প্রানবন্ত আরো আকর্ষনীয় হবে বলে আশা করি।
৩৪. ১১ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৮
comment by: বাষ্প বলেছেন: কাগজের অপচয় রোধ হয়।
কলমের অপচয় রোধ হয়।

কাগজের অপচয় রোধ হবে।
কলমের অপচয় রোধ হবে।

কিছুই হই নাই
কিছুই হবেও না।

সবই প্রস্থান।

No comments:

Post a Comment