Sunday, March 1, 2009

না বুইললে তো বুইলবেন বুইলছে না : রাজশাহীতে গিয়া কেমনে কী

০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৭
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

ধরেন আপনে রাজশাহী গেছেন। আবহাওয়া যেমন গরম থাকার কথা তেমন গরম না। কালকে বৃষ্টি হইছে। আপনে অতো ক্লান্তও না। ঘুরাঘারি কিছু করা যায়, এইরকম ভাবতেছেন। শহরটা তেমন কইরা চিনেন না। বন্ধু-বান্ধবের ফোন নাম্বার নাই হাতে। বিন্দুর মোড় থিকা অলকার মোড়ের দিকে যাইতে যাইতে ভাবতেছেন কী করি কী করি?
কী করবেন? আর কী। ব্লগিং শুরু কইরা দেন। আমার মতো দ্রুত যদি বন্ধু আপনি নাও পান তাইলে কেমনে কী করবেন তার একটা আইডিয়া পেয়ে যাবেন। এইটাই হইলো মজা।
আমার ভাগ্য ভালো ব্লগে পোস্ট দেয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে শিবলী নোমানের(Click This Link) সঙ্গে কথা হয়ে গেল। ইভেন দেখাও। শিবলী, আমি আর আজাদ ভাই চা খাইতেছি, আড্ডা দিতেছি এমন সময় হাতের কাজ সাইরা সুজন (Click This Link) আইলো। নানারকম প্লান হইতে থাকলো। কই যাওয়া যায়। ক্যাম্পাসে নাকি তালাইমারি মোড়ে। হাসান আজিজুল হকের বাসায় নাকি আ-আল মামুনের বাসায়?প্লান করতে করতে সন্ধ্যা ঘনায়ে আসলো। শিবলী আর আমি পদ্মার দিকে হাঁটা দিলাম। বহু আগে, ছোটবেলার একবার পদ্মায় গেছিলাম। তখন পদ্মা আছিল ভর বর্ষার দুকুল ছাপানো নদী। শিবলী কইলো, পদ্মা তো এখন অনেক দূরে সন্ধ্যাবেলা নদী বলতে কিছু আর দেখা যাবে না। ভাবলাম ক্ষতি কী? নদীর চরও তো একপ্রকার নদীই। তাই না? পদ্মার তীরে গিয়া যা হিসাব করা হইলো, তাতে ঘন অন্ধকার ঠেলে দুই কিলো চর পার হওয়া গেলেই শুধু নদী দেখা সম্ভব। অতএব তা আপাতত এই অন্ধকারে না করাই ভাল।
বাঁধের কাছে দাঁড়ায়ে আমরা আড্ডা দিতে থাকলাম। ফোনে কথা হইতেছে মানুষজনের সঙ্গে। সুজন আসতেছে, সুমন (Click This Link) আসতেছে। আনিসুজ্জামান উজ্জ্বল, কামরুজ্জামান শাহীন সবাই। পদ্মার তীরে দাঁড়ায়ে রাজশাহী শহরের একটা ছক আঁকার চেষ্টা করলাম শিবলীর বর্ণনা মোতাবেক। কিছুক্ষণ পর ছাত্র ফেডারেশনের মুরাদ মোরশেদ আসলেন। আমরা চা বইলা সিগারেটে আগুন দিতেছি এমন সময় বাকীরা চইলা আসলেন।
শাশ্বত সত্যকে সাহায্য করার ব্যাপারে শিবলী আর সুজনের ক্যাম্পেইন বিষয়ে আলাপ হইলো। শাম্বতকে দেখতে যাওয়ার আকাঙক্ষা ব্যক্ত করলাম। সুজন কইলো, শাশ্বতকে নাটোরে তার বাড়িতে নিয়া যাওয়া হইছে। আর যাওয়া বা তাকে দেখা হইলো না।
ব্লগের নানা কথা। নতুন ব্লগীয় উদ্যোগ, সেগুলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়া বিস্তর আলোচনা হইলো।
শিবলী কামেল লোক। সব দিকের সব খবরই রাখে। অ্যাক্টিভিস্ট সাংবাদিক রীতিমতো।
আড্ডায় আড্ডায় রাত ঘন হয়া আসলে রিকশা করে ফিরতি পথ ধরলাম। আমারে বিন্দুর মোড়ে নামায়া দিয়া উনি উপশহরে নিজে গৃহে ফিরে গেল।
সাত সকালে ঘুম ভেঙে পর দিন চিন্তা করতেছিলাম কী করা যায়। রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে যাবো কি যাবো না এই সব ভাবতেছি। এমন সময় বন্ধু উল্লাস ফোন করলো। জাহাঙ্গীরনগরে নাট্যতত্ত্বে পড়তো আমাদের ব্যাচে। এখন রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক। কইলো তালাইমারি চইলা আয়। গেলাম। ওর বাসায় আম খেয়ে ক্যাম্পাসের দিকে রওনা দিলাম। ক্যাম্পাসে গেছিলাম ইন্টারমেডিয়েটের পর একবারই। ঝাপসা স্মৃতি মনে আছে। স্বননের লোকদের সঙ্গে অনেক আড্ডা হইছিল সেবার। এবার সবচেয়ে নজর কাড়লো বড় বড় গগনশিরিষ গাছগুলা। মনুমেন্টাল একেকটা বৃক্ষ। একেবারে সোজা আকাশে উঠে গেছে। রিকশায় পুরা ক্যাম্পাস ঘোরা হইলো। রেললাইন পেরিয়ে চারুকলা ইন্সটিটিউট পর্যন্ত।
রিকশা থেকে নামলাম উল্লাসদের বিভাগে। ইসমাইল হোসেন সিরাজী কলাভবনে।
সেইখানে শিবলী ছিল। একপ্রস্থ চা খেয়ে গণযোগাযোগের দিকে গেলাম। আ-আল মামুন ছিলেন গণযোগাযোগের ল্যাবে। তার সঙ্গে পরিচয় হলো। কথা বলতে বলতেই দেখি আমাদের সুজন ব্লগিং করতেছে। মামুন স্যার সবার প্রিয়, সেলিম রেজা নিউটনও খুব জনপ্রিয়। তার সঙ্গে দেখা হলো না। মামুন স্যারকে ব্লগিংয়ের দাওয়াত দিলাম। কইলাম, ফাহমিদ ভাই ব্লগিং করতেছেন, আপনিও করেন।
স্প্রাইট খাচ্ছিলাম। শিবলী কইলো, স্যার এসে পড়েছেন। আমরা ভাবছিলাম হাসান আজিজুল হকে সঙ্গে দেখা করবো। সেই মোতাবেক তাকে ফোন দিয়া জানা গেছলো উনি ক্যাম্পাসের দিকেই আসছেন ব্যাংকের কাজে। স্যার আসতেছে শুইনা রওনা দিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের দিকে। বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত গল্পকার হাসান আজিজুল হক ব্যাংকে বইসা কাজ করতেছেন এইটা একটা বিরল দৃশ্য। ম্যানেজারের রুমে বসে স্যারের কথা শুনলাম কিছু। যারা হাসান স্যারের কথা শোনেন নাই তাদেরকে বুঝানো যাবে না তিনি কত সুন্দর করে কত জমিয়ে কথা বলতে পারেন। সবচেয়ে ভাল লাগে তার শিশুর মতো হাসিটি। স্যার বললেন, প্রাকৃত পত্রিকাটি আবার করতে চান। প্রাকৃত খুব ভাল একটি সাহিত্য পত্রিকা। আগে হাসান আজিজুল হকে সম্পাদনায় বের হতো।
আজি স্যারকে কইলাম, নব্বই দশকের শেষ থেকে গদ্যে বিশেষ করে কথাসাহিত্যে কাজ করার জন্য তেমন কোনো তরুণকে দেখা যাচ্ছে না। কেন এমন হলো স্যার। স্যার বললেন, কোনো একটা জায়গায় কাজ হচ্ছে না মানে সমাজে হয়তো ওই কাজের চাহিদা নেই। ওই কাজের চাহিদা থাকলে নিশ্চয়ই কাজ হতো। ... এজন্যই তো আমি বলি, রাজনীতির কথা। সমাজের ভেতর থেকে রোগটা সারাবার কথা। আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা বেরুতো তাদের মধ্যে সাহিত্য পড়বার ওই চাহিদা তৈরি হতো। সেই চাহিদা নিয়েই তারা বের হতো। আজ যারা বের হচ্ছে তারা সেই চাহিদা নিয়ে বেরুচ্ছে না। ফলে, ভেতরে থেকেই ফুটোটা বন্ধ করতে হবে। বাইরে থেকে বন্ধ করলে দেখবে আবার কেউ বাইরে থেকে সেটাকে গলিয়ে আবার ফুটো করে দিচ্ছে। তাই দরকার ভেতর থেকে শক্ত-পোক্ত করে ফুটোটা বন্ধ করা। কাজ করতে হবে। নইলে ভেতরের শক্তিটা বোঝা যাবে না।
স্যারের কাজ চলছে। আমাদের আড্ডাও চলছে। আড্ডায় লোক বাড়ছে। স্যার পরিহাস করে বললেন, এ যে দেখছি একটা সেমিনার হয়ে গেল।
স্যারের কাজ শেষ দিকে, আমারও বাসের সময় হয়ে এলো। ফিরতে ফিরতে স্যারের কথাগুলোই ভাবছিলাম। আর শুনছিলাম শিবলীর নানা স্বপ্নের কথা।



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।



* ৪১ টি মন্তব্য
* ৩৪২ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ২ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28806565 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২০
comment by: নির্বাক সুশীল বলেছেন:
মাইনাচ।
আপনি রাজশাহী গেলেন। তালাইমারি-কাজলা গেলেন, আর মহাকবি মেহদীর সাথে দেখা করেন নাই।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Mehdiblog
০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

লেখক বলেছেন: নেট ভীষণ স্লো হয়ে গেছে।
মেহদী বিষয়ক আলোচনা ব্লগ ফাস্ট হইলে করা যাবেআনে।
২. ০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
comment by: শফিকুল বলেছেন: মামুর বেটা কি বুইলছ।
০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

লেখক বলেছেন: সেটাই।
৩. ০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
comment by: মেসবাহ য়াযাদ বলেছেন: বেশ ভালো একখান ট্যুর দিয়া আইলেন। আমাদেরও ১২ তারিখে রাজশাহী যাবার কথা ছিলো- শাশ্বত'র ব্যপারে। এখন আর যাওয়া হচ্ছে না। ৯ তারিখে শাশ্বত ভারতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কাল বিকাল ৪ টায় আমরা শাহবাগে বসবো। আসবেন ??
০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

লেখক বলেছেন: যাবো বইলা আশা করতেছি।
৪. ০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
comment by: শিবলী নোমান বলেছেন: যাক, ঢাকার নাগাল তাইলে সুস্থ্যমতোই পাইছেন।
০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

লেখক বলেছেন: পাইলাম।
৫. ০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
comment by: নির্বাক সুশীল বলেছেন:
প‌্যারিস রোড থাইকা দেখা আকাশের ছবি ভালো হইসে
০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

লেখক বলেছেন: এইটা প্যারিস রোড?
বাহ। ভাল নাম তো রোডের।
৬. ০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ছবি : সেইসব গগন শিরিশ।
৭. ০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৩
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: রাজশাহী শহরটা আমার ভালো লাগছিলো
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:২৭

লেখক বলেছেন: রাজশাহীতে এই নিয়া তিনবার গেলাম। একবার স্কুলে থাকতে ক্লাশ এইটে পড়তে। বিভাগীয় প্রতিযোগিতা করতে।
পরের বার ইন্টারমেডিয়েটের পর এমনেই ঘুরতে।
ভাল লাগলো আমারও।
৮. ০৫ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
comment by: মেহেরুল হাসান সুজন বলেছেন: কি বুইলবো, মনে করেন যে মাহবুব ভাইয়ের সাথে আড্ডাই দিতে পারলামনা জমিয়ে। এত কম টাইম ছিলেন উনি। পাইশতেই পারলামনা কথি থেকে কথি যাছেন তিনি। যাকগা, পরের বার জমাইয়া লিবো।
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:২৯

লেখক বলেছেন: সুমায় কম ছিল তো। সবই তাড়াহুড়া করে সারতে হইলো। তবে আপনাদের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে ভাল লেগেছে। মামুন স্যাররে ব্লগে আনেন। পারলে নিউটন স্যাররেও। জমবে।
৯. ০৫ ই জুন, ২০০৮ রাত ৮:০৪
comment by: নির্বাক সুশীল বলেছেন:
আমি রাজশাহী শহরে ১২ বছর হাগছি।

(সত্যি কথা কইলাম, আমার বাড়ির টয়লেটে)
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৩১

লেখক বলেছেন: রাজশাহীর ওপর রাগ আছে কোনো?
১০. ০৫ ই জুন, ২০০৮ রাত ৮:০৫
comment by: মদন বলেছেন: কমলাভোগ খাইছেন?
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৩২

লেখক বলেছেন: সরি, ভুলে গেছলাম।
পরেরবার গিয়া খাবোই খাবো।
১১. ০৬ ই জুন, ২০০৮ রাত ১:০২
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন: দারুন ভ্রমণ করলেন দেখি!! তা এখনকার খবর কি মাহবুব ভাই?
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৪

লেখক বলেছেন: এখনকার কোন খবর?
কৌশিক তো দেখি আপনারেও বিবাহযোগ্য ব্যাচেলরের লিস্টে রাখছে।
আপনি শেষ এইবার।
১২. ০৬ ই জুন, ২০০৮ সকাল ১১:৩৭
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: আহ রাজশাহী! কতদিন যাওয়া হয়না! গণযোগাযোগ বিভাগ, ল্যাব, পদ্মার চর, হাসান স্যার ...
ধন্যবাদ সবকিছু বুলার জন্য।
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৭

লেখক বলেছেন: আসেন এইবার আপনার চোখে রাজশাহী দেখি।
১৩. ০৬ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:০৫
comment by: মানবী বলেছেন: রাজশাহী সুন্দর শহর! রাজশাহী অন্চলের মানুষদের খুব চমৎকার মনে হয়েছে, অধিকাংশই সহজ সরল।


দীঘাপাতিয়ার রাজবাড়ি, পুটিয়াররাজ বাড়ি, রাণী ভবানীর রাজবাড়ি(খুব সম্ভবত এই দুটোতে বর্তমানে স্কুল কলেজ), সেরিকালচার বোডফের তুঁত বাগান(শুনেছি এখন বন্ধ হয়ে গেছে)... চমৎকার সব দর্শনীয় স্থান। ভোরের পদ্মার পার- অসাধারন সুন্দর!

রাজশাহীর 'প্যারা' আর 'অবাক' সন্দেশের মতো মজার মিষ্টি পৃথিবীর আর কোথাও বানয় বলে মনে হয়না। 'বিশাল' কনফেকশনারীর ঝাল চানাচুর এতো বেশি চমৎকার যে তা যথেষ্ট ঝামেলা করে হলেও পার্সেলের মাধ্যমে এই সুদূর প্রবাসে নিয়ে আসা স্বার্থক।

রাজশাহির (!)ঐতিহ্যবাহী কালাইয়ের রুটি আর মরিচ ভর্তা বাংলাদেশের আর কোন অন্চলে প্রচলিত কিনা জানা নেই!


২০০ সালে গিয়েছিলাম এই চমৎকার শহরে, এই পোস্ট পড়ে আবার মনে পড়লো!

ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪১

লেখক বলেছেন: রাজশাহী অঞ্চলের মানুষগুলা এক কথায় অসাধারণ।
আর অঞ্চলটা হট। পুঠিয়ায় গেছি একবার। সুন্দর।
আপনার কমেন্ট থেকে কিছু আইডিয়া পাইলাম। আশা করি, সামনের বার গেলে এইসব দেখে, শুনে, খেয়ে আসতে পারবো।
১৪. ০৬ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:১৪
comment by: কৌশিক বলেছেন: মানবী এখন থেকে আঠারশো বছর আগের রাজশাহী আর এখনকার রাজশাহীর মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান। এ শতাব্দীর বরিশালের মিস্টি খেলে রাজশাহীর 'প্যারা' আর 'অবাক' সন্দেশের কথা চিরজীবনের মত ভুলে যাবেন, কসমসে!

মাহবুব ভাই, আপনার ভ্রমণের বৃত্তান্ত পইড়ে মুগ্ধ না বুইলে পারলাম না।

০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪২

লেখক বলেছেন: আপনার মুগ্ধতা আমাকেও মুগ্ধ করলো।
১৫. ০৬ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪
comment by: মানবী বলেছেন: কৌশিক, আঠারশো বছর পুরনো মানবীর পক্ষে এই শতকের মিষ্টি কেমন জানা তো সম্ভব নয়! B-)


গোয়ালন্দ ঘাটের রসগোল্লা খুব জনপ্রিয় শুনেছি, তবে রসগোল্লা, চমচম্ জাতীয় মিষ্টি তেমন ট্রিআ করা হতোনা। রাজশাহীর প্যারা আর অবাক আমার প্রিয় হলেও বরিশালের মিষ্টি অবশ্যই অনেক জনপ্রিয়।
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৪

লেখক বলেছেন: সকল জনপ্রিয় মিষ্টিই সুস্বাদু নহে।
১৬. ০৬ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৩
comment by: মাহবুব সুমন বলেছেন: মানবি ২০০ সালে রাজশাহি গিয়েছিলেন ;) হিকস
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৬

লেখক বলেছেন: ২০০ সালে রাজশাহীতে মৌর্যশাসন চলতেছিল মনে হয়।
১৭. ০৬ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭
comment by: মানবী বলেছেন: "২০০০ সালে গিয়েছিলাম এই চমৎকার শহরে, এই পোস্ট পড়ে আবার মনে পড়লো!" - হবে :(


টাইপের ভুলের জন্য দুঃখিত।
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৭

লেখক বলেছেন: আপনার উচিত লিমি মোস্তফার কাছে গিয়া দুঃখ প্রকাশ কইরা আসা।
১৮. ০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪২
comment by: মদন বলেছেন: কৌশিকের মন্তব্যে কইশা মাইনাচ

কৌশিক জীবনেও রাজশাহীর "প‌্যাড়া" আর "অবাক সন্দেশ" খায় নাই বইলা এই মিষ্টির লগে অন্য মিষ্টির তুলনা করার দু:সাহস দেখায় :) (আঙ্গুর ফল টক ;))

মানবীর মন্তব্যে আনলিমিটেড +
০৭ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৯

লেখক বলেছেন: হা হা হো।
১৯. ০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৬
comment by: সুরিজত স্বপন বলেছেন: "
কোনো একটা জায়গায় কাজ হচ্ছে না মানে সমাজে হয়তো ওই কাজের চাহিদা নেই। ওই কাজের চাহিদা থাকলে নিশ্চয়ই কাজ হতো। ... এজন্যই তো আমি বলি, রাজনীতির কথা। সমাজের ভেতর থেকে রোগটা সারাবার কথা। আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা বেরুতো তাদের মধ্যে সাহিত্য পড়বার ওই চাহিদা তৈরি হতো। সেই চাহিদা নিয়েই তারা বের হতো। আজ যারা বের হচ্ছে তারা সেই চাহিদা নিয়ে বেরুচ্ছে না। ফলে, ভেতরে থেকেই ফুটোটা বন্ধ করতে হবে। বাইরে থেকে বন্ধ করলে দেখবে আবার কেউ বাইরে থেকে সেটাকে গলিয়ে আবার ফুটো করে দিচ্ছে। তাই দরকার ভেতর থেকে শক্ত-পোক্ত করে ফুটোটা বন্ধ করা। কাজ করতে হবে। নইলে ভেতরের শক্তিটা বোঝা যাবে না।"
-এইটা আপনার রাজশাহী ভ্রমনের অসাধারণ প্রাপ্তি।
০৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩

লেখক বলেছেন: স্যার আরো অনেক কথা বলছেন। মনে রেখেছি। সব কথা বলার অবকাশই বা পেলাম কোথায়?
২০. ১৩ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৬
comment by: সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: ছেছ পর্যন্ত যে বুইলেই ফ্যালেচেন দেখছি!!!
১৪ ই জুন, ২০০৮ সকাল ১১:৪৭

লেখক বলেছেন: তাই তো দেখছি ভাইগ্না।
২১. ১৪ ই জুন, ২০০৮ সকাল ১১:৫৫
comment by: কালপুরুষ বলেছেন: তা ভাই, উঠ্যাছিলেন কুনঠি? লক কইরে গেইলেন আর লক কইরে চইলেও আইলেন। কিছুই তো বুলেননিখো।
১৪ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭

লেখক বলেছেন: হোটেলে উঠ্যাছিলাম।

No comments:

Post a Comment