Sunday, March 1, 2009

আমার জীবনের চন্দ্রবিন্দুহীন বছরগুলো : দি যায়যায়দিন ইয়ারস (পার্ট টু)

১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৬
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

শফিক ভাই মাঝে মাঝে খুব ক্ষেপে যেতেন। কোনো বানান ভুল হলে, কোনো নিউজ নিয়ে সমস্যা হলে রেগে অফিসজুড়ে হনহন করে হেঁটে বেড়াতেন। তোমরা কিচ্ছু জানো না। তোমরা কিচ্ছু জানো না বলে হেঁকে উঠতেন। কারো টেবিল নোংরা দেখলে আগে উনি ছোট একটা নোটিশ ঝুলিয়ে দিতেন। আমার পাশের টেবিলের এরকম বেহাল দশা হয়েছিল। রাতে তিনি লিখে গিয়েছিলেন, তোমার স্থান ডাস্টবিনে হওয়া উচিত। কে যেন নোটিশটা তুলে আমার টেবিলে লাগিয়ে গিয়েছিল। পরদিন সকালে শফিক ভাই এসে বললেন, দেখেছো? আমি বললাম, আমার টেবিল তো গোছানো। উনি বললেন, তাতে কি পাশের টেবিল নোংরা থাকলে তোমার উচিত সেটা গুছিয়ে রাখা। শোনো তোমাদের ভাগ্য যে, তোমরা আমার সাথে এরকম একটা অফিসে কাজ করতে পারছো। টাইমের সম্পাদক এসে বলে গেছে, এরকম অফিস সে দেখেনি। তোমাদের উচিত আমার কাছ থেকে শেখা। মাঝে মাঝেই অফিস নিয়ে তিনি গর্ব করতেন। পার্ক, ডরমেটরি, সিনেমা হল, ক্যাফে নিয়ে তার গর্বের অন্ত ছিল না। নিয়ম করে আমাদের সেটা শুনতে হতো। যখন তিন মাসের বেতন বকেয়া পড়ে আছে তখনও শুনতে হতো। যখন উৎসবভাতা বন্ধ হয়ে গেছে তখনো শুনতে হতো। এ কথা ঠিক যে, সব সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে অফিসটা খুব সুন্দর বানিয়েছেন তিনি। নিজের টাকায় বানান নাই, তাতে কী? অন্যের টাকা দিয়ে এরকম অফিসও বা কয়জনে বানিয়েছে? ভাবতে অবাক লাগে এত বড় অফিস বানিয়েছিলেন তিনি কিন্তু অফিসে উৎপন্ন হওয়া মশা মারার স্প্রে কেনার ব্যবস্থা করতে পারতেন না। কারণ ইনভেস্টররা মশা মারার টাকা দিতে চাইতেন না। মশার অত্যাচারে যখন একেবারে কাহিল দশা তখন আমাদের এক কলিগ প্রতিবাদ হিসেবে কয়েল জ্বালিয়েছিলেন। সেই কয়েল নেবাতে এসে কিচেন কেবিনেটের পুরনো এক সদস্য সেই কলিগের সঙ্গে বাজে আচরণ করলে আমি চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছিলাম। পরে শফিক ভাই এসে সেই চেঁচামেচি থামিয়েছিলেন। এ ঘটনার কয়েক মাস পর সেই কলিগকে স্যাক করা হয়। অনেকেই বলেছিলেন, কয়েল জ্বালানোর জন্য তার চাকরি চলে গেছে। অবশ্য অনেকে বলেন, সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের কারণেই তার চাকরি যায়। ইংল্যান্ডের সংবিধানের মতোই শফিক ভাইয়ের সংবিধান অলিখিত। সেই সংবিধান মোতাবেক কলিগদের মধ্যে প্রেম জনিত বিয়ে নিষিদ্ধ। লাভ রোডের বিখ্যাত লাভার ম্যানের অফিসের এই অবস্থা। ভাবতেই অবাক লাগে। যতোই ভালোবাসা সংখ্যার সেক্সি গল্প ছাপুন, আর সঠিক বানানে ইংরেজি লিখুন, এইসব ব্যাপারে শফিক ভাইয়ের রক্ষণশীলতা ছিল অতুলনীয়।
সেক্সি গল্প ছাপা হতো স্রেফ বিক্রির জন্য। পসার বাড়াতে। বাঙালি মধ্যবিত্ত মুসলমানের যৌনজীবন নিয়ে গবেষণা করতে যায়যায়দিনে বিশেষ সংখ্যাগুলো হাতে থাকা উচিত। একেকটা সংখ্যায় গল্প আসতো হাজার হাজার। অধিকাংশই প্রেম, যৌনতা, অবৈধ সম্পর্কের। শফিক রেহমান তো এইভাবে লিখতে বলতেন না। তারপরও এরকম হাজার গল্প আসতো। গল্প লেখকরা এইটুকু জানতেন যে, এগুলো ছাপা হতে পারে। ব্যস।
শফিক রেহমানকে দোষ দিয়ে কী লাভ। যৌবনজ্বাল তো শফিক ভাই চালান না। এইটা কারা টপ রেটেড সাইট বানায়া রাখছে?
এখানে জানিয়ে রাখি, শফিক ভাই দৈনিকটাকে পারিবারিক পত্রিকা বানাতে চেয়েছিলেন। ফলে, সেক্সি গল্প ছাপতে নিষেধ করতেন। আমি বহু গল্প ছেপেছি। চুমোটুমো কেটে দিয়ে।
শফিক ভাইয়ের গর্বের মিডিয়াপ্লেক্সকে তার বাল্যবন্ধু আবদুল গাফফার চৌধুরী নাম দিয়েছিলেন শাদ্দাদের বেহেশত। আমরা এই দুজনকে শত্রু ভাবতেই অভ্যস্ত। কিন্তু গত বছর মি. চৌধুরী দেশে এসে যায়যায়দিনে এলে দেখা গেল, এইসব বানানো শত্রুতার চেয়ে তাদের বন্ধুত্ব অনেক মধুর। শফিক ভাই বললেন, গাফফারের বিরুদ্ধে লেখা আমার একটা লাইনও কেউ খুঁজে দেখাতে পারবে না। যায়যায়দিনে অনেক কথা লেখা হয়েছে, কিন্তু সে লেখাগুলোর একটাও শফিক ভাই লেখেন নি। গাফফার চৌধুরীকে শফিক ভাই অনেক বড় কলামিস্ট মনে করেন। আর উনিও শফিক ভাইকে অনেক বড় সম্পাদক মনে করেন এইটাই সেদিন দুজনের কথায় মনে হয়েছিল। গাফফার চৌধুরীকে ধরে ধরে সেদিন তিনি পুরো মিডিয়াপ্লেক্স ঘুরিয়েছিলেন। যে কেউ এলেই ঘোরাতেন। সব দেখাতেন। এমনকি টয়লেটও। সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন টয়লেটের দিকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিতেন।
মাঝে মাঝে আমি অবাক হয়ে যেতাম যে, অন্যের টাকায় গড়া এই ভবন নিয়ে তার এত গর্ব স্বাভাবিক কি না। বহু ভেবে যায়যায়দিন প্রজেক্ট সম্পর্কে একটা কথাই আমার মনে আসে। ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট। ভবন, প্রেস, ডেকোরেশনের সব টাকাই বসুন্ধরা দিয়েছে। সাংবাদিকদের বসিয়ে দুইবছর বেতন দিয়েছে। পত্রিকা চালুর পর সব খরচ জুগিয়েছে। সাতটা ম্যাগাজিন বের করার বিপুল ব্যয় নির্বাহ করেছে। অথচ কোথাও তাদের কোনো নাম নেই, ক্রেডিট নেই। শুধু কিছু বিজ্ঞাপন ছাপা হতো। প্রিন্টার্স লাইনে তাদের নাম নেই। তারা প্রকাশক না। অথচ সবাই ভাবতো তারা দিনের পর দিন বেতন-ভাতা দিয়ে যাবে। কী অবাক এক চুক্তি? এর চেয়ে রহস্যময় ডিল বাংলাদেশের ব্যবসা জগতে আর হয়েছে কি না জানা যায় না।
ফলে, বিপদে পড়ে বসুন্ধরা যখন যায়যায়দিন ছেড়ে দিল। যায়যায়দিনও বসুন্ধরাকে ছেড়ে দিল তখন কেউ অবাক হননি। এটা ঘটার ছিল। আর রহস্যময় এই ডিলে গড়া মিডিয়াপ্লেক্সও যে শফিক ভাই রাখতে পারবেন না এটাও জানা ছিল। শুধু ঘটনা ঘটার অপেক্ষা। ভিতরে আমরা যারা কাজ করতাম তাদের জন্য এটা ছিল অসহনীয় এক পরীক্ষা। শফিক ভাই বাংলাদেশের সংবাদজগতের উজ্জ্বলত ১০৪ জন সাংবাদিককে বরখাস্ত করেছিলেন সংবাদপত্র জগতের এক সংকটময় সময়ে। নতুন কোনো ইনভেস্টমেন্ট বা উদ্যোগ আসার সম্ভাবনা তখন ছিল না। ফলে, এই সাংবাদিকরা তাদের অতীতের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার নিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন। শফিক ভাইয়ের এই কীর্তি সব সাংবাদিককে কোনো না কোনো ভাবে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু শফিক ভাইয়ের কাছে, এটা স্রেফ ছেলেখেলার মতো বিষয় ছিল। তার অভিব্যক্তিতে কখনো এর জন্য অপরাধবোধ দেখা যায়নি। যাদেরকে তিনি বড় অফার দিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ডেকে এনেছেন তাদেরকে এক রাতের নোটিশে চাকরিচ্যুত করে বৃটেন পাড়ি জমানোর উদ্যোগ কেমন? লোকে বিষয়টিকে কোনোদিনই ভালভাবে নেয়নি। ওই রাতে শফিক ভাই চূড়ান্ত অপদস্ত হয়েছিলেন। হিরো থেকে জিরোতে পরিণত হয়েছিলেন। জিরোতে পরিণত হওয়ার বোধটা তাকেও আচ্ছন্ন করেছিল। পরের দেড় বছর একবারের জন্য বিদেশ না গিয়ে অনেক অসুবিধার মধ্যেও তিনি যায়যায়দিনে পড়ে ছিলেন শুধু জিরো থেকে পয়েন্ট জোগাড় করে উপরে উঠতে। কিছু পয়েন্ট জোগাড় করতে পেরেছেন বলেই এখন মনে হচ্ছে।



প্রকাশ করা হয়েছে: ডায়েরি বিভাগে ।




এডিট করুন | ড্রাফট করুন | মুছে ফেলুন

* ৪২ টি মন্তব্য
* ৬৫১ বার পঠিত,

Send to your friend Add to Your Showcase Print
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ১১ জনের ভাল লেগেছে, ৩ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28796601 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪
comment by: দূরন্ত বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো।
আব্দুল গাফফার চৌধুরী সেদিন বললেন, শফিক রেহমান রাজনৈতিক জীবনে আমার চরম শত্রু হলেও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি পরম মিত্র। :)
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২২

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
মুছে ফেলুন


২. ১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৭
comment by: একরামুল হক শামীম বলেছেন: পড়লাম পুরো লেখাটা। কিছু ক্ষোভ কি প্রকাশিত হলো? কিচেন কেবিনেটের প্রতি যে আপনার একটা ক্ষোভ আছে এখন তা বেশ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হলো।
এনিওয়ে পর্যবেক্ষণ ভালো।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

লেখক বলেছেন: ক্ষোভ প্রকাশিত হলো?
মুছে ফেলুন


৩. ১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫১
comment by: হিমু এখন বলেছেন: চলুক ++
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
মুছে ফেলুন


৪. ১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৩
comment by: আরিফ জেবতিক বলেছেন: বসুন্ধরার ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে যে সরল অংক বলেছেন , এতে আমার দ্বিমত আছে ।
আমার ধারনা ( আগেই বলে নিচ্ছি যে এটা ধারনা ) বসুন্ধরা শফিক রেহমানকে টাকা দেয় নি , দিতে বাধ্য হয়েছে ।
ক্ষমতার বলয়ে থাকা এক যুবরাজের অনুরোধে বসুন্ধরা যায়যায়দিন এ বিনিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে । ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট নয় এটি , এই ইনভেস্টমেন্ট তারা অন্যদিকে পুষিয়ে নিয়েছে ।

মিডিয়াতে বিএনপি দুর্বল ছিল , তাদের একটা টার্গেট ছিল কিছু বিশ্বাসযোগ্য মিডিয়া স্থাপন করে আওয়ামী শিবিরের মিডিয়ার সমান্তরাল হয়ে যাওয়া । এই লক্ষ্যে তারা যে চেষ্টাগুলো করেছিলেন এর মাঝে আমার দেশ , নয়া দিগন্ত আর যায়যায়দিন ছিল প্রিন্ট মিডিয়ার সেক্টরে কেস ।

এর মাঝে শুধু ফালু'র প্রজেক্টগুলো সফল হয়েছে । তারা দুইটি টিভি চ্যানেল আর আমারদেশ বেশ ভালোভাবেই চালিয়েছে । নয়াদিগন্তও জামাতিদের সমর্থনের মাধ্যমে মোটামুটি সার্কুলেশন নিয়ে টিকে গেছে ।

যায়যায়দিন লংরানে খুব ভালো করতে পারত । মফস্বলে যে পত্রিকার যেদিন ম্যাগাজিন বের হয় , সেদিন ভালো চলে । তাই যায়যায়দিন ভালো চলার কথা । যায়যায়দিন এর হ্যান্ডসগুলো আমার দেখা অন্যতম সেরা হ্যান্ডসগুলোর সমন্বয়ে করা হয়েছিল ।

কিন্তু বানান সংক্রান্ত স্বেচ্ছাচার , ইংরেজীর প্রাদুর্ভাব এসব কারনে শফিক রেহমানের দুইটি দৈনিকই মুখ থুবড়ে পড়েছিল ।

ক্ষমতার পটবদলে বসুন্ধরার নিজের পিঠ বাচাঁনোর দরকার হয়ে পড়ে । হাওয়া না থাকায় তারা তাদের পাল গুটিয়ে নেয় ।
অবশ্য এখানে তাদেরকে যদি যায়যায়দিন একটু সাপোর্ট করত , তাহলে হয়তো এই দশা হতো না । সেই সাপোর্ট কাঙ্খিত মাত্রায় ছিল না ।

যায়যায়দিন যুগান্তর হতে পারে নি , শফিক রেহমান যে কারনেই হোক গো.সারওয়ারের মতো ঘেউ ঘেউ করতে পারেন নি মালিকে স্বপক্ষে ।
এটাই বসুন্ধরার ইনভেস্টমেন্ট তুলে নেয়ার কারন বলে আমার ধারনা ।








জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

লেখক বলেছেন: ভাল পর্যবেক্ষণ আরিফ ভাই।
মুছে ফেলুন


৫. ১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭
comment by: মুহিব বলেছেন: ভুল ত্রুটির মাঝে তিনি নতুন কিছু দাড় করিয়েছেন।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

লেখক বলেছেন: তা তো ঠিকই।
মুছে ফেলুন


৬. ১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮
comment by: মজনু শাহ বলেছেন: khub shundor ekta office-e kaj koreso, ekdin tamay dekhte gelam, dekhlam tomra betonhin, kintu shukhi...

obosso tumi nije shorboda-shukhi ekjon manush.

shofik rehman-ke dekhle amar maser kotha mone hoy, masero pochon suru hoy matha theke...
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

লেখক বলেছেন: শফিক ভাই ঠিক সেই অর্থে মাথা পঁচা লোক ছিলেন বলে আমি মনে করি না। শেষ পর্যন্ত তিনি খুব শার্প, খুব অ্যাকটিভ, অবস্থানে খুব দৃঢ় ছিলেন।
মুছে ফেলুন


৭. ১১ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৫:১১
comment by: আকাশচুরি বলেছেন: আরিফ জেবতিক এর সাথে একমত
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



৮. ১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১২
comment by: উন্মনা রহমান বলেছেন:
হুম!
ভালই।
তবে আরো অনেক কথা বলেননি মনে হচ্ছে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

লেখক বলেছেন: কী কী বলিনি বলেন তো।
মুছে ফেলুন


৯. ১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
comment by: গোপাল ভাঁড় বলেছেন: বসুন্ধরার ব্যাড ইনভেস্টের সুবিধাভোগী আপনে নিজেও। তাদের কাছ থেকে ঠিকই সব সুযোগ সুবিধা নিছেন বইলা আপনার বন্ধুরা কয়। আমার ধারণা শফিক রেহমানের সবচেয়ে বড় দোষ আপনাগো মতো অকৃতজ্ঞদের চাকরি দেয়া । 'সমকাল' নিয়া আজ পর্যন্ত তো কিছু লিখলেন না। প্রথম আলোতে চাকরি পাইছেন সেখানে ব্লগ চালু করার জন্য। সেখানকার লোকজন কইতাছে আপনে ভালো ব্লগার হইতে পারেন কিন্তু সাইট চালানোর কোনো যোগ্যতাই নাকি আপনার নাই। মিছা কথা বইলা চাকরি নিছেন। আপনারে নিয়া হেরা চিন্তায় পড়ছে। আপনে হইলেন প্রথম আলোর 'গলার কাটা'। মুকুল ভাই নাকি সাজ্জাদ ভাইরে এই নিয়া কথাও শুনাইছে । তারা নাকি ভাবছিল ব্লগ ডেভেলপার মাহবুব মুর্শেদরে চাকরি দিছে। নামের বিভ্রান্তিতে পইড়া ভুল মানুষরে চাকরি দিছে। হেয় কই আর আপনে কই ?
কামের কাম কিছুই পারেন না ,খালি মানুষের সমালোচনা আর প্যাজগি লাগাইতে পারেন।
ভালো ব্লগার মানে এই না যে সবসময় অন্যের সমালোচনা করবেন। সাহস থাকলে লেখেন দেখি মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

লেখক বলেছেন: গোপল ভাঁড় মহাশয়,
বন্ধুরা কইবে কেন, আপনেও তো আমার বন্ধু লাগেন মনে হইতেছে। বসুন্ধরার সুবিধাভোগী আমি না। সাংবাদিক হিসাবে আমাদের ৪০% মহার্ঘ্য ভাতা যায়যায়দিন, বসুন্ধরা কেহই দেয় নাই। জানেন তো নিশ্চয়ই?
সমকাল আমারে যে মূল্যায়ন করছে সেইজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সমকালের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে নিশ্চয়ই বলতাম। আপনার কোনো আইডিয়া থাকলে দিয়েন। বলবোনে।
প্রথম আলোতে ধর্না দিয়া আমি চাকরি নেই নাই। ওনারা ডাকছেন বইলা গেছি। অফার পছন্দ হইছে, চইলা আসছি। বন্ধু হিসাবে আপনার জানার কথা, প্রথম আলোর প্রায় শ দেড়েক চাকরিজীবী আমারে সরাসরি চেনেন। তারা যদি এই চিনারে ভুইলা মাহবুব মুর্শেদ মনে কইরা আমারে চাকরি দেয় তাইলে তো ভাল। সাংবাদিতকতার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তাইলে আমার একটা সাইট ম্যানেজমেন্টের স্ক্যান্ডাল যোগ হইলো। সাইট চালানোর যোগ্যতা তো আমার নাই, ঠিকই বলছেন। ওয়েবমাস্টাররা সেইটা করবেন। আমি যা করতো সেটা সম্পাদনা, সাংবাদিকতা, ব্লগ জেনারেশন, নীতি প্রয়োগ ফলে আপনে ভুল জায়গায় বাড়ি দিছেন। খুব খিয়াল কইরা!
প্যাজগি লাগানোর কাজটা আমি যথেষ্ট পারি না। তবে আপনার সাথে সাক্ষাৎ হইলে শিখে নিতে পারতাম।
আমার সাহস নাই। তাতে আপনার কোনো সমস্যা আছে?
মুছে ফেলুন


১০. ১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
comment by: সুজনবাঙালী বলেছেন: Click This Link
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

লেখক বলেছেন: দেখছি।
উনি যদি বলতেন ওনার লাগছে ক্যান আর কই আমি ভুল কইছি তাইলে আলোচনার সুবিধা হইতো। মিথ্যাচার থাকলে তো সেইটা ক্লিয়ার কইরা দিতে হবে। তাই না?
শোনেন, আমরা কৃতজ্ঞতা দিয়া চাকরি করি না। শ্রম বেচি। আমরা যে খাতার সাইন করি সেইখানে আমাদের শ্রমিক হিসাবে নাম লেখা থাকে। আমরা শ্রম আইনে চাকরি করি। আমরা যদি শ্রম না বেচতাম তাইলে তাইলে কথা থাকতো।
মুছে ফেলুন


১১. ১১ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:০৩
comment by: রাজীব আহমেদ বলেছেন: একথা-গুলো আগে কেন শুনি নাই? হঠাৎ এমনকি হলো যে এসব কথা লিখতে হবে। তাও আবার শফিক রেহমানকে চাকরীচ্যুত করার পর? ব্লগ তো আপনি অল্পদিন লিখছেন না ভাই অনেকদিন ধরেই লিখছেন। এধরনের প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। তবে কথাগুলা যে আপনি সত্যি বলেছেন তা বোঝা যায়।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:০৯

লেখক বলেছেন: আপনের তো শুনার কথা। আগে শুনছেন মেনে কইরা দেখেন। আগে পড়েন নাই সেইটা কন। শফিক রেহমানকে চাকরিচ্যুত করার পর আমার সাহস বাইড়া গেছে। তাই লিখতেছি। অনেকে অনেক কথা বলতেছে। আমিও ভাবলাম বলি। অন্যদের অনুপ্রেরণায় লিখলাম। সত্য-মিথ্যা বুঝি না। শফিক ভাইরে আমি মন্দও বানাইতে চাই না, ভালও বানাইতে চাই না। আমার মূল্যায়ন লিখলাম। আপনে যদি বলেন তো আর না লিখি। কী বলেন?
মুছে ফেলুন


১১ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:১০

লেখক বলেছেন: সরি চাকুরিচ্যুত না। উনি রিজাইন করার পর আমার সাহস বাইড়া গেছে।
মুছে ফেলুন


১২. ১১ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:২৬
comment by: রাজীব আহমেদ বলেছেন: বাহ্ ভাল বলেছেন। লিখেন যা খুশি। লোকটা মরলে তখন আরও সাহস বাড়ব। তখন হয়তো অ-চন্দ্রবিন্দু সব বিষয়ই আইবো। আমি শুধু তার মৃত্যুর প্রতিক্ষায় থাকি।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১১ ই মে, ২০০৮ রাত ৮:৩১

লেখক বলেছেন: আপনের লগে তো আর কথা নাই। আমি বার্কিং করতেছি কইলেন ওইখানে। ফলে আপনেরে আমি সাইড দিলাম। ফুটেন।
মুছে ফেলুন


১৩. ১২ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৩৪
comment by: জলসাধক বলেছেন: ইউ আর দ্য সেরা বাটপার Click This Link
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৪

লেখক বলেছেন: পড়ছি। সেম টু ইউ।
মুছে ফেলুন


১৪. ১২ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৩৫
comment by: মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: হুমমম.......
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৪

লেখক বলেছেন: হুম।হাম।
মুছে ফেলুন


১৫. ১২ ই মে, ২০০৮ ভোর ৫:৪০
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: জেবতিক আরিফ ভাইয়ের মতামত ভালো লেগেছে । মামো, আপনের কাছ থেকে বেশ
তথ্য পাওয়া যাচ্ছে । আগামী পর্বের অপেক্ষায় ।

একটা কথা, আপনার কাছ থেকে এ-কথাগুলো আরো আগে জানতে পারলে আরো ভালো লাগতো ।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৬

লেখক বলেছেন: আমি যখন জানতাম না তখন যদি জানাতে পারতাম তাহলে বোধহয় সবথেকে ভাল হতো।
মুছে ফেলুন


১৬. ১২ ই মে, ২০০৮ সকাল ৮:৫৩
comment by: আতিক ১৭ বলেছেন: শফিক রেহমানের যদি কোন নতুন ছবি থাকে তাহলে সেটা ব্লকে অ্যাড করলে খুবই কৃতজ্ঞ থাকবো অর্থাৎ অন্যান্য ব্লকে যেই ছবি গুলো অছে সেগুলো বাদ দিয়ে।

তবে লেখক ভাইয়ের কাছে আমার অবেদন এই লেখার সিরিজটা চালিয়ে যান যেন আমরা অসল সত্যটা জানতে পারি আমরা অপেক্ষায় আছি।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:১৭

লেখক বলেছেন: আসল সত্যটা আমি জানি না। আসলেই জানি না।
মুছে ফেলুন


১৭. ১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:৩৮
comment by: যূঁথী বলেছেন: জটিল লাগল। আরও ভাল লাগল সবার কমেন্টস (বিশেষ করে আরিফ ভাইয়ার )
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৮. ১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১:৫৭
comment by: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
আমি যখন জানতাম না তখন যদি জানাতে পারতাম তাহলে বোধহয় সবথেকে ভাল হতো।

এমন ধারণা আপনার কেন হলো ? এরকম কি আমার মন্তব্যের কোথাও বলা হয়েছে ?
আপনি গত দুই বছর ধরে জানতেন তো ! দুই বছরে আপনাকে কখনও এসব বলতে দেখিনি । এমনও হয়েছে, যাযাদিতে সাংবাদিকতা করেন বলেই কেউ কেউ আপনাকে আক্রমণ করেছে, শফিক রেহমানকে আক্রমণ করেছে, তখন আপনার কাছ থেকে আপনার স্বভাবজাত আশানুরূপ জবাবা পাওয়া যায় নি । আপনি চুপচাপ সেগুলো এড়িয়ে গেছেন । এখানে একটা প্রশ্নবোধক আসতেই পারে । কেউ কেউ যেমন মনে করছেন, আপনার নতুন সম্পাদক মতিউর রহমানকে খুশী করার জন্যই এ-সমালোচনায় আপনি যাচ্ছেন । সেটাকেও গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি । উড়িয়ে দিচ্ছি না ।

আপনার মন্তব্য দেখেই লগ অন করলাম । এখন হাতে সময় নেই, পরবর্তীতে আলাপ হবে আশা করছি ।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:১৯

লেখক বলেছেন: যায়যায়দিন ও শফিক রেহমানের বহু ব্যাপারের সঙ্গে একমত আমি। শুধু এইটুকু বলে রাখি।
প্লাস, সুবিধা হইছে বইলাই এখন লিখতেছি। আগে সুবিধা হয় নাই।
ইচ্ছাও হয় নাই।
মুছে ফেলুন


১৯. ১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:১৪
comment by: রাফিক হারিরি বলেছেন: শফিক রেহমানকে অামার সব সময় দারুন অাইডিয়াবাজ মনে হয়েছে। তিনি তরুণদের অাকৃষ্ট করতে পারতেন এইটা তার দুর্লভ গুন বলেই মনে করি। যাই হোক প্রথম পর্বটা অেনক গতিময় লাগছিল। মনে হয় প্রথম পরবের তুলনায় িদ্বতীয় র্পবে অনেক বেশি ভাবনা চিন্তা করছেন। তৃতীয় পর্বটা পইড়া দেখি। এভারেজে পর্যবেক্ষণ ভালো। খুব ভালো।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১২ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:২০

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
মুছে ফেলুন


২০. ১৫ ই মে, ২০০৮ সকাল ৭:০৩
comment by: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: ভালো লাগলো । সব বিষয়ই ঠিক আছে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



১৫ ই মে, ২০০৮ দুপুর ১২:২৮

লেখক বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ। সব পর্ব পড়ার জন্য।
মুছে ফেলুন


২১. ১৭ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:২০
comment by: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: মিসির আলী, আপনার মন্তব্য এডিট করে দিলাম। সে শব্দগুলো আমি সমর্থন করি না তা বাদ দিলাম। ফলে আপনার আগের মন্তব্য ডিলেট করতে হলো।


মিসিরআলী বলেছেন: মুসা ইব্রাহিমের চাকুরী শফিক রেহমানের অনুগত সাগরেদ মাহমুদুজ্জামানের সুপারিশে গিয়েছে। কারণ হিসেবে দেখানো হয় একই অফিসে দুজন বিবাহিত দম্পতি থাকতে পারেন না!

অথচ এদিকে মাহমুদুজ্জামান, নিশাত মুশফিকা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে।

মি. রেহমান কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিবর ছিলেন। এ দুটোর মধ্যে কি মিল বা গরমিল পেয়েছিলেন তা কিন্তু তিনিই কেবল বলতে পারবেন হয়তো......
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২২. ২০ শে মে, ২০০৮ বিকাল ৫:১৯
comment by: শামস শামীম বলেছেন: মাহবুব ভাই আপনার অনেক কথার সাথে একমত। তবে বিল্ডিং বানানোর জন্য বসুন্ধরা টাকা দিলে ব্যাংক থেকে লোন তুলেছিলেন কেন? আর পত্রিকা বন্ধ হওয়ার পর ওই ব্যাংক বিজ্ঞাপন দিয়েছিল কেন? বিনা টাকায় এইচআরসির কাছে বিক্রি হয়েছিল কেন?
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


আপনার জবাবটি লিখুন



২১ শে মে, ২০০৮ দুপুর ১:২৩

লেখক বলেছেন: নগদ টাকা দিয়া বিল্ডিং বানাইতে নাই।
পত্রিকা বন্ধ হইলে ব্যাংক টাকার জন্য নোটিশ দিবে না?
আপনি শিওর এইচআরসি বিনাপয়সায় কিনছে?

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য শামীম। ভাল থাকবেন।
মুছে ফেলুন

No comments:

Post a Comment