Sunday, March 1, 2009

এ বিউটিফুল মাইন্ড

০১ লা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৪০
শেয়ার করুন: [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] Facebook [new feature]

বিউটিফুল মাইন্ড সিনেমাটি ২০০২ না ২০০৩-এ প্রথম দেখে থাকবো। এবং কোনো কারণে ভুলেও গিয়ে থাকবো। কেন ভুলে গেলাম তার কোনো যথার্থ ব্যাখ্যা আমার কাছে নাই। বিশেষ করে এমন একটা সিনেমার নাম সহ ভুলে যাওয়া খুব ইন্টারেস্টিং ঘটনা। গত বছর আমার এক বন্ধু বললেন, এ বিউটিফুল মাইন্ড সিনেমাটি আমি দেখছি কি না? আমি বললাম, না দেখি নাই। তবে অনেক শুনছি সিনেমারটার কথা। ভাল? দেখি, দেখবো তো। এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর ঘটনাক্রমে দুইজন বন্ধু কইলেন তাদের পছন্দের সিনেমা হইলো বিউটিফুল মাইন্ড। ঘটনাক্রমে এই তিন বন্ধুই নারী। আমি বুঝে পাইলাম না, কেন তিনজন নারীই ঘটনাক্রমে সিনেমাটা পছন্দ করতেছেন। জানার জন্য সিনেমাটা কালেক্ট কইরা দেখা শুরু করলাম। বলাবাহুল্য, সিনেমা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মালুম হইতে থাকলো যে, এইটা আমি আগে দেখছি। এবং এটা বিখ্যাত একটা সিনেমা। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জন ন্যাশের জীবনী অবলম্বনে লেখা একটা বই থেকে সিনেমাটা বানানো হইছিল। সত্য ঘটনা অবলম্বনে। প্রিন্সটনে জন ন্যাশের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এই সিনেমার শুরু। উইয়ার্ড জিনিয়াস এই বিজ্ঞানী গণিতে সাফল্য দেখান এবং পেন্টাগন থেকে ডাক পান। পেন্টাগন থেকেই তার পিছু নেয় বিগ ব্রাদার। রাষ্ট্রীয় গোপন কাজের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়। বিগ ব্রাদারের সঙ্গে তার কাজ চলতে থাকে। ইতিমধ্যে এক ছাত্রী তার প্রেমে পড়ে এবং তার সঙ্গে বিয়ে তার জন ন্যাশের। তাদের একটা বাচ্চা হয়। ঘটনাক্রমে বেরিয়ে আসে যে, জন ন্যাশ সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত। বিগ ব্রাদার বলতে আসলে কেউ নেই। এমনকি প্রিন্সটনে ন্যাশের রুমমেট হিসাবে যাকে দেখানো হয় তিনিও অলীক চরিত্র। অলীক এই দুই চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয় এক বাচ্চা মেয়ে। তারা সারাদিন সর্বত্র জন ন্যাশকে তাড়া করতে থাকে।
সিজোফ্রেনিয়ায় যা হয়, ওষুধের সাহায্যে কিছুটা সুস্থ থাকতে পারা যায়। প্রতিদিন ওষধ খেতে হয়। ওষধ বন্ধ করলেই ওই তিন অলীক চরিত্র ফিরে এসে জন ন্যাশের লাইফ হেল বানিয়ে দেয়। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে জন ন্যাশ আবার প্রিন্সটনে ফিরে আসেন। নিজের ইচ্ছাশক্তি দিয়ে তিনি বাঁচার এবং কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তার পাশে থাকেন তার স্ত্রী। ন্যাশ বলেন, এই তিন অলীক চরিত্রকে তিনি অতীত হিসেবে ধরে নিয়েছেন। মানুষ যেমন অতীতকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচে, তিনিও তেমনি এই তিন অলীক মানুষকে নিয়ে বাঁচেন। শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়ে আসে তার জীবন।
একদিন প্রিন্সটনে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন এক ব্যক্তি। একজন শিক্ষার্থীকে ডেকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তার সামনে যে লোকটি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি আসলেই সেখানে আছেন কি না? শিক্ষার্থীটি হেসে বলে, হ্যাঁ। এই অভ্যাগত ন্যাশকে বলেন, এবছরের নোবেল পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়েছে।
জন ন্যাশ নোবেল পুরস্কার দিতে গিয়ে স্ত্রীর প্র্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, তার জন্য আজ তিনি এখানে।
রহস্য, সিজোফ্রেনিয়া, জ্ঞানচর্চা আর একটি সুন্দর মনের মানুষের সংগ্রাম নিয়ে সিনেমা। ভাল লাগার ব্যাপার নিঃসন্দেহে। কিন্তু মেয়েদের কেন বিশেষভাবে এই সিনেমাটা ভাল লাগে এই ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারলাম না।



প্রকাশ করা হয়েছে: ফিল্মি, ফিল্মি বিভাগে ।



* ২০ টি মন্তব্য
* ২৮৬ বার পঠিত,

Send to your friend Print
রেটিং দিতে লগ ইন করুন
পোস্টটি ২ জনের ভাল লেগেছে, ৪ জনের ভাল লাগেনি


এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন





এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন

আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন

আপনার নাম :

আপনার ই-মেইল

আপনার বন্ধুদের ইমেইল

মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন
hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog/28805118 , please visit the link and rate it if you like. :-)

নিজেকেও একটি কপি পাঠান



১. ০১ লা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৪৮
comment by: মৈথুনানন্দ বলেছেন: ;) বুঝলে খব্রাছে ;)
০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪২

লেখক বলেছেন: হ।
২. ০১ লা জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৪৯
comment by: রবিউলকরিম বলেছেন: মাহবুব সমুদ্র গুপ্তের জন্য একটা পোস্ট দাও। ওটা জরুরি।
০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩

লেখক বলেছেন: দিলাম।
৩. ০১ লা জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২৩
comment by: অনর্গল বলেছেন: এত ভালো একটা মুভি ভুলে যাবার জন্য মাইনাস।
০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩

লেখক বলেছেন: থ্যাংকস।
৪. ০১ লা জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩
comment by: সুরিজত স্বপন বলেছেন: আরেকটু ডিটেইল লিখলে ভালো লাগতো।
০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৪

লেখক বলেছেন: লিখতে পারলাম কই?
৫. ০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০১
comment by: তেপান্তের মাঠ পেরিয়ে বলেছেন: অসাধারণ একটা মুভি।
০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬

লেখক বলেছেন: হ।
৬. ০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৮
comment by: আজহার ফরহাদ বলেছেন: কিন্তু মেয়েদের কেন বিশেষভাবে এই সিনেমাটা ভাল লাগে এই ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারলাম না।



---- তাইতো, ভাবার ব্যাপার।
০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৯

লেখক বলেছেন: আসলেই। কেউ তো এই বিষয় নিয়া কিছু কয় না।
৭. ০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৭
comment by: িলমন বলেছেন: অসাধারন ছবি...ছবিটার নামটাও জটিল
০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৯

লেখক বলেছেন: হ।
৮. ০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫
comment by: আজহার ফরহাদ বলেছেন: আমার মনে হয় মেয়েদের একটা স্কিৎসোফ্রেনিক মন আছে। আপনে কি কন?
০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০৮

লেখক বলেছেন: কেমনে?
মেয়েদের মধ্যে আসলে সিজোফ্রেনিকদের শুশ্রুষা দেওয়ার মন আছে বইলা আমার মনে হয়।
৯. ০১ লা জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:২৮
comment by: মৃদুল মাহবুব বলেছেন: আমারও প্রিয় ছবি।
০১ লা জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

লেখক বলেছেন: হ।
১০. ০৩ রা জুন, ২০০৮ রাত ১২:৩২
comment by: ফাহমিদুল হক বলেছেন: দেখি নাই।
কিন্তু এরকম একটা ব্যতিক্রমী কাহিনী ভুললেন কেমনে?
বিজ্ঞানী তার বৈজ্ঞানিক অবদানে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেয়ায় নারীকূল মাতোয়ারা হইছেন।
০৫ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৪

লেখক বলেছেন: আমি তাই ভাবতেছি। কেমনে ভুললাম?
মেয়েদের পছন্দের এরকম একটা সিনেমা।
সহমত, ফাহমিদ ভাই।

No comments:

Post a Comment